Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

ফিরে দেখা ব্যোমকেশ 

শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়... পার হয়ে গেল প্রয়াণের ৫০ বছর। এখনও প্রাচীন থেকে নবীন—সব প্রজন্মের মননে জায়গা করে নেয় তাঁর লেখনী। এবং অবশ্যই তাঁর অন্যতম সেরা সৃষ্টি ব্যোমকেশ বক্সী। গোয়েন্দা নন, সেই সত্যান্বেষীকে ফিরে দেখা দুই চরিত্রাভিনেতার চোখ দিয়ে।

আবীর চট্টোপাধ্যায়: সত্যের প্রতি নিষ্ঠা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা। এই দু’টোর কম্বিনেশনের নাম সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ বক্সী। এমন কোনও মানুষ সামনে থাকলে ভালো লাগে। নাই বা হলেন তিনি রক্তমাংসের কেউ। তাঁকে দেখে, তাঁকে ‘পড়ে’ মনে হয়, যদি এমনটা হতে পারতাম... যদি এভাবে কেউ গাইড করত! এই আশ্রয়টাই হয়ে উঠেছে ব্যোমকেশ। আদিম রিপু-তে তখনকার দিনে ২ লাখ টাকা ফিরিয়ে দিচ্ছে মানুষটা। কতটা মানসিক জোর থাকলে, কতটা নির্লোভ হলে কেউ সেটা করতে পারে! সাধারণ জীবনযাপন, অথচ চিন্তাভাবনা বিশ্বমানের। আজকাল সবাই তো এটাই মিস করে। সেই হিরোকে... যে এখন আর আমাদের সমাজে নেই। তাই আমরা ফিরে দেখি। বারবার। তাই তো আজও এতটা জনপ্রিয় সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ এবং তাঁর স্রষ্টা শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরপরও শুরুতেই একটা কথা না বলে পারছি না... ব্যোমকেশের জন্য শরদিন্দুর অন্য সব অসামান্য সৃষ্টি কিন্তু কিছুটা হলেও অবহেলিত। এটা আমার একটু খারাপই লাগে। যারা নিয়মিত পড়াশোনা করে, তারা হয়তো জানে। বাকিরা জানে না। যাই হোক, ব্যোমকেশের কথায় ফিরে আসি। চরিত্রটা এত জনপ্রিয় কেন জানেন? সেই সময়ের দলিল হয়েও এই সৃষ্টি কালের সীমা ছাপিয়ে গিয়েছে। ব্যোমকেশ শুধু গোয়েন্দা গল্প নয়। তিনি নিজেকে সত্যান্বেষী বলতেন। গল্পগুলো ১৯৩০-৪০ সাল নাগাদ শুরু। তারপর মাঝে অনেকদিন লেখেননি শরদিন্দুবাবু। যখনই লিখেছেন, ফুটে উঠেছে সেই সময়কার সামাজিক-রাজনৈতিক প্রসঙ্গ এবং তার সঙ্গে বদলে যাওয়া মানুষের জীবনধারা, ভাবনাচিন্তা। তাই এটা শুধু ‘হু ডান ইট বা হাউ ডান ইট’ নয়।
পড়তে গিয়ে আমার নিজেরও মনে হয়েছে, ওখানে আন্ডারলাইনড অনেক বিষয় রয়েছে। যত পড়বেন, তত বুঝতে পারবেন। একটা সময়কে তুলে ধরলেই লেখা বা সিনেমা কালজয়ী হয় না। ঠিক ঠিক সময়টা প্রতিফলিত হলেই উত্তীর্ণ হয় সেই মাপকাঠি। ২০২০-তে বসে ১৯৩০কে যখন ফিরে দেখি, তখন ভাবি... সেই সময়টা কী ছিল, আর এখন কী হয়েছে। কিছু জিনিস ইটারনাল, বদলায়নি। বেশিটাই পাল্টে গিয়েছে। বাঙালি চিরকালই বুদ্ধিমত্তাকে প্রাধান্য দিয়েছে। এর সঙ্গে সততা এবং সত্যের প্রতি নিষ্ঠাবান থাকা—এই চরিত্র বাঙালিকে খুবই টানে। তাই আজও একইভাবে অন্তরে থেকে গিয়েছেন ব্যোমকেশ। অসম্ভব ক্ষুরধার বুদ্ধির স্মার্ট বাঙালি, গ্লোবাল চিন্তাভাবনা... তিনি সাহিত্য পড়েন, ক্রাইম নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন, আবার বাড়িতে বউ নিয়ে সংসারও পাতেন। সঙ্গে রয়েছে বন্ধু অজিতের সঙ্গে হৃদ্যতা—সব মিলিয়ে একটা ইউনিক চরিত্র, বাঙালি যাকে আইডিওলাইজ করতে পেরেছে।
