Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

অজানা রফি

‘ফিল ইন দ্য ব্ল্যাঙ্কস’ ফিকু

অমৃতসরের কোটলা সুলতান সিং গ্রাম। তার পুবদিকে জমজমাট বাজার। সকাল-বিকেল বিকিকিনি। সপ্তাহে তিন-চারদিন এক ফকির এই বাজারের ভিতর দিয়েই তাঁর গন্তব্যে পৌঁছন। পরণে কালো জোব্বা, গলায় হরেক রংয়ের পুঁতির মালা, মাথায় ফেট্টি। নাম কেউ জানে না তাঁর। শুধু জানে ফকিরের গানে মন্ত্রমুগ্ধ হতে হয়। দু’হাত আকাশের দিকে তুলে সুরেলা গলায় সবাইকে মাতিয়ে রাখেন তিনি। ব্যতিক্রম নয় বছর সাতেকের ফিকু। সে আবার ফকির বাবার পিছন পিছন ধাওয়া করে। বাজার, গ্রামের সীমানা পেরিয়ে তাঁর গন্তব্য পর্যন্ত। মন দিয়ে শোনে কাওয়ালি। দিব্যি তুলেও নেয় সেই সুর, সেই বোল। তারপর আবার ফিরে আসে বাজারে। ‘ফিকু আসছে, ফিকু আসছে’ আওয়াজ ওঠে। ব্যবসায়ীরা আদর করে তাকে এক গাছতলায় বসিয়ে গান শোনার অনুরোধ জানায়। ফকিরের গান একের পর এক গেয়ে চলে সে। মিঠে আতরের মতো সুবাস তার কণ্ঠে। মেলে বাহবা। করতালিও।
এমনি করেই কাটছিল ফিকুর শৈশব। ১৯৩৫’এ অমৃতসর ছেড়ে লাহোরে পাড়ি দিল তার পরিবার। লাহোরের নুর মহল্লায় সেলুন খুললেন বাবা হাজি আলি মহম্মদ। বলাই বাহুল্য, তখন দেশভাগ হয়নি। নতুন শহরে গিয়েও ফকির বাবার গান ভোলেনি ফিকু। সেলুনের সামনে দাঁড়িয়ে একমনে সে গুনগুন করতেই থাকে। জুটে যায় শ্রোতাও। তাদের মধ্যে একজন আব্দুল হামিদ। ফিকুর দাদার বন্ধু। শিশু প্রতিভাকে চিনতে ভুল হয়নি তাঁর। স্থানীয় সঙ্গীত বিশারদদের কাছে তিনিই নিয়ে যান ফিকুকে। শুরু হয় তালিম। কয়েক বছর পর লাহোরের এক বিরাট জলসায় গান গাইতে এলেন কুন্দনলাল সায়গল। দু’দিনের মধ্যেই টিকিট নিঃশেষিত। কেএলের কণ্ঠে তখন মধু ঝরছে। অনুষ্ঠানের দিন সকাল থেকেই এলাকা ভিড়ে ভিড়। অবশেষে এল সন্ধে। মাইকে ঘোষণা হল, ‘আর কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনাদের গান শোনাবেন কেএল সায়গল।’ চারদিক থেকে তাঁর নামে জয়ধ্বনি উঠল। কিন্তু হঠাৎই লোডশেডিং। অকেজো মাইক এবং লাউড স্পিকার। সংগঠকদের মাথায় হাত। কী করা যায়? এমন সময় ফিকুকে দিয়ে গান গাওয়ানোর পরামর্শ আব্দুল হামিদের। সামান্য আপত্তি করলেও শেষে তা মেনে নিতে বাধ্য হলেন তাঁরা। অর্থাৎ ‘ফিল ইন দ্য ব্ল্যাঙ্কস’ ভূমিকাতেই যাত্রা শুরু ফিকুর। বিনা মাইকেই। অধৈর্য শ্রোতারা ক্রমশ শান্ত হলেন। সেই ফকির বাবার কাওয়ালিতেই বাজিমাত ছোট্ট ছেলেটির। ‘পাখা বালিও, নাম জপো মৌলা নাম’ সহ বেশ কয়েকটি গান শুনে চমকে উঠলেন সকলে। বিদ্যুৎ সংযোগ এলে মঞ্চে উঠলেন কেএল সায়গল। অনুষ্ঠান শেষ হল নির্বিঘ্নে। সেই আসরেই ছিলেন সেকালের নামী মিউজিক ডিরেক্টর শ্যাম সুন্দর। ফিকুর প্রতিভা ধরা পড়েছিল তাঁর অভিজ্ঞ কানে। অনুষ্ঠান শেষে তিনিই সেই বালকটিকে বোম্বে আসার আমন্ত্রণ জানান। বাকিটা ইতিহাস। ছোট্ট ফিকুকেই সঙ্গীত জগৎ চেনে মহম্মদ রফি নামে।

কাজ শেষ হয়নি, টাকা চাইব কেন?

