Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

অচেনা কাশ্মীর
ফিরদৌস হাসান

২০১৪ সালের পর এই প্রথম এত তুষারপাত হয়েছে উপত্যকায়। সাদায় মুখ ঢেকেছিল ভূস্বর্গ। আর তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাল্লা দিয়েছিল পর্যটনও। বরফঢাকা উপত্যকার নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করার সুযোগ কে-ই বা হাতছাড়া করতে চায়! তাই তো জানুয়ারিতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কোলাহলে উপত্যকা গমগম করছিল। গুলমার্গের স্কি রিসর্ট, পহেলগাঁও, শ্রীনগর—পর্যটকদের আনাগোনা বাড়তেই রক্তাক্ত কালো দিনগুলি ভুলে আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল কাশ্মীর। ফের সব স্বাভাবিক হচ্ছে দেখে মালিকরা হোটেলের খোলনলচে বদলে নতুন করে সাজাতেও শুরু করেছিলেন। আশা ছিল, গ্রীষ্ম আর শরতে এই ট্রেন্ড বজায় থাকলে দু’টো পয়সার মুখ দেখতে পাবেন তাঁরা। কারণ, এটাই যে তাঁদের রুটি-রুজি।
ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র সকালে ডাল লেকের ধারে নানা রঙের গোলাপ নিয়ে বসেছিলেন ওই দোকানি। ভালোবাসার দিন বলে কথা। কিন্তু সেই ১৪ ফেব্রুয়ারিই কপাল পুড়ল কাশ্মীরের। নেপথ্যে পুলওয়ামার অবন্তীপোরায় নৃশংস জঙ্গি হামলা। আধা সামরিক বাহিনীর কনভয়ে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ প্রাণ হারান ৪৯ সিআরপিএফ জওয়ান। কয়েক দিনের টানা তুষারপাতের পর ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকেই জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছিল। যে অঞ্চলে জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছে, সেখানে বরাবরই নিরাপত্তা জোরদার থাকে। যদিও সমস্ত নজরদারি এড়িয়ে আগে থেকেই ওই এলাকায় পৌঁছে গিয়েছিল লাল স্করপিওটি। ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়িটির স্টিয়ারিং ছিল জয়েশ জঙ্গি আদিল আহমেদ দারের হাতে। জয়েশ-ই-মহম্মদের এই জঙ্গি ‘গাড়ি টাকরানেওয়ালা’ নামে পরিচিত ছিল। জঙ্গি মহলে ‘গুন্ডিবাগের ওয়াকাস কমান্ডো’ নামেও ডাকা হতো তাকে। গত বছর সে জয়েশে যোগ দিয়েছিল।
বাস, ট্রাক মিলিয়ে প্রায় ৫০টি গাড়িতে সিআরপিএফের ৫৪ ব্যাটালিয়নের কনভয় যাচ্ছিল ওইদিন। প্রতিটিতে ৪০ থেকে ৪৫ জন করে জওয়ান ছিলেন। কনভয়ের গাড়ি পরপর একই গতিতে যাওয়ার নিয়ম। কিন্তু সিআরপিএফের ওই বাসটির সঙ্গে অন্য গাড়ির দূরত্ব অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। আর সেটিকেই টার্গেট করে আদিল। দুপুর ২টা ১৫ মিনিট নাগাদ জওয়ানদের কনভয় সেখানে পৌঁছতেই বিস্ফোরক বোঝাই স্করপিও নিয়ে বাসটিতে ধাক্কা মারে আদিল। প্রবল বিস্ফোরণ। কেঁপে উঠেছিল ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বাড়িও। ফলে বাসটির অবস্থা সহজেই অনুমেয়। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে জওয়ানদের দেহাংশ। ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে অন্য বাস থেকে জওয়ানরা নামার আগেই তাঁদের ঘিরে ধরে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন জওয়ানরা।
