Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

মহাশ্বেতা 

সন্দীপন বিশ্বাস: ‘সরস্বতী পুজো।’ শব্দ দুটো লিখে ল্যাপটপের কি-বোর্ড থেকে হাতটা সরিয়ে নিল শুভব্রত। চেয়ারে হেলান দিয়ে বাইরে চোখ। রাত এখন গভীর। আর কয়েকদিন পরেই সরস্বতী পুজো। এডিটর একটা লেখা চেয়েছেন। পুজো নিয়ে স্পেশাল এডিশনে ছাপা হবে। সাহিত্যিক হিসেবে শুভর একটা খ্যাতি আছে। পাঠকরা তাঁর লেখা পড়ে। বিশেষ করে তরুণ পাঠকরা। কিন্তু লিখতে গিয়ে সে আটকে গেল। কোথা থেকে শুরু করবে তার এই লেখা? সরস্বতী দেবীর অপার মহিমা থেকে? তাঁর উৎস থেকে? নাকি নীলাঞ্জনা থেকে? জীবনের উপান্তে পৌঁছেও নীলাঞ্জনা এবং সরস্বতী পুজো তার কাছে সমার্থক। ছাত্রজীবনে তার কাছে সরস্বতী পুজো মানেই ছিল এক অন্য মাত্রা। এক বাসন্তী স্বাধীনতা। বিদ্যাদেবীর আরাধনার পাশাপাশি সে ছিল এক অন্য আনন্দের জগৎ।
এই ঘর, রাত্রি, সংসার, সময়, বয়স সব হু হু করে পিছনে ছুটে যাচ্ছে। চোখের সামনে আস্তে আস্তে ভেসে উঠছে তার ছেলেবেলার স্কুল জীবনের ছবিগুলি। সেই মাঠ, প্রান্তর, পুকুর, আলপথে দৌড়—এইসব সবুজ ক্যানভাসে ভেসে উঠছে নীলাঞ্জনার হারানো মুখ। স্কুল জীবনটা তার গ্রামেই কেটেছে। কলেজে ওঠার পর সে চলে এসেছিল শহরে। স্কুলে পড়ার সময় সরস্বতী পুজোর দিনগুলো স্মৃতির মায়াবি উঠোনে এখনও কুয়াশার মতো ঘুরে ঘুরে বেড়ায়। সেদিন ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠে স্নান করতে হতো। উনুনে বসানো থাকত গরম জলের হাঁড়ি। সেখান থেকে জল নিয়ে মা স্নান করিয়ে দিত। কাঁপতে কাঁপতে স্নান। মাথার উপর তখনও জেগে উজ্জ্বল ধ্রুবতারা। বাইরে পাক খাচ্ছে একরাশ কুয়াশার শিকলি। তারা পুজোর আগের দিন রঙিন কাগজ কেটে শিকলি বানিয়ে সারা স্কুল সাজাত। ঠাকুর সাজাত। আলপনা দিতেন ড্রয়িংয়ের টিচার সত্যানন্দবাবু। পুজো করতেন সংস্কৃতের শিক্ষক পিনাকীবাবু।
দেবী সরস্বতীর সামনে করজোড়ে অঞ্জলি দিয়ে অন্যদের মতোই সেও বলত, ‘জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচযুগ শোভিত মুক্তাহারে। বিনা রঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমস্তে’। অঞ্জলির পর মনে মনে সে বলত, ‘মাগো, বিদ্যা দাও, বুদ্ধি দাও’।
কিন্তু আজ মনে প্রশ্ন জাগে, সরস্বতী কি শুধুই বিদ্যার দেবী? প্রেমের সঙ্গে কি তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই? পুরাণে এবং শাস্ত্রে তো তাঁকে বিদ্যার এবং সঙ্গীতের দেবী বলেই বর্ণনা করা হয়েছে। তিনি জ্ঞানের আধার। বা‌ক্‌প্রতিমা। অথচ তিনি কী রোমান্টিক! রূপে, পোশাকে কী অপূর্ব তাঁর দ্যুতি। সেই যে অনন্ত শুভ্রতা, সে তো প্রেমেরই দ্যোতক। তিনি নিজে জ্ঞানী। কিন্তু সেই জ্ঞানকে তিনি কুক্ষিগত করে রাখতে চাননি। চেয়েছিলেন মানবসমাজে ছড়িয়ে দিতে। পিতা ব্রহ্মাকে সেকথা বলতেই তিনি উপদেশ দিয়ে বললেন, ‘মর্ত্যধামে গিয়ে এক যোগ্যতম ব্যক্তির মধ্য দিয়ে তুমি তোমার জ্ঞানকে বিস্তার কর।’ সেই উপদেশ পেয়ে দেবী সরস্বতী ত্রিলোক ঘুরে বেড়ালেন। কিন্তু কিছুতেই যোগ্যতমের সন্ধান পেলেন না। আবার তিনি ফিরে এলেন ব্রহ্মার কাছে। তাঁকে বললেন সব কথা। ব্রহ্মা তখন বললেন, ‘তুমি যোগ্যতম কোনও ব্যক্তির জিহ্বায় অধিষ্ঠান কর। তাঁর মধ্য দিয়ে তুমি কাব্য-শিল্প সৃষ্টি কর। সেই কাব্যশিল্প পাঠ করে অন্যেরা চমৎকৃত হলে তোমার মহিমা এবং তোমার প্রজ্ঞা ও জ্ঞান ছড়িয়ে পড়বে।’ আবার সরস্বতী সন্ধানে বেরলেন। সত্যযুগ ধরে খুঁজলেন। সপ্তপাতাল, দেবলোক, সুরলোক অনুসন্ধান করেও কারও সন্ধান পেলেন না। কিন্তু সন্ধান পুরোপুরি বৃথা গেল না। ত্রেতাযুগে একদিন মর্ত্যলোকে তিনি তাঁর সন্ধান পেলেন। তমসা নদীর তীরে। অকস্মাৎ বিদ্যুৎ চমকের মতোই ঘটে গেল সেই ঘটনাটি। এক ঋষি সান্ধ্য-আহ্নিকের জন্য এসেছেন নদীতীরে। সূর্য দূর দিগন্তে অস্ত যাচ্ছে। প্রকৃতি মনোরম। হঠাৎ একটা তীব্র চিৎকার। এক ব্যাধ তীর ছুঁড়ে মিথুনরত একটি বককে বধ করল। সেই বকের মৃত্যু দেখে সঙ্গিনী বকটি তীব্র চিৎকারে তার শোককে ব্যক্ত করল। তাই দেখে সেই ঋষি যন্ত্রণায় কাতর হয়ে উঠলেন। সেই যন্ত্রণা তাঁকে অস্থির করে তুলল। কিছু একটা বলার জন্য তিনি অস্থির হয়ে উঠলেন। সরস্বতী দূরে দাঁড়িয়ে সবকিছু নিরীক্ষণ করছিলেন। তিনিও বুঝলেন, এই ঋষির অব্যক্ত মুখে ভাষা দিতে হবে। ভাবনামাত্রই তিনি সেই ঋষির জিহ্বায় অবস্থান করলেন। অমনি ঋষি বলে উঠলেন, ‘মা নিষাদ প্রতিষ্ঠান্‌ ত্বমগম শাশ্বতী সমা যৎ ক্রোঞ্চামিথুনাদেকমবধী কামমোহিতম’।
উচ্চারিত হল পৃথিবীর আদি শ্লোক। নিজের কথা শুনে ঋষি নিজেই চমকে গেলেন। এ তিনি কী বললেন? এমন কথা বলার মতো বিদ্যা তো তাঁর নেই। তিনি তো ছিলেন একজন ডাকাত। দস্যু রত্নাকর। তবে কার মায়ায় তিনি এই জ্ঞান আয়ত্ত করতে সক্ষম হলেন। এই প্রজ্ঞার উৎস কী? এই প্রজ্ঞার উৎস স্বয়ং সরস্বতী। তাঁর ইচ্ছাতেই একদিন ঋষি বাল্মিকী হয়ে উঠেছিলেন মহাপণ্ডিত।
বাল্মিকী ছাড়াও তিনি প্রজ্ঞা দান করেছিলেন মহাকবি কালিদাসকে। মহামূর্খ কালিদাস অপমানে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন। তাঁকে রক্ষা করে দেবী কবিত্বশক্তি প্রদান করলেন। অমর হয়ে গেলেন কালিদাস। ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যে কবি ভারতচন্দ্র রায় সরস্বতীর প্রসাদ লাভের জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। ‘মনে বড় পাই ভয়, না জানি কেমন হয়, ভারতের ভারতী ভরসা।’ তাঁর কাছে আশীর্বাদ প্রার্থনা করে ‘মেঘনাদ বধ কাব্য’ রচনা শুরু করেছিলেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত। ‘আমি ডাকি তোমায়, শ্বেতভূজে/ ভারতি! যেমতি মাতঃ বসিলে আসিয়া বাল্মীকির রসনায়,..../তেমতি দাসেরে, আসি, দয়া কর সতি।’ কবি বিহারীলাল চক্রবর্তী দেবীকে নিয়ে রচনা করলেন, ‘সারদামঙ্গল’ কাব্য। ‘তুমিই মনের তৃপ্তি/ তুমি নয়নের দীপ্তি / তোমা-হারা হলে আমি প্রাণহারা হই। ’
লেখা থামিয়ে শুভ ভাবতে থাকে। সরস্বতী সম্পর্কে বাঙালির ধ্যানধারণা একেবারে অন্যরকম। তিনি শুধু বিদ্যার দেবী তো নন। তাঁর শুভ্রতার একটা আধ্যাত্মিক সৌন্দর্য আছে। কবি সেই শ্বেত-শুভ্রতায় আনন্দ মগ্ন হয়ে ওঠেন। ‘শ্বেতাম্বরধরা নিত্যা শ্বেতগন্ধানুলেপনা। শ্বেতাক্ষসূত্রহস্তা চ শ্বেতচন্দনচর্চিতা। শ্বেতবীণাধরা শুভ্রা শ্বেতালঙ্কারভূষিতা।’