তখনও ভারত স্বাধীন হয়নি। বোম্বের এক নামী স্টুডিওয় শাহজাহান ছবির গানের রেকর্ডিং চলছে। কেএল সায়গল, রাগিনীর মতো তারকারা রয়েছেন। মিউজিক ডিরেক্টর নৌশাদ সাব। কোরাসে গানে গলা মেলানোর সুযোগ পেলেন মহম্মদ রফি। তবে একটি লাইন ছিল শুধু তাঁরই। প্রথম দিনের কাজ শেষ। প্যাক-আপ করে দোতলার স্টুডিও থেকে নীচে নেমে নৌশাদ দেখলেন, কুড়ি বছরের রফি দাঁড়িয়ে। বললেন, ‘বাড়ি যাওনি কেন এখনও? তোমার কাজ তো ঘণ্টাখানেক আগেই শেষ হয়েছে।’ শান্ত স্বরে রফির উত্তর, ‘কালও তো এখানেই রেকর্ডিং। বাড়ি ফিরে আবার আসার পয়সা আমার কাছে নেই। তাই এখানেই কোনওরকমে রাত কাটিয়ে দেব।’ চমকে উঠলেন নৌশাদ। কী বলে ছেলেটা! একটু ভেবে তাঁর মৃদু ধমক, ‘গান তো গেয়েছ। টাকা চাইলেই পারতে। খামোখা এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো না।’ মাথা নিচু করে রফি জানালেন, ‘গান তো পুরোটা হয়নি। টাকা চাইব কেন?’ নৌশাদ সাব বুঝলেন, এ ছেলে অনেক দূর যাবে। প্রায় জোর করেই তিনি পাথেয় দিলেন মহম্মদ রফিকে। শুরু হল দুই সঙ্গীত সাধকের একসঙ্গে পথ চলা। নৌশাদের সুরে ১৪৯টি গান গেয়েছেন রফি। ১৯৫২ সালে বৈজু বাওরায় তাঁর গাওয়া ‘ও দুনিয়া কে রাখওয়ালে’ গান তো এখনও আসমুদ্রহিমাচল কাঁপায়।

সলামত রহো, সলামত রহো...

অনেক মিউজিক ডিরেক্টরের গ্রুপেই কাজ করেছেন লক্ষ্মীকান্ত-প্যায়ারেলাল। তাই দুই বন্ধুকেই চিনতেন রফি। ছয়ের দশকের গোড়ায় এল-পি ভাবলেন, এবার স্বাধীনভাবে সুর দেবেন। প্রথম ছবি পরশমণি। ডিরেক্টর বাবুভাই মিস্ত্রি। গান লিখলেন আশাদ ভোপালি। আর তা গাইলেন মহম্মদ রফি, লতা মঙ্গেশকর, মুকেশ এবং কমল বারোট। এই ছবিতে রফি সাব একটি সোলো এবং লতাজির সঙ্গে একটি ডুয়েট গেয়েছেন।
স্টুডিওয় এলে ‘সলামত রহো, সলামত রহো’ গানটি রেকর্ড করলেন রফি সাব। লক্ষ্মীকান্ত-প্যায়ারেলাল সম্মান-দক্ষিণা বাবদ তাঁর হাতে গুঁজে দিলেন এক হাজার টাকা। মুম্বই ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রির তানসেন তো দেখে অবাক। তবে তিনি তা বুঝতে দিলেন না এল-পি’কে। পকেট থেকে দুটো এক টাকার নোট বের হল তাঁর। তারপর দু’জনের হাতেই তুলে দিলেন ৫০১ টাকা করে। মোলায়েম কণ্ঠে বললেন, ‘এ আমার আশীর্বাদ। নিতে দ্বিধা কোরো না। ভবিষ্যতে তোমাদের সুরে প্রচুর গান গাইব।’
কথা রেখেছিলেন রফি। এল-পি’র সুরেই সবচেয়ে বেশি গান (৩৬৯) তিনি গেয়েছেন। জীবনের শেষ প্লে-ব্যাকও এই জুটির সুরেই।

জানে চমন শোলা বদন পহেলুঁ মে আ যাও...

