Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

অনন্য বিকাশ 

পাহাড়ী স্যান্যাল থেকে উত্তমকুমার সবাই ছিলেন তাঁর অভিনয়ের গুণমুগ্ধ ভক্ত। হেমেন গুপ্তের ‘৪২’ ছবিতে এক অত্যাচারী পুলিস অফিসারের ভূমিকায় এমন অভিনয় করেছিলেন যে দর্শকাসন থেকে জুতো ছোঁড়া হয়েছিল পর্দা লক্ষ্য করে। এই ঘটনাকে অভিনন্দন হিসেবেই গ্রহণ করেছিলেন তিনি। সেই অপ্রতিদ্বন্দ্বী অভিনেতা বিকাশ রায়কে নিয়ে লিখেছেন বেশ কিছু সিনেমায় তাঁর সহ অভিনেতা ও মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান অধ্যাপক ডঃ শঙ্কর ঘোষ।

মঞ্চের বিশাল পর্দা সরছে। মঞ্চের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছেন ফোকলা চ্যাটার্জি। আলো এসে পড়েছে ফোকলা চ্যাটার্জির মুখে। আবছা আলোতে মঞ্চটাও দেখা যাচ্ছে। শাজাহান হোটেলের রিসেপশন কাউন্টার ডানদিকে। বাঁদিকে রয়েছে লিফট। ফোকলা চ্যাটার্জি উচ্চস্বরে জিজ্ঞাসা করলেন; ‘স্যাটা হোয়্যারইজ স্যাটা’। আলো এসে পড়ত গেটের দিকে। পর্দার আড়াল থেকে বেরিয়ে আসতেন স্যাটা বোস। বললেন; ‘আই অ্যাম হিয়ার স্যার।’ সবাই অর্থাৎ দর্শকেরা পেছনের দিকে মুখ ঘুরিয়ে দেখতেন স্যাটা বোসের প্রবেশ। স্যাটা বোস ততক্ষণে একস্ট্রা সিটের দর্শকের গা ঘেঁষে, কারও বা পিঠ চাপাড়িয়ে ‘হাউ আর ইউ স্যার’ বলে স্টেজে এসে উঠতেন। উচ্ছ্বসিত হাততালিতে হল ফেটে পড়ত। যে নাটকের শুরুতেই এমন উত্তেজনার পারদ, সেই নাটকের নাম ‘চৌরঙ্গী’। কলেজ স্ট্রিট বইপাড়ার সর্বকালীন বেস্ট সেলার উপন্যাস শংকরের ‘চৌরঙ্গী’। তারই নাট্যরূপ মঞ্চস্থ হচ্ছে বিশ্বরূপা থিয়েটারে (বটতলা থানার ঠিক পাশেই এ মঞ্চ ছিল)। এই নাটকেই প্রথম সাড়ম্বরে বিকাশ রায় অভিনয় করতে এলেন স্যাটা বোসের চরিত্রে। পাশে পেলেন তরুণকুমার (ফোকলা চ্যাটার্জি), মঞ্জু দে (মিসেস পাকড়াশি) দিলীপ রায় (শংকর), সত্য বন্দ্যোপাধ্যায় (ন্যাটাহরি), জয়শ্রী সেন প্রমুখ শিল্পীকে। পরে কবরী চরিত্রে এলেন আরতি ভট্টাচার্য। বিপরীতে অজয় গঙ্গোপাধ্যায় (অনিন্দ্য)। প্রথমে যখন এ নাটকে অভিনয়ের ব্যাপারে যোগাযোগ করা হয় বিকাশ রায়ের সঙ্গে, তখন তিনি সম্মত হননি। কারণ যে চরিত্র উত্তমকুমার করে রেখে গিয়েছেন বড় পর্দায়, সে চরিত্র স্টেজে করতে মন থেকে সায় পাচ্ছিলেন না বিকাশ রায়। কিন্তু বিশ্বরূপার মালিক রাসবিহারী সরকারও নাছোড়বান্দা। তিনি গেলেন বিকাশ রায়ের ঢাকুরিয়ার বাড়িতে। পার্ট শোনালেন। যথোচিত মর্যাদা দিয়ে নিয়ে যেতে চাইলেন। আর আপত্তি রইল না বিকাশ রায়ের। সামান্য ক’দিনের রিহার্সাল হল। এর আগে বিশ্বরূপায় ‘বেগম মেরী বিশ্বাস’ বা ‘ঘর’ একদম জমেনি। ‘কোথায় পাবো তারে’ একদম চলেনি। তাই সকলের উৎকণ্ঠা। ‘চৌরঙ্গী’ জমবে তো? পুজোর ঠিক আগেই শুরু হল ‘চৌরঙ্গী’ নাটক। প্রথম থেকেই হাউসফুল। সিনেমার এতগুলি শিল্পীকে চোখের সামনে দেখার আনন্দই তো আলাদা। প্রথম ক’দিন বিকাশবাবু খুব ঘাবড়ে ছিলেন, কণ্ঠস্বর যেন শেষের দিকে ঠিক পৌঁছচ্ছে না। সত্য বন্দ্যোপাধ্যায় পরামর্শ দিলেন, ‘হোটেলের কাউন্টার অংশ থেকে বেরিয়ে আসুন দাদা, কণ্ঠস্বরের আর অসুবিধা হবে না।’ তরুণ কুমার রাসবিহারী সরকারকে পরামর্শ দিলেন, ‘বিকাশদা প্রথম স্টেজে নামছেন। ওঁর প্রথম প্রবেশ দর্শকদের মধ্যে দিয়ে হোক।’ গোড়াতে যে দৃশ্যের বর্ণনা করলাম, সেই ভাবেই বিকাশ রায়ের প্রবেশ ঘটলও স্টেজে। নগদ বিদায়ও পেতেন দর্শকদের কাছ থেকে। ভালো লাগলে উচ্ছ্বসিত আবার যদি কোনওদিন পছন্দ মতো না হতো তাহলে ধমকও খেতেন দর্শকদের কাছ থেকে, ‘কী হচ্ছে কী?’ ১৯৭১ সালের শেষে এবং ১৯৭২ সালের গোড়ার দিকে সবে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে, বড় বড় গাড়ি করে, এমনকী বাস ভরে বাংলাদেশিরা আসতেন যশোর সীমান্ত পেরিয়ে নাটক দেখতে—পুরনো আমলের শিল্পীদের দেখতে। ওঁদের সঙ্গে কথা বলতে বিকাশ রায়ের খুবই ভালো লাগত।
হঠাৎ একদিন বিশ্বরূপার কর্ণধার রাসবিহারী সরকার ঘোষণা করলেন যে তিনি এবার নাটক বদলাবেন। বিকাশ রায় সহ সব শিল্পীরা হতবাক। তখন রমরমিয়ে চলছে ‘চৌরঙ্গী’। সেই অবস্থায় উঠিয়ে দেওয়ার মানে বুঝতে পারলেন না কেউ। রাসবিহারীবাবু জানালেন চলতি নাটক উঠিয়ে দেওয়ারও প্রয়োজন হয়, এছাড়া উনি একটা নজির স্থাপন করতে চাইছেন। প্রায় সাড়ে পাঁচশো রজনী চলল ‘চৌরঙ্গী’। নতুন নাটকের মহড়া শুরু হল। এবারের উপন্যাস ‘আসামী হাজির।’ বিমল মিত্রের সাড়া জাগানো কাহিনী। যথারীতি নাট্যরূপ ও নির্দেশনায় রাসবিহারী সরকার। বিকাশ রায় রইলেন। মঞ্জু দে, সত্য বন্দ্যোপাধ্যায় গোড়া থেকেই বাদ। তরুণকুমার, দিলীপ রায়, আরতি ভট্টাচার্য রইলেন। নতুন ঢুকলেন পাহাড়ী সান্যাল। প্রায় আটষট্টি বছর বয়সে স্টেজে অভিনয় করতে নামলেন পাহাড়ি সান্যাল। তিন বুড়ো (বিকাশ রায়, পাহাড়ি সান্যাল, রবীন মজুমদার) উইংস-এর পাশের বড় বেঞ্চে বসে জমিয়ে আড্ডা দিতেন। খোশ গল্প চলত। ভালোই চলছিল। হঠাৎ পাহাড়ি সান্যাল মারা গেলেন। আনন্দের হাট ভাঙল বিকাশ রায়ের। এ নাটক চলেছিল ৬৩৭ রজনী। সেই অবস্থায় নাটক বন্ধ করলেন রাসবিহারী সরকার। তখনও বিশ্বরূপার বাইরে ৭ টাকার টিকিট ১৫ টাকায় ব্ল্যাকে বিক্রি হচ্ছিল।
বিকাশ রায় এরপরে এলেন শ্যামাপ্রসাদ মঞ্চে। অধিকাংশ নাট্যমোদীরা এ মঞ্চের নামই হয়তো শোনেননি। বিকাশ রায় নিজেই তার বর্ণনা দিয়েছেন, ‘টালাপুলের পশ্চিম দিকে বস্তিটস্তির মধ্যে বিচ্ছিরি রাস্তা, রেল ইয়ার্ড, কাঁচা কয়লার ধোঁয়া, সন্ধ্যার পর যেতে গা ছমছম করে, বৃষ্টিতে রাস্তা তো ডুবে যায়ই হলের মধ্যেও জল ঢোকে। ছোট্ট একটি হল— রেলওয়ে ইনস্টিটিউট। শ’আড়াই লোককে কষ্টে বসানো যায়।’ এমন এক স্টেজে বিকাশ রায় করতে এলেন ‘বিষ’ নাটক। নাট্যকার সমর মুখার্জির লেখা নাটক, তাঁরই পরিচালনা। সঙ্গে অভিনয়ে ছিলেন মলিনা দেবী, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, সন্তোষ দত্ত, অঞ্জনা ভৌমিক। ১৬০ রজনীর পর বিকাশ রায় নিজেই বিদায় নিলেন।
তরুণকুমার ও সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বরাবর ভালো সম্পর্ক বিকাশ রায়ের। ‘চৌরঙ্গী’র সময়েই তাঁরা বিকাশবাবুকে বলেছিলেন, ‘আপনার কাছ থেকে আলাদা থাকতে ইচ্ছে করছে না দাদা। যদি সুযোগ পাই আপনাকে ডাকব, কথা দিন আসবেন।’ সে কথা বিকাশ রায় রেখেছিলেন। সত্য বন্দ্যোপাধ্যায় ও তরুণকুমার দক্ষিণ কলকাতার সদানন্দ রোডে তপন থিয়েটার ভাড়া নিয়ে শুরু করলেন ‘নহবৎ’ নাটক। সে নাটক রঙমহলে জমল না, সে নাটক তপন থিয়েটারে এ ইতিহাস তৈরি করল। এঁরা তিনজন ছাড়াও ছিলেন রত্ন ঘোষাল, প্রদীপ মুখোপাধ্যায় আর কিছুদিনের জন্য মহুয়া রায়চৌধুরী।
