Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

বিরাট সম্ভাবনা ভারতের

রাতুল ঘোষ: প্রায় দেড় মাসব্যাপী সাত দফার লোকসভা নির্বাচন পর্ব শেষ। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদির প্রধানমন্ত্রিত্বের দ্বিতীয় ইনিংসের সূচনা হয়েছে। অতঃপর পরবর্তী দেড় মাস আসমুদ্রহিমাচলব্যাপী ভারতবর্ষের সোয়াশো কোটি জনগণ আন্দোলিত হবেন দ্বাদশ আইসিসি বিশ্বকাপ ঘিরে। একমাত্র ভারতের খেলা থাকলে ক্রিকেট মাঠেই বোধহয় আমাদের সর্বজনীন দেশাত্মবোধ সবচেয়ে বেশি জাগ্রত হয়। ভারতের জয় হৃদপিণ্ডে দারুণ দামামা বাজায়। হর্ষে-বিষাদে আন্দোলিত হয় গোটা দেশ। এখন মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন, ইংল্যান্ডের মাঠ থেকে কোহলি ব্রিগেড কি তৃতীয়বার বিশ্বকাপ ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফিরতে পারবে?
তবে বিশ্বকাপ ক্রিকেট শুরুর প্রাক্কালে গোটা ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ আক্রান্ত হয়েছিল ফুটবল জ্বরে। কারণ এই প্রথম ইউরোপের সবচেয়ে বড় দু’টি টুর্নামেন্ট উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং ইউরোপা লিগের ফাইনালে উঠেছিল চারটি ইংলিশ ক্লাব। এই রেকর্ড ইউরোপের আর কোনও দেশের নেই। গত বুধবার রাতে ইউরোপা লিগ ফাইনালে চেলসি ৪-১ গোলে আর্সেনালকে চূর্ণ করে চ্যাম্পিয়ন হয়। তার দু’দিন পরেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল অপর দুই ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল ও টটেনহ্যাম হটস্পার। গোটা ইংল্যান্ডের প্রতিটি জনপদের বিয়ার পাব, হোটেল, রেস্তরাঁয় ওই দু’দিন তিল ধারণের জায়গা ছিল না। জায়ান্ট স্ক্রিনে এই দুটি ম্যাচ দেখেছে লক্ষ লক্ষ ফুটবলপ্রেমী। তারপর বিজয়ী দলের ফুটবলারদের নিয়ে ভিকট্রি প্যারেডে শামিল হয়েছিলেন বিজয়ী দলের হাজার হাজার সমর্থক। সবমিলিয়ে গত কয়েকদিন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার শিরোনাম আদায় করে নিয়েছিল ফুটবল। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অংশগ্রহণকারী দশ দেশের ক্রিকেটাররাও এই পরিমাণ ফুটবল জ্বর দেখে বিস্মিত।
এবারের বিশ্বকাপ যেহেতু রাউন্ড রবিন লিগ ফরম্যাটে হচ্ছে, তাই সব দলকেই একে অপরের বিরুদ্ধে খেলতে হবে। অর্থাৎ প্রতিটি দলের সামনে সেমি-ফাইনালের দিকে এগনোর সমান সুযোগ থাকছে। যে দলের সাফল্যের ধারাবাহিকতা আগামী দেড় মাস যত বেশি থাকবে, তারাই হবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। আইসিসি ওডিআই র‌্যাঙ্কিংয়ে ভারত রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। শীর্ষে ইংল্যান্ড। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা তাঁদেরই এক নম্বর ফেভারিট দলরূপে চিহ্নিত করেছেন। আরেক ফেভারিট দল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। যারা শেষ আটটি ওডিআই ম্যাচে ভারত ও পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ জিতেছে। মনে হয়, খেতাবি লড়াই এই তিনটি দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।
