Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

প্র তি মা র বি ব র্ত ন
সোমনাথ দাস

বর্ষা আর শরৎ এখন মিলেমিশে একাকার। বিশ্ব উষ্ণায়নের কৃপাদৃষ্টিতে শহরবাসীর পক্ষে আর এই দু’টি ঋতুকে আলাদা করা সম্ভব নয়। তবে ভাদ্রের সমাপ্তি এবং আশ্বিনের সূচনা বাঙালির জীবনে নিয়ে আসে এক অনাবিল আনন্দ। মা দুর্গার আগমনবার্তায় আমাদের হৃদয় নেচে ওঠে। বাঁশ পোঁতা, বাটাম কাটার শব্দ, ত্রিপলের সোঁদা গন্ধ, পটুয়াপাড়ায় কাঠামোয় খড় বাঁধা এবং মাটি মাখার কসরৎ—এই অনুভূতিগুলি এখনও পুজো পাগলদের মধ্যে প্রবলভাবেই রয়েছে। প্যান্ডেল হপিংয়ের প্রধান আকর্ষণ বিভিন্ন রকমের প্রতিমা দর্শন। সে থিমই হোক কিংবা সাবেকি। কোথাও সপরিবারে জগৎজননীকে দেখলে দু’হাত আপনাআপনি মিলে যায়। আবার কোথাও বা স্রষ্টার সৃষ্টি নন্দনতত্ত্বে ভরপুর। প্রতিমার বিবর্তন নিয়েই তাই এই প্রতিবেদন।
গোপেশ্বর পাল
সর্বজনীন পুজোর প্রারম্ভিক পর্বে প্রতিমা হতো একচালার। টানা চোখ, ডাকের সাজই ছিল তার আকর্ষণ। ১৯৩৮ সালে গোপেশ্বর পালের হাত ধরেই চালার সংখ্যা এক থেকে পাঁচ হয়। নেপথ্যে রয়েছে একটি দুর্ঘটনা। কুমোরটুলি সর্বজনীনের মণ্ডপে তখন চলে এসেছে একচালার মা দুর্গা। কিন্তু পঞ্চমীর দিনই ঘটে গেল মহাবিপত্তি। সন্ধ্যায় হঠাৎই মণ্ডপে আগুন লাগে। সব পুড়ে ছাই। অথচ পরের দিনই বোধন। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ছুটে গেলেন শিল্পী গোপেশ্বর পালের কাছে। বললেন, যেভাবে হোক এক রাতের মধ্যে ঠাকুর তৈরি করে দিতেই হবে। ঠিক হল, আলাদা আলাদা করে প্রতিমা গড়া হবে। গোপেশ্বর পাল দুর্গা প্রতিমা গড়লেন। আর অন্যান্য শিল্পীরা গড়লেন লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ। একচালা ভেঙে তৈরি হল পাঁচ চালার ঠাকুর। এক রাতের মধ্যেই সব তৈরি। ষষ্ঠীর দিন মণ্ডপেই তৈরি শেষ হল প্রথম পাঁচ চালার ঠাকুর।
রমেশ পাল
চারের দশকের গোড়ায় ফরিদপুরের পালঙ থেকে কলকাতায় শিল্পের পাঠ নিতে এলেন রমেশচন্দ্র পাল। তিনি দাবি করতেন, প্রতিমার ব্যবসা করতে কলকাতায় আসেননি। কিছু সর্বজনীন কর্তার ভালোবাসার চাপে তাঁকে প্রতিমা গড়তে হতো। পাঁচ ও ছয়ের দশকে কলকাতা দমকল বাহিনীর পুজোর প্রতিমা গড়তেন ভাস্কর রমেশ পাল। দমকল ছাড়াও পার্ক সার্কাস ময়দান, খিদিরপুর যুবক সঙ্ঘ ও একডালিয়ার এভারগ্রিনের প্রতিমায় রূপদান করতেন তিনি। আবার রমেশ পাল কুমোরটুলিতে আসার ঠিক পরেই ঢাকা-বিক্রমপুরের গ্রামের মৃৎশিল্পী রাখালচন্দ্র পাল কুমোরটুলিতে আসেন। প্রাক-স্বাধীনতা যুগ... ১৯৪২-৪৩ সাল। সঙ্গে তাঁর চার ভাই—হরিবল্লভ, গোবিন্দ, নেপাল ও মোহনবাঁশি। সেই সময় সর্বজনীন দুর্গাপুজোয় মারাত্মক জনপ্রিয় ছিল কৃষ্ণনগর-ঘুণীর ঘরানার প্রতিমা। তাই এপার বাংলার এই ঘরানাকে ছাপিয়ে ওপার বাংলার ঢাকা-বিক্রমপুর ঘরানার প্রতিমা জনপ্রিয় হতে প্রচুর সময় লেগে যায়।
অশোক গুপ্ত