ভালোবাসার দিনেই রক্তাক্ত হয় কাশ্মীর। শ্রীনগর থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে উপত্যকার ইতিহাসের সবথেকে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা। সারা দেশের উপর দিয়ে যেন ঝড় বয়ে গিয়েছিল। প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হল আরও বেশ কয়েক ডিগ্রি। হামলার একদিন পর থেকেই উপত্যকার সমস্ত বড় সড়কপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। জাতীয় সড়কে শুধু সেনা কনভয়ের যাওয়ার অনুমতি ছিল। কড়া নিরাপত্তায়। পুলওয়ামার বদলা নিতে এক সপ্তাহের মধ্যে পাকিস্তানে ঢুকে বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক করে ভারত। ব্যাস। নিমেষে তছনছ হয়ে গেল সবকিছু। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায় যে, যুদ্ধ লাগল বলে। যদিও, শেষ পর্যন্ত তেমন কিছু ঘটেনি। কিন্তু, পাক সীমান্ত লাগোয়া ভূস্বর্গ মাঝখান থেকে বলির পাঁঠা হয়ে গেল। কারণ, রাতারাতি কাশ্মীর থেকে মুখ ফেরাতে শুরু করলেন পর্যটকরা।
ফি বছর গ্রীষ্মে পর্যটকদের আনাগোনায় জমজমাট থাকে জম্মু ও কাশ্মীরের রাস্তাঘাট। বছরে ৩০০ কোটি রাজস্ব এবং প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান জোগায় কাশ্মীরের পর্যটন শিল্প। কিন্তু, পুলওয়ামা হামলার পরবর্তী সময়ে আমূল বদলে গিয়েছে সেই ছবি। অজানা আতঙ্কে ভূস্বর্গ থেকে মুখ ফিরিয়েছেন দেশীয় এবং বিদেশি পর্যটকরা। ফলে মার খাচ্ছে ব্যবসা। যেখান থেকে রাজ্যের মোট জিডিপি’র প্রায় ৮ শতাংশ আসে, সেই শিল্প আজ বিপন্ন। এর পিছনে পুলওয়ামা পরবর্তী আতঙ্কের আবহ যেমন রয়েছে, তেমনই উঠে আসছে একাধিক তত্ত্ব। শ্রীনগরের বাসিন্দা পেশায় ট্রাভেল এজেন্ট ফৈয়াজ আহমেদ বলেন, ‘আমরা গোটা বসন্ত এবং অর্ধেকের বেশি গ্রীষ্মের মরশুম হারিয়ে ফেলেছি। এক শ্রেণীর মানুষ ও পর্যটন সংস্থা জম্মু ও কাশ্মীরের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। পুলওয়ামা হামলার পর পর্যটকদের কাশ্মীরে আসা থেকে বিরত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’ হ্যাঁ, কাশ্মীরবাসীর অভিযোগ, বালাকোট-কাণ্ডের পর দেশের প্রথম সারির বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পর্যটন সংস্থা কাশ্মীরে ঘুরতে যাওয়ার ব্যাপারে মানুষকে আরও বেশি করে ভয় দেখাতে শুরু করে। পরিবর্ত হিসেবে তারা পড়শি রাজ্য হিমাচল প্রদেশ, দক্ষিণ ভারতের উটি, কোদাইকানাল, মুন্নার, পূর্ব ভারতের গ্যাংটক বা পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ের মতো জায়গাগুলিকে তুলে ধরতে শুরু করে।
আর এর ফল মেলে হাতেনাতে। চলতি গ্রীষ্মে হিমাচলে পর্যটকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। হিমাচল সরকারের রিপোর্ট বলছে, রাজ্যের নথিবদ্ধ ৩ হাজার হোটেল ও ১ হাজার ৩৪০টি হোম স্টের ৯৫ শতাংশেরই বুকিং ফুল। মানালির এক ট্রাভেল এজেন্ট বলেন, ‘দিনে গড়ে প্রায় দু’ হাজার পর্যটক আসছেন। সপ্তাহান্তে সেটা বেড়ে চার হাজারে পৌঁছে যাচ্ছে। কখনও কখনও হোটেলগুলিতে মানুষকে জায়গা দিয়ে কুলিয়ে ওঠা যাচ্ছে না। পর্যটকের বাড়বাড়ন্তে এই সমস্ত শৈলশহরগুলিতে তীব্র যানজট রোজকার ঘটনা হয়ে গিয়েছে। পর্যটকের ভিড় যে মাত্রা ছাড়িয়েছে, তা শহরের এটিএমগুলি দেখলেই বোঝা যাবে। সকাল-সন্ধ্যা সেখানে মানুষের লম্বা লাইন চোখে পড়বে।’ হিমাচলের প্রথম সারির এক পর্যটন সংস্থা শিরগুল ট্রাভেলস জানিয়েছে, অতীতের বছরগুলির তুলনায় এবছর গ্রীষ্মে অনেক বেশি মানুষ সিমলা-মানালিতে এসেছেন। সংস্থার এক কর্মী জানান, কাশ্মীর নিয়ে অনিশ্চয়তার জেরেই হিমাচলের ভাগ্যে শিঁকে ছিড়েছে। তিনি বলেন, ‘জুন ও জুলাই মাসের জন্য সিমলা এবং মানালির সমস্ত হোটেল বুক হয়ে গিয়েছে।’