১৯৮৩ সালের ২৫ জুন ক্রিকেটের মক্কা লর্ডসে কপিল দেবের নেতৃত্বে ভারতের প্রুডেনসিয়াল বিশ্বকাপ জয় এই উপমহাদেশে খেলাটির ভোল বদলে দিয়েছিল। তারপর থেকেই এ দেশে ক্রিকেট নিয়ে বাণিজ্য-বিপণন আড়ে বহরে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট সংস্থা। কিন্তু প্রশ্ন হল, এবার বিশ্বকাপের প্রাক্কালে টিম ইন্ডিয়া কি পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে ইংল্যান্ডে গিয়েছে? এক কথায় এর উত্তর হল— না। দেশের মাঠে নির্জীব পাটা উইকেট দীর্ঘ আড়াই মাসব্যাপী আইপিএল খেলে কোহলি ব্রিগেড কিঞ্চিৎ বিশ্রামের পর সরাসরি ইংল্যান্ড উড়ে গিয়েছে। হয়নি কোনও আলাদা কন্ডিশনিং ক্যাম্প। তাই প্রথম ওয়ার্ম-আপ ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৭৭ বল বাকি থাকতে বড় ব্যবধানে হেরেছিল ভারতীয় দল। সেই ম্যাচে ভারতের টপ ব্যাটিং অর্ডার পুরোপুরি ব্যর্থ। পরে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও দুই ভারতীয় ওপেনার শিখর ধাওয়ান ও রহিত শর্মা ফের ব্যর্থ। তবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জোড়া সেঞ্চুরি করে ভারতকে জিতিয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি ও লোকেশ রাহুল। দু’টি ম্যাচেই দেখা গেল, রহিত ও শিখরের মুভিং বল খেলতে বিস্তর অসুবিধা হচ্ছে। স্যুইং বলের মোকাবিলা করতে গিয়ে দু’জনেরই পা নড়ছে না। অথচ আমরা মেনে নিয়েছি, ভারতীয় ব্যাটিং অর্ডারের টপ থ্রি— রহিত, শিখর ও বিরাট বিশ্বের সেরা ত্রয়ী। দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচেই দুই ভারতীয় ওপেনার কিউয়ি পেসার ট্রেন্ট বোল্ট ও বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুরকে ঠিক মতো খেলতেই পারেনি। মুস্তাফিজুরের ইনকামিং যে বলে শিখর প্যাডে লাগিয়ে প্লাম্ব এলবিডব্লু হল, তা এই বাঁহাতি ভারতীয় ওপেনারের কাছে অবশ্যই বিপদ সঙ্কেত। তাই সর্বাগ্রে ভারতীয় ওপেনিং জুটিকে অন্তত প্রথম দশ ওভারে উইকেটে টিকে থেকে নির্ভরতা দিতে হবে। নইলে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলির উপর চাপ বাড়বে। আর বিরাট কোনও কারণে বড় রান না পেলে মিডল অর্ডার বাড়তি চাপ সামলাতে ঝামেলায় পড়বে।
ইংল্যান্ডের অধিকাংশ মাঠই আকারে ছোট। বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ব্যাটিং সহায়ক উইকেট। তাই ৩৫০ বা ৪০০ রান উঠলেও অবাক হবেন না। কিন্তু ইংল্যান্ডের আবহাওয়া বড়ই খামখেয়ালি। এই মেঘলা আকাশ তো তারপরেই ঝিরঝিরে বৃষ্টি। সঙ্গে ঠান্ডা হাওয়া। তখন বল বাতাসে বাঁক নিয়ে পর্যাপ্ত স্যুইং করবে। এমন পরিবেশে আগে ব্যাট করলে যে কোনও দল ঝামেলায় পড়তে পারে।
এবার আসা যাক, ভারতের ক্রীড়াসূচির প্রসঙ্গে সাদাম্পটনের হ্যাম্পশায়ার বোওলে আগামী ৫ জুন বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আইসিসি ওডিআই র‌্যাঙ্কিংয়ে থাকা তিন নম্বর দল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারতীয় দল কেমন হতে পারে, সেই প্রসঙ্গে। দুই ওপেনার রহিত ও শিখর। তিন নম্বরে ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি এবং চার নম্বরে লোকেশ রাহুল। মিডল অর্ডারে হার্দিক পান্ডিয়া, এমএস ধোনি ও রবীন্দ্র জাদেজার খেলা উচিত। আবহাওয়া মেঘলা থাকলে তিন পেসার খেলানো যেতে পারে। তবে রৌদ্রালোকিত পরিবেশে জশপ্রীত বুমরাহ ও মহম্মদ সামি ভারতীয় বোলিং আক্রমণের সূচনা করবেন। সেক্ষেত্রে দুই পেসার নিয়ে খেলবে ভারতীয় দল। স্পিনার বলতে যুজবেন্দ্র চাহাল ও কুলদীপ যাদবের মধ্যে যে কোনও একজন প্রথম একাদশে থাকবেন। বাড়তি স্পিনারের দায়িত্ব রবীন্দ্র জাদেজা পালন করে দেবেন। বিটস অ্যান্ড পিসেস অলরাউন্ডার হিসেবে রয়েছে কেদার যাদব ও বিজয় শঙ্কর। যদি পরপর দু’টো ম্যাচে রহিত বা শিখরের মধ্যে কেউ ব্যর্থ হয়, তবে লোকেশ রাহুলকে মেকশিফট ওপেনার রূপে ব্যবহার করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সেকেন্ড ডাউনে খেলবে বিজয় শঙ্কর। তৃতীয় পেসার হিসেবেও ছেলেটি কাজ চালিয়ে দিতে পারবে। তবে ভারতীয় ফিল্ডিংয়ে পর্যাপ্ত উন্নতির অবকাশ রয়েছে। আর এর জন্য নেটে নিয়মিত রগড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে। কোচ রবি শাস্ত্রীকে ‘পুরনো রোগ’ অপশনাল প্র্যাকটিসের বাহানা ছাড়তে হবে। এই রাউন্ড রবিন লিগ ফরম্যাটে একটা-দুটো ম্যাচ হারলেও সেমি-ফাইনালে যাওয়ার পথ কোনও দলের কাছে বন্ধ হবে না। এই ব্যাপারটা মাথায় রাখা দরকার।
গত বছর একদিনের সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫-১ ব্যবধানে চূর্ণ করেছিল বিরাটের টিম ইন্ডিয়া। সেটাও তাদের ঘরের মাঠে। এই সিরিজে ভারতের দুই রিস্ট-স্পিনার কুলদীপ যাদব ও যুজবেন্দ্র চাহালকে খেলতেই পারেনি প্রোটিয়া বাহিনীর ব্যাটসম্যানরা। তাই প্রথম ম্যাচে ভারতীয় দল মাঠে নামবে এক পা এগিয়ে থেকে। দ্বিতীয় ম্যাচ ৯ জুন লন্ডনের ওভালে। প্রতিপক্ষ পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। স্যান্ডপেপার গেট কেলেঙ্কারি বা বল ট্যাম্পারিং বিতর্ককে পিছনে ফেলে এক বছর নির্বাসনদণ্ড কাটিয়ে এই বিশ্বকাপে রাজসিক প্রত্যাবর্তন ঘটতে পারে দুই অজি ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারের। অ্যারন ফিঞ্চের নেতৃত্বে গত ভারত সফরে ওডিআই সিরিজে পিছিয়ে পড়েও টিম ইন্ডিয়াকে ৩-২ ব্যবধানে পরাস্ত করে সিরিজ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। ধীরে ধীরে পিক ফর্মে পৌঁছেছে এই দলটি। শেষ আটটি ম্যাচেই ভারত ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জিতেছে অজিরা। মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স বিশ্বের অন্যতম দুই সেরা ফাস্ট বোলার। ঠিক তেমনই স্পিনের জাদুতে ভেলকি দেখাতে সমর্থ নাথান লিয়ঁ ও অ্যাডাম জাম্পা।
এরপর তৃতীয় ম্যাচ ১৩ জুন নটিংহ্যামের ট্রেন্ট ব্রিজে। প্রতিপক্ষ বিশ্বের ৪ নম্বর দল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু শেষ ওডিআই সিরিজে নিজেদের দেশের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে ১-৪ ব্যবধানে চূর্ণ হতে হয়েছিল কোহলি ব্রিগেডের কাছে। তাই এবার ইংল্যান্ডে গিয়ে প্রথম ওয়ার্ম-আপ ম্যাচে হারের বদলা নিতে ট্রেন্ট ব্রিজে ঝাঁপাবে টিম ইন্ডিয়া। দেখে খেলতে হবে ট্রেন্ট বোল্টকে।
এরপর ১৬ জুন ম্যাঞ্চেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে ভারত-পাকিস্তান মহাযুদ্ধ। যে ম্যাচের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা ক্রিকেট দুনিয়া। বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত সবক’টি ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়েছে ভারত। সাফল্যের হার ১০০ শতাংশ। এবারও সেই জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলেই আশা করা যায়। পঞ্চম ম্যাচে আগামী ২২ জুন ভারতের সামনে পড়বে আফগানিস্তান। খেলাটি সাদাম্পটনের হ্যাম্পশায়ার বোওলে। এই ম্যাচে অবশ্যই জেতা উচিত কোহলিদের। ২৭ জুন ষষ্ঠ ম্যাচে ম্যাঞ্চেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে ভারতের প্রতিপক্ষ প্রথম দু’টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, সাই হোপের মতো বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান থাকা সত্ত্বেও এই ক্যারিবিয়ান ব্রিগেডের পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতার অভাব রয়েছে। তাঁদের স্পিন বিভাগও খুবই দুর্বল। তাই এই ম্যাচেও ফেভারিট টিম ইন্ডিয়া।