এই জন্যেই সত্যান্বেষী ভদ্রলোকটি ভীষণ স্পেশাল। মানুষের কাছে, আমার কাছেও। আমার জন্য যদিও একটা আলাদা সমীকরণ রয়েছে... আমার নিজের জনপ্রিয়তার শুরুও যে এখান থেকেই। নিজেকে ব্যোমকেশ হিসেবে অবশ্য ভিজুয়ালাইজ কোনওদিন করিনি। সেভেন-এইটে প্রথম ব্যোমকেশ পড়া। বাবা গিফট করেছিলেন। কলেজে আবার পড়েছি। অন্যরকম লেগেছে। মজা করে বললে ব্যোমকেশের সঙ্গে আমার লিভ ইন রিলেশন! আমি যখন প্রথম চরিত্রটা করতে এলাম, তখন কিন্তু বহুদিন ব্যোমকেশ হয়নি। মানে এখনকার মতো মুহূর্মুহূ ব্যোমকেশ হচ্ছিল না। তাই সেই অবস্থায় দাঁড়িয়ে দর্শক আমাকে ব্যোমকেশ হিসেবে অ্যাকসেপ্ট করেছিল। সেটাই প্রাপ্তি। সেটাই স্পেশাল। চরিত্রটা করতে গিয়ে আবার গল্পগুলো পড়া, নতুন ভাবে ভাবা, এসব করতে করতে আমিও যেন ব্যোমকেশের সঙ্গে ইভলভড হয়েছি। কারণ, প্রথম ছবির (ক্রস কানেকশন) শ্যুটিং যখন চলছে, তখন আমি চাকরি করি। টেলিভিশনের কাজও চলছে। ক্রস কানেকশন-এর জন্য অঞ্জনদা (দত্ত) দু’টো গান গেয়েছিলেন। সেই ছবির ডাবিংয়ের কাজ চলাকালীনই হঠাৎ ফোন এল অঞ্জনদার। তার আগে থেকেই উনি আমার হিরো। ফোনে স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে বললেন, একটা ছবির কথা ভাবছি। দেখা করতে পারবে? সল্টলেকে ছিল আমার অফিস। সেখান থেকে গেলাম দেখা করতে। অর্ঘ্যদার (অর্ঘ্যকমল মিত্র) বাড়িতে কথাবার্তা হল। অঞ্জনদা বলছেন, ‘তোমার ক’টা ছবি তুলব। কাউকে বলা যাবে না। সুপার সিক্রেট’, ইত্যাদি ইত্যাদি। মোটা চশমা পরানো হচ্ছে। এইসব করতে করতে হঠাৎ মনে হল, কিছুদিন আগেই না কাগজে পড়েছি অঞ্জনদা ব্যোমকেশ করবেন! তখনই কীরকম সব গুলিয়ে যাচ্ছিল। অর্ঘ্যদা ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইটে ছবি তুললেন। অঞ্জনদা তারপর আচমকা বললেন, ‘আমি ব্যোমকেশ করব। তোমার আপত্তি নেই তো?’ আমি তো তখন কিছু বলার অবস্থায় নেই। হ্যাঁ বলে কোনওমতে ওখান থেকে বেরিয়ে ১৫ মিনিট হেঁটে অফিস ফিরলাম। পুরো সময়টা মাথা ক্লিয়ার করার চেষ্টা করছিলাম। ব্যোমকেশ নিয়ে শেষ ছবি বলতে ‘চিড়িয়াখানা’... সত্যজিৎ রায়, উত্তম কুমার...। তারপর আবার হবে! এইসব চিন্তায় একদম ঘেঁটে গিয়েছিলাম। তারপর সবই হল... একে একে। বাস্তবে।
প্রথমে তো বিশ্বাসই হচ্ছিল না। এত বড় একটা ব্যাপার ঘটছে, মানিয়ে নিতে বেশ সময় লেগেছিল। তখনও আমার প্রথম ছবিটা রিলিজ হয়নি। আবার তখন ব্যোমকেশ পড়া শুরু করেছি। অঞ্জনদার বাড়ি যাচ্ছি। আড্ডার পরিবেশ। মোটেই বাঁধাধরা ওয়ার্কশপ নয়। কখনও স্ক্রিপ্ট নিয়ে আলোচনা... আ ড্ডার মধ্যেই। পুরনো ছবি দেখা। ‘চিড়িয়াখানা’ দু’বার দেখতে বলেছিল। ‘ছবি হিসেবে নয়, উত্তমবাবুকে দেখ, কীভাবে ম্যানারিজম থেকে বেরিয়ে এসে দাদাগিরিটা করেছেন।’ এসব বললেও একটা বিষয় পরিষ্কার ছিল... অঞ্জনদা বলেছিল, ‘ফ্রেশ একটা কিছু করতে চাই। কোনও প্রভাব চাই না।’
