Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

নির্মাণশিল্পী বিশ্বকর্মা
সন্দীপন বিশ্বাস

জরাসন্ধ তখন প্রবল প্রতাপান্বিত। বারবার মথুরা আক্রমণ করছিলেন। কিন্তু সপ্তদশ প্রচেষ্টাতেও মথুরা জয় করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি। তাই ফের তিনি মথুরা আক্রমণের প্রস্তুতি নিতে লাগলেন। কৃষ্ণ অবশ্য জানতেন জরাসন্ধ কিছুতেই মথুরা জয় করতে পারবেন না। কিন্তু বারবার আক্রমণের ফলে রাজ্যের সুস্থিতি নষ্ট হতে বসল। ব্যবসা বাণিজ্যে মন্দা ভাব দেখা দিল। বিশেষ করে যাদবরা মনে করতে লাগলেন, যে কোনও দিন জরাসন্ধ মথুরা জয় করতে পারেন। রাজ্যের মানুষের এই অবিশ্বাস ও আশঙ্কা বেড়ে উঠছে দেখে কৃষ্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি তাঁর নতুন রাজধানী স্থাপন করবেন। সেইমতো তিনি বাহন গরুড়ের পিঠে চড়ে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখছেন। তাঁর বিশেষভাবে পছন্দ হল দ্বারাবতী অঞ্চলটি। তিনি বিশ্বকর্মাকে ডেকে সেখানে একটি প্রাসাদ এবং জনপদ নির্মাণ করতে বললেন।
কিন্তু বিশ্বকর্মা সেখানে গিয়ে দেখলেন জায়গাটি তেমন প্রশস্ত নয়। তাই তিনি কৃষ্ণের কাছে এসে বললেন, ‘আরও একটু জায়গা না হলে বড় জনপদ গড়ে তোলা যাবে না।’ কৃষ্ণ ভাবতে লাগলেন, তাহলে কি অন্য কোথাও তাঁর নতুন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করবেন? এমনসময় বিশ্বকর্মাই তাঁকে পরামর্শ দিয়ে বললেন, ‘আপনি সমুদ্রকে বলুন উনি যদি আরও কিছুটা জায়গা দেন, তবে আমি সেখানে নগরী গড়ে তুলতে পারব।’ বিশ্বকর্মার কথা শুনে কৃষ্ণ বসলেন সমুদ্রদেবতার পুজোয়। সমুদ্রদেবতা তুষ্ট হয়ে উপস্থিত হলেন তাঁর সামনে। কৃষ্ণ তাঁকে বললেন, ‘আমি দ্বারাবতীতে একটি নগরী প্রতিষ্ঠা করতে চাই। তার জন্য ওখানে অনেকটা স্থলভূমি চাই। আপনি যদি আমাকে কিছু জমি দান করেন, তবে আমি বিশ্বকর্মাকে দিয়ে ওখানে একটি নগরী এবং আমার একটি প্রাসাদ নির্মাণ করতে পারি।’ সমুদ্রদেব বললেন, ‘তাই হবে। আপনি বিশ্বকর্মাকে বলে দিন উনি যেন প্রাসাদ এবং নগর পরিকল্পনার কাজ করে ফেলেন।’
এরপর সমুদ্র অনেকটা সরে গিয়ে দ্বাদশ যোজন জমি দান করলেন এবং বিশ্বকর্মা সেখানে দ্বারকা নগরী নির্মাণ করলেন। অসাধারণ শিল্পসুষমা মণ্ডিত প্রাসাদ নির্মাণও করলেন। সেই প্রাসাদ দেখে তাক লেগে গিয়েছিল স্বর্গের দেবতাদেরও। মর্ত্যধামে কি না স্বর্গের থেকেও সুন্দর প্রাসাদ! এই ঈর্ষায় অনেক দেবতাই কাতর হয়েছিলেন।
সেই ঈর্ষার বশেই দেবরাজ ইন্দ্র চাইলেন তিনিও একটি প্রাসাদ নির্মাণ করবেন, যার তুল্য ত্রিলোকে আর কিছুই থাকবে না। অগত্যা তিনি ডাকলেন বিশ্বকর্মাকে। সব কথা বললেন। বিশ্বকর্মা তাঁর জন্য একটি অনিন্দ্যসুন্দর প্রাসাদ নির্মাণ করলেন। কিন্তু তা ইন্দ্রের পছন্দ হল না। তাই সেই প্রাসাদ ভেঙে আবার এক নতুন প্রাসাদ রচনা করেন বিশ্বকর্মা। সেটিও ইন্দ্রের ভালো লাগল না। অতঃপর আবার সেটি ভেঙে তিনি আরও একটি নতুন প্রাসাদ নির্মাণ করেন। এবারও ইন্দ্র বললেন, ‘আমি চাই আরও সুন্দর এক প্রাসাদ, যার তুলনা এই ভূমণ্ডলে নেই।’ একথা শুনে বিপাকে পড়ে গেলেন বিশ্বকর্মা। তিনি বুঝতে পারলেন এভাবে ইন্দ্রকে সন্তুষ্ট করা সম্ভব নয়। তাই তিনি গেলেন ব্রহ্মার কাছে। ব্রহ্মা সব কথা শুনে তাঁকে বিষ্ণুর কাছে যেতে বললেন। তাঁর কাছে গিয়ে সব কথা বললেন বিশ্বকর্মা। বিষ্ণু ভেবে দেখলেন, আসলে ইন্দ্র মোহে এবং ঈর্ষায় ডুবে আছেন। সেটি আগে দূর করা দরকার।
