Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

যদি এমন হতো! 
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

যদি এমন হতো? সিমুলিয়ার দত্ত পরিবারে নরেন্দ্রনাথ এসেছেন, ধনীর আদরের সন্তান; কিন্তু শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব পৃথিবীতে আসেননি। তাহলে নরেন্দ্রনাথ কি স্বামী বিবেকানন্দ হতেন! মেধাবী, সাহসী, শ্রুতিধর এই সুন্দর যুবকটি পিতাকে অনুসরণ করে হয়তো আরও শ্রেষ্ঠ এক আইনজীবী হতেন, ডাকসাইটে ব্যারিস্টার, অথবা সেই ইংরেজযুগের সর্বোচ্চ পদাধিকারী, ঘোড়ায় চাপা ব্রাউন সাহেব— আইসিএস। ক্ষমতা হতো, সমৃদ্ধি হতো। ইতিহাস হতো না। যুগনায়ক বিবেকানন্দকে আমরা পেতাম না। এইবার একটি কথা, নরেন্দ্রনাথ কলেজের ছাত্র, গ্র্যাজুয়েট হতে চলছেন, উনিশ, কুড়ি বছর বয়স, তখনও কিন্তু দক্ষিণেশ্বরের কালী মন্দিরের পরমহংসদেবের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি। কলেজের ইংরেজ অধ্যাপকের মুখে শুনেছেন মাত্র, দক্ষিণেশ্বরে এক কালীসাধক আছেন, যাঁর ট্রানস হয়, ভাব সমাধি হয়। মাঝে-মাঝে নিজেকে ভাবের জগতে হারিয়ে ফেলেন। অধ্যাপক সাধন-ভজন প্রসঙ্গে এই কথা বলেননি। কবির প্রকৃতি-তন্ময়তার কথাই বলতে চেয়েছিলেন। ভাবের জগতে আত্মহারা হওয়ার উদাহরণ।
নরেন্দ্রনাথ দক্ষিণেশ্বরের সাধুকে চেনেন না। তাঁর কথা কোথাও শোনেননি। সেভাবে তাঁর প্রচারও নেই। তবে নরেন্দ্রনাথ প্রচুর বিদেশি দার্শনিকদের বই পড়েছেন। জগতাতীত বিষয় সম্পর্কে তাঁর কৌতূহল। কান্ট, হেগেল, হিউম, ডেকার্ট, স্পিনোজা, হবস, স্পেনসার মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন। অভাবনীয় তাঁর স্মরণশক্তি। পাতার পর পাতা মুখস্থ বলতে পারেন। পৃথিবীর ইতিহাস তন্ন, তন্ন করে ঘেঁটেছেন। তিনি মানুষের নিয়তির কথা গভীরভাবে ভাবেন। বড়, বড় বিপ্লব, রেনেসাঁ, বিশ্বের মানুষের জীবনকে কতটা স্বস্তি দিতে পেরেছে? এই জিজ্ঞাসা তাঁকে উতলা করে। মানুষের পশুশক্তি মানুষকে পীড়ন করে। সভ্যতা, সংস্কৃতি ধ্বংস করে। সভ্যতার সমান্তরাল বন্যতার অবস্থান। শিক্ষার ভূমিকা নিয়ে ভাবেন। শিক্ষার অভাবে মানুষের দাসত্ব, পরাধীনতা। ধর্ম কেন ব্যবসায় পরিণত হয়ে প্রেমিক ভগবানকে ভয়াবহ ভগবানে রূপান্তরিত করেছে। পাপ, পুণ্য, শাস্তি, নরক ইত্যাদির কথাই শোনা যায়। প্রেম, ভালোবাসা, মুক্তি, মোক্ষ ধর্মগ্রন্থের অলীক আশ্বাস। জীবন শুধুই যন্ত্রণা। নরেন্দ্রনাথ বৈরাগ্যের পথ অবলম্বন করবেন, ধর্মগুরু হবেন, মঠ, মন্দির স্থাপন করবেন, বিশেষ একটা সম্প্রদায় গঠন করবেন—এসব তাঁর ভাবনায় নেই। তিনি নিজের জন্যে নয় প্রতিটি শৃঙ্খলিত মানুষের জন্যে একটা মধুর দুনিয়ার স্বপ্ন দেখেন। অশ্রুভরা, রক্ত ঝরা এই বিশ্ব তিনি চান না। অদৃশ্য সেই স্রষ্টাকে বলতে চান, আপনি যে প্ল্যানে জগৎ তৈরি করেছেন, তার চেয়ে ভালো প্ল্যান আছে আমার।
