Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

করোনা ভ্যাকসিনের পথে
আগামী বছরের আগে নয়

ডঃ শেখর চক্রবর্তী : এক ভয়াবহ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা...। বিশ্বব্যাপী মহামারী। যা আগাম ঠেকানোর কোনও পথ আমাদের হাতে নেই। আর তাই চেষ্টা চলছে। বিশ্বজুড়ে। থেমে নেই কোনও দেশ। আমরাও না। কিন্তু দিনক্ষণ নির্দিষ্ট করে ভ্যাকসিন তৈরি? অসম্ভব। একেবারেই ভিত্তিহীন এবং বাজে কথা। যাঁরা বলছেন, জানি না কোন পাঠশালায় তাঁরা পড়াশোনা করেছেন! ভ্যাকসিন বের করতে সময় লাগে। যে কোনও ভ্যাকসিনের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের গবেষণার পরও সেটি কতটা কার্যকর, কতটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত, সমীক্ষা চলতেই থাকে। বাজারে আসার পরও চলতে থাকে ট্রায়াল। দিন গুনে ভ্যাকসিন বের করা যায় নাকি? এ কি ফাজলামো?
বছর কয়েক আগে নাইসেডে থাকাকালীন আমাদের নামকরা চিকিৎসাবিজ্ঞানী ডাঃ সুজিত ভট্টাচার্য, ডাঃ দীপিকা শূর, ডাঃ সুমন কানুনগো-রা মিলে কত অপরিসীম পরিশ্রমে, প্রায় লক্ষাধিক জনসংখ্যায় প্রয়োগের পর কলেরা ভ্যাকসিন এনেছিলেন। তারও কয়েক বছর বাদে শান্তা বায়োটেক সেটিকে বাজারে আনল। বাণিজ্যিকভাবে। বাংলা তথা সারা দেশে ভ্যাকসিন নিয়ে অন্যতম উল্লেখযোগ্য কাজ ছিল সেটি। ডাঃ ভানের রোটা ভাইরাস ভ্যাকসিনের কথাও মনে পড়ছে। এসব কি এক-দু’মাসে হয়? করোনার ক্ষেত্রেও বিষয়টা আলাদা হবে না। এমন একটা গুরত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে হুড়োহুড়িটা মোটেই কাজের কথা নয়। এই গবেষণায় সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে অক্সফোর্ড। গুছিয়ে সমীক্ষা করছেন ওঁরা। অথচ একবারও বলছেন না, কালই ভ্যাকসিন বের করে দেব! এত অল্প সময়ে তিনটি পর্যায়ের ট্রায়ালের ফলাফল বিচার করে সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়। তৃতীয় পর্বের ট্রায়ালে প্রচুর মানুষের মধ্যে পরীক্ষা করতে হয়। কয়েক কোটি দেশবাসীকে যা দেওয়া হবে, তা নিয়ে এইসব অবৈজ্ঞানিক কথাবার্তা ও প্রচার অবিলম্বে বন্ধ হওয়ার দরকার। আমার ব্যক্তিগত মত হল, ২০২১-এর আগে করোনা ভ্যাকসিন বাজারে আসা কঠিন।
অনেকে বলছেন, আমাদের গবেষকরা তো প্রাণীদের মধ্যে বা ‘অ্যানিম্যাল মডেল’-এ পরীক্ষাপর্ব শেষ করে তারপরই মানুষের শরীরে ট্রায়াল করছেন। কাজ অনেকটা এগিয়েছে। তাহলে? জেনে রাখা উচিত, প্রাণীদের মধ্যে গবেষণা সেই অর্থে কোনও ট্রায়ালই নয়। সেখানে মূলত দু’টি বিষয় দেখা হয়। একটি ‘টক্সিকোলজি স্টাডি’—কতগুলি সূচক রয়েছে, সেগুলি দেখা। দ্বিতীয় বিষয় হল, শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হল কি না, তা নিশ্চিত করা। এছাড়া কিছু বোঝা যায় না। মানুষের উপর প্রয়োগই ভ্যাকসিন গবেষণার প্রধান অধ্যায়। সেক্ষেত্রেও এডওয়ার্ড জেনারের ভাইরাস গবেষণার দিন এখন আর নেই। কমপক্ষে দু’-তিন হাজার মানুষের উপর পরীক্ষা করতেই হবে। মানুষ সেই ভাইরাসে সংক্রামিত হবেন। কতটা প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠল, সেসব দেখতে হবে। কড়া সরকারি নিয়মকানুন মেনে স্বেচ্ছাসেবকদের যতটা সম্ভব সুরক্ষিত রাখতে হবে। এতকিছু অল্প সময়ে করা সম্ভব? সত্যি বলতে কী, আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে এরকম অদ্ভুতভাবে আগাম দিন ঘোষণা করে ভ্যাকসিন বের করার কথা বিজ্ঞানীরা স্বপ্নেও ভাবেননি। