Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

রবির মানিক 

শ্রীকান্ত আচার্য: অতীতে কলকাতায় বরাবরই ঠাকুর পরিবার এবং রায়চৌধুরী পরিবার, সব দিক থেকে অত্যন্ত সমৃদ্ধ ছিল। তা সে জ্ঞানের পরিধি বলুন বা সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল—সব ক্ষেত্রেই এই দুই পরিবার উন্নত করেছে বাংলাকে। উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর জন্ম ১৮৬৩ সালে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চেয়ে দু’বছরের ছোট। ব্রাহ্মসমাজ এই দুই ব্যক্তিত্বের যোগাযোগের ক্ষেত্রে বড় মাধ্যম হয়ে উঠেছিল। উপেন্দ্রকিশোর নিজে ব্রাহ্মধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। ব্রহ্মসঙ্গীতের সঙ্গে তাঁর বেহালা বাজানোর কথা অনেকেই শুনে থাকবেন।
একইভাবে বয়সে ছোট সুকুমার রায়কে অসম্ভব স্নেহ করতেন রবীন্দ্রনাথ। সুকুমারও দারুণ শ্রদ্ধা করতেন রবি ঠাকুরকে। কবিগুরু যখন গীতাঞ্জলির ইংরেজি অনুবাদ নিয়ে ইংল্যান্ডে, তখন প্রিন্টিং টেকনোলজি পড়ার জন্য সুকুমারও সেখানেই। দু’জনে দু’জনের সান্নিধ্যে তো অবশ্যই ছিলেন। রবি যখন রোডেনস্টাইন এবং পিয়ার্সনের মতো ব্যক্তিদের সাহচর্যে, তখন তাঁর ‘যুবক বন্ধু’ (সুকুমারের প্রয়াণের পরে শান্তিনিকেতনে ‘আমার যুবক বন্ধু’ নামে বক্তৃতা দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং) সুকুমারও ছায়াসঙ্গীর মতো কবির সঙ্গে ছিলেন।
বয়সে ছোট প্রতিভাবান সুকুমার যখন মৃত্যুশয্যায়, ছুটে যান কবিগুরু। রবীন্দ্রসঙ্গীতের চিরকালের অনুরাগী সুকুমার তখন তাঁর কাছে শুনতে চেয়েছিলেন, ‘দুঃখ এ নয়, সুখ এ যে গো...’ গানটি। এত আগে লেখা গানটির সুর নিজেরই আর মনে ছিল না রবীন্দ্রনাথের। তিনি প্রথমে বলেছিলেন, ‘তুমি তো আমায় বিপদে ফেললে।’ তারপর আর কিছু না বলে মিনিট পাঁচেকের জন্য বাইরে চলে যান প্রবীণ কবি। ওইটুকু সময়ে গানটির নতুন সুর বেঁধে ফিরে এসে সুকুমারকে শোনান তিনি, একবার নয়... পরপর দু’বার। এহেন স্নেহের পাত্রকে রবীন্দ্রনাথ সব সময়ের জন্য মনের মণিকোঠায় রেখে দিয়েছিলেন।
এই সূত্রে বলি, রবীন্দ্রনাথের প্ল্যানচেট করার নেশার কথা অনেকেই হয়তো শুনে থাকবেন। সুকুমার রায়কে এতটাই ভালবাসতেন যে, তাঁকে প্ল্যানচেটে কাছে ডাকার কথা ভেবেছিলেন তিনি। সে ঘটনা যখন সত্যিই ঘটে, কবি জানান, সুকুমার তাঁকে এসে অনুরোধ করেছেন, “আপনি আমার ছেলেকে আপনার আশ্রমে নিতে পারেন?” পরবর্তীকালে তেমনটা ঘটতে দেরিও হয়নি। সুকুমার-জায়া সুপ্রভা সত্যজিৎকে নিয়ে এসেছিলেন কবিগুরুর কাছে।