ভগবানের তীব্র সমালোচনা করে বলছেন— ক্ষুধার্তের মুখে যে ভগবান দু’টুকরো রুটি তুলে দিতে পারেন না, বঞ্চিত অসহায়ের চোখের জল নিবারণ করতে পারেন না, আশ্রয়হীনকে নিরাপদ একটি আশ্রয় দিতে পারেন না, তেমন নিশ্চেষ্ট, উদাসীন ভগবানের আমার প্রয়োজন নাই। অসাধারণ হৃদয়ের অধিকারী এই মানুষটি নতুন এক হৃদয়বান ভগবান নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। দক্ষিণেশ্বরে ঠাকুরের সমীপে তিনি যখন গিয়েছিলেন, তখন তিনি দুরন্ত, বেপরোয়া এক তরুণ। উচ্ছৃঙ্খল, আয়েসি, ভবিষ্যৎ বিমুখ এক যুবক নন কিন্তু। বয়সের তুলনায় অনেক বেশি প্রাজ্ঞ। স্বার্থচিন্তা নেই বললেই চলে। কীভাবে যেন তাঁর হৃদয়ের রুদ্ধ দুয়ার সব খুলে গিয়েছিল। ঠাকুরের কাছে সেই সময় একদল গৃহীদেরই আসা যাওয়া। সংসারের সুখ-দুঃখ ছাড়া কিছুই তাঁরা বোঝেন না। কেউ সেভাবে সর্বস্ব ত্যাগ করে ভগবানকে চান না। তাঁরা চান বিষয়, ভোগ আরও ভোগ। নির্মল, স্বচ্ছ, শুদ্ধ আনন্দের মর্ম তাঁদের অজানা। শুদ্ধাভক্তি কারে কয়, তাঁরা জানেন না, জানতেও চান না। ঠাকুরের সমীকরণ, ভক্ত, ভগবান, ভাগবত তাঁদের শ্রুতিতে প্রবেশ করলেও অন্তর স্পর্শ করে না। সেই হাটে যুবক নরেন্দ্রনাথের প্রবেশ। তিনি এক জিজ্ঞাসু। গর্ভমন্দিরে গিয়ে বিগ্রহের সামনে মাথা ঠোকার সামান্যতম ইচ্ছা নাই, কারণ তাঁর কোনও জাগতিক কামনা-বাসনা নেই। আছে এক তীব্র ঔৎসুক্য। কে ভগবান? পৃথিবীর কেউ কোনওদিন তাঁকে চাক্ষুষ করেছেন? তিনি পুরুষ, না রমণী। একটি মূর্তিতে সেই অনন্তকে সীমাবদ্ধ করা যায়? তিনি শ্রীকৃষ্ণ হয়ে বৃন্দাবনে বাঁশি বাজাচ্ছেন, সহস্র গোপী তাঁকে ঘিরে নৃত্য করছেন। নাকি তিনি মা কালী হয়ে শিবের বুকে দাঁড়িয়ে আছেন, এক অংশে বরাভয়ের আশ্বাস, অন্য অংশে মৃত্যু, জীবের অনিবার্য পরিণতি। জীবন আর মৃত্যুর সমন্বিত রূপ! শেষ পরিণতির দিকে তাকিয়ে আমি তাঁর কাছে অনন্ত জীবন, অপার সুখ চাইবার মতো নির্বোধ নই। চাইতে হলে, আমি এই ‘মৃত্যুরূপা কালীর কাছে মৃত্যুই চাইব।’
‘মহাশয়! আপনি কি ভগবানকে দর্শন করেছেন? কী তাঁর রূপ?’