১৯৫৬ সালে জগৎ মুখার্জি পার্কের পুজোয় অশোক গুপ্ত নামে এক শিল্পী আর্টের দুর্গা প্রতিমা প্রথম প্রচলন করেন। আর ১৯৭৫ সালে চিত্রকর নীরদ মজুমদারের হাতের ছোঁয়ায় ভবানীপুর বকুলবাগানে আর্টের দুর্গা প্রতিমার এক নতুন অধ্যায় রচিত হয়। পরবর্তীকালে আমরা এই আর্টের প্রতিমাকেই থিমের প্রতিমা হিসেবে চিহ্নিত করেছি।
উত্তর কলকাতার বাগবাজারের জগৎ মুখার্জি পার্কে অশোক গুপ্ত একটু অন্যরকম আর্টের প্রতিমা গড়তেন। তিনি ছিলেন বনেদি বাড়ির (অবিনাশ কবিরাজ বাড়ির) ছেলে। বাড়ির অমতে প্রতিমা বানানোর কাজ শিখতে গিয়ে গৃহত্যাগী হন এবং প্রখ্যাত ভাস্কর সুনীল পালের কাছে আশ্রয় নেন। ১৯৫৯ সালে প্রথমবার কুমোরটুলি থেকে একটি কাঠামো নিয়ে আসার পর তা ভেঙে অশোক গুপ্ত নিজেই প্রতিমা তৈরি শুরু করেন। তবে কিছু কিছু বিষয় তাঁকে বরাবর বিতর্কিত করে তোলে। যেমন সিংহর বদলে তাঁর দুর্গার বাহন ছিল বাঘ। বারবার উনি মা দুর্গার ফর্ম ভেঙ্গে সাধারণ মানুষের সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ১৯৭৮ সালে তিনি থার্মোকলের প্রতিমাও বানান রাজবল্লভ পাড়ায় সারঙ্গ নামক একটি সর্বজনীন দুর্গাপুজোর জন্য। তখনও কিন্তু আমাদের কলকাতার মানুষ থার্মোকলের নাম খুব একটা শোনেননি।
অশোক গুপ্তের জন্যই অস্ত্রবিহীন দুর্গা দেখতে পেয়েছিলেন পুজো অনুরাগীরা। সবকিছুর ব্যবহার প্রতীকী। তাঁর হাতের ছোঁয়ায় থিমের প্রতিমার এক নতুন অধ্যায় রচিত হয়। ইন্ডিয়ান মাইথলজির সঙ্গে পশ্চিমী সংস্কৃতির একটা মেলবন্ধন লক্ষ্য করা যেত তাঁর কাজে, হাইরিলিফ পেন্টিংয়ের সঙ্গে নানারকম রঙের অকল্পনীয় ব্যবহার... যা কি না সেই সময় ভাবাই যেত না। প্রচারবিমুখ শিল্পী অশোক গুপ্তর মনের জোর ও সাহস ছিল মারাত্মক, বাগবাজার সর্বজনীনের জনপ্রিয় সাবেকি দুর্গাপ্রতিমা থেকে মাত্র ৩০০ মিটারের মধ্যে জগৎ মুখার্জি পার্কে থিমের প্রতিমা বানানো চাট্টিখানি কথা নয়! তাও আবার ছয়ের দশকে। অশোক গুপ্ত রবীন্দ্র সঙ্গীতের খুব ভক্ত ছিলেন, তাই প্রতিমা বানানোর সময় সারাদিন চলত দেবব্রত বিশ্বাসের গলায় রবীন্দ্র সঙ্গীতের ক্যাসেট। তিনি যখন প্রতিমা বানাতেন, সত্যজিৎ রায় এসে দিনের পর দিন বসে থাকতেন... শুধু ওঁর কাজ দেখার জন্য।
অলোক সেন ও
মোহনবাঁশি রুদ্র পাল
অলোক সেনের কথা না বললে বিবর্তন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। আর্ট কলেজ থেকে পাশ করার পর অলোক সেন সাতের দশকে অন্যরকম আর্টের প্রতিমা গড়তেন। সামাজিক অনাচার, রাজনৈতিক হত্যা, শাসকের অত্যাচার নিয়ে প্রতীকী অসুর গড়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। মা দুর্গার সন্তান কার্তিক নেই, সেখানে দাঁড়িয়ে সুভাষচন্দ্র বসু। নেতাজির গায়ে পুরোপুরি সামরিক পোশাক। আর সবুজ-রঙা অসুরের বদলে একজন ইংরেজ মিলিটারি। ঠিক এই সময় কলকাতার দুর্গাপুজোতে এক আমূল পরিবর্তন ঘটায় ভবানীপুর বকুলবাগান