তখন তিনি এক বালকের রূপ ধরে ইন্দ্রের কাছে গেলেন। বিষ্ণুকে ইন্দ্র চিনতে পারলেন না। তিনি বালককে বললেন, ‘এখানে কেন এসেছ?’ বালকরূপী বিষ্ণু বললেন, ‘আপনাকে দেখতে এসেছি এবং আপনার প্রাসাদ কত সুন্দর, তা দেখতে এসেছি।’ ইন্দ্র বললেন, ‘আমি ইন্দ্র। তুমি চেনো আমাকে?’
বিষ্ণু বললেন, ‘হ্যাঁ। আপনি ইন্দ্র, সেটা আমি জানি। আমি অনেক ইন্দ্রকে জানি। আপনার আগে অনেক ইন্দ্র ছিলেন, তাঁদের অনেক সুন্দর প্রাসাদ ছিল। আপনার পরেও অনেক ইন্দ্র আসবেন, তাঁদেরও অনেক সুন্দর প্রাসাদ হবে। সুতরাং এই জগতে অগণ্য ইন্দ্রের সমাহার। তাঁদের অসংখ্য প্রাসাদ। কোন প্রাসাদটা বেশি সুন্দর তার তুলনা কী করে সম্ভব!’
চিন্তায় পড়ে গেলেন ইন্দ্র। সত্যিই তো! তখন বিষ্ণু ইন্দ্রকে তাঁর রূপ দর্শন করালেন। ইন্দ্র বুঝলেন তিনি এক আত্মমোহে এবং ঈর্ষায় ডুবে আছেন। বিষ্ণু তাঁকে বোঝালেন, ‘বিশ্বকর্মা যে প্রাসাদ তৈরি করেন, তার আর দ্বিতীয়টি হয় না। তার তুলনা সে নিজেই। আর আপনি জেনে রাখুন, এ ব্রহ্মাণ্ডে সবই অনিত্য। আজ যা আছে, কাল তা নেই। শত শত ইন্দ্রের মধ্যে আপনি একটি কণামাত্র। একজন ইন্দ্রের চোখের পলকে একজন মানুষের মৃত্যু হয়। ব্রহ্মের একটি চোখের পলকে ইন্দ্রের মৃত্যু হয়। বিষ্ণুর চোখের একটি পলকে ব্রহ্মের মৃত্যু হয়। শিবের চোখের একটি পলকে বিষ্ণুর মৃত্যু হয়।’ ইন্দ্র হাত জোড় করে বললেন, ‘আমি সব বুঝেছি ভগবান। আমায় ক্ষমা করুন। এরপর বিশ্বকর্মা তাঁর জন্য তুলনারহিত এক প্রাসাদ নির্মাণ করে দেন।
বিশ্বকর্মা শিবের জন্যও প্রাসাদ নির্মাণ করে দিয়েছিলেন। শিবের সঙ্গে পার্বতীর বিয়ের পর বিশ্বকর্মা এক স্বর্ণপ্রাসাদ নির্মাণ করেন। সেই প্রাসাদের গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিবভক্ত লঙ্কেশ্বর রাবণ। রাবণ সেই প্রাসাদ দেখে চমৎকৃত। তিনি শিবকে বললেন, ‘আমিও একটি এমন প্রাসাদ নির্মাণ করতে চাই।’ শিব তাঁকে বললেন, ‘তুমি গিয়ে বিশ্বকর্মাকে অনুরোধ কর।’ তখন রাবণের অনুরোধে এবং শিবের সুপারিশে বিশ্বকর্মা লঙ্কায় রাবণের জন্য স্বর্ণপুরী নির্মাণ করেন। সেই প্রাসাদের একটি গৃহ এতই সুন্দর যা মেঘের মতো উন্নত, কাঞ্চনে ভূষিত, মনোহর এবং রাক্ষসাধিপতির প্রতাপের অনুরূপ।
বিশ্বকর্মা পঞ্চপাণ্ডবের জন্য নির্মাণ করেছিলেন ইন্দ্রপ্রস্থ। খাণ্ডবপ্রস্থে ধৃতরাষ্ট্র পাণ্ডবদের যে এক টুকরো জমি দিয়েছিলেন সেখানে কৃষ্ণের অনুরোধে বিশ্বকর্মা ইন্দ্রপ্রস্থ নির্মাণ করেন। বলা হয়, এই ইন্দ্রপ্রস্থই পরবর্তীকালে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের পথ প্রশস্ত করেছিল।