প্রথম সাক্ষাতে এটাই ছিল যুবক নরেন্দ্রনাথের স্পষ্ট প্রশ্ন। ঠাকুর খুব খুশি হলেন। এই সেই, যাকে তাঁর প্রয়োজন। ‘জানি তুমি এসেছ, দীর্ঘ অপেক্ষার পর আজ তোমার দর্শন পেলাম। অনন্তকাল, জীবজগতে ঘটনার ঘনঘটা। নরেন্দ্রনাথ সেই অদৃশ্য পালাকার রহস্যের পর্দার আড়ালে অবস্থান করে যোগ-বিয়োগের খেলা খেলছেন। পাশার দান ফেলছেন। আমি এক খণ্ড, তুমি আর এক খণ্ড। দু’টি খণ্ড এক না হলে সম্পূর্ণ কাণ্ডটি হবে কী করে! আমি যেখানে, তুমি সেখানে। এইবার তুমি আমাকে বহন করে যেখানে নিয়ে যাবে! তুমি স্রোত আমি ভাসমান একটি পদ্ম। বিপরীতটাও হতে পারত। তুমি পুরুষ আমি প্রকৃতি। তুই যেন আমার শ্বশুরঘর।’
নরেন্দ্রনাথ স্তম্ভিত। বুঝতে পারলেন, অসাধারণ এই সাধক রহস্যের গভীরে প্রবেশ করেছেন। ঈশ্বর, ভগবান, দর্শন, অদর্শন এসব প্রথমভাগের কাঁচা প্রশ্ন। এই বিরাট রহস্য প্রশ্নাতীত। উপলব্ধির বিষয়। বোধের বিষয়। নরেন্দ্রনাথকে ঠাকুর বলতেন ধ্যানসিদ্ধ। ধ্যান মানে স্তব্ধতা। সমস্ত খণ্ড, খণ্ড চিন্তার অখণ্ডে অবস্থান। ঠাকুর বলতেন নরেন্দ্রর অখণ্ডের ঘর। তাঁর বাল্যকাল, যৌবনকাল, জরা, বার্ধক্য, এই সব সাধারণ জীবনের সময়ের বিভাজন তাঁর ক্ষেত্রে খাটবে না। নরেন্দ্র অখণ্ড একটি লীলা। সময়ের চক্রে কখনও দৃশ্য, কখনও অদৃশ্য। দেশ, কালের ঊর্ধ্বে তাঁর অবস্থান, তাঁর আবির্ভাব।
স্বামীজীর জীবন, তাঁর কর্মকাণ্ড, চরিত্রের এক মুখীনতা, দুর্জয় সাহস, সমস্ত বাধা অতিক্রম করার দৃঢ়তা ইত্যাদি পর্যালোচনা করলে এই সিদ্ধান্তে আসতেই হবে, তিনি বিশ্ব শক্তিরই একটি জমাট রূপ। আর এটির উদ্ঘাটন করে দিয়েছিলেন, জাগিয়ে দিয়েছিলেন ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণ। ঠাকুরের কাছে নরেন্দ্রনাথের মহা আব্দার, আমি নির্বিকল্প সমাধিতে বুঁদ হয়ে থাকতে চাই, ‘ব্রহ্মনেশা’। ঠাকুর বললেন, ‘ধুর! ও তো সামান্য ব্যাপার, ওর চেয়ে বড় অবস্থা আছে, সে পরে হবে। আমাদের অন্য কাজ আছে। কারণ ছাড়া আমরা তো আসিনি! আমাদের যুগ্ম অবস্থান, যেন দুটি হাত— একটি জ্ঞান, আর একটি ভক্তি। কর্ম আর ধর্ম। লক্ষ কোটি মানুষের এই পৃথিবী, অচৈতন্যের আখড়া। আমরা একটা মেরামতি কারখানা খুলব। সব ধরে, ধরে চৈতন্যের ইনজেকসান দিতে হবে, চৈতন্য অর্থাৎ চরিত্র। এই সংসার একটা বিরাট পাগলা গারদ, এখানে সবাই পাগল, কেউ পাগল টাকার জন্য, কেউ মেয়ে মানুষের জন্য, আবার কেউ বা নাম-যশের জন্য। ঈশ্বরের জন্য পাগল হয় ক’জন? নরেন্দ্র! ঈশ্বর পরশমণি, স্পর্শমাত্র আমাদের সোনাতে পরিণত করেন, আকার থাকে বটে, কিন্তু প্রকৃতির পরিবর্তন হয়। মানুষের আকার থাকে, কিন্তু কারো ক্ষতি করতে, বা পাপ কাজ করতে পারে না। সেই চৈতন্যের জাগরণ-ঘটাতে হবে। তোমাদের চৈতন্য হোক।’
