Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

বঙ্গ মিষ্টিকথা 
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কলকাতার এক ‘যশস্বী’ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীর বাড়িতে বিয়ে। মিষ্টিই তাঁদের পারিবারিক ব্যবসা। আর তাঁরা মিষ্টি শুধু তৈরি করেন না, আবিষ্কারও করেন। এ বিয়েতে নতুন কিছু হবে না... তা হয় নাকি! বউভাতের ফার্স্ট ব্যাচে সবার কৌতূহল তাই শেষ পাত অভিমুখে। অবশেষে দর্শন মিলল... সন্দেশের পাতুড়ি। মাছের পাতুড়ি শোনা যায়, কিন্তু সন্দেশে! সুকুমার রায় লিখে গিয়েছিলেন, ‘জলযোগে জল খাওয়া শুধু জল নয় তা’... আজ বেঁচে থাকলে নির্ঘাৎ এই সন্দেশের পাতুড়ি নিয়েও চার লাইন লিখে ফেলতেন। যাই হোক, সবাই খেয়ে ধন্য ধন্য করল। তারপর বাড়ি ফিরে গেল। ফলটা দেখা গেল দিন কয়েক পর। যে বাড়িতে বিয়ে ছিল, তাঁদের দোকানে নয়... হুবহু সেই সন্দেশের পাতুড়ির দেখা মিলল পাশের জেলার একটি দোকানে। তাঁরাও বড় ব্যবসায়ী। ছিলেন আত্মীয় হিসেবে নিমন্ত্রিত। কিন্তু পাতুড়ি খেয়ে তাঁর ব্যবসায়িক বুদ্ধি এমন খুলে গেল যে, আত্মীয় হয়ে গেল প্রতিদ্বন্দ্বী। সেই মহান আবিষ্কার বেমালুম নিজের বলে চালিয়ে দিলেন তিনি। মিষ্টির এমনই মাহাত্ম্য। মিষ্টিপিপাসুরা খেয়ে খুশি। আর বানানেওয়ালারা খাইয়ে। তা সে হলই বা আইডিয়া হাইজ্যাক!
মিষ্টি খেতে যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁরা এসবের পরোয়া করেন না। কেউ কেউ আছেন, যাঁদের মিষ্টি হলেই হল। এক পেট খাওয়ার পর জল গেলার অবস্থা নেই, কিন্তু শেষ পাতে মিষ্টি চাইই চাই। রেস্তরাঁয় খেতে গিয়েছি এক দূতাবাসের আধিকারিকের সঙ্গে। স্টার্টারে চার রকমের কাবাব, মেন কোর্সে বিরিয়ানি, চাপ... গলা পর্যন্ত ঠেসে দেওয়ার পর যখন প্লেট খালি হল, মনে হচ্ছিল এবার একটু বাইরের হাওয়া দরকার। উনি কিন্তু আনচান করছিলেন। ওয়েটার প্লেট তুলতে এলে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ডেজার্টে কিছু আছে ভাই?’
—‘হ্যাঁ স্যর, ফিরনি আছে।’
—‘বাঃ বাঃ, তিনটে দাও।’
ওয়েটার অর্ডার নিয়ে চলে গেলে প্রশ্ন করলাম, ‘তিনটে কেন?’ বললেন, ‘কেন? তুমি খাবে না?’ অঙ্কটা পরিষ্কার হল না। বললাম, ‘তাহলে তো দু’টো হল...!’ একগাল হেসে বললেন, ‘আরে না, তুমি একটা, আমি দু’টো। বিরিয়ানির উপর ভালো একটা প্রলেপ তো চাই নাকি!’ রাতের খাবারের শেষে তাঁকে চকোলেট হলেও সাপ্লাই দিতে হবে। গরমকালে আম হলে তো কেয়াবাত! তবে সেটা ভালো হিমসাগর... নাহলে বলবেন, ‘ধুস, ল্যাংড়া, ফজলি আবার আম নাকি?’ আর এসবের কিছুই না হলে?... মনে অভাব নিয়ে ঘুম হয়? শোনা যায়, রামমোহন রায় একটা গোটা পাঁঠা খাওয়ার পর এক কেজি মতো রাবড়ি খেয়ে নিতেন। রামমোহন না হোক, এনাকে শুধু মোহনের তকমা তো দেওয়াই যেতে পারে।