ইন্দ্রপ্রস্থ ছিল এক মায়ানগরী। দেখে মনে হতো সর্বত্রই টলটলে জল। ভূমি এবং জলাশয়ের পার্থক্য বোঝাই যেত না। পাণ্ডবদের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে সেই মায়ানগরীতে এসে অভিভূত কৌরবরা। ভূমি আর জলের মায়া বুঝতে না পেরে জলাশয়ে পড়ে যান দুর্যোধন। তাই দেখে হেসে উঠেছিলেন দ্রৌপদী। এতে রুষ্ট হয়ে দুর্যোধন প্রতিজ্ঞা করেন, এই অপমানের প্রতিশোধ তিনি নেবেনই। সেই প্রতিজ্ঞাই দুর্যোধনকে রাজসভায় দ্রৌপদীকে অপমান করতে উৎসাহ দিয়েছিল। আর সেটাই কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের কারণ হয়ে উঠেছিল।
রামচন্দ্র যখন লঙ্কায় রাবণকে বধ করতে যাওয়ার জন্য সমুদ্রবন্ধন করছিলেন, তখন বারবার তিনি ব্যর্থ হচ্ছিলেন। এতে কুপিত হয়ে রাম সমুদ্রকে বান মারতে গেলে তিনি উঠে এসে রামচন্দ্রকে হাত জোড় করে বলেন, ‘রক্ষা করুন। আমাকে মারবেন না। আপনার সঙ্গেই আছেন বিশ্বকর্মার পুত্র নল। তিনিও একজন শিল্পী। তিনি আপনাকে সমুদ্রবন্ধনে সাহায্য করতে পারেন।’ এরপর বিশ্বকর্মার পরামর্শে নল সেতুবন্ধন করেন।
অর্থাৎ, প্রাসাদ, নগরী, জনপদ এমনকী সেতু পর্যন্ত নির্মাণ করেছিলেন বিশ্বকর্মা। পাশাপাশি আধুনিক অস্ত্রভাবনার প্রকাশও আমরা পাই বিশ্বকর্মার মধ্যে। তিনি যেমন বাস্তুবিজ্ঞানে দক্ষ ছিলেন, তেমনই অস্ত্রবিজ্ঞানে ছিলেন অদ্বিতীয়। নানা অস্ত্রে তিনি দেবতাদের শক্তিশালী করে তুলেছিলেন। যথার্থই তিনি ছিলেন আয়ুধ-প্রজ্ঞ।
একবার দুই অসুর ভাই সুন্দ এবং উপসুন্দের অত্যাচারে দেবতারা কাতর হয়ে উঠলেন। তাঁরা তখন দিশাহারা হয়ে ব্রহ্মার শরণাপন্ন হলেন। ব্রহ্মা অনেক ভেবে দেখলেন, বিশ্বকর্মা ছাড়া এই সংকট থেকে দেবতাদের কেউই উদ্ধার করতে পারবেন না। তাই তিনি বিশ্বকর্মার কাছে গিয়ে বললেন, ‘আপনি এমন এক শক্তির প্রকাশ ঘটান, যে শক্তি সুন্দ-উপসুন্দকে বধ করে দেবলোককে রক্ষা করতে পারবে।’ বিশ্বকর্মা অনেক চিন্তা করে দেখলেন কোনও একক শক্তি ওই অসুর ভ্রাতৃদ্বয়কে হত্যা করতে অপারগ। তখন তিনি ব্রহ্মাণ্ডের সর্ববস্তুর অন্তঃস্থ কণা শক্তি নিয়ে তিলে তিলে গড়ে তুললেন এক নারী শক্তি। তিনিই তিলোত্তমা। তাঁর এই সৃষ্টি যেন আজকের পরমাণু শক্তির নির্মাণকেই মনে করিয়ে দেয়।
বিশ্বকর্মার কন্যা সংজ্ঞা বিয়ে করেন সূর্যদেবকে। কিন্তু সূর্যের তাপে কিছুতেই তাঁর কাছে যেতে পারছিলেন না। একথা জানতে পেরে বিশ্বকর্মা সূর্যের মোট তাপকে সমান আটটি ভাগে ভাগ করেন। তার মধ্য থেকে একটি দান করেন সূর্যকে। বাকিগুলির তেজ থেকে বিভিন্ন অস্ত্র নির্মাণ করে। সেগুলি হল বিষ্ণুর চক্র, মহাদেবের ত্রিশূল এবং কার্তিকের তির ধনুক এবং অন্যান্য দেবতাদের নানা অস্ত্র। এছাড়া তিনি দুটি মহাধনুও নির্মাণ করেন। একটি তিনি দেন শিবকে এবং অন্যটি দেন বিষ্ণুকে। শিবকে তিনি যে ধনুটি দিয়েছিলেন, সেটিই হরধনু নামে খ্যাত। সেই হরধনু ভেঙে রামচন্দ্র সীতাকে বিয়ে করেছিলেন। আর বিষ্ণু তাঁর ধনুটি দিয়েছিলেন পরশুরামকে। সেটি দিয়ে তিনি এ বিশ্বকে একুশবার নিঃক্ষত্রিয় করেন। পরে সেই ধনু দিয়েই বিষ্ণু পরশুরামের গর্বকে সংহার করেন। দেবী দুর্গা যখন অসুর বধের জন্য যাত্রা করেছিলেন, তখন তিনি দেবীকে দিয়েছিলেন তাঁর কুঠার এবং তাঁর মহাশক্তিশালী কবচ।