সেই কলাভবন থেকে শুরু হয় মানিকের চিত্রকলা, সঙ্গীত ও আরও অন্যান্য বিষয়ের অদম্য আগ্রহ। নন্দলাল বসু, বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়ের পাশাপাশি ঠাকুরবাড়ির শ্রেষ্ঠ মনীষীর সঙ্গেও সত্যজিতের নৈকট্য তৈরি হয়ে যায়। যা থেকে বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্রকারের নান্দনিকতার ধারণার মূলটিই একেবারে অন্য ধারায় চালিত হতে শুরু করেছিল। এই যোগাযোগের সামগ্রিক প্রভাবটা ভালো রকমের অনুভূত হয়েছিল সুকুমার-পুত্রের উপরে। তার সঙ্গে সত্যজিতের শান্তিনিকেতনে পড়াশোনা যে সেই যোগাযোগকে আরও দৃঢ় করেছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আসা যাক রবীন্দ্রনাথের গল্প নিয়ে তৈরি সত্যজিতের ছবির কথায়। আমার মতে, এই ক্ষেত্রে পরিচালকের সেরা ছবি ‘নষ্টনীড়’ অবলম্বনে তৈরি ‘চারুলতা।’ সত্যজিৎ নিজেও বেশ কিছু সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “যদি চারুলতা ফের বানাতে হয়, একইভাবে বানাব।” ছবিটা তাঁকে এতটাই তৃপ্ত করেছিল। এবার দেখা যাক, এই ছবিতে রবীন্দ্রসঙ্গীতের ব্যবহার কীভাবে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে ছবিটিকে।
‘চারুলতা’ শুরু হচ্ছে যখন, স্ক্রিনজুড়ে আমরা দেখতে পাই সেলাইয়ের নকশা তোলা হচ্ছে সূচে। ভূপতির নামের আদ্যক্ষর ইংরেজিতে বি—দু’টি সালঙ্কারা হাত সুতোয় বুনছে। ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে ‘মম চিত্তে নিতি নৃত্যের’ সুর। ভাবুন, যে গানের কথায় আছে, ‘দিবারাত্রি নাচে মুক্তি নাচে বন্ধ...’ সেই গান দিয়ে শুরু হচ্ছে ‘চারুলতা।’ যা এক কথায় চারুর জীবনকেই তুলে ধরে। যে গৃহবধূর নিস্তরঙ্গ জীবনে তাকে সময় দিয়ে উঠতে পারে না তার ব্যস্ত স্বামী ভূপতি, সেই শূন্যতায় ঢুকে পড়ে অমল। সম্পর্কের এই টানাপোড়েনের গল্পে শেষটায় ভূপতি বোঝে, চারুর প্রতি তাঁর অবহেলার কথা। কেন চারু অমলে অনুরক্ত, স্পষ্ট হয়ে যায় তার কাছে। সে ফিরে আসতে চায়, কিন্তু রয়ে যায় একরাশ দ্বিধা। সেই সংসার কি ছন্দে ফিরল? নষ্ট নীড় কি অটুট রইল? এই প্রশ্ন রেখেই শেষ হয় ছবি।
চারু অসম্ভব সেনসিটিভ মহিলা। সে ভাষায় সব প্রকাশ করে না। কম কথা বলে। মনের ভাব সুপ্ত রাখে। শরীরী ভাষা অনেক কিছু বলে দেয়। ছবি শেষ হওয়ার পরে টাইটল মিউজিকের সঙ্গে সংযোগটা আরও স্পষ্ট হয়। চারু সেভাবে ভালবাসা ব্যক্ত করার সুযোগ পায়নি, অমল আসার পরে তার সেই পরিবর্তন ঘটে। তাই ‘নাচে মুক্তি নাচে বন্ধ...।’ মনের এই দ্বন্দ্ব বোঝাতে আর কিছু কি আইডিয়াল হতে পারত?
