Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

ভাইরাস যুদ্ধ
সমৃদ্ধ দত্ত

ক্রিস্টান স্বপ্ন দেখছেন ড্যানি বেঁচে আছে। তাঁকে ডাকছে...মাম্মি...মাম্মি...। ধড়ফড় করে উঠে বসলেন ক্রিস্টান। কে ডাকছে? ড্যানি..ড্যানি..। নাঃ, ড্যানি তো ডেড! বেসিনে চোখে মুখে জল ছিটিয়ে একবার ড্যানির বেডরুমে গেলেন। ঢুকেই স্তব্ধ হয়ে দেখলেন দেওয়ালে লেখা আছে, ড্যানি বেঁচে আছে..। কে লিখল? পরদিন হাঁটার সময় আচমকা রাস্তার দেওয়ালে দেখা যাচ্ছে লেখা, ড্যানি বেঁচে আছে। অফিসের টাইপরাইটারের পাশে একটি কাগজে লেখা, ড্যানি মারা যায়নি...সে বেঁচে আছে। অজানা কণ্ঠস্বরে ফোন আসছে, ড্যানি মারা যায়নি..।
অথচ ক্রিস্টিনা ইভান্সের ছেলে ড্যানি এক বছর আগেই মারা গিয়েছে। একটি ক্যাম্পে গিয়েছিল। খবর এসেছিল যারাই ক্যাম্পে গিয়েছে, সকলেই একে একে মারা যাচ্ছে। এমনকী গাড়ির ড্রাইভারও। ড্যানি আর ফিরে আসেনি। কিন্তু এই মেসেজগুলোকে কীভাবে অগ্রাহ্য করবেন একজন মা! তাই ক্রিস্টিনা ঠিক করলেন তিনি ড্যানির খোঁজে বেরোবেন। ড্যানি কীভাবে মারা গেল? কী ঘটেছিল? জানতেই হবে। অবশেষে টানটান উত্তেজনা শেষে জানতে পারলেন ড্যানি একটি মিলিটারি ফেসিলিটি সেন্টারে ভর্তি। চীনে। একটি অদ্ভূত ভাইরাসের সংস্পর্শে এসে গিয়েছিল ক্যাম্পে যাওয়া তাদের গোটা টিম। সেখানেই মারা গিয়েছে সবাই। শুধু ড্যানিকে নিয়ে আসা হয়েছে পর্যবেক্ষণের জন্য। ভাইরাসের গতিপ্রকৃতি যাচাইয়ের জন্য। ভাইরাসের নাম, উহান-ফোর হান্ড্রেড! যা আসলে এক বায়ো ওয়েপন। জৈব অস্ত্র। এই ভাইরাস একমাত্র মানুষকেই আক্রমণ করে।
উহান ফোর হান্ড্রেড ভাইরাস কোথা থেকে লিক করেছে? চীনের উহান শহরের বাইরেই থাকা রিকমবিডিন্ট ডিএনএ ল্যাবরেটরি থেকে। যেখানে বায়ো ওয়েপন তৈরি করা হচ্ছে গোপনে। আর সেই ল্যাবরেটরি থেকেই আচমকা লিক হয়েছে এক মারণ ভা‌ইরাস। যার লক্ষ্য আমেরিকা। এই হল প্লট। ১৯৮১ সালের এক আমেরিকান থ্রিলার বই। নাম, ‘দ্য আই অব ডার্কনেস’। লেখক ডিন কুনৎজ। ভাইরাসের নাম উহান-৪০০ (যদিও প্রথমে ভাইরাসের নাম দেওয়া হয়েছিল গোর্কি ৪০০। গোর্কি রাশিয়ার এক শহরের নাম। ১৯৮৯ সালে ওই বই যখন আবার সংস্করণ হল, তখন নাম পরিবর্তন করে ভাইরাসের নাম হয়ে যায় উহান। অর্থাৎ চীনের শহর। ঠিক ৩৯ বছর পর গোটা বিশ্বে মারণখেলায় নেমেছে