Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

শতবর্ষে স্রষ্টা 
সন্দীপন বিশ্বাস

সবাই তাঁকে চেনেন ঢুলুদা নামে। পোশাকি নাম অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়। সেই মানুষটির হাত দিয়ে বেরিয়েছিল ‘আহ্বান’, ‘অগ্নীশ্বর’, ‘ধন্যি মেয়ে’, ‘মৌচাক’-এর মতো অমর ছবি। আগামী মঙ্গলবার, ১৮ জুন তাঁর জন্মশতবর্ষ।

মন খারাপ গৌরীর। তাই একদিন সকালে তিনি চলে গেলেন ঢুলুর বাড়ি। তাঁকে দেখেই ঢুলু বলে উঠলেন, ‘আয় গৌরী। কী ব্যাপার, এত সকালে?’
গৌরী বললেন, ‘মনটা খুব খারাপ রে! কাল গিয়েছিলাম শচীন কর্তার বাড়িতে। পুজোর জন্য একটা গান লিখেছিলাম। উনিই লিখতে বলেছিলেন। কিন্তু কাল যখন গিয়ে শোনালাম, উনি বললেন, এবারের গান তো আমার সিলেকশন হয়ে গিয়েছে। ওঁর স্ত্রী মীরাদিই এবার পুজোর গান লিখেছেন। এখন গানটা নিয়ে কী করি বলতো!’
ঢুলু বললেন, ‘গানের কথাটা শোনা তো।’ গান শুনে ঢুলু বললেন, ‘তুই বিকেলে স্টুডি ওয় চলে আয়। ওখানে নচি আসবে। দেখি কথা বলে।’ স্টুডিওয় নচিকেতা ঘোষ গানের কথা শুনে সুর করতে বসে গেলেন। হয়ে গেল সুর। ঢুলু বললেন, ‘এটা আমার ছবিতে ব্যবহার করব।’ সেই গান ছবিতে ব্যবহার হল এবং তা বিখ্যাত হয়ে মানুষের মুখে মুখে ফিরতে লাগল। সেই গানটিই হল ‘না, না, না, আজ রাতে আর যাত্রা শুনতে যাব না।’ গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল পরিচালক অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের ‘নিশিপদ্ম’ ছবিতে। গানের কথায় ছিল, ‘বুঝলে নটবর..’। সেই জন্য চিত্রনাট্যে ‘নটবর’ নামে একটি চরিত্রের সংযোজনও করা হল। সেটা করেছিলেন জহর রায়। পরে অরবিন্দবাবুর চিত্রনাট্য নিয়ে বলিউডে শক্তি সামন্ত তৈরি করলেন ‘অমর প্রেম’।
বাঙালিকে অরবিন্দ মুখোপাধ্যায় উপহার দিয়েছেন একগুচ্ছ অসাধারণ সব ছবি। সেখানে যেমন বিনোদন আছে, তেমনই আছে অনুভবের কথাও। বাঙালিয়ানাকে কীভাবে আদ্যোপান্ত ছবিতে আনা যায়, তা ছিল তাঁর নখদর্পণে। ভাবনার গভীরতা এবং সহজাত রসিক মন না থাকলে এমন সব ছবি তৈরি করা সম্ভব নয়। একই মানুষ তৈরি করছেন ‘ধন্যি মেয়ে’, ‘মৌচাক’, ‘মন্ত্রমুগ্ধ’, ‘অজস্র ধন্যবাদ’, ‘কেনারাম বেচারাম’-এর মতো হাসির ছবি। আবার তাঁর হাত দিয়েই বেরিয়ে এসেছে ‘কিছুক্ষণ’, ‘আহ্বান’, ‘অগ্নীশ্বর’, ‘নিশিপদ্ম’, ‘নতুন জীবন’-এর মতো মরমী ছবি। যেন একটি পাখির ভিন্ন অনুভবের দু’টি ডানা। আর দুই ক্ষেত্রেই ঢুলুবাবু সফল।