কলেজী যুবক, স্বাস্থ্যবান, সর্ববিদ্যায় পারদর্শী, সচ্ছল পরিবারের সন্তান সেই সংস্কার নিয়ে সিমুলিয়ার দত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন। ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা। চতুর্দিকে রোগ, ভোগ, দারিদ্র, সংস্কার, কুসংস্কার। শিক্ষার অভাব। মেয়েদের জীবন অভাবনীয় দুর্ভোগে ভরা। রাজা রামমোহন সতীদাহ প্রথা রদ করাতে পেরেছেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিধবা বিবাহ আইন সিদ্ধ করাতে পেরেছেন। চরম বিরোধিতা সত্ত্বেও পিতা বিশ্বনাথ উৎসাহী সমর্থক। সিমুলিয়ায় দু’-একটি অনুষ্ঠান হয়েছে। ডিরোজিও একদল সংস্কার মুক্ত যুবক তৈরি করে গিয়েছেন, যাঁরা ইয়ং বেঙ্গল নামে পরিচিত। তাঁদের জীবনচর্যা, ধর্মবিশ্বাস ভিন্ন রকমের। এঁরা সব বিদ্রোহী যুবক। অনেকে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করছেন। ধর্মের রূপান্তর ঘটছে। রামমোহন রায় থেকে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, অবশেষে কেশবচন্দ্র সেন ও ব্রাহ্মধর্ম। খ্রিস্টান ধর্ম ও হিন্দু ধর্মের বেদান্তের সঙ্গে একটা ফিউসান। চোদ্দ বছরের নিরলস সাধনার শেষে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস হয়ে গুরুভাব ধারণ করেছেন। সব সংশয়ের নিরসন ঘটিয়ে বিশ্ববাসীকে একটি উদার মন্ত্র দিয়েছেন ‘যত মত তত পথ’। ধর্মে একটা নতুন যুগের সূচনা হয়েছে— ‘কেশব যুগ।’ ইংরেজি ধারায় শিক্ষিত বাঙালি যুবকেরা কেশবচন্দ্রের অনুগামী। ব্রাহ্মধর্মের মূল আবেদন, স্ত্রী স্বাধীনতা, শিক্ষার বিস্তার। কেশবচন্দ্রর অন্যতম সহযোগী শিবনাথ শাস্ত্রী বিধবা আশ্রম স্থাপন করেছেন। শ্রমজীবীদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বরাহনগরে রাজকুমারী মেয়েদের জন্যে স্কুল স্থাপন করেছেন। মদ্যপান নিবারণী সমিতি নেশার বিরুদ্ধে প্রচারে নেমেছেন। গ্রন্থাগার স্থাপিত হয়েছে। কেশবচন্দ্রের সঙ্গে ঠাকুরের প্রীতির সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এই সময়টাকে আমরা রেনেসাঁ বলতে পারি। বলতে পারি নব জাগরণের সূচনা। অন্ধকারে আলোর প্রবেশ।
ঠাকুর বলতেন, নরেন্দ্র ধ্যানসিদ্ধ। তার প্রবল কল্পনাশক্তি। ধ্যানে বসলেই অনন্তে হারিয়ে যায়। গতানুগতিক, প্রশ্নহীন ধর্মাচরণ তার পক্ষে সম্ভব নয়। ঠাকুর বুঝতে পেরেছিলেন খুব বড় আধার। তিনি যে ধর্মের প্রবক্তা, সেই ধর্ম সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেবে তাঁর এই নরেন্দ্র। সকলের সামনে তাঁর এই প্রধান শিষ্যটির বিপুল প্রশংসা করতেন। দক্ষিণেশ্বরের দীপ শিখাটিকে সে মশালে পরিণত করবে। জ্ঞান আর ভক্তির মিলন ঘটেছে তার চরিত্রে। বুদ্ধের হৃদয়, শঙ্করাচার্যের মেধা, চৈতন্যের প্রেম মিশে আছে তার অনুভূতিতে। সে ভেলকি লাগিয়ে দেবে! শ্রীরামকৃষ্ণ যে নতুন ধর্ম, নতুন বেদ আনলেন জগতে, নরেন্দ্রনাথ তার ব্যাখ্যা।
