Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

অচেনা তারা 

অন্বেষা দত্ত: আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। কখনও আলাপ হওয়ার সুযোগ হয়নি। সেই আক্ষেপটা আজীবন রয়েই যাবে। তবে সে কথা এখন থাক। আপনি এখন এ পৃথিবীর কেউ নন। কোনওদিন ছিলেন কি?
তবে যেদিন আপনি চলে গিয়েছেন, হয়তো বা আপনার প্রিয় মহাশূন্যে... তারপর থেকে বহু মানুষ আপন করে ফেলেছে আপনাকে। তাঁদের অনেকে আমার মতো আপনাকে আগে তেমন জানতেন না। বা ধরুন, ওই বড় জোর গোটা দুই ছবি দেখেছেন আপনার। অভিনয় মন্দ লাগেনি। তবে তার বেশি কিছু নয়। ভক্ত হয়ে ওঠা একেবারেই হয়নি তাঁদের...। সেই আমরা রাতারাতি আপনার খুব কাছে চলে এসেছি।
আপনি অকালে চলে যাওয়ার পর যেটা হল, তাবড় মিডিয়া হামলে পড়ল হইহই করে। নাম-যশ-প্রতিপত্তিকে হেলায় ঠেলে দিয়ে আপনি কেন মৃত্যুকে এভাবে বেছে নিলেন, আপনি কেন অবসাদে ভুগছিলেন, আপনি কেন সুইসাইড নোট লিখলেন না, আপনি কেন ফলের রস খেয়ে আত্মহত্যার কথা ভাবলেন, আপনার সর্বশেষ প্রেমিকা কেন আপনাকে ছেড়ে চলে গেলেন, আপনার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে পোষ্য কুকুর ফাজ কতটা দুঃখ পেল... ইত্যাদি ইত্যাদি আরও নানা তথ্য-তত্ত্ব জনসমক্ষে হাজির করল তারা। তবে এই তথ্যের ভিড়ে যেটা হল, বাইরে চলে এল আরও এমন অনেক কিছু, যা এতদিন সাধারণ মানুষের গোচরে ছিল না। অল ইন্ডিয়া ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকায় সপ্তম স্থান, ফিজিক্স অলিম্পিয়াড জেতা—এগুলো ছেড়েই দিলাম। এসব তো প্রথাগত পড়াশোনা। প্রতি বছর কেউ না কেউ এমন র‌্যাঙ্ক পান। তাঁদের এত খোঁজ আমরা রাখি না, কারণ তাঁরা কেউ বলিউডে ছবির হিরো হয়ে নাচ-গানে মাতিয়ে রাখতে আসেন না। আপনি এসেছিলেন। এবং এসেও শুধু নম্বরে জীবনটাকে আটকে ফেলতে চাননি। কারণটা কী? আপনি নিজেই বলে গিয়েছেন একের পর এক ইন্টারভিউয়ে।
নিজেকে নিয়ে আপনার বিড়ম্বনা এতটাই যে, নানা চরিত্রের পিছনে লুকোতে ভালবাসতেন আপনি। চরিত্রটা মানুষের সামনে এলে আর চিন্তা থাকত না আপনার। মনে মনে স্বস্তি পেতেন, ‘যাক বাবাঃ, আমায় তো এবার কেউ চিনে ফেলছে না!’ কিন্তু ওই একটাই তো ‘আপনি’ ছিলেন না! আপনি ছিলেন আরও ‘অনেকগুলো।’ আপনার সেই অনেকগুলো সত্ত্বা এখন মুকুটের পালক হিসেবে দেখিয়ে অনেকে বড়াই করছেন। বলছেন, আহা লাজুক, অন্তর্মুখী ছেলেটা এভাবে চলে গেল! হোয়াট আ মিস। ইশ ছেলেটা যে বলত, ‘ফিল্মে আর সুযোগ না পেলে কোনও দুঃখ নেই। থিয়েটার করব।’ বলেছিল, ‘কিছু না হলে ফাইভ-ডি ক্যামেরায় শ্যুট করে ছবি বানাব, নিজেই হিরো হব।’ এসব কেন বলত, তাই নিয়ে কাটাছেঁড়া করে তাঁরা পৌঁছে গিয়েছেন বলিউডের স্বজনপোষণে। শুধু ‘নেপোটিজম’ নামক শব্দের পরোক্ষ শিকার হয়েই আপনি চলে গেলেন ভেবে অশ্রুমোচন করছেন তাঁরা। এখন আপনার মনের অন্তরমহলের গহীন অবসাদের কারণগুলোও গুছিয়ে বলে দিচ্ছেন কেউ কেউ। অবসাদ বলতে যদিও আমাদের অনেকেরই দৌড় এখনও ওই ‘মন খারাপ হলেই কুয়াশা হয়...’ পর্যন্ত।