দাদা ছিলেন বিখ্যাত সাহিত্যিক বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় (বনফুল)। তাই পারিবারিক সূত্রে তিনি পেয়েছিলেন সহজাত সাহিত্যবোধ। দাদা ডাক্তারি পাস করলেও অরবিন্দবাবুর আর ডাক্তারি পাস করা হয়নি। তাতে হয়তো বাংলা সিনেমা অনেক বেশি উপকৃত ও সমৃদ্ধ হয়েছে। ভালো ছাত্র ছিলেন। ১৯৩৯-এ ম্যাট্রিকে পাস করার পর বনফুল তাঁকে পাঠিয়ে দিলেন শান্তিনিকেতনে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে বনফুলের যোগাযোগ ছিল। বনফুল তাঁর ছোট উপন্যাস ‘কিছুক্ষণ’ কবিগুরুকে উৎসর্গ করেছিলেন। সেই কাহিনী নিয়েই অরবিন্দ পরে তৈরি করেছিলেন তাঁর প্রথম ছবি।
শান্তিনিকেতনে তখন প্রিন্সিপাল ছিলেন অনিল চন্দ। তিনি ছিলেন কবিগুরুর সেক্রেটারিও। খুব রসিক মানুষ। একদিন তিনি অরবিন্দকে বললেন, ‘গুরুদেব তোমাকে ডাকছেন।’ সেই সঙ্গে রসিকতা করে বললেন, ‘গুরুদেব কানে একটু কম শোনেন। যা বলবে, চেঁচিয়ে বলবে।’ অরবিন্দ শ্যামলীতে কবিগুরুর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। কবিগুরু তাঁকে বললেন, ‘তুমি কি বলাইয়ের ভাই কানাই নাকি?’ তিনি চিৎকার করে বললেন, ‘আজ্ঞে না, আমি অরবিন্দ।’ গুরুদেব বললেন, ‘ওরে বাবা এ যে দেখি সানাই!’ তারপর উনি বললেন, ‘তুমি বলাইয়ের ভাই হয়ে সায়েন্স পড়ছ! সাহিত্য পড়ো। কাল থেকে আমার সাহিত্যের ক্লাসে আসবে।’
সেই সময় শান্তিনিকেতনে হাতে লেখা একটা ম্যাগাজিন প্রকাশ হতো। তার পুরোধা ছিলেন অরবিন্দবাবু এবং সত্যজিৎ রায়। সেখানে প্রকাশকের জায়গায় নাম লেখা থাকত ‘তুমি’ এবং সম্পাদকের স্থলে নাম লেখা থাকত ‘আমি’। সত্যজিৎও তখন সেখানকার ছাত্র। দু’জনের খুব ভালো সম্পর্ক ছিল শেষ দিন পর্যন্ত। অরবিন্দের নাকটা একটু লম্বা ছিল। সত্যজিৎ রায় তাঁকে নিয়ে একটা কার্টুনও এঁকেছিলেন।
শান্তিনিকেতনে রামকিংকর বেজের অনুপ্রেরণায় তাঁর নাটকের চর্চা শুরু হল। গিরীশ ঘোষ, রবীন্দ্রনাথ, বার্নাড শ’র নাটকের অভিনয় করলেন। রামকিংকরের ‘ত্রিধারা’ নামে একটি নাটকের অভিনয় হল। সেই নাটকে নায়ক ও নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করলেন অরবিন্দ মুখোপাধ্যায় ও সুচিত্রা মিত্র।
এরপর বাঁকুড়ায় মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সময়ও নাটকের চর্চা অব্যাহত ছিল। সেখানে নিজের লেখা ‘সরস্বতী’ নাটকে অভিনয় করলেন। সেই নাটক দেখে বাঁকুড়ার তৎকালীন ডিএম অন্নদাশঙ্কর রায় বললেন, ‘ডাক্তারি লাইন তোমার জন্য নয়। তোমার লাইন অন্য।’ কলকাতায় পরীক্ষা দিতে এলেন ১৯৪৪ সালে। সেই সময় রিলিজ করেছে বিমল রায়ের ‘উদয়ের পথে’। সেই ছবি দেখে তিনি মনস্থির করলেন, ছবির জগতে তাঁকে ঢুকতে হবে এবং পরিচালকের সঙ্গে আলাপ করতে হবে। পরিচয় হল। কিন্তু সেখানে কাজের তেমন আশ্বাস মিলল না।