নরেন্দ্রনাথ যখন ছাত্র, তখনই তাঁর চিন্তায় প্রশ্ন এসেছিল, শিক্ষার পদ্ধতি কেমন হওয়া উচিত? লক্ষ কোটি মানুষ কি শিখবে! কোন শিক্ষায় আসবে স্বাবলম্বন, মানুষের ভেতর থেকে প্রকাশিত হবে তার দেবত্ব! নতুন মানুষ নির্মাণ করবে যন্ত্রণামুক্ত এক নতুন জগৎ। সেই সময় বিশ্বে দার্শনিকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করেছিলেন হার্বার্ট স্পেনসার। শিক্ষা সম্পর্কে তাঁর চিন্তা-ভাবণা ছাত্র নরেন্দ্রনাথকে আকর্ষণ করেছিল। দু’জনের মধ্যে পত্রালাপে শুরু হয়েছিল মত বিনিময়। স্পেনসারের প্রথম সূত্রটিই ছিল— ‘Education has for its object the formation of character.’ শিক্ষার উদ্দেশ্যই হল চরিত্র গঠন। স্বামীজি স্পেনসারের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে তাঁর প্রবন্ধটি বাংলায় অনুবাদ করেন। বইয়ের আকারে সেটি প্রকাশিত হয় নাম— ‘শিক্ষা’। শিক্ষা ছাড়া মানুষের মানুষ হওয়ার উপায় আছে কি? কী শিখবে মানুষ? শিখবে তিনটি ঐশ্বরিক দানের সমন্বয় ও জীবনে প্রয়োগ। স্বামীজীর বিখ্যাত 3H ফর্মুলা Head, Hand and Heart। মস্তিষ্কের উদ্ভাবনী প্রয়োগে বিশ্ব ক্রমশই এক আশ্চর্যজনক পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। চমকের পর চমক। বুদ্ধি, বিবেচনার যথার্থ প্রয়োগ। মাথাতেই আছে গঠনের বীজ, আবার ধ্বংসের বীজও। যে কোনও পরিকল্পনার সুষ্ঠু রূপায়ণের জন্যে, গঠনের জন্যে প্রয়োজন হাতের প্রয়োগ, জোড়া জোড়া হাত। সবার ঊর্ধ্বে হৃদয়, মর্মস্পর্শী, সংবেদনশীল হৃদয়। সংশয় দেখা দিলে মস্তিষ্কের পরিবর্তে হৃদয়ের অনুভূতিকে প্রাধান্য দাও।
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, রাজনীতি, অন্যান্য সব কিছুর অন্তরালে বসে একা মানুষ কাঁদে, ‘আমি কোথায় পাব তারে!’ একজন বুদ্ধ, চৈতন্য, রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ! শুরুতেই প্রশ্ন ছিল, যদি দেখা না হতো! এ তো হতেই হবে; নদীর দেখা হবে না সমুদ্রের সঙ্গে! বড় স্পষ্ট হল এই রহস্য— শান্ত শিবের বুকে শক্তি নাচে। ঠাকুর ব্যাখ্যা করছেন, ব্রহ্মের শক্তি, সমুদ্রের ঢেউ, রবির কিরণ। বাকিটা আর বলতে হবে না। অতি স্পষ্ট, যার নাম লীলা। গৌর-নিতাই, শ্রীরামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দ!
.............................................
গ্রাফিক্স  সোমনাথ পাল
সহযোগিতায়  উজ্জ্বল দাস  
12th  January, 2020
ভাইরাস যুদ্ধ
সমৃদ্ধ দত্ত

