Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

অর্ধশতবর্ষে শ্বেত বিপ্লব 
কল্যাণ বসু

‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে...’
রায়গুণাকর ভারতচন্দ্রের ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যে ঈশ্বরী পাটনীর কালজয়ী বর প্রার্থনা ছিল এটাই। ‘অন্নপূর্ণা ও ঈশ্বরী পাটনী’র এই অবিস্মরণীয় পংক্তিতে সন্তানের মঙ্গলচিন্তা যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে সন্তানের মঙ্গলার্যে বিরাট কোনও লোভ না দেখিয়ে শুধুমাত্র দুধ-ভাতের আজীবন জোগান প্রার্থনা করা। সুস্থ-সবল সন্তানের জন্য ভাতের সঙ্গে দুধের অপরিহার্যতার কথাও আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রয়েছে এই প্রার্থনায়।
আসলে প্রায় পৌনে তিনশো বছর আগে দুধ সম্পর্কে যে মূল্যায়ন ছিল তা আজও বর্তমান। বরং বহুলাংশে তা বেড়েছে। কারণ, প্রোটিনের তরল উৎস হিসেব এর পুষ্টিমূল্য অপরিসীম। গোদুগ্ধের বিভিন্ন উপাদানের আন্তর্জাতিক গড়ে চোখ রাখলেই তা স্পষ্ট হবে। দুধে জল, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, প্রোটিন এবং ভিটামিন ও খনিজ লবনের শতকরা পরিমাণ যথাক্রমে ৮৬.৫, ৪.৮, ৪.৫, ৩.৫ এবং ০.৭। তাই ‘গোরুর দুধে সোনা আছে’ মন্তব্য অবিজ্ঞানসুলভ হলেও, গোদুগ্ধ যে নিজগুণে মহিমান্বিত, তা সর্বৈব সত্য। সেজন্যই হয়তো একালের জীবনমুখী গানেও শোনা যায়, ‘দুধ না খেলে হবে না ভালো ছেলে।’
তবে দুগ্ধমাহাত্ম্যের কথা বহু আগে থেকে জানা থাকলেও, সবার কাছে তা সহজলভ্য ছিল না। বাটি ভর্তি দুধ-কলা, আম, কাঁঠাল চটকে তা সেবন করার সময় মোটা গোঁফে তার ছাপ রাখাটা যেন ছিল জমিদারি কালচার। দু’কাপ চায়ে আধসের দুধ মিশিয়ে পান করার সামর্থ্য, প্রাপ্যতা ও বিলাসিতা ক’জনেরই বা আর ছিল! ১৯৭০ সালের আগে ভারত ছিল দুধ উৎপাদনে ঘাটতিপূর্ণ দেশ এবং বিশ্বে পঞ্চাশতম স্থানে। কিন্তু ওই বছর গুজরাতের আনন্দ জেলায় শুরু হয় ‘অপারেশন ফ্লাড’ (দুধের বন্যা বা পর্যাপ্ততা বোঝাতে)। মূলত গোরুর দুধকেন্দ্রিক এই সমবায় আন্দোলন ‘শ্বেত বিপ্লব’ নামেও গোটা বিশ্বে পরিচিত। ফল ফলতে শুরু করল। তিন দশকের মধ্যে দুধ উৎপাদনে বিশ্বে পঞ্চাশতম স্থান থেকে ভারত উঠে এল প্রথম স্থানে। ১৯৯৮ সালে আমেরিকাকে পিছনে ফেলে দিয়ে ভারতের এই শিরোপা অর্জন। বিপ্লব তো বটেই!
বিপ্লব সম্পর্কে একটা প্রবাদসম কথা আছে। ‘এভরি রেভ্যুলিউশন ওয়াজ ফার্স্ট আ থট ইন ওয়ান ম্যানস মাইন্ড’। বিশ্বে ‘গ্রিন রেভ্যুলিউশন’ বা সবুজ বিপ্লবের পিছনে যেমন নরম্যান বোরলগ, যাঁকে সবুজ বিপ্লবের জনক বা ‘বিশ্বের অন্নদাতা’ বলা হয়, তেমনই ভার্গিস ক্যুরিয়েনকে বলা হয় ভারতে ‘শ্বেত বিপ্লবের জনক’ বা ‘সিল্ক ম্যান অব ইন্ডিয়া’। তাঁর জন্ম তারিখ ২৬ নভেম্বরকে ‘জাতীয় দুগ্ধ দিবস’ হিসেবে মান্য করা হচ্ছে ২০১৪ সাল থেকে। কেরলের কালিকটে (বর্তমানে কোঝিকোড়) জন্ম নেওয়া এই ব্যক্তিটির পুরস্কারের তালিকায় চোখ রাখলেই বোঝা যায় ডেয়ারি শিল্পে তাঁর অবদান কতখানি। আন্তর্জাতিক