যে ভাইরাসটি, সেই করোনার উৎপত্তিও ঘটনাচক্রে উহানেই। ঠিক যেরকম লেখা ছিল ওই বইতে। ওই থ্রিলারে বলা হয়েছিল উহান-৪০০ ভাইরাস সংক্রমণ মারাত্মক। আশ্চর্য, সেই উহানেই রয়েছে ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি। চীনের একমাত্র লেভেল ফোর বায়োসেফটি ল্যাবরেটরি। যে গবেষণাগারে কালান্তক মারক ভাইরাস নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়ে থাকে।
উহানে কী কী পরীক্ষা হয়েছে সাম্প্রতিককালে? ইবোলা, নিপা। দুই মারণ ভাইরাস। ১৯৮১ সালের একটি বই কীভাবে মিলিয়ে দিল ২০১৯ সালের এক ভাইরাস মহামারীর আন্তর্জাতিক ঘটনাকে? সেই নিয়েই আপাতত তোলপাড় দুনিয়া। কিন্তু ওটা তো একটা উপন্যাস। কাকতালীয় হতেই পারে। তাহলে একট সত্যি ঘটনা শোনা যাক।
২০১২, ১৩ জুন। ডাঃ আলি মহম্মদ জাকির ভ্রু কুঁচকে যাচ্ছে। মিশরের এই ভাইরোলজিস্ট জেড্ডায় একটি প্রাইভেট ফাইভ স্টার হাসপাতালের কেবিন নম্বর টু থার্টি ফাইভে বসে আছেন চিন্তিত মুখে। তাঁর রোগীর জ্বর সারছে না। শুধুই কাশি আর শ্বাসকষ্ট। রুটিন ডায়াগনসিস টেস্টে ধরা যাচ্ছে না। ভাইরাসটি কেমন টাইপের? বুঝতে পারছেন না ডাঃ জাকি। তিনি একটা কাজ করলেন। নেদারল্যান্ডসের এরাসমাস মেডিকেল সেন্টারে ফোন করলেন। ডাঃ রন ফ্যুশিয়ার। তাঁর বন্ধু। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভাইরোলজিস্ট। নমুনাও পাঠানো হল। রন অত্যাধুনিক পরীক্ষা করলেন। তিনি ভাইরাসের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে কিছুই বুঝতে না পেরে ইউজ করলেন রিয়াল টাইম পলিমেরাস চেন রিঅ্যাকশন প্রক্রিয়া। টেস্ট করার জন্য। যাতে পরিচিত ভাইরাসের বৈশিষ্ট্যগুলির প্রকৃতির সঙ্গে সাযুজ্য বা বৈসাদৃশ্য পাওয়া যায়। আরও নিশ্চিত হতে এই করোনা ভাইরাস স্যাম্পল তিনি পাঠালেন কানাডায়। ভাইরোলজি গবেষণার জগতে কানাডার ন্যাশনাল মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবরেটরি শীর্ষতম স্থানে। সেখানে চিফ ভাইরোলজিস্ট ডাঃ ফ্র্যাঙ্কের কাছে গেল সেই ভাইরাসের নমুনা। পরীক্ষা শুরু করলেন তিনি। মার্চ ২০১৯। কানাডা থেকে হঠাৎ একঝাঁক ভয়ঙ্কর ভাইরাসের এজেন্ট পৌঁছলো চীনে। এবং জানাজানি হয়ে গেল যে কানাডা এরকম ভাইরাস এজেন্ট চীনের গবেষণাগারে পাঠিয়েছে। কিন্তু কেন? কানাডার ভাইরোলজি দপ্তর ও সরকারের মাথায় বাজ পড়েছে। কোথায়! তারা তো এরকম কিছু‌ পাঠায়নি! তাদের গবেষণার বিষয়টি আচমকা কেন চীনে পাঠাতে যাবে তারা? তাহলে কারা পাঠালো ওই গোপন এজেন্ট? তার মানে তো চুরি হয়েছে ভাইরাস? কিন্তু ওই ভাইরাসের নমুনা মারাত্মক জৈব অস্ত্র হয়ে ওঠার মতো শক্তি রাখে। কে চুরি করল?
