Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

রাজ সিংহাসন
প্রণবকুমার মিত্র

দরবারে আসছেন মহারাজ। শিঙে, ঢাক, ঢোল, কাঁসর ঘণ্টার বাদ্যি আর তোপের শব্দ সেটাই জানান দিচ্ছে। তারপর সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে মহারাজ ধীর পায়ে গিয়ে বসলেন রাজ সিংহাসনে। আগেকার দিনে রূপকথার গল্পে এটাই বলা হতো। হীরক রাজার দেশে সিনেমায় রাজার জাঁকজমক দেখে গুপী গেয়ে উঠেছিল—‘দেখে রাজার জমক মোদের মন ভরে গেছে খুশিতে।’ সত্যিই সেকালের রাজাদের জাঁকজমক দেখে তাক লেগে যেত।
মহারাজ যে আসনে বসতেন তাকে বলা হয় ‘সিংহাসন’। স্কুলের ব্যকরণ বই বলছে ‘সিংহ চিহ্নিত বা সিংহপ্রধান আসন সিংহাসন।’ কর্মধারয় সমাস। সিংহ মার্কা হলেও এটি ক্লীবলিঙ্গ। তাহলে ময়ূর সিংহাসন নাম হল কীভাবে? বোধহয় সুকুমার রায়ের লেখা হাঁসজারুর মতো ব্যাপার আর কী!
তবে এসব নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় বোধহয় ছিল না রাজা-মহারাজাদের। বরং নিজের প্রভাব-প্রতিপত্তি জাহির করতেই সিংহাসনকে ব্যবহার করেছেন তাঁরা। সেকালে ব্যাবিলনের রাজা সলোমন নিজের জাঁকজমক প্রকাশ করার জন্য হাতির দাঁতের তৈরি সিংহাসনটিকে মুড়ে দিয়েছিলেন খাঁটি সোনা দিয়ে। সেই সিংহাসনে ছয়টি ধাপ দিয়ে উঠতে হতো। তেজ ও বীরত্বের প্রতীক সিংহের মূর্তি একটা করে প্রতি ধাপের দু’ধারে। মোট ১২টি। আবার মিশরের রাজারা সোনা বা রুপোর সিংহাসনে বসতেন। এর প্রমাণ পাওয়া যায় বালক রাজা তুতেনখামেনের সমাধিক্ষেত্র থেকে। পিরামিডের মধ্যে মিলেছিল রত্ন দিয়ে মোড়া সোনার সিংহাসন আর রুপোয় তৈরি আর একটি সিংহাসন। শুধু প্রাচীনকালে নয়, বর্তমানে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এখনও একটি নির্দিষ্ট দিনে সোনার সিংহাসনে বসেন।
তবে রাজ সিংহাসনের মাহাত্ম্যে পিছিয়ে নেই ভারতবর্ষও। কথিত আছে, ৩২টি পুতুল দিয়ে ঘেরা বহু মণি-মানিক্যখচিত সোনার সিংহাসনে বসতেন মহারাজা বিক্রমাদিত্য। উজ্জয়িনীতে এক ঢিপি খুঁড়ে সেই সিংহাসনটি পেয়েছিলেন রাজা ভোজ। আবার ভারতের মুঘল সম্রাট ও কিছু দেশীয় রাজাদের ছিল সোনার সিংহাসন। তাঁরা নিজেদের ধন-সম্পদ ও শৌখিনতা জাহির করার জন্যই এই বহুমূল্য সিংহাসন তৈরি করাতেন বিদেশি কারিগর ও শিল্পীকে দিয়ে।
সম্রাট জাহাঙ্গীরের আত্মজীবনী ‘জাহাঙ্গীরনামা’তে লেখা আছে—১৬০৫ খ্রিস্টাব্দের ১০ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার, দ্বিপ্রহরের সময় আটত্রিশ বৎসর বয়সে আগ্রা নগরীতে যে সিংহাসনে বসেছিলেন সেটি তৈরি হয়েছিল ১৫ কোটি টাকার সোনা ও ১৫০ কোটি টাকার হীরে, মণিমুক্ত ও নানা দামি পাথর দিয়ে। এই সুদৃশ্য সিংহাসনটি এমনভাবে তৈরি হয়, যাতে স্থানান্তরের সময় অনায়াসে খণ্ড-বিখণ্ড করে ফের তা সহজেই জোড়া লাগানো যায়।