স্তরে ‘অর্ডার অব এগ্রিকালচারাল মেরিট’ (ফ্রান্স ১৯৯৭), ‘ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ’ (১৯৮৯), ‘ইন্টারন্যাশনাল পার্সন অব দ্য ইয়ার’ (১৯৯৩), ‘ওয়াটেলার পিস প্রাইজ’ (১৯৮৬, নেদারল্যান্ড), ‘রামন ম্যাগসাইসাই অ্যাওয়ার্ড’ (১৯৬৩)। আর জাতীয় স্তরে ‘কৃষি রত্ন’ (১৯৮৬), ‘পদ্মশ্রী’ (১৯৬৫), ‘পদ্মভূষণ’ (১৯৯৬), ‘পদ্মবিভূষণ’ (১৯৯৯)-এ ভূষিত তিনি। মূলত তাঁর নেতৃত্বেই সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছতে পেরেছিল ‘শ্বেত বিপ্লব’।
গুজরাতের আনন্দ জেলায় এদেশের প্রথম ডেয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৩০ সালে। ‘পলসন’ ব্র্যান্ড হিসেবে। কিন্তু ওই ডেয়ারিতে দোয়ানো দুধ নিয়ে আসা গ্রামের মানুষেরা নানাভাবে বঞ্চিত হতেন। কারণ, সরকার এই প্রান্তিক দুধচাষিদের দুধ সংগ্রহ করে মুম্বই শহরে তা সরবরাহের একচেটিয়া ক্ষমতা দিয়েছিল পলসনকে। বঞ্চিত হতে হতে কাইরা অঞ্চলের দুধ সরবরাহকারীদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছিল ক্রমশ। তাঁরা তখন স্থানীয় নেতা ত্রিভূবনদাস প্যাটেলের নেতৃত্বে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের শরণাপন্ন হন। তিনি বিক্ষুব্ধ কৃষকদের (ডেয়ারি বা দুধ-কৃষক) আলাদাভাবে একটা সমবায় গড়ার পরামর্শ দেন। সেই মোতাবেক জন্ম নিয়েছিল ‘কাইরা ডিস্ট্রিক্ট কো-অপারেটিভ মিল্ক প্রোডিউসারস ইউনিয়ন’। এই সমবায় আন্দোলন যাতে আরও জোরদার হয়, সেজন্য তিনি কৃষকদের কাছে মোরারজি দেশাইকে পাঠান। এরপর গ্রামে গ্রামে এরকম সমবায় গড়ে উঠতে লাগল। ১৯৪৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর ‘আনন্দ মিল্ক ইউনিয়ন লিমিটেড’ (যা ‘আমূল’ নামে সকলের কাছে পরিচিত) রেজিস্টার্ড হয়। এর প্রতিষ্ঠাতা সেই ত্রিভূবনদাস প্যাটেল। ১৯৪৮ সালের জুন মাসে কাইরা কো-অপারেটিভ ‘বোম্বে মিল্ক স্কিম’-এর জন্য দুধের পাস্তুরাইজেশন শুরু করে। ১৯৪৯ সালে ডঃ ক্যুরিয়েন আমূলে যোগদান করেন এবং প্রকৃত শ্বেত বিপ্লবের গতি জোর পায়।
যে সমবায় মডেলের দ্বারা সাফল্যের মুখ দেখা, তা ‘আনন্দ প্যাটার্ন’ নামে ততদিনে দেশ-বিদেশে আলোচিত। এই মডেলের বৈশিষ্ট্য হল প্রান্তিক দুধ-চাষিরা সংগৃহীত দুধ এনে দেবেন গ্রামের সমবায় সমিতিতে। সেখান থেকে সব গ্রামের মিলিত দুধ যাবে জেলার দুগ্ধ ইউনিয়নে। সবশেষে রাজ্য দুগ্ধ পরিষদে গিয়ে তা গচ্ছিত হবে। আমূলের ক্ষেত্রে ক্যুরিয়েনের এই তিন ধাপবিশিষ্ট সমবায় মডেলের সফল রূপায়ণ দেখে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী জাতীয় ডেয়ারি উন্নয়ন নীতির ক্ষেত্রেও তা অনুসরণের পরিকল্পনা করেন। আসলে এই মডেলের সাফল্যের পিছনে চারটে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর ছিল। এক, প্রান্তিক দুধ চাষিদের হাতেই থাকছে তাঁদের ডেয়ারির মালিকানা। দুই, তাঁদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই গ্রামীণ সমবায় সোসাইটি এবং জেলার ইউনিয়নগুলি নিয়ন্ত্রণ করেন। তিন, ডেয়ারি চালানো এবং ব্যবসা পরিচালনার জন্য পেশাদার লোক নিয়োগ করে তারা। চার, সমবায়গুলি দুধ চাষিদের চাহিদা ও দাবির বিষয়ে সহানুভূতিশীল ও সক্রিয়।