৩০ জুন প্রতিপক্ষ আয়োজক দেশ ইংল্যান্ড। ম্যাচটি হবে বার্মিংহামের এজবাস্টনে। ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ ফিফটি-ফিফটি। ইংল্যান্ডের টপ সিক্স ব্যাটসম্যান জেসন রয়, জনি বেয়ারস্ট, জো রুট, জস বাটলার, বেন স্টোকস ও ইয়ন মরগ্যান এই মুহূর্তে সেরা ফর্মে রয়েছেন। মঈন আলি দক্ষ অলরাউন্ডার। ইংল্যান্ডের এই দলটির কাছে ৫০ ওভারে ৩৫০ রান তোলা জলভাত। তাই এই ম্যাচে ভারতীয় বোলিং আক্রমণ খুব আঁটসাঁটো হওয়া দরকার। তবে শেষ দুটি ম্যাচে বাংলাদেশ (২ জুলাই, এজবাস্টন) এবং ৬ জুলাই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হেডিংলের লিডসে অবশ্যই জেতা উচিত টিম ইন্ডিয়ার। রাউন্ড রবিন লিগে মোট ন’টি ম্যাচের মধ্যে ছ’টি জিতলেই সেমি-ফাইনালে যাওয়ার আশা উজ্জ্বল। এমনকী, পাঁচটিতে জিতলেও চলে যেতে পারে। বলা বাহুল্য, ভারতের সব ম্যাচই হাউসফুল হয়ে গিয়েছে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট তো দশগুণ দামে কালো বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এবার ভারতীয় উপমহাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে এই বিশ্বকাপ এক উৎসবের বার্তা বহন করে এনেছে। সেই জন্যই দর্শক উপস্থিতির ক্ষেত্রে এবার দ্বাদশ আইসিসি বিশ্বকাপ সব রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে।
ফিরে আসি, ‘টিম ইন্ডিয়া’ প্রসঙ্গে। বর্তমান ভারতীয় দলের সবচেয়ে বড় এক্স ফ্যাক্টর বিরাট কোহলি। একদিনের ক্রিকেটে তাঁর নেতৃত্বে ভারতের জয়ের হার ৭৩.৮৮ শতাংশ। যা ভারতীয় অধিনায়কদের মধ্যে সর্বোচ্চ। বিদেশের মাঠে ৪২টি একদিনের ম্যাচে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়ে কোহলি জিতিয়েছেন ৩১টিতে। এই রেকর্ডও তাঁর পূর্বসূরি কোনও ভারতীয় অধিনায়কের নেই। রান তাড়া করে জেতানোর ক্ষেত্রে কোহলি ১০টি সেঞ্চুরি করে সাফল্যের সঙ্গে দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়েছেন। পরে ব্যাট করে টিম ইন্ডিয়ার জয়ের জন্য বিরাট কোহলি ১০টি সেঞ্চুরি ও ৭টি হাফ সেঞ্চুরি সহ মোট ২০৯৪ রান করেছেন। এক কথায় এই রেকর্ড অবিশ্বাস্য। যা শচীন তেণ্ডুলকরেরও নেই।
টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন হওয়ার পর একদিনের ম্যাচে বিরাট কোহলি ১৯টি সেঞ্চুরি ও ১৪টি হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। যাতে প্রমাণিত হয়, নেতৃত্বের বোঝা তাঁর দুরন্ত ব্যাটিং স্কিলকে বিন্দুমাত্র প্রভাবিত করতে পারেনি। আর এর প্রমাণ প্রথম পাওয়া গিয়েছিল কোহলির নেতৃত্বে আজ থেকে ১১ বছর আগে ২০০৮ সালে ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতার সময়।
সেই ভারতীয় দলের ম্যানেজার ছিলেন কিছুদিন আগে প্রয়াত বাংলার যশস্বী ক্রিকেটার গোপাল বসু। একান্ত আলাপচারিতায় গোপালদা আমাকে তখনই বলেছিলেন, ‘তোমরা মিলিয়ে নিও, এই বিরাট ছেলেটা আগামী দিনে ক্রিকেট দুনিয়াকে শাসন করবে। এর হাত ধরেই এগিয়ে যাবে ভারতীয় ক্রিকেট।’ বলা বাহুল্য, অব্যর্থ ছিল গোপালদা’র ভবিষ্যদ্বাণী।