 এই প্রথম কোনও ভাইরাসকে দেখা যাচ্ছে প্রিভিলেজড ক্লাসকেই আক্রমণ করছে সবথেকে বেশি। অর্থাৎ বিমানে চড়ে, এ দেশ ও দেশ ঘুরে বেড়ায় এরকম ধনী শ্রেণী বেশি আক্রান্ত। বড়লোক দেশগুলিই বেশি ধ্বংসের মুখে।
বিশদ

 নিজামুদ্দিনে আজ মনখারাপের লকডাউন

 এমন কোনও দিল্লিবাসী আছেন নাকি যিনি আজ পর্যন্ত হজরত নিজামুদ্দিন দরগায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কখনও একবার অন্তত আসেননি কাওয়ালির আসরে? বিশদ

দ্বিশতবর্ষে শম্ভুনাথ পণ্ডিত
রজত চক্রবর্তী

 আজ থেকে দু’শো বছর আগে, ১৮২০ সালে জন্মেছিলেন শম্ভুনাথ। কাশ্মীরি পণ্ডিত পূর্বপুরুষদের আদি বাসস্থান ছিল লখনউ। শম্ভুনাথের বাবা সদাশিব পণ্ডিত ভাগ্যান্বেষণে চলে এসেছিলেন কলকাতায়। কলকাতায় শম্ভুনাথের জন্ম হলেও তাঁর কৈশোর কেটেছে লখনউয়ে। সেখানে তাঁর পড়াশোনা শুরু। বিশদ

22nd  March, 2020
বা ঙা লি র বঙ্গবন্ধু
মৃণালকান্তি দাস

তিনি বাঙালিকে শুধু বাঙালি জাতীয়তাবাদে ঐক্যবদ্ধ করেননি, বাঙালির আর্থিক, সাংস্কৃতিক মুক্তির জন্য তাঁদের প্রস্তুত করেছিলেন। তাঁর হাত ধরেই জন্ম হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের। শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলার আপামর জনতা তাঁকে অভিহিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু নামে। জন্মশতবর্ষে ফিরে দেখা তাঁর জীবন সংগ্রামকে।  বিশদ

15th  March, 2020
সমান অধিকারের দিন 

সমানাধিকার। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এটাই হোক একমাত্র লক্ষ্য। যেখানে প্রত্যেক নারীকে যথাযোগ্য সম্মান দেওয়ার জন্য থাকবে না আলাদা কোনও দিন। শিক্ষা, সচেতনতার মাধ্যমে দূর হোক বৈষম্য 
বিশদ

08th  March, 2020
উদ্বোধন ১২১
স্বামী শিবার্চনানন্দ

১৮৯৯ সালের জানুয়ারি মাসে পথচলা শুরু ‘উদ্বোধন’-এর। স্বামী বিবেকানন্দের প্রবল উৎসাহ আর পরামর্শে দিনরাত এক করে এই পত্রিকা সম্পাদনার দায়িত্ব সামলেছিলেন স্বামী ত্রিগুণাতীতানন্দ। পেরিয়ে গিয়েছে ১২১টি বছর। এখনও বাঙালির মননে অমলিন রামকৃষ্ণ দর্শনকে জনমানসে ছড়িয়ে দেওয়ার এই অনন্য প্রয়াস।  বিশদ

01st  March, 2020
দেশবন্ধু
সমৃদ্ধ দত্ত

গান্ধীজির একের পর এক অনুগামীকে নিজের দিকে টেনে আনতে সক্ষম হলেও, তাঁর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়নি একবিন্দুও। আবার তাঁকেই দীক্ষাগুরু হিসেবে স্থির করেছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। জন্মের সার্ধশতবর্ষে ফিরে দেখা সেই চিত্তরঞ্জন দাশকে। বিশদ

23rd  February, 2020
পথদ্রষ্টা ফালকে
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

‘রাজা হরিশ্চন্দ্র’-এর হাত ধরে পথচলা শুরু হয় প্রথম ভারতীয় পূর্ণাঙ্গ কাহিনীচিত্রের। ভারতীয় জাতীয়তাবাদের সঙ্গেও ফালকের নাম অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। ৭৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে এ দেশের সিনেমার পথদ্রষ্টাকে ফিরে দেখা। 
বিশদ