সর্বজনীন। ১৯৭৫ সালে থিমের প্রতিমা গড়েন চিত্রকর নীরদ মজুমদার। তারপর থেকে কুমোরটুলির চৌহদ্দি ছাড়িয়ে বকুলবাগানের প্রতিমা নির্মাণ এসে পড়ে নামজাদা শিল্পীদের হাতে। বিকাশ ভট্টাচার্য, ইশা মহম্মদ, শানু লাহিড়ি, মীরা মুখোপাধ্যায়ের মতো নামজাদা শিল্পীরা থিমের প্রতিমা গড়েন। বর্তমানে কুমোরটুলি প্রতিমা শিল্পীদের মধ্য সবচেয়ে বেশি যাঁর অবদান, তিনি হলেন বিক্রমপুর ঘরানার কিংবদন্তি শিল্পী মোহনবাঁশি রুদ্র পাল। চারের দশকের শুরুর দিকটায় রাখাল, নেপাল ও মোহনবাঁশি ভাইয়েরা একসঙ্গে ‘রাখাল চন্দ্র পাল এন্ড ব্রাদার্স’-এর ব্যানারে ঠাকুর গড়তেন। এঁদের হাত ধরেই ঢাকা-বিক্রমপুর ঘরানার শিল্প ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে। প্রায় চার দশকেরও বেশি সময় লেগে যায় ওপার বাংলার এই ঘরানাকে জনপ্রিয় করে তুলতে। আটের দশকের শুরুতে ভাইদের ব্যবসা আলাদা হয়ে যায়, রাখাল, নেপাল পাল ও মোহনবাঁশি পৃথক ব্যানারে প্রতিমা বানানো শুরু করেন এবং ধীরে ধীরে ঢাকা-বিক্রমপুর ঘরানা সুপরিচিত হতে থাকে। পরপর চার বছর এশিয়ান পেন্টস শারদ সম্মান পুরস্কার পেয়ে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে ওঠে আদি বালিগঞ্জ সর্বজনীন। মোট পাঁচবার তারা এই শারদ সম্মান লাভ করে। আদি বালিগঞ্জ বরাবর একটু অন্য ধাঁচের মণ্ডপ তৈরি করত, আর ওদের প্রতিমা গড়তেন ঢাকা-বিক্রমপুর ঘরানার শিল্পী মোহনবাঁশি রুদ্র পাল। তাঁর সুযোগ্য পুত্র প্রদীপ রুদ্র পালও অনবদ্য শিল্পী। তেলেঙ্গাবাগানের প্রতিমায় তাঁর বিভিন্ন ধরনের কাজ এখনও পুজো-পাগলদের চোখে ভাসে।
সনাতন দিন্দা ও ভবতোষ সুতার
১৯৯৮ এবং ২০০০—এই দু’টি বছরও প্রতিমা বিবর্তনের ইতিহাসে আলাদা জায়গা পাবে। কারণ, সনাতন দিন্দা এবং ভবতোষ সুতারের আবির্ভাব। ‘রুদ্র পাল’ জমানার রমরমার মধ্যেই এই দুই শিল্পী নিজেদের জাত চিনিয়েছেন। হাতিবাগান সর্বজনীনে পথ চলা শুরু হয়েছিল সনাতনের। এর দু’বছর পরে বড়িশার একটি ক্লাবে প্রথম প্রতিমা গড়েন ভবতোষ। বর্তমানে এই দু’জনের সৃষ্টি দেখতে পুজোপ্রেমীরা উপচে পড়েন। প্রথম বছর সনাতন করেছিলেন গণেশজননী। এরপর তাঁকে আর থামতে হয়নি। একাধিক পদ্মের উপর প্রতিমা, কিংবা চম্বাদেবী বহুল প্রশংসিত হয়েছিল। এরপর নলিনী সরকার স্ট্রিট, চেতলা অগ্রণী ও ৯৫ পল্লিতে সনাতনী প্রতিমা উৎকর্ষের অন্যতম উদাহরণ। পাশাপাশি বড়িশার সৃষ্টি এবং নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘ, চেতলা অগ্রণীতে ভবতোষ সুতার বছরের পর বছর ভারতের বিভিন্ন শিল্পকে তাঁর প্রতিমায় ফুটিয়ে তুলেছেন। ২০০০ সালে হাতিবাগান সর্বজনীনে প্রথম এশিয়ান পেন্টস শারদ সম্মান পান সনাতন দিন্দা। আর চার বছর পরে এককভাবে শ্রেষ্ঠ শিল্পীর পুরস্কারে ভূষিত হন ভবতোষ সুতার।
 লেখক: দুর্গাপুজো গবেষক 
29th  September, 2019
আ ম্মা হী ন তামিল রাজনীতি
রূপাঞ্জনা দত্ত