অন্য একটা রেফারেন্স অবশ্যই ছিল—বাসু চট্টোপাধ্যায়ের ব্যোমকেশ। যা এই চরিত্রকে সর্বভারতীয় স্তরে জনপ্রিয় করেছে। চিড়িয়াখানা নিয়ে যেমন অনেকের অনেক মত আছে। সত্যজিৎ রায়ের নিজেরই মনে হয়েছিল, ওটা অন্যভাবে করা যেত। কিন্তু ব্যোমকেশ হিসেবে রজিত কাপুরের যে সমাদর, সেটা আগে হয়নি। রজিত কাপুরের অভিনয় অবশ্যই দেখা ছিল, কিন্তু খুব স্পষ্ট মনে ছিল না। তবে নিজের দিক থেকে বলতে পারি, ‘আদিম রিপু’ (২০১০-এর ১৩ অগস্ট, ঘটনাচক্রে এই বছরেই ১০-এ পা) সাংঘাতিক বাণিজ্যিক সাফল্য পায়। প্রচুর লোকের সমালোচনাও অবশ্য শুনেছি। তবে ব্যোমকেশের যাত্রাটা সেই শুরু হয়ে যায়। সবাই তারপর ব্যোমকেশ করতে আরম্ভ করল। আমার জার্নির মধ্যেই একটা স্পেশাল শোয়ে রজিত কাপুরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমার পাশে বসেই দেখেছিলেন। ছবি শেষ হলে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আমার কী কী শেখার আছে বলে আপনার মনে হল? উনি বলেছিলেন, ‘আমি কখনওই তোমায় গাইড করব না, পরামর্শও দেব না। তুমি তোমার মতো করে ব্যোমকেশকে ইন্টারপ্রিট করবে।’ পরে মজা করে হাসতে হাসতে বলেছিলেন, ‘স্ক্রিনে তুমি বড্ড বেশি স্মোক করেছ বলে মনে হচ্ছে না তোমার? তবে ছবিটা আমার ভালো লেগেছে। অল দ্য বেস্ট।’ আরও একটা মজার কথা জানিয়েছিলেন রজিতজি। যখন বাসু চট্টোপাধ্যায়ের কাছে উনি প্রথম যান, তখন সেখানে কে কে রায়না বসেছিলেন। তিনি তখন বেশ পরিচিত। রজিত কাপুরের ধারণা হয়েছিল, কে কে-ই ব্যোমকেশ, উনি অজিতের রোলে!
আমার আর একটা অভিজ্ঞতা হল, দুই পরিচালকের (অঞ্জন দত্ত ও অরিন্দম শীল) সঙ্গে ব্যোমকেশ করা। দু’জনের ইন্টারপ্রিটেশন সম্পূর্ণ আলাদা। আমার মনে হয়, অঞ্জনদার ক্ষেত্রে ব্যোমকেশ কথাবহুল, ইন্ডোরটা বেশি প্রেফার করেন উনি। লিবার্টি নিয়ে ছবির সময়টাকে পাল্টে দিতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। ১৯৬০-৬৫-৭০-এর সময়টা ওঁর প্রিয়। অরিন্দমদা মোর সিনেম্যাটিক, লার্জার দ্যান লাইফ। বিটুইন দ্য লাইনস খেলতে অরিন্দমদা খুব পছন্দ করেন। অরিন্দমদার পাশাপাশি স্ক্রিপ্ট রাইটার পদ্মনাভ দাশগুপ্তর সঙ্গে আলোচনা হতো। যে কোনও একটা গল্পে অন্যান্য অনেক গল্পের ঘটনা, রেফারেন্স, কথোপকথন মিশিয়ে দেওয়া হতো। ১৯৪৬ সালের সময় ধরে ‘বহ্নিপতঙ্গ’। ১৯৪৮-এর আবহে ব্যোমকেশ পর্ব। ১৯৫০-৫১ ধরে ব্যোমকেশ গোত্র (রক্তের দাগ)। আমার সবচেয়ে পছন্দের ‘হর হর ব্যোমকেশ’। ওই কালার প্যালেটটা খুব ভালো লাগে। বেনারসে শ্যুট। বেনারস মানেই আবার ‘জয় বাবা ফেলুনাথ।’ ছবির শেষেও দেখা যাবে, ভজন গাইছে... মগনলালের ছোঁয়া। এটা কেউ কেউ ভাবলেন টোকা। আরে ট্রিবিউট বলেও কিছু তো হয়।