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা পরজীবী, যে কোনও জীবাণুর প্রাদুর্ভাবের পর তার টিকা বের হতে অনেক সময় লেগেছে। সবচেয়ে তাড়াতাড়ি এসেছিল হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন। তাও বেরিয়েছিল ১৪ বছর বাদে! কলেরা ভ্যাকসিন আসে রোগের দাপাদাপির ১০০ বছর বাদে। আর এঁরা নাকি বলছিলেন, এক মাস এক সপ্তাহে হিউম্যান ট্রায়াল শেষ করে করোনা ভ্যাকসিন এনে দেশকে কোভিড থেকে স্বাধীনতা দেবেন! যত্ত সব!
আসলে ভাইরাসবিদ্যাই সারা দেশে অত্যন্ত অবহেলার বিষয়। তাই এই ধরনের অশিক্ষিত কথাবার্তা শুনে আমরা উৎসাহিত হয়ে পড়ি। আশার ছলনায় ভুলি। আশপাশে দেখছি, এমন অনেকেই ভাইরোলজি নিয়ে কথা বলছেন, যাঁদের কয়েজনের এ বিষয়ে একটিও আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্র আছে কি না সন্দেহ।
সারা দেশে এখন লক্ষ লক্ষ করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। তার গুণগত মান কেউ পরখ করেছেন কি? পরীক্ষার রিপোর্টগুলি ঠিক না ভুল, সেই কোয়ালিটি কন্ট্রোলে জোর না দিলে মহামারীও নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়বে। আপাতভাবে কারও মনে হবে, তিনি সুস্থ। বাস্তবে হয়তো তিনি আক্রান্ত। আবার রিপোর্ট দেখে যাঁকে আক্রান্ত বলে মনে হচ্ছে, দেখা যাবে তিনি সুস্থ। আরটিপিসিআর-এর মাধ্যমে করোনা পরীক্ষায় এই কোয়ালিটি কন্ট্রোল অত্যন্ত জরুরি বিষয়।
তবে হ্যাঁ, যত্ন করে তৈরি করতে পারলে ভ্যাকসিন অবশ্যই করোনার দিশা হতে পারে। ‘হার্ড ইমিউনিটি’ নিয়েও প্রচুর কথা চলছে। বিষয়টি বাস্তবোচিত কি না, সন্দেহ আছে! আর ৭০ শতাংশ জনসংখ্যাকে সংক্রামিত করার পর সেই প্রতিরোধ ক্ষমতা এলে পরিণতি কতটা ভয়ঙ্কর হবে, ভাবতেই শিউরে উঠছি। বিদেশে ইমিউনোথেরাপি, অ্যান্টিবডি থেরাপি নিয়ে কাজ হচ্ছে। কিছু কিছু সাফল্যও আসছে। কোনওটাতেই কিছু না হলে ভাইরাসঘটিত মহামারীর স্বাভাবিক নিয়মেই এই সংক্রমণের রেখচিত্র নীচের দিকে নামবে বলে মনে হয়। স্প্যানিশ ফ্লু যখন হয়, কোথায় ছিল এত আধুনিক চিকিৎসা? আধুনিকই বা বলি কী করে! ১০০ বছর পর, জ্ঞানবিজ্ঞানের এত শিখরে উঠেও করোনা মোকাবিলায় বিরাট কী করতে পারলাম আমরা?
তবে এইটুকু স্বস্তিকর, কোনও ভাইরাস অত্যন্ত বিপজ্জনক হলে তার আয়ুষ্কাল সাধারণত বেশি হয় না। নিজেরা মারা যায়। যেমন সার্স, মার্স-এর মতো প্রচুর মারণক্ষমতার ভাইরাস বেশিদিন টেকেনি। অন্যদিকে করোনার মতো যেসব ভাইরাসের মারণক্ষমতা কম, কম ভিরুলেন্ট, তারা সবসময় প্রকৃতিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এখনকার ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস এইচ৩এন২, সে তো রয়েই গিয়েছে আমাদের সঙ্গে। কই, তাতে কি কাতারে কাতারে মানুষ মারা যাচ্ছেন ইনফ্লুয়েঞ্জায়? আসলে এটাই প্রকৃতির নিয়ম।