২৪ ফেব্রুয়ারি। তামিলনাড়ুর কাছে এটা একটা বিশেষ দিন। মন্দিরে মন্দিরে উপচে পড়ত ভিড়। সবার একটাই প্রার্থনা, ‘আম্মা নাল্লামাগা ইরঙ্গ’। ‘আপনি ভালো থাকুন’। ওইদিন তিনিও যেতেন মন্দিরে। নিজের জন্মদিনে ভক্তদের ভালোবাসা বিলোতে। সেটাকে অবশ্য ‘পুরাচি থালাইভি’র আশীর্বাদ বলেই গণ্য করত সবাই।   বিশদ

01st  December, 2019
অর্ধশতবর্ষে শ্বেত বিপ্লব 
কল্যাণ বসু

‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে...’
রায়গুণাকর ভারতচন্দ্রের ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যে ঈশ্বরী পাটনীর কালজয়ী বর প্রার্থনা ছিল এটাই। ‘অন্নপূর্ণা ও ঈশ্বরী পাটনী’র এই অবিস্মরণীয় পংক্তিতে সন্তানের মঙ্গলচিন্তা যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে সন্তানের মঙ্গলার্যে বিরাট কোনও লোভ না দেখিয়ে শুধুমাত্র দুধ-ভাতের আজীবন জোগান প্রার্থনা করা। সুস্থ-সবল সন্তানের জন্য ভাতের সঙ্গে দুধের অপরিহার্যতার কথাও আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রয়েছে এই প্রার্থনায়।  
বিশদ

24th  November, 2019
অচেনা অযোধ্যা
সমৃদ্ধ দত্ত

 সরযূ নদীর নয়াঘাটে মাঝেমধ্যেই দেখা যাবে এক টানাপোড়েনের দৃশ্য। গোন্দা জেলার মানকপুর গ্রামের রমাদেবী নিজের মেয়ের সামনে হাতজোড় করে বলছেন, ‘আমাকে ছেড়ে দে রে..আমি কয়েকদিন পর আবার চলে যাব..সত্যি বলছি যাব।’ মেয়ে জানে মায়ের কথার ঠিক নেই। আজ বিশ্বাস করে ছেড়ে দিলে, সত্যিই কবে যাবে, কোনও ঠিক নেই।
বিশদ