প্লে ব্যাকে গানের সঙ্গে অভিনয় মেশাতে পেরেছিলেন বলেই মহম্মদ রফি কিংবদন্তি। এরজন্য তাঁকে বিশাল মেহনত করতে হয়েছে এমনটা নয়। গানের আগে জেনে নিতেন, কার লিপে গাইতে হবে। তারপর দৃশ্য ও মুড বুঝে নেওয়া ছিল রফি সাবের অভ্যাস। বাকিটা আপনাআপনিই হয়ে যেত। শাম্মি কাপুর এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘গানের দৃশ্যে আমার অভিনয়ের সিংহভাগই করে দিতেন রফি সাব। আমি শুধুই লিপ দিতাম।’
জাভেদ আখতারের স্মৃতিচারণায় একটি ঘটনা এবার শোনা যাক, ‘গুমনাম ছবির গানের রেকর্ডিং হচ্ছে। ডুয়েট। গাইছেন রফি সাব এবং সারদাজি। কাচের ঘরে দু’টি মাইকের সামনে দু’জনে। সারদাজি গাইছেন, ‘ও মেরে দিল, মেরে হামদম, বাঁহো মে আ যাও’। রফি সাব তখন ঘরের একপাশে রাখা এক টেবিল থেকে জলের গ্লাসে চুমুক দিতে ব্যস্ত। তারপর পকেট থেকে রুমাল বের করে শান্তভাবে মুখ মুছতে দেখলাম তাঁকে। এবার ঘুরে মাইকের কাছে পৌঁছনোর আগে রফি সাব দেখলেন, বাইরে এক বন্ধু বসে আছেন। কয়েক মুহূর্ত ইশারাতেই দু’জনের মধ্যে ভাবের আদানপ্রদান হল। সারদাজির অংশ তখন শেষের দিকে। যন্ত্রীদের অনেকেই প্রমাদ গুনছেন। রফি সাব ঠিক সময়ে ধরতে পারবেন তো? মিউজিক ডিরেক্টর শঙ্কর-জয়কিষণের মুখে অবশ্য উদ্বেগের বিন্দুমাত্র ছায়া নেই। কারণ মহম্মদ রফি কোন পর্যায়ের গায়ক, তা তাঁরা জানতেন। বন্ধুর সঙ্গে ইশারা পর্ব শেষ করে ঠিক সময়েই মাইকের কাছে এসে তিনি শুরু করলেন, ‘হোয় হোয়, জানে চমন শোলা বদন পহেলুঁ মে আ যাও।’ ঠিক যে অভিনয়টা রফি সাবের কণ্ঠে চেয়েছিলেন শঙ্কর-জয়কিষণ। এই দৃশ্য দেখে মনে হয়েছিল, অভিনয়টা ওঁর রক্তে নয়, কণ্ঠে রয়েছে।’

কর চলে হাম ফিদা জানো তন সাথিয়োঁ...

৩০ জুলাই ১৯৮০। সোমবার। সন্ধে পেরিয়ে ঘড়ির কাঁটা তখন রাতের লক্ষ্যে ছুটছে। মুম্বইয়ের এক স্টুডিওয় ‘আসপাস’ ছবির রেকর্ডিংয়ে ব্যস্ত মহম্মদ রফি। রয়েছেন প্রোডিউসার-ডিরেক্টর জে ওমপ্রকাশ, সুরকার লক্ষ্মীকান্ত-প্যায়ারেলাল। গানের কিছুটা রেকর্ড হওয়ার পরেই প্যাক-আপ বললেন ওমপ্রকাশ। সিঁড়ি দিয়ে নীচে নেমে গাড়িতে উঠলেন রফি সাব। শরীরটা ভালো নেই ঠিকই। কিন্তু এখন মনটাও কেমন খচখচ করছে তাঁর। কাজ বাকি রেখেই বাড়ির পথ ধরবেন? উঠে এলেন সেই সিঁড়ি বেয়েই। ওমপ্রকাশকে বললেন, ‘মাত্র চার লাইনই তো বাকি। আগামীকালের জন্য অপেক্ষা করা ঠিক হবে না। এখনই গেয়ে দিচ্ছি। রফি সাব রাজি তো কেয়া করেগা কাজি। মিনিট পনেরোর মধ্যেই কাজ শেষ। স্টুডিও ছাড়লেন তিনি। ফিরলেন বাড়িও। সেই তাঁর শেষ ফেরা। রাতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু। মঙ্গলবার সকালে বলতে গিয়ে গলা ধরে এল কাইফি আজমির, ‘হকিকত ছবির ওই গানটার কথা মনে পড়ছে। কর চলে হাম ফিদা জানো তন সাথিয়োঁ...। আমারই লেখা গান... কিন্তু তাতে প্রাণ দিয়েছিলেন রফি সাব। আজ থেকে তাঁকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের।’
09th  August, 2020
আমরি বাংলা ভাষা
অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়