ক্যাপ্টেন হিসেবে বিরাট কোহলির কিছু ট্যাকটিক্যাল সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু সমালোচক অতীতে প্রশ্ন তুলেছেন। আর লক্ষ্য করে দেখবেন, এই সংক্রান্ত বিতর্ক দানা বেঁধেছে মূলত সেই ম্যাচে এমএস ধোনি না খেললে। কোনও সন্দেহ নেই, উইকেটের পিছনে মাহি থাকলে অনেক নিশ্চিন্ত বোধ করেন কোহলি। তখন ধোনিই ‘বিহাইন্ড দ্য উইকেট’ ভারতীয় স্পিনারদের লাইন ও লেন্থ সম্পর্কে আঙুলের ইশারায় সতর্ক করেন। ক্লোজ ইন ফিল্ডারদের নড়াচড়াও হয় তাঁর অঙ্গুলিহেলনে। বিরাট কোহলি এটা মেনে নিয়েছেন। তিনি আউট ফিল্ডের প্লেসমেন্ট নিয়ে মাথা ঘামান। তবে তাঁর নেতৃত্বে এবার ভারত বিশ্বকাপ না জিতলে ‘কোহলি যুগ’ পূর্ণতা পাবে না। ২০১১ থেকে শুরু হওয়া একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে না। আর এমএস ধোনিও চাইছেন, কেরিয়ারের চতুর্থ বিশ্বকাপ অন্তে বিদায়বেলায় সাফল্যের আলোকদ্যুতিতে উজ্জ্বল এক গৌরবজনক প্রস্থান। দু’জনের ইচ্ছা কি এবার ইংল্যান্ডে পূরণ হবে?
সবশেষে ফিরে আসি, এবারের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে কারা হয়ে উঠবেন নায়ক? একঝাঁক অতিশয় প্রতিভাবান ক্রিকেটার এবার ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপের আসরে খেলছেন। ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কোনও ইংলিশম্যান নয়, আইরিশম্যান ইয়ন মরগ্যান। এবার দেশের মাঠে বিশ্বকাপ জিতলে তিনি হয়ে যাবেন সুপার হিরো। এক বছর নির্বাসন কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেই সদ্য সমাপ্ত আইপিএলে ১০টি ম্যাচে মোট ৬৯২ রান করে অরেঞ্জ ক্যাপ জিতে পূর্ণমহিমায় প্রত্যাবর্তন করেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। তার সঙ্গে আর এক নির্বাসনদণ্ড ভোগ করা বড় মাপের ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথের দিকেও নজর রাখতে হবে। এছাড়া, অজি ব্রিগেডে উসমান খাওয়াজা, ক্যাপ্টেন অ্যারন ফিঞ্চ, পেসার প্যাট কামিন্স ও গত বিশ্বকাপের সর্বাধিক উইকেট সংগ্রহকারী বোলার মিচেল স্টার্কের দিকেও নজর রাখতে হবে। প্রচণ্ড শক্তিশালী ব্যাটিং নির্ভর ইংল্যান্ড দলে এবার টপ সিক্স ব্যাটসম্যান যে কোনও দলের সম্পদ। বোলিংয়ে নতুন চমক জোফ্রা আর্চার। এছাড়া, মার্ক উড, আদিল রশিদ, বেন স্টোকস, মঈন আলিরা তো আছেনই। পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপও বেশ ভালো। ফখর জামান, ইমাম-উল-হক, মহম্মদ হাফিজ, বাবর আজম, ও হ্যারিস সোহেল ফর্মে থাকলে বিপক্ষের কপালে দুর্ভোগ রয়েছে। নিউজিল্যান্ড দলে ক্যাপ্টেন কেন উইলিয়ামসন দারুণ নেতৃত্ব দিচ্ছেন। মার্টিন গাপটিল, রস টেলর, কলিন মুনরো, কলিন ডে গ্র্যান্ডহোম, ট্রেন্ট বোল্ট, জিমি নিশাম’রা যে কোনও দলকে ঝামেলায় ফেলতে পারেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কিছু চমক দেখিয়েও বড় ব্যবধানে হেরেছে। প্রোটিয়া বাহিনীও খুবই শক্তিশালী দল নিয়ে এবার বিশ্বকাপে নেমেছে। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ‘ইউনিভার্স বস’ ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, সাই হোপ’রা নিজেদের দিনে বিশ্বের যে কোনও দলের বোলিং আক্রমণকে ধ্বংস করে দিতে পারেন। তাই এবারের বিশ্বকাপ যথেষ্ট ওপেন টুর্নামেন্ট। কোনও একটি দলকে নিশ্চিতভাবে সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়নরূপে চিহ্নিত করা যাবে না। তাই ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা আশায় বুক বেঁধে অপেক্ষায় থাকতেই পারে।
গ্রাফিক্স  সোমনাথ পাল
সহযোগিতায়  স্বাগত মুখোপাধ্যায়
02nd  June, 2019
ধ্বংসের প্রহর গোনা 
মৃন্ময় চন্দ

