Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

করোনা ভ্যাকসিনের পথে
সাফল্যের অপেক্ষায়
ডঃ সমীরণ পান্ডা

ল্যাটিন শব্দ ভ্যাক্কা (vacca) মানে গোরু। আর আঠেরোশো শতাব্দীতে মানুষকে স্মল পক্স বা বসন্ত রোগের থাবা থেকে বাঁচানোর জন্য গোরুর বসন্ত রোগের গুটি থেকে যে প্রতিষেধক ইঞ্জেকশন বানানো হয়েছিল, সেই প্রয়াসের মধ্যেই জন্ম হয় ‘ভ্যাকসিন’ শব্দটির। যিনি চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই বিরাট অগ্রগতি, ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জনক, তাঁর নাম এডওয়ার্ড জেনার।
তারপর থেকে টিকা আবিষ্কারের গবেষণায় মানবসভ্যতা অনেক পথ এগিয়েছে। এবং আমরা পেয়েছি নানা ভ্যাকসিন। ভাইরাসের বিরুদ্ধে, ব্যাকটিরিয়াজনিত রোগ আটকাতে এবং নানা পরজীবীর আক্রমণ ঠেকাতে তা কাজ করে। স্মল পক্সের টিকা তৈরির মাধ্যমে ১৭৮৬ সাল থেকে যে জয়যাত্রার রথ চলতে শুরু করেছিল, তার গতি কিন্তু আস্তে আস্তে কমে এসেছে। কেন এমন হল?
সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে বুঝতে হবে, অহরহ চলতে থাকা লড়াইয়ের কাহিনী। মানুষ বনাম রোগ জীবাণুর যুদ্ধ। আমাদের যে বিভিন্ন রোগ-জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ক্ষমতা, তার গালভরা নাম ইমিউনিটি (প্রতিরোধ ক্ষমতা)। সেই ইমিউনিটির কিছু সৈনিক আমাদের জন্মলগ্ন থেকেই সঙ্গে থাকে। আর অন্যান্য কিছু সৈনিক তৈরি হয় পৃথিবীর বুকে আমাদের বড় হয়ে ওঠা ও হাঁটাচলার পথে। শরীর যখন নানা সংক্রমণের মুখোমুখি হয়, তখন এই সৈনিকরা জন্ম নেয়। কেউ কেউ থেকে যায় সেই যুদ্ধের স্মৃতি-ক্ষমতা নিয়ে। পরে যদি আবার সেই জীবাণু আক্রমণ করে, তারা পুরনো স্মৃতিশক্তির দৌলতে খুব তাড়াতাড়ি কাজে নেমে পড়ে। রোগ-জীবাণুকে যুদ্ধে হারাতে।
এ তো গেল মানুষের লড়াই। কিন্তু রোগ-জীবাণুকেও তো বেঁচে থাকতে হবে। তারাও তাই খুঁজে বেড়ায় নানা রাস্তা। যার মাধ্যমে মানুষের প্রতিরোধী ক্ষমতাকে ফাঁকি দেওয়া যায়। এইচআইভি সরাসরি আক্রমণ হানে ইমিউনিটির জন্য দায়ী কোষগুলোর উপর। আরও সঠিকভাবে বলতে গেলে, সৈনিকদের যে জেনারেল (দলনেতা কোষ) নির্দেশ দেয়, তাকেই আক্রমণ করে এইচআইভি। ফলে সৈনিক দলের ক্ষমতার মূল ভিতটাই হয়ে যায় নড়বড়ে। আবার অন্য কিছু ভাইরাস শিখে নিল কীভাবে শরীরের কিছু কোষের মধ্যে ঢুকে লুকিয়ে থাকতে হবে। যাতে প্রতিরোধ ক্ষমতা বহনকারী সৈনিকরা তাদের খোঁজ না পায়। যখন প্রতিরোধ ক্ষমতা একটু দুর্বল হবে, যেমন বয়সজনিত কারণ বা ডায়াবেটিস হলে, তখন এই ভাইরাস বেরিয়ে আসবে লুকানো আস্তানা থেকে। এর উদাহরণ হারপিস ভাইরাস।
কিছু ভাইরাস আছে, যারা তাদের বাইরের আবরণ বদলে ফেলে। যার ফলে সেই ভাইরাসটাকে সহজে চিনতে পারে না শরীরের প্রতিরোধকারী সৈনিকরা। ফলে তারা অনেক সময়ই শরীরের অন্যান্য কোষে ঢোকা আটকাতে পারে না। এই ধরনের ‘চালাক’ ভাইরাস হল ইনফ্লুয়েঞ্জা। এভাবে বাইরের আবরণ বদলে তাদের বিরুদ্ধে তৈরি করা ভ্যাকসিনকেও ধোঁকা দেয় নানা ভাইরাস। করোনা ভাইরাসেরও ক্ষমতা আছে রূপ বদলানোর। ফলে সেও মানব সভ্যতার দিকে জব্বর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে করোনা ভাইরাসের দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা। একজন মানুষ থেকে আর এক জনে। এ সবই ভাইরাসরা করছে বেঁচে থাকার তাগিদে। সংখ্যায় বাড়বে তারাও।