17th  November, 2019
বিস্মৃতপ্রায় সুরেন্দ্রনাথ
রজত চক্রবর্তী

কালো পুলিস ভ্যানটা ঢুকতেই উত্তেজিত জনতা যেন তাতে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে। আন্দোলনের নেতৃত্বে স্বয়ং ‘বাংলার বাঘ’ আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। হবে নাই বা কেন! বাংলার জাত্যাভিমানকে পরিচিতি দিয়েছিলেন পুলিস ভ্যানের ভিতরে বসে থাকা ব্যক্তিটিই। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তাঁর জন্মদিন। বিশদ

10th  November, 2019
সুরেন্দ্রনাথের সাংবাদিক সত্ত্বা 
ডাঃ শঙ্করকুমার নাথ

১৮৮৩ সালে কলকাতা হাইকোর্ট ‘The Bengalee’ পত্রিকার সম্পাদক সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুদ্রাকার-প্রকাশক রামকুমার দে’র নামে রুল জারি করার নির্দেশ দিল এবং পরের দিন তা কার্যে পরিণত হল। বলা হল— ‘আদালত অবমাননা করার অপরাধে কেন জেলে যাইবেন না, তাহার কারণ প্রদর্শন করুন।’ 
বিশদ

10th  November, 2019
আরাধনা ৫০
সমৃদ্ধ দত্ত

 রবি শর্মার বাড়িতে গুরু দত্ত এসেছেন। প্রায় মধ্যরাত। এত রাতে কী ব্যাপার? রবি শর্মা চোখে জিজ্ঞাসু দৃষ্টি। গুরু দত্ত বললেন, ‘রবি আমি একটা গান চা‌ই। একটি মানুষ অনেক রাত পর্যন্ত মুশায়রার আসর থেকে বাড়ি ফিরেছে। তার সবেমাত্র বিয়ে হয়েছে। অপূর্ব সুন্দরী স্ত্রী। সেই মেয়েটি স্বামীর জন্য অপেক্ষা করে করে একসময় ঘুমিয়ে পড়েছে। স্বামী ভদ্রলোক বাড়ি ফিরে দেখছেন স্ত্রী গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।
বিশদ

03rd  November, 2019
ডাকাত কালী
সুভাষচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়

 কয়েকশো বছর আগের কাহিনী। তখন এখানে চারপাশে ঘন জঙ্গল। বহু জায়গায় সূর্যালোক পর্যন্ত পৌঁছত না। ছিল একাধিক হিংস্র পশুও। পাশেই সরস্বতী নদীর অববাহিকা। সেখানে বহু ডাকাতের বসবাস ছিল। বাংলার বিখ্যাত রঘু ও গগন ডাকাতও এই পথ দিয়ে ডাকাতি করতে যেতেন।
বিশদ

27th  October, 2019
মননে, শিক্ষায় পুরোপুরি বাঙালি

সুইডিশ অ্যাকাডেমি ঘোষণাটা করার পর কিছু সময়ের অপেক্ষা। আগুনের মতো খবরটা ছড়িয়ে গিয়েছিল গোটা দেশে... একজন বাঙালি, একজন ভারতীয় আরও একবার জগৎসভায় দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। অমর্ত্য সেনের পর অর্থনীতিতে নোবেল পাচ্ছেন তিনি। বিশদ

20th  October, 2019
অর্থনীতিতে নীতি
অনির্বাণ মুখোপাধ্যায়

 লেখাটা শুরু করা যেতে পারে আমার ছাত্রজীবনে রাশিবিজ্ঞানের ক্লাসে শোনা একটা গল্প দিয়ে। কোনও একসময় ইংল্যান্ডের স্কুলশিক্ষা দপ্তর ঠিক করেছিল, স্কুলের বাচ্চাদের দুধ খাইয়ে দেখবে তাদের স্বাস্থ্যের উপর তার কোনও সুপ্রভাব পড়ে কি না। সেইমতো স্কুলগুলিতে কোনও একটি ক্লাসের অর্ধেক বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো হয় এবং বাকিদের তা দেওয়া হয়নি। বিশদ