২০১৭ সালে কাশ্মীরে ১১ লক্ষ পর্যটক ভিড় করেছিলেন। কিন্তু ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়ে পরের বছরই। পর্যটকের সংখ্যা হ্রাস পায় প্রায় ২৩ শতাংশ। অর্থাৎ, মাত্র সাড়ে ৮ লক্ষ দেশি-বিদেশি পর্যটক উপত্যকায় পা রেখেছিলেন সেবার। গত সাত বছরের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। চলতি বছরের গ্রীষ্ম তার থেকেও খারাপ বলে মত কাশ্মীরের পর্যটন সংস্থাগুলির। পুলওয়ামা তো রয়েইছে, সঙ্গে ব্যাপকভাবে মাথাচাড়া দিয়েছে কাশ্মীরের সেই চিরাচরিত সমস্যা। কিছু একটা ছুতো পেলেই বন্‌ধ-হরতালের পথে চলে যাচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলি। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত জঙ্গিকে শহিদের মর্যাদা দিয়ে শেষকৃত্যে বিশাল শোভাযাত্রা, শুক্রবারের নামাজ শেষে কোনওরকম প্ররোচনা ছাড়াই বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া, পাথরবৃষ্টি—এসব এখন ভূস্বর্গে নিত্য ব্যাপার। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল যে, স্কুলপড়ুয়ারা পর্যন্ত জওয়ানদের লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুঁড়তে শুরু করেছিল। বাহিনী পাল্টা প্রতিরোধ করলেও শুরু হয়ে যাচ্ছে সংঘর্ষ। আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয় প্রশাসনের তরফে ১৪৪ ধারা জারি নয়তো বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলি সুবিচারের দাবিতে বন্‌ধ ঩ডেকে বসছে। ফলে তাতে স্থানীয়রা তো বটেই, বেজায় সমস্যায় পড়ছেন পর্যটকরাও।
আর এই পর্যটককে নিজেদের ঝুলিতে টেনে ফুলেফেঁপে উঠেছে পড়শি রাজ্য হিমাচল। কাশ্মীরের পরিবর্তে হিমাচলই কেন পর্যটকদের প্রথম পছন্দ হয়ে উঠেছে? উত্তরটা দিলেন হিমাচল টিপস এলএলপি কোম্পানির কর্তা ভিকি রাপতা। তাঁর মতে, নিরাপত্তার জন্যই এত বিপুল পরিমাণ পর্যটক হিমাচলমুখী হয়েছেন। ভিকি বলেন, ‘পর্যটকরা এখানে অনেক বেশি নিরাপদ অনুভব করেন। সারা বিশ্বের পর্যটকদের কাছে হিমাচল প্রদেশ সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে উঠে এসেছে।’ নিরাপত্তার পাশাপাশি হোটেল-হোম স্টেগুলির ভাড়া তুলনামূলক কম হওয়ায় পর্যটকদের হিমাচলের প্রতি আরও বেশি করে আকৃষ্ট করেছে বলেও জানান তিনি।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি, মার্চ এবং এপ্রিলে শুধুমাত্র হিমালয়কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বিভিন্ন শৈলশহরগুলিতে প্রায় ৩৫ লক্ষ পর্যটকের পা পড়েছে। কিন্তু এর সিকি ভাগও কাশ্মীরের ভাগ্যে জোটেনি। অভিযোগ উঠেছে, পর্যটন সংস্থাগুলির সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের একাংশও কাশ্মীর নিয়ে নেতিবাচক প্রচার চালানোর ফলেই কাশ্মীরকে আজ এই দুর্দশার মধ্যে পড়তে হয়েছে। কথা হচ্ছিল কাশ্মীরের ট্রাভেল এজেন্ট সংগঠনের (টিএএকে) প্রেসিডেন্ট আশফাক আহমেদ দুগের সঙ্গে। তাঁর দাবি, ‘এখনও কাশ্মীরের বিমান ভাড়া অত্যধিক চড়া। সেই তুলনায় কাছাকাছি রাজ্যগুলি থেকে গাড়ি নিয়েই হিমাচল পৌঁছে যেতে পারেন পর্যটকরা। এর সঙ্গে কিছু জাতীয় স্তরের সংবাদমাধ্যম লাগাতার কাশ্মীরের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচার করে যাওয়ায়, পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।’