ফিল্ম লাইনে কাজ করার অনুমতি দেননি তাঁর বাবা সত্যচরণ মুখোপাধ্যায়ও। কিন্তু তিনি নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল রইলেন। একদিন পরিচালক অর্ধেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ছবিতে সহকারী হিসেবে যুক্ত হলেন। পাশাপাশি চলল লেখার কাজ। কিছুদিনের মধ্যেই বিমল রায়ের আগ্রহে যোগ দিলেন নিউ থিয়েটার্সে। মাইনে দেড়শো টাকা। বিখ্যাত মানুষদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা তৈরি হল। একদিন বিমল রায় বম্বে চলে গেলেন। সঙ্গে নিয়ে গেলেন হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়, অসিত সেন, অভি ভট্টাচার্যকে। বিমল রায় চেয়েছিলেন ঢুলুও যাক। কিন্তু নিউ থিয়েটার্স তাঁকে ছাড়তে চায়নি।
এরপর ১৯৫৯ সালে সহকারী থেকে নিজেই হলেন পরিচালক। প্রথম ছবি করলেন ‘কিছুক্ষণ’। কাহিনী বনফুলের। সেই ছবিতেই রবি ঘোষের আবির্ভাব। আমাদের দুর্ভাগ্য সেই ছবি আজ আর পাওয়া যায় না। বনফুলের এই গল্পটি নিয়ে ছবি করতে চেয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়ও। কিন্তু ততদিনে ঢুলুবাবু ছবির কাজ শুরু করে দিয়েছেন। সেই ছবি দেখতে হলে গিয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়। দীর্ঘকায় হওয়ায় সিনেমা হলের ছোট স্পেসের চেয়ারে বসতে তাঁর অসুবিধা হতো। তাই হলের দোতলার সিঁড়িতে বসে ‘কিছুক্ষণ’ দেখেছিলেন সত্যজিৎ। কিছুক্ষণ দেখার পর খুব প্রশংসা করেছিলেন। এমনকী ‘অগ্নীশ্বর’ দেখার পর তিনি বলেছিলেন, ‘ঢুলু, তুমি বাংলা ছবিতে একটা বলিষ্ঠ চরিত্র তৈরি করেছো।’
দ্বিতীয় ছবি ‘আহ্বান’। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিটি সেলুলয়েডে অন্য মাত্রা পেল। দর্শকদের চোখের জলের দাগে লেখা হল ভালোলাগার শংসাপত্র। কান চলচ্চিত্র উৎসবে ডাক পেল ‘আহ্বান’। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে সেই ছবি কান উৎসবে পাঠানো যায়নি।
‘মৌচাক’ ছবিটি তৈরি হয়েছিল সমরেশ বসুর ‘অবশেষে’ নামের দু’ পাতার একটি গল্প নিয়ে। ছবিটি নিয়ে সেদিন মিটিং ছিল ভরত সমশের জং বাহাদুর রানার গণেশ অ্যভিনিউয়ের অফিসে। রানা সাহেব, সমরেশ বসু এবং ঢুলুবাবুর মিটিং। মিটিংয়ে পৌছতে একটু দেরি হয়েছিল ঢুলুবাবুর। রানা জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী ঢুলুবাবু, আপনার গাড়ি কি খারাপ হয়ে গিয়েছিল?’ ঢুলুবাবু বললেন, তাঁর গাড়ি নেই। কথায় কথায় জানা গেল, তিনি তখনও বাড়ি করতে পারেননি। থাকতেন ভাড়া বাড়িতে। এরপর মৌচাকের স্ক্রিপ্ট লেখা হল। বড়ভাইয়ের চরিত্র করার জন্য অফার দেওয়া হল উত্তমকুমারকে। তিনি স্ক্রিপ্ট শুনে বললেন, ‘ঢুলুদা, আপনার জন্য শ্যুটিংয়ে দিন দশেক সময় দিতে পারি।’ সেই ছবি তৈরি হল। ‘বই’ রিলিজ করেছে। প্রথম শো হাউস ফুল। অন্ধকার হলে দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছেন ঢুলুবাবু এবং রানা সাহেব। দুরু দুরু বুক। মানুষ ছবিটা নেবে তো! ছবি শুরু হল। একটু একটু করে সময় এগচ্ছে। বোঝা যাচ্ছে মানুষের ভালোলাগার অভিব্যক্তি। কিছুক্ষণ পরেই শুরু হল মিঠু মুখোপাধ্যায়ের গান। ‘বেশ করেছি প্রেম করেছি করবই তো’। উল্লাসে ফেটে পড়ল গোটা হল। ঢুলুবাবুর হাত দুটো ধরে টানতে টানতে বাইরে নিয়ে এলেন রানা সাহেব। তারপর তাঁকে জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘ঢুলুবাবু, আপনার বই সুপারহিট হয়ে গেছে। এখন আপনি জমি দেখুন, আপনার বাড়ি হয়ে গেছে।’
‘ধন্যি মেয়ে’র কথা আসবেই। অমন হাসির ছবি বাংলায় ক’টা হয়েছে, তা আঙুল গুনেই বলে দেওয়া যাবে। জয়া ভাদুড়ি প্রথম নায়িকার ভূমিকায়। ছবিতে জয়ার প্রথম দিনের শ্যুটিংয়ে ছিল চিন্ময় রায়কে বঁটি নিয়ে তাড়া করার দৃশ্যটি। আজও সকলের মনে আছে সিনটা। সেই শ্যুটিং দেখে উত্তমকুমার অরবিন্দবাবুকে বললেন, ‘ঢুলুদা, চলচ্চিত্র জগৎ আর একটা সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়কে পেয়ে গেল।’
‘ধন্যি মেয়ে’ প্রসঙ্গে আর একটা গল্প চলে আসে। তখন শ্যুটিং চলছে জগৎবল্লভপুরে। সেখানে রাতে থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল চণ্ডীমাতা ফিল্মসের মালিক সত্যনারায়ণ খাঁর বাড়িতে। সেখানে একটা ঘরে অরবিন্দবাবু থাকতেন, অন্য ঘরে জয়া ও সাবিত্রী থাকতেন। অন্যান্য ঘরে থাকতেন অন্য শিল্পীরা। একদিন প্রোডাকশন ম্যানেজার এসে দেখলেন ঢুলুবাবু মশারি টাঙাননি। জানা গেল মশারি টাঙানোর দড়ি নেই। সে কথা শুনতে পেয়ে সাবিত্রী এবং জয়া তাঁদের চুল বাঁধার দড়ি ও ফিতে দিয়েছিলেন। তাই দিয়ে ঢুলুবাবুর মশারি টাঙানো হয়েছিল।
উত্তমকুমারের সঙ্গে তাঁর দারুণ সম্পর্ক ছিল। অরবিন্দবাবু সব সময় উত্তমকুমারকে ছক ভেঙে ব্যবহার করেছেন। তাঁর চরিত্র, মেক আপ, অভিনয় নিয়ে নানা রকম এক্সপেরিমেন্ট করেছেন। সে ‘নিশিপদ্ম’ হোক বা ‘মৌচাক’ হোক অথবা ‘অগ্নীশ্বর’। উত্তমকুমারের অভিনয়ের ধারায় অগ্নীশ্বর এক অন্যধারার চরিত্র। যে দরদ দিয়ে অরবিন্দবাবু চরিত্রটিকে তৈরি করেছিলেন, সেই দরদ এবং শ্রদ্ধা দিয়ে উত্তমকুমার তৈরি করলেন চরিত্রটি।
উত্তমকুমারের চশমার উপর দিয়ে তাকানোর বিশেষ ভঙ্গিমাটি নিয়েও হয়েছে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা। পরিচালক চেয়েছিলেন অন্যরকম একটা লুক আসুক। উত্তমকুমার কয়েকটি করে দেখিয়েছিলেন। তার মধ্য থেকে ওটাই পরিচালকের পছন্দ হয়েছিল।