হর হর ব্যোমকেশে গল্পটা শুধু কেন খুন হল, সেটা নিয়ে নয়। গল্পের মধ্যে রাজনীতিটাও গুরুত্বপূর্ণ। রাজা কুমারী মেয়েকে বিয়ে করেছে, কারণ তার সন্তান চাই। মেয়েটিকে তুলে এনেছে গ্রাম থেকে। এখানে এসে সে সকলের সঙ্গে গল্প করছে, ঘোড়ায় চড়ছে, খুব আধুনিক। কিন্তু আদতে ভেতরে খুব ফিউডাল। পাশাপাশি ব্যোমকেশ-সত্যবতী আছে, সবে বিয়ে হয়েছে। দু’জন দুজনকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছে, স্বামী-স্ত্রীর থেকেও প্রেমিকা-প্রেমিকার মতো। সব জায়গায় একসঙ্গে যাচ্ছে। ব্যোমকেশ বলছে, আমার সহধর্মিনী। বাংলায় সে সময় মহিলারা অনেক এগিয়ে ছিলেন। শিক্ষাদীক্ষায় বা স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁদের পুরোভাগে দেখা যেত। সেটাকে তুলে আনার চেষ্টা। ব্যোমকেশ গোত্রেও খুব সরাসরি নয়, অথচ বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ নিয়ে কথা রয়েছে। ২০২০-তে এসেও যা প্রাসঙ্গিক। সঙ্গে আছে উদ্বাস্তু সমস্যা। এগুলো এক্সপ্লোর করতে অরিন্দমদা ভালোবাসে।
শরদিন্দুবাবুর ব্যোমকেশে প্রত্যেকটা ক্যারেক্টারই কিন্তু বেশ স্ট্রং। তা সে সত্যবতী হোক, বা অজিত। আমার প্রথম ব্যোমকেশের সময় অপুদা (শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়) ছিলেন অজিতের রোলে। অনেক বড় অভিনেতা। কিন্তু একেবারেই সেটা আমাকে বুঝতে দেননি। বরং অনেক সাহায্য করেছেন... গার্ড করে, গাইড করে। অনেকে প্রথমে বলেছিলেন, অজিত তো স্মার্টার দ্যান ব্যোমকেশ। আসলে ও-ই ব্যোমকেশটা করতে পারত। এসব বলে নতুন ছেলেদের দমিয়ে দেওয়া হয়... এগুলো পুরনো স্ট্র্যাটেজি। তখন অত বুঝিনি। সেটে ওই ভাইবস ছিল না কখনও। পরে ভেবেছি, যদি তাই হতো, তাহলে এই ব্যোমকেশ এত পপুলার হতো কি? অপুদার সঙ্গে কাজ খুব ভালো লেগেছে। পরে অরিন্দমদার নির্দেশনায় ঋত্বিক (চক্রবর্তী) অজিত, আর সোহিনী (সরকার) সত্যবতী। ঋত্বিক আমার চেয়ে একটু বড়। কিন্তু বড় হয়ে ওঠা অনেকটা একরকম। আমরা ভালো বন্ধু। সেই ইকুয়েশনটাই তুলে আনার চেষ্টা করেছি স্ক্রিনে। আমাদের বলা হতো ছুপা রুস্তম। এত বদমায়েশি করতাম সেটে। হাড়ে হাড়ে টের পেত অরিন্দমদা। সোহিনী সিরিয়াস কাজ করে। প্রথমদিকে খুব কনভিন্সড ছিল না। পরে ঠিক ধরে নিয়েছে।
আমার বড় প্রাপ্তি কোথায় জানেন, ভক্তরা অনেকেই আমাকে সত্যান্বেষী বা ব্যোমকেশ বলে ডাকেন। ১১ বছরের কেরিয়ারে ছ’টা ব্যোমকেশ। নট এ ম্যাটার অব জোক। গত চার-পাঁচ বছরে আরও বুঝেছি। কলকাতার বাইরে বা ভারতের বাইরে গিয়েও দেখেছি ব্যোমকেশের আলাদা মাহাত্ম্য। অনেক অবাঙালি দর্শকই আমায় চেনেন ব্যোমকেশ হিসেবে। তাই বুঝেছি, আমার দায়িত্ব কতটা বেড়ে গিয়েছে। ব্যোমকেশের প্রতি। শরদিন্দুবাবুর প্রতি। তাই সেই ভাবনা মাথায় রেখেই এগতে চাই। সব সময়।
 