করোনা বায়ুবাহিত বলেও নানা বিতর্ক হচ্ছে। দুশোর বেশি বিজ্ঞানী নাকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে বলেছেন, নোভেল করোনা ‘এয়ারবোর্ন’ ভাইরাস। আমি মানতে নারাজ। যদি বায়ুবাহিতই হতো, পৃথিবীর আরও কোটি কোটি মানুষ এতে সংক্রামিত হতেন। মুম্বইয়ের ধারাভির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যেত না। আফ্রিকা শেষ হয়ে যেত। বাতাসবাহিত ভাইরাসের অন্য দেশে যেতে তো আর ভিসা পাসপোর্ট লাগে না! হু’র প্রধান বিজ্ঞানী আমারই বন্ধু ডাঃ সৌম্যা স্বামীনাথনও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইট ইজ এ স্মলার ড্রপলেট’। করোনা ড্রপলেট সংক্রমণ। বাতাসবাহিত সংক্রমণ নয়।
আর একটু খোলসা করি। ভাইরাস একটি জীবন্ত পোষক বা হোস্ট ছাড়া বাঁচতে পারে না। হয় ব্যাকটেরিয়া, না হয় মানুষ, নয়তো জীবজন্তু—যে কোনও একটি পোষকের কোষের মধ্যে সে থাকবে, বাড়বে। এমনি এমনি ঘুরে বেড়াতে পারে না। আমাদের হাঁচি, কাশির ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা বা ড্রপলেটও এমনই একটি কোষ। তার মধ্যে ভাইরাস থাকে। আর ড্রপলেট বেরলে সামনেই পড়ে যায় না। একটু দূরে গিয়ে পড়ে। তাই আপাতদৃষ্টিতে আচরণ দেখে বায়ুবাহিত মনে হচ্ছে।
কোভিড সংক্রমণের ‘পিক’ নিয়েও নানা কথা হচ্ছে। কেউ বলছেন, সবচেয়ে বেশি রোগ সংক্রমণের ‘পিক’ নাকি এই জুলাইতেই হবে। কেউ বলছেন, ‘পিক’ আসতে এখনও দেরি। সত্যি বলতে, ১০ লক্ষ ভাইরাস আছে। কেউ জানে না, কখন কাকে আক্রমণ করবে।
একটাই সমাধান। মাস্ক পড়ুন। এর চেয়ে বড় সতর্কতা দ্বিতীয় নেই। ধারাভির মতো বস্তি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। ঠিকঠিক নিয়ম মেনেছেন চলেছেন ওঁরা। সংক্রমণের গ্রাফও নেমেছে চড়চড় করে। ওখানকার বস্তিবাসীদের মধ্যে যে সচেতনতা তৈরি হয়েছে, আমার- আপনার মতো শিক্ষিত মানুষদের মধ্যে তা হয়েছে কি?
অনেক বলছেন করোনা ম্যান মেড ভাইরাস। অনেকে বলছেন বাদুড়, পেঙ্গুইন থেকে এসেছে। এছাড়াও জুনোটিক সংক্রমণের ক্ষেত্রে আর একটি জন্তুর কথা না বললেই নয়। সেটি হল শূকর। আমরা ভাইরোলজিতে একে বলি ‘মিক্সিং ভেসেল’। নভেল এইচ১এন১-এর ক্ষেত্রেও শূকরই ছিল ‘মিক্সিং ভেসেল’। শূকরের মধ্যেই তিনটে ভাইরাস থেকে একটি নতুন ভাইরাস বেরিয়ে এসেছিল। ওদের কিছু হয়নি। সেই ভাইরাস মানুষকে সংক্রামিত করে গিয়েছে। কত রহস্য যে আছে ভাইরোলজিতে! মানুষ সেই বিজ্ঞান জানুক। আগ্রহ বাড়ুক। আর অবৈজ্ঞানিক কথাবার্তা যত কম হয়, ততই ভাইরোলজির মঙ্গল। মঙ্গল দেশের, সমাজের।
............
লেখক: প্রাক্তন ডিরেক্টর ইন চার্জ, নাইসেড, আইসিএমআর। প্রায় দু’দশকের বেশি সময় এইচআইভি, কলেরা, পক্স, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া সহ অজস্র ভাইরাস গবেষণায় যুক্ত প্রাক্তন চিকিৎসাবিজ্ঞানী 
19th  July, 2020
ফিরে দেখা ব্যোমকেশ 