আচ্ছা একবারও তো ভাবছি না... যে ছেলেটি পদার্থবিদ্যা গুলে খেয়েও আরও অগণিত বিষয় জানার আগ্রহ উত্তরোত্তর বাড়িয়ে গিয়েছে, মহাকাশবিজ্ঞান থেকে নাসা নিয়ে পাগল হয়েছে, সে কেন স্বজনপোষণের ক্ষুদ্র রাজনীতিতে থমকে যাবে? সে তো নিজেই বলে গিয়েছিল, ‘হ্যাঁ স্বজনপোষণ আছে। আলবাত আছে। কিন্তু তাতে কী? তাতে কিছু আটকায় না। প্রতিভা থাকলে নতুন মুখ ঠিক জায়গা করে নেয়। স্বজনপোষণ থাকলেও তার পাশাপাশি সৃষ্টিশীল জায়গাটা যদি বেঁচেবর্তে থাকে, তাহলে দু’টোই চলতে পারে। সমান্তরালে।’ এ কথাগুলো আপনার ভক্তরা কি ভুলে গিয়েছেন? তবে কেন আপনার মৃত্যুর পরে শুধু সেই বিতর্কটাই মুখ্য হয়ে উঠল?
আপনার পড়াশোনা, আপনার মনন, আপনার জানার অদম্য কৌতূহল—এগুলো কেন চর্চার বিষয় হয়ে উঠল না? কৌতূহলের ততটুকুই কেন প্রচার পেল, যতটুকু আমাদের কাছে চমক? আমরা সবাই আপনার বহুমূল্য টেলিস্কোপ আর চাঁদে কেনা জমির কথা শুনেই অভিভূত। রিসাইকেল করা নানারকম জিনিস দিয়ে তৈরি সাধারণ আসবাবে সাজানো আপনার ঘর বিজ্ঞাপনী ভিডিওয় দেখে উল্লসিত। বলিউডের অনেক বিতর্কের কথাও উঠে এল। কিন্তু একবারও তো বলা হল না যে, আপনার পাণ্ডিত্যটা বলিউডের একটা বড় অংশের ঠিক হজম হয়নি? না হলে বিভিন্ন সময় সাক্ষাৎকারে আপনার কথা, সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার মন্তব্য বা ক্যাপশন তাদের এত দুর্বোধ্য ঠেকত কেন!
আর শুধু বলিউডকেই বা দোষ দিই কেন? আমরা, সাধারণ দু’-চারটে পাশ দেওয়া পাবলিক কতটুকু আর জ্ঞানগর্ভ কথা শুনতে চাই? কেউ বলতে এলেই তো নিজেদের অজ্ঞানতার ভয়ে তাকে চুপ করিয়ে দিই। ঝাল মেটাই সংখ্যাগুরু হওয়ার। তাকে বুঝিয়ে দিই, সে বড় বেশি জ্ঞান দিতে আসে। বড় বেশি পণ্ডিতি ফলায়। তার সঙ্গে বেশিক্ষণ কথা বলা যায় না। আপনার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। বলিউড আপনাকে ঠিক একই ছকে দেখেছে। আপনি নিজে যতই বলেছেন আপনি প্যারাডক্স, তারা ততই সেটা নিয়ে ঠাট্টা করেছে। আপনি কেন অন্যদের থেকে আলাদা, সেটাই হয়ে গিয়েছে আপনার অপরাধ।
শুধু বলিউড নয়, মূল স্রোতের সংবাদমাধ্যমও। কখনও তাদের মধ্যে কেউ বলেছে, আপনার মাথায় ভিন গ্রহের জীব বাস করে, কখনও বা বলেছে আপনার চিন্তাশক্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত। ফলে আপনার চারপাশের আম আদমি-র হাতে সেটা ছাড়া আর কোনও অস্ত্র ছিল না। তারা হিরোদের ঠাঁটবাট, পার্টি-হুল্লোড়, আয়েশ আরাম, আভিজাত্য, দেখনদারি দেখেই অভ্যস্ত। হিরো সার্নে যান, নাসায় যান! হিরো এয়ারপোর্ট থেকে বেরলেই হাতে বই থাকে। হিরো আবার ফিজিক্স, নক্ষত্র আর চাঁদেই আটকে নেই! নিটশে, সার্ত্রে, মাসলো, কুন্দেরা, মুরাকামি... আরও না জানি কত কী পড়েন। মানে দর্শন, মনস্তত্ত্ব, সাহিত্য... এ-ত-স-ব একসঙ্গে! ধুস, এত ‘আঁতেল’ বলিউডি হিরো পোষায় নাকি।