জাহাঙ্গীরের পুত্র শাহজাহানও নবাবিতে কম যেতেন না। বরং বলা যেতে পারে, মুঘল রাজাদের মধ্যে সবচেয়ে শৌখিন ও বিলাসী সম্রাট ছিলেন তিনি। বিখ্যাত স্বর্ণকারিগর সইদ গিলানির সাত বছর পরিশ্রমের ফল এই ময়ূর সিংহাসন। প্রথমে এর নাম ছিল ‘তখ্‌ত মুরাসা’ বা রত্নসজ্জিত সিংহাসন। সিংহাসনের দুই হাতলে ময়ূরের মূর্তি থাকায় ফারসি শব্দে নামকরণ হয় তখ্ত-ই-তাউস। তখত মানে সিংহাসন আর তাউস হচ্ছে ময়ূর। অনেক পরে এর নাম দেওয়া হয় ‘ময়ূর সিংহাসন’। এই সিংহাসন তৈরিতে সোনা লেগেছিল তখনকার দিনে ৯০ লক্ষ টাকার আর ৮৬ লক্ষ টাকার রত্নাবলী। পর্যটক ট্যাভারনিয়ের মতে, ময়ূর সিংহাসনে ময়ূরের গলায় ভারতের সবচেয়ে বড় ও উজ্জ্বল মুক্তো লাগানো হয়েছিল। এই ময়ূর সিংহাসন বানিয়ে সইদ গিলানি সম্রাটের কাছ থেকে বিশেষ উপাধি পেয়েছিলেন। ‘বিবাদাল খান’। এর অর্থ অতুলনীয় পণ্ডিত। তার সঙ্গে পুরস্কার ও সম্রাটের সমান ওজনের স্বর্ণমুদ্রা দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছিল তাঁকে। শাহজাহানের রাজকোষে মজুত হয়েছিল দেশীয় নৃপতি ও পাঠান রাজাদের কাছ থেকে লুট করা প্রচুর মণি-রত্ন, বাৎসরিক নজরানা এবং উপঢৌকন পাওয়া রত্নাবলী। আরও সাতটি সুন্দর সিংহাসন গড়িয়ে সেগুলির সদ্ব্যবহার করেছিলেন সম্রাট শাহজাহান।
ভারতের রাজাদের সোনার সিংহাসনের মধ্যে আরও একটি বিখ্যাত হল মহীশূরের ওয়াদিয়র রাজবংশের সিংহাসনটি। কথিত আছে, এটি নাকি হস্তিনাপুরের পাণ্ডবদের সিংহাসন। প্রচুর সোনা ও নানা ধরনের দামি রত্নাবলী দিয়ে সাজানো সিংহাসনটিতে ত্রয়ী দেবতা, হাতি, ঘোড়া এবং নারীমূর্তি কারুকার্য করা। মহীশূরের মহারাজারা দশেরা উৎসবের সময় হাতির পিঠে এই সোনার সিংহাসনে বসে যেতেন। আর তখনই জনসাধারণ এটির দর্শন পেতেন। টিপু সুলতান বসতেন বহু মূল্যবান রত্ন দিয়ে কারুকার্য করা বাঘের আকৃতির সোনার সিংহাসনে। ৮ ফুট লম্বা ও ১১ ফুট চওড়া অপরূপ সিংহাসনটি অবশ্য ধ্বংস হয় ব্রিটিশদের হাতে। আবার এর উলটপুরাণও আছে।
লন্ডনের জাদুঘরে মহারাজা রঞ্জিত সিংহের সোনার পাত দিয়ে মোড়া পদ্মফুল আকৃতির অপূর্ব সিংহাসনটি রাখা আছে এখনও।
এবার আসি রুপোর সিংহাসনের কথায়। ব্রিটিশ সম্রাজ্ঞী মহারানি ভিক্টোরিয়ার কাছ থেকে সুদৃশ্য রুপোর সিংহাসন উপহার পেয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের নবাব নাজিম হুমায়ুন খাঁ। হাজারদুয়ারি প্রাসাদের দোতলায় এটি রাখা আছে। আর ওই প্রাসাদের আর্ট গ্যালারিতে নবাব মুর্শিদকুলি খাঁর মার্বেল পাথরের একটি সুদৃশ্য সিংহাসন আছে। ১৬৪৩ খ্রিস্টাব্দে তৈরি আর একটি কালো মার্বেল পাথরের সিংহাসনে বসতেন নবাব নাজিম হুমায়ুন খাঁ। মুর্শিদকুলি খাঁয়ের সময় থেকে মুর্শিদাবাদের নবাবরা এই সিংহাসনেই বসতেন। এই সিংহাসনে বসেছেন মিরজাফর, নজমউদ্দৌলা এমনকী লর্ড কার্জনও। আর একটি সুন্দর মার্বেল পাথরের রাজ সিংহাসন ‘তখ্‌ত-ই-নিশান’ রাখা আছে হায়দরাবাদের চৌমহল্লা রাজপ্রাসাদে। জয়পুরের রাজার ছিল রুপোর সিংহাসন।
