Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

শত হেমন্ত সুরে

পথ হারাবেন বলেই হয়তো তিনি সুরের পথে নেমেছিলেন। কিন্তু তাঁর গায়কী ও সুরসৃষ্টিতে বাঙালি মাত্রই খুঁজে পান পথের সন্ধান— তিনি হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। আর দু’দিন পর অর্থাৎ ১৬ জুন তাঁর জন্মশতবর্ষ। সেই বিশেষ দিনটিকে স্মরণে রেখে আরবসাগরের পার থেকে সঙ্গীত জগতের এই দুরন্ত ঘূর্ণির স্মৃতিচারণা করলেন নায়ক বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং অভিনেত্রী তথা এই কিংবদন্তি শিল্পীর পুত্রবধূ মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। শুনলেন অয়নকুমার দত্ত।

‘চলো হে লতার বাড়ি থেকেই খেয়ে আসি...’
বিশ্বজিৎ


আমি, অমল আর বুড়ো (তরুণকুমার) এক সময় খুবই বন্ধু ছিলাম। একসঙ্গে আড্ডা মারতাম, ঘুরতে যেতাম। সেই বন্ধুত্বের সূত্রেই অমলদের ভবানীপুরের বাড়িতে আমার নিত্য যাতায়াত ছিল। মেসোমশাই ও মাসিমা আমাকে খুবই স্নেহ করতেন। এই অমলের মেজদা ছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। বন্ধুর দাদা, সেই সুবাদে আমিও ওঁকে মেজদা বলেই ডাকতাম। যদিও সেই সময় উনি বেশিরভাগ সময়টা বম্বেতেই থাকতেন। আমি তখন রংমহলে নাটক করি। এই ফাঁকে বলে নিই অমলের সুরেই আমি প্রথম গান রেকর্ড করেছিলাম— ‘তোমার ওই হরিণ চোখের পলক চাওয়াতে’ আর ‘কখন নদীর তীরে সন্ধ্যা নামবে ওগো’।
একবার বম্বে থেকে মেজদা মানে হেমন্তদা ফিরলেন। আমি ওঁদের বাড়ি গিয়েছি। মেসোমশাই বললেন, ‘বিশ্বজিৎ রংমহলে নাটক করে। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের ডিরেকশনে রেডিওতেও নাটক করেছে। ওর অভিনয়ের খুব শখ।’ এর মধ্যে আমি বাংলা ছবিতেও কাজ শুরু করেছি। বাংলা ছবির নায়ক হওয়া সত্ত্বেও স্টেজ ছাড়িনি। নাটক চালিয়ে যাচ্ছি। কেন এটা বললাম, পরে বলছি। ‘বিশ সাল বাদ’ ছবিতে কাজ করার আগে একবার আমি হিন্দি ছবিতে অভিনয় করার চেষ্টা করেছিলাম। সেবার বম্বে পৌঁছনোর পর হেমন্তদাই গাড়িতে বসিয়ে আমাকে ওঁর বাড়ি ‘গীতাঞ্জলি’ থেকে সোজা ফিল্মিস্তান স্টুডিওতে নিয়ে গিয়েছিলেন। পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন ফিল্মিস্তানের মালিক তুলারাম জালানের সঙ্গে। তখন ওঁদের প্রোডাকশন পার্টটা দেখতেন প্রযোজক শশধর মুখোপাধ্যায়। এস মুখার্জি ভীষণ রাশভারী মানুষ, বিশাল ব্যক্তিত্ব। আমাকে গম্ভীরভাবে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হিন্দি বলতে পারো?’ এখনও মনে আছে, সেদিন ওখানে ‘তুমসা নেহি দেখা’র শ্যুটিং চলছিল। শাম্মি কাপুর আর অমিতা শ্যুট করছিলেন। আমার সঙ্গে ওঁদের পরিচয়ও করিয়ে দিয়েছিলেন।
আমি তো কলকাতায় ফিরে এলাম। বাংলা ছবি আর নাটক চালিয়ে যাচ্ছি। এর মধ্যে শুনলাম, এস মুখার্জি ফিল্মিস্তান ছেড়ে দিয়েছেন এবং ফিল্মালয়া থেকে তাঁর ছেলে জয়কে হিরো হিসেবে লঞ্চ করছেন। বুঝে গেলাম, বিশ্বজিতের বম্বের স্বপ্ন শেষ! খানিকটা মুষড়ে পড়লাম। সেদিন রংমহলে আমার নাটক ছিল। অভিনেতা অজিত চট্টোপাধ্যায় ছিলেন হেমন্তদার বন্ধু। উনি এসে বললেন, ‘তোর সঙ্গে হেমন্ত দেখা করতে এসেছে। ব্যাক স্টেজে অপেক্ষা করছে।’ হেমন্তদা হঠাৎ এখানে দেখা করতে এলেন? বুঝতে পারছি না। যাই হোক, দেখা করতে গেলাম। বললেন, ‘দু’মাসের মধ্যে নতুন হিন্দি ছবি করছি, সব ফাইনাল। তোমাকে হিরো হতে হবে।’ আমি তো আকাশ থেকে পড়লাম। বললাম, ‘এখানে সাহেব-বিবি-গোলাম রমরম করে চলছে। রংমহলের সঙ্গে আমার চুক্তি রয়েছে।’ উনি জোর দিয়ে বললেন, ‘বিশ্বজিৎ, স্টেজ তোমায় ছাড়তেই হবে।’ সত্যি বলতে তখনকার রংমহল কর্তৃপক্ষ আমাকে খুব সাহায্য করেছিল। ওরা চুক্তি বাতিল করে আমাকে বম্বে যাওয়ার অনুমতি দিল। ওরা সাহায্য না করলে সত্যিই আমি বড় বিপদে পড়তাম।
বিশ সাল বাদের জন্য বম্বে গিয়ে ‘গীতাঞ্জলি’তেই উঠেছিলাম। মেজদা বলেছিলেন, ‘তুমি অমলের বন্ধু। আমাদের ঘরের ছেলে। আমার বাড়িতেই থাকবে।’ ওঁর সঙ্গেই স্টুডিওতে যেতাম, ছবির ডিরেক্টর বীরেন নাগের বাড়িতে যেতাম। এই ছবির শ্যুটিং হয়েছিল ফিল্মিস্তানেই। তখন ওঁকে খুব সামনে থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। আর গাড়িতে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার সময় জুলুম করে ওঁর থেকে প্রচুর গান শুনে নিতাম। খালি গলায় পাশে বসে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় গান শোনাচ্ছেন, এ তো রীতিমতো স্বপ্নের মতো ব্যাপার।
যখন ‘বিশ সাল বাদ’ করি, তখন ওয়াহিদা রহমান প্রতিষ্ঠিত নায়িকা। আমি বাংলার নায়ক। কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত। হেমন্তদাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘ওয়াহিদা আমার বিপরীতে কাজ করবেন?’ উনি আমাকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, ‘সব ম্যানেজ করে নিয়েছি। তুমি শুধু মেহনত করো।’ ওঁর বাড়িতে থাকার সুবাদে এই ছবির গানের কাজও স্বচক্ষে দেখেছিলাম। তাছাড়া মিউজিক আমাকে চিরকালই আকর্ষণ করে। প্রথমে গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার বম্বেতে এসে বাংলায় গানগুলো লিখলেন। হেমন্তদা সেগুলির সুর করলেন। যেমন গৌরীদা লিখলেন, ‘কত দিন গেল কত রাত, তুমি এলে না, এলে না, এলে না...’ পরে সেই সুরেই শাকিল বাদাউনি হিন্দিতে লিখলেন, ‘কঁহি দীপ জ্বলে কঁহি...’ আর এই গানটির জন্যই লতা মঙ্গেশকর এবং শাকিল বাদাউনি ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার পেয়েছিলেন। আর এই ছবিতে হেমন্তদার গাওয়া আমার লিপে ‘বেকারার করকে হামে ইয়ুঁ না যায়ি য়ে’ তো মনে হয় আজও সুপারহিট। যদিও বাংলাতে এর অনেক আগেই আমার জন্য বহু গান গেয়ে ফেলেছিলেন উনি। ‘এই বালুকাবেলায় আমি লিখেছিনু’, ‘এই মেঘলা দিনে একলা’র মতো গানগুলো আজও মানুষ মনে রেখেছেন।
সেই সময় হেমন্তকুমার বম্বের একটা স্তম্ভ। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কে না গীতাঞ্জলিতে আসতেন! আমার জীবনের অর্ধেক বলিউডের সঙ্গে পরিচয় গীতাঞ্জলিতে বসেই হয়েছে। ‘বিশ সাল বাদ’-এর সময় আর একটা মজার ঘটনা ঘটেছিল, আমার নাম বিশ্ব‘জিৎ’ শুনে দিল্লির সাংবাদিকরা ভেবেছিলেন আমি পাঞ্জাবি। হেমন্তদা পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘ও পুরো বাঙালি। বাংলার হিরো। ও বিশ্বজিৎ চ্যাটার্জি।’ এই ছবির প্রিমিয়ার আজও মনে পড়ে...। কে আসেননি লোটাস হলের ওই প্রিমিয়ারে! দিলীপকুমার, লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলরা তো ছিলেনই, এমনকী মানিকদা মানে সত্যজিৎ রায়ও এসেছিলেন। শো-এর পর লতাজি আমাদের অভিনয়ের ভীষণ প্রশংসা করে ওঁর বাড়িতে খেতে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানালেন। হেমন্তদা বললেন, ‘চলো হে লতার বাড়ি থেকেই খেয়ে আসি।’ ওঁকে প্রচণ্ড শ্রদ্ধা করতেন লতাজি।