রোজকার মতো প্রাতঃভ্রমণ সেরে চায়ের দোকানে এসে বসলেন চণ্ডীবাবু। কাগজের দিকে হাত বাড়াতে যাচ্ছিলেন। আর মধ্যেই আমাকে দেখে বলে উঠলেন—
গুড মর্নিং স্যর, হ্যাপি বেঙ্গলি নিউ ইয়ার। বিশদ

14th  April, 2024
রহস্যময় গম্ভীরা

পুরীর গম্ভীরায় জীবনের শেষ আঠারোটা বছর কাটিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব। অন্তর্ধানের আগে মহাপ্রভু অন্তিমবারের মতো বের হয়েছিলেন সেখান থেকেই। সেই গম্ভীরা ঘুরে ইতিহাস-রহস্যের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার। বিশদ

07th  April, 2024
জিপিও ২৫০

বুধবারের দুপুরবেলা। দোল-হোলি পর্বের টানা ছুটি কাটিয়ে এবার ছন্দে ফেরার পালা। কিন্তু একটু বড় ছুটি পেলেই মানুষের মতো শহরটাকেও জড়িয়ে ধরে আলস্য। অফিস-কাছারি খুলতেই আড়মোড়া ভাঙছে শহর। রাস্তাঘাটে অবশ্য তেমন ভিড় নেই। বিশদ

31st  March, 2024
অন্ধকূপেই ডাকঘরের জন্ম

শহরের বুক থেকে ইংরেজদের পুরনো কেল্লার সীমানা মুছে গিয়েছে কবেই। ফিকে হয়ে এসেছে নবাব সিরাজদ্দৌলার কলকাতা আক্রমণ, প্রথম যুদ্ধজয় এবং অন্ধকূপ হত্যার স্মৃতি। এমনটাই যে হবে, আগেই অনুমান করতে পেরেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ইংরেজরা।
বিশদ

31st  March, 2024
নানা রঙের দোল

বারসানায় এখন পা-টুকু নিশ্চিন্তে রাখার জো নেই! দেহাতি, দক্ষিণ ভারতীয়, বাঙালি, বিদেশি কে নেই সেই বিখ্যাত ভিড়ে। প্রায় সবার মাথায় রংবেরঙের পাগড়ি। কারও হাতে আবির, তো কারও ক্যামেরা। একসপ্তাহ ধরে চলছে রঙখেলা। হোলি... লাঠমার।
বিশদ

24th  March, 2024
 ‘যত মত তত পথ’
পূর্বা সেনগুপ্ত

দক্ষিণেশ্বরের দেবালয়। বিরাট বারান্দার এক কোণের ঘরে বসে ভক্তসঙ্গে ধর্মপ্রসঙ্গ করছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। দেবালয়ের পাঁচ টাকা মাইনের পুরোহিত হলে কি হবে...মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাণী রাসমণি থেকে তাঁর জামাই মথুরবাবু, সকলেই তাঁকে সমীহ করে চলেন। বিশদ

17th  March, 2024
ওপেনহাইমার ও যুদ্ধবাণিজ্য

কয়েক ঘণ্টার মাত্র অপেক্ষা। লস এঞ্জেলসের আলো ঝলমলে ডলবি থিয়েটারে শুরু হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্মি শোবিজ—অস্কার। এবারের অস্কার হুজুগে সারা পৃথিবীর সংবাদ শিরোনামে ‘ওপেনহাইমার’। ক্রিস্টোফার নোলানের এই সিনেমার সঙ্গেই অতীতকে ফিরে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ।
বিশদ

10th  March, 2024
এলিট ইতিহাস
কলহার মুখোপাধ্যায়

সে নিজেই একটা ইতিহাস! তবু বেলা না যেতে খেলা তব গেল ঘুচে। তখন নাইট ক্লাব, হুক্কা বার, হ্যাং আউট, শপিং মলের কথা শোনালে মানুষ ভাবতো তামাশা করছে।
বিশদ