কাঁচা মিষ্টি, ভাজা মিষ্টি, রসের মিষ্টি, শুকনো মিষ্টি, জলভরা মিষ্টি, টাটকা মিষ্টি, বাসি মিষ্টি... বলতে গেল হাঁফ ধরে যাবে। কিন্তু মিষ্টিখাইয়েদের রসনার তৃপ্তি হবে না। এক দাদাকে দেখেছি, প্রবল সংযমী। সঙ্কটমোচনের পুজো দিয়ে লাড্ডু পর্যন্ত একটু খুঁটে খান। কিন্তু সত্যিকারের ভালো রসগোল্লা পেলে আর সংযমের তোয়াক্কা নেই। খান দু’য়েক অন্তত। এবং সেটা তিনি কখনওই রস চিপে খাবেন না। অর্থাৎ, ঐতিহ্য তিনি বজায় রেখেছেন। কারণ, অতীতের বিয়েবাড়িতে যাঁরা রসগোল্লার রস ফেলে খেতেন, তাঁদের মোটেই ‘খাইয়ে’ উপাধি দেওয়া হতো না। রস সমেত না হলে আর রসগোল্লা কীসের? দাদা কিন্তু সেই ক্যাটিগরির। তখন অবশ্য অন্য জমানা ছিল। পরিবেশনের ছেলেটি মিষ্টি দিতে এলে বলা হতো, ‘বালতিটা নামিয়ে রেখে যা...’। এবং এই অর্ডার এক-দু’জন নয়, অনেকের থেকেই পাওয়া যেত। ‘কেউ কহে দৈ আন কেহ হাঁকে লুচি’ কেস আর কি! আসলে ক্যালরি মেপে খাওয়ার রেওয়াজটা তখন ছিল না। আর ছিল না ভেজালও। তাই তাঁরা খেতেন। হজমও করতেন। আবার ‘খাইয়ে’রা শুধু মিষ্টি খেয়েই নাম কিনতেন, তা নয়। মাংসও তাঁরা এক বালতিই খেতেন। আর তারপর কিলোখানেকের দইয়ের হাঁড়ি। তাতে ফেলা থাকত কড়াপাকের সন্দেশ। উফ্‌ফ্‌... অমৃতসম। কড়াপাকের সন্দেশ থেকে মনে পড়ল স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের কথা। এক ধামা (বেতের ঝুড়ি) কড়াপাকের সন্দেশ হেলায় খেতে পারতেন আশুতোষবাবু।
আবার যুগান্তরে আসা যাক। কলেজ জমানার এক বান্ধবীর সঙ্গে বেরিয়ে আবিষ্কার করেছিলাম এক অনন্য থিম। এমনিতে সে মিষ্টি খুব একটা খায় না। কিন্তু মন খারাপ হলে অন্য সমীকরণ। সে ছিল তেমনই একদিন। বড্ড মন খারাপ। অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়েও কাজ দিল না। হাল ছেড়ে শেষে বললাম, ‘কী হলে তোর মন খারাপ কাটবে বল তো?’
—‘মিষ্টি খাওয়াবি? তাহলে হবে।’
—‘চল, তাই হোক।’
ভবানীপুরের বড়সড় একটা দোকানে ঢুকে বললাম, ‘কী খাবি বল?’ এবার সে শুরু করল। যেটা দেখে ভালো লাগছে, সেটাই একটা... কখনও দু’টো করে। খাওয়া শেষ করে যখন প্রশান্তির একগাল হাসি দিল, ততক্ষণে বিল হয়েছে ২৬০ টাকা। আজ থেকে প্রায় ১৮ বছর আগের কথা। তখন খুব ভালো মিষ্টি কিন্তু ১০-১২ টাকায় পাওয়া যেত। তাহলেই বুঝুন!