এই মডেলের উপর ভিত্তি করেই ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘জাতীয় ডেয়ারি উন্নয়ন পর্ষদ’ (এনডিডিবি) চেয়ারম্যান পদে অভিষিক্ত হন ডঃ ক্যুরিয়েন। এর পাঁচ বছর বাদে ১৯৭০ সাল থেকে শুরু হল ডঃ ক্যুরিয়েনের ‘বিলিয়ন-লিটার আইডিয়া’ রূপায়ণের স্বপ্নের প্রকল্প ‘অপারেশন ফ্লাড’। এই প্রকল্পের মুখ্য উদ্দেশ্যগুলি ছিল প্রচুর দুধ উৎপাদনের মাধ্যমে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলা, যাতে প্রতিটি নাগরিক দুধের সঠিক জোগান পেতে পারেন। এর সঙ্গে দুধের গুণমান উন্নত করা, ভারতের শহর ও নগরের দুধ উৎপাদনকারী ও ভোগকারীদের মধ্যে জাতীয় ‘মিল্ক গ্রিড লিঙ্কিং’-এর ব্যবস্থা করা, ঋতুনির্ভর এবং আঞ্চলিক মূল্য পার্থক্য কমিয়ে আনা, ভোক্তাদের সঠিক দামে দুধ পাওয়ার ব্যবস্থা করা, উৎপাদক ও ভোগকারীদের মাঝে মধ্যস্বত্বকারীদের বিলোপ ঘটানো, গ্রামীণ মানুষদের উপার্জন বাড়িয়ে দারিদ্র্য দূরীকরণ ইত্যাদি বিষয়গুলিও ছিল এই প্রকল্পের লক্ষ্য।
এই প্রকল্প রূপায়িত হয়েছিল তিনটি ধাপে। প্রথম ধাপের সময় ১৯৭০-১৯৮০। ঠিক হয়েছিল ১৯৭৫-এর মধ্যেই প্রকল্প রূপায়িত হবে। কিন্তু সেটা হয়েছিল ১৯৭৯ সালে। প্রকল্পের এই ধাপে ব্যয় হয়েছিল ১১৬ কোটি টাকা। ‘বিশ্ব খাদ্য প্রকল্প’-র মাধ্যমে ইউরোপীয় ইকনমিক কমিউনিটি ভারতকে যে স্কিমড গুঁড়ো দুধ ও মাখন-তেল দিয়েছিল, তা বিক্রি করে এই ধাপের অর্থের জোগান হয়েছিল। এই ধাপে চারটে মেট্রোপলিটন শহরের (দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা ও চেন্নাই) উপভোক্তাদের সঙ্গে দেশের ১৮টি অগ্রগণ্য দুগ্ধশালার (মিল্ক শেড) সংযোগ স্থাপন সম্ভব হয়েছিল।
প্রথম ধাপের লক্ষ্য ছিল ওই চার মহানগরে মার্কেটিংয়ের দ্বারা ডেয়ারি বিভাগকে সংগঠিত করা, গ্রামীণ ডেয়ারি পশুদের উন্নতি ঘটিয়ে দুধের উৎপাদন ও সংগ্রহ বাড়ানো এবং দুধের বাজারে দুধ চাষিদের ভাগ বাড়ানো। দ্বিতীয় ধাপে (১৯৮০-১৯৮৫) মিল্ক শেডের সংখ্যা ১৮ থেকে বেড়ে হল ১৩৬। প্রান্তিক দুধ চাষির সংখ্যা ৪২ লক্ষ ৫০ হাজার, যাঁরা দেশের ৪৩ হাজার গ্রামীণ সমবায়ের সঙ্গে যুক্ত। দুধের গুঁড়ো উৎপাদন ২২ হাজার টন থেকে বেড়ে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টন হল। শহরে ২৯০টি দুধের আউটলেট খোলা হল। তৃতীয় ধাপে (১৯৮৫-১৯৯৬) মিল্ক শেডের সংখ্যা ১৩৬ থেকে বেড়ে হল ১৭৩, ডেয়ারি সমবায়ের সংখ্যা বেড়ে হল ৭৩ হাজার। এই ধাপে মূলত গবাদি পশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে গবেষণা ও উন্নতির দিকে গুরুত্ব দেওয়া হল।