তবে এ সব অভিনয় নিয়মিত করতে করতে বিকাশ রায়ের আর ভালো লাগল না। বেরিয়ে এলেন নিজেই ‘নহবৎ’ ছেড়ে। কিছুদিন শ্রুতিনাটক পরিচালনা করলেন। তার মধ্যে একটি হল রবীন্দ্রনাথের ‘শেষের কবিতা’। অমিতের চরিত্রে নিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে, লাবণ্যের ভূমিকায় লিলি চক্রবর্তী, কেটির চরিত্রে শ্রাবন্তী মজুমদার আর যোগমায়ার চরিত্রে নীলিমা দাস। এখানে তিনি নির্দেশক। নাট্যরূপ তাঁরই দেওয়া। প্রথম মঞ্চস্থ হল রবীন্দ্র সদনে। তারপর বহু জায়গায়। এর অডিও ক্যাসেটও বেরিয়েছে এইচ.এম.ভি’র তরফ থেকে।
পেশাদারি রঙ্গমঞ্চে আসার আগে নামীদামি শিল্পীদের নিয়ে কম্বিনেশন নাটকে অংশ নিয়েছিলেন বিকাশ রায়। রঙমহল থিয়েটারে ‘পথের দাবী’ নাটকে অপূর্ব’র চরিত্রে। তাবড় তাবড় শিল্পী। ছবি বিশ্বাস, জহর গঙ্গোপাধ্যায়, কমল মিত্র, ধীরাজ ভট্টাচার্য, হরিধন মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। ধীরাজ ভট্টাচার্য তলওয়ারকার-এর চরিত্রে। হরিধনবাবু তেওয়ারির চরিত্রে। ধীরাজবাবু লাইটসম্যানকে বলে রেখেছিলেন যে, দৃশ্যে সমস্ত আলোর ফোকাস যেন তাঁর মুখের উপরেই থাকে। লাইটসম্যান তাই করলেন, বিকাশবাবু ও হরিধনবাবু আছেন ফোকাসের বাইরে। দেখা গেল দর্শকেরা হাসতে শুরু করেছেন। ক্রমশ হাসিটা বাড়ছে। অল্প আলোতে বিকাশবাবু দেখলেন হরিধনবাবু নানারকম অঙ্গভঙ্গি করে গঙ্গাজল ছেটাচ্ছেন। সিনের বারোটা বেজে গেছে। ছবি বিশ্বাসের কাছে ধীরাজবাবু নালিশ জানালেন। ছবি বিশ্বাসের গম্ভীর মুখ, তিনি বিচারক। তিনি হরিধনবাবুর কৈফিয়ত চাইলেন। হরিধনবাবু বললেন, ‘আমি তো ধীরাজবাবুর ফোকাসের বাইরে ছিলাম। আর আমার চরিত্রের যা করা উচিত তাই তো করব।’ ছবিবাবু বললেন, ‘ঠিক। তবে হরিধন, এবার থেকে আর অতটা জল ছিটিও না।’ ধন্যি ধন্যি পড়ে গেল ছবি বিশ্বাসের এই বিচারে।
একবার ‘বিষ’ নাটকের অভিনয় করতে কলকাতার বাইরে গেছেন বিকাশবাবুরা। পেল্লায় বড় প্যান্ডেল পনের হাজার লোক বসার মতো। তারই পিছনে এক প্রাইমারি স্কুলের বাড়ি নেওয়া হয়েছিল শিল্পীদের জন্য। দুপুরে একটু বিশ্রাম করবেন। হঠাৎ একদঙ্গল মেয়ে এসে হাজির সেখানে। বিরক্ত হয়ে বিকাশবাবু জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী ব্যাপার? তোমরা কারা?’ একটি মেয়ে এসে বললে, ‘আমি বাংলার টিচার আর এরা সব ছাত্রী। শুনেছি আপনারা, বড় বড় আর্টিস্টরা মফঃসস্‌঩লে প্লে করতে এসে খুব ফাঁকি দেন। আপনাদের এই নাটক কলকাতায় আমি দেখে এসেছি। বাদটাদ দেবেন না যেন। আমরা সামনেই থাকব।’ ঘুম মাথায় উঠল। পার্ট মুখস্থ করতে বসে গেলেন বিকাশ রায়। সেই অপ্রতিদ্বন্দ্বী নট প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বন্ধুদের ডেকে অভিনয় জীবনের অবসরের কথা ঘোষণা করেছিলেন।
ঋণ: ‘কিছু স্মৃতি কিছু কথা’: বিকাশ রায়, করুণা প্রকাশনী।
গ্রাফিক্স  সোমনাথ পাল
সহযোগিতায়  উজ্জ্বল দাস 