আছেন এক অধ্যাপক বন্ধু। মিষ্টি তাঁর প্যাশন। অ্যাডভেঞ্চার। তিনি রাত দু’টোয় ঘুম ভেঙে উঠে ফ্রিজে অনুসন্ধান চালান... মিষ্টি তাঁর রাখাই থাকে। রাতের জন্য। ছুটির দিনে বউ-ছেলে ঘুমোচ্ছে। তাঁর হঠাৎই মনে পড়েছে নতুন গুড়ের কথা। জামা-প্যান্ট চাপিয়ে সোজা স্টেশন। ট্রেন ধরে বারুইপুর। নতুন গুড়ের মাখা সন্দেশ... বেশিটাই খেলেন। কিছুটা আনলেন বাড়ির জন্য। প্রশ্নমাখা চোখে তাকালে উত্তর, ‘আরে, ভরদুপুরে বাড়ি কেটে পালিয়েছি, কিছু তো উৎকোচ দিতে হবে?’
—‘বউদি এই উৎকোচে খুশি হয়?’
—‘হয়, হয়... সঙ্গগুণ বলেও তো একটা ব্যাপার আছে! আর খুশি না হলেই বা কী, আমি তো আছি!’ পরক্ষণেই কিছু একটা মনে পড়ে গেল তাঁর... ‘আরে শুনেছ, চিনার পার্কের কাছে একটা নাকি দারুণ মিষ্টির দোকান হয়েছে। চলো, একদিন যাই...।’
—‘তা যাওয়া যেতেই পারে। কবে যাবে বলো?’
—‘একদিন দুপুরে চলো!’
—‘দুপুরে?’
—‘হুমম, সেদিন আর লাঞ্চ করব না। ওখানেই যা খাওয়ার খেয়ে নেব। বেশ কয়েক রকম না খেলে সার্টিফিকেট দেব কী করে?’
সত্যিই তো! এমন ভোজনরসিকদের সার্টিফিকেট না পেলে কি আর নতুন দোকান জাতে ওঠে?
বাঙালি মানে লাড্ডু নয়, দরবেশ। বাঙালি মানে বাজার করতে বেরিয়ে থলে বগলে চেপে খান চারেক জিলিপি। বাঙালি মানে নেমন্তন্ন বাড়িতে গিয়ে ১১টার সময় ‘ব্রেকফাস্টে’ ছ’টা অমৃতির পর লাঞ্চে ইলিশ, পাঁঠার মাংস। এই কসমোপলিটন যুগেও। আগের দিনে মরশুম এলেই বাঙালি রোজ পাড়ার দোকানে খোঁজ নিত, ‘ওরে, নলেন এল রে?’ কিংবা মুড়কির মোয়া। ভাজা ভেটকি নাই বা হল। শীতে মোয়া চাই। আর তা যদি কণকচূড় খইয়ের ‘অরিজিনাল’ হয়, তাহলে তো কথাই নেই। আবার সেই বাবুই বড়দিনের আগে দাঁড়াতেন গ্রেট ইস্টার্নের লাইনে। কেককাহিনীর জাত্যাভিমান এখন অবশ্য অতীতেই পড়ে আছে। এই জমানায় কেক তৈরির সাম্রাজ্য বহুবিস্তৃত। তাই আজ আর সেই অর্থে কেকের ব্র্যান্ড খুব একটা দেখা হয় না। একটু ভালো হলেই হল... কিন্তু দু’টুকরো চাই। অন্তত পঁচিশের সকালে। নলেনকেও আমরা ভুলিনি। হ্যাঁ, উৎসাহে ভাটা পড়েছে বইকি। তাও বাড়ির কর্তা যখন অফিস ফেরত প্লাস্টিকের প্যাকেটে নতুন ঝোলা গুড় নিয়ে বাড়ি ফেরেন, গিন্নির মনে পড়ে ছেলেবেলার কথা। ‘আজ তাহলে রাতে রুটি তো?’ প্রশ্নের সঙ্গে উড়ে আসে একচিলতে হাসিও। কর্তার মুখেও যুদ্ধজয়ের এক্সপ্রেশন... ‘চলতে পারে। আর না হলে কাল তো রোববার... সকালে না হয় একটু পাউরুটি নিয়ে আসব!’
সত্যি... বাঙালি রসনা ভুলতে পারবে না। সুকুমার রায়ও না। কবেই না তিনি লিখে গিয়েছেন... ‘কিন্তু সবার চাইতে ভাল—পাউরুটি আর ঝোলা গুড়।’ 
22nd  December, 2019
শতবর্ষে জনসংযোগ
সমীর গোস্বামী