এই ‘সিংহাসন’-এ বসার জন্য কত রক্তপাত, কত যুদ্ধ হয়েছে! সিংহাসনে বসার সুখ যেমন আছে, তেমন রাজা হওয়ার ঝকমারিও কম পোয়াতে হয় না। সিংহাসনে টিকে থাকার জন্য অদ্ভুত অদ্ভুত কুসংস্কার জন্মাতো তাঁদের মনে। রাজস্থানের মেবারের রণনিপুণ রাণা কুম্ভের অদ্ভুত আচরণ সবাইকে অবাক করে দিয়েছিল। রাণা শত্রুদের পরাস্ত করে ফিরে সিংহাসনে বসার আগে নিজের কোমরে বাঁধা তরোয়াল খাপ থেকে বের করে মাথার উপর তিনবার ঘুরিয়ে নিতেন।
তবে শুধু সিংহাসনে বসলেই হল না। সেটাকে নিজের হাতের মুঠোয় বহুদিন ধরে রাখাটাই আসল বিষয়। তাই বোধহয় সুকুমার রায় ‘বোম্বাগড়ের রাজা’ কবিতায় লিখেছেন— রাজা রাজসভায় এসেই ‘হুক্কা হুয়া’ বলে চ্যাঁচান আর সিংহাসনে ভাঙ্গা শিশি-বোতল ঝুলিয়ে রাখেন, যার কারণ কোন সভাসদই খুঁজে পায় না। এরকম উদাহরণ রয়েছে পুরাণেও। দেবরাজ ইন্দ্র নিজের স্বর্গরাজ্য সামলাতে হিমশিম খেয়ে যেতেন। প্রায়ই অসুররা মেরে দেবতাদের স্বর্গছাড়া করে দিত। রাজা হিসেবে মোটেই ইন্দ্র ওস্তাদ ছিলেন না। এক-একবার নানা উপায়ে স্বর্গরাজ্য ফিরে পেতেন। এমনকী মহিলার (মা দুর্গা) সাহায্য নিয়েও এই সিংহাসন উদ্ধার করেছিলেন তিনি।
রামায়ণ-মহাভারতের সময়ের ইতিহাস ঘেঁটে দেখলেও এই ধরনের উদাহরণ পাওয়া যাবে। রামায়ণে দেখা গিয়েছে, পিতৃসত্য পালনের জন্য রামচন্দ্র বনবাসে যাওয়ায় ভরত বড় দাদার পাদুকা জোড়া (খড়ম) সিংহাসনে রেখে রাজ্য শাসন করেন, যত দিন না লঙ্কাকাণ্ড সেরে শ্রীরামচন্দ্র অযোধ্যায় ফেরেন। আবার মহাভারত বলছে, ভীষ্ম নিজে সিংহাসনে না বসে সৎ ভাই বিচিত্রবীর্যকে রাজ সিংহাসনে বসিয়ে রাজ্যপাট সামলেছেন। ইতিহাসেও এমন উদাহরণ আছে। খুদে আকবর বসেছেন সিংহাসনে, আর সম্রাটের বকলমে শাসন চালিয়েছেন বৈরাম খাঁ। নিজপুত্র দামোদর রাওকে রাজ সিংহাসনে বসিয়ে ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈ তরোয়াল হাতে লড়ে গিয়েছেন ইংরেজদের বিরুদ্ধে।
এই সিংহাসন নিয়ে অজস্র গল্প আছে বিভিন্ন দেশে। সেই আদিকাল থেকে। সিংহাসন বানানোর সময় নানারকম কারিকুরি করতেন দক্ষ শিল্পীরা। গ্রিক পুরাণে অগ্নি দেবতা এবং দেব কারিগর হেফিস্টাফ একবার একটা অদ্ভুত সিংহাসন তৈরি করেন। সিংহাসনটি দেখতে অপূর্ব। দেখলেই বসে পড়তে ইচ্ছে হবে। তবে একবার বসলে আর ওঠা যায় না। সূক্ষ্ম মাকড়সার মতো জালে জড়িয়ে পড়ে মৃত্যু অনিবার্য। আর ওই জাল সরাবার কৌশল একমাত্র জানতেন হেফিস্টাফ।
আর বর্তমানেও সিংহাসনে বসতে গেলে প্রচুর দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, দূরদর্শিতা, সাহস, প্রজা মনোরঞ্জনকারী নীতি নির্ণয় জরুরি। নইলে, ওই মাকড়সার জাল...
গ্রাফিক্স  সোমনাথ পাল
সহযোগিতায়  স্বাগত মুখোপাধ্যায়
08th  December, 2019
আমরি বাংলা ভাষা
অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়

