সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
রবীন্দ্রনাথের গল্প-উপন্যাসের প্রতি বাবার অনুরাগ বরাবরই। ‘পথের পাঁচালী’র আগেই উনি ‘ঘরে বাইরে’ করতে চেয়েছিলেন। ‘গল্পগুচ্ছ’ ছিল অন্যতম প্রিয় বই। সেখান থেকে অনেক খুঁজে, বেছে করেছিলেন ‘তিন কন্যা।’ আমার কিন্তু মনে হয়, ইচ্ছে করেই তিন রকমের গল্প বেছেছিলেন তিনি। ভ্যারাইটির জন্য। আমার ভীষণ প্রিয় ছবি সেটি। একই বছরে রবীন্দ্রনাথের জন্মশতবর্ষে দারুণ যত্নের সঙ্গে তৈরি করেন ডকুমেন্টারি— ‘রবীন্দ্রনাথ টেগোর।’ এত তথ্যসমৃদ্ধ, নিপুণভাবে তৈরি কোনও ডকুমেন্টারি আমি অন্তত আর দেখিনি।
তার দু’তিন বছর পরই ‘চারুলতা।’ বাবা নিজেই মনে করতেন, সবচেয়ে কম খুঁত রয়েছে এই ছবিতে। আমার মনে হয়, দর্শকদের কাছেও এটা সব চেয়ে প্রিয় ছবি। বাবা বলতেন, এ ছবির মুক্তির জন্য কোনও তাড়াহুড়ো ছিল না। শ্যুটিংয়ের পরে পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ তাই অনেক মনোযোগ দিয়ে করা সম্ভব হয়েছিল তাঁর পক্ষে। চেয়েছিলেন, যতটা ত্রুটিহীন করা যায় ছবিটিকে। সেই চেষ্টাই করেছেন। রিভাইজ করেছেন বার বার।
আমার নিজেরও ‘গল্পগুচ্ছ’ ভাল লাগে। সেখান থেকে টিভির জন্য কাজ করেওছি। ছোটগল্পে খুবই আগ্রহ রয়েছে। ফের ফিরে যাওয়ার সুযোগ হলে নিশ্চয়ই কাজ করব ‘গল্পগুচ্ছ’ নিয়ে।