আবীর চট্টোপাধ্যায়: সত্যের প্রতি নিষ্ঠা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা। এই দু’টোর কম্বিনেশনের নাম সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ বক্সী। এমন কোনও মানুষ সামনে থাকলে ভালো লাগে। নাই বা হলেন তিনি রক্তমাংসের কেউ। তাঁকে দেখে, তাঁকে ‘পড়ে’ মনে হয়, যদি এমনটা হতে পারতাম... যদি এভাবে কেউ গাইড করত! এই আশ্রয়টাই হয়ে উঠেছে ব্যোমকেশ। 
বিশদ

02nd  August, 2020
হাতে খড়ি ধুতি পরায় 

দূরদর্শনে বাসু চট্টোপাধ্যায়ের সেই সিরিয়ালে যেন বইয়ের পাতা থেকে উঠে এসেছিলেন ব্যোমকেশ। সেই বাঙালিয়ানা, সেই সংসারী অথচ ক্ষুরধার মস্তিষ্কের ছিপছিপে চেহারার চিরকালীন চরিত্র। ‘ব্যোমকেশ’ রজিত কাপুর এখনও দর্শকের চোখে অমলিন। আলাপচারিতায় অন্বেষা দত্ত।
বিশদ

02nd  August, 2020
স্যার এডমুন্ড হিলারি
চন্দ্রনাথ দাস

বেঁচে থাকলে তাঁর বয়স হতো ১০১ বছর। তেনজিং নোরগের সঙ্গে প্রথমবার পা রেখেছিলেন পৃথিবীর শীর্ষে। মাউন্ট এভারেস্ট জয়ের জন্য স্যার এডমুন্ড হিলারিকে মনে রেখেছে এই দুনিয়া। কিন্তু শুধু এক্সপ্লোরার নন, তিনি ছিলেন মাটির খুব কাছাকাছি থাকা এক মানুষ। এভারেস্ট অঞ্চলের প্রতিটা গ্রাম, জনপদের মনে তিনি থেকে গিয়েছেন তাঁদের শিক্ষার, উন্নতির সোপান হিসেবে। শতবর্ষ পার করে ফিরে দেখা সেই ব্যক্তিত্বকে।
বিশদ

26th  July, 2020
করোনা ভ্যাকসিনের পথে
সাফল্যের অপেক্ষায়
ডঃ সমীরণ পান্ডা

ল্যাটিন শব্দ ভ্যাক্কা (vacca) মানে গোরু। আর আঠেরোশো শতাব্দীতে মানুষকে স্মল পক্স বা বসন্ত রোগের থাবা থেকে বাঁচানোর জন্য গোরুর বসন্ত রোগের গুটি থেকে যে প্রতিষেধক ইঞ্জেকশন বানানো হয়েছিল, সেই প্রয়াসের মধ্যেই জন্ম হয় ‘ভ্যাকসিন’ শব্দটির। 
বিশদ

19th  July, 2020
চিম 

করোনাকে দ্রুত জব্দ করার লক্ষ্যে গোটা বিশ্বে সম্পূর্ণ নতুন একটি ভাবনা (কনসেপ্ট) নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। সেটি হল, চিম (CHIM)। কন্ট্রোল হিউম্যান ইনফেকশন মডেল। এর উদ্দেশ্য হল, ভ্যাকসিন কাজ করছে কি না, তার ফল দ্রুত জেনে নেওয়া।
বিশদ

19th  July, 2020
মন্বন্তর ২৫০
সমৃদ্ধ দত্ত

পেটে ভাত নেই... কিন্তু রাজস্ব যে দিতেই হবে! কোম্পানির কোষাগার ভরতে না পারলে গাছে ঝুলিয়ে ফাঁসি। একদিকে দুর্ভিক্ষে, কলেরায় উজাড় হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। তখনই ফুলেফেঁপে উঠেছে বণিকের ঝুলি। তাদের মানদণ্ডের আঘাতে বাংলার নিয়তি ছিল একটাই... মৃত্যু। ফিরে দেখা ২৫০ বছর আগের সেই অভিশপ্ত মন্বন্তরকে।
বিশদ

12th  July, 2020
খড়্গপুর প্ল্যাটফর্মে আর নেই সুশান্ত... 