02nd  August, 2020
আমরি বাংলা ভাষা
অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়

রোজকার মতো প্রাতঃভ্রমণ সেরে চায়ের দোকানে এসে বসলেন চণ্ডীবাবু। কাগজের দিকে হাত বাড়াতে যাচ্ছিলেন। আর মধ্যেই আমাকে দেখে বলে উঠলেন—
গুড মর্নিং স্যর, হ্যাপি বেঙ্গলি নিউ ইয়ার। বিশদ

14th  April, 2024
রহস্যময় গম্ভীরা

পুরীর গম্ভীরায় জীবনের শেষ আঠারোটা বছর কাটিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব। অন্তর্ধানের আগে মহাপ্রভু অন্তিমবারের মতো বের হয়েছিলেন সেখান থেকেই। সেই গম্ভীরা ঘুরে ইতিহাস-রহস্যের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার। বিশদ

07th  April, 2024
জিপিও ২৫০

বুধবারের দুপুরবেলা। দোল-হোলি পর্বের টানা ছুটি কাটিয়ে এবার ছন্দে ফেরার পালা। কিন্তু একটু বড় ছুটি পেলেই মানুষের মতো শহরটাকেও জড়িয়ে ধরে আলস্য। অফিস-কাছারি খুলতেই আড়মোড়া ভাঙছে শহর। রাস্তাঘাটে অবশ্য তেমন ভিড় নেই। বিশদ

31st  March, 2024
অন্ধকূপেই ডাকঘরের জন্ম

শহরের বুক থেকে ইংরেজদের পুরনো কেল্লার সীমানা মুছে গিয়েছে কবেই। ফিকে হয়ে এসেছে নবাব সিরাজদ্দৌলার কলকাতা আক্রমণ, প্রথম যুদ্ধজয় এবং অন্ধকূপ হত্যার স্মৃতি। এমনটাই যে হবে, আগেই অনুমান করতে পেরেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ইংরেজরা।
বিশদ

31st  March, 2024
নানা রঙের দোল

বারসানায় এখন পা-টুকু নিশ্চিন্তে রাখার জো নেই! দেহাতি, দক্ষিণ ভারতীয়, বাঙালি, বিদেশি কে নেই সেই বিখ্যাত ভিড়ে। প্রায় সবার মাথায় রংবেরঙের পাগড়ি। কারও হাতে আবির, তো কারও ক্যামেরা। একসপ্তাহ ধরে চলছে রঙখেলা। হোলি... লাঠমার।
বিশদ

