Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

মাস্টার নেগোশিয়েটর প্রণবদা
পি চিদম্বরম

সঠিক মনে করতে পারছি না যে প্রণবদার সঙ্গে আমার কবে এবং কীভাবে প্রথম দেখা হল। কোনও নির্দিষ্ট ইভেন্ট হলে মনে পড়ত। আসলে প্রণবদা মোটামুটি ১৯৭৫ সাল থেকেই তাঁর রাজনীতির জীবনে এবং জাতীয় স্তরে পরিচিত হয়ে গিয়েছিলেন। কারণ, তিনি ততদিনে হয়েছিলেন অর্থমন্ত্রকের একজন জুনিয়র মন্ত্রী। কিন্তু সেভাবে দেখতে গেলে তরুণ রাষ্ট্রমন্ত্রী হলেও সেটা ছিল স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর এবং যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাঙ্কিং আর রেভিনিউ। প্রাইম মিনিস্টার ইন্দিরা গান্ধী ব্যাঙ্কিং আর রেভিনিউ সেক্টরে কিছু রিফর্ম চাইছিলেন। ইন ফ্যাক্ট বেশ কিছু তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্তও কিন্তু সেইসময় নেওয়া হয়েছিল। অনেকেই জানেন সে কথা। আমার সঙ্গে প্রণবদার মোটামুটি পরিচয় হয়ে যায় আটের দশকের মাঝামাঝি। আরও একটু স্পষ্ট করে বললে, যখন তিনি কিছুকালের জন্য দল ছেড়ে আবার কংগ্রেসে ফিরে এলেন, সেই সময়টায় পরিচয়টা বাড়ল। আর কংগ্রেস যখন সরকার থেকে চলে গেল, সেই ১৯৮৯-৯১ সালের সময়টায় আমাদের ঘনিষ্ঠতার শুরু। অর্থাৎ প্রায় নিয়ম করে দেখাসাক্ষাৎ। পার্টির কোনও মিটিং কিংবা আলোচনায় যোগ দেওয়া। কোনও বিশেষ কাজে তাঁর সঙ্গে বৈঠক। এভাবে সেই তখন থেকেই আমরা পরস্পরের মানসিকতাও একটু করে বুঝতে শুরু করি।
সেই সময় প্রণবদার একটি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আমি বেশ চমৎকৃত হয়েছিলাম। অত্যন্ত দ্রুত সময়ের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারতেন তিনি। ছিলেন একজন তীক্ষ্ণ শিক্ষার্থী। যে কোনও অজানা অথবা নতুন পরিস্থিতি কিংবা বিষয়কে বুদ্ধিমত্তা আর শার্প মাইন্ডসেট প্রয়োগ করে দ্রুত বুঝে ফেলার একটা আশ্চর্য ক্ষমতা ছিল। যাকে বলা হয় কুইক লার্নার। মনে আছে, ডঃ মনমোহন সিং তখন অর্থমন্ত্রী। আর আমি বাণিজ্যমন্ত্রী। এই ১৯৯১ কিংবা ’৯২ হবে। একদিন একটা ঘটনা ঘটল। ফিনান্সের একটি মিটিং ছিল। প্রণবদা আমাকে মিটিংয়ের পর বললেন, ‘দ্যাখো চিদম্বরম, এফএম (ফিনান্স মিনিস্টার ডঃ মনমোহন সিং) আর তুমি যে ভারতের অর্থনীতিকে সম্পূর্ণ রিফর্ম করে উদারীকরণ করার দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছ, এটা আমি বেশ বুঝতে পারছি। আর তোমরা দু’জনেই এই রিফর্মটা নিয়ে একপ্রকার বদ্ধপরিকর, সেটাও বেশ বোঝা যায়। আমি নিজে কিন্তু একটু ওল্ড স্কুলের পলিটিশিয়ান। রাজনৈতিক প্রজন্মের ক্ষেত্রেও আমি প্রাচীনপন্থীই বলা যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও তোমাদের এই উদারীকরণ আর আর্থিক সংস্কারের যে পরিকল্পনা, এটাকে আমি পূর্ণ সমর্থন করব। আমার বিশ্বাস, এই উদ্যোগ অর্থনীতিকে চাঙ্গাই করবে।’ প্রণবদা এভাবেই নিজেকে অ্যাডপ্ট করে নিতে পারতেন। সকলেরই মনে আছে নিশ্চয়ই, প্রণবদা কিন্তু ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের (ডব্লুটিও) ট্রেড এগ্রিমেন্টে ভারতের হয়ে স্বাক্ষর করেছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে। ফলে তিনি কখনওই নিজের অবস্থান, অভিমত আঁকড়ে বসে থাকতেন না। তিনি ছিলেন বাস্তবপন্থী এক মানুষ।