শঙ্কর তোমার বাবার অফিসের ফোন নাম্বারটা দিও তো

অগ্রদূত গোষ্ঠীর প্রধান বিভূতি লাহার হাত ধরে খুব ছোট বয়সে ছবির জগতে পা রেখেছিলাম। ছবির নাম ‘বাদশা’। মহরৎ-এর দিনে ফ্লোরে যখন বিকাশ রায়কে প্রথম দেখি, তখন বিভূতি লাহা আমাকে বললেন, ‘চেনো ওঁকে?’ তখনকার দিনে বাচ্চাদের সিনেমা দেখার চল ছিল না। ফলে বিকাশ রায়কে চেনার সুযোগও ছিল না। মাথা নেড়ে নিজের অসম্মতির কথা জানালাম। বিভূতি লাহা আমাকে সুন্দর করে বুঝিয়ে দিলেন কী কী করতে হবে। মহরৎ দৃশ্যটি ছিল, বস্তির এক চেম্বারে ডাক্তারবাবুর কাছে এসেছি আমি (চরিত্রের নাম বাচ্চু), আমার বাবা পিয়ারীলালকে দেখতে যাওয়ার আবেদন নিয়ে। পিয়ারীলাল ওরফে বাদশা হলেন কালী বন্দ্যোপাধ্যায়, ডাক্তারবাবুর চরিত্রে বিকাশ রায়। জীবনের প্রথম দিনের কাজ বিকাশ রায়ের সঙ্গে! নারকেল ফাটানো মহরৎ শট একবারেই ‘ওকে’। প্রথমে বিভূতি লাহা আমাকে কোলে তুলে একবার ঘুরপাক খেলেন, পরে বিকাশ রায়ও ওই কাজটিই করলেন। এরপর তাঁর সঙ্গে ওই ছবিতে বেশ কয়েকদিন শ্যুটিং করেছিলাম। ছবির শেষ সংলাপ তাঁর মুখেই। বাদশা মারা যাচ্ছেন, ডাক্তারবাবু বলছেন; ‘দ্য কিং ইজ ডেড, লং লিভ দ্য কিং।’ দর্শক তখন চোখের জলে ভাসছেন। টেকনিশিয়ানস স্টুডিওতে যেখানে গান রেকর্ডিং হতো, সেখানেই ‘বাদশা’ ছবির ফাইনাল প্রোজেকশন দেখছি। প্রোজেকশন হয়ে যাওয়ার পর প্রথম যিনি আমায় জড়িয়ে ধরে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন, তিনি হলেন বিকাশ রায়। ‘বাদশা’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬৩ সালের ২৯ নভেম্বর উত্তরা, পূরবী, উজ্জ্বলা প্রেক্ষাগৃহে। প্রেস শো হয়েছিল ‘উজ্জ্বলা’তে। সেখানে তিনি উপস্থিত। নিজে যেচে কয়েকজন বিশিষ্ট সাংবাদিকের সঙ্গে আমায় আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সেবাব্রত গুপ্ত, এনকেজি (নির্মলকুমার ঘোষ), খগেন রায়, বাগীশ্মর ঝা প্রমুখ। সুপার সুপার হিট করল ‘বাদশা’। সুবর্ণজয়ন্তী সপ্তাহ উত্তীর্ণ করার পর প্রযোজক প্রাণকৃষ্ণ দত্ত ও পরিবেশক দীপচাঁদ কাঙ্কারিয়া বড় করে পার্টি দিয়েছিলেন রাধা ফিল্মস স্টুডিওতেই। উৎসবে আবার বিকাশ রায়ের সঙ্গে দেখা। প্রণাম করলাম। আশীর্বাদ করলেন প্রাণভরে।
‘বাদশা’র পর বিকাশ রায়ের সঙ্গে কাজ করি ‘বৌদি’ ছবিতে। দিলীপ বসু পরিচালিত এ ছবিতে নামভূমিকায় সন্ধ্যারানি। তাঁর স্বামীর চরিত্রে কালী বন্দ্যোপাধ্যায়। এঁদের সন্তান চন্দনের চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম আমি। দেওরের চরিত্রে অনিল চট্টোপাধ্যায়। কালী বন্দ্যোপাধ্যায় ও অনিল চট্টোপাধ্যায় যে ফার্মে চাকরি করেন, তার মালিকের চরিত্রে বিকাশ রায়। ভূমিকাটি তাঁর ছোট, কিন্তু তাঁর মতো জাতশিল্পী যে ছবিতে যতটুকু ভূমিকাতেই থাকুন না কেন, তাকে পর্দার বুকে জীবন্ত করে তুলতে এতটুকু কার্পণ্য করতেন না। ‘বৌদি’ ছবির ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আমার সঙ্গে তার তাঁর দৃশ্যটি ছিল ছবির শেষ দৃশ্য। হ্যাপি এন্ডিং যাকে বলে। অসুস্থ বৌদির কাছে অনুতপ্ত দেওর ছুটে আসছেন, সঙ্গে হবু স্ত্রী (লিলি চক্রবর্তী), হবু স্ত্রী’র বাবা (পাহাড়ি সান্যাল), পাড়াতুতো মামা (অনুপকুমার), আর আসছেন ফার্মের মালিক (বিকাশ রায়)। সে এক অপূর্ব দৃশ্য। এ ছবির শ্যুটিং হয়েছিল রাধা ফিল্মস স্টুডিওতে। মেক-আপ রুমে সব বড় বড় শিল্পীদের সঙ্গে আবার দেখা, তেমনই দেখা হল বিকাশ রায়ের সঙ্গে। তাঁর কাছ থেকে আবার পেলাম সস্নেহ ভালোবাসা। সেদিনের শ্যুটিংয়ে বাবা যাননি আমার সঙ্গে। আমাদের বাড়িতেও ফোন আসেনি। বিকাশ রায় আমায় বললেন, ‘শঙ্কর তোমার বাবার অফিসের ফোন নাম্বারটা দিও তো।’ এর কিছুদিন পর বাবার অফিসে ফোন এল প্রখ্যাত পরিচালক গুরু বাগচির অফিস থেকে। তিনি বাবাকে বললেন ছেলেকে নিয়ে কুঁদঘাটের ক্যালকাটা মুভিটোন স্টুডিওতে চলে আসার জন্য। বাবার সঙ্গে গেলাম স্টুডিওতে। গুরু বাগচির অফিস ঘরে ঢুকলাম। গুরু বাগচি জানালেন, তিনি একটি ছবি করছেন, নাম ‘তীরভূমি’। অবসরপ্রাপ্ত এক নাবিকের জীবন কাহিনী। সেই চরিত্রে বিকাশ রায়। তিনিই চিত্রনাট্য লিখছেন। বিকাশ রায় শঙ্করের নাম সুপারিশ করেছেন বিকাশ রায়ের ছেলে গৌতমের চরিত্রের জন্য। আনন্দে মনটা ভরে গেল, উনি এতটা মনে রাখেন আমাকে? পরিচালক জানালেন ইন্ডোর শ্যুটিং হবে মুভিটোন স্টডিওতে। আউটডোর শ্যুটিং হবে ওয়ালটেয়ারে। এখনকার ভাইজাগই তখনকার ওয়ালটেয়ার। আউটডোরে মেসো গিয়েছিলেন আমার সঙ্গে। ওয়ালটেয়ারে পৌঁছনোর পর রামকৃষ্ণ বিচের গেস্ট হাউসে বিকাশ রায়ের সঙ্গে আবার দেখা। প্রণাম করলাম। এই আউটডোরে বিকাশ রায়কে আরও কাছে পেলাম। একদিন উনি আমায় জিজ্ঞাসা করলেন, ‘শঙ্কর তুমি কি এই প্রথম সমুদ্র দেখছ?’ আমি বললাম, ‘পুরীর সমুদ্র দেখেনি এমন বাঙালি আছে নাকি? বম্বের সমুদ্রও দেখেছি।’ আউটডোরে মঞ্জু দে, মাধবী মুখোপাধ্যায়কে পেলাম বটে, কিন্তু আমার হৃদ্যতা ছিল বিকাশ রায়ের সঙ্গেই।
ইন্ডোর শ্যুটিংয়ের একটি দিনের কথা কোনওদিন ভুলতে পারব না। বিকাশ রায়ের পূর্ব বিবাহের কথা জানতে পেরে স্ত্রী মঞ্জু দে মানসিক রোগী হয়ে উঠেছেন। আগের পক্ষের মেয়ে মাধবী মুখোপাধ্যায় আসায় সেই রোগ আরও বেড়ে যা। দৃশ্যটি ছিল মায়ের শয্যার পাশে বসে ভাবছি দিদিকে মায়ের কাছে এনে যদি মা’কে সুস্থ করে তোলা যায়। একটা সাংঘাতিক সিচুয়েশন। কিন্তু মনিটরের সময়, ফাইনাল টেকিংয়ের সময় সেই ভাবটা কিছুতেই আনতে পারছিলাম না, যেটা ওই দৃশ্যের জন্য প্রয়োজন ছিল। ফ্লোরে বিকাশ রায় ছিলেন। তিনি গুরু বাগচিকে বললেন, ‘তুমি আরেকটা টেক নাও। আমি ভাবান্তরগুলি শঙ্করকে বলতে থাকব।’ টেকিং শুরু হল। ক্যামেরার পাশে বসে তিনি প্রম্পট করতে লাগলেন, ‘শঙ্কর তুমি মায়ের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকো। আস্তে আস্তে ক্যামেরার দিকে মুখটা তোলো, ভাবো যে মায়ের কাছে দিদিকে আনা দরকার। তাহলেই মায়ের অসুখ সারবে। সেই ভাবনাটা মুখে ধরে রাখো। চোখ দু’টো ছল ছল করে উঠুক।’ শটটা শেষ হলো। পরিচালক বললেন ‘ওকে’। বিকাশ রায়ও বাহবা দিলেন। কিন্তু আমি বুঝলাম, বিকাশ রায়ই এ দৃশ্যে আমাকে উতরে দিয়েছেন।
পর্দার বুকে তাঁর সঙ্গে আমার আর কাজ করার সুযোগ হয়নি। তবে দেখা হয়েছে বহুবার। মহানায়ক উত্তমকুমার যখন ‘শিল্পী সংসদ’ প্রতিষ্ঠা করেন, বিকাশ রায় ছিলেন তার সম্পাদক। শিল্পী সংসদের সভ্য হওয়ার জন্য দু’জন ফিল্ম ব্যক্তিত্বের সইয়ের প্রয়োজন ছিল। আমার ক্ষেত্রে তার একটি সই করেছিলেন বিকাশ রায়, অপরটি জহর গঙ্গোপাধ্যায়। বিশ্বরূপ মঞ্চে তাঁর অভিনীত দু’টো নাটকই (চৌরঙ্গী এবং আসামী হাজির) দেখেছি। বিরতির সময় তাঁকে আমার ভালো লাগার কথা জানিয়েও এসেছিলাম। সেই অপ্রতিদ্বন্দ্বী নট পৃথিবীর বুকে এসেছিলেন ১৯১৬ সালের ১৬ মে কলকাতার ভবানীপুরে। তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যান ১৯৮৭ সালের ১৬ এপ্রিল। তিনিই সম্ভবত একমাত্র চলচ্চিত্র অভিনেতা যিনি প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বন্ধুদের ডেকে নিজের অবসরের কথা ঘোষণা করেছিলেন। দিনটা ছিল ১৯৮৪ সালের ২০ মার্চ। বক্তব্য রাখতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথকেই তিনি স্মরণ করেছেন,