৫ জুলাই কানাডার সেই মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবের করিডরে ঘটছিল একটা বিস্ময়কর দৃশ্য। কানাডার রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের দুই তদন্তকারী স্পেশাল এজেন্ট জেরা করছেন এক চীনা মহিলা বিজ্ঞানীকে। জিয়াং গো কিউ তাঁর নাম। ওই ল্যাবে যাঁর কাজ ছিল ইবোলা ভাইরাসের জেড ম্যাপিং ডেভেলপ করা। তিনি সাংঘাতিক সম্মানিত এক বিজ্ঞানী। তাঁর সঙ্গে গোপন যোগাযোগ চীনের? স্পাইং করছিলেন? কাজ করছিলেন এবোলা নিয়ে। ২০১৪ সালে এই মারাত্মক ভাইরাস পশ্চিম আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়ে। কিউ চীনা হলেও কানাডার নাগরিক। কানাডার সায়েন্টিস্ট। তদন্তের পর আর কিউকে একা নয়, তাঁর সঙ্গে থাকা তাঁর পাঁচজন স্টুডেন্টকেও আটক করা হয়। সকলেই জন্মসূত্রে চীনের। স্পাইং বা চরবৃত্তির অভিযোগ। কিন্তু ওই চারটি ভাইরাস এজেন্ট কে চুরি করল? প্রমাণ পাওয়া যায়নি! সেই থেকে কানাডার সঙ্গে চীনের সম্পর্কের অবনতি শুরু হল। কানাডা এবং আমেরিকা আশঙ্কা করতে শুরু করল, চীন আগ্রাসীভাবে বায়ো ওয়েপন তৈরি করছে। তাবৎ ইনফরমেশন যাতে গবেষণাগারের সমস্ত কম্পিউটার থেকে ডিলিট করা যায়, সেই প্রক্রিয়া চলাকালীনই কানাডার সিকিউরিটি ইনটেলিজেনন্স সার্ভিস জানাল ভয়ঙ্কর তথ্য! চীন ইতিমধ্যেই কানাডার ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিলের ওয়েবসাইট হ্যাক করে সাইবার অ্যাটাক চালিয়েছে। আমেরিকা আর কানাডা একদিকে। অন্যদিকে চীন। তারপরই প্রবল গোপন লড়াই শুরু হল ভাইরোলজি গবেষণার গোপন দুনিয়ায়। চীন প্রকাশ্যেই জানিয়েছে, কানাডার সব অভিযোগ মিথ্যা। সেই মহিলা সায়েন্টিস্ট ডাঃ জিয়াং গো কিউ যে প্যাথোজিনস প্রোগ্রামের প্রধান ছিলেন সেই ডকুমেন্ট আর ফর্মেশন ফাইল সব উধাও!