আবার তিনি এক বিমানও নির্মাণ করেছিলেন। কুবেরকে ব্রহ্মা যে পুষ্পক রথ প্রদান করেছিলেন সেটি নির্মাণ করেন বিশ্বকর্মাই। এই রথ নির্মাণের মধ্যেই আছে আজকের বিমান ভাবনার প্রকাশ। কুবেরকে পরাস্ত করে রাবণ সেই রথ হস্তগত করেছিলেন।
দেবতারা একবার অসুরদের অত্যাচারে কাতর। তাদের নেতা বৃত্রাসুর। তাদের আক্রমণে পরাজিত দেবরাজ ইন্দ্র স্বর্গচ্যুত হলেন। অসুররা দেবলোক অধিকার করে সেখানে অনাচার সৃষ্টি করল। এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কী? বিষ্ণুর কাছ থেকে জানা গেল নৈমিষারণ্যে ধ্যানরত মহামুনি দধীচি যদি তাঁর অস্থি দান করেন, তবে সেই অস্থি দিয়ে নির্মিত অস্ত্রেই অসুরদের বিনাশ হবে। ইন্দ্র গিয়ে দধীচিকে সে কথা বলতেই তিনি যোগবলে দেহত্যাগ করলেন। সেই দেহ থেকে অস্থি এনে ইন্দ্র বিশ্বকর্মাকে দিলেন। বিশ্বকর্মা সেই অস্থি দিয়ে দুটি বজ্র বানালেন। একটির নাম শোভনকর্মা এবং অপরটির নাম সুপ্রেরণীয়। সেই দুটি বজ্র দিয়ে ইন্দ্র বৃত্রাসুর এবং অন্যান্য অসুরদের বধ করলেন।
দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা হলেন ‘দেবানাং কার্য্যসাধক’। অর্থাৎ দেবতার সকল কর্মের সাধক ঩তিনিই। এখানে কর্ম মানে শিল্প বা সৃষ্টিকে বোঝানো হয়েছে। একই সঙ্গে বোঝানো হয়েছে, তাঁকে ব্যতীত দেবতাদের কোনও কর্ম সম্পন্ন হওয়া সম্ভব নয়। তিনি শিল্পের দেবতা। তিনি কর্মের দেবতা। দেবলোকে বা মর্ত্যলোকে তিনি বহু কিছু নির্মাণ করেছেন, যা পরে আর কখনও তৈরি হয়নি। মূলত বিশ্বকর্মা ছাড়া দেবতাদের কোনও শক্তির কথা ভাবাই যায় না। কিংবা তাঁদের বিলাসব্যসনের কথাও ভাবা যায় না।
বিশ্বকর্মার হাতে আমরা দেখি হাতুড়ি, ছেনি, আবার কখনও তুলাদণ্ড। এগুলি একদিকে যেমন নির্মাণের প্রতীক, তেমনই আবার শিল্পসৃষ্টির ক্ষেত্রে পরিমাপের হিসেবটিকেও মুখ্য হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে। তুলাদণ্ডের একটি হল জ্ঞানের প্রতীক এবং অন্যটি হল কর্মের প্রতীক। জ্ঞান এবং কর্মের মিশ্রণেই আসে সাফল্য।
শতপথ ব্রাহ্মণ থেকে জানা যায়, বিশ্বকর্মা মাঝেমাঝেই সর্বমেধ যজ্ঞ করতেন। সেই যজ্ঞে তিনি বিশ্বের সবকিছুকে আহুতি দিতেন। সমস্ত জীবকূলকেও তিনি আহুতি দিতেন। সবশেষে সেই যজ্ঞে তিনি নিজেকেও আহুতি দিতেন। এইভাবেই বিশ্ব ধ্বংস হয়ে যেত। আর সেই যজ্ঞের আগুন থেকেই জেগে উঠতেন স্বয়ং বিশ্বকর্মা। আবার তিনি নতুন করে জীব ও জগতের সৃষ্টি করতেন। নতুন প্রাণ, নতুন জগৎ। এভাবেই ধ্বংসের পরে সৃষ্টি, আর সৃষ্টির পরে ধ্বংস আসে। আর বিশ্বকর্মা আমগ্ন থাকেন সৃষ্টির বিরচনে। কাল, যুগ, পর্ব সব এভাবেই তাঁর হাত ধরেই এগিয়ে চলে। আর তিনি থেকে যান সমস্ত সৃষ্টির অগোচরে। মানুষের মধ্য দিয়ে তিনি আজও নতুন জগৎ, শহর, নগর, জনপদ, বিজ্ঞানের নানা আবিষ্কার করে চলেছেন। মানুষ এবং বিশ্বকর্মা যেন কোথাও গিয়ে একাকার হয়ে যান।