‘পেয়েছি ছুটি বিদায় দে ভাই
সবারে আমি প্রণাম করে যাই।’
 
19th  January, 2020
দেশবন্ধু
সমৃদ্ধ দত্ত

গান্ধীজির একের পর এক অনুগামীকে নিজের দিকে টেনে আনতে সক্ষম হলেও, তাঁর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়নি একবিন্দুও। আবার তাঁকেই দীক্ষাগুরু হিসেবে স্থির করেছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। জন্মের সার্ধশতবর্ষে ফিরে দেখা সেই চিত্তরঞ্জন দাশকে। বিশদ

23rd  February, 2020
পথদ্রষ্টা ফালকে
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

‘রাজা হরিশ্চন্দ্র’-এর হাত ধরে পথচলা শুরু হয় প্রথম ভারতীয় পূর্ণাঙ্গ কাহিনীচিত্রের। ভারতীয় জাতীয়তাবাদের সঙ্গেও ফালকের নাম অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। ৭৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে এ দেশের সিনেমার পথদ্রষ্টাকে ফিরে দেখা। 
বিশদ

16th  February, 2020
ইতিহাসে টালা
দেবাশিস বসু

 ‘টালা’ কলকাতার অন্যতম প্রাচীন উপকণ্ঠ। ১৬৯০ সালের ২৪ আগস্ট জব চার্নক নেমেছিলেন সুতানুটিতে। ১৬৯৩ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি মারা যান। অর্থাৎ তিনি সুতানুটিতে ছিলেন জীবনের শেষ আড়াই বছর। তাঁর মৃত্যুর প্রায় পাঁচ বছর পরে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সাবর্ণ চৌধুরীদের কাছ থেকে গোবিন্দপুর, কলকাতা ও সুতানুটি গ্রাম তিনটির জমিদারি স্বত্ব কিনে নেয়।
বিশদ

09th  February, 2020
মহাশ্বেতা 

সন্দীপন বিশ্বাস: ‘সরস্বতী পুজো।’ শব্দ দুটো লিখে ল্যাপটপের কি-বোর্ড থেকে হাতটা সরিয়ে নিল শুভব্রত। চেয়ারে হেলান দিয়ে বাইরে চোখ। রাত এখন গভীর। আর কয়েকদিন পরেই সরস্বতী পুজো। এডিটর একটা লেখা চেয়েছেন। পুজো নিয়ে স্পেশাল এডিশনে ছাপা হবে। সাহিত্যিক হিসেবে শুভর একটা খ্যাতি আছে। 
বিশদ