পুলওয়ামা হামলার পর পাঁচ মাস অতিক্রান্ত। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে অমরনাথ যাত্রা। এই তীর্থযাত্রাকে কেন্দ্র করে কাশ্মীরের পর্যটন ব্যবসায়ীরা ফের লক্ষ্মীলাভের আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন। ট্রাভেল এজেন্ট উমর আহমেদের কথায়, ‘১ জুন থেকে অমরনাথ যাত্রা শুরু হয়েছে। আগামী ১৪ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। আশা করছি এই যাত্রাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের পর্যটন শিল্প ফের ঘুরে দাঁড়াবে।’ তবে, এতেও ‘কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য প্রশাসনের একটি সিদ্ধান্ত। অমরনাথ তীর্থযাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দক্ষিণ কাশ্মীরের কাজিগুন্দ থেকে নাসরি পর্যন্ত জাতীয় সড়কে সাধারণ যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্যপাল এন এন ভোরার নেতৃত্বাধীন প্রশাসন। ৪৬ দিন ধরে চলা অমরনাথ যাত্রার প্রতিদিন পাঁচ ঘণ্টা করে এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। রাজ্য প্রশাসনের এই নজিরবিহীন সিদ্ধান্তে উপত্যকার সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ছড়িয়েছে। এরই মধ্যে গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে নর্দার্ন রেলওয়ের সিদ্ধান্ত। গত ৩ জুলাই থেকে অমরনাথ যাত্রা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাজিগুন্দ ও বানিহালের মধ্যে যাবতীয় ট্রেন পরিষেবা সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টে পর্যন্ত বন্ধ রাখতে শুরু করেছে নর্দার্ন রেল কর্তৃপক্ষ। সড়ক ও রেল দু’টোই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পর্যটকদেরও।
অনন্তনাগের দুরু কলেজের ছাত্র বানিহালের বাসিন্দা সাজাদ আহমেদের দাবি, সড়ক এবং রেল দু’টোই বন্ধ থাকায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পড়ুয়াদেরই। তিনি বলেন, ‘আমরা কলেজে পৌঁছতে ট্রেনের উপরই ভরসা করি। এখন যেহেতু সড়কপথেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে, তাই ভোরের আলো ফুটলেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে হয় আমাদের।’ জাতীয় সড়কের ওই ৯৭ কিলোমিটার অংশে সাধারণ যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারির ফলে সমস্যা পড়েছেন সড়কের দু’ধারে বসবাসকারী বাসিন্দারাও। অনন্তনাগের বাসিন্দা মুনির আহমেদের ক্ষোভ, ‘অমরনাথ যাত্রা চলাকালীন আপনি জাতীয় সড়ক ব্যবহারের কথা কল্পনাও করতে পারবেন না। ওই সময়টা আমরা লিঙ্ক রোড ব্যবহার করছি, যেটা খুবই কষ্টকর।’ প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে পর্যটকদের কী ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে? উত্তরে কাশ্মীরের হোটেল ও রেস্তরাঁ মালিকদের সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদ মালিকের সোজাসাপ্টা মন্তব্য, ‘অমরনাথ যাত্রার নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে পর্যটকদেরও হেনস্থা করা হচ্ছে। সোনমার্গ এবং পহেলগাঁওয়ের দিকে দর্শকদের স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা করতে দেওয়া হচ্ছে না। হাইওয়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার ফলেও পর্যটকদের চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।’ কাশ্মীর ট্যুর অপারেটরদের সংগঠনের প্রধান নাজির মির জানান, ‘ছুটির মরশুমে প্রকৃতির কোলে অবসর যাপনের জন্যই পর্যটকরা উপত্যকায় আসেন। কিন্তু, প্রশাসনের এই নিষেধাজ্ঞা পর্যটকদের সেই আশায় জল ঢেলে দিচ্ছে। এর ফলে একদিকে যেমন রাজ্যের পর্যটন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনই কাশ্মীরে আসতে ইচ্ছুক পর্যটকদের মধ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।’
