মঙ্গলগ্রহে চাষাবাদ করার লক্ষ্য নিয়ে ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করেছিল পৃথিবীর প্রথম সবথেকে সফল বেসরকারি মহাকাশ সংস্থা। নাম ছিল ‘মার্স ওয়েসিস’। কিন্তু, একবছরের মধ্যেই সংস্থার প্রধান এলন মাস্ক বুঝতে পারেন এই কাজ করার সময় এখনও আসেনি। তাই পরিকল্পনার বদল ঘটিয়ে রকেট তৈরির ভাবনাচিন্তা শুরু করেন তিনি। সবদিক পর্যালোচনা করে তিনি বুঝেছিলেন, রকেটে করে মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানো বেশ ব্যয়সাপেক্ষ আমেরিকার পক্ষে। তাই ‘চীনা মডেলে’র মতো সস্তায় রকেট তৈরি করার পরিকল্পনা করতে থাকেন তিনি। কিন্তু সেখানেও তাঁকে প্রথমে খালি হাতে ফিরতে হয়। রাশিয়া থেকে বাতিল রকেট কম দামে কেনার কথা ভাবলেও, শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হন। এরপরে এক রকেট ইঞ্জিনিয়ার বন্ধুর সহযোগিতায় জানতে পারেন রকেট তৈরির যা খরচ বিক্রয়মূল্যের মাত্র ৩ শতাংশ। পাশাপাশি এই ব্যবসায় মহাকাশে উপগ্রহ পাঠিয়ে প্রতিবার প্রায় ৭০ শতাংশ লাভ করা সম্ভব। এরপরে এলন মাস্ক ক্যালিফোর্নিয়ার এল সেগুন্দো শহরে একটা ওয়ারহাউসে দেশীয় প্রযুক্তিতে রকেটের বিভিন্ন অংশ বানানোর কাজ শুরু করেন। এর মধ্যে দিয়ে যাত্রা শুরু হয় স্পেস এক্সের।
উদ্দেশ্য কী?
কম খরচে কৃত্রিম উপগ্রহ বা মানুষ মহাকাশে পাঠানো।
মঙ্গলগ্রহে বসতি গড়ে তোলা।
উত্থানের কারণ?
মহাকাশে মানুষ পাঠানোর জন্য ব্যবহার করা স্পেস শাটল ২০১১ সালের পর বন্ধ করে দেয় আমেরিকা।
আমেরিকা রকেট তৈরিতে ‘অত্যাধুনিক অস্ত্র প্রযুক্তি’ ব্যবহার করে থাকে। যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। স্পেস এক্স সেখানে সস্তায় রকেট প্রযুক্তি এনে সাফল্য পেয়েছে।
কর্মচারী পরিসংখ্যান
২০০২ সালে শুরু হওয়া এই সংস্থায় ২০০৫ সালে কর্মচারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ১৬০ জন। ২০১৯ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৯ হাজার ছাড়িয়েছে।
প্রতিদ্বন্দ্বী কারা?
এরিয়ান স্পেস, ইউনাইটেড লঞ্চ অ্যালায়েন্স, ইন্টারন্যাশনাল লঞ্চ সার্ভিস প্রমুখ। এছাড়া, আরও বহু সংস্থা ধীরে ধীরে উঠে আসছে।