সরস্বতী যুবক-যুবতীদের কাছে যেন বন্ধুর মতো। পরীক্ষার হলে যেমন এক বন্ধু অন্য বন্ধুকে উত্তর লিখতে সাহায্য করে, মা সরস্বতীও তেমনই। পরীক্ষায় ঠিক কমন প্রশ্ন এনে দেবেন। সময়ে সব উত্তর লিখতে সাহায্য করবেন। এমন ভাবনা সব ছাত্রছাত্রীর মনেই থাকে। তার থেকে জন্মায় ভক্তিভাব। বইয়ের পাতায় পাতায় পড়ুয়ারা রেখে দেয় মা সরস্বতীর পায়ের কুঁচো ফুল। তাঁর প্রসাদ পেলে তবেই বিদ্যালাভ হবে। অবশ্য কালী, দুর্গা যেমন রেগে গেলে ক্ষতি করতে পারে বলে মানুষের বিশ্বাস, সরস্বতী তেমন দেবী নন। তিনি খুবই শান্ত এবং ‘ফ্রেন্ডলি গডেস’।
তাই সেই পরমাত্মীয় দেবতার পুজোর দিনটা পড়ুয়াদেরই। এই দিনেই মেয়েদের প্রথম শাড়ি পরা। মায়ের শাড়ি-ব্লাউজ অসংখ্য সেফটিপিন মেরে সেজে ওঠার দিন। শৈশব থেকে কৈশোর কিংবা কৈশোর থেকে যৌবন স্পর্শ করার প্রথম দিন। সকালে একছুটে স্কুলে। সেখানে কোনওরকমে অঞ্জলিটা দিয়ে সারাদিন টইটই। স্কুলে পড়ার সময় সে নীলাঞ্জনার সঙ্গে চলে যেত ভবানীর গড়ে। কখনও সিনেমা দেখতে যেত। একটা সরস্বতী পুজোর দিনে সিনেমা দেখতে গিয়েছিল। সম্ভবত ‘বসন্ত বিলাপ’। কলেজে পড়ার সময় বন্ধুরা মিলে যেত ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কিংবা সিনেমায়। সরস্বতী পুজোর দিনেই বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে শুভর প্রথম সিগারেট খাওয়া। এখনও বোধহয় এই প্রজন্ম একই রকম আছে। সারাদিন বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে একইরকমভাবে ঘুরে বেড়ায় তারা। নিকো পার্ক, ইকো পার্ক, ভিক্টোরিয়া...। এখন এই শহরে কত যাওয়ার জায়গা। সারাদিনের এই মেলামেশা, ঘোরাঘুরি এগুলো হয়তো প্রেম নয়। কিন্তু একটা অকৃত্রিম ভালোলাগা জড়িয়ে যায় মনে ভিতরে। একটা প্রথম অস্ফুট স্মিত লিবিডো। ভ্যালেন্টাইন সাহেবের কাছে বাঙালির এই ভালোলাগা বা ভালোবাসার রোমাঞ্চের কোনও ঋণ নেই। তা স্বতঃপ্রণোদিত। অনেকে বলেন, এটা নাকি বাঙালির ভ্যালেন্টাইন ডে। আরে বাপু, পনেরো-বিশ বছর আগে বাঙালির কাছে ভ্যালেন্টাইন সাহেবের কোনও অস্তিত্বই ছিল না। কিন্তু সরস্বতী পুজোকে ঘিরে ছিল বাঙালির এই রোমান্টিক মানসিকতা। প্রজন্মের পর প্রজন্ম তা চলে আসছে। কোথাও তার মূলগত পরিবর্তন হয়নি।
আবার লেখা শুরু করল শুভ। সরস্বতীকে বলা হয়েছে নদীতমে। সুতরাং নদীর সঙ্গে তাঁর যোগ ছিল। যেমন পুরাণের দিক থেকে, তেমনই ইতিহাসের দিক থেকেও। সেই কবে কোন সূদূর থেকে আর্যরা এখানে এসে সরস্বতী নদীর তীরে ডেরা বেঁধে জীবনযাপন শুরু করেছিল। সেই নদী হয়ে উঠেছিল তাদের জীবনস্বরূপা। সেই নদীর পলিমাটি কৃষির পক্ষে সহায়ক ছিল। শস্যের ভাণ্ডার ভরে উঠত তাদের। তাই সরস্বতীকে তারা দেবীরূপে পুজো শুরু করেছিল। তখন কিন্তু সরস্বতী বিদ্যার দেবী ছিলেন না। তখন সরস্বতী পূজিতা হতেন কৃষির দেবতা হিসেবে। পরে তিনি লক্ষ্মীরূপেও পূজিতা হন। আজও বলা হয় শ্রীপঞ্চমী। এই ‘শ্রী’ কথাটি শুধুমাত্র লক্ষ্মীর সঙ্গেই সম্পর্কযুক্ত। বৈদিক ঋষিরা সরস্বতী নদীর তীরে বাস করতে থাকেন। সেই মনোরম স্থান ছিল তাঁদের সাধনার জায়গা। সেখান থেকে তাঁরা ক্রমে ক্রমে গঙ্গা এবং যমুনার দিকে অগ্রসর হতে থাকেন।
ঋগ্বেদে আমরা সপ্তসিন্ধুর দেখা পাই। এগুলি ছিল সরস্বতীর সাত বোন। ‘উত নরপ্রিয়া পিয়াসু সপ্তস্বসা সুজুষ্টা।’ অর্থাৎ সপ্তনদীরূপা,সপ্তভগিনী সম্পন্নাদেবী সরস্বতী আমাদের প্রিয়তমা। আমরা তাঁর স্তুতি করি। পরে অবশ্য সেই সপ্তসিন্ধু বদলে যায়। সিন্ধু, গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতীর সঙ্গে যোগ হয় নর্মদা, গোদাবরী ও কাবেরী।
