স্বামীজি যখন প্রথম দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণের কাছে এলেন, তার অনেক আগে থেকেই তিনি ইউরোপীয় দর্শনশাস্ত্র ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করেছেন। উদ্দেশ্য— তিনি খুঁজছেন, এই পৃথিবী ও পৃথিবীর মানুষ এবং জীব জগৎ এল কোথা থেকে। এই জগতের স্রষ্টা কে! আরও কৌতূহল— সাধারণ মানুষ যে ভগবানের কথা বলে, সেই ভগবান কে? তাঁর দর্শন কি পাওয়া যায়!
এবার মন্দিরের ধ্যানঘরে মাসির বাড়ি তৈরি করে জগন্নাথদেবকে নিয়ে যাওয়া হবে। লিখেছেন গুঞ্জন ঘোষ।
বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
করোনাকে দ্রুত জব্দ করার লক্ষ্যে গোটা বিশ্বে সম্পূর্ণ নতুন একটি ভাবনা (কনসেপ্ট) নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। সেটি হল, চিম (CHIM)। কন্ট্রোল হিউম্যান ইনফেকশন মডেল। এর উদ্দেশ্য হল, ভ্যাকসিন কাজ করছে কি না, তার ফল দ্রুত জেনে নেওয়া। তাই এটিও হিউম্যান ট্রায়াল, তবে সাধারণ ফেজ ওয়ান, টু, থ্রির মতো নয়। এক্ষেত্রে যাঁরা সুস্থ স্বেচ্ছাসেবক, মানব সভ্যতার কল্যাণে অঙ্গদানের মতো নিজেদের শরীরে সম্পূর্ণ নতুন ভ্যাকসিন প্রয়োগে মত দেবেন, তাঁদের শরীরে টিকা প্রয়োগ করা হল। এবার কবে ভাইরাস সংক্রমণ করবে, বা আদৌ করছে কি না, তার জন্য অপেক্ষা না করে জীবন্ত ভাইরাস কাছাকাছি নিয়ে আসা। ধরে নেওয়া যাক, সার্স কোভ-টু ভাইরাস তাঁর নাকের কাছে স্প্রে করা হল, অথবা তাঁর শরীরে কোনও মাধ্যমে প্রবেশ করানো হল। এবার পর্যবেক্ষণ, ওই ব্যক্তি সংক্রামিত হচ্ছেন কি না। এতে সময় অনেক কম লাগবে। কারণ, ভ্যাকসিন এবং ভাইরাস দুইই দেওয়া হচ্ছে তাঁর শরীরে। করোনা মহামারীর প্রকোপ ঠেকাতে দ্রুত ভ্যাকসিনের ফল জানতে এই চিমে’র ভাবনাচিন্তা চলছে। যদিও সেখানে এথিক্সের প্রশ্ন উঠছে। এভাবে কাউকে নিয়ে পরীক্ষায় মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে না তো? তাই চিম আপাতত ভাবনা স্তরেই রয়েছে। চলছে সাধারণ হিউম্যান ট্রায়াল। এখন দেখার, কবে কাজ করে নতুন ভ্যাকসিন। জব্দ হয় করোনা। তবে যতদিন না হচ্ছে, ততদিন জনগোষ্ঠী আর রাষ্ট্র, উভয়ের সহযোগিতা, সচেতনতা আর বোঝাপড়াই রুখতে পারে করোনা। অন্য কিছু নয়।