গ্রাফিক্স সোমনাথ পাল
সহযোগিতায় উজ্জ্বল দাস 
15th  September, 2019
রাজ সিংহাসন
প্রণবকুমার মিত্র

 দরবারে আসছেন মহারাজ। শিঙে, ঢাক, ঢোল, কাঁসর ঘণ্টার বাদ্যি আর তোপের শব্দ সেটাই জানান দিচ্ছে। তারপর সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে মহারাজ ধীর পায়ে গিয়ে বসলেন রাজ সিংহাসনে। আগেকার দিনে রূপকথার গল্পে এটাই বলা হতো।
বিশদ

08th  December, 2019
আ ম্মা হী ন তামিল রাজনীতি
রূপাঞ্জনা দত্ত

২৪ ফেব্রুয়ারি। তামিলনাড়ুর কাছে এটা একটা বিশেষ দিন। মন্দিরে মন্দিরে উপচে পড়ত ভিড়। সবার একটাই প্রার্থনা, ‘আম্মা নাল্লামাগা ইরঙ্গ’। ‘আপনি ভালো থাকুন’। ওইদিন তিনিও যেতেন মন্দিরে। নিজের জন্মদিনে ভক্তদের ভালোবাসা বিলোতে। সেটাকে অবশ্য ‘পুরাচি থালাইভি’র আশীর্বাদ বলেই গণ্য করত সবাই।   বিশদ