একইভাবে ধরা যাক এ ছবিতে ব্যবহৃত ‘চিনি গো চিনি তোমারে, ও গো বিদেশিনী...’ গানটির কথা। কিশোর কুমারের গলায় গানটি তো অনবদ্যই। তার সঙ্গে যে যন্ত্রানুষঙ্গ ব্যবহার করেছেন সত্যজিৎ, তারও কোনও তুলনা হয় না। একদিকে বেহালা, একদিকে পিয়ানো। ছবিতে অমল গাইতে গাইতে যেন চারুকে দোলাচলে রাখছে। চারুও অমলের প্রতি ভালবাসা ব্যক্ত করবে কি না, এমনটা ভাবতে ভাবতে যেন সামলে নিচ্ছে নিজেকে। ‘...ভুবন ভ্রমিয়া শেষে, আমি এসেছি নূতন দেশে, আমি অতিথি তোমারই দ্বারে, ও গো বিদেশিনী...।’ যা শুনে দু’হাত দিয়ে লজ্জায় মুখ ঢাকছে চারু। আবার আঙুল সরিয়ে তাকাচ্ছে অমলের দিকে। চারুর মনের এই হিল্লোল যন্ত্রানুষঙ্গে সুন্দর ধরা পড়েছে। এখানেই সত্যজিতের মাস্টারস্ট্রোক! এটা উনি ছাড়া কেউ ভাবতেই পারবেন না। আমার এই অদ্ভুত ব্যবহার ভালো লাগে। এই যে, চারু-অমলের সম্পর্ক চেহারা পাচ্ছে, আবার পাচ্ছে না। ছবির সেরা দৃশ্য যেন লুকিয়ে রয়েছে ‘ও গো বিদেশিনী...’ গানের চিত্রায়ণেই।
আরও একটি গানের কথা মনে পড়ছে। ‘তিনকন্যা’র ‘মণিহারা’য় রুমা গুহঠাকুরতার গলায় ‘বাজে করুণ সুরে...।’ যা ব্যক্তিগতভাবেও আমার খুব ভালো লাগে। গানটির যে রেন্ডিশন্ শোনা গিয়েছে... আমার মতে, তা অসামান্য। ছবিটিতে ‘হরর’-এর সঙ্গে ‘প্যাথোস’-এর দারুণ মিশ্রণ আমাদের মুগ্ধ করে। ‘মণিহারা’য় স্বামী কালী বন্দ্যোপাধ্যায় অদ্ভুত বেদনায় দীর্ণ, কারণ স্ত্রীকে ভালবেসেও মন পাননি তিনি। স্ত্রীর আসক্তি শুধু অলঙ্কারেই। ‘বাজে করুণ সুরে...’র মধ্যে সেই অদ্ভুত মুহূর্ত তৈরি হয়েছে। দক্ষিণী রাগ ‘সিংহেন্দ্রমধ্যম’-এ আধারিত একটি গানের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে রবীন্দ্রনাথ এই গান বেঁধেছিলেন। গানটি অদ্ভুত থ্রিল তৈরি করে। যেন অপার্থিব একটা মুহূর্ত। জানলার পাশে খাটে বসে তানপুরা নিয়ে স্ত্রী গাইছেন, তাকে রক্তমাংসের মানুষ বলে আর মনে হচ্ছে না! আলো-ছায়ায় গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো একটা দৃশ্য। তার মধ্যে ‘বাজে করুণ সুরে...’ , এ সত্যজিতের অপার দক্ষতা ছাড়া আর কী!
রবীন্দ্রনাথের লেখা নয়, এমন ছবিতেও সত্যজিতের রবীন্দ্রসঙ্গীত ব্যবহারের আরও একটি মুন্সিয়ানা আমার মনে ভাসছে। ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’-য় অমিয়া ঠাকুরের গলায় ‘এ পরবাসে রবে কে?...।’ করুণা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লিপে অপূর্বভাবে ব্যবহার করেছেন অস্কারজয়ী চলচ্চিত্রকার। ছবির সব ক’টি চরিত্রের যে টানাপোড়েন, তার মধ্যে দারুণভাবে গানটা আসছে। গানের পরে করুণার দাদার চরিত্রে পাহাড়ি সান্যাল তাঁকে এসে বলছেন, “কত দিন পরে গান গাইলি বল তো।” গানের মধ্যে এমন একাকীত্ব, যার পরেই করুণা বলে ওঠেন, “দাদা, ওরা সব কোথায়?” একা থাকার যন্ত্রণা বোঝাতে এর চেয়ে নিদারুণ দৃশ্যায়ন আর হয় না। ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’ ছবির সম্পদ এই গানটি।
 অনুলিখন: অন্বেষা দত্ত 
10th  May, 2020
আমরি বাংলা ভাষা
অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়