ঠিক সেই কারণেই তিনি ২০০৯-১০ সালের পর যে বাজেট পেশ করেছিলেন, সেটা ছিল সরকারি নিয়ন্ত্রণ এবং খোলা অর্থনীতির একটি সুচারু মিশ্রণ। যথেষ্ট মুন্সিয়ানার সঙ্গে লিবারালাইজেশনের সঙ্গে স্টেট কন্ট্রোলের একটা ব্যালান্স রাখতে চেষ্টা করেছিলেন। তবে এখানে একটা কথা বলা দরকার। সেই সময় তাঁর সম্পর্কে একটি অভিযোগও উঠেছিল। অর্থমন্ত্রী হিসেবে সেই সময়সীমায় তিনি অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে যে তৃতীয় স্টিমুলাস প্যাকেজটি দিয়েছিলেন, সেটি হয়তো সঠিক পদক্ষেপ ছিল না। এছাড়া অনেকে এটাও মনে করে যে, ভোডাফোনের ক্ষেত্রে যে কঠোর ট্যাক্স কাঠামো চাপানো হয়েছিল, সেটাও ভুল সিদ্ধান্ত। কিন্তু এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে, তিনি আর্থিক সংস্কার এবং ধীরে ধীরে অর্থনীতিকে আরও বেশি করে খুলে দেওয়ার প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত সতর্ক ও ভারসাম্যযুক্ত একটি অবস্থান নিয়ে অগ্রসর হয়েছিলেন। তাই তাঁকে বলা যেতে পারে কশাস রিফর্মার। অর্থাৎ তিনি সংস্কার করতে চাইতেন, কিন্তু যথেষ্ট সতর্কতা বজায় রেখে।
প্রণববাবু সম্পর্কে একটা কথা খুব চালু রয়েছে। সেটি হল, তিনি কংগ্রেস ও সরকারের ক্রাইসিস ম্যানেজার, কিংবা অল সিজন পলিটিশিয়ান। এটা নিয়ে কিন্তু স঩ত্যিই কোনও সন্দেহ নেই। এই বিশেষণগুলি দেওয়ার কারণ হল, সত্যিই তিনি ছিলেন যে কোনও ক্রাইসিসে আদর্শ নেগোশিয়েটর। সেটা ইন্দো-আমেরিকা পরমাণু চুক্তিই হোক, অথবা ডিএমকে আর কংগ্রেসের মধ্যে নির্বাচনী জোট। দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা অনেকেই করতে পারে। কিন্তু প্রণববাবু ছিলেন মাস্টার নেগোশিয়েটর। কারণ, প্রবল টানাপোড়েনের মধ্যে থেকে কিছু একটা মুখরক্ষার ফর্মুলা কিংবা গ্রহণযোগ্য সমাধানসূত্র উদ্ভাবন করে ঠিক সহমত নির্মাণে তিনি সফল হয়ে যেতেন। প্রয়োজন হলে নরম হতেন। আবার সময়মতো নিজের কিংবা দল ও সরকারের অবস্থানে অনড় থাকতেন। এ ব্যাপারে আমার সবথেকে বেশি একটি উদারহণই মনে পড়ছে। আমেরিকার সঙ্গে ভারতের পরমাণু চুক্তি। যার সমর্থনের জন্য বামপন্থীদের তিনি কীভাবে আশ্বস্ত করেছেন, তা আমরাই জানি। প্রণবদা সর্বদাই ছিলেন মধ্যপন্থায় বিশ্বাসী। অর্থাৎ রাজনীতিতে কোনও চূড়ান্ত বা অনড় সিদ্ধান্ত হতে পারে না। আজকের রাজনীতিতে যেটা অনেক বেশি দেখা যায়। সকলেই চরম একটি অবস্থান নিয়ে বসে। অনড় থাকে বিশ্বাস আর মতামতে। অর্থাৎ এক্সট্রিম পজিশন। যা ভারতকে সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে ঠেলে দিয়েছে আজ। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখন মধ্যপন্থায় বিশ্বাসীদের দল বা সরকারের বোঝা মনে করা হয়। তাঁদের গুরুত্ব নেই। প্রণবদার মতো ঐকমত্য-নির্মাতা রাজনৈতিক ব্যক্তি এখন বিরল।
প্রণবদা প্রতিটি ইস্যুকেই গভীরভাবে অনুধাবন করতেন। তাঁর হয়তো নিজের একটি অভিমত ছিল। কিন্তু যে কোনও বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসার আগে তিনি প্রত্যেকের মতামত, উত্থাপিত হওয়া প্রতিটি পয়েন্ট শুনতেন চুপ করে। নোট করতেন। আর তারপর সেইসব আলোচনার শেষে এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো, যাকে বলা যেতে পারে প্রত্যেকের মতামতের যোগফল থেকে সর্বজনগ্রাহ্য নির্যাস। এটা আমি বিভিন্ন মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠক, মন্ত্রিসভার বৈঠকে লক্ষ্য করেছি। আমি প্রণবদার সঙ্গে ক্যাবিনেটে একাধিকবার বহু বছর ধরে কাজ করেছি। তাই আমি জানি যে, তিনি