অনেকে মজা করে বলেন, সেলুনে যিনি হেয়ার স্টাইল ঠিক করেন, তিনি অনেক সময় বিশিষ্ট মানুষের কানেও হাত দিতে পারেন। জনসংযোগ আধিকারিক বা পিআরও’রাও খানিকটা তেমনই। প্রচারের স্বার্থে তাঁরা কেবল সাহসের উপর ভর করে অনেক কিছু করতে পারেন। মনে পড়ছে, বহু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা গণ্যমান্য ব্যক্তিকে কোনও কিছু উদ্বোধনের সময় ফিতে কাটতে দিতাম না। 
বিশদ

26th  January, 2020
অনন্য বিকাশ 

পাহাড়ী স্যান্যাল থেকে উত্তমকুমার সবাই ছিলেন তাঁর অভিনয়ের গুণমুগ্ধ ভক্ত। হেমেন গুপ্তের ‘৪২’ ছবিতে এক অত্যাচারী পুলিস অফিসারের ভূমিকায় এমন অভিনয় করেছিলেন যে দর্শকাসন থেকে জুতো ছোঁড়া হয়েছিল পর্দা লক্ষ্য করে। এই ঘটনাকে অভিনন্দন হিসেবেই গ্রহণ করেছিলেন তিনি। সেই অপ্রতিদ্বন্দ্বী অভিনেতা বিকাশ রায়কে নিয়ে লিখেছেন বেশ কিছু সিনেমায় তাঁর সহ অভিনেতা ও মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান অধ্যাপক ডঃ শঙ্কর ঘোষ।  
বিশদ

19th  January, 2020
যদি এমন হতো! 
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

যদি এমন হতো? সিমুলিয়ার দত্ত পরিবারে নরেন্দ্রনাথ এসেছেন, ধনীর আদরের সন্তান; কিন্তু শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব পৃথিবীতে আসেননি। তাহলে নরেন্দ্রনাথ কি স্বামী বিবেকানন্দ হতেন! মেধাবী, সাহসী, শ্রুতিধর এই সুন্দর যুবকটি পিতাকে অনুসরণ করে হয়তো আরও শ্রেষ্ঠ এক আইনজীবী হতেন, ডাকসাইটে ব্যারিস্টার, অথবা সেই ইংরেজযুগের সর্বোচ্চ পদাধিকারী, ঘোড়ায় চাপা ব্রাউন সাহেব— আইসিএস। ক্ষমতা হতো, সমৃদ্ধি হতো।
বিশদ

12th  January, 2020
সেলুলয়েডের শতবর্ষে হিচকক 
মৃন্ময় চন্দ

‘Thank you, ….very much indeed’
শতাব্দীর হ্রস্বতম অস্কার বক্তৃতা। আবার এটাও বলা যেতে পারে, মাত্র পাঁচটি শব্দ খরচ করে ‘ধন্যবাদজ্ঞাপন’।
হ্যাঁ, হয়তো অভিমানই রয়েছে এর পিছনে।
বিশদ

05th  January, 2020
ফিরে দেখা
খেলা

আর তিনদিন পরেই নতুন বছর। স্বাগত ২০২০। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে পুরনো বছরকেও। তাই ২০১৯ সালের বেশকিছু স্মরণীয় ঘটনার সংকলন নিয়ে চলতি বছরের সালতামামি। 
বিশদ

29th  December, 2019
ফিরে দেখা
বিনোদন

আর তিনদিন পরেই নতুন বছর। স্বাগত ২০২০। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে পুরনো বছরকেও। তাই ২০১৯ সালের বেশকিছু স্মরণীয় ঘটনার সংকলন নিয়ে চলতি বছরের সালতামামি।  
বিশদ

29th  December, 2019
ফিরে দেখা
রাজ্য 

আর তিনদিন পরেই নতুন বছর। স্বাগত ২০২০। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে পুরনো বছরকেও। তাই ২০১৯ সালের বেশকিছু স্মরণীয় ঘটনার সংকলন নিয়ে চলতি বছরের সালতামামি।   বিশদ