প্রকল্প শুরুর ২৮ বছরের মাথায় দুধ উৎপাদনে পঞ্চাশতম দেশ থেকে প্রথম স্থানে উঠে এল ভারত। আরও কিছু তথ্যে নজর রাখলে বোঝা যাবে এই প্রকল্পের সাফল্য কতখানি। ১৯৭০ সালে দুধ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ২ কোটি টন। বর্তমানে তা ১৬ কোটি ৭০ লক্ষ মেট্রিক টন। প্রতি বছর উৎপাদন বৃদ্ধির হার প্রায় ৪.৫ শতাংশ, যখন বিশ্বে এই হার ১.৮ শতাংশ। আর এই বৃদ্ধিতে ভারতের অবদান ১ শতাংশ। দুধের মাথা পিছু দৈনিক ব্যবহার এদেশে ১৯৫০-৫১ সালে ছিল ১৩০ গ্রাম। ২০১৭-১৮ তে এসে তা বেড়ে হয়েছে ৩৭৪ গ্রাম, বিশ্বের ক্ষেত্রে যা ২৯৪ গ্রাম। দেশে উৎপাদিত প্রধান দুই শস্য ধান ও গমের একত্র মূল্য যা, তার থেকে উৎপাদিত দুধের মূল্য বেশি— ৬.৫ লক্ষ কোটি টাকা।
এই বিরাট সাফল্যের অনুষঙ্গ হিসেবে বিতর্কও আছে। ঠিক যেমন কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়াতে সবুজ বিপ্লবের জন্য উচ্চফলনশীল বীজ, তার জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক সার এবং জলের চাহিদার বাহুল্য নিয়ে বিতর্ক, ঠিক তেমনই শ্বেত বিপ্লবের ক্ষেত্রে অন্যতম বিতর্ক উচ্চ দুগ্ধ উৎপাদনকারী বিদেশি গবাদি আমদানি নিয়ে। উচ্চফলনশীল বীজের সার-জলের চাহিদা যেমন খুব বেশি, তেমনই এইসব উচ্চ দুগ্ধউৎপাদনকারী গবাদিদের খাই-খরচও এত বেশি যে, ভারতীয় প্রেক্ষাপটে সমস্যার কারণ বইকি!
তবে সব বড় কাজের কিছু ভুলত্রুটি থাকেই। তা সেই কাজের মহত্বকে খাটো করতে পারে না। ‘অপারেশ ফ্লাড’-এর অবদান ভারতবর্ষে সেরকমই। এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ ডেয়ারি উন্নয়ন প্রকল্প যার মাধ্যমে ডেয়ারি ফার্মই হয়ে উঠেছে ভারতের সর্ববৃহৎ স্ব-বহমান (সেলফ-সাসটেনেবল) গ্রামীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী ব্যবস্থা। আর এতে মহিলাদের বিপুল অংশগ্রহণও উল্লেখযোগ্য। বস্তুত, সমবায় আন্দোলনের জয়ধ্বজা উড়িয়েছে এই শ্বেত বিপ্লব। প্রায় ১০১ বছর আগে রবীন্দ্রনাথ দেশের তথা বিশ্বের দারিদ্র্য দূরীকরণে সমবায় আন্দোলনের গুরুত্বের কথা সবিস্তারে বলেছিলেন যার একটা অংশ এই শ্বেত বিপ্লবের ক্ষেত্রে হুবহু মিলে যায়। তিনি লিখেছিলেন, ‘কোনও চাষির গোয়ালে যদি তার নিজের প্রয়োজনের অতিরিক্ত এক সের মাত্র দুধ বাড়তি থাকে, সে দুধ লইয়া সে ব্যবসা করিতে পারে না। কিন্তু একশো, দেড়শো চাষি আপন বাড়তি দুধ একত্র করিলে মাখন-তোলা কল আনাইয়া ঘিয়ের ব্যবসা চালাইতে পারে।...এমনি করিয়া অনেক গৃহস্থ অনেক মানুষ একজোট হইয়া জীবিকা নির্বাহ করিবার যে উপায় তাহাকেই য়ুরোপে আজকাল কো-অপারেটিভ-প্রণালী এবং বাংলায় ‘সমবায়’ নাম দেওয়া হইয়াছে। আমার কাছে মনে হয়, এই কো-অপারেটিভ-প্রণালীই আমাদের দেশকে দারিদ্র্য হইতে বাঁচাইবার একমাত্র উপায়। আমদের দেশ কেন, পৃথিবীর সকল দেশেই এই প্রণালী একদিন বড়ো হইয়া উঠিবে।’ তাঁর এই ভবিষ্যদ্বাণীকেই প্রবলভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে এই শ্বেত বিপ্লব। দেশের প্রতিটি সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে, এই হোক শ্বেত বিপ্লবের সুবর্ণ জয়ন্তী বছরের অঙ্গীকার। 
24th  November, 2019
আমরি বাংলা ভাষা
অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়