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা যদি জানি কী করে ভ্যাকসিন বানানো যায়, তাহলে কেন কোভিড-১৯’এর বিরুদ্ধে (সার্স কোভ টু) তাড়াতাড়ি সেই জ্ঞান কাজে লাগাচ্ছি না? কেন তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন বানিয়ে বাজারে আনতে পারছি না? বিজ্ঞানও তো ‘জেনারে’র সময় থেকে এগিয়ে এসেছে অনেক। নতুন নতুন পদ্ধতিতে ভ্যাকসিন বানানোর কৌশল এখন মানুষের আয়ত্তে। তবে কেন ভ্যাকসিন তৈরি হবে না? এখানে একটু থামতে হবে আমাদের। ভাবতেও হবে।
নতুন কিছু আবিষ্কার হল চিকিৎসা বিজ্ঞানে। ধরা যাক ওষুধ বা ভ্যাকসিন। সেটা কার্যকরী কি না, সেটা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। দেখা গেল, সেই প্রতিষেধক কাজ করছে, কিন্তু পাশাপাশি যদি মারাত্মক কোনও ক্ষতি করে দেয়? তাহলে তো মুশকিল! তাই কার্যকারিতা বা এফিকেসি পরীক্ষা করতে কিছু ধাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। তাহলে দেখি কী কী ধাপ...।
সর্বপ্রথম পরীক্ষাগারে ভ্যাকসিন তৈরি করা। তারপর অন্যান্য প্রাণীদেহে তার প্রয়োগ এবং ফলাফল যাচাই। ছোট ছোট প্রাণী যেমন ইঁদুর, গিনিগিপ বা জেব্রা, মাছ লাগে এই পরীক্ষায়। আবার বড় প্রাণীও দরকার... বাঁদর বা শিম্পাঞ্জি। রোগ ভিত্তিতে প্রাণী বাছা হয়। কিন্তু অনেক সময়ই এইসব প্রাণীর মধ্যে রোগ-জীবাণুরা তেমন প্রভাব বিস্তার করে না, যা হয় মানুষের শরীরে। তাই পরবর্তী পর্যায়ে প্রয়োজন মানবদেহে পরীক্ষা-নিরীক্ষার। বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় যার নাম ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল’।
ট্রায়ালের প্রথম পর্যায়ে দেখা হয়, মানুষের শরীরে ভ্যাকসিনটি নিরাপদ কি না। এবং তা ইমিউনিটির সৈনিকদের (কিছু প্রোটিন, কিছু কোষ) তৈরি করতে পারছে কি না। দ্বিতীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা আরও যাচাই হয়। ঠিক করা হয়, কী মাত্রায় সেটি দেওয়া যেতে পারে। বুঝে নেওয়া, প্রয়োগের পর শরীরের সেনাবাহিনীর অবস্থা কী হল, যাতে তারা জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়তে পারে। তৃতীয় এবং ট্রায়ালের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে বহু সুস্থ মানুষকে সম্ভাবনাময় ভ্যাকসিনটি দেওয়া হয়।
মনে রাখা দরকার, আগের দু’টি পর্যায়ে পাশ করতে না পারলে এই পর্যায়ে আসা যাবে না। তৃতীয় ধাপেই তুলনা করে দেখতে হবে, ভ্যাকসিনটি কাজ করেছে কি না। পরীক্ষাগারে ভ্যাকসিন তৈরির শুরুর থেকে এই পর্যায় পর্যন্ত আসতে আগে সময় লাগত ১০ থেকে ১৫ বছর। কখনও আরও বেশি। তবে বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ ঠেকাতে ভাবনাচিন্তা চলছে, কীভাবে এই সময়ের ব্যবধান নামিয়ে আনা যায়। ইবোলা, নিপা ও জিকা ভাইরাসের সংক্রমণের সময় এই প্রয়োজনীয়তা গুরুত্ব পেয়েছে।