রোজকার মতো প্রাতঃভ্রমণ সেরে চায়ের দোকানে এসে বসলেন চণ্ডীবাবু। কাগজের দিকে হাত বাড়াতে যাচ্ছিলেন। আর মধ্যেই আমাকে দেখে বলে উঠলেন—
গুড মর্নিং স্যর, হ্যাপি বেঙ্গলি নিউ ইয়ার। বিশদ

14th  April, 2024
রহস্যময় গম্ভীরা

পুরীর গম্ভীরায় জীবনের শেষ আঠারোটা বছর কাটিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব। অন্তর্ধানের আগে মহাপ্রভু অন্তিমবারের মতো বের হয়েছিলেন সেখান থেকেই। সেই গম্ভীরা ঘুরে ইতিহাস-রহস্যের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার। বিশদ

07th  April, 2024
জিপিও ২৫০

বুধবারের দুপুরবেলা। দোল-হোলি পর্বের টানা ছুটি কাটিয়ে এবার ছন্দে ফেরার পালা। কিন্তু একটু বড় ছুটি পেলেই মানুষের মতো শহরটাকেও জড়িয়ে ধরে আলস্য। অফিস-কাছারি খুলতেই আড়মোড়া ভাঙছে শহর। রাস্তাঘাটে অবশ্য তেমন ভিড় নেই। বিশদ

31st  March, 2024
অন্ধকূপেই ডাকঘরের জন্ম

শহরের বুক থেকে ইংরেজদের পুরনো কেল্লার সীমানা মুছে গিয়েছে কবেই। ফিকে হয়ে এসেছে নবাব সিরাজদ্দৌলার কলকাতা আক্রমণ, প্রথম যুদ্ধজয় এবং অন্ধকূপ হত্যার স্মৃতি। এমনটাই যে হবে, আগেই অনুমান করতে পেরেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ইংরেজরা।
বিশদ

31st  March, 2024
নানা রঙের দোল

বারসানায় এখন পা-টুকু নিশ্চিন্তে রাখার জো নেই! দেহাতি, দক্ষিণ ভারতীয়, বাঙালি, বিদেশি কে নেই সেই বিখ্যাত ভিড়ে। প্রায় সবার মাথায় রংবেরঙের পাগড়ি। কারও হাতে আবির, তো কারও ক্যামেরা। একসপ্তাহ ধরে চলছে রঙখেলা। হোলি... লাঠমার।
বিশদ

24th  March, 2024
 ‘যত মত তত পথ’
পূর্বা সেনগুপ্ত

দক্ষিণেশ্বরের দেবালয়। বিরাট বারান্দার এক কোণের ঘরে বসে ভক্তসঙ্গে ধর্মপ্রসঙ্গ করছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। দেবালয়ের পাঁচ টাকা মাইনের পুরোহিত হলে কি হবে...মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাণী রাসমণি থেকে তাঁর জামাই মথুরবাবু, সকলেই তাঁকে সমীহ করে চলেন। বিশদ

17th  March, 2024
ওপেনহাইমার ও যুদ্ধবাণিজ্য

কয়েক ঘণ্টার মাত্র অপেক্ষা। লস এঞ্জেলসের আলো ঝলমলে ডলবি থিয়েটারে শুরু হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্মি শোবিজ—অস্কার। এবারের অস্কার হুজুগে সারা পৃথিবীর সংবাদ শিরোনামে ‘ওপেনহাইমার’। ক্রিস্টোফার নোলানের এই সিনেমার সঙ্গেই অতীতকে ফিরে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ।
বিশদ

10th  March, 2024
এলিট ইতিহাস
কলহার মুখোপাধ্যায়

সে নিজেই একটা ইতিহাস! তবু বেলা না যেতে খেলা তব গেল ঘুচে। তখন নাইট ক্লাব, হুক্কা বার, হ্যাং আউট, শপিং মলের কথা শোনালে মানুষ ভাবতো তামাশা করছে।
বিশদ