রোজকার মতো প্রাতঃভ্রমণ সেরে চায়ের দোকানে এসে বসলেন চণ্ডীবাবু। কাগজের দিকে হাত বাড়াতে যাচ্ছিলেন। আর মধ্যেই আমাকে দেখে বলে উঠলেন—
গুড মর্নিং স্যর, হ্যাপি বেঙ্গলি নিউ ইয়ার। বিশদ

14th  April, 2024
রহস্যময় গম্ভীরা

পুরীর গম্ভীরায় জীবনের শেষ আঠারোটা বছর কাটিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব। অন্তর্ধানের আগে মহাপ্রভু অন্তিমবারের মতো বের হয়েছিলেন সেখান থেকেই। সেই গম্ভীরা ঘুরে ইতিহাস-রহস্যের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার। বিশদ

07th  April, 2024
জিপিও ২৫০

বুধবারের দুপুরবেলা। দোল-হোলি পর্বের টানা ছুটি কাটিয়ে এবার ছন্দে ফেরার পালা। কিন্তু একটু বড় ছুটি পেলেই মানুষের মতো শহরটাকেও জড়িয়ে ধরে আলস্য। অফিস-কাছারি খুলতেই আড়মোড়া ভাঙছে শহর। রাস্তাঘাটে অবশ্য তেমন ভিড় নেই। বিশদ

31st  March, 2024
অন্ধকূপেই ডাকঘরের জন্ম

শহরের বুক থেকে ইংরেজদের পুরনো কেল্লার সীমানা মুছে গিয়েছে কবেই। ফিকে হয়ে এসেছে নবাব সিরাজদ্দৌলার কলকাতা আক্রমণ, প্রথম যুদ্ধজয় এবং অন্ধকূপ হত্যার স্মৃতি। এমনটাই যে হবে, আগেই অনুমান করতে পেরেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ইংরেজরা।
বিশদ

31st  March, 2024
নানা রঙের দোল

বারসানায় এখন পা-টুকু নিশ্চিন্তে রাখার জো নেই! দেহাতি, দক্ষিণ ভারতীয়, বাঙালি, বিদেশি কে নেই সেই বিখ্যাত ভিড়ে। প্রায় সবার মাথায় রংবেরঙের পাগড়ি। কারও হাতে আবির, তো কারও ক্যামেরা। একসপ্তাহ ধরে চলছে রঙখেলা। হোলি... লাঠমার।
বিশদ

24th  March, 2024
 ‘যত মত তত পথ’
পূর্বা সেনগুপ্ত

দক্ষিণেশ্বরের দেবালয়। বিরাট বারান্দার এক কোণের ঘরে বসে ভক্তসঙ্গে ধর্মপ্রসঙ্গ করছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। দেবালয়ের পাঁচ টাকা মাইনের পুরোহিত হলে কি হবে...মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাণী রাসমণি থেকে তাঁর জামাই মথুরবাবু, সকলেই তাঁকে সমীহ করে চলেন। বিশদ

17th  March, 2024
ওপেনহাইমার ও যুদ্ধবাণিজ্য

কয়েক ঘণ্টার মাত্র অপেক্ষা। লস এঞ্জেলসের আলো ঝলমলে ডলবি থিয়েটারে শুরু হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্মি শোবিজ—অস্কার। এবারের অস্কার হুজুগে সারা পৃথিবীর সংবাদ শিরোনামে ‘ওপেনহাইমার’। ক্রিস্টোফার নোলানের এই সিনেমার সঙ্গেই অতীতকে ফিরে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ।
বিশদ