এই দাবি যে এতটুকু অমূলক নয়, তার প্রমাণ তথ্যই। অমরনাথ যাত্রা শুরুর দিন থেকে এখনও পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরের হোটেল এবং লজগুলিতে একটিও বুকিং হয়নি। খাঁ খাঁ করছে জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানগুলি। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া ব্যবসায়ীদের একটাই দাবি, অবিলম্বে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হোক। এ নিয়ে সম্প্রতি তাঁরা রাজ্যের পর্যটন সচিব রিগজিয়ান স্যামফিলের সঙ্গে বৈঠকও করেন। বৈঠকে কাশ্মীরের ট্রাভেল এজেন্ট সংগঠনের (টিএএকে) চেয়ারম্যান ইশফাক সিদ্দিক এই ভোগান্তির জন্য সরাসরি সরকারের বিরুদ্ধেই তোপ দেগেছেন। তাঁর মতে, যদি অমরনাথ যাত্রা চলাকালীন রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার পরিবেশ সরকার বজায় রাখতে না পারে, তাহলে ওই সময়টায় কাশ্মীরের পর্যটনের উপর ‘ব্ল্যাঙ্কেট ব্যান’ জারি করা হোক। ইশফাক বলেন, ‘আমার মনে হয় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে অবিশ্বাসের পরিবেশ রয়েছে। রাজ্যের পর্যটন ব্যাপক ভাবে মার খাচ্ছে। যদি কোনও সমাধান না-ই থাকে, তাহলে ওই ৪৫ দিন কাশ্মীর পর্যটনেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে দিক সরকার।’ তবে, শুধু সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করাই নয়, পরিস্থিতি কীভাবে সামলানো যেতে পারে, সেই পরামর্শও পরিবহণ সচিবকে দিয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, প্রথমে পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের আলাদা করে চিহ্নিত করতে হবে। তাহলেই জটিলতা অনেকটা কমে যাবে। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এবং মোড়গুলিতে পর্যটকদের জন্য আলাদা পুলিস মোতায়েনেরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওই পুলিসকর্মীরা তীর্থযাত্রীদের থেকে পর্যটকদের আলাদা করে খুঁজে তাঁদের যাবতীয় সাহায্য প্রদান করবে। জম্মু ও কাশ্মীরের পরিবহণ সচিব এই বিষয়গুলি বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘অমরনাথ যাত্রা কোনও অনুষ্ঠান নয়, এটা একটা প্রক্রিয়া। এখানে প্রতিপদে ক্রুটি-বিচ্যুতি শুধরে নিতে হয়। ব্যবসায়ীদের অভিযোগগুলির ভিত্তিতে আমরা কিছু পরিবর্তন করার চেষ্টা করব, যাতে অমরনাথ যাত্রা চলাকালীন রাজ্যের ট্রাফিক মসৃণভাবে এগতে পারে।’ আসলে, পুলওয়ামায় নৃশংস জঙ্গিহামলা, বন্‌ধ-হরতালের রাজনীতির পাশাপাশি অমরনাথ নিয়ে নিরাপত্তার বাড়াবাড়িতেও পর্যটন শিল্প ধাক্কা খেয়েছে উপত্যকায়।
তাই তো উপত্যকার ঐতিহ্যবাহী টিউলিপ বাগান প্রায় ফাঁকা। খাঁ খাঁ করছে শিকারা আর হাউসবোটগুলো। মোড়ে মোড়ে সওয়ারির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্যাক্সিচালকদের কপালে দুশ্চিন্তার চওড়া ভাঁজ।
এই কাশ্মীরকে কেউ চেনে না...।
..........................................
ছবি  এএফপি, পিটিআই
গ্রাফিক্স  সোমনাথ পাল
সহযোগিতায়  স্বাগত মুখোপাধ্যায়
14th  July, 2019
প্র তি মা র বি ব র্ত ন
সোমনাথ দাস