সরকারের ক্যাবিনেটে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন। প্রাইম মিনিস্টার (ডঃ মনমোহন সিং) বহু ইস্যুতে সম্পূর্ণভাবে প্রণবদাকে ভরসা করতেন। তিনি জানতেন, কোন ইস্যুতে প্রণবদার অভিমত সর্বাগ্রে প্রয়োজন। আবার একইসঙ্গে আমি দেখেছি, প্রণবদা নিজেও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কতটা শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, যোগ্য জুনিয়র এবং রাজনৈতিকভাবে সিনিয়র—দুই ক্ষেত্রেই প্রত্যেক ব্যক্তিকে প্রণবদা বিশেষ সম্মানের জায়গাটি দিতেন। সরকারে থাকাকালীন শারদ পাওয়ারকে গুরুত্ব দিতেন তাঁর অভিজ্ঞতার জন্য।। বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতেন পাওয়ারের সঙ্গে। এই পারস্পরিক শ্রদ্ধার সম্পর্কটি রাজনীতিতে শেখার।
একটা কথা না বললেই নয়। একদিকে যেমন প্রণবদা ছিলেন রাশভারী, সিরিয়াস... আবার অন্যদিকে, তাঁকেই আমি দেখেছি শিশুর মতো খুশি ও আনন্দে উজ্জ্বল হয়ে রিঅ্যাক্ট করতে। মনে পড়ছে ২০১২ সালে প্রণবদার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিনগুলো। তিনি ছিলেন আমাদের প্রার্থী। সুতরাং তাঁর জয় ছিল আমাদের সকলের দায়িত্ব। অন্যতম অবজার্ভার হওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়াজুড়ে আমাকেও যথেষ্ট সক্রিয় থাকতে হয়েছে। যেদিন নির্বাচনের ফলপ্রকাশ হল, সেদিন আমিই প্রথম প্রণবদার কাছে গিয়ে বলেছিলাম, ‘কনগ্র্যাচুলেশন। কাউন্টিং শেষ হয়েছে। আপনি ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন।’ হাসতে হাসতে আমি তাঁকে একটি শাল পরিয়ে দিয়ে বললাম, ‘তাহলে রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন আপনিই।’ সঙ্গে সঙ্গে প্রণবদার মুখ এক অনাবিল হাসিতে উদ্ভাসিত হয়ে গেল। ওই হাসিমুখ আমি ভুলব না। তিনি যে ভীষণ আনন্দ পেয়েছেন, বোঝাই যাচ্ছিল। আর ওই শিশুর মতো সরল ও প্রাণখোলা হাসির মধ্যে থেকেই স্পষ্ট হচ্ছিল যে, এবার তাঁর জীবন ও সাফল্যের মধ্যে যদি সামান্যতম ফাঁকও এতদিন থাকে, সেটি অবশেষে পূরণ হতে চলেছে।
আজ প্রণবদা নেই। কিন্তু ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাস এবং ভবিষ্যতের চলমান রাজনীতির কাছে প্রণবদা কীভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন? এই প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক। আমি একটিই কথা বলব। প্রণবদা ছিলেন একজন আদর্শ ও একান্তভাবেই নিষ্ঠাবান দলীয় সৈনিক। স্বদেশ ছিল তাঁর কাছে সর্বোত্তম। তারপর তাঁর কাছে পার্টিই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রণবদা বিশ্বাস করতেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে রাজনৈতিক দলই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য একটি ভুমিকা পালন করে। এই ভূমিকার প্রতিফলন প্রণবদার তৈরি করা বহু কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি ও এআইসিসির রাজনৈতিক প্রস্তাবের মধ্যে প্রতীয়মান হয়ে রয়েছে। ভারতের রাজনীতি তাঁকে মনে রাখবে দলের অনুগত এমন এক ব্যক্তিত্ব হিসেবে, যিনি মনেপ্রাণে সর্বোচ্চ স্থান দিতেন সংসদীয় গণতন্ত্রকে। কোনও সময়ই রাজনীতির ঐতিহ্যশালী রীতি ভাঙেননি তিনি।
প্রণব মুখোপাধ্যায়, আগাগোড়া বিধিনিয়মে নীতিনিষ্ঠ এক চরিত্র! 
06th  September, 2020
আমরি বাংলা ভাষা
অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়