সরস্বতীর নামকরণেরও নানা উৎস আছে। সরস্বতী শব্দের মূল অর্থ হল জ্যোতিরূপা। কেউ বলেন সরস্‌ অর্থে জল আবার কেউ বলেন সরস্‌ ‌অর্থে জ্যোতিঃ। সেই কারণে সূর্যের আর এক নাম সরস্বান্‌। সরস্বতী ছিলেন নদীরূপা। পরে তিনি হয়ে ওঠেন শক্তিরূপা এবং তারপরে বিদ্যারূপা। ঋগ্বেদে তাঁর সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘দ্বিবিধা হি সরস্বতী বিগ্রহবদ্দেবতা নদীরূপা চ’
লক্ষ্মীর পতি যেমন নারায়ণ, তেমনই সরস্বতীও নারায়ণের স্ত্রী। আবার কোথাও কোথাও সরস্বতীকে ব্রহ্মার স্ত্রীও বলা হয়েছে। একবার এক ঘটনা ঘটেছিল। তার ফলেই সরস্বতী নদীরূপ ধারণ করেছিলেন।
ব্রহ্মা একবার সহ্যাদ্রি শিখরে এক যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুও। সেই অনুষ্ঠানে ব্রহ্মার দক্ষিণ দিকের আসনে বসার অধিকার কেবলমাত্র তাঁর জ্যেষ্ঠ স্ত্রী সরস্বতীর। কিন্তু সরস্বতী সেখানে সময়ে না আসায় এবং যজ্ঞের দেরি হয়ে যাচ্ছে দেখে ব্রহ্মার দক্ষিণ দিকের আসনে উপবেশন করেন তাঁর দ্বিতীয়া স্ত্রী গায়ত্রী। কিছুক্ষণ পরে সরস্বতী সেখানে এসে গায়ত্রীকে তাঁর আসনে বসে থাকতে দেখে ক্রুদ্ধ হন। তিনি গায়ত্রীকে অভিশাপ দিয়ে বলেন, তুমি নদী হবে। গায়ত্রীও পাল্টা অভিশাপ দিলেন সরস্বতীকে। বললেন, ‘তুমিও নদী হবে’।
এরপর সেখানে উপস্থিত সকলে নদীরূপ প্রাপ্ত হয়ে মর্ত্যে নেমে এলেন। ব্রহ্মা হলে কুকুদ্মিনী নদী, বিষ্ণু হলেন কৃষ্ণা, শিব হলেন বেণী। তাঁরা নদী হয়ে সহ্যাদ্রি পর্বত থেকে নেমে এলেন। সরস্বতী ও গায়ত্রীও নদীরূপ প্রাপ্ত হলেন। সরস্বতীকে বলা হয় নদীতমে, দেবীতমে এবং অম্বিতমে। অর্থাৎ সরস্বতী হলেন নদীর মধ্যে শ্রেষ্ঠা। দেবীর মধ্যে শ্রেষ্ঠা এবং মাতৃদেবী সকলের মধ্যে শ্রেষ্ঠা। সরস্বতী নদীকে নিয়ে আমরা পাই আর একটি কাহিনী। বশিষ্ঠ মুনি একবার সরস্বতী নদীর তীরে ধ্যানে মগ্ন ছিলেন। সেই সময় বিশ্বামিত্র এসে বশিষ্ঠকে দেখে ক্রোধান্বিত হয়ে ওঠেন। তিনি সরস্বতীকে বলেন, ‘তোমার ঢেউ দিয়ে বশিষ্ঠকে উথালপাথাল করে একটু নাস্তানাবুদ কর এবং ওঁকে ভাসিয়ে দাও।’ সরস্বতী প্রথমে রাজি না হওয়ায় বিশ্বামিত্র তাঁকে অভিসম্পাতের ভয় দেখান। তখন সরস্বতী তাঁর হাল্কা ঢেউয়ের দোলায় বশিষ্ঠকে দোলাতে থাকেন। বিশ্বামিত্র প্রথমে খুশি হন। কিন্তু যখন দেখলেন তাতেও বশিষ্ঠের ধ্যানভঙ্গ হল না। তখন বুঝলেন সরস্বতী আসলে তাঁর সঙ্গে চালাকি করছেন। এত রুষ্ট হয়ে বিশ্বামিত্র সরস্বতীকে অভিশাপ দিয়ে বললেন, ‘তুই রক্তনদী হয়ে যা। তোর জল আর পবিত্র থাকবে না। কেউ তোকে স্পর্শও করবে না।’
পরদিন অন্য ঋষিরা এসে দেখেন সরস্বতী নদীতে রক্তপ্রবাহ। তাঁরা এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে সরস্বতী তাঁদের কাছে কেঁদে সব কথা বলেন। এবং তাঁকে পুনরায় তাঁর পবিত্র নদীসত্তা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ঋষিগণের কাছে আর্জি জানান। মুনিঋষিদের প্রার্থনায় সরস্বতী আবার তাঁর পূত, পবিত্র বারিধারা ফিরে পান।
বেদে, পুরাণে, শাস্ত্রে তিনি নানা নামে, নানা রূপে তিনি বিভূষিতা। বেদেই তিনি তিনটি নামে আরাধিতা। ইলা, সরস্বতী এবং ভারতী। ভূলোকে তিনি ইলা, অন্তরীক্ষে তিনি সরস্বতী এবং স্বর্গলোকে তিনি ভারতী নামে পূজিতা হন।
