Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

বঙ্গ মিষ্টিকথা 
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কলকাতার এক ‘যশস্বী’ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীর বাড়িতে বিয়ে। মিষ্টিই তাঁদের পারিবারিক ব্যবসা। আর তাঁরা মিষ্টি শুধু তৈরি করেন না, আবিষ্কারও করেন। এ বিয়েতে নতুন কিছু হবে না... তা হয় নাকি! বউভাতের ফার্স্ট ব্যাচে সবার কৌতূহল তাই শেষ পাত অভিমুখে। অবশেষে দর্শন মিলল... সন্দেশের পাতুড়ি। মাছের পাতুড়ি শোনা যায়, কিন্তু সন্দেশে! সুকুমার রায় লিখে গিয়েছিলেন, ‘জলযোগে জল খাওয়া শুধু জল নয় তা’... আজ বেঁচে থাকলে নির্ঘাৎ এই সন্দেশের পাতুড়ি নিয়েও চার লাইন লিখে ফেলতেন। যাই হোক, সবাই খেয়ে ধন্য ধন্য করল। তারপর বাড়ি ফিরে গেল। ফলটা দেখা গেল দিন কয়েক পর। যে বাড়িতে বিয়ে ছিল, তাঁদের দোকানে নয়... হুবহু সেই সন্দেশের পাতুড়ির দেখা মিলল পাশের জেলার একটি দোকানে। তাঁরাও বড় ব্যবসায়ী। ছিলেন আত্মীয় হিসেবে নিমন্ত্রিত। কিন্তু পাতুড়ি খেয়ে তাঁর ব্যবসায়িক বুদ্ধি এমন খুলে গেল যে, আত্মীয় হয়ে গেল প্রতিদ্বন্দ্বী। সেই মহান আবিষ্কার বেমালুম নিজের বলে চালিয়ে দিলেন তিনি। মিষ্টির এমনই মাহাত্ম্য। মিষ্টিপিপাসুরা খেয়ে খুশি। আর বানানেওয়ালারা খাইয়ে। তা সে হলই বা আইডিয়া হাইজ্যাক!
মিষ্টি খেতে যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁরা এসবের পরোয়া করেন না। কেউ কেউ আছেন, যাঁদের মিষ্টি হলেই হল। এক পেট খাওয়ার পর জল গেলার অবস্থা নেই, কিন্তু শেষ পাতে মিষ্টি চাইই চাই। রেস্তরাঁয় খেতে গিয়েছি এক দূতাবাসের আধিকারিকের সঙ্গে। স্টার্টারে চার রকমের কাবাব, মেন কোর্সে বিরিয়ানি, চাপ... গলা পর্যন্ত ঠেসে দেওয়ার পর যখন প্লেট খালি হল, মনে হচ্ছিল এবার একটু বাইরের হাওয়া দরকার। উনি কিন্তু আনচান করছিলেন। ওয়েটার প্লেট তুলতে এলে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ডেজার্টে কিছু আছে ভাই?’
—‘হ্যাঁ স্যর, ফিরনি আছে।’
—‘বাঃ বাঃ, তিনটে দাও।’
ওয়েটার অর্ডার নিয়ে চলে গেলে প্রশ্ন করলাম, ‘তিনটে কেন?’ বললেন, ‘কেন? তুমি খাবে না?’ অঙ্কটা পরিষ্কার হল না। বললাম, ‘তাহলে তো দু’টো হল...!’ একগাল হেসে বললেন, ‘আরে না, তুমি একটা, আমি দু’টো। বিরিয়ানির উপর ভালো একটা প্রলেপ তো চাই নাকি!’ রাতের খাবারের শেষে তাঁকে চকোলেট হলেও সাপ্লাই দিতে হবে। গরমকালে আম হলে তো কেয়াবাত! তবে সেটা ভালো হিমসাগর... নাহলে বলবেন, ‘ধুস, ল্যাংড়া, ফজলি আবার আম নাকি?’ আর এসবের কিছুই না হলে?... মনে অভাব নিয়ে ঘুম হয়? শোনা যায়, রামমোহন রায় একটা গোটা পাঁঠা খাওয়ার পর এক কেজি মতো রাবড়ি খেয়ে নিতেন। রামমোহন না হোক, এনাকে শুধু মোহনের তকমা তো দেওয়াই যেতে পারে।