বিশ্বজুড়ে একের পর এক দেশে যখন প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে একটি কালান্তক ভাইরাসের আক্রমণে, তখন সবথেকে বেশি যে থিওরি দুনিয়াজুড়ে বিজ্ঞানীদের ঘুম কেড়ে নিয়েছে সেটি হল, এই করোনা ভাইরাস কি আসলে সুপার পাওয়ার দুই দেশের বায়োলজিক্যাল ওয়ার? আমেরিকা বনাম চীন? এই যুদ্ধে এই প্রথম ইউরোপ এবং আমেরিকা প্রবলভাবে ব্যাকফুটে। বস্তুত করোনার আক্রমণ চীনে শুরু হলেও, তারপর আচমকা সেখানে মৃত্যু প্রায় স্তব্ধ। এরকম ম্যাজিকের কারণ কী? নাকি চীন সঠিক তথ্য দিচ্ছে না? কিন্তু বেছে বেছে পশ্চিমী দুনিয়ার তাবৎ ধনী ও প্রভাবশালী দেশগুলির মানুষ ও অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আমেরিকার তিনজন সেনেট সদস্য পর্যন্ত এই অভিযোগ করেছেন যে, এই করোনা আক্রমণ চীনের জৈব যুদ্ধ। চীনের পাল্টা দাবি, আমেরিকা নিজেদের অপদার্থতা ঢাকতে এসব ফেক নিউজ ছড়াচ্ছে কেন? আমেরিকা প্রশাসন সরাসরি এই নিয়ে মন্তব্য না করলেও, চীন যে প্রচুর কিছু গোপন করছে এই প্রশ্ন তুলেছে। যদিও বিশ্বের সিংহভাগ দেশ এবং বিজ্ঞানীরাই এই ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছে। বলা হচ্ছে এসব গালগল্প। এটা সত্যিকারের একটা ন্যাচারাল ভাইরাস। চীনের সি ফুড মার্কেট থেকেই ছড়িয়েছে।
কেন এই চক্রান্তের সন্দেহ? কারণ একঝাঁক মিসিং লিঙ্ক। করোনা ভাইরাসের আচরণ প্রবল বিস্ময়কর। এই প্রথম কোনও ভাইরাসকে দেখা যাচ্ছে প্রিভিলেজড ক্লাসকেই আক্রমণ করছে সবথেকে বেশি। অর্থাৎ বিমানে চড়ে, এ দেশ ও দেশ ঘুরে বেড়ায় এরকম ধনী শ্রেণী বেশি আক্রান্ত। বড়লোক দেশগুলিই বেশি ধ্বংসের মুখে। চীন থেকে যাত্রা শুরু করা ভাইরাস ইউরোপ-আমেরিকায় যাওয়ার আগে কত অসংখ্য ছোটখাট এশিয়া, আফ্রিকার দেশ আছে মানচিত্রে। কই কাউকেই তো স্পর্শই করল না! করলেও ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানি, ব্রিটেন, আমেরিকার আতঙ্কজনক পরিস্থিতির ধারেকাছে কেউ নেই। এই প্রতিটি দেশ আর্থিকভাবে ধনী এবং বিশ্বে সামরিক অস্ত্রে সবথেকে শক্তিশালী। বেছে বেছে সেই শক্তিশালী ও ইতিহাসে খ্যাতনামা দেশগুলিই জনসংখ্যা ও অর্থনীতিগতভাবে ধ্বংসের মুখে। বিগত ৭৫ বছরে শেষ কবে ইতালি, স্পেন, আমেরিকায় দিনে ১ হাজার করে মানুষ মারা যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে তা মনে করা যাচ্ছে না। অথচ চীনের ধ্বংসলীলা প্রায় থমকে গিয়েছে। আর তিন হাজারের গণ্ডি পেরোচ্ছে