রোজকার মতো প্রাতঃভ্রমণ সেরে চায়ের দোকানে এসে বসলেন চণ্ডীবাবু। কাগজের দিকে হাত বাড়াতে যাচ্ছিলেন। আর মধ্যেই আমাকে দেখে বলে উঠলেন—
গুড মর্নিং স্যর, হ্যাপি বেঙ্গলি নিউ ইয়ার। বিশদ

14th  April, 2024
রহস্যময় গম্ভীরা

পুরীর গম্ভীরায় জীবনের শেষ আঠারোটা বছর কাটিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব। অন্তর্ধানের আগে মহাপ্রভু অন্তিমবারের মতো বের হয়েছিলেন সেখান থেকেই। সেই গম্ভীরা ঘুরে ইতিহাস-রহস্যের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার। বিশদ

07th  April, 2024
জিপিও ২৫০

বুধবারের দুপুরবেলা। দোল-হোলি পর্বের টানা ছুটি কাটিয়ে এবার ছন্দে ফেরার পালা। কিন্তু একটু বড় ছুটি পেলেই মানুষের মতো শহরটাকেও জড়িয়ে ধরে আলস্য। অফিস-কাছারি খুলতেই আড়মোড়া ভাঙছে শহর। রাস্তাঘাটে অবশ্য তেমন ভিড় নেই। বিশদ

31st  March, 2024
অন্ধকূপেই ডাকঘরের জন্ম

শহরের বুক থেকে ইংরেজদের পুরনো কেল্লার সীমানা মুছে গিয়েছে কবেই। ফিকে হয়ে এসেছে নবাব সিরাজদ্দৌলার কলকাতা আক্রমণ, প্রথম যুদ্ধজয় এবং অন্ধকূপ হত্যার স্মৃতি। এমনটাই যে হবে, আগেই অনুমান করতে পেরেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ইংরেজরা।
বিশদ

31st  March, 2024
নানা রঙের দোল

বারসানায় এখন পা-টুকু নিশ্চিন্তে রাখার জো নেই! দেহাতি, দক্ষিণ ভারতীয়, বাঙালি, বিদেশি কে নেই সেই বিখ্যাত ভিড়ে। প্রায় সবার মাথায় রংবেরঙের পাগড়ি। কারও হাতে আবির, তো কারও ক্যামেরা। একসপ্তাহ ধরে চলছে রঙখেলা। হোলি... লাঠমার।
বিশদ

24th  March, 2024
 ‘যত মত তত পথ’
পূর্বা সেনগুপ্ত

দক্ষিণেশ্বরের দেবালয়। বিরাট বারান্দার এক কোণের ঘরে বসে ভক্তসঙ্গে ধর্মপ্রসঙ্গ করছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। দেবালয়ের পাঁচ টাকা মাইনের পুরোহিত হলে কি হবে...মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাণী রাসমণি থেকে তাঁর জামাই মথুরবাবু, সকলেই তাঁকে সমীহ করে চলেন। বিশদ

17th  March, 2024
ওপেনহাইমার ও যুদ্ধবাণিজ্য

কয়েক ঘণ্টার মাত্র অপেক্ষা। লস এঞ্জেলসের আলো ঝলমলে ডলবি থিয়েটারে শুরু হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্মি শোবিজ—অস্কার। এবারের অস্কার হুজুগে সারা পৃথিবীর সংবাদ শিরোনামে ‘ওপেনহাইমার’। ক্রিস্টোফার নোলানের এই সিনেমার সঙ্গেই অতীতকে ফিরে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ।
বিশদ