03rd  March, 2024
স্বেচ্ছামৃত্যু
 

গ্রিক ভাষায় ‘ইউ’ মানে ভালো আর ‘থ্যানেটোজ’ মানে মৃত্যু। দুইয়ে মিলে ইউথ্যানেশিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যু। গত বছর ভারতে আইনসিদ্ধ হয় প্যাসিভ ইউথ্যানেশিয়া। আইনত বৈধ হলেও, সেই পদক্ষেপকে ঘিরে দানা বাঁধছে সংশয়। স্বেচ্ছামৃত্যুর ইতিবৃত্ত খতিয়ে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ
বিশদ

25th  February, 2024
আ’মরি বাংলা ভাষা

আসছে আরও একটা একুশে ফেব্রুয়ারি। হোয়াটসঅ্যাপ যুগে ক্রমে গুরুত্ব হারাচ্ছে দিনটি। তবুও বাংলা ভাষা বেঁচে আছে। থাকবেও। অসম ও বাংলাদেশ ঘুরে এসে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস। বিশদ

18th  February, 2024
সরস্বত্যৈ নমো নমঃ
কৌশিক মজুমদার

আমাদের নয়ের দশকের মফস্বলে উত্তেজনার খোরাক বলতে খুব বেশি কিছু ছিল না। বিশেষ করে আমরা যারা সেকালে ছাত্র ছিলাম, তাদের জন্য। মাস্টারমশাই আর অভিভাবকদের গণ ছাতাপেটাইয়ের ফাঁকে বুধবার সন্ধ্যায় টিভিতে চিত্রহার আর রবিবার সকালের রঙ্গোলিতে কিছু বস্তাপচা গান বাদে গোটা হপ্তাটাই কৃষিকথার আসর আর ‘খবর পড়ছি দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়’-এর মতো নেহাত নিরেস ছিল। বিশদ

11th  February, 2024
কুল খেতে মানা
সন্দীপন বিশ্বাস

স্কুল থেকে ফেরার পথে বিন্তির চোখে পড়ল, বাজারে বিক্রি হচ্ছে বড় বড় কুল। পাশে রয়েছে আপেল কুল, টোপা কুল। তাই দেখে তার জিভে জল এসে গেল। মনে হল, কেটে নুন দিয়ে মেখে খেলে বিকেলটা জমে যাবে। মায়ের কাছে সে আবদার করল, ‘আমায় একটু কুল কিনে দাও না মা!’  বিশদ

11th  February, 2024
নেতাজির বিমা কোম্পানি
সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত

১৯৪১ সাল। শীতের সন্ধ্যা। ঢাকা শহরের নবাবপুর অঞ্চলে এক ব্যক্তি ঘুরছেন। রাত্রি নামার আগে তাঁকে গন্তব্য পৌঁছতেই হবে। কিন্তু রাস্তায় কারও কাছে ঠিকানা জানার হুকুম নেই। চারদিকে পুলিসের জাল বিছানো। নবাবপুর রোডের কাছে রায় কোম্পানির বিখ্যাত বিলাতি মদের দোকানের সামনে এসে চোখ পড়ল একটি বাড়ির দরজায়। বিশদ

04th  February, 2024
আইএনএ’র বিপ্লবী ডাক্তার
বিশ্বজিৎ মাইতি

‘অস্থায়ী হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন শয়ে শয়ে মরণাপন্ন রোগী। চিকিৎসক ও নার্সদের দাঁড়ানোর ফুরসত নেই। আচমকাই সাইরেন বেজে উঠল। মুহূর্তের মধ্যে দৈত্যের মতো আওয়াজ তুলে হাজির যুদ্ধবিমান। প্রাণের ভয়ে পাশের পরিখায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন অনেকে। বিশদ

04th  February, 2024
একনজরে
ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...

ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। শুক্রবার কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ...

দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত দিল্লির

07:15:44 PM

দূরদর্শনের লোগোর গৈরীকিকরণ নিয়ে কী বললেন মমতা
দূরদর্শনের লোগোর গৈরীকিকরণ নিয়ে এবার  বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মমতা ...বিশদ

06:56:52 PM

বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী  বিপ্লব মিত্রর সমর্থনে রোড শো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

04:26:00 PM

এনআরসি-ক্যা-ইউসিসি না চাইলে বিজেপিতে একটাও ভোট নয়: মমতা

04:25:16 PM

একমাত্র তৃণমূল তখন অসমে গিয়েছিল, কিন্তু ওরা ঢুকতে দেয়নি: মমতা

04:24:33 PM

ভোট কেটে সুবিধা করতে এটা বিজেপির প্ল্যান: মমতা

04:12:44 PM