‘অগ্নীশ্বর’ নিয়ে খুব টেনশনে ছিলেন উত্তমকুমারও। রোমান্টিক অভিনয়ের ইমেজ ভেঙে যে অভিনয় করলেন, সেই অভিনয়ের গ্রহণযোগ্যতা কেমন হবে, তা নিয়েই তৈরি হয়েছিল টেনশন। যেদিন ছবিটি রিলিজ করল, সেদিন রাত ১১টা নাগাদ উত্তমকুমার ফোন করলেন অরবিন্দকে। বললেন, ‘ঢুলুদা, খুব চিন্তা ছিল। মনে হচ্ছিল বিরাট একটা পরীক্ষা দিয়েছি। আজ রেজাল্ট বের হল। অনেক জায়গা থেকে ফোন পেয়েছি। মনে হচ্ছে উতরে গেলাম। আপনি আমার অভিনয় জীবনকে দীর্ঘায়ু করলেন।’ উত্তরে ঢুলুবাবু বললেন, ‘তুমি আসাধারণ অভিনয় করেছ। ওই অভিনয় না হলে আমার ছবিটা মানুষ নিত না।’ পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের সাক্ষী থাকল সেই রাত।
ঢুলুবাবু এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘নিউ থিয়েটার্সের মালিক বীরেন সরকার আমাদের বলেছিলেন, ছবি করবে সুরসিক ভদ্রলোকেদের জন্য। তাঁরা যাতে ছবি দেখে তৃপ্ত হন। এবং সেই ছবি দেখে যাতে ছোটলোকেরাও ভদ্রলোক হয়ে হল থেকে বেরিয়ে আসে।’ এই পরিচ্ছন্নতা, আবেগ ও মূল্যবোধ ছড়িয়ে ছিল তাঁর ছবির মধ্যে। কিন্তু তা কখনও স্লোগানের মতো প্রকট হয়ে ওঠেনি। বাঙালি জীবনের ছোট ছোট দুঃখ, ভালোলাগা, সংঘাত, মজা উঠে এসেছে তাঁর ছবিতে। অনুভবের মধ্য দিয়ে সেই ভাবনাগুলো কখন যেন আমাদের আত্মীয় হয়ে উঠেছে। তাঁর চরিত্রগুলো তো আমাদের ঘরের ছেলেমেয়ে, বাবা-মা, মামা, কাকা, ভাইপো। এইসব গল্প আমাদের ঘরের, পাড়ার বা পাশের ঘরের প্রতিবেশীর গল্প। তাই তাদের আমরা ভুলতে পারি না। আজও টিভিতে ‘ধন্যি মেয়ে’, ‘মৌচাক’, ‘অগ্নীশ্বর’ দেখালে পরিবারের সদস্যরা সব কাজ ফেলে একসঙ্গে বসে সেই ছবি দেখেন। যুগ বদলেছে, ভাবনা বদলেছে, সিনেমা অনেক বেশি আধুনিক হয়েছে, ক্যামেরার কারিকুরি বেড়েছে। কিন্তু তাঁর ছবিকে ঘিরে ভালোলাগার সেই উত্তরাধিকার আজও বাঙালি বহন করে চলেছে। কেননা তাঁর ছবিতে টেকনিক চাতুর্য নেই, আছে আত্মার সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক। তাই চল্লিশ-পঞ্চাশ বছর পরেও তা চিরনতুন মনে হয়। কোনওদিন তিনি তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য পুরস্কার পাননি। কিন্তু বাঙালি আজও সেই ভালোলাগার পুরস্কার তাঁকে সশ্রদ্ধ মননে দিয়ে চলেছে।
একদিন তিনি কুঁদঘাটের বাজারে চাল কিনতে গিয়েছেন। দশ কিলো চাল কিনে রিকশ করে বাড়ি ফিরলেন। রিকশওয়ালাকে ভাড়া দিতে গেলে তিনি বলেছিলেন, ‘বাবু, আমি আপনাকে চিনি। কাল পূর্ণয় আপনার অগ্নীশ্বর সিনেমা দেখেছি। আমি উত্তমকুমারের ভক্ত। ওই ছবি দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি। আমি পয়সা নিতে পারব না।’ অরবিন্দবাবু তাঁকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, ‘এটাই আমার সবথেকে বড় পুরস্কার’।