কাঁচা মিষ্টি, ভাজা মিষ্টি, রসের মিষ্টি, শুকনো মিষ্টি, জলভরা মিষ্টি, টাটকা মিষ্টি, বাসি মিষ্টি... বলতে গেল হাঁফ ধরে যাবে। কিন্তু মিষ্টিখাইয়েদের রসনার তৃপ্তি হবে না। এক দাদাকে দেখেছি, প্রবল সংযমী। সঙ্কটমোচনের পুজো দিয়ে লাড্ডু পর্যন্ত একটু খুঁটে খান। কিন্তু সত্যিকারের ভালো রসগোল্লা পেলে আর সংযমের তোয়াক্কা নেই। খান দু’য়েক অন্তত। এবং সেটা তিনি কখনওই রস চিপে খাবেন না। অর্থাৎ, ঐতিহ্য তিনি বজায় রেখেছেন। কারণ, অতীতের বিয়েবাড়িতে যাঁরা রসগোল্লার রস ফেলে খেতেন, তাঁদের মোটেই ‘খাইয়ে’ উপাধি দেওয়া হতো না। রস সমেত না হলে আর রসগোল্লা কীসের? দাদা কিন্তু সেই ক্যাটিগরির। তখন অবশ্য অন্য জমানা ছিল। পরিবেশনের ছেলেটি মিষ্টি দিতে এলে বলা হতো, ‘বালতিটা নামিয়ে রেখে যা...’। এবং এই অর্ডার এক-দু’জন নয়, অনেকের থেকেই পাওয়া যেত। ‘কেউ কহে দৈ আন কেহ হাঁকে লুচি’ কেস আর কি! আসলে ক্যালরি মেপে খাওয়ার রেওয়াজটা তখন ছিল না। আর ছিল না ভেজালও। তাই তাঁরা খেতেন। হজমও করতেন। আবার ‘খাইয়ে’রা শুধু মিষ্টি খেয়েই নাম কিনতেন, তা নয়। মাংসও তাঁরা এক বালতিই খেতেন। আর তারপর কিলোখানেকের দইয়ের হাঁড়ি। তাতে ফেলা থাকত কড়াপাকের সন্দেশ। উফ্‌ফ্‌... অমৃতসম। কড়াপাকের সন্দেশ থেকে মনে পড়ল স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের কথা। এক ধামা (বেতের ঝুড়ি) কড়াপাকের সন্দেশ হেলায় খেতে পারতেন আশুতোষবাবু।
আবার যুগান্তরে আসা যাক। কলেজ জমানার এক বান্ধবীর সঙ্গে বেরিয়ে আবিষ্কার করেছিলাম এক অনন্য থিম। এমনিতে সে মিষ্টি খুব একটা খায় না। কিন্তু মন খারাপ হলে অন্য সমীকরণ। সে ছিল তেমনই একদিন। বড্ড মন খারাপ। অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়েও কাজ দিল না। হাল ছেড়ে শেষে বললাম, ‘কী হলে তোর মন খারাপ কাটবে বল তো?’
—‘মিষ্টি খাওয়াবি? তাহলে হবে।’
—‘চল, তাই হোক।’
ভবানীপুরের বড়সড় একটা দোকানে ঢুকে বললাম, ‘কী খাবি বল?’ এবার সে শুরু করল। যেটা দেখে ভালো লাগছে, সেটাই একটা... কখনও দু’টো করে। খাওয়া শেষ করে যখন প্রশান্তির একগাল হাসি দিল, ততক্ষণে বিল হয়েছে ২৬০ টাকা। আজ থেকে প্রায় ১৮ বছর আগের কথা। তখন খুব ভালো মিষ্টি কিন্তু ১০-১২ টাকায় পাওয়া যেত। তাহলেই বুঝুন!