10th  March, 2024
এলিট ইতিহাস
কলহার মুখোপাধ্যায়

সে নিজেই একটা ইতিহাস! তবু বেলা না যেতে খেলা তব গেল ঘুচে। তখন নাইট ক্লাব, হুক্কা বার, হ্যাং আউট, শপিং মলের কথা শোনালে মানুষ ভাবতো তামাশা করছে।
বিশদ

03rd  March, 2024
স্বেচ্ছামৃত্যু
 

গ্রিক ভাষায় ‘ইউ’ মানে ভালো আর ‘থ্যানেটোজ’ মানে মৃত্যু। দুইয়ে মিলে ইউথ্যানেশিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যু। গত বছর ভারতে আইনসিদ্ধ হয় প্যাসিভ ইউথ্যানেশিয়া। আইনত বৈধ হলেও, সেই পদক্ষেপকে ঘিরে দানা বাঁধছে সংশয়। স্বেচ্ছামৃত্যুর ইতিবৃত্ত খতিয়ে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ
বিশদ

25th  February, 2024
আ’মরি বাংলা ভাষা

আসছে আরও একটা একুশে ফেব্রুয়ারি। হোয়াটসঅ্যাপ যুগে ক্রমে গুরুত্ব হারাচ্ছে দিনটি। তবুও বাংলা ভাষা বেঁচে আছে। থাকবেও। অসম ও বাংলাদেশ ঘুরে এসে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস। বিশদ

18th  February, 2024
সরস্বত্যৈ নমো নমঃ
কৌশিক মজুমদার

আমাদের নয়ের দশকের মফস্বলে উত্তেজনার খোরাক বলতে খুব বেশি কিছু ছিল না। বিশেষ করে আমরা যারা সেকালে ছাত্র ছিলাম, তাদের জন্য। মাস্টারমশাই আর অভিভাবকদের গণ ছাতাপেটাইয়ের ফাঁকে বুধবার সন্ধ্যায় টিভিতে চিত্রহার আর রবিবার সকালের রঙ্গোলিতে কিছু বস্তাপচা গান বাদে গোটা হপ্তাটাই কৃষিকথার আসর আর ‘খবর পড়ছি দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়’-এর মতো নেহাত নিরেস ছিল। বিশদ

11th  February, 2024
কুল খেতে মানা
সন্দীপন বিশ্বাস

স্কুল থেকে ফেরার পথে বিন্তির চোখে পড়ল, বাজারে বিক্রি হচ্ছে বড় বড় কুল। পাশে রয়েছে আপেল কুল, টোপা কুল। তাই দেখে তার জিভে জল এসে গেল। মনে হল, কেটে নুন দিয়ে মেখে খেলে বিকেলটা জমে যাবে। মায়ের কাছে সে আবদার করল, ‘আমায় একটু কুল কিনে দাও না মা!’  বিশদ

11th  February, 2024
নেতাজির বিমা কোম্পানি
সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত

১৯৪১ সাল। শীতের সন্ধ্যা। ঢাকা শহরের নবাবপুর অঞ্চলে এক ব্যক্তি ঘুরছেন। রাত্রি নামার আগে তাঁকে গন্তব্য পৌঁছতেই হবে। কিন্তু রাস্তায় কারও কাছে ঠিকানা জানার হুকুম নেই। চারদিকে পুলিসের জাল বিছানো। নবাবপুর রোডের কাছে রায় কোম্পানির বিখ্যাত বিলাতি মদের দোকানের সামনে এসে চোখ পড়ল একটি বাড়ির দরজায়। বিশদ

04th  February, 2024
আইএনএ’র বিপ্লবী ডাক্তার
বিশ্বজিৎ মাইতি

‘অস্থায়ী হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন শয়ে শয়ে মরণাপন্ন রোগী। চিকিৎসক ও নার্সদের দাঁড়ানোর ফুরসত নেই। আচমকাই সাইরেন বেজে উঠল। মুহূর্তের মধ্যে দৈত্যের মতো আওয়াজ তুলে হাজির যুদ্ধবিমান। প্রাণের ভয়ে পাশের পরিখায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন অনেকে। বিশদ

04th  February, 2024
একনজরে
ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...

তীব্র দাবদাহের মধ্যে পানীয় জলের সংকট। শুক্রবার ক্ষোভে হরিরামপুর-ইটাহার রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন মহিলারা। হরিরামপুর থানার বিশাল ...

দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

19-04-2024 - 11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:13:07 PM