20th  October, 2019
বাহন কথা 
রজত চক্রবর্তী

আকাশে সোনার থালার মতো চাঁদ। বাড়িতে বাড়িতে দোরগোড়া থেকে লতানে ধানের শিষ। এঁকে বেঁকে চলে গিয়েছে চৌকাঠ ডিঙিয়ে, ডাইনিংয়ের পাশ দিয়ে প্রতিটি ঘরে ঘরে... এমনকী সিঁড়ির পাশ দিয়েও উঠেছে দোতলায়। ধানের শিষের পাশে পাশে ছোট্ট ছোট্ট সুন্দর পায়ের ছাপ।  
বিশদ

13th  October, 2019
পুজোর ফুলের যন্ত্রণা
বিশ্বজিৎ মাইতি

 বিশ্বজিৎ মাইতি: হাওড়া‑খড়্গপুর রেলওয়ে শাখার বালিচক স্টেশন। মার্চ মাসের এক শুক্রবারের সকালে বেশ কয়েকজনকে ধরেছেন টিটি। বিনা টিকিটে ট্রেন সফর। তাঁদের মধ্যে এক যুবকের হাতে গোটা চারেক বস্তা। হাতে একগুচ্ছ ব্যাগ। গাল ভর্তি দাড়ি। উসকো-খুসকো চুল। পরনে নানান দাগে ভর্তি জামা ও হাফপ্যান্ট। করুণ চোখে আচমকাই নিজের মানিব্যাগ টিটির মুখের সামনে দেখিয়ে ধরা গলায় বলল, ‘স্যার একটা টাকাও নেই। পুরো শরীর চেক করে দেখুন...।
বিশদ

22nd  September, 2019
ভো-কাট্টা

বিশ্বকর্মা পুজোর সঙ্গে ঘুড়ি ওড়ানোটা সমার্থক হয়ে গিয়েছে। বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশজোড়া ঘুড়ির আলপনা। অসংখ্য ঘুড়ির ভেলায় যেন স্বপ্ন ভাসে। বহু কৈশোর আর যৌবনের মাঞ্জায় লেগে আছে ঘুড়ি ওড়ানোর স্মৃতি। যে ছেলেটা কোনওদিন সকাল দেখেনি, সেও বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে সূর্য ওঠার আগেই ঘুড়ি-লাটাই নিয়ে ছাদে উঠে যায়।  
বিশদ

15th  September, 2019
নির্মাণশিল্পী বিশ্বকর্মা
সন্দীপন বিশ্বাস

জরাসন্ধ তখন প্রবল প্রতাপান্বিত। বারবার মথুরা আক্রমণ করছিলেন। কিন্তু সপ্তদশ প্রচেষ্টাতেও মথুরা জয় করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি। তাই ফের তিনি মথুরা আক্রমণের প্রস্তুতি নিতে লাগলেন। কৃষ্ণ অবশ্য জানতেন জরাসন্ধ কিছুতেই মথুরা জয় করতে পারবেন না।
বিশদ

15th  September, 2019
আগুন বাজার
বীরেশ্বর বেরা

 ‘কেন? আপনি যে পটল বেচছেন, এমন পটল তো আমরা ৩০-৩২ টাকায় কিনছি!’ গ্রাম্য যুবক তাঁর আপাত-কাঠিন্যের খোলস ছেড়ে সহজ হয়ে গেলেন হঠাৎ। তেলের টিনের উপর চটের বস্তা বেঁধে টুলের মতো বসার জায়গাটা এগিয়ে দিয়ে বললেন, ‘বসুন তাহলে, বলি। বিশদ

08th  September, 2019
একনজরে
 ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল। ...

সংবাদদাতা, গাজোল: শীত এখনও সেভাবে না পড়লেও মাল্টার জন্য এখন থেকেই অপেক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে মালদহে। অনেকটা কমলালেবুর মতোই দেখতে এই ফল বিগত দুয়েকবছর ধরে ...