আছেন এক অধ্যাপক বন্ধু। মিষ্টি তাঁর প্যাশন। অ্যাডভেঞ্চার। তিনি রাত দু’টোয় ঘুম ভেঙে উঠে ফ্রিজে অনুসন্ধান চালান... মিষ্টি তাঁর রাখাই থাকে। রাতের জন্য। ছুটির দিনে বউ-ছেলে ঘুমোচ্ছে। তাঁর হঠাৎই মনে পড়েছে নতুন গুড়ের কথা। জামা-প্যান্ট চাপিয়ে সোজা স্টেশন। ট্রেন ধরে বারুইপুর। নতুন গুড়ের মাখা সন্দেশ... বেশিটাই খেলেন। কিছুটা আনলেন বাড়ির জন্য। প্রশ্নমাখা চোখে তাকালে উত্তর, ‘আরে, ভরদুপুরে বাড়ি কেটে পালিয়েছি, কিছু তো উৎকোচ দিতে হবে?’
—‘বউদি এই উৎকোচে খুশি হয়?’
—‘হয়, হয়... সঙ্গগুণ বলেও তো একটা ব্যাপার আছে! আর খুশি না হলেই বা কী, আমি তো আছি!’ পরক্ষণেই কিছু একটা মনে পড়ে গেল তাঁর... ‘আরে শুনেছ, চিনার পার্কের কাছে একটা নাকি দারুণ মিষ্টির দোকান হয়েছে। চলো, একদিন যাই...।’
—‘তা যাওয়া যেতেই পারে। কবে যাবে বলো?’
—‘একদিন দুপুরে চলো!’
—‘দুপুরে?’
—‘হুমম, সেদিন আর লাঞ্চ করব না। ওখানেই যা খাওয়ার খেয়ে নেব। বেশ কয়েক রকম না খেলে সার্টিফিকেট দেব কী করে?’
সত্যিই তো! এমন ভোজনরসিকদের সার্টিফিকেট না পেলে কি আর নতুন দোকান জাতে ওঠে?
বাঙালি মানে লাড্ডু নয়, দরবেশ। বাঙালি মানে বাজার করতে বেরিয়ে থলে বগলে চেপে খান চারেক জিলিপি। বাঙালি মানে নেমন্তন্ন বাড়িতে গিয়ে ১১টার সময় ‘ব্রেকফাস্টে’ ছ’টা অমৃতির পর লাঞ্চে ইলিশ, পাঁঠার মাংস। এই কসমোপলিটন যুগেও। আগের দিনে মরশুম এলেই বাঙালি রোজ পাড়ার দোকানে খোঁজ নিত, ‘ওরে, নলেন এল রে?’ কিংবা মুড়কির মোয়া। ভাজা ভেটকি নাই বা হল। শীতে মোয়া চাই। আর তা যদি কণকচূড় খইয়ের ‘অরিজিনাল’ হয়, তাহলে তো কথাই নেই। আবার সেই বাবুই বড়দিনের আগে দাঁড়াতেন গ্রেট ইস্টার্নের লাইনে। কেককাহিনীর জাত্যাভিমান এখন অবশ্য অতীতেই পড়ে আছে। এই জমানায় কেক তৈরির সাম্রাজ্য বহুবিস্তৃত। তাই আজ আর সেই অর্থে কেকের ব্র্যান্ড খুব একটা দেখা হয় না। একটু ভালো হলেই হল... কিন্তু দু’টুকরো চাই। অন্তত পঁচিশের সকালে। নলেনকেও আমরা ভুলিনি। হ্যাঁ, উৎসাহে ভাটা পড়েছে বইকি। তাও বাড়ির কর্তা যখন অফিস ফেরত প্লাস্টিকের প্যাকেটে নতুন ঝোলা গুড় নিয়ে বাড়ি ফেরেন, গিন্নির মনে পড়ে ছেলেবেলার কথা। ‘আজ তাহলে রাতে রুটি তো?’ প্রশ্নের সঙ্গে উড়ে আসে একচিলতে হাসিও। কর্তার মুখেও যুদ্ধজয়ের এক্সপ্রেশন... ‘চলতে পারে। আর না হলে কাল তো রোববার... সকালে না হয় একটু পাউরুটি নিয়ে আসব!’
সত্যি... বাঙালি রসনা ভুলতে পারবে না। সুকুমার রায়ও না। কবেই না তিনি লিখে গিয়েছেন... ‘কিন্তু সবার চাইতে ভাল—পাউরুটি আর ঝোলা গুড়।’ 
22nd  December, 2019
আমরি বাংলা ভাষা
অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়