হেমন্তদার মতোই আমার আর এক আপনজন ছিলেন বাঙালির মহানায়ক উত্তমকুমার। উত্তমদার লিপে হেমন্তদার গান আজও বাঙালি ভোলেনি। তাঁদের দু’জনের একটা অজানা গল্প বলি। ‘বিশ সাল বাদ’ ব্লকবাস্টার হওয়ার পর প্রযোজক হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ‘শর্মিলি’ বলে একটা ছবির ঘোষণা করেছিলেন। এই ছবিরও পরিচালক ছিলেন বীরেন নাগ আর নায়িকা ওয়াহিদা রহমান। নায়ক হিসেবে নেওয়া হল উত্তমকুমারকে। চুক্তি হয়ে গিয়েছিল। ধানবাদে শ্যুটিং হবে বলে বম্বে থেকে ইউনিট কলকাতায় চলেও এসেছিল। কিন্তু এখান থেকে কারা কী বোঝাল, উত্তমদা বেঁকে বসলেন, ‘আমি এই ছবি করব না। স্ক্রিপ্টটা জমছে না।’ এই ঘটনার পর সেই ছবিটাই আর হল না। হেমন্তদা খুব আঘাত পেয়েছিলেন। উনি ‘কোহরা’র কাজ শুরু করলেন। সেই সময়টা হেমন্তদা আর উত্তমদার মধ্যে একটু মন কষাকষি হয়েছিল। পরে যদিও দু’জনে ব্যাপারটা মিটিয়ে নিয়েছিলেন। উত্তমদা আমাকে ভাইয়ের মতো ভালোবাসতেন। সেই সুযোগে আমি অনেক কথাই ওঁকে মুখের উপর বলার সাহস পেতাম। অনেকে সেটা পারত না। যখন ‘ছোটি সি মুলকাত’ ফ্লপ করল, আমি বলেছিলাম, ‘দাদা, তুমি রাজ কাপুরের সঙ্গমের অফার ফিরিয়ে দিয়েছিলে। ঠিক আছে বুঝলাম। এমনকী, হেমন্তদার ছবিও না করে দিয়ে শেষে ছোটি সি মুলাকাত-এর মতো নায়িকাপ্রধান ছবি করলে!’ উত্তমদা স্বীকার করেছিলেন, ‘আমি সেদিন বুঝতে পারিনি, ভুল করেছিলাম বিশু।’ আসলে মেজদা বাংলা থেকে অনেককেই সুযোগ দিয়েছিলেন। যেমন— তাঁর প্রযোজনায় ‘ফারার’ ছবিতে কাজ করেছিলেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অনিল চট্টোপাধ্যায়। উনি সব সময় চাইতেন, বম্বের মাটিতে বাঙালি আলাদা জায়গা করে নিক।
আমার ছোটবেলায় কে এল সায়গল, পঙ্কজকুমার মল্লিক, শচীন দেববর্মন, সুধীরলাল চক্রবর্তীদের গান শুনে বড় হয়েছি। একদিন হঠাৎ মা (স্মৃতিময়ী দেবী) আমাকে বললেন, ‘খোকা, তুই তো গান শুনতে খুব ভালোবাসিস। একজন নতুন সিঙ্গার এসেছেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, ওঁর গান শুনে দেখিস।’ তখন সবে সবে হেমন্তদার ‘কথা কও নাকো শুধু শোনো’- এই গানগুলো বাজারে এসেছে। আমার মায়ের গান-বাজনার খুব শখ ছিল। ওঁদের একটা শখের দলও ছিল। ‘শ্যামা’, ‘চিত্রাঙ্গদা’, ‘চণ্ডালিকা’— এইসব নৃত্যনাট্যে সেই দল থেকে উনি অভিনয়ও করেছিলেন। আসলে হেমন্তদার নামটা প্রথম শুনেছিলাম কিন্তু মায়ের মুখেই। মা হেমন্তদার গানের ভীষণ ভক্ত ছিলেন। আর সেই মানুষটাই তাঁর ছেলেকে হাতে ধরে বম্বে ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা করে দিলেন, এটা দেখে যেতে পারলে মা খুবই খুশি হতেন। পরে হেমন্তদাকে একদিন এই গল্পটা শুনিয়েছিলাম।