10th  March, 2024
এলিট ইতিহাস
কলহার মুখোপাধ্যায়

সে নিজেই একটা ইতিহাস! তবু বেলা না যেতে খেলা তব গেল ঘুচে। তখন নাইট ক্লাব, হুক্কা বার, হ্যাং আউট, শপিং মলের কথা শোনালে মানুষ ভাবতো তামাশা করছে।
বিশদ

03rd  March, 2024
স্বেচ্ছামৃত্যু
 

গ্রিক ভাষায় ‘ইউ’ মানে ভালো আর ‘থ্যানেটোজ’ মানে মৃত্যু। দুইয়ে মিলে ইউথ্যানেশিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যু। গত বছর ভারতে আইনসিদ্ধ হয় প্যাসিভ ইউথ্যানেশিয়া। আইনত বৈধ হলেও, সেই পদক্ষেপকে ঘিরে দানা বাঁধছে সংশয়। স্বেচ্ছামৃত্যুর ইতিবৃত্ত খতিয়ে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ
বিশদ

25th  February, 2024
আ’মরি বাংলা ভাষা

আসছে আরও একটা একুশে ফেব্রুয়ারি। হোয়াটসঅ্যাপ যুগে ক্রমে গুরুত্ব হারাচ্ছে দিনটি। তবুও বাংলা ভাষা বেঁচে আছে। থাকবেও। অসম ও বাংলাদেশ ঘুরে এসে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস। বিশদ

18th  February, 2024
সরস্বত্যৈ নমো নমঃ
কৌশিক মজুমদার

আমাদের নয়ের দশকের মফস্বলে উত্তেজনার খোরাক বলতে খুব বেশি কিছু ছিল না। বিশেষ করে আমরা যারা সেকালে ছাত্র ছিলাম, তাদের জন্য। মাস্টারমশাই আর অভিভাবকদের গণ ছাতাপেটাইয়ের ফাঁকে বুধবার সন্ধ্যায় টিভিতে চিত্রহার আর রবিবার সকালের রঙ্গোলিতে কিছু বস্তাপচা গান বাদে গোটা হপ্তাটাই কৃষিকথার আসর আর ‘খবর পড়ছি দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়’-এর মতো নেহাত নিরেস ছিল। বিশদ

11th  February, 2024
কুল খেতে মানা
সন্দীপন বিশ্বাস

স্কুল থেকে ফেরার পথে বিন্তির চোখে পড়ল, বাজারে বিক্রি হচ্ছে বড় বড় কুল। পাশে রয়েছে আপেল কুল, টোপা কুল। তাই দেখে তার জিভে জল এসে গেল। মনে হল, কেটে নুন দিয়ে মেখে খেলে বিকেলটা জমে যাবে। মায়ের কাছে সে আবদার করল, ‘আমায় একটু কুল কিনে দাও না মা!’  বিশদ

11th  February, 2024
নেতাজির বিমা কোম্পানি
সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত

১৯৪১ সাল। শীতের সন্ধ্যা। ঢাকা শহরের নবাবপুর অঞ্চলে এক ব্যক্তি ঘুরছেন। রাত্রি নামার আগে তাঁকে গন্তব্য পৌঁছতেই হবে। কিন্তু রাস্তায় কারও কাছে ঠিকানা জানার হুকুম নেই। চারদিকে পুলিসের জাল বিছানো। নবাবপুর রোডের কাছে রায় কোম্পানির বিখ্যাত বিলাতি মদের দোকানের সামনে এসে চোখ পড়ল একটি বাড়ির দরজায়। বিশদ

04th  February, 2024
আইএনএ’র বিপ্লবী ডাক্তার
বিশ্বজিৎ মাইতি

‘অস্থায়ী হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন শয়ে শয়ে মরণাপন্ন রোগী। চিকিৎসক ও নার্সদের দাঁড়ানোর ফুরসত নেই। আচমকাই সাইরেন বেজে উঠল। মুহূর্তের মধ্যে দৈত্যের মতো আওয়াজ তুলে হাজির যুদ্ধবিমান। প্রাণের ভয়ে পাশের পরিখায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন অনেকে। বিশদ

04th  February, 2024
একনজরে
ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। শুক্রবার কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ...

তীব্র দাবদাহের মধ্যে পানীয় জলের সংকট। শুক্রবার ক্ষোভে হরিরামপুর-ইটাহার রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন মহিলারা। হরিরামপুর থানার বিশাল ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

19-04-2024 - 11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:13:07 PM