আরও একটা বিশ্ব পরিবেশ দিবস গেল। অনেক প্রতিজ্ঞা, প্রতিশ্রুতি...। কিন্তু দূষণ বা অবৈজ্ঞানিক নির্মাণ কি কমছে? উদাসীনতায় আজ ধ্বংসের মুখে যে এরাজ্যের সমুদ্রতটও! 
বিশদ

09th  June, 2019
মোদি ম্যাজিক
সমৃদ্ধ দত্ত

আর নিছক জয় নয়। দেখা যাচ্ছে জয় খুব সহজ তাঁর কাছে। ২০ বছর ধরে কখনও মুখ্যমন্ত্রী হয়ে, কখনও প্রধানমন্ত্রী হয়ে জিতেই চলেছেন। সুতরাং ওটা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে না। তাহলে এরপর টার্গেট কী? সম্ভবত ইতিহাস সৃষ্টি করা। এক রেকর্ড সৃষ্টি করাই লক্ষ্য হবে নরেন্দ্র মোদির। কিসের রেকর্ড?
বিশদ

26th  May, 2019
ভোটের ভারত 

রাত নামল দশাশ্বমেধ ঘাটে। অন্ধ ভিক্ষুককে প্রতিবন্ধী ফুলবিক্রেতা এসে বলল, চলো ভান্ডারা শুরু হয়েছে। ফুল বিক্রেতার হাত ধরে অন্ধ ভিক্ষুক এগিয়ে গেল বিশ্বনাথ গলির দিকে। পোস্টার, ফ্লেক্স, টিভি চ্যানেল আর সভামঞ্চ থেকে মুখ বাড়িয়ে এসব দেখে গোপনে শ্বাস ফেলল ভোটের ভারত! যে ভারত ঘুরে দেখলেন সমৃদ্ধ দত্ত।
 
বিশদ

19th  May, 2019
মাসুদনামা

অবশেষে আন্তর্জাতিক জঙ্গি মাসুদ আজহার। ভারতের কূটনীতির কাছে পরাস্ত চীন এবং পাকিস্তান। কীভাবে উত্থান হল তার? রাষ্ট্রসঙ্ঘের সিদ্ধান্তে মোদির লাভই বা কতটা হল? লিখলেন শান্তনু দত্তগুপ্ত
বিশদ

12th  May, 2019
কবিতর্পণ 

তিনি রবীন্দ্রনাথের বড়দাদা দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রপৌত্রী। জোড়াসাঁকো ও শান্তিনিকেতনে শৈশব কাটানোর সুবাদে কবিগুরুকে খুব সামনে থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল তাঁর। যদিও শৈশবের বেশিরভাগ স্মৃতিই কালের নিয়মে ঢাকা পড়েছে ধুলোর আস্তরণে। তবুও স্মৃতির সরণিতে কিছু ঘটনা ইতিউতি উঁকি মেরে যায়। একসময়ে নিজে অভিনয় করেছেন সত্যজিৎ রায়, তপন সিংহের মতো পরিচালকদের ছবিতে। দাপিয়ে বেড়িয়েছেন মঞ্চেও। আজ তিনি অশীতিপর। আরও একটি পঁচিশে বৈশাখের আগে ঠাকুরবাড়ির কন্যা স্মিতা সিংহের কবিতর্পণের সাক্ষী থাকলেন বর্তমানের প্রতিনিধি অয়নকুমার দত্ত। 
বিশদ

05th  May, 2019
চিরদিনের সেই গান
শতবর্ষে মান্না দে 
হিমাংশু সিংহ

২৫ ডিসেম্বর ২০০৮। কলকাতার সায়েন্স সিটি প্রেক্ষাগৃহ। একসঙ্গে আসরে প্রবাদপ্রতিম দুই শিল্পী। পদ্মভূষণ ও দাদাসাহেব ফালকে সম্মানে ভূষিত মান্না দে ও গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। একজনের বয়স ৮৯ অন্য জনের ৭৭। মঞ্চে দুই মহান শিল্পীর শেষ যুগলবন্দি বলা যায়।  
বিশদ

28th  April, 2019
রাজনীতির ভাগ্যপরীক্ষা
আকাশদীপ কর্মকার

 এই মুহূর্তে দেশের রাজনীতিতে মুখ্য আলোচিত বিষয় লোকসভা নির্বাচন। রাজনীতিকদের ভাগ্যপরীক্ষা। এই নির্বাচনে দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের শক্তি পরীক্ষার পাশাপাশি ভাগ্য পরীক্ষা দেশের হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদেরও।
বিশদ