রোজকার মতো প্রাতঃভ্রমণ সেরে চায়ের দোকানে এসে বসলেন চণ্ডীবাবু। কাগজের দিকে হাত বাড়াতে যাচ্ছিলেন। আর মধ্যেই আমাকে দেখে বলে উঠলেন—
গুড মর্নিং স্যর, হ্যাপি বেঙ্গলি নিউ ইয়ার। বিশদ

14th  April, 2024
রহস্যময় গম্ভীরা

পুরীর গম্ভীরায় জীবনের শেষ আঠারোটা বছর কাটিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব। অন্তর্ধানের আগে মহাপ্রভু অন্তিমবারের মতো বের হয়েছিলেন সেখান থেকেই। সেই গম্ভীরা ঘুরে ইতিহাস-রহস্যের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার। বিশদ

07th  April, 2024
জিপিও ২৫০

বুধবারের দুপুরবেলা। দোল-হোলি পর্বের টানা ছুটি কাটিয়ে এবার ছন্দে ফেরার পালা। কিন্তু একটু বড় ছুটি পেলেই মানুষের মতো শহরটাকেও জড়িয়ে ধরে আলস্য। অফিস-কাছারি খুলতেই আড়মোড়া ভাঙছে শহর। রাস্তাঘাটে অবশ্য তেমন ভিড় নেই। বিশদ

31st  March, 2024
অন্ধকূপেই ডাকঘরের জন্ম

শহরের বুক থেকে ইংরেজদের পুরনো কেল্লার সীমানা মুছে গিয়েছে কবেই। ফিকে হয়ে এসেছে নবাব সিরাজদ্দৌলার কলকাতা আক্রমণ, প্রথম যুদ্ধজয় এবং অন্ধকূপ হত্যার স্মৃতি। এমনটাই যে হবে, আগেই অনুমান করতে পেরেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ইংরেজরা।
বিশদ

31st  March, 2024
নানা রঙের দোল

বারসানায় এখন পা-টুকু নিশ্চিন্তে রাখার জো নেই! দেহাতি, দক্ষিণ ভারতীয়, বাঙালি, বিদেশি কে নেই সেই বিখ্যাত ভিড়ে। প্রায় সবার মাথায় রংবেরঙের পাগড়ি। কারও হাতে আবির, তো কারও ক্যামেরা। একসপ্তাহ ধরে চলছে রঙখেলা। হোলি... লাঠমার।
বিশদ

24th  March, 2024
 ‘যত মত তত পথ’
পূর্বা সেনগুপ্ত

দক্ষিণেশ্বরের দেবালয়। বিরাট বারান্দার এক কোণের ঘরে বসে ভক্তসঙ্গে ধর্মপ্রসঙ্গ করছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। দেবালয়ের পাঁচ টাকা মাইনের পুরোহিত হলে কি হবে...মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাণী রাসমণি থেকে তাঁর জামাই মথুরবাবু, সকলেই তাঁকে সমীহ করে চলেন। বিশদ

17th  March, 2024
ওপেনহাইমার ও যুদ্ধবাণিজ্য

কয়েক ঘণ্টার মাত্র অপেক্ষা। লস এঞ্জেলসের আলো ঝলমলে ডলবি থিয়েটারে শুরু হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্মি শোবিজ—অস্কার। এবারের অস্কার হুজুগে সারা পৃথিবীর সংবাদ শিরোনামে ‘ওপেনহাইমার’। ক্রিস্টোফার নোলানের এই সিনেমার সঙ্গেই অতীতকে ফিরে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ।
বিশদ

10th  March, 2024
এলিট ইতিহাস
কলহার মুখোপাধ্যায়

সে নিজেই একটা ইতিহাস! তবু বেলা না যেতে খেলা তব গেল ঘুচে। তখন নাইট ক্লাব, হুক্কা বার, হ্যাং আউট, শপিং মলের কথা শোনালে মানুষ ভাবতো তামাশা করছে।
বিশদ

03rd  March, 2024
স্বেচ্ছামৃত্যু
 

গ্রিক ভাষায় ‘ইউ’ মানে ভালো আর ‘থ্যানেটোজ’ মানে মৃত্যু। দুইয়ে মিলে ইউথ্যানেশিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যু। গত বছর ভারতে আইনসিদ্ধ হয় প্যাসিভ ইউথ্যানেশিয়া। আইনত বৈধ হলেও, সেই পদক্ষেপকে ঘিরে দানা বাঁধছে সংশয়। স্বেচ্ছামৃত্যুর ইতিবৃত্ত খতিয়ে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ
বিশদ