16th  February, 2020
ইতিহাসে টালা
দেবাশিস বসু

 ‘টালা’ কলকাতার অন্যতম প্রাচীন উপকণ্ঠ। ১৬৯০ সালের ২৪ আগস্ট জব চার্নক নেমেছিলেন সুতানুটিতে। ১৬৯৩ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি মারা যান। অর্থাৎ তিনি সুতানুটিতে ছিলেন জীবনের শেষ আড়াই বছর। তাঁর মৃত্যুর প্রায় পাঁচ বছর পরে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সাবর্ণ চৌধুরীদের কাছ থেকে গোবিন্দপুর, কলকাতা ও সুতানুটি গ্রাম তিনটির জমিদারি স্বত্ব কিনে নেয়।
বিশদ

09th  February, 2020
মহাশ্বেতা 

সন্দীপন বিশ্বাস: ‘সরস্বতী পুজো।’ শব্দ দুটো লিখে ল্যাপটপের কি-বোর্ড থেকে হাতটা সরিয়ে নিল শুভব্রত। চেয়ারে হেলান দিয়ে বাইরে চোখ। রাত এখন গভীর। আর কয়েকদিন পরেই সরস্বতী পুজো। এডিটর একটা লেখা চেয়েছেন। পুজো নিয়ে স্পেশাল এডিশনে ছাপা হবে। সাহিত্যিক হিসেবে শুভর একটা খ্যাতি আছে। 
বিশদ

02nd  February, 2020
শতবর্ষে জনসংযোগ
সমীর গোস্বামী

অনেকে মজা করে বলেন, সেলুনে যিনি হেয়ার স্টাইল ঠিক করেন, তিনি অনেক সময় বিশিষ্ট মানুষের কানেও হাত দিতে পারেন। জনসংযোগ আধিকারিক বা পিআরও’রাও খানিকটা তেমনই। প্রচারের স্বার্থে তাঁরা কেবল সাহসের উপর ভর করে অনেক কিছু করতে পারেন। মনে পড়ছে, বহু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা গণ্যমান্য ব্যক্তিকে কোনও কিছু উদ্বোধনের সময় ফিতে কাটতে দিতাম না। 
বিশদ

26th  January, 2020
অনন্য বিকাশ 

পাহাড়ী স্যান্যাল থেকে উত্তমকুমার সবাই ছিলেন তাঁর অভিনয়ের গুণমুগ্ধ ভক্ত। হেমেন গুপ্তের ‘৪২’ ছবিতে এক অত্যাচারী পুলিস অফিসারের ভূমিকায় এমন অভিনয় করেছিলেন যে দর্শকাসন থেকে জুতো ছোঁড়া হয়েছিল পর্দা লক্ষ্য করে। এই ঘটনাকে অভিনন্দন হিসেবেই গ্রহণ করেছিলেন তিনি। সেই অপ্রতিদ্বন্দ্বী অভিনেতা বিকাশ রায়কে নিয়ে লিখেছেন বেশ কিছু সিনেমায় তাঁর সহ অভিনেতা ও মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান অধ্যাপক ডঃ শঙ্কর ঘোষ।  
বিশদ

19th  January, 2020
সেলুলয়েডের শতবর্ষে হিচকক 
মৃন্ময় চন্দ

‘Thank you, ….very much indeed’
শতাব্দীর হ্রস্বতম অস্কার বক্তৃতা। আবার এটাও বলা যেতে পারে, মাত্র পাঁচটি শব্দ খরচ করে ‘ধন্যবাদজ্ঞাপন’।
হ্যাঁ, হয়তো অভিমানই রয়েছে এর পিছনে।
বিশদ

05th  January, 2020
ফিরে দেখা
খেলা

আর তিনদিন পরেই নতুন বছর। স্বাগত ২০২০। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে পুরনো বছরকেও। তাই ২০১৯ সালের বেশকিছু স্মরণীয় ঘটনার সংকলন নিয়ে চলতি বছরের সালতামামি। 
বিশদ

29th  December, 2019
একনজরে
  লন্ডন, ৪ এপ্রিল: অবশেষে বরফ গললো। বেতন কাটা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে ইয়ন মরগ্যান, বেন স্টোকসদের লড়াই চলছিল। ইসিবি চাইছিল, করোনা মোকাবিলায় ক্রিকেটারদের বেতনের কুড়ি শতাংশ অর্থ কমিয়ে দিয়ে। ...