21st  April, 2019
প্রতীক বদলে ডিজিটাল ছোঁয়া
দেবজ্যোতি রায়

সাহিত্য বা লেখালিখিতে সর্বদা সময়ের দাবিই উঠে আসে। প্রতিফলিত হয় তৎকালীন সময়ের পটভূমি, চরিত্র, চিত্রায়ন। অতীতেও হয়েছে, আধুনিক বা নব্য আধুনিক যুগও তার ব্যতিক্রম নয়। বর্তমানে আধুনিক সাহিত্য বা পটভূমির একটা বড় অংশ দখল করে নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক মাধ্যম।
বিশদ

21st  April, 2019
শতবর্ষে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড

১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল জালিয়ানওয়ালাবাগে একটি প্রতিবাদ সভায় জেনারেল ডায়ার বিনা প্ররোচনায় নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিলেন। এ বছর ওই হত্যাকাণ্ডের ১০০ বছর। সেদিনের ঘটনা স্মরণ করলেন সমৃদ্ধ দত্ত।
বিশদ

14th  April, 2019
প্রথম ভোট
সমৃদ্ধ দত্ত

সকলেই চাইছে লাঙল। ১৯৫১ সালের ১ জুলাই। রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে দেশের প্রথম নির্বাচন কমিশনার সুকুমার সেন মিটিং ডেকেছেন। নির্বাচনী প্রতীক বন্টন করা হবে। প্রতিটি দলকে বলা হয়েছিল আপনারা নিজেদের পছন্দমতো প্রতীক নিয়ে আসবেন সঙ্গে করে। সেটা প্রথমে জমা নেওয়া হবে। তারপর স্থির করা হবে কাকে কোন প্রতীক দেওয়া যায়। কিন্তু, মিটিং শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রবল ঝগড়া শুরু হয়ে গেল। কারণ প্রায় সিংহভাগ দলেরই পছন্দ লাঙল। কেন?
বিশদ

07th  April, 2019
সিনেমার রাজনীতি
শাম্ব মণ্ডল

সেদিন পোডিয়ামে উঠেই শ্রোতাদের চমকে দিয়ে একটা ডায়লগ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন তিনি: ‘হাও ইজ দ্য জোশ?’ এক মুহূর্ত দেরি না করে শ্রোতাদের মধ্যে থেকে সমস্বরে উত্তর এসেছিল ‘হাই স্যর!’ যিনি ডায়লগটা শ্রোতাদের উদ্দেশে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন তিনি আর কেউ নন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত ২০ জানুয়ারি মুম্বইয়ে ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ইন্ডিয়ান সিনেমা-র উদ্বোধনে দেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখেও তখন ‘উরি’র ক্রেজ।
বিশদ

31st  March, 2019
ভোট মানেই তো
স্লোগানের ছড়াছড়ি
কল্যাণ বসু

ভোটের মাঠে হরেক রকমের সুর। স্লোগানে মেলে ছড়ার ছন্দ। গ্রাম-শহরের অলি-গলি ছাপিয়ে রাজপথে মাইকে ভাসে সেই ছন্দময় স্লোগান। চলে স্লোগান নিয়ে শাসক-বিরোধীর আকচা-আকচিও। বহু স্লোগান দাগ কেটে যায় দেশের মাটিতে। বহুকাল টিকে থাকে তার স্মৃতিও। দেশের সৈনিক ও কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য ১৯৬৫ সালে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর স্লোগান ‘জয় জওয়ান, জয় কিষান’ আজও তো কত ইতিহাসের সাক্ষী। 
বিশদ

31st  March, 2019
স্বাধীন গণতান্ত্রিক ভারতের ভোট
ব্যবস্থার রূপকার সুকুমার সেন
অভিজিৎ দাস

রাস্তাঘাটের দুর্বিষহ দশা। কোথাও আবার রাস্তাই নেই। বিস্তর ঝক্কি পেরিয়ে প্রত্যন্ত গাঁ-গঞ্জ পর্যন্ত পৌঁছনো। দেশের সিংহভাগ জায়গা টেলি যোগাযোগের বাইরে। এখনও বাকি পড়ে রয়েছে বহু কাজ। তার মধ্যেই বহু কাঠ-খড় পুড়িয়ে খসড়া ভোটার তালিকা তৈরি হল। তাতে চোখ বুলিয়ে আঁতকে উঠলেন এক বঙ্গসন্তান।
বিশদ