না। সেই তথ্য সত্যি? নাকি গ্রেট কভার আপ? এসব প্রশ্নের জরার দিয়েছে গ্লোবাল টাইমস। চীনের সরকারি মুখপত্র। তারা বলছে, চীনের নিয়ন্ত্রণ স্ট্র্যাটেজি অনেক কার্যকর। তাই চীন অনেকটাই স্তিমিত করতে পারছে। এরপরেই বেজিং প্রশ্ন তুলেছে, আমেরিকা যে কতটা অপ্রস্তুত সেটা প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে। অযথা এখন চীনের নামে বদনাম করা হচ্ছে কেন?
অবশ্য এর উল্টো তত্ত্বও রয়েছে। চীনে প্রথম কেস ধরা পড়েছিল ২০১৯ সালের ৮ ডিসেম্বর। কিন্তু উহানের প্রশাসন কঠোরভাবে অর্ডার সার্কুলার করে জানিয়ে দেয় একথা যেন বাইরে প্রকাশিত না হয়। নিউ ইয়র্ক টাইমস ২২ মার্চের সংখ্যায় লিখেছে যে সময় উহানে লকডাউন হয়ে যাওয়া উচিত ছিল, সেই সময়ই অর্থাৎ, পয়লা জানুয়ারি অন্তত ১ লক্ষ ৭৫ হাজার মানুষ উহান থেকে বেরিয়ে বিদেশের বিভিন্ন দেশে চলে যায়। পরবর্তী তিন সপ্তাহ ধরে কমপক্ষে ৭০ লক্ষ মানুষ উহান ও হুবেই প্রদেশ থেকে বেরিয়েছে। অন্তত ৮৫ শতাংশ মানুষই সংক্রমণের শিকার ছিল। কিন্তু সম্পূর্ণ ডিটেকশন না হওয়া অবস্থায় তারা ছড়িয়ে গিয়েছে দেশদেশান্তরে। ২৬টি দেশের ৩০টি শহরে। চীনের প্রথম যে ভাইরোলজিস্ট ডাক্তার সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন যে, নভেম্বর মাসেই কিন্তু করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে, সেই ডক্টর ওয়েংলিয়ানকে হাসপাতাল থেকে সরিয়ে তাঁকে চুপ করে থাকতে বলা হয়েছিল কেন? আর তার থেকে মারাত্মক তথ্য হল, কেনই বা তিনি কিছুদিন পর নিজেই করোনা সংক্রমণে মারা গেলেন?
বিগত কয়েক বছর ধরে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ চরমে উঠেছে। সবথেকে বেশি লড়াই কী নিয়ে? টেলিকমে ফাইভ জি নিয়ে কে বিশ্বজয় করবে? সেটা নিয়েই চলছিল মরণপণ এক গোপন প্রতিযোগিতা। দ্বিতীয়ত ইরানের আর্থিক নিষেধাজ্ঞার পর পশ্চিম এশিয়ার তেলের দখল। কিন্তু করোনার ধাক্কায় ইউরোপের অর্থনীতি আপাতত বহুদিন আর মাথা তুলতে পারবে না। এই মৃত্যুমিছিল কবে শেষ হবে কেউ জানে না। আমেরিকা এরকম অকল্পনীয় ধাক্কা, আতঙ্ক কাটিয়ে কতটা বেরিয়ে আসতে পারবে, তা নিয়ে আপাতত সন্দেহ আছে। সুতরাং ২০২০ সালের পর পৃথিবীর পাওয়ার করিডরের সমীকরণ অন্যরকম হয়ে যাবে।
২০২০, ইতিহাসের ট্রু সায়েন্স ফিকশন!