01st  December, 2019
অর্ধশতবর্ষে শ্বেত বিপ্লব 
কল্যাণ বসু

‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে...’
রায়গুণাকর ভারতচন্দ্রের ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যে ঈশ্বরী পাটনীর কালজয়ী বর প্রার্থনা ছিল এটাই। ‘অন্নপূর্ণা ও ঈশ্বরী পাটনী’র এই অবিস্মরণীয় পংক্তিতে সন্তানের মঙ্গলচিন্তা যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে সন্তানের মঙ্গলার্যে বিরাট কোনও লোভ না দেখিয়ে শুধুমাত্র দুধ-ভাতের আজীবন জোগান প্রার্থনা করা। সুস্থ-সবল সন্তানের জন্য ভাতের সঙ্গে দুধের অপরিহার্যতার কথাও আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রয়েছে এই প্রার্থনায়।  
বিশদ

24th  November, 2019
অচেনা অযোধ্যা
সমৃদ্ধ দত্ত

 সরযূ নদীর নয়াঘাটে মাঝেমধ্যেই দেখা যাবে এক টানাপোড়েনের দৃশ্য। গোন্দা জেলার মানকপুর গ্রামের রমাদেবী নিজের মেয়ের সামনে হাতজোড় করে বলছেন, ‘আমাকে ছেড়ে দে রে..আমি কয়েকদিন পর আবার চলে যাব..সত্যি বলছি যাব।’ মেয়ে জানে মায়ের কথার ঠিক নেই। আজ বিশ্বাস করে ছেড়ে দিলে, সত্যিই কবে যাবে, কোনও ঠিক নেই।
বিশদ

17th  November, 2019
বিস্মৃতপ্রায় সুরেন্দ্রনাথ
রজত চক্রবর্তী

কালো পুলিস ভ্যানটা ঢুকতেই উত্তেজিত জনতা যেন তাতে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে। আন্দোলনের নেতৃত্বে স্বয়ং ‘বাংলার বাঘ’ আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। হবে নাই বা কেন! বাংলার জাত্যাভিমানকে পরিচিতি দিয়েছিলেন পুলিস ভ্যানের ভিতরে বসে থাকা ব্যক্তিটিই। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তাঁর জন্মদিন। বিশদ

10th  November, 2019
সুরেন্দ্রনাথের সাংবাদিক সত্ত্বা 
ডাঃ শঙ্করকুমার নাথ

১৮৮৩ সালে কলকাতা হাইকোর্ট ‘The Bengalee’ পত্রিকার সম্পাদক সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুদ্রাকার-প্রকাশক রামকুমার দে’র নামে রুল জারি করার নির্দেশ দিল এবং পরের দিন তা কার্যে পরিণত হল। বলা হল— ‘আদালত অবমাননা করার অপরাধে কেন জেলে যাইবেন না, তাহার কারণ প্রদর্শন করুন।’ 
বিশদ

10th  November, 2019
আরাধনা ৫০
সমৃদ্ধ দত্ত

 রবি শর্মার বাড়িতে গুরু দত্ত এসেছেন। প্রায় মধ্যরাত। এত রাতে কী ব্যাপার? রবি শর্মা চোখে জিজ্ঞাসু দৃষ্টি। গুরু দত্ত বললেন, ‘রবি আমি একটা গান চা‌ই। একটি মানুষ অনেক রাত পর্যন্ত মুশায়রার আসর থেকে বাড়ি ফিরেছে। তার সবেমাত্র বিয়ে হয়েছে। অপূর্ব সুন্দরী স্ত্রী। সেই মেয়েটি স্বামীর জন্য অপেক্ষা করে করে একসময় ঘুমিয়ে পড়েছে। স্বামী ভদ্রলোক বাড়ি ফিরে দেখছেন স্ত্রী গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।
বিশদ

03rd  November, 2019
ডাকাত কালী
সুভাষচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়

 কয়েকশো বছর আগের কাহিনী। তখন এখানে চারপাশে ঘন জঙ্গল। বহু জায়গায় সূর্যালোক পর্যন্ত পৌঁছত না। ছিল একাধিক হিংস্র পশুও। পাশেই সরস্বতী নদীর অববাহিকা। সেখানে বহু ডাকাতের বসবাস ছিল। বাংলার বিখ্যাত রঘু ও গগন ডাকাতও এই পথ দিয়ে ডাকাতি করতে যেতেন।
বিশদ