24th  March, 2019
বদলে যাওয়া
ভোট
রজত চক্রবর্তী

 নির্বাচন গ্রামে-গঞ্জে-মফঃস্বলে আগে উৎসবই ছিল। তোরঙ্গ থেকে পাট ভাঙা শাড়ি পরতেন মা-মাসিরা। সেখান থেকে প্রচারে চলে এল ক্যাপশান, ‘গণতন্ত্রের মহান উৎসব নির্বাচন’। এই প্রচারের উল্টোপিঠে ছিল আরও একটি প্রচার। ‘নির্বাচন কোনও উৎসব নয়, আপনার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত জানাবার পদ্ধতি’।
বিশদ

24th  March, 2019
একনজরে
 পবিত্র ত্রিবেদি, কলকাতা: বর্ষায় জল জমার দুর্ভোগ থেকে এবারও রেহাই মিলছে না বিধাননগর পুরসভা এলাকার বিভিন্ন জায়গার বাসিন্দাদের। সল্টলেকে জল না জমলেও বিধাননগর পুরসভার বাকি অংশে এই সমস্যা এলাকাবাসীর যন্ত্রণার কারণ হয়। ...

  নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রয়াত হয়েছেন শীলা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারপার্সন এমেরিটাস শীলা গৌতম। গত ৮ জুন তিনি পরলোক গমন করেন। ১৯৭১ সালে তিনি শীলা ফোম তৈরি করেন, যা ক্রমশ সফল ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি তিনি ছিলেন একজন বিচক্ষণ রাজনীতিক। ...

 দিব্যেন্দু বিশ্বাস, নয়াদিল্লি, ১১ জুন: রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা এবং আইনশৃঙ্খলার ক্রমাবনতির অভিযোগ তুলে এই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দেবে বিজেপির সংসদীয় প্রতিনিধি দল। ...

 লাহোর, ১১ জুন (পিটিআই): ভারতের আবেদনে সাড়া দিল পাকিস্তান। কিরঘিজস্তানে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের আকাশপথ ব্যবহার করতে পারবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিমান। ‘নৈতিক দিকটি’ মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানাল ইমরান খানের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব শিশু শ্রমিক বিরোধী দিবস,
১৯২৯- লেখিকা অ্যান ফ্রাঙ্কের জন্ম,
১৯৫৭- পাকিস্তানের ক্রিকেটার জাভেদ মিঁয়াদাদের জন্ম,
২০০৩- মার্কিন অভিনেতা গ্রেগরি পেকের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৬৯ টাকা ৭০.৩৮ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৫৮ টাকা ৮৯.৮০ টাকা
ইউরো ৭৭.২১ টাকা ৮০.১৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,৯১৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩১,২৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৬,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৬,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ১২ জুন ২০১৯, বুধবার, দশমী ৩৩/৫০ সন্ধ্যা ৬/২৭। হস্তা ১৭/১৯ দিবা ১১/৫১। সূ উ ৪/৫৫/২০, অ ৬/১৭/৬, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/১০ মধ্যে পুনঃ ১/৪৯ গতে ৫/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৯/৫০ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ১/১২ মধ্যে, বারবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৬ গতে ১/১৬ মধ্যে, কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ১২ জুন ২০১৯, বুধবার, দশমী ৩৫/৫৪/৩৯ রাত্রি ৭/১৭/২৫। হস্তানক্ষত্র ২০/৪৩/৩৩ দিবা ১/১২/৫৮, সূ উ ৪/৫৫/৩৩, অ ৬/১৮/৫১, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ গতে ১১/১৩ মধ্যে ও ১/৫৪ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৪ মধ্যে ও ১২/১ গতে ১/২৫ মধ্যে, বারবেলা ১১/৩৭/১২ গতে ১/১৭/৩৭ মধ্যে, কালবেলা ৮/১৬/২২ গতে ৯/৫৬/৪৭ মধ্যে, কালরাত্রি ২/১৬/২৩ গতে ৩/৩৫/৫৭ মধ্যে। 
৮ শওয়াল 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। বৃষ: ভ্রমণ যোগ আছে। মিথুন: প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকে দিনে 
বিশ্ব শিশু শ্রমিক বিরোধী দিবস,১৯২৯- লেখিকা অ্যান ফ্রাঙ্কের জন্ম,১৯৫৭- পাকিস্তানের ...বিশদ

07:03:20 PM

বিশ্বকাপ: ৪১ রানে পাকিস্তানকে হারাল অস্ট্রেলিয়া 

10:35:44 PM

বিশ্বকাপ: পাকিস্তান ২৩০/৭(৪০ ওভার)(টার্গেট ৩০৮) 

10:03:16 PM

 বিশ্বকাপ: পাকিস্তান ১৬০/৬(৩০ ওভার)(টার্গেট ৩০৮)

09:20:41 PM

বিশ্বকাপ: পাকিস্তান ১১০/২(২০ ওভার)(টার্গেট ৩০৮)

08:34:26 PM