03rd  March, 2024
স্বেচ্ছামৃত্যু
 

গ্রিক ভাষায় ‘ইউ’ মানে ভালো আর ‘থ্যানেটোজ’ মানে মৃত্যু। দুইয়ে মিলে ইউথ্যানেশিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যু। গত বছর ভারতে আইনসিদ্ধ হয় প্যাসিভ ইউথ্যানেশিয়া। আইনত বৈধ হলেও, সেই পদক্ষেপকে ঘিরে দানা বাঁধছে সংশয়। স্বেচ্ছামৃত্যুর ইতিবৃত্ত খতিয়ে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ
বিশদ

25th  February, 2024
আ’মরি বাংলা ভাষা

আসছে আরও একটা একুশে ফেব্রুয়ারি। হোয়াটসঅ্যাপ যুগে ক্রমে গুরুত্ব হারাচ্ছে দিনটি। তবুও বাংলা ভাষা বেঁচে আছে। থাকবেও। অসম ও বাংলাদেশ ঘুরে এসে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস। বিশদ

18th  February, 2024
সরস্বত্যৈ নমো নমঃ
কৌশিক মজুমদার

আমাদের নয়ের দশকের মফস্বলে উত্তেজনার খোরাক বলতে খুব বেশি কিছু ছিল না। বিশেষ করে আমরা যারা সেকালে ছাত্র ছিলাম, তাদের জন্য। মাস্টারমশাই আর অভিভাবকদের গণ ছাতাপেটাইয়ের ফাঁকে বুধবার সন্ধ্যায় টিভিতে চিত্রহার আর রবিবার সকালের রঙ্গোলিতে কিছু বস্তাপচা গান বাদে গোটা হপ্তাটাই কৃষিকথার আসর আর ‘খবর পড়ছি দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়’-এর মতো নেহাত নিরেস ছিল। বিশদ

11th  February, 2024
কুল খেতে মানা
সন্দীপন বিশ্বাস

স্কুল থেকে ফেরার পথে বিন্তির চোখে পড়ল, বাজারে বিক্রি হচ্ছে বড় বড় কুল। পাশে রয়েছে আপেল কুল, টোপা কুল। তাই দেখে তার জিভে জল এসে গেল। মনে হল, কেটে নুন দিয়ে মেখে খেলে বিকেলটা জমে যাবে। মায়ের কাছে সে আবদার করল, ‘আমায় একটু কুল কিনে দাও না মা!’  বিশদ

11th  February, 2024
নেতাজির বিমা কোম্পানি
সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত

১৯৪১ সাল। শীতের সন্ধ্যা। ঢাকা শহরের নবাবপুর অঞ্চলে এক ব্যক্তি ঘুরছেন। রাত্রি নামার আগে তাঁকে গন্তব্য পৌঁছতেই হবে। কিন্তু রাস্তায় কারও কাছে ঠিকানা জানার হুকুম নেই। চারদিকে পুলিসের জাল বিছানো। নবাবপুর রোডের কাছে রায় কোম্পানির বিখ্যাত বিলাতি মদের দোকানের সামনে এসে চোখ পড়ল একটি বাড়ির দরজায়। বিশদ

04th  February, 2024
আইএনএ’র বিপ্লবী ডাক্তার
বিশ্বজিৎ মাইতি

‘অস্থায়ী হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন শয়ে শয়ে মরণাপন্ন রোগী। চিকিৎসক ও নার্সদের দাঁড়ানোর ফুরসত নেই। আচমকাই সাইরেন বেজে উঠল। মুহূর্তের মধ্যে দৈত্যের মতো আওয়াজ তুলে হাজির যুদ্ধবিমান। প্রাণের ভয়ে পাশের পরিখায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন অনেকে। বিশদ

04th  February, 2024
একনজরে
কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...

পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
লোকসভা নির্বাচন ২০২৪: ভোট দিলেন বিশ্বের সবচেয়ে খর্বকায় মহিলা জ্যোতি আমগে

03:19:19 PM

মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় জনসভার শেষে ধামসা বাজালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

03:15:41 PM

সুতির জনসভায় পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

03:12:00 PM

রাজ্যের তিন লোকসভা আসনে ভোটকে কেন্দ্র করে দুপুর ২ টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে ৩২৩ টি অভিযোগ জমা পড়েছে, যার মধ্যে ২৮৮টির সমাধান করা হয়েছে

03:06:18 PM

আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি জারি থাকবে, জানাল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর

03:02:25 PM

জগদ্দলে জুটমিলে আগুন
জগদ্দলের ওয়েভারলি জুটমিলে অগ্নিকাণ্ড। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। অগ্নিকাণ্ডের ...বিশদ

02:59:29 PM