রোজকার মতো প্রাতঃভ্রমণ সেরে চায়ের দোকানে এসে বসলেন চণ্ডীবাবু। কাগজের দিকে হাত বাড়াতে যাচ্ছিলেন। আর মধ্যেই আমাকে দেখে বলে উঠলেন—
গুড মর্নিং স্যর, হ্যাপি বেঙ্গলি নিউ ইয়ার। বিশদ

14th  April, 2024
রহস্যময় গম্ভীরা

পুরীর গম্ভীরায় জীবনের শেষ আঠারোটা বছর কাটিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব। অন্তর্ধানের আগে মহাপ্রভু অন্তিমবারের মতো বের হয়েছিলেন সেখান থেকেই। সেই গম্ভীরা ঘুরে ইতিহাস-রহস্যের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার। বিশদ

07th  April, 2024
জিপিও ২৫০

বুধবারের দুপুরবেলা। দোল-হোলি পর্বের টানা ছুটি কাটিয়ে এবার ছন্দে ফেরার পালা। কিন্তু একটু বড় ছুটি পেলেই মানুষের মতো শহরটাকেও জড়িয়ে ধরে আলস্য। অফিস-কাছারি খুলতেই আড়মোড়া ভাঙছে শহর। রাস্তাঘাটে অবশ্য তেমন ভিড় নেই। বিশদ

31st  March, 2024
অন্ধকূপেই ডাকঘরের জন্ম

শহরের বুক থেকে ইংরেজদের পুরনো কেল্লার সীমানা মুছে গিয়েছে কবেই। ফিকে হয়ে এসেছে নবাব সিরাজদ্দৌলার কলকাতা আক্রমণ, প্রথম যুদ্ধজয় এবং অন্ধকূপ হত্যার স্মৃতি। এমনটাই যে হবে, আগেই অনুমান করতে পেরেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ইংরেজরা।
বিশদ

31st  March, 2024
নানা রঙের দোল

বারসানায় এখন পা-টুকু নিশ্চিন্তে রাখার জো নেই! দেহাতি, দক্ষিণ ভারতীয়, বাঙালি, বিদেশি কে নেই সেই বিখ্যাত ভিড়ে। প্রায় সবার মাথায় রংবেরঙের পাগড়ি। কারও হাতে আবির, তো কারও ক্যামেরা। একসপ্তাহ ধরে চলছে রঙখেলা। হোলি... লাঠমার।
বিশদ

24th  March, 2024
 ‘যত মত তত পথ’
পূর্বা সেনগুপ্ত

দক্ষিণেশ্বরের দেবালয়। বিরাট বারান্দার এক কোণের ঘরে বসে ভক্তসঙ্গে ধর্মপ্রসঙ্গ করছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। দেবালয়ের পাঁচ টাকা মাইনের পুরোহিত হলে কি হবে...মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাণী রাসমণি থেকে তাঁর জামাই মথুরবাবু, সকলেই তাঁকে সমীহ করে চলেন। বিশদ

17th  March, 2024
ওপেনহাইমার ও যুদ্ধবাণিজ্য

কয়েক ঘণ্টার মাত্র অপেক্ষা। লস এঞ্জেলসের আলো ঝলমলে ডলবি থিয়েটারে শুরু হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্মি শোবিজ—অস্কার। এবারের অস্কার হুজুগে সারা পৃথিবীর সংবাদ শিরোনামে ‘ওপেনহাইমার’। ক্রিস্টোফার নোলানের এই সিনেমার সঙ্গেই অতীতকে ফিরে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ।
বিশদ