29th  December, 2019
ফিরে দেখা
দেশ-বিদেশ 

আর তিনদিন পরেই নতুন বছর। স্বাগত ২০২০। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে পুরনো বছরকেও। তাই ২০১৯ সালের বেশকিছু স্মরণীয় ঘটনার সংকলন নিয়ে চলতি বছরের সালতামামি।  
বিশদ

29th  December, 2019
সংবিধানের ৭০
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারত এবং বিশেষ করে আগামীদিনের শাসক কংগ্রেসের সঙ্গে এভাবে চরম তিক্ততার সম্পর্ক করে রেখে পৃথক পাকিস্তান পাওয়ার পর, সেই নতুন দেশের নিরাপত্তা কতটা সুনিশ্চিত? কীভাবে সম্ভাব্য পাকিস্তানের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করা যাবে? কী কী সমস্যা আসতে পারে?  
বিশদ

15th  December, 2019
রাজ সিংহাসন
প্রণবকুমার মিত্র

 দরবারে আসছেন মহারাজ। শিঙে, ঢাক, ঢোল, কাঁসর ঘণ্টার বাদ্যি আর তোপের শব্দ সেটাই জানান দিচ্ছে। তারপর সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে মহারাজ ধীর পায়ে গিয়ে বসলেন রাজ সিংহাসনে। আগেকার দিনে রূপকথার গল্পে এটাই বলা হতো।
বিশদ

08th  December, 2019
আ ম্মা হী ন তামিল রাজনীতি
রূপাঞ্জনা দত্ত

২৪ ফেব্রুয়ারি। তামিলনাড়ুর কাছে এটা একটা বিশেষ দিন। মন্দিরে মন্দিরে উপচে পড়ত ভিড়। সবার একটাই প্রার্থনা, ‘আম্মা নাল্লামাগা ইরঙ্গ’। ‘আপনি ভালো থাকুন’। ওইদিন তিনিও যেতেন মন্দিরে। নিজের জন্মদিনে ভক্তদের ভালোবাসা বিলোতে। সেটাকে অবশ্য ‘পুরাচি থালাইভি’র আশীর্বাদ বলেই গণ্য করত সবাই।   বিশদ

01st  December, 2019
অর্ধশতবর্ষে শ্বেত বিপ্লব 
কল্যাণ বসু

‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে...’
রায়গুণাকর ভারতচন্দ্রের ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যে ঈশ্বরী পাটনীর কালজয়ী বর প্রার্থনা ছিল এটাই। ‘অন্নপূর্ণা ও ঈশ্বরী পাটনী’র এই অবিস্মরণীয় পংক্তিতে সন্তানের মঙ্গলচিন্তা যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে সন্তানের মঙ্গলার্যে বিরাট কোনও লোভ না দেখিয়ে শুধুমাত্র দুধ-ভাতের আজীবন জোগান প্রার্থনা করা। সুস্থ-সবল সন্তানের জন্য ভাতের সঙ্গে দুধের অপরিহার্যতার কথাও আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রয়েছে এই প্রার্থনায়।  
বিশদ

24th  November, 2019
অচেনা অযোধ্যা
সমৃদ্ধ দত্ত

 সরযূ নদীর নয়াঘাটে মাঝেমধ্যেই দেখা যাবে এক টানাপোড়েনের দৃশ্য। গোন্দা জেলার মানকপুর গ্রামের রমাদেবী নিজের মেয়ের সামনে হাতজোড় করে বলছেন, ‘আমাকে ছেড়ে দে রে..আমি কয়েকদিন পর আবার চলে যাব..সত্যি বলছি যাব।’ মেয়ে জানে মায়ের কথার ঠিক নেই। আজ বিশ্বাস করে ছেড়ে দিলে, সত্যিই কবে যাবে, কোনও ঠিক নেই।
বিশদ

17th  November, 2019
বিস্মৃতপ্রায় সুরেন্দ্রনাথ
রজত চক্রবর্তী

কালো পুলিস ভ্যানটা ঢুকতেই উত্তেজিত জনতা যেন তাতে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে। আন্দোলনের নেতৃত্বে স্বয়ং ‘বাংলার বাঘ’ আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। হবে নাই বা কেন! বাংলার জাত্যাভিমানকে পরিচিতি দিয়েছিলেন পুলিস ভ্যানের ভিতরে বসে থাকা ব্যক্তিটিই। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তাঁর জন্মদিন। বিশদ

10th  November, 2019
একনজরে
 ওয়াশিংটন: আরও একবার রেকর্ড ছাড়িয়েছে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড ও অন্য গ্রিনহাউস গ্যাসের উপস্থিতি। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব ...