02nd  February, 2020
শতবর্ষে জনসংযোগ
সমীর গোস্বামী

অনেকে মজা করে বলেন, সেলুনে যিনি হেয়ার স্টাইল ঠিক করেন, তিনি অনেক সময় বিশিষ্ট মানুষের কানেও হাত দিতে পারেন। জনসংযোগ আধিকারিক বা পিআরও’রাও খানিকটা তেমনই। প্রচারের স্বার্থে তাঁরা কেবল সাহসের উপর ভর করে অনেক কিছু করতে পারেন। মনে পড়ছে, বহু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা গণ্যমান্য ব্যক্তিকে কোনও কিছু উদ্বোধনের সময় ফিতে কাটতে দিতাম না। 
বিশদ

26th  January, 2020
যদি এমন হতো! 
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

যদি এমন হতো? সিমুলিয়ার দত্ত পরিবারে নরেন্দ্রনাথ এসেছেন, ধনীর আদরের সন্তান; কিন্তু শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব পৃথিবীতে আসেননি। তাহলে নরেন্দ্রনাথ কি স্বামী বিবেকানন্দ হতেন! মেধাবী, সাহসী, শ্রুতিধর এই সুন্দর যুবকটি পিতাকে অনুসরণ করে হয়তো আরও শ্রেষ্ঠ এক আইনজীবী হতেন, ডাকসাইটে ব্যারিস্টার, অথবা সেই ইংরেজযুগের সর্বোচ্চ পদাধিকারী, ঘোড়ায় চাপা ব্রাউন সাহেব— আইসিএস। ক্ষমতা হতো, সমৃদ্ধি হতো।
বিশদ

12th  January, 2020
সেলুলয়েডের শতবর্ষে হিচকক 
মৃন্ময় চন্দ

‘Thank you, ….very much indeed’
শতাব্দীর হ্রস্বতম অস্কার বক্তৃতা। আবার এটাও বলা যেতে পারে, মাত্র পাঁচটি শব্দ খরচ করে ‘ধন্যবাদজ্ঞাপন’।
হ্যাঁ, হয়তো অভিমানই রয়েছে এর পিছনে।
বিশদ

05th  January, 2020
ফিরে দেখা
খেলা

আর তিনদিন পরেই নতুন বছর। স্বাগত ২০২০। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে পুরনো বছরকেও। তাই ২০১৯ সালের বেশকিছু স্মরণীয় ঘটনার সংকলন নিয়ে চলতি বছরের সালতামামি। 
বিশদ

29th  December, 2019
ফিরে দেখা
বিনোদন

আর তিনদিন পরেই নতুন বছর। স্বাগত ২০২০। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে পুরনো বছরকেও। তাই ২০১৯ সালের বেশকিছু স্মরণীয় ঘটনার সংকলন নিয়ে চলতি বছরের সালতামামি।  
বিশদ

29th  December, 2019
ফিরে দেখা
রাজ্য 

আর তিনদিন পরেই নতুন বছর। স্বাগত ২০২০। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে পুরনো বছরকেও। তাই ২০১৯ সালের বেশকিছু স্মরণীয় ঘটনার সংকলন নিয়ে চলতি বছরের সালতামামি।   বিশদ

29th  December, 2019
ফিরে দেখা
দেশ-বিদেশ 

আর তিনদিন পরেই নতুন বছর। স্বাগত ২০২০। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে পুরনো বছরকেও। তাই ২০১৯ সালের বেশকিছু স্মরণীয় ঘটনার সংকলন নিয়ে চলতি বছরের সালতামামি।  
বিশদ

29th  December, 2019
বঙ্গ মিষ্টিকথা 
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মিষ্টান্ন ভোজন। যার সঙ্গে জড়িয়ে বাঙালির আবেগ, অনুভূতি, অ্যাডভেঞ্চার। ডায়েটিংয়ের যুগে আজও বহু বাঙালি ক্যালরির তোয়াক্কা করে না। খাওয়া যতই আজব হোক, মিষ্টি না হলে ভোজ সম্পূর্ণ হয় না যে! 
বিশদ

22nd  December, 2019
সংবিধানের ৭০
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারত এবং বিশেষ করে আগামীদিনের শাসক কংগ্রেসের সঙ্গে এভাবে চরম তিক্ততার সম্পর্ক করে রেখে পৃথক পাকিস্তান পাওয়ার পর, সেই নতুন দেশের নিরাপত্তা কতটা সুনিশ্চিত? কীভাবে সম্ভাব্য পাকিস্তানের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করা যাবে? কী কী সমস্যা আসতে পারে?  
বিশদ

15th  December, 2019
রাজ সিংহাসন
প্রণবকুমার মিত্র

 দরবারে আসছেন মহারাজ। শিঙে, ঢাক, ঢোল, কাঁসর ঘণ্টার বাদ্যি আর তোপের শব্দ সেটাই জানান দিচ্ছে। তারপর সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে মহারাজ ধীর পায়ে গিয়ে বসলেন রাজ সিংহাসনে। আগেকার দিনে রূপকথার গল্পে এটাই বলা হতো।
বিশদ

08th  December, 2019
একনজরে
ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে সেগুলির মধ্যে কয়েকটির বাজার বন্ধকালীন দর।  ...