তার পাশাপাশি এটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে যে, দ্রুত কাজ করতে গিয়ে যেন কোনও ফাঁক না থেকে যায়। মানবাধিকার যেন লঙ্ঘিত না হয়। বৈজ্ঞানিক চিন্তা ও সিদ্ধান্তকে যেন ব্যবসায়িক স্বার্থ অস্বচ্ছ করে না দেয়। এই সব কিছু মাথায় রেখেই মনে করা হচ্ছে, এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে ভ্যাকসিন তৈরির পুরো প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা সম্ভব। ভারতে আইসিএমআরের পাশাপাশি এগিয়ে আসছে বহু ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা। এই প্রসঙ্গে মনে রাখা ভালো যে, ভারতে তৈরি ভ্যাকসিন শুধু ভারতের জনগণের জন্য নয়। অন্যান্য দেশেও ব্যবহৃত হয়। কারণ তার গুণগত মান ভালো এবং দাম কম।
প্রথম চ্যালেঞ্জ হল ভাইরাসকে কব্জা করা। সেই পর্বটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভাইরাসটাকে না কব্জা করতে পারলে ভ্যাকসিন তৈরিও সম্ভব নয়। জানুয়ারি মাসের শেষে চীনের উহান থেকে কেরলে ফেরা ভারতীয় নাগরিকের মধ্যে প্রথম করোনা সংক্রমণের খবর এল। কিন্তু করোনার ভাইরাস ‘সার্স কোভ-টু’কে ধরা গেল না। সেটা প্রথম সম্ভব হল ইতালি থেকে আসা ইতালিয়ান এবং ভারতে সংক্রামিত তাঁদের আত্মীয়দের থেকে। তারপরই আগ্রা থেকে খবর এল সংক্রমণের। সেখানেও ভাইরাসটা পাওয়া গেল। সেই হিসেবে পরীক্ষার জন্য প্রথম করোনার ভাইরাস সার্স কোভ-টু মিলল মার্চ মাসে। পাঠানো হল পুনেয়। আইসিএমআরের প্রতিষ্ঠান এনআইভি অর্থাৎ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে।
সার্স কোভ-টু-র ১২টা পজিটিভ স্পেসিমেন নিয়ে পরীক্ষা হল। এর মধ্যে আটটা ইতালিয়ান এবং তাদের আত্মীয়দের। বাকি চারটে আগ্রা এবং ইতালি থেকে আসা তাঁদের পরিচিত দিল্লির বাসিন্দাদের। এক মাসের কিছু সময় ধরে চলল পরীক্ষা। জীবন্ত ভাইরাস নিয়ে কালচার। তারই একটি অংশ ভ্যাকসিন তৈরির জন্য ‘ভারত বায়োটেক’কে দিল আইসিএমআর। ভা‌ইরাল ট্রান্সপোর্ট মিডিয়ায় জীবন্ত ভাইরাস ওদের দেওয়া হয়েছে। ভারত বায়োটেক সেটাকে নিষ্ক্রিয় বা ইনঅ্যাক্টিভ করেছে। কীভাবে করেছে, সেটা ওদের সিক্রেট। তবে সাধারণত, হিট কিলড, ফর্মালিন দিয়ে ভাইরাস নিষ্ক্রিয় করা হয়। এক একটা ভাইরাস এক এক পদ্ধতিতে নিষ্ক্রিয় হয়। তারপর তার থেকে তৈরি করা হয় ভ্যাকসিন। এখানে অবশ্যই উল্লেখ করতে চাই যে, স্রেফ ভারত বায়োটেকই নয়, ভারতের আরও দুই কোম্পানি ‘সিরাম ইনস্টিটিউট’ এবং ‘ক্যাডিলা’ও করোনার ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা করছে। আইসিএমআর জড়িয়ে ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাক্সিনে’র সঙ্গে। আইসিএমআরের গবেষক হিসেবে আমিও সেটির সঙ্গে যুক্ত। নজরদারি এবং পর্যবেক্ষণে। টিকার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, প্রয়োগ পর্বে নিরাপত্তা এবং তার কার্যকারিতা। ফেজ ওয়ানে সেটাই সবচেয়ে অগ্রাধিকার নিয়ে দেখা হয়। অ্যানিমাল ট্রায়ালে ফল পাওয়ার পরই হিউম্যান ট্রায়াল। ফেজ ওয়ান। সেখানে দেখতে হয় ভ্যাকসিন দেওয়ার পর স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে কী হচ্ছে। কারও হয়ত ধুম জ্বর এল, কারও শুরু হল পেটে ব্যথা, কেউ শ্বাসকষ্টে ভুগতে শুরু করলেন। কারও শরীরে বেরল র‌্যাশ। তাহলে বুঝতে হবে