 আগ্রা, ২৫ জানুয়ারি: কথায় বলে প্রেমের কোনও বয়স হয়না। এই প্রবাদবাক্যটি ফের একবার বাস্তবে ধরা পড়ল। আর তার ঘটল খোদ তাজমহলেরই শহর আগ্রায়। যার রূপকার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯২৬: জন লগি বেয়ার্ড লন্ডনে প্রথম টেলিভিশন সিস্টেমকে জনসমক্ষে নিয়ে আসেন
১৯৩৬: জনগণের জন্য লন্ডনে শুরু হল বিবিসি-র সম্প্রচার
১৯৩৯: আমেরিকায় নিয়মিতভাবে টেলিভিশন সম্প্রচার শুরু
১৭৮২ – বাঁশের কেল্লা খ্যাত বিপ্লবী তিতুমীর তথা সৈয়দ মীর নিসার আলীর জন্ম
১৮৮০ - টমাস আলভা এডিসন বৈদ্যুতিক বাতির বাণিজ্যিক পেটেন্ট করেন।
১৯৬৯: অভিনেতা ববি দেওলের জন্ম
১৯৬৯: চিত্রপরিচালক বিক্রম ভাটের জন্ম
১৯৮৬: বিশিষ্ট সেতারবাদক নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
২০০৯: ভারতের অষ্টম রাষ্ট্রপতি আর ভেঙ্কটরামনের মৃত্যু
২০০২ - নাইজেরিয়ার লেগোস শহরে এক বিস্ফোরণে এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি মানুন গৃহহীন হন।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৬৪ টাকা ৭২.৩৪ টাকা
পাউন্ড ৯১.৭৩ টাকা ৯৫.০২ টাকা
ইউরো ৭৭.৩৫ টাকা ৮০.৩৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০,৯৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮,৮৮৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৯,৪৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৭,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৭,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
26th  January, 2020

দিন পঞ্জিকা

১১ মাঘ ১৪২৬, ২৬ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, (মাঘ শুক্লপক্ষ) দ্বিতীয়া ৫৯/৪৫ শেষ রাত্রি ৬/১৬। ধনিষ্ঠা অহোরাত্র। সূ উ ৬/২১/৫৩, অ ৫/১৬/১৩, অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ গতে ১০/০ মধ্যে। রাত্রি ৭/১ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৭ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। 
১১ মাঘ ১৪২৬, ২৬ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, দ্বিতীয়া ৫৬/১৭/৫২ শেষরাত্রি ৪/৫৬/৫। ধনিষ্ঠা ৫৮/৫৪/২৯ শেষরাত্রি ৫/৫৮/৪৪। সূ উ ৬/২৪/৫৬, অ ৫/১৪/৫৬, অমৃতযোগ দিবা ৭/১ গতে ৯/৫৯ মধ্যে ও রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে। কালবেলা ১১/৪৯/৫৬ গতে ১/১১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৮/৪১ গতে ৩/৭/২৬ মধ্যে।
৩০ জমাদিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। বৃষ: নিজের প্রতিভার দ্বারা বিশেষ প্রতিষ্ঠা লাভ করতে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯২৬: জন লগি বেয়ার্ড লন্ডনে প্রথম টেলিভিশন সিস্টেমকে জনসমক্ষে নিয়ে ...বিশদ

07:03:20 PM

গিরিশ পার্ক এলাকায় ১১ মাসের শিশুকে অপহরণের অভিযোগ

04:55:03 PM

আনন্দপুরে একটি বাড়িতে ঢুকে মহিলাকে বেঁধে লুটতরাজ দুষ্কৃতীদের, তদন্তে পুলিস 

04:18:31 PM

৮৩ যাত্রী নিয়ে আফগানিস্তানের গজনিতে ভেঙে পড়ল বিমান

04:15:59 PM

৪৫৮ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

04:11:36 PM