তবে নানা বিবর্তনের মধ্য দিয়ে তিনি বিদ্যারূপে অধিষ্ঠিতা হয়েছেন।
মোটামুটি খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দী থেকেই তাঁকে আমরা বিদ্যার দেবী বলে মেনে আসছি। গুপ্তযুগ থেকেই তাঁকে আমরা বীণাপাণি এবং হংসাসীনা রূপে পুজো করে আসছি। আমরা যে সরস্বতীর পুজো করি তাঁর দুই হাত। কোনও কোনও রাজ্যে চারহাত বিশিষ্ট সরস্বতীরও আরাধনা করা হয়। আবার তাঁর বিভিন্ন নামও আছে। যেমন চারুভুলা, সারদাম্বা ইত্যাদি। অন্যদেশেও সরস্বতী বিদ্যার দেবী হিসেবে পূজিত হন। যেমন তিব্বত, জাভা, সুমাত্রা। জাপানে সরস্বতীকে বলা হয় বেন-তেন।
আবার তাঁর রূপের আড়ালেও আছে নানা ব্যাখ্যা। তাঁর শ্বেতপদ্ম এবং শ্বেত বসন হল নিষ্কলঙ্ক ভাব ও শুদ্ধ মনের প্রতীক। পদ্ম হল প্রস্ফুটিত জ্ঞানের প্রতীক। বাহন হংস হল অনুসন্ধিৎসার প্রতীক। তাঁর হাতের বীণায় সপ্ততার। সেই সপ্ততারে ঝংকৃত হয় একটিই সুর। তার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায় জ্ঞানের ঐক্যবোধ। সরস্বতীর প্রিয় ফুল পলাশ। সেই ফুল হল সৌন্দর্যের প্রতীক। তাঁর পায়ের কাছে রাখা থাকে কালি, কলম এবং দোয়াত। সেগুলি জ্ঞানের বিস্তারের প্রতীক।
নীলাঞ্জনা তখন ক্লাস নাইনে। শুভ মাধ্যমিক দেবে। সেবছর সরস্বতী পুজোর দিনে অঞ্জলির পর নীলাঞ্জনা ওর হাতটা ধরে টেনে বলল, ‘চল।’ হাঁটতে হাঁটতে শুভকে নিয়ে গেল বেহুলা নদীর মরা বাঁকে। এদিকটা নির্জন। একটু দূরেই একটা শিবমন্দির। তার চাতালে ওরা বসল।
নীলাঞ্জনা বলল, ‘এই আমাকে কেমন দেখাচ্ছে বলতো?’
শুভ বলল, ‘দারুণ। ফাটিয়ে দিয়েছিস। একেবারে সরস্বতীর মতো।’ নীলাঞ্জনা একটু ভেবে বলল, ‘তোর কাছে একটা জিনিস চাইব, দিবি?’
শুভ বলল, ‘বল, পারলে নিশ্চয়ই দেব।’
নীলাঞ্জনা বলল, ‘আজ থাক, পরে চাইব।’
—‘যা চাইবার এখনি চেয়ে নে। পরে নাও পেতে পারিস।’
নীলাঞ্জনা শুভর হাতটা ধরে খুব সাহসী মুখ করে বলল, ‘তোকে চাই আমি। সারাজীবনের জন্য।’
শুভ বলেছিল, ‘আমি অঞ্জলির সময় সরস্বতীর কাছে বলেছিলাম, মাগো, এই মেয়েটার মনে একটু প্রেম দাও। মা আমার কথা শুনেছেন।’
কিন্তু কথা রাখেনি নীলাঞ্জনা। কলেজে পড়ার সময় বাবা-মায়ের সঙ্গে গিয়েছিল সিকিমে। সেখানে ওদের গাড়িটা খাদে পড়ে যায়। আর ফেরেনি নীলাঞ্জনা। সেই স্মৃতি এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে শুভ।
রাস্তা দিয়ে একটা অ্যাম্বুলেন্স চলে গেল। তার হুটারের শব্দে তন্ময়তা ভেঙে গেল। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখল রাত প্রায় তিনটে। এতক্ষণ লেখা এবং ভাবনার একটা মিশ্র জগতে সে বিচরণ করছিল। নিজের মনেই হাসল সে। ভাবল, তাহলে কি এতক্ষণ মা সরস্বতী তাঁর এই ল্যাপটপের কি-বোর্ডের উপর আশ্রয় নিয়েছিলেন নাকি? নিশ্চয়ই নিয়েছিলেন। যেমন প্রতিবার নেন। নাহলে সে লেখে কী করে! প্রতিবার লেখার সময় যেন তাঁরই বিদেহী উপস্থিতি টের পায় শুভ। হয়তো মনেই তাঁর বাস। কিন্তু দেবীর আশীর্বাদ ছাড়া বোধহয় সে লেখক হয়ে উঠতে পারত না। শুভব্রত ল্যাপটপটা শাট ডাউন করতে করতে বলল, ‘ভগবতী ভারতী, দেবী নমস্তে’।
অঙ্কন: সুব্রত মাজী
গ্রাফিক্স: সোমনাথ পাল
সহযোগিতায়: উজ্জ্বল দাস 
02nd  February, 2020
দেশবন্ধু
সমৃদ্ধ দত্ত