মেজদা অকাতরে মানুষকে সাহায্য করেছেন। আত্মীয়-স্বজন তো বটেই, বাইরের অনেককেও। আমি অনেকটাই জানি। উনি যে কাউকে সাহায্য করছেন, সেটা অন্য কাউকে জানানোও পছন্দ করতেন না। এর পাশাপাশি বলব, ওঁর কথার দাম ছিল বিশাল। অত্যন্ত কর্তব্যপরায়ণ একজন মানুষ। পরিবারের সকলের আবদার তিনিই মেটাতেন। একবার মনে আছে, কী একটা উপলক্ষে বাড়ির সকলে তাঁকে ধরলেন চাইনিজ খাওয়ানোর জন্য। ঘটনাচক্রে আমিও সেই সময় ওঁর বাড়িতে উপস্থিত। যখনকার কথা বলছি, তখন খার, বান্দ্রা— এ তল্লাটে চাইনিজের দোকান নেই। বম্বের ‘তাজমহল’ হোটেলের পাশে নানকিং বলে একটা চাইনিজ রেস্তরাঁ ছিল। বললেন, ‘তুমিও চলো বিশ্বজিৎ। আজ একসঙ্গে সকলে মিলে চাইনিজ খেয়ে আসি।’ উনি নিজেই গাড়ি চালিয়ে সকলকে নিয়ে গেলেন। হইহই করে চাইনিজ খেয়ে আসা হল। এমনই আমুদে মানুষ ছিলেন তিনি। আর তাঁর গায়কসত্তা নিয়ে বলতে গেলে— হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ছিলেন একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সঙ্গীতশিল্পী। বাংলা আর হিন্দি ইন্ডাস্ট্রিতে তো চুটিয়ে কাজ করেছেন। ওঁর ‘নাগিন’-এর টিউন তো আজও সাপুড়েদের বিনে বাজে। নাগিনকে মিউজিক্যাল রেভেল্যুশন বললে এতটুকু অত্যুক্তি করা হয় না। সেইসঙ্গে তামিল, গুজরাতি, মারাঠি ভাষার ছবিতেও কাজ করেছেন। এমনকী ইংরেজি ছবি কনরাড রুকস পরিচালিত ‘সিদ্ধার্থ’-এও উনি ছিলেন মিউজিক ডিরেক্টর। ‘হেমন্ত’ একটা যুগের নাম।
আমি নিজের শো-এর সূত্রে দু’বার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিভিন্ন দেশে গিয়েছি। ওদের বলতে শুনেছি, ইন্ডিয়া থেকে প্রথম যে লেজেন্ডারি সিঙ্গার ওখানে পা রেখেছিলেন, তিনি হেমন্তকুমার। ওখানে তাঁকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানানো হয়েছিল। উনি ওদেশে এতটাই জনপ্রিয় ছিলেন যে, প্লেন থেকে যখন উনি স্যুট পরে নামছেন, ওরা দাবি তুলেছিল, যে ট্র্যাডিশনাল পোশাকে আপনার ছবি দেখেছি, সেই পোশাক পরেই নামতে হবে। হেমন্তদা আবার প্লেনে ঢুকে পোশাক পরিবর্তন করে ধুতি আর শার্ট পরে নেমেছিলেন। এয়ারপোর্ট থেকে হোটেল যাওয়ার যাত্রাপথ রিলে করে শোনানো হয়েছিল।
আর এই মানুষটাই বাড়িতে থাকতেন অতি সাধারণ। গেঞ্জি আর লুঙ্গি পরে হলঘরে বসে সকলের সঙ্গে দিব্যি আড্ডা দিতেন। ভীষণ আম খেতে ভালোবাসতেন। ওঁর আম খাওয়া ছিল রীতিমতো দেখার মতো বিষয়। আঁটি আর খোসার পাহাড় জমছে যেন। আর উনি ছিলেন চেন স্মোকার। কিন্তু কখনও মদ্যপান করতে আমি দেখিনি। থার্টি ফার্স্ট নাইটে গীতাঞ্জলিতে বড় পার্টিও দিতেন। আমি একবার বলেই ফেলেছিলাম, ‘মেজদা, আপনি গান করেন। অথচ, এত সিগারেট খান!’ উনি বলেছিলেন, ‘ওতে কিছু হয় না আমার।’ সত্যি, এটাই বুঝি ভগবান প্রদত্ত প্রতিভা।
হেমন্তদা কলকাতায় মারা গিয়েছিলেন। আমি তখন বম্বেতে। মেজদাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে কলকাতায় যেতে পারিনি, এটা আমার আক্ষেপ। তবে, পরে ওখানে ওঁর স্ট্যাচুর উদ্বোধন হয় যখন, তখন উপস্থিত ছিলাম। শতবর্ষে হেমন্তদাকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে মেসোমশাই মানে ওঁর বাবার একটা কথা ধার করতেই হবে। একবার কথায় কথায় মেসোমশাই আমাকে বলেছিলেন, ‘হেমন্ত আমার ছেলে হতে পারে। কিন্তু ওর এত গুণ, আমারও ওর থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।’ সত্যিই মানুষ হেমন্ত এবং গায়ক হেমন্ত ছিলেন গুণের আধার। যতদিন মিউজিক থাকবে, ততদিন হেমন্তদার নাম উজ্জ্বল অক্ষরে লেখা থাকবে। জন্মশতবর্ষের প্রাক্কালে আজ মেজদাকে আমার প্রণাম।