সংবাদদাতা, কুমারগ্রাম: উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর আলিপুরদুয়ার শহরের ইন্ডোর স্টেডিয়ামের পাশে অত্যাধুনিক ব্যায়ামাগার তৈরির কাজ শুরু করছে। এই কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এটির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আলিপুরদুয়ার জেলা ক্রীড়া সংস্থার হাতে তা তুলে দেওয়া হবে।  ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিলে বরাদ্দ অর্থ বৃদ্ধির দাবি উঠল বিধানসভায়। সোমবার প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী কংগ্রেস এবং সিপিএমের কয়েকজন বিধায়ক এই প্রসঙ্গটি তোলেন। সেই সময় টেবিল চাপড়িয়ে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাবকে সমর্থন করতে দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব এইডস দিবস
১৯৪১: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আক্রমণে চূড়ান্ত অনুমোদন দিলেন জাপানের সম্রাট হিরোহিতো
১৯৫৪: সমাজকর্মী মেধা পাটেকরের জন্ম
১৯৬৩: ভারতের ১৬তম রাজ্য হিসাবে ঘোষিত হল নাগাল্যাণ্ড
১৯৬৫: প্রতিষ্ঠিত হল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)
১৯৭৪: স্বাধীনতা সংগ্রামী সুচেতা কৃপালিনীর মৃত্যু
১৯৮০: ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফের জন্ম
১৯৯৭: বিহারের লক্ষ্মণপুর-বাথে অঞ্চলে ৬৩জন নিম্নবর্গীয়কে খুন করল রণবীর সেনা
১৯৯৯: গায়ক শান্তিদেব ঘোষের মৃত্যু

01st  December, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৯৪ টাকা ৭২.৬৫ টাকা
পাউন্ড ৯১.০৫ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
ইউরো ৭৭.৬১ টাকা ৮০.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৪৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৫১০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,০৬০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ৪২/৫৩ রাত্রি ১১/১৪। ধনিষ্ঠা ২০/২৯ দিবা ২/১৭। সূ উ ৬/৪/৫৩, অ ৪/৪৭/২৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৭/২৯ গতে ১১/৪ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৭ গতে ৮/২০ মধ্যে পুনঃ ৯/১৩ গতে ১১/৫২ মধ্যে পুনঃ ১/৩৯ গতে ৩/২৫ মধ্যে পুনঃ ৫/৫২ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৭/২৫ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৭ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৬ মধ্যে। 
১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ৪২/৪৮/৩২ রাত্রি ১১/১৩/৪৯। ধনিষ্ঠা ২২/৪৯/২৩ দিবা ৩/১৪/৯, সূ উ ৬/৬/২৪, অ ৪/৪৭/৫২, অমৃতযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে ও ৭/৪২ গতে ১১/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৮/২৬ মধ্যে ও ৯/২০ গতে ১২/১ মধ্যে ও ১/৪৯ গতে ৩/৩৬ মধ্যে ও ৫/২৪ গতে ৬/৭ মধ্যে, কালবেলা ১২/৪৭/১৯ গতে ২/৭/৩০ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৭/৪১ গতে ৮/৭/৩০ মধ্যে। 
৫ রবিয়স সানি  

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। বৃষ: বন্ধুস্থানীয় কোনও ব্যক্তির সাহায্যে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস১৮৮২: চিত্রশিল্পী নন্দলাল বসুর জন্ম১৮৮৯: বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর ...বিশদ

07:03:20 PM

শহরে এটিএম জালিয়াতি, আরও ১৪টি অভিযোগ দায়ের 
যাদবপুরের পর এবার চারু মার্কেট থানা এলাকা। শহরে ফের জাঁকিয়ে ...বিশদ

05:13:00 PM

বাংলায় এনআরসি হবে না, ধর্মের ভিত্তিতে ভাগাভাগি করা যাবে না: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 

04:06:10 PM

বুলবুল: রাজ্যকে আর্থিক সাহায্য পাঠাল কেন্দ্র
বুলবুল-এ ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য হিসাবে পশ্চিমবঙ্গকে আর্থিক সাহায্য পাঠাল কেন্দ্র। রাজ্যকে ...বিশদ

03:42:00 PM

আগামী ২ দিন বসবে না বিধানসভা অধিবেশন
রাজভবনে আটকে রয়েছে বিল । সেখান থেকে বিল না আসায় ...বিশদ

03:36:00 PM