ভ্যাকসিনটায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে। কিন্তু যদি বেশিরভাগেরই কোনও অসুবিধা না হয়, তখনই সফল ধরে নিয়ে যাওয়া হয় ফেজ টু-তে। সেখানে অনেক বেশি লোকের (স্বেচ্ছাসেবক) উপর দু’টি অংশে ভাগ করে দু’টি ভ্যাকসিন আলাদা আলাদা গ্রুপকে দেওয়া হয়। আইসিএমআর যে করোনার ভ্যাকসিনের কাজে লিপ্ত, অর্থাৎ কোভ্যাকসিন... ফেজ টু-তে তা প্রয়োগ হবে একটি গ্রুপে। অন্য গ্রুপকে দেওয়া হবে জাপানিজ এনসেফেলাইটিসের (জেই) টিকা। এবার দু’টি গ্রুপের উপর পর্যবেক্ষণ চালিয়ে দেখা হবে, ফল কী হচ্ছে। যদি দেখা যায়, যাঁদের কোভিডের টিকা দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে হয়তো অল্প লোকের করোনা হল। অথবা কারও হলই না। আবার যাঁদের জাপানিজ এনসেফেলাইটিসের টিকা দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেকে করোনায় আক্রান্ত হলেন, তাহলে বুঝতে হবে কাজ করছে কোভিডের নতুন ভ্যাকসিন।
আর যদি উল্টোটা হয়? অর্থাৎ যাঁদের জেই’র টিকা দেওয়া হয়েছে সেই গ্রুপে যতজনের করোনা হল, তার চেয়ে বেশি হল কোভিডের টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের? তাহলে জানতে হবে, কাজ করছে না করোনার নতুন ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিন দেওয়ার পরেও শরীরে সেটি নতুন কোষ, অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সময় নেয় কমপক্ষে ১২-১৪ দিন। তারপর শুরু চ্যালেঞ্জ— সেই দেহে যদি ভাইরাস ঢোকে, তাহলে প্রতিষেধক কীভাবে কাজ করছে, বা আদৌ করছে কি না। কোভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে ০.৫ মিলির দু’টি ডোজ দেওয়া হবে। ইঞ্জেকশন আকারে। প্রথমটি দেওয়ার ১৪দিন পর দ্বিতীয়টি। গোটা দেশে ১ হাজার ১২৫ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর পরীক্ষাটা হবে। প্রথম পর্যায়ে ৩৭৫ জন এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৭৫০ জনের উপর চলবে নিরীক্ষণ। প্রথম পর্যায়ে ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ১২ থেকে ৬৫ বছর বয়স্কদের উপর ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চলবে।
তাই প্রবল ধৈর্য্য, পর্যবেক্ষণ আর পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে দিয়েই এক একটি ফেজ কাটাতে হয়। এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, ফেজ টু ট্রায়ালে ভ্যাকসিন কাজ করছে, সংখ্যাতত্ত্বে প্রমাণ হলে তবেই ফেজ থ্রি ট্রায়াল। অনেক বেশি লোকের মধ্যে প্রয়োগ। তার সংখ্যাতত্ত্ব দেখে তবেই বলা যায় টিকা সফল। তখনই সাধারণের জন্য প্রয়োগের উপযোগী হয়। তার আগে মোটেই নয়। তাই আর যাই হোক, ভ্যাকসিন তৈরি বাজারে তাড়াতাড়ি ঝাঁপিয়ে পড়ে মাছ কেনা নয়।
........
লেখক: প্রধান, এপিডেমিনোলজি অ্যান্ড কমিউনিকেবল ডিজিসেস ডিভিসন (আইসিএমআর-হেডকোয়ার্টার, নয়াদিল্লি), ডিরেক্টর আ‌ই঩সিএমআর-ন্যাশনাল এইডস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (নারী), পুনে
 গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
 সহযোগিতায় : স্বাগত মুখোপাধ্যায় 
19th  July, 2020
স্যার এডমুন্ড হিলারি
চন্দ্রনাথ দাস