24th  March, 2024
 ‘যত মত তত পথ’
পূর্বা সেনগুপ্ত

দক্ষিণেশ্বরের দেবালয়। বিরাট বারান্দার এক কোণের ঘরে বসে ভক্তসঙ্গে ধর্মপ্রসঙ্গ করছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। দেবালয়ের পাঁচ টাকা মাইনের পুরোহিত হলে কি হবে...মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাণী রাসমণি থেকে তাঁর জামাই মথুরবাবু, সকলেই তাঁকে সমীহ করে চলেন। বিশদ

17th  March, 2024
ওপেনহাইমার ও যুদ্ধবাণিজ্য

কয়েক ঘণ্টার মাত্র অপেক্ষা। লস এঞ্জেলসের আলো ঝলমলে ডলবি থিয়েটারে শুরু হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্মি শোবিজ—অস্কার। এবারের অস্কার হুজুগে সারা পৃথিবীর সংবাদ শিরোনামে ‘ওপেনহাইমার’। ক্রিস্টোফার নোলানের এই সিনেমার সঙ্গেই অতীতকে ফিরে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ।
বিশদ

10th  March, 2024
এলিট ইতিহাস
কলহার মুখোপাধ্যায়

সে নিজেই একটা ইতিহাস! তবু বেলা না যেতে খেলা তব গেল ঘুচে। তখন নাইট ক্লাব, হুক্কা বার, হ্যাং আউট, শপিং মলের কথা শোনালে মানুষ ভাবতো তামাশা করছে।
বিশদ

03rd  March, 2024
স্বেচ্ছামৃত্যু
 

গ্রিক ভাষায় ‘ইউ’ মানে ভালো আর ‘থ্যানেটোজ’ মানে মৃত্যু। দুইয়ে মিলে ইউথ্যানেশিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যু। গত বছর ভারতে আইনসিদ্ধ হয় প্যাসিভ ইউথ্যানেশিয়া। আইনত বৈধ হলেও, সেই পদক্ষেপকে ঘিরে দানা বাঁধছে সংশয়। স্বেচ্ছামৃত্যুর ইতিবৃত্ত খতিয়ে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ
বিশদ

25th  February, 2024
আ’মরি বাংলা ভাষা

আসছে আরও একটা একুশে ফেব্রুয়ারি। হোয়াটসঅ্যাপ যুগে ক্রমে গুরুত্ব হারাচ্ছে দিনটি। তবুও বাংলা ভাষা বেঁচে আছে। থাকবেও। অসম ও বাংলাদেশ ঘুরে এসে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস। বিশদ

18th  February, 2024
সরস্বত্যৈ নমো নমঃ
কৌশিক মজুমদার

আমাদের নয়ের দশকের মফস্বলে উত্তেজনার খোরাক বলতে খুব বেশি কিছু ছিল না। বিশেষ করে আমরা যারা সেকালে ছাত্র ছিলাম, তাদের জন্য। মাস্টারমশাই আর অভিভাবকদের গণ ছাতাপেটাইয়ের ফাঁকে বুধবার সন্ধ্যায় টিভিতে চিত্রহার আর রবিবার সকালের রঙ্গোলিতে কিছু বস্তাপচা গান বাদে গোটা হপ্তাটাই কৃষিকথার আসর আর ‘খবর পড়ছি দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়’-এর মতো নেহাত নিরেস ছিল। বিশদ

11th  February, 2024
কুল খেতে মানা
সন্দীপন বিশ্বাস

স্কুল থেকে ফেরার পথে বিন্তির চোখে পড়ল, বাজারে বিক্রি হচ্ছে বড় বড় কুল। পাশে রয়েছে আপেল কুল, টোপা কুল। তাই দেখে তার জিভে জল এসে গেল। মনে হল, কেটে নুন দিয়ে মেখে খেলে বিকেলটা জমে যাবে। মায়ের কাছে সে আবদার করল, ‘আমায় একটু কুল কিনে দাও না মা!’  বিশদ

11th  February, 2024
নেতাজির বিমা কোম্পানি
সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত

১৯৪১ সাল। শীতের সন্ধ্যা। ঢাকা শহরের নবাবপুর অঞ্চলে এক ব্যক্তি ঘুরছেন। রাত্রি নামার আগে তাঁকে গন্তব্য পৌঁছতেই হবে। কিন্তু রাস্তায় কারও কাছে ঠিকানা জানার হুকুম নেই। চারদিকে পুলিসের জাল বিছানো। নবাবপুর রোডের কাছে রায় কোম্পানির বিখ্যাত বিলাতি মদের দোকানের সামনে এসে চোখ পড়ল একটি বাড়ির দরজায়। বিশদ

04th  February, 2024
আইএনএ’র বিপ্লবী ডাক্তার
বিশ্বজিৎ মাইতি

‘অস্থায়ী হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন শয়ে শয়ে মরণাপন্ন রোগী। চিকিৎসক ও নার্সদের দাঁড়ানোর ফুরসত নেই। আচমকাই সাইরেন বেজে উঠল। মুহূর্তের মধ্যে দৈত্যের মতো আওয়াজ তুলে হাজির যুদ্ধবিমান। প্রাণের ভয়ে পাশের পরিখায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন অনেকে। বিশদ

04th  February, 2024
একনজরে
নির্বাচনী কাজে চরম ব্যস্ততা রয়েছে পুলিসের। এছাড়া ভোট আবহে নিত্যদিন বিভিন্ন সভা থেকে মিছিলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা সহ নাকা চেকিংয়ে চরম ব্যস্ত পুলিস-প্রশাসন ...

এরাজ্যে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে প্রথম কারখানা খুলবে মাদার ডেয়ারি। তা থেকে সরাসরি কর্মসংস্থান হতে পারে প্রায় ৪০০। কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের ...

১৩ দিনে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে চারটি জনসভা ও  একটি রোড শো করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে সভা করে গিয়েছেন দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক ...

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুর লোকসভায় জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সাত বিধানসভার মধ্যে একমাত্র শ্রীরামপুরেই লিড পাননি ঘাসফুলের দাপুটে প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই কেন্দ্রে পুরনো ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস
১৮০৯: ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর জন্ম
১৮৫৩: এশিয়ায় প্রথম ট্রেন চালু হয়
১৮৮৮: সাহিত্যিক হেমেন্দ্রকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৬: অভিনেত্রী ললিতা পাওয়ারের জন্ম
১৯৩০: ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ নিয়ে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল করে
১৯৫৫ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মৃত্যু
১৯৫৮ - ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ম্যালকম মার্শালের জন্ম
১৯৬২: অভিনেত্রী পুনম ধিলনের জন্ম
১৯৬৩: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ফিল সিমন্সের জন্ম
১৯৭১: কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন
১৯৮০: জিম্বাবুইয়ে স্বাধীনতা লাভ করে
১৯৮১: সুরকার, গীতিকার ও লোকগীতি শিল্পী তথা বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৮৬:  স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা, লোকসভার প্রাক্তন সদস্য অতুল্য ঘোষের মৃত্যু
১৯৯২: ক্রিকেটার কেএল রাহুলের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৮ টাকা ৮৯.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  April, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী ৩০/৩৫ অপরাহ্ন ৫/৩২। অশ্লেষা নক্ষত্র ৬/৩৮ দিবা ৭/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৭/৪৩। সূর্যাস্ত ৫/৫৪/১৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৪ গতে ৩/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১/০ মধ্যে। 
৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী রাত্রি ৭/৫। অশ্লেষা নক্ষত্র দিবা ৯/৫২। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৬ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৭ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: পাঞ্জাবকে ৯ রানে হারাল মুম্বই

11:50:54 PM

আইপিএল: ২১ রানে আউট হরপ্রীত ব্রার, পাঞ্জাব ১৮১/৯ (১৯ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:46:48 PM

আইপিএল: ৬১ রানে আউট আশুতোষ শর্মা, পাঞ্জাব ১৬৮/৮ (১৭.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:36:00 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি আশুতোষ শর্মার, পাঞ্জাব ১৫১/৭ (১৫.৩ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:22:48 PM

আইপিএল: ৪১ রানে আউট শশাঙ্ক সিং, পাঞ্জাব ১১১/৭ (১২.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:02:15 PM

আইপিএল: ৯ রানে আউট জীতেশ শর্মা, পাঞ্জাব ৭৭/৬ (৯.২ ওভার) টার্গেট ১৯৩

10:48:50 PM