ছোট থেকে কোনও বিষয়ে বেশি প্রশ্ন করলে আমাদের থামিয়ে দেওয়া হয়। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা শুধু নম্বর তুলতে শেখায়। আপনি যেমন র‌্যাঙ্ক করেছিলেন, ওইটুকুই শুধু আমাদের দরকার। তার বাইরেও যে পড়াশোনাটা আপনি চালিয়ে যেতেন, তা নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেকেরই বিশেষ মাথাব্যথা নেই। আপনি বেঁচে থাকতে জানতে পারিনি। পাত্তাও দিইনি। কিন্তু এখন কি একটু ভাবতে পারি? আপনার থেকে এইটুকু অন্তত শেখা যায়... যদি নিজেদের জানার পরিধিটা আমরা একটু বাড়ানোর চেষ্টা করি... কোনও কৌতূহলী মনের সন্ধান পাওয়ার পর যদি তাকে নিয়ে তামাশা না করে তার আগ্রহ বাড়ানোর চেষ্টা করি... সেটাই হয়তো হবে আপনার প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা।
তবে আপনাকে সেভাবে বুঝতে-জানতে আমাদের আরও অনেক আলোকবর্ষ পেরতে হবে। যে ছোটখাট গণ্ডির মধ্যে আপনার অন্য সত্ত্বাটি পরিচিত ছিল, তার মধ্যে আমরা কখনওই পড়ি না। তাই ফ্রান্সের ইন্টারন্যাশনাল স্পেস ইউনিভার্সিটি আপনার মৃত্যুতে শোকবার্তা দিলে আমরা চমকে উঠি। বলিউডি-কেচ্ছার বাইরেও কিছু ছিল তাহলে!
আমাদের এই চেনা ছকের শব্দজব্দে আপনাকে বেঁধে ফেলার চেষ্টা তাই ব্যর্থ। আমাদের জ্ঞানের ক্ষুদ্র পরিসরে আপনাকে বর্ণনা বা বিশ্লেষণের ক্ষমতা আমাদের নেই। আপনি তো এভাবেই আমাদের তৈরি করা মধ্যমেধার উল্লাসকে উড়িয়ে চলে যেতে পারেন... ঠিক এভাবেই!
মনের কাছে রয়ে যান শুধু আপনার মা। টেলিস্কোপে চোখ রেখে চাঁদ-তারাদের দেখতে দেখতে খুঁজে বেড়াতেন যাঁকে। ট্যুইটার, ইনস্টাগ্রামে ঘুরে ফিরে আসত তাঁর কথাই। তাঁর মৃত্যুদিন ১৩ ডিসেম্বর। বছর দুই আগে ওই দিনে আপনি ট্যুইট করেছিলেন, ‘কত বছর আগে এই দিনটায় তোমায় হারিয়েছিলাম। তারপর থেকে এমন একটা দিনও মনে করতে পারি না, যেদিন তোমার কথা ভাবিনি। সবাই বলে, তুমি তারা হয়ে গিয়েছ। হয়তো উজ্জ্বল লাল রঙেরটা তুমি। অথবা হয়তো মিটমিট করে জ্বলতে থাকা ওই নীল তারাটাই তুমি, যাকে আমি আজ রাতে চোখ মেলে দেখব। আকাশের দিকে তাকিয়ে প্রায়ই তোমার কথা ভাবি। শুধু জানাতে চাই, থ্যাঙ্ক ইউ। তুমি হয়তো ঠিকই বলতে মা, মনে হয় আমি তারাদের মধ্যেই এসে পড়েছি... তোমায় মিস করি মা, খুউব।”
আপনিও যে এখন ‘ধূসর নীলাভ এক তারা’...আমাদের খুঁজে ফেরা তার রংটুকুই।
........................................................
 গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
 সহযোগিতায় : চিন্ময় গড়গড়ি 
05th  July, 2020
আমরি বাংলা ভাষা
অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়