27th  October, 2019
মননে, শিক্ষায় পুরোপুরি বাঙালি

সুইডিশ অ্যাকাডেমি ঘোষণাটা করার পর কিছু সময়ের অপেক্ষা। আগুনের মতো খবরটা ছড়িয়ে গিয়েছিল গোটা দেশে... একজন বাঙালি, একজন ভারতীয় আরও একবার জগৎসভায় দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। অমর্ত্য সেনের পর অর্থনীতিতে নোবেল পাচ্ছেন তিনি। বিশদ

20th  October, 2019
অর্থনীতিতে নীতি
অনির্বাণ মুখোপাধ্যায়

 লেখাটা শুরু করা যেতে পারে আমার ছাত্রজীবনে রাশিবিজ্ঞানের ক্লাসে শোনা একটা গল্প দিয়ে। কোনও একসময় ইংল্যান্ডের স্কুলশিক্ষা দপ্তর ঠিক করেছিল, স্কুলের বাচ্চাদের দুধ খাইয়ে দেখবে তাদের স্বাস্থ্যের উপর তার কোনও সুপ্রভাব পড়ে কি না। সেইমতো স্কুলগুলিতে কোনও একটি ক্লাসের অর্ধেক বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো হয় এবং বাকিদের তা দেওয়া হয়নি। বিশদ

20th  October, 2019
বাহন কথা 
রজত চক্রবর্তী

আকাশে সোনার থালার মতো চাঁদ। বাড়িতে বাড়িতে দোরগোড়া থেকে লতানে ধানের শিষ। এঁকে বেঁকে চলে গিয়েছে চৌকাঠ ডিঙিয়ে, ডাইনিংয়ের পাশ দিয়ে প্রতিটি ঘরে ঘরে... এমনকী সিঁড়ির পাশ দিয়েও উঠেছে দোতলায়। ধানের শিষের পাশে পাশে ছোট্ট ছোট্ট সুন্দর পায়ের ছাপ।  
বিশদ

13th  October, 2019
প্র তি মা র বি ব র্ত ন
সোমনাথ দাস

বর্ষা আর শরৎ এখন মিলেমিশে একাকার। বিশ্ব উষ্ণায়নের কৃপাদৃষ্টিতে শহরবাসীর পক্ষে আর এই দু’টি ঋতুকে আলাদা করা সম্ভব নয়। তবে ভাদ্রের সমাপ্তি এবং আশ্বিনের সূচনা বাঙালির জীবনে নিয়ে আসে এক অনাবিল আনন্দ। মা দুর্গার আগমনবার্তায় আমাদের হৃদয় নেচে ওঠে।   বিশদ

29th  September, 2019
পুজোর ফুলের যন্ত্রণা
বিশ্বজিৎ মাইতি

 বিশ্বজিৎ মাইতি: হাওড়া‑খড়্গপুর রেলওয়ে শাখার বালিচক স্টেশন। মার্চ মাসের এক শুক্রবারের সকালে বেশ কয়েকজনকে ধরেছেন টিটি। বিনা টিকিটে ট্রেন সফর। তাঁদের মধ্যে এক যুবকের হাতে গোটা চারেক বস্তা। হাতে একগুচ্ছ ব্যাগ। গাল ভর্তি দাড়ি। উসকো-খুসকো চুল। পরনে নানান দাগে ভর্তি জামা ও হাফপ্যান্ট। করুণ চোখে আচমকাই নিজের মানিব্যাগ টিটির মুখের সামনে দেখিয়ে ধরা গলায় বলল, ‘স্যার একটা টাকাও নেই। পুরো শরীর চেক করে দেখুন...।
বিশদ

22nd  September, 2019
ভো-কাট্টা

বিশ্বকর্মা পুজোর সঙ্গে ঘুড়ি ওড়ানোটা সমার্থক হয়ে গিয়েছে। বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশজোড়া ঘুড়ির আলপনা। অসংখ্য ঘুড়ির ভেলায় যেন স্বপ্ন ভাসে। বহু কৈশোর আর যৌবনের মাঞ্জায় লেগে আছে ঘুড়ি ওড়ানোর স্মৃতি। যে ছেলেটা কোনওদিন সকাল দেখেনি, সেও বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে সূর্য ওঠার আগেই ঘুড়ি-লাটাই নিয়ে ছাদে উঠে যায়।  
বিশদ

15th  September, 2019
একনজরে
বিএনএ, চুঁচুড়া: খো খো প্রতিযোগিতায় দেশকে জিতিয়ে ঘরে ফিরলেন চুঁচুড়ার সোনার মেয়ে ঈশিতা। ঈশিতা বিশ্বাস সাউথ এশিয়ান গেমসের সোনাজয়ী ভারতীয় খো খো দলের সদস্য ছিলেন। ...