বিএনএ, তমলুক: লকডাউনের মধ্যেই শুক্রবার রাতে চণ্ডীপুর থানার হাঁসচড়ায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ভল্ট খুলে ৩৪লক্ষ টাকা চুরি করে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। চাবি ব্যাঙ্কে থাকায় দুষ্কৃতীদের ভল্ট ভাঙতে হয়নি।   ...

সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ: করোনায় মৃতদের দেহ দাহ করা হবে স্থানীয় শ্মশানে, এই আশঙ্কায় শ্মশানঘাটের চারদিকের রাস্তা আটকে ঘণ্টা দুয়েক বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জে। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায়।   ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জলের অপচয় বন্ধে বারবার কলকাতা পুর প্রশাসনের তরফে আবেদন-নিবেদন করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও দেখা যাচ্ছে, শহরের বেশ কিছু অংশে জলের অপচয়ের মাত্রা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০৮- রাজনীতিক জগজীবন রামের জন্ম
১৯১৬- মার্কিন অভিনেতা গ্রেগরি পেকের জন্ম
১৯৩২ - বিশিষ্ট বাঙালী সাহিত্যিক প্রভাতকুমার মুখাপাধ্যায়ের মত্যু
১৯৫৭- কেরলে প্রথম ক্ষমতায় এলেন কমিউনিস্টরা
১৯৯৩- বলিউডের অভিনেত্রী দিব্যা ভারতীর মৃত্যু
২০০০- রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
২০০৭- সাহিত্যিক লীলা মজুমদারের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৫.২৪ টাকা ৭৬.৯৬ টাকা
পাউন্ড ৯২.৫১ টাকা ৯৫.৮২ টাকা
ইউরো ৮১.০৩ টাকা ৮৪.০৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
04th  April, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

২২ চৈত্র ১৪২৬, ৫ এপ্রিল ২০২০, রবিবার, (চৈত্র শুক্লপক্ষ) দ্বাদশী ৩৪/৫০ রাত্রি ৭/২৫। মঘা ২৩/৪০ দিবা ২/৫৭। সূ উ ৫/২৯/১৫, অ ৫/৪৯/৩৫, অমৃতযোগ দিবা ৬/১৮ গতে ৯/৩৬ মধ্যে। রাত্রি ৭/২২ গতে ৮/৫৬ মধ্যে। বারবেলা ১০/৭ গতে ১/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ১/৬ গতে ২/৩৪ মধ্যে।
২২ চৈত্র ১৪২৬, ৫ এপ্রিল ২০২০, রবিবার, দ্বাদশী ২৫/৩১/০ দিবা ৩/৪৩/১২। মঘা ১৪/৫০/৩৮ দিবা ১১/২৭/৩। সূ উ ৫/৩০/৪৮, অ ৫/৫০/৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/১৫ মধ্যে ও ১২/৫২ গতে ১/৪১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২২ গতে ৮/৫৬ মধ্যে। বারবেলা ১০/৮/২ গতে ১১/৪০/২৭ মধ্যে, কালবেলা ১১/৪০/২৭ গতে ১/১২/৫১ মধ্যে।
 ১১ শাবান

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯০৮- রাজনীতিক জগজীবন রামের জন্ম১৯১৬- মার্কিন অভিনেতা গ্রেগরি পেকের জন্ম১৯৩২ ...বিশদ

07:03:20 PM

ভূমিকম্প অনুভুত অসমে 
বিশ্বজুড়ে করোনা আতঙ্কের মাঝে এবার ভূমিকম্প অনুভুত হল অসমে। রিখটার ...বিশদ

11:39:32 PM

নিরোর কথা শুনেছিলাম, প্রধানমন্ত্রীকে দেখলাম, ট্যুইট ফিরহাদ হাকিমের 
প্রধানমন্ত্রীর ডাকে রবিবার রাত ন’টার সময় ন’মিনিট ঘরের আলো জ্বালিয়ে ...বিশদ

10:04:34 PM

৯ মিনিটের ‘লাইট আউট’-এর জন্য বিদ্যুৎ গ্রিডে কোনও প্রভাব পড়েনি: কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী আর কে সিং 

09:45:20 PM

দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪১১১, মৃত ১২৬: পিটিআই 

09:20:30 PM

করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই করুন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বার্তা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকারের 

09:18:00 PM