ছবি: এএফপি
সহযোগিতায়: উজ্জ্বল দাস
05th  April, 2020
এয়ারলিফট 
সমৃদ্ধ দত্ত

একটা স্তব্ধতা তৈরি হল ঘরে। সন্ধ্যা হয়েছে অনেকক্ষণ। এখন আর বেশি কর্মী নেই। অনেকেই বাড়ি চলে গিয়েছেন। তবু কিছু লাস্ট মিনিট আপডেট করার থাকে। তাই কয়েকজন এখনও রয়েছেন অফিসে। তাঁদেরও ফিরতে হবে।  
বিশদ

17th  May, 2020
রবির মানিক 

শ্রীকান্ত আচার্য: অতীতে কলকাতায় বরাবরই ঠাকুর পরিবার এবং রায়চৌধুরী পরিবার, সব দিক থেকে অত্যন্ত সমৃদ্ধ ছিল। তা সে জ্ঞানের পরিধি বলুন বা সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল—সব ক্ষেত্রেই এই দুই পরিবার উন্নত করেছে বাংলাকে। উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর জন্ম ১৮৬৩ সালে।  
বিশদ

10th  May, 2020
অনুরাগের রবি ঠাকুর 

সন্দীপ রায়: বাবার কলাভবনে ভর্তি হওয়া থেকেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে সংযোগটা একরকম তৈরি হয়ে গিয়েছিল। যদিও আপনারা জানবেন, শৈশবে ওঁর মোটেই শান্তিনিকেতন যাওয়ার ইচ্ছে ছিল না। তবে হ্যাঁ, সেখানে গিয়ে কিন্তু তাঁর অবশ্যই মন পরিবর্তন হয়েছিল। 
বিশদ

10th  May, 2020
‘ছবিটা ভাই ভালো হয়েছে। তবে
চলবে কি না, বলতে পারছি না!’ 

প্রশ্ন: ‘চারুলতা’-র জন্য নিজেকে কীভাবে তৈরি করেছিলেন?
মাধবী: ছ’বছর বয়স থেকে কাজ করা শুরু করেছিলাম। তারপর নানা পথ পেরিয়ে প্রেমেন্দ্র মিত্রের সঙ্গে কাজ। ‘সাহসিকা’ বলে একটি ছবিতে হিরোইনের ছেলেবেলার চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। 
বিশদ

10th  May, 2020
বন্ধু আমার...
দীপ্তি নাভাল

আমি হতবাক: আমি বাকরুদ্ধ। চিন্টুর চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। তবে অসুস্থতার খবর আগেই পেয়েছিলাম। চিন্টুর মৃত্যুর আগের দিন ইরফানের খবরটা পাই। তখনই মানসিকভাবে বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছিলাম। এর পরপরই খবর আসে যে চিন্টু অসুস্থ। বিশদ

03rd  May, 2020
তোমার স্মৃতিতে...
অমিতাভ বচ্চন

দেওনার কটেজে প্রথম দেখেছিলাম চিন্টুকে। প্রচণ্ড হাসিখুশি, প্রাণবন্ত এক তরুণ। দু’চোখ ভরা দুষ্টুমি। দিনটা আমার কাছে সত্যি বিরল। কারণ, রাজ জি’র বাড়িতে আমন্ত্রণ পাওয়ার মতো সৌভাগ্য আমার তখন খুব একটা হতো না। তারপর থেকে আরও বেশি করে দেখতাম ওকে... আর কে স্টুডিওয়। 
বিশদ

03rd  May, 2020
বিদায়
তিগমাংশু ধুলিয়া

দীর্ঘ ৩৪ বছরের বন্ধুত্ব তাঁদের। ইরফান খানের সঙ্গে জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালক-অভিনেতা তিগমাংশু ধুলিয়ার পথ চলা শুরু ‘ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা’ র আঙিনা থেকে। এরপর তিগমাংশুর পরিচালনায় হাসিল, চরস, পান সিং তোমার, সাহেব বিবি অউর গ্যাংস্টার রিটার্নস ছাড়া একাধিক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে কাজ করেছেন ইরফান।
বিশদ

03rd  May, 2020
প রি বা র...
সুতপা, বাবিল, অয়ন
সুতপা শিকদার

 পরিবারের পক্ষ থেকে লিখতে বসে একটাই প্রশ্ন বারবার মনে আসছে... কী করে লিখব? এটা কি শুধু আমার পরিবারের ক্ষতি? গোটা দুনিয়াকে দেখছি... সবাই যেন পাথর হয়ে গিয়েছে ও চলে যাওয়ার পর। বিশদ

03rd  May, 2020
অক্ষয় হোক এই তৃতীয়া!
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

 ভারতবর্ষ সেই দেশ, যে দেশের মানুষ সৃষ্টির আদিতে শুনেছিল স্রষ্টার কণ্ঠস্বর—তোমরা সবাই অমৃতের পুত্র। গড়ে উঠেছিল অপূর্ব এক শান্ত সভ্যতা। পেয়েছিল একটি ধর্ম, যার মূল কথা ছিল জীবনের চারটি স্তম্ভ— ধর্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ।
বিশদ