গান্ধীজির একের পর এক অনুগামীকে নিজের দিকে টেনে আনতে সক্ষম হলেও, তাঁর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়নি একবিন্দুও। আবার তাঁকেই দীক্ষাগুরু হিসেবে স্থির করেছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। জন্মের সার্ধশতবর্ষে ফিরে দেখা সেই চিত্তরঞ্জন দাশকে। বিশদ

23rd  February, 2020
পথদ্রষ্টা ফালকে
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

‘রাজা হরিশ্চন্দ্র’-এর হাত ধরে পথচলা শুরু হয় প্রথম ভারতীয় পূর্ণাঙ্গ কাহিনীচিত্রের। ভারতীয় জাতীয়তাবাদের সঙ্গেও ফালকের নাম অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। ৭৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে এ দেশের সিনেমার পথদ্রষ্টাকে ফিরে দেখা। 
বিশদ

16th  February, 2020
ইতিহাসে টালা
দেবাশিস বসু

 ‘টালা’ কলকাতার অন্যতম প্রাচীন উপকণ্ঠ। ১৬৯০ সালের ২৪ আগস্ট জব চার্নক নেমেছিলেন সুতানুটিতে। ১৬৯৩ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি মারা যান। অর্থাৎ তিনি সুতানুটিতে ছিলেন জীবনের শেষ আড়াই বছর। তাঁর মৃত্যুর প্রায় পাঁচ বছর পরে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সাবর্ণ চৌধুরীদের কাছ থেকে গোবিন্দপুর, কলকাতা ও সুতানুটি গ্রাম তিনটির জমিদারি স্বত্ব কিনে নেয়।
বিশদ

09th  February, 2020
শতবর্ষে জনসংযোগ
সমীর গোস্বামী

অনেকে মজা করে বলেন, সেলুনে যিনি হেয়ার স্টাইল ঠিক করেন, তিনি অনেক সময় বিশিষ্ট মানুষের কানেও হাত দিতে পারেন। জনসংযোগ আধিকারিক বা পিআরও’রাও খানিকটা তেমনই। প্রচারের স্বার্থে তাঁরা কেবল সাহসের উপর ভর করে অনেক কিছু করতে পারেন। মনে পড়ছে, বহু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা গণ্যমান্য ব্যক্তিকে কোনও কিছু উদ্বোধনের সময় ফিতে কাটতে দিতাম না। 
বিশদ