তাঁর ছবির একটা বড় সার্থক বিষয় ছিল গান। বহু সুপারহিট গানের স্রষ্টা তিনি। সেই সব গানের জন্য অসাধারণ সিকোয়েন্সও তৈরি করেছিলেন। তিনি মনে করতেন গান সেই কাহিনীর থেকে বিচ্ছিন্ন কোনও বিষয় নয়, গানও সেই কাহিনীর অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। গান বাদ গেলেই যেন মনে হয় ছবির অঙ্গহানি হল। তাই গান নিয়ে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষাও করেছেন। ‘নতুন জীবন’ ছবিতে তিনি ঠিক করেছিলেন একটি রবীন্দ্রসঙ্গীত ব্যবহার করবেন। কিন্তু গৌরীপ্রসন্নর লেখা ‘এমন আমি ঘর বেঁধেছি’ গানের কথা শুনে ঠিক করলেন, রবীন্দ্রসঙ্গীত নয়, এটাই ব্যবহার করবেন। একটা সিকোয়েন্সের জন্য বিভিন্ন জনকে দিয়ে গান লেখাতেন। তার মধ্যে যেটা সেরা মনে হতো, সেটাই ব্যবহার করতেন। যেমন ‘ধন্যি মেয়ে’র ‘এ ব্যথা কী যে ব্যথা বোঝে কি আনজনে’ গানটি। তিন চারজন প্রতিষ্ঠিত গীতিকার এই সিকোয়েন্সের জন্য গান লিখেছিলেন। শেষে তিনি পছন্দ করেছিলেন প্রণব রায়ের কথা। আবার ছবির সুরকার সিলেক্ট করার ক্ষেত্রেও তিনি পা ফেলতেন একেবারে মেপে। আগের ছবিতে কোনও সুরকারের তৈরি গান হিট হয়েছে মানেই তাঁকে পরের ছবিতে ডাকবেন, এমন তিনি ছিলেন না। নচিকেতা ঘোষ, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, পবিত্র চট্টোপাধ্যায়, রাজেন সরকার, নীতা সেন সহ অনেকেই তাঁর ছবিতে সুর দিয়েছেন। ‘মৌচাক’ ছবিতে সুর দেওয়া নিয়ে প্রথমে সলিল চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। সেই ছবিতে সুরারোপ করলেন নচিকেতা ঘোষ। সুপারহিট হল গান। ‘বেশ করেছি প্রেম করেছি’ সেই সময় বোল্ড ধরনের গান বলেই মনে করা হতো।
তাঁর ছবির গান মিশে গিয়েছে বাঙালির মননে। বহু বিখ্যাত গান তিনি দিয়ে গিয়েছেন বাঙালিকে। ‘আহ্বান’ ছবিতে পঙ্কজ মল্লিক ছিলেন সঙ্গীত পরিচালক। সেই ছবিতে কাজ করার জন্য তিনি কোনও পারিশ্রমিক নেননি।
দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর অরবিন্দ জড়িয়ে ছিলেন চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে। যতদিন পর্যন্ত তাঁর ছবিগুলি দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে, ততদিন পর্যন্ত বাঙালি লাফিং এক্সারসাইজ করার সুযোগ পাবে। সেলুলয়েডেই বেঁচে থাকবেন সকলের প্রিয় ঢুলুবাবু।
ছবি: অনিকা মুখোপাধ্যায়ের সৌজন্যে
গ্রাফিক্স  সোমনাথ পাল
সহযোগিতাগ  স্বাগত মুখোপাধ্যায় 
16th  June, 2019
আমরি বাংলা ভাষা
অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়