26th  April, 2020
কেমন যাবে ১৪২৭
শ্রীশাণ্ডিল্য

  ১৪২৭ সালের সূচনাকালে রাশিচক্রে নবগ্রহের অবস্থান— রবি মেষে, শুক্র বৃষে, রাহু মিথুনে, চন্দ্র ও কেতু ধনুতে, মকরে বৃহস্পতি, শনি, মঙ্গল ও মীনে বুধ। তিথি— কৃষ্ণ সপ্তমী, শিবযোগ,ববকরণ পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র। মেষ থেকে লগ্ন আরম্ভ। বারোটি রাশির নতুন বছরের ভাগ্যবিচার। তাই ‘অন্নগতপ্রাণ’ মানুষের আর্থ-সামাজিক, পারিবারিক ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বকেই প্রাধান্য দেওয়া হল।
বিশদ

19th  April, 2020
 টি ২০ নয়,
এটা টেস্ট ম্যাচ

পিজি হাসপাতালের লিভার সংক্রান্ত বিদ্যা হেপাটোলজি’র অধ্যাপক। পূর্ব ভারতের সরকারিভাবে লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশনের অন্যতম উদ্যোগী মানুষ। পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় তৈরি রাজ্যের একাধিক শীর্ষ কমিটির সদস্য, কো-অর্ডিনেটর। একইসঙ্গে অনেকগুলি দায়িত্ব পালন করছেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরী। সাক্ষাৎকারে বিশ্বজিৎ দাস।
বিশদ

12th  April, 2020
সামাজিক দূরত্বই ওষুধ
ডাঃ দেবী শেঠি
বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ

 ১৯১৮ সালে আমেরিকায় আঘাত হানল ভয়ঙ্কর স্প্যানিশ ফ্লু। ফিলাডেলফিয়া প্রদেশে প্রাণহানি হল হাজার হাজার মানুষের। অথচ, ওই একই মহামারীর প্রকোপে সেন্ট লুইস শহরে প্রাণহানি ঘটল ফিলাডেলফিয়ার তুলনায় অর্ধেক! কারণ ভয়ঙ্কর মহামারীর ওই আতঙ্কের আবহেও, ফিলাডেলফিয়ায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমর্থনে আয়োজিত হয়েছিল বিরাট জন সমাবেশের। বিশদ

12th  April, 2020
 দিল্লির প্রথম আক্রান্ত

 সৌম্য নিয়োগী: রোহিত দত্ত। ৪৫ বছরের এই ব্যবসায়ীই রাজধানী দিল্লির রাতের ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছিলেন। ইতালি থেকে ফিরেছিলেন সংক্রমণ নিয়ে। ফিরে এসে ছেলের জন্মদিনে দিল্লির বিলাসবহুল হোটেলে পার্টি করেছেন। তারপর সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
বিশদ

12th  April, 2020
 নিজামুদ্দিনে আজ মনখারাপের লকডাউন

 এমন কোনও দিল্লিবাসী আছেন নাকি যিনি আজ পর্যন্ত হজরত নিজামুদ্দিন দরগায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কখনও একবার অন্তত আসেননি কাওয়ালির আসরে? বিশদ

05th  April, 2020
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: উম-পুন বিধ্বস্ত এলাকার থানাগুলিতে বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের পরিষেবা মিলছে না। বিদ্যুৎ সংযোগ কবে ফের স্বাভাবিক হবে, তা কারওরই জানা নেই। আলো বলতে টর্চই ভরসা। কিন্তু তাও হাতেগোনা। এই অবস্থায় ইমার্জেন্সি লাইট ও টর্চ চেয়ে ঘন ঘন ...