বর্ষা আর শরৎ এখন মিলেমিশে একাকার। বিশ্ব উষ্ণায়নের কৃপাদৃষ্টিতে শহরবাসীর পক্ষে আর এই দু’টি ঋতুকে আলাদা করা সম্ভব নয়। তবে ভাদ্রের সমাপ্তি এবং আশ্বিনের সূচনা বাঙালির জীবনে নিয়ে আসে এক অনাবিল আনন্দ। মা দুর্গার আগমনবার্তায় আমাদের হৃদয় নেচে ওঠে।   বিশদ

29th  September, 2019
পুজোর ফুলের যন্ত্রণা
বিশ্বজিৎ মাইতি

 বিশ্বজিৎ মাইতি: হাওড়া‑খড়্গপুর রেলওয়ে শাখার বালিচক স্টেশন। মার্চ মাসের এক শুক্রবারের সকালে বেশ কয়েকজনকে ধরেছেন টিটি। বিনা টিকিটে ট্রেন সফর। তাঁদের মধ্যে এক যুবকের হাতে গোটা চারেক বস্তা। হাতে একগুচ্ছ ব্যাগ। গাল ভর্তি দাড়ি। উসকো-খুসকো চুল। পরনে নানান দাগে ভর্তি জামা ও হাফপ্যান্ট। করুণ চোখে আচমকাই নিজের মানিব্যাগ টিটির মুখের সামনে দেখিয়ে ধরা গলায় বলল, ‘স্যার একটা টাকাও নেই। পুরো শরীর চেক করে দেখুন...।
বিশদ

22nd  September, 2019
ভো-কাট্টা

বিশ্বকর্মা পুজোর সঙ্গে ঘুড়ি ওড়ানোটা সমার্থক হয়ে গিয়েছে। বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশজোড়া ঘুড়ির আলপনা। অসংখ্য ঘুড়ির ভেলায় যেন স্বপ্ন ভাসে। বহু কৈশোর আর যৌবনের মাঞ্জায় লেগে আছে ঘুড়ি ওড়ানোর স্মৃতি। যে ছেলেটা কোনওদিন সকাল দেখেনি, সেও বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে সূর্য ওঠার আগেই ঘুড়ি-লাটাই নিয়ে ছাদে উঠে যায়।  
বিশদ

15th  September, 2019
নির্মাণশিল্পী বিশ্বকর্মা
সন্দীপন বিশ্বাস

জরাসন্ধ তখন প্রবল প্রতাপান্বিত। বারবার মথুরা আক্রমণ করছিলেন। কিন্তু সপ্তদশ প্রচেষ্টাতেও মথুরা জয় করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি। তাই ফের তিনি মথুরা আক্রমণের প্রস্তুতি নিতে লাগলেন। কৃষ্ণ অবশ্য জানতেন জরাসন্ধ কিছুতেই মথুরা জয় করতে পারবেন না।
বিশদ

15th  September, 2019
আগুন বাজার
বীরেশ্বর বেরা

 ‘কেন? আপনি যে পটল বেচছেন, এমন পটল তো আমরা ৩০-৩২ টাকায় কিনছি!’ গ্রাম্য যুবক তাঁর আপাত-কাঠিন্যের খোলস ছেড়ে সহজ হয়ে গেলেন হঠাৎ। তেলের টিনের উপর চটের বস্তা বেঁধে টুলের মতো বসার জায়গাটা এগিয়ে দিয়ে বললেন, ‘বসুন তাহলে, বলি। বিশদ

08th  September, 2019
সমাপ্তি
সমৃদ্ধ দত্ত

মহাত্মা গান্ধীর প্রকাশিত রচনাবলীর খণ্ড সংখ্যা ৯০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এ পর্যন্ত জওহরলাল নেহরুর লেখা নিয়ে প্রকাশিত যত রচনা আছে, তা প্রায় ৫০ খণ্ড অতিক্রান্ত। বাবাসাহেব আম্বেদকরের সারা জীবনের যাবতীয় রচনা সমন্বিত করে এখনও পর্যন্ত ১৬টি খণ্ডসংবলিত রচনাবলী প্রকাশ পেয়েছে। 
বিশদ

01st  September, 2019
রাজীব ৭৫
মণিশঙ্কর আইয়ার

 ছিয়াশি সালের ডিসেম্বর। অঝোরে তুষারপাত হচ্ছে। আমরা যাচ্ছি কাশ্মীর। কিন্তু একটা সময় আর্মি জানাল, আর যাওয়া সম্ভব নয়। এত তুষারপাতে হেলিকপ্টার ওড়ানো যাবে না। তাহলে? যাব কী করে? বাকিরাও বলল, দিল্লি ফিরে চলুন। কিন্তু প্রধাননমন্ত্রী বললেন, তা হয় না। যাব যখন বলেছি যেতে হবে। লোকেরা অপেক্ষা করে থাকবে যে!
বিশদ