26th  January, 2020
অনন্য বিকাশ 

পাহাড়ী স্যান্যাল থেকে উত্তমকুমার সবাই ছিলেন তাঁর অভিনয়ের গুণমুগ্ধ ভক্ত। হেমেন গুপ্তের ‘৪২’ ছবিতে এক অত্যাচারী পুলিস অফিসারের ভূমিকায় এমন অভিনয় করেছিলেন যে দর্শকাসন থেকে জুতো ছোঁড়া হয়েছিল পর্দা লক্ষ্য করে। এই ঘটনাকে অভিনন্দন হিসেবেই গ্রহণ করেছিলেন তিনি। সেই অপ্রতিদ্বন্দ্বী অভিনেতা বিকাশ রায়কে নিয়ে লিখেছেন বেশ কিছু সিনেমায় তাঁর সহ অভিনেতা ও মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান অধ্যাপক ডঃ শঙ্কর ঘোষ।  
বিশদ

19th  January, 2020
যদি এমন হতো! 
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

যদি এমন হতো? সিমুলিয়ার দত্ত পরিবারে নরেন্দ্রনাথ এসেছেন, ধনীর আদরের সন্তান; কিন্তু শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব পৃথিবীতে আসেননি। তাহলে নরেন্দ্রনাথ কি স্বামী বিবেকানন্দ হতেন! মেধাবী, সাহসী, শ্রুতিধর এই সুন্দর যুবকটি পিতাকে অনুসরণ করে হয়তো আরও শ্রেষ্ঠ এক আইনজীবী হতেন, ডাকসাইটে ব্যারিস্টার, অথবা সেই ইংরেজযুগের সর্বোচ্চ পদাধিকারী, ঘোড়ায় চাপা ব্রাউন সাহেব— আইসিএস। ক্ষমতা হতো, সমৃদ্ধি হতো।
বিশদ

12th  January, 2020
সেলুলয়েডের শতবর্ষে হিচকক 
মৃন্ময় চন্দ

‘Thank you, ….very much indeed’
শতাব্দীর হ্রস্বতম অস্কার বক্তৃতা। আবার এটাও বলা যেতে পারে, মাত্র পাঁচটি শব্দ খরচ করে ‘ধন্যবাদজ্ঞাপন’।
হ্যাঁ, হয়তো অভিমানই রয়েছে এর পিছনে।
বিশদ

05th  January, 2020
ফিরে দেখা
খেলা

আর তিনদিন পরেই নতুন বছর। স্বাগত ২০২০। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে পুরনো বছরকেও। তাই ২০১৯ সালের বেশকিছু স্মরণীয় ঘটনার সংকলন নিয়ে চলতি বছরের সালতামামি। 
বিশদ

29th  December, 2019
ফিরে দেখা
বিনোদন

আর তিনদিন পরেই নতুন বছর। স্বাগত ২০২০। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে পুরনো বছরকেও। তাই ২০১৯ সালের বেশকিছু স্মরণীয় ঘটনার সংকলন নিয়ে চলতি বছরের সালতামামি।  
বিশদ

29th  December, 2019
ফিরে দেখা
রাজ্য 

আর তিনদিন পরেই নতুন বছর। স্বাগত ২০২০। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে পুরনো বছরকেও। তাই ২০১৯ সালের বেশকিছু স্মরণীয় ঘটনার সংকলন নিয়ে চলতি বছরের সালতামামি।   বিশদ

29th  December, 2019
ফিরে দেখা
দেশ-বিদেশ 

আর তিনদিন পরেই নতুন বছর। স্বাগত ২০২০। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে পুরনো বছরকেও। তাই ২০১৯ সালের বেশকিছু স্মরণীয় ঘটনার সংকলন নিয়ে চলতি বছরের সালতামামি।  
বিশদ

29th  December, 2019
বঙ্গ মিষ্টিকথা 
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মিষ্টান্ন ভোজন। যার সঙ্গে জড়িয়ে বাঙালির আবেগ, অনুভূতি, অ্যাডভেঞ্চার। ডায়েটিংয়ের যুগে আজও বহু বাঙালি ক্যালরির তোয়াক্কা করে না। খাওয়া যতই আজব হোক, মিষ্টি না হলে ভোজ সম্পূর্ণ হয় না যে! 
বিশদ

22nd  December, 2019
সংবিধানের ৭০
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারত এবং বিশেষ করে আগামীদিনের শাসক কংগ্রেসের সঙ্গে এভাবে চরম তিক্ততার সম্পর্ক করে রেখে পৃথক পাকিস্তান পাওয়ার পর, সেই নতুন দেশের নিরাপত্তা কতটা সুনিশ্চিত? কীভাবে সম্ভাব্য পাকিস্তানের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করা যাবে? কী কী সমস্যা আসতে পারে?  
বিশদ

15th  December, 2019
রাজ সিংহাসন
প্রণবকুমার মিত্র

 দরবারে আসছেন মহারাজ। শিঙে, ঢাক, ঢোল, কাঁসর ঘণ্টার বাদ্যি আর তোপের শব্দ সেটাই জানান দিচ্ছে। তারপর সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে মহারাজ ধীর পায়ে গিয়ে বসলেন রাজ সিংহাসনে। আগেকার দিনে রূপকথার গল্পে এটাই বলা হতো।
বিশদ

08th  December, 2019
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নেটে ব্যাট করতে ঢোকার আগে বাংলার ক্যাপ্টেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ একটা কাগজ ভিডিও অ্যানালিস্টের হাতে তুলে দিয়ে বললেন, ‘চোখ বুলিয়ে নাও। পরে এই ...