সোহম কর: সুশান্ত সিং রাজপুতকে তখনও মানব নামেই বেশি চেনে খড়্গপুর... সৌজন্যে ‘পবিত্র রিস্তা’। সেই মানব টিকিট কালেক্টরের পোশাকে খড়্গপুর স্টেশনে। সবাই তো অবাক! তারপর বোঝা গেল, মহেন্দ্র সিং ধোনির বায়োপিকের শ্যুটিংয়ে এই মফস্সল শহরে এসেছেন সুশান্ত। 
বিশদ

05th  July, 2020
ভালো থেকো সুশ 

কৃতী শ্যানন: সুশ, জানতাম মেধাবী মন ছিল তোমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু, আর সবচেয়ে বড় শত্রুও... কিন্তু একটাই কথা ভেবে আমার ভেতরটা চুরমার হয়ে যাচ্ছে... এমন একটা মুহূর্ত তোমার জীবনে কীভাবে এল যে, বেঁচে থাকার বদলে মৃত্যুটাই সহজ বলে মনে হল! বারবার মনে হচ্ছে ‘ওই মুহূর্তে’ যদি তোমার পাশে কয়েকজন ভালো মানুষ থাকত... যদি তুমি তোমার ভালোবাসার লোকগুলোকে দূরে না সরিয়ে দিতে...  
বিশদ

05th  July, 2020
তোমাকে মিস করব 

শ্রদ্ধা কাপুর: যা ঘটেছে মেনে নিতে পারছি না। এক গভীর শূন্যতা... সুশান্ত! প্রিয় সুশ...! নম্রতা, বুদ্ধিমত্তা... জীবন সম্পর্কে অদম্য কৌতূহল। সবখানে খুঁজে নিত সুন্দরকে। সেটে ওর সঙ্গে দেখা হওয়ার অপেক্ষায় থাকতাম, ভাবতাম আজ না জানি নতুন কী চমক আছে!
বিশদ

05th  July, 2020
অচেনা তারা 

অন্বেষা দত্ত: আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। কখনও আলাপ হওয়ার সুযোগ হয়নি। সেই আক্ষেপটা আজীবন রয়েই যাবে। তবে সে কথা এখন থাক। আপনি এখন এ পৃথিবীর কেউ নন। কোনওদিন ছিলেন কি?  
বিশদ

05th  July, 2020
স্বামীজির শেষদিন
শংকর

স্বামীজি বলতেন, ‘শরীরটা কিছু নয়, কিন্তু এই শরীরের দ্বারাই তাঁকে লাভ করতে হবে।’ কর্মই ছিল তাঁর ঈশ্বরলাভের পথ। আর কর্মকাণ্ডের বারিধারায় মহাবিশ্বকে সজল করে আচমকা সেই শরীরই ত্যাগ করেছিলেন তিনি। ৪ জুলাই, ১৯০২... ফিরে দেখা স্বামী বিবেকানন্দের শেষের সেদিন।
বিশদ

28th  June, 2020
 নরেনের ঘুড়ি
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

 স্বামীজি যখন প্রথম দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণের কাছে এলেন, তার অনেক আগে থেকেই তিনি ইউরোপীয় দর্শনশাস্ত্র ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করেছেন। উদ্দেশ্য— তিনি খুঁজছেন, এই পৃথিবী ও পৃথিবীর মানুষ এবং জীব জগৎ এল কোথা থেকে। এই জগতের স্রষ্টা কে! আরও কৌতূহল— সাধারণ মানুষ যে ভগবানের কথা বলে, সেই ভগবান কে? তাঁর দর্শন কি পাওয়া যায়! বিশদ

28th  June, 2020
নব নীলাচল মাহেশ 

এবার মন্দিরের ধ্যানঘরে মাসির বাড়ি তৈরি করে জগন্নাথদেবকে নিয়ে যাওয়া হবে। লিখেছেন গুঞ্জন ঘোষ।  বিশদ

21st  June, 2020
অনলাইনে ইসকনের রথোৎসব 

এই প্রথমবার কলকাতার রাজপথ পরিক্রমণ করবে না ইসকনের রথ। করোনার সংক্রমণের জন্য এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসকন কর্তৃপক্ষ। খবরে স্নেহাশিস সাউ।  
বিশদ

21st  June, 2020
একনজরে
মাকে কটূক্তির প্রতিবাদ করতে গিয়ে খুন হতে হল ১৭ বছরের এক কিশোরকে। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট শহর সংলগ্ন আঁখিরাপাড়া এলাকায়।  ...