25th  February, 2024
আ’মরি বাংলা ভাষা

আসছে আরও একটা একুশে ফেব্রুয়ারি। হোয়াটসঅ্যাপ যুগে ক্রমে গুরুত্ব হারাচ্ছে দিনটি। তবুও বাংলা ভাষা বেঁচে আছে। থাকবেও। অসম ও বাংলাদেশ ঘুরে এসে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস। বিশদ

18th  February, 2024
সরস্বত্যৈ নমো নমঃ
কৌশিক মজুমদার

আমাদের নয়ের দশকের মফস্বলে উত্তেজনার খোরাক বলতে খুব বেশি কিছু ছিল না। বিশেষ করে আমরা যারা সেকালে ছাত্র ছিলাম, তাদের জন্য। মাস্টারমশাই আর অভিভাবকদের গণ ছাতাপেটাইয়ের ফাঁকে বুধবার সন্ধ্যায় টিভিতে চিত্রহার আর রবিবার সকালের রঙ্গোলিতে কিছু বস্তাপচা গান বাদে গোটা হপ্তাটাই কৃষিকথার আসর আর ‘খবর পড়ছি দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়’-এর মতো নেহাত নিরেস ছিল। বিশদ

11th  February, 2024
কুল খেতে মানা
সন্দীপন বিশ্বাস

স্কুল থেকে ফেরার পথে বিন্তির চোখে পড়ল, বাজারে বিক্রি হচ্ছে বড় বড় কুল। পাশে রয়েছে আপেল কুল, টোপা কুল। তাই দেখে তার জিভে জল এসে গেল। মনে হল, কেটে নুন দিয়ে মেখে খেলে বিকেলটা জমে যাবে। মায়ের কাছে সে আবদার করল, ‘আমায় একটু কুল কিনে দাও না মা!’  বিশদ

11th  February, 2024
নেতাজির বিমা কোম্পানি
সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত

১৯৪১ সাল। শীতের সন্ধ্যা। ঢাকা শহরের নবাবপুর অঞ্চলে এক ব্যক্তি ঘুরছেন। রাত্রি নামার আগে তাঁকে গন্তব্য পৌঁছতেই হবে। কিন্তু রাস্তায় কারও কাছে ঠিকানা জানার হুকুম নেই। চারদিকে পুলিসের জাল বিছানো। নবাবপুর রোডের কাছে রায় কোম্পানির বিখ্যাত বিলাতি মদের দোকানের সামনে এসে চোখ পড়ল একটি বাড়ির দরজায়। বিশদ

04th  February, 2024
আইএনএ’র বিপ্লবী ডাক্তার
বিশ্বজিৎ মাইতি

‘অস্থায়ী হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন শয়ে শয়ে মরণাপন্ন রোগী। চিকিৎসক ও নার্সদের দাঁড়ানোর ফুরসত নেই। আচমকাই সাইরেন বেজে উঠল। মুহূর্তের মধ্যে দৈত্যের মতো আওয়াজ তুলে হাজির যুদ্ধবিমান। প্রাণের ভয়ে পাশের পরিখায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন অনেকে। বিশদ

04th  February, 2024
একনজরে
কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...

আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: পাঞ্জাবকে ৯ রানে হারাল মুম্বই

18-04-2024 - 11:50:54 PM

আইপিএল: ২১ রানে আউট হরপ্রীত ব্রার, পাঞ্জাব ১৮১/৯ (১৯ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:46:48 PM

আইপিএল: ৬১ রানে আউট আশুতোষ শর্মা, পাঞ্জাব ১৬৮/৮ (১৭.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:36:00 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি আশুতোষ শর্মার, পাঞ্জাব ১৫১/৭ (১৫.৩ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:22:48 PM

আইপিএল: ৪১ রানে আউট শশাঙ্ক সিং, পাঞ্জাব ১১১/৭ (১২.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:02:15 PM

আইপিএল: ৯ রানে আউট জীতেশ শর্মা, পাঞ্জাব ৭৭/৬ (৯.২ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 10:48:50 PM