  বেজিং, ২২ মে (পিটিআই): করোনা সঙ্কটের মধ্যেও দেশের প্রতিরক্ষা বাজেটে বরাদ্দ বাড়াল চীন। বাজেট বাড়িয়ে ১৭ হাজার ৯০০ কোটি ডলার করা হয়েছে। অর্থাৎ ভারতের প্রতিরক্ষা বাজেটের তিনগুণ। গতবছর চীনের প্রতিরক্ষা বাজেটের পরিমাণ ছিল ১৭ হাজার ৭৬০ কোটি ডলার। ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: উম-পুনের আঘাতে রাজ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মোকাবিলায় এক হাজার কোটি টাকা অনুদান সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণাকে স্বাগত জানাল বাম ও কংগ্রেস। ...

  মুম্বই, ২২ মে (পিটিআই): কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য বেসরকারি এবং চ্যারিটেবল হাসপাতালের শয্যার ভাড়ার তিনটি ধাপে বেঁধে দিল মহারাষ্ট্র সরকার। একইসঙ্গে সরকার ঠিক করেছে, এই স্ল্যাবের মধ্যে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য মোট বেডের ৮০ শতাংশ ধরে রাখতে হবে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০৬-নাট্যকার হেনরিক ইবসেনের মৃত্যু
১৯১৮: ইংরেজ ক্রিকেটার ডেনিস কম্পটনের জন্ম
১৯১৯-জয়পুরের রাজমাতা গায়ত্রী দেবীর জন্ম
১৯৫১-বিশিষ্ট দাবাড়ু আনাতোলি কারাপোভের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৮৯ টাকা ৭৪.৮৯ টাকা
পাউন্ড ৯০.৮৮ টাকা ৯০.৮৮ টাকা
ইউরো ৯০.৮৮ টাকা ৮৪.৩৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৩ মে ২০২০, শনিবার, প্রতিপদ ৪৮/২০ রাত্রি ১২/১৮। রোহিণীনক্ষত্র ৫৯/৪৬ রাত্রি ৪/৫২। সূর্যোদয় ৪/৫৭/২৯, সূর্যাস্ত ৬/৯/৫। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫২ গতে ৭/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১১/১২ গতে ১/২১ মধ্যে পুনঃ ২/৪৭ গতে অস্তাবধি। বারবেলা ৬/৩৭ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ২/৫১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩০ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৭ গতে উদয়াবধি।
৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৩ মে ২০২০, শনিবার, প্রতিপদ রাত্রি ১১/৪২। সূর্যোদয় ৪/৫৭, সূর্যাস্ত ৬/১২। রোহিণীনক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৩৪। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৬ গতে ৬/১২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/০ গতে ৭/৪২ মধ্যে ও ১১/১৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৪৮ গতে ৪/৫৭ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৬ মধ্যে ও ১/১৩ গতে ২/৫৩ মধ্যে ও ৪/৩২ গতে ৬/১২ মধ্যে কালরাত্রি ৭/৩২ মধ্যে ও ৩/৩৬ গতে ৪/৫৭ মধ্যে।
 ২৯ রমজান

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৯০৬-নাট্যকার হেনরিক ইবসেনের মৃত্যু১৯১৮: ইংরেজ ক্রিকেটার ডেনিস কম্পটনের জন্ম ১৯১৯-জয়পুরের ...বিশদ

07:03:20 PM

গুজরাতে কোভিড-১৯ পজিটিভ আরও ৩৯৬ জন, মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৩,৬৬৯ 

08:26:36 PM

ইদ পালিত হবে ২৫ মে
আগামী ২৫ মে ইদ পালিত হবে। আজ চাঁদ দেখা যায়নি। ...বিশদ

08:05:14 PM

মহারাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হলেন ২,৬০৮ জন, মৃত ৬০ 

08:01:30 PM

সিকিমে প্রথম করোনা রোগীর সন্ধান মিলল 
প্রথম করোনা রোগীর সন্ধান মিলল সিকিমে। দিল্লি থেকে ফেরা এক ...বিশদ

07:54:38 PM

রাজ্যে করোনা আক্রান্ত আরও ১২৭ জন 
রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২৭ জনের শরীরে মিলল করোনা ...বিশদ

07:43:40 PM