10th  March, 2024
এলিট ইতিহাস
কলহার মুখোপাধ্যায়

সে নিজেই একটা ইতিহাস! তবু বেলা না যেতে খেলা তব গেল ঘুচে। তখন নাইট ক্লাব, হুক্কা বার, হ্যাং আউট, শপিং মলের কথা শোনালে মানুষ ভাবতো তামাশা করছে।
বিশদ

03rd  March, 2024
স্বেচ্ছামৃত্যু
 

গ্রিক ভাষায় ‘ইউ’ মানে ভালো আর ‘থ্যানেটোজ’ মানে মৃত্যু। দুইয়ে মিলে ইউথ্যানেশিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যু। গত বছর ভারতে আইনসিদ্ধ হয় প্যাসিভ ইউথ্যানেশিয়া। আইনত বৈধ হলেও, সেই পদক্ষেপকে ঘিরে দানা বাঁধছে সংশয়। স্বেচ্ছামৃত্যুর ইতিবৃত্ত খতিয়ে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ
বিশদ

25th  February, 2024
আ’মরি বাংলা ভাষা

আসছে আরও একটা একুশে ফেব্রুয়ারি। হোয়াটসঅ্যাপ যুগে ক্রমে গুরুত্ব হারাচ্ছে দিনটি। তবুও বাংলা ভাষা বেঁচে আছে। থাকবেও। অসম ও বাংলাদেশ ঘুরে এসে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস। বিশদ

18th  February, 2024
সরস্বত্যৈ নমো নমঃ
কৌশিক মজুমদার

আমাদের নয়ের দশকের মফস্বলে উত্তেজনার খোরাক বলতে খুব বেশি কিছু ছিল না। বিশেষ করে আমরা যারা সেকালে ছাত্র ছিলাম, তাদের জন্য। মাস্টারমশাই আর অভিভাবকদের গণ ছাতাপেটাইয়ের ফাঁকে বুধবার সন্ধ্যায় টিভিতে চিত্রহার আর রবিবার সকালের রঙ্গোলিতে কিছু বস্তাপচা গান বাদে গোটা হপ্তাটাই কৃষিকথার আসর আর ‘খবর পড়ছি দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়’-এর মতো নেহাত নিরেস ছিল। বিশদ

11th  February, 2024
কুল খেতে মানা
সন্দীপন বিশ্বাস

স্কুল থেকে ফেরার পথে বিন্তির চোখে পড়ল, বাজারে বিক্রি হচ্ছে বড় বড় কুল। পাশে রয়েছে আপেল কুল, টোপা কুল। তাই দেখে তার জিভে জল এসে গেল। মনে হল, কেটে নুন দিয়ে মেখে খেলে বিকেলটা জমে যাবে। মায়ের কাছে সে আবদার করল, ‘আমায় একটু কুল কিনে দাও না মা!’  বিশদ

11th  February, 2024
নেতাজির বিমা কোম্পানি
সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত

১৯৪১ সাল। শীতের সন্ধ্যা। ঢাকা শহরের নবাবপুর অঞ্চলে এক ব্যক্তি ঘুরছেন। রাত্রি নামার আগে তাঁকে গন্তব্য পৌঁছতেই হবে। কিন্তু রাস্তায় কারও কাছে ঠিকানা জানার হুকুম নেই। চারদিকে পুলিসের জাল বিছানো। নবাবপুর রোডের কাছে রায় কোম্পানির বিখ্যাত বিলাতি মদের দোকানের সামনে এসে চোখ পড়ল একটি বাড়ির দরজায়। বিশদ

04th  February, 2024
আইএনএ’র বিপ্লবী ডাক্তার
বিশ্বজিৎ মাইতি

‘অস্থায়ী হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন শয়ে শয়ে মরণাপন্ন রোগী। চিকিৎসক ও নার্সদের দাঁড়ানোর ফুরসত নেই। আচমকাই সাইরেন বেজে উঠল। মুহূর্তের মধ্যে দৈত্যের মতো আওয়াজ তুলে হাজির যুদ্ধবিমান। প্রাণের ভয়ে পাশের পরিখায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন অনেকে। বিশদ

04th  February, 2024
একনজরে
আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...

পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:13:07 PM