রোজকার মতো প্রাতঃভ্রমণ সেরে চায়ের দোকানে এসে বসলেন চণ্ডীবাবু। কাগজের দিকে হাত বাড়াতে যাচ্ছিলেন। আর মধ্যেই আমাকে দেখে বলে উঠলেন—
গুড মর্নিং স্যর, হ্যাপি বেঙ্গলি নিউ ইয়ার। বিশদ

14th  April, 2024
রহস্যময় গম্ভীরা

পুরীর গম্ভীরায় জীবনের শেষ আঠারোটা বছর কাটিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব। অন্তর্ধানের আগে মহাপ্রভু অন্তিমবারের মতো বের হয়েছিলেন সেখান থেকেই। সেই গম্ভীরা ঘুরে ইতিহাস-রহস্যের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার। বিশদ

07th  April, 2024
জিপিও ২৫০

বুধবারের দুপুরবেলা। দোল-হোলি পর্বের টানা ছুটি কাটিয়ে এবার ছন্দে ফেরার পালা। কিন্তু একটু বড় ছুটি পেলেই মানুষের মতো শহরটাকেও জড়িয়ে ধরে আলস্য। অফিস-কাছারি খুলতেই আড়মোড়া ভাঙছে শহর। রাস্তাঘাটে অবশ্য তেমন ভিড় নেই। বিশদ

31st  March, 2024
অন্ধকূপেই ডাকঘরের জন্ম

শহরের বুক থেকে ইংরেজদের পুরনো কেল্লার সীমানা মুছে গিয়েছে কবেই। ফিকে হয়ে এসেছে নবাব সিরাজদ্দৌলার কলকাতা আক্রমণ, প্রথম যুদ্ধজয় এবং অন্ধকূপ হত্যার স্মৃতি। এমনটাই যে হবে, আগেই অনুমান করতে পেরেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ইংরেজরা।
বিশদ

31st  March, 2024
নানা রঙের দোল

বারসানায় এখন পা-টুকু নিশ্চিন্তে রাখার জো নেই! দেহাতি, দক্ষিণ ভারতীয়, বাঙালি, বিদেশি কে নেই সেই বিখ্যাত ভিড়ে। প্রায় সবার মাথায় রংবেরঙের পাগড়ি। কারও হাতে আবির, তো কারও ক্যামেরা। একসপ্তাহ ধরে চলছে রঙখেলা। হোলি... লাঠমার।
বিশদ

24th  March, 2024
 ‘যত মত তত পথ’
পূর্বা সেনগুপ্ত

দক্ষিণেশ্বরের দেবালয়। বিরাট বারান্দার এক কোণের ঘরে বসে ভক্তসঙ্গে ধর্মপ্রসঙ্গ করছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। দেবালয়ের পাঁচ টাকা মাইনের পুরোহিত হলে কি হবে...মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাণী রাসমণি থেকে তাঁর জামাই মথুরবাবু, সকলেই তাঁকে সমীহ করে চলেন। বিশদ

17th  March, 2024
ওপেনহাইমার ও যুদ্ধবাণিজ্য

কয়েক ঘণ্টার মাত্র অপেক্ষা। লস এঞ্জেলসের আলো ঝলমলে ডলবি থিয়েটারে শুরু হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্মি শোবিজ—অস্কার। এবারের অস্কার হুজুগে সারা পৃথিবীর সংবাদ শিরোনামে ‘ওপেনহাইমার’। ক্রিস্টোফার নোলানের এই সিনেমার সঙ্গেই অতীতকে ফিরে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ।
বিশদ

10th  March, 2024
এলিট ইতিহাস
কলহার মুখোপাধ্যায়

সে নিজেই একটা ইতিহাস! তবু বেলা না যেতে খেলা তব গেল ঘুচে। তখন নাইট ক্লাব, হুক্কা বার, হ্যাং আউট, শপিং মলের কথা শোনালে মানুষ ভাবতো তামাশা করছে।
বিশদ