বিএনএ, সিউড়ি ও সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন: লাভপুরে একই পরিবারের তিন ভাইয়ের হত্যা মামলায় নতুন করে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিল পুলিস। নতুন করে চার্জশিটে নাম জুড়ল বিজেপি নেতা মনিরুল ইসলামের।  ...

সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ : যে আমবাগান থেকে দিন তিনেক আগে উদ্ধার করা হয়েছে দগ্ধ মহিলার দেহ, তার এক প্রান্তে রয়েছে আড়াপুর জোত টিপাজানি আহ্লাদমণি ঘোষ ...

নয়াদিল্লি, ৮ ডিসেম্বর: চলতি বছরের নভেম্বর মাসে গাড়ির উৎপাদন ৪.৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি করল মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়া (এমএসআই)। বাজারে চাহিদা না থাকায় টানা ন’মাস ধরে গাড়ির উৎপাদন কমিয়ে এনেছিল সংস্থাটি। মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়া তরফে জানানো হয়েছে, নভেম্বর মাসে ১ লক্ষ ৪১ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৮৩: অন্ধকবি সুরদাসের জন্ম
১৮৯৮: বেলুড় মঠ প্রতিষ্ঠিত হল
১৬০৮: ইংরেজ কবি জন মিলটনের জন্ম
১৯৪৬: কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর জন্ম
১৯৪৬: অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহার জন্ম
২০১১: আমরি হাসপাতালে আগুন 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪৯ টাকা ৭২.১৯ টাকা
পাউন্ড ৯২.২০ টাকা ৯৫.৫৪ টাকা
ইউরো ৭৭.৭৫ টাকা ৮০.৭৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
07th  December, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮, ৩৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬, ৪২০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬, ৯৬৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৩, ৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৩, ৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
08th  December, 2019

দিন পঞ্জিকা

২২ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯, সোমবার, দ্বাদশী ৯/২৩ দিবা ৯/৫৪। ভরণী ৫৭/৯ শেষ রাত্রি ৫/০। সূ উ ৬/৮/৫৩, অ ৪/৪৮/২৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৮ গতে ১১/৬ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ১১/২ মধ্যে পুনঃ ২/৩৫ গতে ৩/৩০ মধ্যে, বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৮ মধ্যে পুনঃ ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে, কালরাত্রি ৯/৪৮ গতে ১১/২৮ মধ্যে। 
২২ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯, সোমবার, দ্বাদশী ৭/১০/১১ দিবা ৯/২/২২। ভরণী ৫৭/৩১/১০ শেষরাত্রি ৫/১০/২৬, সূ উ ৬/১০/১৮, অ ৪/৪৯/১, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ৯/৪ গতে ১১/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩১ গতে ১১/৫ মধ্যে ও ২/৪০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে, কালবেলা ৭/৩০/৮ গতে ৮/৪৯/৫৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৯/৪৯/৩০ গতে ১১/২৯/৪০ মধ্যে।
১১ রবিয়স সানি 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। বৃষ: কারও সঙ্গে পুরানো সম্পর্ক থাকলে তা ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৪৮৩: অন্ধকবি সুরদাসের জন্ম১৮৯৮: বেলুড় মঠ প্রতিষ্ঠিত হল১৬০৮: ইংরেজ কবি ...বিশদ

07:03:20 PM

এটিএম জালিয়াতির ঘটনায় দিল্লিতে গ্রেপ্তার রোমান নাগরিক 

06:22:00 PM

ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে জেএনইউ পড়ুয়াদের মিছিলে লাঠিচার্জ করল পুলিস 

04:29:13 PM

ডোপিংয়ের অভিযোগে ওলিম্পিক থেকে চার বছরের জন্য নির্বাসিত রাশিয়া 

04:12:10 PM

কর্ণাটক বিধানসভা উপনির্বাচনে কংগ্রেসের হার, পরিষদীয় দলনেতার পদ থেকে পদত্যাগ সিদ্দারামাইয়ার

03:56:19 PM