বেঁচে থাকলে তাঁর বয়স হতো ১০১ বছর। তেনজিং নোরগের সঙ্গে প্রথমবার পা রেখেছিলেন পৃথিবীর শীর্ষে। মাউন্ট এভারেস্ট জয়ের জন্য স্যার এডমুন্ড হিলারিকে মনে রেখেছে এই দুনিয়া। কিন্তু শুধু এক্সপ্লোরার নন, তিনি ছিলেন মাটির খুব কাছাকাছি থাকা এক মানুষ। এভারেস্ট অঞ্চলের প্রতিটা গ্রাম, জনপদের মনে তিনি থেকে গিয়েছেন তাঁদের শিক্ষার, উন্নতির সোপান হিসেবে। শতবর্ষ পার করে ফিরে দেখা সেই ব্যক্তিত্বকে।
বিশদ

26th  July, 2020
করোনা ভ্যাকসিনের পথে
আগামী বছরের আগে নয়

ডঃ শেখর চক্রবর্তী : এক ভয়াবহ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা...। বিশ্বব্যাপী মহামারী। যা আগাম ঠেকানোর কোনও পথ আমাদের হাতে নেই। আর তাই চেষ্টা চলছে। বিশ্বজুড়ে। থেমে নেই কোনও দেশ। আমরাও না। কিন্তু দিনক্ষণ নির্দিষ্ট করে ভ্যাকসিন তৈরি? অসম্ভব। একেবারেই ভিত্তিহীন এবং বাজে কথা। 
বিশদ