লাহোর, ২৭ ফেব্রুয়ারি (পিটিআই): সিংহের ডেরায় ঘাস কাটতে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ গেল এক কিশোরের। ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের লাহোর সাফারি পার্কে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিলাল নামে ১৭ বছরের ওই কিশোর গত দু’দিন ধরে নিখোঁজ ছিল। ...

সংবাদদাতা, কাটোয়া: কাটোয়া শহরের স্টেডিয়াম মাঠ সংস্কারের কাজ শুরু করছে পুরসভা। বেহাল স্টেডিয়াম মাঠ সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন পুরসভার চেয়ারম্যান। ঐতিহ্যবাহী মাঠের চেহারা ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়ায় খুশি ক্রীড়ামহল। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকায় মাঠটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।   ...

সৌম্যজিৎ সাহা  কলকাতা: ডাস্ট অ্যালার্জির কারণ হিসেবে সবার আগে উঠে আসে ধুলোবালির কথা। সামান্য ধুলো নাকে গেলেই কারও হাঁচি শুরু হয়ে যায়, আবার কারও সর্দি লেগে যায়। কিন্তু শুধু ধুলোবালির জন্যই কি এই অ্যালার্জি?  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় বিজ্ঞান দিবস
১৮২৭: আমেরিকায় প্রথম বাণিজ্যিক রেলপথ চালু হয়
১৮৪৪: বিখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব গিরিশচন্দ্র ঘোষের জন্ম
১৮৮৩: ভারতে প্রথম টেলিগ্রাফ চালু হয়
১৯২৮: ভারতীয় পদার্থ বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন-এর ‘রামন এফেক্ট’ আবিষ্কার
১৯৩৬: জওহরলাল-পত্নী কমলা নেহরুর মৃত্যু
১৯৪৪: সঙ্গীতকার রবীন্দ্র জৈনের জন্ম
১৯৪৮ - ব্রিটিশ সৈন্যদের শেষ দল ভারত ত্যাগ করে
১৯৫১: ক্রিকেটার কারসন ঘাউড়ির জন্ম
১৯৬৩: ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ডঃ রাজেন্দ্রপ্রসাদের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৮১ টাকা ৭২.৫১ টাকা
পাউন্ড ৯০.৯৬ টাকা ৯৪.২৩ টাকা
ইউরো ৭৬.৬৯ টাকা ৭৯.৬২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৩,১৪০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪০,৯৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪১,৫৪০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৭,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৭,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৫ ফাল্গুন ১৪২৬, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, (ফাল্গুন শুক্লপক্ষ) চতুর্থী। অশ্বিনী ৫৪/৫৮ রাত্রি ৪/৩। সূ উ ৬/৩/২৭, অ ৫/৩৫/১৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ মধ্যে পুনঃ ৮/২২ গতে ১০/৪২ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৯ মধ্যে পুনঃ ৪/১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১৩ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৫ গতে ৪/২৪ মধ্যে পুনঃ ৪/১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১৩ গতে ৮/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৫ গতে ৪/২৪ মধ্যে বারবেলা ৮/৫৬ গতে ১১/৪৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪২ গতে ১০/১৫ মধ্যে। 
১৪ ফাল্গুন ১৪২৬, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, পঞ্চমী, অশ্বিনী ৪৮/১৯/৪৪ রাত্রি ১/২৬/১৫। সূ উ ৬/৬/২১, অ ৫/৩৪/৪০। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৯ মধ্যে ও ৮/১৬ গতে ১০/৩৭ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/৩১ মধ্যে ৪/৫ গতে ৫/৩৫ মধ্যে
এবং রাত্রি ৭/১৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ৩/২৮ গতে ৪/১৭ মধ্যে। কালবেলা ১০/২৪/২৮ গতে ১১/৫০/৩০
মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪২/৩৫ গতে ১০/১৬/৩৩ মধ্যে। 
মোসলেম: ৩ রজব 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বৃষ: গৃহে কোনও শুভ কাজ হবার ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
জাতীয় বিজ্ঞান দিবস১৮২৭: আমেরিকায় প্রথম বাণিজ্যিক রেলপথ চালু হয়১৮৪৪: বিখ্যাত ...বিশদ

07:03:20 PM

মধ্যাহ্নভোজে নবীন পট্টনায়কের বাড়িতে অমিত-মমতা-নীতিশরা 
ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের বৈঠক শেষে মধ্যাহ্নভোজে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের ...বিশদ

03:51:00 PM

১৫০২ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

03:13:22 PM

দিল্লি হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪২ 

03:09:23 PM

১৪৫৩ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

03:04:02 PM