দেরিতে শুরু হলেও আফ্রিকা মহাদেশে করোনার সংক্রমণ দ্রুতহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেখানে সংক্রমণ ১০ লক্ষ অতিক্রমণ করেছে বলে সরকারি হিসেব। মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ৯৮৩ জনের।  ...

 করোনার আগ্রাসন এখন নবান্নের মূল প্রবেশদ্বার থেকে ১৪তলা পর্যন্ত। একের পর এক আধিকারিক, পুলিস অফিসার, হাউসকিপিং স্টাফ এবং গাড়ির চালক ঘায়েল হচ্ছেন এই ভাইরাসের ছোবলে। ...

কাছারি বাজারের কাপড়পট্টিতে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় মোট ৭ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি জানালেন ব্যবসায়ীরা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯১৫- লেখক ভীষ্ম সাহানির জন্ম
১৯৪০- ক্রিকেটার দিলীপ সারদেশাইয়ের জন্ম
১৯৭৫: গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের মৃত্যু
১৯৭৭: বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার ও সঙ্গীতপরিচালক আচার্য ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৮১- সুইস টেনিস খেলোয়ান রজার ফেডরারের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.১৬ টাকা ৭৬.৮৮ টাকা
পাউন্ড ৯৫.৮৩ টাকা ১০০.৯৯ টাকা
ইউরো ৮৬.৪৮ টাকা ৯১.১৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৬,৯৬০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫৪,০৪০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৪,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৫,০৩০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৫,১৩০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ শ্রাবণ ১৪২৭, শনিবার, ৮ আগস্ট ২০২০, পঞ্চমী ৫৭/৪১ রাত্রি ৪/১৯। উত্তরভাদ্রপদনক্ষত্র ২৭/২৩ অপঃ ৪/১২। সূর্যোদয় ৫/১৪/৩৫, সূর্যাস্ত ৬/৯/৫১। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩২ গতে ১২/৫৯ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৩ গতে ১০/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৪ গতে ১/৩২ মধ্যে পুনঃ ২/১৭ গতে ৩/৪৫। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১৯ গতে ২/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩৪ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।।
২৩ শ্রাবণ ১৪২৭, শনিবার, ৮ আগস্ট ২০২০, পঞ্চমী রাত্রি ২/৩২। উত্তরভাদ্রপদনক্ষত্র দিবা ৩/৪৯। সূর্যোদয় ৫/১৪, সূর্যাস্ত ৬/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩২ গতে ১২/৫৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/২০ গতে ১০/৩৪ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ১/৩২ মধ্যে ও ২/১৭ গতে ৩/৪৬। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/২০ গতে ২/৫৮ মধ্যে ও ৪/৩৫ গতে ৬/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৫ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৪ মধ্যে।
১৭ জেলহজ্জ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের দিনটি কেমন যাবে 
মেষ: ব্যবসায় উন্নতি হবে। বৃষ: কাজে বিশেষ সাফল্য। মিথুন: কর্মে একাধিক ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯১৫- লেখক ভীষ্ম সাহানির জন্ম১৯৪০- ক্রিকেটার দিলীপ সারদেশাইয়ের জন্ম১৯৭৫: গীতিকার ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজ্যে করোনায় মৃত্যু ২ হাজার ছাড়াল
রাজ্যে করোনায় মৃত্যু ২ হাজার ছাড়াল। এ পর্যন্ত মোট ২০০৫ ...বিশদ

09:06:41 PM

কাজিরাঙ্গায় শিকারির গুলিতে মৃত গণ্ডার 
অসমের কাজিরাঙ্গা অভয়ারণ্যে আজ সকালে একটি মৃত গণ্ডার উদ্ধার করা ...বিশদ

04:35:00 PM

গুজরাতে রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ আগুন 
 গুজরাতের একটি রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগল। আজ শনিবার ঘটনাটি ...বিশদ

03:59:00 PM

কেরলে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ২৩ জন যাত্রী হাসপাতাল থেকে মুক্ত 
কেরলে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ২৩ জন যাত্রীকে সুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল থেকে ...বিশদ

03:45:00 PM