19th  July, 2020
চিম 

করোনাকে দ্রুত জব্দ করার লক্ষ্যে গোটা বিশ্বে সম্পূর্ণ নতুন একটি ভাবনা (কনসেপ্ট) নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। সেটি হল, চিম (CHIM)। কন্ট্রোল হিউম্যান ইনফেকশন মডেল। এর উদ্দেশ্য হল, ভ্যাকসিন কাজ করছে কি না, তার ফল দ্রুত জেনে নেওয়া।
বিশদ

19th  July, 2020
মন্বন্তর ২৫০
সমৃদ্ধ দত্ত

পেটে ভাত নেই... কিন্তু রাজস্ব যে দিতেই হবে! কোম্পানির কোষাগার ভরতে না পারলে গাছে ঝুলিয়ে ফাঁসি। একদিকে দুর্ভিক্ষে, কলেরায় উজাড় হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। তখনই ফুলেফেঁপে উঠেছে বণিকের ঝুলি। তাদের মানদণ্ডের আঘাতে বাংলার নিয়তি ছিল একটাই... মৃত্যু। ফিরে দেখা ২৫০ বছর আগের সেই অভিশপ্ত মন্বন্তরকে।
বিশদ

12th  July, 2020
খড়্গপুর প্ল্যাটফর্মে আর নেই সুশান্ত... 

সোহম কর: সুশান্ত সিং রাজপুতকে তখনও মানব নামেই বেশি চেনে খড়্গপুর... সৌজন্যে ‘পবিত্র রিস্তা’। সেই মানব টিকিট কালেক্টরের পোশাকে খড়্গপুর স্টেশনে। সবাই তো অবাক! তারপর বোঝা গেল, মহেন্দ্র সিং ধোনির বায়োপিকের শ্যুটিংয়ে এই মফস্সল শহরে এসেছেন সুশান্ত। 
বিশদ

05th  July, 2020
ভালো থেকো সুশ 

কৃতী শ্যানন: সুশ, জানতাম মেধাবী মন ছিল তোমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু, আর সবচেয়ে বড় শত্রুও... কিন্তু একটাই কথা ভেবে আমার ভেতরটা চুরমার হয়ে যাচ্ছে... এমন একটা মুহূর্ত তোমার জীবনে কীভাবে এল যে, বেঁচে থাকার বদলে মৃত্যুটাই সহজ বলে মনে হল! বারবার মনে হচ্ছে ‘ওই মুহূর্তে’ যদি তোমার পাশে কয়েকজন ভালো মানুষ থাকত... যদি তুমি তোমার ভালোবাসার লোকগুলোকে দূরে না সরিয়ে দিতে...  
বিশদ

05th  July, 2020
তোমাকে মিস করব 

শ্রদ্ধা কাপুর: যা ঘটেছে মেনে নিতে পারছি না। এক গভীর শূন্যতা... সুশান্ত! প্রিয় সুশ...! নম্রতা, বুদ্ধিমত্তা... জীবন সম্পর্কে অদম্য কৌতূহল। সবখানে খুঁজে নিত সুন্দরকে। সেটে ওর সঙ্গে দেখা হওয়ার অপেক্ষায় থাকতাম, ভাবতাম আজ না জানি নতুন কী চমক আছে!
বিশদ

05th  July, 2020
অচেনা তারা 

অন্বেষা দত্ত: আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। কখনও আলাপ হওয়ার সুযোগ হয়নি। সেই আক্ষেপটা আজীবন রয়েই যাবে। তবে সে কথা এখন থাক। আপনি এখন এ পৃথিবীর কেউ নন। কোনওদিন ছিলেন কি?  
বিশদ

05th  July, 2020
স্বামীজির শেষদিন
শংকর

স্বামীজি বলতেন, ‘শরীরটা কিছু নয়, কিন্তু এই শরীরের দ্বারাই তাঁকে লাভ করতে হবে।’ কর্মই ছিল তাঁর ঈশ্বরলাভের পথ। আর কর্মকাণ্ডের বারিধারায় মহাবিশ্বকে সজল করে আচমকা সেই শরীরই ত্যাগ করেছিলেন তিনি। ৪ জুলাই, ১৯০২... ফিরে দেখা স্বামী বিবেকানন্দের শেষের সেদিন।
বিশদ