‘প্রথম দেখায় খুব রেগে গিয়েছিলাম’ 
মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়

একটা মজার গল্প দিয়ে শুরু করি। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়কে প্রথম একদম সামনা-সামনি দেখার অভিজ্ঞতা। প্রথম দিন কিন্তু আমি ওঁর উপর খুব রেগে গিয়েছিলাম। তখন কি জানতাম, পরবর্তীকালে আমি ওঁর এত বড় ফ্যান হয়ে যাব বা আমিই ওঁর পুত্রবধূ হব। যাই হোক, তখন আমার প্রথম ছবি ‘বালিকা বধূ’র রিহার্সাল চলছে নিউ থিয়েটার্সে। একদিন হঠাৎ ছবির পরিচালক তরুণ মজুমদারকে কে একটা খবর দিলেন, স্টুডিওতে হেমন্তবাবু এসেছেন। তনুকাকু তো তাড়াতাড়ি বেরিয়ে গেলেন। উনি ওঁকে সঙ্গে নিয়ে এসে আমাকে দেখিয়ে বললেন, ‘দেখুন হেমন্তবাবু, আমরা আমাদের বালিকা বধূকে খুঁজে পেয়েছি।’ আমি তো তার আগে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়কে ফাংশনে বা পত্র-পত্রিকায় ছবিতে দেখেছি। উনি আমার দিকে তাকিয়ে ঠোঁট উল্টে বললেন, ‘এ! এ পারবে? এ তো বড্ড বাচ্চা!’ তখন আমার যে কী রাগ হয়েছিল, বলে বোঝাতে পারব না। বাড়িতে আমার মা, দিদিমা সবাই ওঁর গানের ফ্যান। আমি বাড়ি ফিরে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সম্পর্কে নিন্দে-মন্দ শুরু করলাম। আমার স্ক্রিন নেম মৌসুমী, কিন্তু আমার আসল নাম তো ইন্দিরা। উনি আমাকে ‘ইন্দু’ বলে ডাকতেন। ‘বালিকা বধূ’র কিছুটা শ্যুটিং হওয়ার পর সকলে মিলে একদিন দেখা হল, ছবি কেমন এগচ্ছে। ছবির সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে উনিও উপস্থিত ছিলেন। উনি বেরিয়ে এসে আমার মাথায় হাত রেখে বললেন, ‘তুই তো ফাটিয়ে দিয়েছিস রে!’ সেদিন থেকে আমিও ওঁর ‘ফ্যান’ হয়ে গেলাম।
২০২০-তে যেমন আমার শ্বশুরমশাইয়ের জন্মশতবর্ষ, তেমনই আমার বাবারও জন্মশতবর্ষ। এর মধ্যেই আমার ছোট মেয়ে মেঘাকে বলছিলাম, এই বছর তোমার দুই দাদুরই বার্থ সেন্টিনারি। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় একজন লেজেন্ড। স্বল্পপরিসরে ওঁকে বর্ণনা করা কঠিন। উনি গায়ক হিসেবেও
যেমন বড় ছিলেন, মানুষও ছিলেন ততটাই বড়। পরিবারের সদস্য হিসেবে দেখেছি, গান নিয়ে এতটাই ব্যস্ত থাকতেন, সংসারের সব খুঁটিনাটি ওঁর দেখা সম্ভব হতো না। আবার এটাও শুনেছি, উনি খুব ভালো রান্না করতে পারতেন। ব্যাচেলার লাইফে আমার দিদি শাশুড়িকে নাকি সংসারের কাজে প্রচুর সাহায্য করতেন।
সম্প্রতি আমার বড় মেয়ে পায়েল আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে, অনেকেই জানেন। উনি বড় নাতনিকে খুব ভালোবাসতেন। একটা সময় ভাবি, আজ উনি নেই ভালোই হয়েছে, না হলে পায়েলের চলে যাওয়ার যন্ত্রণাটা হয়তো সহ্য করতে পারতেন না। যাই হোক, জন্মশতবর্ষের লেখায় মন ভারাক্রান্ত করব না।
বাবুর সঙ্গে বিয়ের পর আমি তো মুম্বই চলে আসি। এখানে আসার পর আমার শ্বশুরমশাই আমাকে উর্দু শেখাবেন বলে টিচারও রেখে দিয়েছিলেন। গীতিকার এইচ এস বিহারী আমাকে উর্দু শেখাতেন। ব্যক্তিগত অনুভূতি থেকে বলতে পারি, বম্বেতে তখন আমার আপনজন বলতে তেমন কেউই ছিলেন না। সেই দিনগুলিতে শ্বশুরমশাই-ই আমার কাছে মাও ছিলেন, বাবাও ছিলেন। কারণ, উনি নিজের হাতে আমাকে পুত্রবধূ করে নিয়ে এখানে এসেছিলেন। তাই সেই সময় যখনই আমার সঙ্গে বাবুর ঝগড়া হতো, উনি ছেলের পক্ষে নয় বউমার হয়ে কথা বলতেন। এটাও কিন্তু বেশ মজার। এখন সেসব দিনের কথা মনে পড়লে হাসি পায়।
ভাই-বোন, তাঁদের ছেলে-মেয়ে এবং শ্যালক ও শ্যালিকাদের জন্য তিনি অনেক করেছেন। শুধু পরিবারের সদস্য বলে নয়, বাইরের মানুষকেও বহু সাহায্য করেছেন। একটা ঘটনা এই মুহূর্তে মনে পড়ছে। তখনও আমার বিয়ে হয়নি। ঘটনাটা কলকাতার। হঠাৎ বললেন, ‘একটা জায়গায় যাবি?’ আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘কোথায়? কী করতে যাবে?’ উনি বললেন, ‘কিছু নয়, ওই একটা এনভেলপ দিতে যাব।’ আমি তো শুনে হাঁ, ‘একটা খাম দিতে যাবে!’ উনি বললেন, ‘চল না।’ সেদিন গিয়েছিলাম পরিচালক বীরেন নাগের বিধবা স্ত্রীয়ের কাছে। উনি আমার শ্বশুরমশাইকে প্রণাম করলেন। দেখলাম, ওঁর হাতে উনি একটা খাম দিলেন। এমনই মানুষ ছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। অথচ, এই মানুষটার জন্য কলকাতায় একটা সংগ্রহশালা তৈরির বহু চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু তেমন সাহায্যই পাইনি। এটা আমার কাছে সত্যিই বেদনার।
মজার গল্প দিয়ে শুরু করেছিলাম। আর একটা মজার ঘটনা দিয়ে শেষ করি। পুত্রবধূ হিসেবে উনি আমাকে কথা দিয়েছিলেন, আমি ওঁকে যে অবস্থাতেই গান শোনাতে বলব, উনি শোনাবেন। খাওয়ার মাঝেও যদি গাইতে বলি গাইবেন। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত উনি এই প্রতিশ্রুতিটা রেখেওছিলেন। তখন ‘ওগো বধূ সুন্দরী’র শ্যুট চলছে, আমি গল্পচ্ছলে ব্যাপারটা রঞ্জিতবাবুকে (মল্লিক) বলি। উনি তো বিশ্বাস করতেই চাইছেন না। পরের দিন তাড়াতাড়ি প্যাকআপের পর রঞ্জিতবাবুকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের বাড়ি গেলাম। আমার শ্বশুরমশাই তখন বাথরুমে দাড়ি কাটছেন। গিয়েই বললাম, ‘তুমি অমুক গানটা শোনাও।’ উনিও শুরু করলেন আর আমিও হেসে ফেলেছি। উনি বললেন, ‘তুই হাসলি কেন, আমি কি ভুল গাইছি।’ তখন বললাম, একজন ব্যাপারটা বিশ্বাস করেননি, স্বচক্ষে দেখতে এসেছেন। সেদিন খুব মজা হয়েছিল।