25th  August, 2019
শতবর্ষে  সারাভাই
মৃন্ময় চন্দ

চন্দ্রযান-২’র সাফল্যে গর্বিত ভারত। অভিজাত মহাকাশ ক্লাবের সদস্যদেশগুলির সঙ্গে ভারত আজ এক পংক্তিতে। মহাকাশ গবেষণায় ভারতের ঈর্ষণীয় সাফল্যের রূপকার নিঃসন্দেহে ক্ষণজন্মা বিরল প্রতিভাধর মিতভাষী এক বিজ্ঞানী—বিক্রম সারাভাই। একার হাতে যিনি গড়ে দিয়ে গেছেন ভারতের বিপুলা মহাকাশ সাম্রাজ্য। ১২ই আগস্ট ছিল তাঁর জন্মশতবার্ষিকী। বিশদ

18th  August, 2019
জয় জওয়ান

ঝুঁকি শব্দটি যখনই উল্লেখ করা হয়, তখনই তার সঙ্গে আবশ্যিকভাবে যুদ্ধের বিষয়টি এসে পড়ে। কিন্তু শুধু যুদ্ধে নয়, ঝুঁকি রয়েছে প্রশিক্ষণ পর্বেও। একজন যুদ্ধবিমানের পাইলটকে নানাভাবে তৈরি হতে হয়। আকাশপথে সেই প্রশিক্ষণ যখন শুরু হয়, তখন প্রতিটি স্তরেই ঝুঁকি থাকে। সেগুলো অতিক্রম করে সাফল্য পাওয়াই একজন পাইলটের কাছে চ্যালেঞ্জ। বিশদ

11th  August, 2019
জাতীয়তাবাদ ও রবিঠাকুর 
সমৃদ্ধ দত্ত

জাতীয়তাবাদের সংজ্ঞা তাঁর কাছে আলাদা। বিশ্বাস করতেন, গ্রামই ভারতের চেতনা। সম্পদ। তাই শুধু ইংরেজ বিরোধিতা নয়, রবিঠাকুরের লক্ষ্য ছিল ভারতের উন্নয়ন। ভারতবাসীর উন্নয়ন। তাঁদের স্বনির্ভর করে তোলা। অন্যরকম তাঁর স্বদেশপ্রেম। আরও এক ২২ শ্রাবণের আগে স্মরণ এই অন্য রবীন্দ্রনাথকে। 
বিশদ

04th  August, 2019
গণহত্যার সাক্ষী
মৃণালকান্তি দাস

এ এক হিবাকুশার গল্প। পারমাণবিক বোমা হামলার পর হিরোশিমা ও নাগাসাকির যারা বেঁচে গিয়েছিলেন, তাদের বলা হয় হিবাকুশা। তাঁরা কেউই হিবাকুশা হতে চাননি, চেয়েছিলেন আর দশজন স্বাভাবিক মানুষের মতোই সুন্দর একটা জীবন কাটাতে। কিন্তু ‘ফ্যাট ম্যান’ ও ‘লিটল বয়’ নামে দুটি অভিশাপ তছনছ করে দিয়েছিল তাঁদের সাজানো সংসার, সাজানো স্বপ্ন সহ সবকিছু। তেমনই একজন হিবাকুশা সাচিকো ইয়াসুই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কেড়ে নিয়েছিল তার সর্বস্ব...।
বিশদ

28th  July, 2019
বদলের একুশ
জয়ন্ত চৌধুরী

 একুশে জুলাই। শহিদ স্মরণ। তৃণমূলের বাৎসরিক শহিদ তর্পণ। গত আড়াই দশকের বেশি সময় ধরে এটাই চল। ঝড়-জল-বৃষ্টি-বন্যা সবই অপ্রতিরোধ্য একুশের আবেগের কাছে। তাই কেন একুশ, এই প্রশ্নের চাইতে অনেক বেশি জায়গা দখল করে রয়েছে এই দিনকে ঘিরে বাঁধনহারা উচ্ছ্বাস।
বিশদ

21st  July, 2019
জল সঙ্কট 

কল্যাণ বসু: দুধ সাদা ধুতি পাঞ্জাবি, মাথায় নেহরু টুপি, গলায় মালা ঝুলিয়ে মন্ত্রী দু’হাত জোড় করে হাসিমুখে মঞ্চের দিকে যাচ্ছেন। চারদিকে জয়ধ্বনি, হাততালি। মঞ্চে উঠে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে মন্ত্রী বলতে শুরু করেছেন সবে।  বিশদ