সৌম্যজিৎ সাহা  কলকাতা: ডাস্ট অ্যালার্জির কারণ হিসেবে সবার আগে উঠে আসে ধুলোবালির কথা। সামান্য ধুলো নাকে গেলেই কারও হাঁচি শুরু হয়ে যায়, আবার কারও সর্দি লেগে যায়। কিন্তু শুধু ধুলোবালির জন্যই কি এই অ্যালার্জি?  ...

সংবাদদাতা, কাটোয়া: কাটোয়া শহরের স্টেডিয়াম মাঠ সংস্কারের কাজ শুরু করছে পুরসভা। বেহাল স্টেডিয়াম মাঠ সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন পুরসভার চেয়ারম্যান। ঐতিহ্যবাহী মাঠের চেহারা ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়ায় খুশি ক্রীড়ামহল। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকায় মাঠটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।   ...

সংবাদদাতা, দিনহাটা: দিনহাটার পুরসভা এলাকায় লোকসভা ভোটে ভালো ফল করেছিল বিজেপি। পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে একটি বাদ দিয়ে বাকি সমস্ত ওয়ার্ডেই শাসক দল তৃণমূলের থেকে এগিয়ে ছিল বিজেপি।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় বিজ্ঞান দিবস
১৮২৭: আমেরিকায় প্রথম বাণিজ্যিক রেলপথ চালু হয়
১৮৪৪: বিখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব গিরিশচন্দ্র ঘোষের জন্ম
১৮৮৩: ভারতে প্রথম টেলিগ্রাফ চালু হয়
১৯২৮: ভারতীয় পদার্থ বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন-এর ‘রামন এফেক্ট’ আবিষ্কার
১৯৩৬: জওহরলাল-পত্নী কমলা নেহরুর মৃত্যু
১৯৪৪: সঙ্গীতকার রবীন্দ্র জৈনের জন্ম
১৯৪৮ - ব্রিটিশ সৈন্যদের শেষ দল ভারত ত্যাগ করে
১৯৫১: ক্রিকেটার কারসন ঘাউড়ির জন্ম
১৯৬৩: ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ডঃ রাজেন্দ্রপ্রসাদের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৮১ টাকা ৭২.৫১ টাকা
পাউন্ড ৯০.৯৬ টাকা ৯৪.২৩ টাকা
ইউরো ৭৬.৬৯ টাকা ৭৯.৬২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৩,১৪০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪০,৯৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪১,৫৪০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৭,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৭,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৫ ফাল্গুন ১৪২৬, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, (ফাল্গুন শুক্লপক্ষ) চতুর্থী। অশ্বিনী ৫৪/৫৮ রাত্রি ৪/৩। সূ উ ৬/৩/২৭, অ ৫/৩৫/১৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ মধ্যে পুনঃ ৮/২২ গতে ১০/৪২ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৯ মধ্যে পুনঃ ৪/১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১৩ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৫ গতে ৪/২৪ মধ্যে পুনঃ ৪/১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১৩ গতে ৮/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৫ গতে ৪/২৪ মধ্যে বারবেলা ৮/৫৬ গতে ১১/৪৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪২ গতে ১০/১৫ মধ্যে। 
১৪ ফাল্গুন ১৪২৬, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, পঞ্চমী, অশ্বিনী ৪৮/১৯/৪৪ রাত্রি ১/২৬/১৫। সূ উ ৬/৬/২১, অ ৫/৩৪/৪০। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৯ মধ্যে ও ৮/১৬ গতে ১০/৩৭ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/৩১ মধ্যে ৪/৫ গতে ৫/৩৫ মধ্যে
এবং রাত্রি ৭/১৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ৩/২৮ গতে ৪/১৭ মধ্যে। কালবেলা ১০/২৪/২৮ গতে ১১/৫০/৩০
মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪২/৩৫ গতে ১০/১৬/৩৩ মধ্যে। 
মোসলেম: ৩ রজব 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বৃষ: গৃহে কোনও শুভ কাজ হবার ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
জাতীয় বিজ্ঞান দিবস১৮২৭: আমেরিকায় প্রথম বাণিজ্যিক রেলপথ চালু হয়১৮৪৪: বিখ্যাত ...বিশদ

07:03:20 PM

মধ্যাহ্নভোজে নবীন পট্টনায়কের বাড়িতে অমিত-মমতা-নীতিশরা 
ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের বৈঠক শেষে মধ্যাহ্নভোজে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের ...বিশদ

03:51:00 PM

১৫০২ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

03:13:22 PM

দিল্লি হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪২ 

03:09:23 PM

১৪৫৩ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

03:04:02 PM