14th  June, 2020
স্যার এডমুন্ড হিলারি
চন্দ্রনাথ দাস

বেঁচে থাকলে তাঁর বয়স হতো ১০১ বছর। তেনজিং নোরগের সঙ্গে প্রথমবার পা রেখেছিলেন পৃথিবীর শীর্ষে। মাউন্ট এভারেস্ট জয়ের জন্য স্যার এডমুন্ড হিলারিকে মনে রেখেছে এই দুনিয়া। কিন্তু শুধু এক্সপ্লোরার নন, তিনি ছিলেন মাটির খুব কাছাকাছি থাকা এক মানুষ। এভারেস্ট অঞ্চলের প্রতিটা গ্রাম, জনপদের মনে তিনি থেকে গিয়েছেন তাঁদের শিক্ষার, উন্নতির সোপান হিসেবে। শতবর্ষ পার করে ফিরে দেখা সেই ব্যক্তিত্বকে।
বিশদ

26th  July, 2020
করোনা ভ্যাকসিনের পথে
সাফল্যের অপেক্ষায়
ডঃ সমীরণ পান্ডা

ল্যাটিন শব্দ ভ্যাক্কা (vacca) মানে গোরু। আর আঠেরোশো শতাব্দীতে মানুষকে স্মল পক্স বা বসন্ত রোগের থাবা থেকে বাঁচানোর জন্য গোরুর বসন্ত রোগের গুটি থেকে যে প্রতিষেধক ইঞ্জেকশন বানানো হয়েছিল, সেই প্রয়াসের মধ্যেই জন্ম হয় ‘ভ্যাকসিন’ শব্দটির। 
বিশদ

19th  July, 2020
করোনা ভ্যাকসিনের পথে
আগামী বছরের আগে নয়

ডঃ শেখর চক্রবর্তী : এক ভয়াবহ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা...। বিশ্বব্যাপী মহামারী। যা আগাম ঠেকানোর কোনও পথ আমাদের হাতে নেই। আর তাই চেষ্টা চলছে। বিশ্বজুড়ে। থেমে নেই কোনও দেশ। আমরাও না। কিন্তু দিনক্ষণ নির্দিষ্ট করে ভ্যাকসিন তৈরি? অসম্ভব। একেবারেই ভিত্তিহীন এবং বাজে কথা। 
বিশদ

19th  July, 2020
চিম 

করোনাকে দ্রুত জব্দ করার লক্ষ্যে গোটা বিশ্বে সম্পূর্ণ নতুন একটি ভাবনা (কনসেপ্ট) নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। সেটি হল, চিম (CHIM)। কন্ট্রোল হিউম্যান ইনফেকশন মডেল। এর উদ্দেশ্য হল, ভ্যাকসিন কাজ করছে কি না, তার ফল দ্রুত জেনে নেওয়া।
বিশদ

19th  July, 2020
মন্বন্তর ২৫০
সমৃদ্ধ দত্ত

পেটে ভাত নেই... কিন্তু রাজস্ব যে দিতেই হবে! কোম্পানির কোষাগার ভরতে না পারলে গাছে ঝুলিয়ে ফাঁসি। একদিকে দুর্ভিক্ষে, কলেরায় উজাড় হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। তখনই ফুলেফেঁপে উঠেছে বণিকের ঝুলি। তাদের মানদণ্ডের আঘাতে বাংলার নিয়তি ছিল একটাই... মৃত্যু। ফিরে দেখা ২৫০ বছর আগের সেই অভিশপ্ত মন্বন্তরকে।
বিশদ

12th  July, 2020
খড়্গপুর প্ল্যাটফর্মে আর নেই সুশান্ত... 