07th  July, 2019
জগন্নাথের ভাণ্ডার
মৃন্ময় চন্দ

‘রথে চ বামনং দৃষ্ট, পুনর্জন্ম ন বিদ্যতে’। অর্থাৎ, রথের রশি একবার ছুঁতে পারলেই কেল্লা ফতে, পুনর্জন্ম থেকে মুক্তি। আসলে সর্বধর্মের সমন্বয়ে বিবিধের মাঝে মিলন মহানের এক মূর্ত প্রতিচ্ছবি এই রথযাত্রা। সেই কারণেই নিউজিল্যান্ডের হট প্যান্টের গা ঘেঁষে সাত হাত কাঞ্চীপূরমীয় ঘোমটা টানা অসূর্যমপশ্যা দ্রাবিড়ীয় গৃহবধূও শামিল হন রথের রশি ধরতে। অর্কক্ষেত্র, শঙ্খক্ষেত্র আর শৈবক্ষেত্রের সমাহারে সেই মিলন মহানের সুরটিই সতত প্রতিধ্বনিত নীলাচলে। তাই নীলাচলপতির দর্শনে অক্ষয় বৈকুণ্ঠ লাভের আশায় ভিড়ের ঠেলায় গুঁতো খেতে খেতে চলেন সংসার-বঞ্চিত বাল্যবিধবারা। একই মনোবাসনা নিয়ে চলেছেন অন্ধ, চলেছেন বধির, চলেছেন অথর্ব।
বিশদ

30th  June, 2019


আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৪০- ‘দি বিটলস’ ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা, গায়ক জন লেননের জন্ম
১৯৪৫- সারোদবাদক আমজাদ আলি খানের জন্ম
১৯৪৫- অভিনেত্রী সুমিতা সান্যালের জন্ম
১৯৬৭- কিউবার বিপ্লবের প্রধান ব্যক্তিত্ব চে গেভারার মৃত্যু
২০১৫- সংগীত পরিচালক রবীন্দ্র জৈনের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার    
পাউন্ড    
ইউরো    
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৭৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৭৯৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৩৪৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৫,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  October, 2019

দিন পঞ্জিকা

১৮ আশ্বিন ১৪২৬, ৫ অক্টোবর ২০১৯, শনিবার, সপ্তমী ১০/৪৫ দিবা ৯/৫১। মূলা ১৯/২৪ দিবা ১/১৮। সূ উ ৫/৩২/৪৫, অ ৫/১৭/৫৫, অমৃতযোগ দিবা ৬/২০ মধ্যে পুনঃ ৭/৭ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ২/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৩৯ গতে ২/১৭ মধ্যে, বারবেলা ৭/০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৪ গতে ২/২৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি। 
১৭ আশ্বিন ১৪২৬, ৫ অক্টোবর ২০১৯, শনিবার, সপ্তমী ২১/২৭/৩৯ দিবা ২/৮/০। মূলা ৩১/৪৭/১২ রাত্রি ৬/১৫/৪৯, সূ উ ৫/৩২/৫৬, অ ৫/১৯/৩৬, অমৃতযোগ দিবা ৬/২৩ মধ্যে ও ৭/৯ গতে ৯/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ২/৫০ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/১৮ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৩৭ গতে ২/১৭ মধ্যে, বারবেলা ১২/৫৪/৩৬ গতে ২/২২/৫৫ মধ্যে, কালবেলা ৭/১/১৬ মধ্যে ও ৩/৫১/১৬ গতে ৫/১৯/৩৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/৫১/১৬ মধ্যে ও ৪/১/১৬ গতে ৫/৩৩/১৮ মধ্যে। 
মোসলেম: ৫ শফর 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: অর্থ প্রাপ্তির যোগ। বৃষ: প্রেম-প্রণয়ে অগ্রগতি। মিথুন: গুরুজনের শরীর সম্পর্কে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে  
১৯৪০- ‘দি বিটলস’ ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা, গায়ক জন লেননের জন্ম১৯৪৫-  সারোদবাদক ...বিশদ

07:03:20 PM

এবছর রসায়নে নোবেল পাচ্ছেন জন বি গুডএনাফ, এম স্ট্যানলি হুইটিংহ্যাম ও আকিরা ইয়োশিনো 

03:42:41 PM

মালদহের বৈষ্ণবনগরে নৌকাডুবি, মৃত ৩ 
ঠাকুর দেখতে যাওয়ার সময় নৌকাডুবি। ঘটনাটি ঘটে মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার ...বিশদ

03:18:19 PM

৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়াল কেন্দ্র, উপকৃত হবেন ৫০ লক্ষ কর্মী ও ৬২ লক্ষ পেনশনভোগী 

02:30:04 PM

ফলতার রামনগরে বিসর্জনের বাজি বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণ, জখম ২ শ্রমিক 

01:20:11 PM