রোজকার মতো প্রাতঃভ্রমণ সেরে চায়ের দোকানে এসে বসলেন চণ্ডীবাবু। কাগজের দিকে হাত বাড়াতে যাচ্ছিলেন। আর মধ্যেই আমাকে দেখে বলে উঠলেন—
গুড মর্নিং স্যর, হ্যাপি বেঙ্গলি নিউ ইয়ার। বিশদ

14th  April, 2024
রহস্যময় গম্ভীরা

পুরীর গম্ভীরায় জীবনের শেষ আঠারোটা বছর কাটিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব। অন্তর্ধানের আগে মহাপ্রভু অন্তিমবারের মতো বের হয়েছিলেন সেখান থেকেই। সেই গম্ভীরা ঘুরে ইতিহাস-রহস্যের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার। বিশদ

07th  April, 2024
জিপিও ২৫০

বুধবারের দুপুরবেলা। দোল-হোলি পর্বের টানা ছুটি কাটিয়ে এবার ছন্দে ফেরার পালা। কিন্তু একটু বড় ছুটি পেলেই মানুষের মতো শহরটাকেও জড়িয়ে ধরে আলস্য। অফিস-কাছারি খুলতেই আড়মোড়া ভাঙছে শহর। রাস্তাঘাটে অবশ্য তেমন ভিড় নেই। বিশদ

31st  March, 2024
অন্ধকূপেই ডাকঘরের জন্ম

শহরের বুক থেকে ইংরেজদের পুরনো কেল্লার সীমানা মুছে গিয়েছে কবেই। ফিকে হয়ে এসেছে নবাব সিরাজদ্দৌলার কলকাতা আক্রমণ, প্রথম যুদ্ধজয় এবং অন্ধকূপ হত্যার স্মৃতি। এমনটাই যে হবে, আগেই অনুমান করতে পেরেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ইংরেজরা।
বিশদ

31st  March, 2024
নানা রঙের দোল

বারসানায় এখন পা-টুকু নিশ্চিন্তে রাখার জো নেই! দেহাতি, দক্ষিণ ভারতীয়, বাঙালি, বিদেশি কে নেই সেই বিখ্যাত ভিড়ে। প্রায় সবার মাথায় রংবেরঙের পাগড়ি। কারও হাতে আবির, তো কারও ক্যামেরা। একসপ্তাহ ধরে চলছে রঙখেলা। হোলি... লাঠমার।
বিশদ

24th  March, 2024
 ‘যত মত তত পথ’
পূর্বা সেনগুপ্ত

দক্ষিণেশ্বরের দেবালয়। বিরাট বারান্দার এক কোণের ঘরে বসে ভক্তসঙ্গে ধর্মপ্রসঙ্গ করছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। দেবালয়ের পাঁচ টাকা মাইনের পুরোহিত হলে কি হবে...মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাণী রাসমণি থেকে তাঁর জামাই মথুরবাবু, সকলেই তাঁকে সমীহ করে চলেন। বিশদ

17th  March, 2024
ওপেনহাইমার ও যুদ্ধবাণিজ্য

কয়েক ঘণ্টার মাত্র অপেক্ষা। লস এঞ্জেলসের আলো ঝলমলে ডলবি থিয়েটারে শুরু হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্মি শোবিজ—অস্কার। এবারের অস্কার হুজুগে সারা পৃথিবীর সংবাদ শিরোনামে ‘ওপেনহাইমার’। ক্রিস্টোফার নোলানের এই সিনেমার সঙ্গেই অতীতকে ফিরে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ।
বিশদ

10th  March, 2024
এলিট ইতিহাস
কলহার মুখোপাধ্যায়

সে নিজেই একটা ইতিহাস! তবু বেলা না যেতে খেলা তব গেল ঘুচে। তখন নাইট ক্লাব, হুক্কা বার, হ্যাং আউট, শপিং মলের কথা শোনালে মানুষ ভাবতো তামাশা করছে।
বিশদ

03rd  March, 2024
স্বেচ্ছামৃত্যু
 

গ্রিক ভাষায় ‘ইউ’ মানে ভালো আর ‘থ্যানেটোজ’ মানে মৃত্যু। দুইয়ে মিলে ইউথ্যানেশিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যু। গত বছর ভারতে আইনসিদ্ধ হয় প্যাসিভ ইউথ্যানেশিয়া। আইনত বৈধ হলেও, সেই পদক্ষেপকে ঘিরে দানা বাঁধছে সংশয়। স্বেচ্ছামৃত্যুর ইতিবৃত্ত খতিয়ে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ
বিশদ