সোহম কর: সুশান্ত সিং রাজপুতকে তখনও মানব নামেই বেশি চেনে খড়্গপুর... সৌজন্যে ‘পবিত্র রিস্তা’। সেই মানব টিকিট কালেক্টরের পোশাকে খড়্গপুর স্টেশনে। সবাই তো অবাক! তারপর বোঝা গেল, মহেন্দ্র সিং ধোনির বায়োপিকের শ্যুটিংয়ে এই মফস্সল শহরে এসেছেন সুশান্ত। 
বিশদ

05th  July, 2020
ভালো থেকো সুশ 

কৃতী শ্যানন: সুশ, জানতাম মেধাবী মন ছিল তোমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু, আর সবচেয়ে বড় শত্রুও... কিন্তু একটাই কথা ভেবে আমার ভেতরটা চুরমার হয়ে যাচ্ছে... এমন একটা মুহূর্ত তোমার জীবনে কীভাবে এল যে, বেঁচে থাকার বদলে মৃত্যুটাই সহজ বলে মনে হল! বারবার মনে হচ্ছে ‘ওই মুহূর্তে’ যদি তোমার পাশে কয়েকজন ভালো মানুষ থাকত... যদি তুমি তোমার ভালোবাসার লোকগুলোকে দূরে না সরিয়ে দিতে...  
বিশদ

05th  July, 2020
তোমাকে মিস করব 

শ্রদ্ধা কাপুর: যা ঘটেছে মেনে নিতে পারছি না। এক গভীর শূন্যতা... সুশান্ত! প্রিয় সুশ...! নম্রতা, বুদ্ধিমত্তা... জীবন সম্পর্কে অদম্য কৌতূহল। সবখানে খুঁজে নিত সুন্দরকে। সেটে ওর সঙ্গে দেখা হওয়ার অপেক্ষায় থাকতাম, ভাবতাম আজ না জানি নতুন কী চমক আছে!
বিশদ

05th  July, 2020
অচেনা তারা 

অন্বেষা দত্ত: আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। কখনও আলাপ হওয়ার সুযোগ হয়নি। সেই আক্ষেপটা আজীবন রয়েই যাবে। তবে সে কথা এখন থাক। আপনি এখন এ পৃথিবীর কেউ নন। কোনওদিন ছিলেন কি?  
বিশদ

05th  July, 2020
স্বামীজির শেষদিন
শংকর

স্বামীজি বলতেন, ‘শরীরটা কিছু নয়, কিন্তু এই শরীরের দ্বারাই তাঁকে লাভ করতে হবে।’ কর্মই ছিল তাঁর ঈশ্বরলাভের পথ। আর কর্মকাণ্ডের বারিধারায় মহাবিশ্বকে সজল করে আচমকা সেই শরীরই ত্যাগ করেছিলেন তিনি। ৪ জুলাই, ১৯০২... ফিরে দেখা স্বামী বিবেকানন্দের শেষের সেদিন।
বিশদ

28th  June, 2020
 নরেনের ঘুড়ি
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

 স্বামীজি যখন প্রথম দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণের কাছে এলেন, তার অনেক আগে থেকেই তিনি ইউরোপীয় দর্শনশাস্ত্র ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করেছেন। উদ্দেশ্য— তিনি খুঁজছেন, এই পৃথিবী ও পৃথিবীর মানুষ এবং জীব জগৎ এল কোথা থেকে। এই জগতের স্রষ্টা কে! আরও কৌতূহল— সাধারণ মানুষ যে ভগবানের কথা বলে, সেই ভগবান কে? তাঁর দর্শন কি পাওয়া যায়! বিশদ

28th  June, 2020
নব নীলাচল মাহেশ 

এবার মন্দিরের ধ্যানঘরে মাসির বাড়ি তৈরি করে জগন্নাথদেবকে নিয়ে যাওয়া হবে। লিখেছেন গুঞ্জন ঘোষ।  বিশদ

21st  June, 2020
অনলাইনে ইসকনের রথোৎসব 

এই প্রথমবার কলকাতার রাজপথ পরিক্রমণ করবে না ইসকনের রথ। করোনার সংক্রমণের জন্য এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসকন কর্তৃপক্ষ। খবরে স্নেহাশিস সাউ।  
বিশদ

21st  June, 2020
জয় প্রভু জগন্নাথ 

তিনি জগন্নাথ। জগতের নাথ। জগতের শুভ অশুভ, দুঃখ সুখ, প্রলয় শান্তি, বিপর্যয় সৃষ্টি সব কিছুর নিয়ন্তা তিনি। তিনি চাইলে নিমেষে বদলে যায় জীবন। তাঁর ইচ্ছেতেই মহামারী শেষে ফিরে আসবে নতুন ভুবন। সেই বিশ্বাস আঁকড়ে ধরেই আসন্ন রথযাত্রার পুণ্যলগ্নে প্রভু জগন্নাথকে বন্দনার আয়োজন। 
বিশদ

21st  June, 2020
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যের সংশোধনাগারগুলিতে যা জায়গা রয়েছে, তার তুলনায় বন্দির সংখ্যা ২৩ শতাংশ বেশি। দু’হাজারেরও বেশি বিচারাধীন বন্দিকে আগাম জামিন ও আসামিদের প্যারোলে ছাড়ার পরেও এই অবস্থা।   ...

সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: শুক্রবার বাগডোগরা থানার রানিডাঙা এসএসবি ক্যাম্পের মুখোমুখি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম কাউন্টারে সিসি ক্যামেরা, এসির বৈদ্যুতিক কেবল ছেঁড়া এবং রিসিভ স্লিপ তছনছ অবস্থায় থাকায় লুটের আতঙ্ক ছড়ায়। যদিও পুলিসের দাবি, সেখানে লুটপাটের কোনও ঘটনা ঘটেনি।   ...

নয়াদিল্লি: একটা সময় ছিল যখন ক্রিকেট দুনিয়া তারিয়ে উপভোগ করত বাইশগজে তাঁদের ব্যাট-বলের লড়াই। একদিকে ব্রেট লি। গতির আগুনে যিনি বিপক্ষের ব্যাটিংকে ছারখার করে দিতেন। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নতুন পলিসির ক্ষেত্রে প্রথম বছরের প্রিমিয়াম বাবদ প্রায় ১ লক্ষ ৭৭ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকার ব্যবসা করল লাইফ ইনসিওরেন্স কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৭৪- অক্সিজেনের আবিষ্কার করেন যোশেফ প্রিস্টলি
১৮৪৬ - বাংলার নবজাগরণের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯২০ – স্বাধীনতা সংগ্রামী বালগঙ্গাধর তিলকের মৃত্যু
১৯২০- অসহযোগ আন্দোলন শুরু করলেন মহাত্মা গান্ধী
১৯২৪ -ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ফ্রাঙ্ক ওরেলের জন্ম
১৯৩২- অভিনেত্রী মীনাকুমারীর জন্ম
১৯৫৬- ক্রিকেটার অরুণলালের জন্ম।
১৯৯৯- সাহিত্যিক নীরদ সি চৌধুরির মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৯৪ টাকা ৭৫.৬৫ টাকা
পাউন্ড ৯৬.৫৩ টাকা ৯৯.৯০ টাকা
ইউরো ৮৭.৪০ টাকা ৯০.৫৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৪,৬৪০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫১,৮৪০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫২,৬২০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৪,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৪,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ শ্রাবণ ১৪২৭, শনিবার, ১ আগস্ট ২০২০, ত্রয়োদশী ৪১/৪৮ রাত্রি ৯/৫৫। মূলানক্ষত্র ৪/২ দিবা ৬/৪৮। সূর্যোদয় ৫/১১/৪৮, সূর্যাস্ত ৬/১৩/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩২ গতে ১/১ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৬ গতে ১০/৩৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩২ মধ্যে পুনঃ ২/১৬ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫০ মধ্যে পুনঃ ১/২০ গতে ২/৫৮ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৫০ গতে উদয়াবধি। 
১৬ শ্রাবণ ১৪২৭, শনিবার, ১ আগস্ট ২০২০, ত্রয়োদশী রাত্রি ৯/৪৮। মূলানক্ষত্র দিবা ৭/৫৩। সূর্যোদয় ৫/১১, সূর্যাস্ত ৬/১৭। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩০ গতে ১/২ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৯ গতে ১০/৩৮ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ১/৩০ মধ্যে ও ২/১৩ গতে ৩/৩৯ ম঩ধ্যে। কালবেলা ৬/৪৯ মধ্যে ও ১/২২গতে ৩/০ মধ্যে ও ৪/৩৯ গতে ৬/১৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৯ মধ্যে ও ৩/৪৯ গতে ৫/১১ মধ্যে।  
১০ জেলহজ্জ 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে উচ্চাশাপূরণ। মিথুন: গুরুজনের স্বাস্থ্যোন্নতি। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৭৭৪- অক্সিজেনের আবিষ্কার করেন যোশেফ প্রিস্টলি১৮৪৬ - বাংলার নবজাগরণের উল্লেখযোগ্য ...বিশদ

07:03:20 PM

করোনা: রাজ্যে আক্রান্ত আরও ২৫৮৯ জন  
রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৫৮৯ জনের শরীরে মিলল করোনা ...বিশদ

08:42:26 PM

মহারাষ্ট্রে করোনা পজিটিভ আরও ৯,৬০১ জন, মৃত ৩২২ 

08:41:24 PM

কর্ণাটকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পজিটিভ ৫,১৭২ জন, মৃত ৯৮ 

07:56:50 PM

করোনা: কেরলে নতুন করে আক্রান্ত আরও ১১২৯, মোট আক্রান্ত ১০৮৬২ 

07:50:00 PM