28th  June, 2020
 নরেনের ঘুড়ি
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

 স্বামীজি যখন প্রথম দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণের কাছে এলেন, তার অনেক আগে থেকেই তিনি ইউরোপীয় দর্শনশাস্ত্র ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করেছেন। উদ্দেশ্য— তিনি খুঁজছেন, এই পৃথিবী ও পৃথিবীর মানুষ এবং জীব জগৎ এল কোথা থেকে। এই জগতের স্রষ্টা কে! আরও কৌতূহল— সাধারণ মানুষ যে ভগবানের কথা বলে, সেই ভগবান কে? তাঁর দর্শন কি পাওয়া যায়! বিশদ

28th  June, 2020
নব নীলাচল মাহেশ 

এবার মন্দিরের ধ্যানঘরে মাসির বাড়ি তৈরি করে জগন্নাথদেবকে নিয়ে যাওয়া হবে। লিখেছেন গুঞ্জন ঘোষ।  বিশদ

21st  June, 2020
অনলাইনে ইসকনের রথোৎসব 

এই প্রথমবার কলকাতার রাজপথ পরিক্রমণ করবে না ইসকনের রথ। করোনার সংক্রমণের জন্য এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসকন কর্তৃপক্ষ। খবরে স্নেহাশিস সাউ।  
বিশদ

21st  June, 2020
জয় প্রভু জগন্নাথ 

তিনি জগন্নাথ। জগতের নাথ। জগতের শুভ অশুভ, দুঃখ সুখ, প্রলয় শান্তি, বিপর্যয় সৃষ্টি সব কিছুর নিয়ন্তা তিনি। তিনি চাইলে নিমেষে বদলে যায় জীবন। তাঁর ইচ্ছেতেই মহামারী শেষে ফিরে আসবে নতুন ভুবন। সেই বিশ্বাস আঁকড়ে ধরেই আসন্ন রথযাত্রার পুণ্যলগ্নে প্রভু জগন্নাথকে বন্দনার আয়োজন। 
বিশদ

21st  June, 2020
শত হেমন্ত সুরে

পথ হারাবেন বলেই হয়তো তিনি সুরের পথে নেমেছিলেন। কিন্তু তাঁর গায়কী ও সুরসৃষ্টিতে বাঙালি মাত্রই খুঁজে পান পথের সন্ধান— তিনি হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। আর দু’দিন পর অর্থাৎ ১৬ জুন তাঁর জন্মশতবর্ষ। সেই বিশেষ দিনটিকে স্মরণে রেখে আরবসাগরের পার থেকে সঙ্গীত জগতের এই দুরন্ত ঘূর্ণির স্মৃতিচারণা করলেন নায়ক বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং অভিনেত্রী তথা এই কিংবদন্তি শিল্পীর পুত্রবধূ মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। শুনলেন অয়নকুমার দত্ত।
বিশদ

14th  June, 2020
একনজরে
নয়াদিল্লি: একটা সময় ছিল যখন ক্রিকেট দুনিয়া তারিয়ে উপভোগ করত বাইশগজে তাঁদের ব্যাট-বলের লড়াই। একদিকে ব্রেট লি। গতির আগুনে যিনি বিপক্ষের ব্যাটিংকে ছারখার করে দিতেন। ...

সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: শুক্রবার বাগডোগরা থানার রানিডাঙা এসএসবি ক্যাম্পের মুখোমুখি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম কাউন্টারে সিসি ক্যামেরা, এসির বৈদ্যুতিক কেবল ছেঁড়া এবং রিসিভ স্লিপ তছনছ অবস্থায় থাকায় লুটের আতঙ্ক ছড়ায়। যদিও পুলিসের দাবি, সেখানে লুটপাটের কোনও ঘটনা ঘটেনি।   ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতিতে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা কবে, তা নিয়ে শুক্রবারও সুপ্রিম কোর্টে ফয়সালা হল না। আগামী ১০ আগস্ট ফের শুনানি হবে।   ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নতুন পলিসির ক্ষেত্রে প্রথম বছরের প্রিমিয়াম বাবদ প্রায় ১ লক্ষ ৭৭ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকার ব্যবসা করল লাইফ ইনসিওরেন্স কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৭৪- অক্সিজেনের আবিষ্কার করেন যোশেফ প্রিস্টলি
১৮৪৬ - বাংলার নবজাগরণের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯২০ – স্বাধীনতা সংগ্রামী বালগঙ্গাধর তিলকের মৃত্যু
১৯২০- অসহযোগ আন্দোলন শুরু করলেন মহাত্মা গান্ধী
১৯২৪ -ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ফ্রাঙ্ক ওরেলের জন্ম
১৯৩২- অভিনেত্রী মীনাকুমারীর জন্ম
১৯৫৬- ক্রিকেটার অরুণলালের জন্ম।
১৯৯৯- সাহিত্যিক নীরদ সি চৌধুরির মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৯৪ টাকা ৭৫.৬৫ টাকা
পাউন্ড ৯৬.৫৩ টাকা ৯৯.৯০ টাকা
ইউরো ৮৭.৪০ টাকা ৯০.৫৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৪,৬৪০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫১,৮৪০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫২,৬২০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৪,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৪,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ শ্রাবণ ১৪২৭, শনিবার, ১ আগস্ট ২০২০, ত্রয়োদশী ৪১/৪৮ রাত্রি ৯/৫৫। মূলানক্ষত্র ৪/২ দিবা ৬/৪৮। সূর্যোদয় ৫/১১/৪৮, সূর্যাস্ত ৬/১৩/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩২ গতে ১/১ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৬ গতে ১০/৩৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩২ মধ্যে পুনঃ ২/১৬ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫০ মধ্যে পুনঃ ১/২০ গতে ২/৫৮ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৫০ গতে উদয়াবধি। 
১৬ শ্রাবণ ১৪২৭, শনিবার, ১ আগস্ট ২০২০, ত্রয়োদশী রাত্রি ৯/৪৮। মূলানক্ষত্র দিবা ৭/৫৩। সূর্যোদয় ৫/১১, সূর্যাস্ত ৬/১৭। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩০ গতে ১/২ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৯ গতে ১০/৩৮ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ১/৩০ মধ্যে ও ২/১৩ গতে ৩/৩৯ ম঩ধ্যে। কালবেলা ৬/৪৯ মধ্যে ও ১/২২গতে ৩/০ মধ্যে ও ৪/৩৯ গতে ৬/১৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৯ মধ্যে ও ৩/৪৯ গতে ৫/১১ মধ্যে।  
১০ জেলহজ্জ 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে উচ্চাশাপূরণ। মিথুন: গুরুজনের স্বাস্থ্যোন্নতি। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৭৭৪- অক্সিজেনের আবিষ্কার করেন যোশেফ প্রিস্টলি১৮৪৬ - বাংলার নবজাগরণের উল্লেখযোগ্য ...বিশদ

07:03:20 PM

করোনা: রাজ্যে আক্রান্ত আরও ২৫৮৯ জন  
রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৫৮৯ জনের শরীরে মিলল করোনা ...বিশদ

08:42:26 PM

মহারাষ্ট্রে করোনা পজিটিভ আরও ৯,৬০১ জন, মৃত ৩২২ 

08:41:24 PM

কর্ণাটকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পজিটিভ ৫,১৭২ জন, মৃত ৯৮ 

07:56:50 PM

করোনা: কেরলে নতুন করে আক্রান্ত আরও ১১২৯, মোট আক্রান্ত ১০৮৬২ 

07:50:00 PM