03rd  March, 2024
স্বেচ্ছামৃত্যু
 

গ্রিক ভাষায় ‘ইউ’ মানে ভালো আর ‘থ্যানেটোজ’ মানে মৃত্যু। দুইয়ে মিলে ইউথ্যানেশিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যু। গত বছর ভারতে আইনসিদ্ধ হয় প্যাসিভ ইউথ্যানেশিয়া। আইনত বৈধ হলেও, সেই পদক্ষেপকে ঘিরে দানা বাঁধছে সংশয়। স্বেচ্ছামৃত্যুর ইতিবৃত্ত খতিয়ে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ
বিশদ

25th  February, 2024
আ’মরি বাংলা ভাষা

আসছে আরও একটা একুশে ফেব্রুয়ারি। হোয়াটসঅ্যাপ যুগে ক্রমে গুরুত্ব হারাচ্ছে দিনটি। তবুও বাংলা ভাষা বেঁচে আছে। থাকবেও। অসম ও বাংলাদেশ ঘুরে এসে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস। বিশদ

18th  February, 2024
সরস্বত্যৈ নমো নমঃ
কৌশিক মজুমদার

আমাদের নয়ের দশকের মফস্বলে উত্তেজনার খোরাক বলতে খুব বেশি কিছু ছিল না। বিশেষ করে আমরা যারা সেকালে ছাত্র ছিলাম, তাদের জন্য। মাস্টারমশাই আর অভিভাবকদের গণ ছাতাপেটাইয়ের ফাঁকে বুধবার সন্ধ্যায় টিভিতে চিত্রহার আর রবিবার সকালের রঙ্গোলিতে কিছু বস্তাপচা গান বাদে গোটা হপ্তাটাই কৃষিকথার আসর আর ‘খবর পড়ছি দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়’-এর মতো নেহাত নিরেস ছিল। বিশদ

11th  February, 2024
কুল খেতে মানা
সন্দীপন বিশ্বাস

স্কুল থেকে ফেরার পথে বিন্তির চোখে পড়ল, বাজারে বিক্রি হচ্ছে বড় বড় কুল। পাশে রয়েছে আপেল কুল, টোপা কুল। তাই দেখে তার জিভে জল এসে গেল। মনে হল, কেটে নুন দিয়ে মেখে খেলে বিকেলটা জমে যাবে। মায়ের কাছে সে আবদার করল, ‘আমায় একটু কুল কিনে দাও না মা!’  বিশদ

11th  February, 2024
নেতাজির বিমা কোম্পানি
সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত

১৯৪১ সাল। শীতের সন্ধ্যা। ঢাকা শহরের নবাবপুর অঞ্চলে এক ব্যক্তি ঘুরছেন। রাত্রি নামার আগে তাঁকে গন্তব্য পৌঁছতেই হবে। কিন্তু রাস্তায় কারও কাছে ঠিকানা জানার হুকুম নেই। চারদিকে পুলিসের জাল বিছানো। নবাবপুর রোডের কাছে রায় কোম্পানির বিখ্যাত বিলাতি মদের দোকানের সামনে এসে চোখ পড়ল একটি বাড়ির দরজায়। বিশদ

04th  February, 2024
আইএনএ’র বিপ্লবী ডাক্তার
বিশ্বজিৎ মাইতি

‘অস্থায়ী হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন শয়ে শয়ে মরণাপন্ন রোগী। চিকিৎসক ও নার্সদের দাঁড়ানোর ফুরসত নেই। আচমকাই সাইরেন বেজে উঠল। মুহূর্তের মধ্যে দৈত্যের মতো আওয়াজ তুলে হাজির যুদ্ধবিমান। প্রাণের ভয়ে পাশের পরিখায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন অনেকে। বিশদ

04th  February, 2024
একনজরে
দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...

তীব্র দাবদাহের মধ্যে পানীয় জলের সংকট। শুক্রবার ক্ষোভে হরিরামপুর-ইটাহার রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন মহিলারা। হরিরামপুর থানার বিশাল ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

19-04-2024 - 11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:13:07 PM