25th  February, 2024
আ’মরি বাংলা ভাষা

আসছে আরও একটা একুশে ফেব্রুয়ারি। হোয়াটসঅ্যাপ যুগে ক্রমে গুরুত্ব হারাচ্ছে দিনটি। তবুও বাংলা ভাষা বেঁচে আছে। থাকবেও। অসম ও বাংলাদেশ ঘুরে এসে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস। বিশদ

18th  February, 2024
সরস্বত্যৈ নমো নমঃ
কৌশিক মজুমদার

আমাদের নয়ের দশকের মফস্বলে উত্তেজনার খোরাক বলতে খুব বেশি কিছু ছিল না। বিশেষ করে আমরা যারা সেকালে ছাত্র ছিলাম, তাদের জন্য। মাস্টারমশাই আর অভিভাবকদের গণ ছাতাপেটাইয়ের ফাঁকে বুধবার সন্ধ্যায় টিভিতে চিত্রহার আর রবিবার সকালের রঙ্গোলিতে কিছু বস্তাপচা গান বাদে গোটা হপ্তাটাই কৃষিকথার আসর আর ‘খবর পড়ছি দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়’-এর মতো নেহাত নিরেস ছিল। বিশদ

11th  February, 2024
কুল খেতে মানা
সন্দীপন বিশ্বাস

স্কুল থেকে ফেরার পথে বিন্তির চোখে পড়ল, বাজারে বিক্রি হচ্ছে বড় বড় কুল। পাশে রয়েছে আপেল কুল, টোপা কুল। তাই দেখে তার জিভে জল এসে গেল। মনে হল, কেটে নুন দিয়ে মেখে খেলে বিকেলটা জমে যাবে। মায়ের কাছে সে আবদার করল, ‘আমায় একটু কুল কিনে দাও না মা!’  বিশদ

11th  February, 2024
নেতাজির বিমা কোম্পানি
সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত

১৯৪১ সাল। শীতের সন্ধ্যা। ঢাকা শহরের নবাবপুর অঞ্চলে এক ব্যক্তি ঘুরছেন। রাত্রি নামার আগে তাঁকে গন্তব্য পৌঁছতেই হবে। কিন্তু রাস্তায় কারও কাছে ঠিকানা জানার হুকুম নেই। চারদিকে পুলিসের জাল বিছানো। নবাবপুর রোডের কাছে রায় কোম্পানির বিখ্যাত বিলাতি মদের দোকানের সামনে এসে চোখ পড়ল একটি বাড়ির দরজায়। বিশদ

04th  February, 2024
আইএনএ’র বিপ্লবী ডাক্তার
বিশ্বজিৎ মাইতি

‘অস্থায়ী হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন শয়ে শয়ে মরণাপন্ন রোগী। চিকিৎসক ও নার্সদের দাঁড়ানোর ফুরসত নেই। আচমকাই সাইরেন বেজে উঠল। মুহূর্তের মধ্যে দৈত্যের মতো আওয়াজ তুলে হাজির যুদ্ধবিমান। প্রাণের ভয়ে পাশের পরিখায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন অনেকে। বিশদ

04th  February, 2024
একনজরে
তীব্র দাবদাহের মধ্যে পানীয় জলের সংকট। শুক্রবার ক্ষোভে হরিরামপুর-ইটাহার রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন মহিলারা। হরিরামপুর থানার বিশাল ...

দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...

ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বাংলায় আমি যতদিন আছি, এসব করতে দেব না: মমতা

03:11:14 PM

কে কী খাবে তাঁর নিজের ব্যাপার, আপনারা কেন ধমকাবেন: মমতা

03:10:41 PM

রামনবমীতে পরিকল্পনা করে হিংসা ছড়ানো হয়েছে: মমতা

03:07:01 PM

দেশের কৃতী মেয়েরা তাঁদের পদক ফেরত দিয়েছে: মমতা

03:07:01 PM

বাংলার ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করার সময় খগেন বাবু কোথায় ছিলেন?: মমতা

02:55:00 PM

এর আগে জেলার কংগ্রেস ও বিজেপি সাংসদরা বাংলার কথা দিল্লিতে গিয়ে বলেনি: মমতা

02:54:16 PM