গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
নীচে নেমে এলাম ই-রিকশ স্ট্যান্ডে। এখান থেকে সাড়ে ছ’কিলোমিটার দূরে ঘোড়াকাটোরা লেক। নির্জন এই বনপথে ঘোড়ার গাড়িতে আগে যাওয়া যেত। সম্প্রতি টাঙার প্রবেশ বন্ধ। ফলে ই-রিকশ বা টোটোই ভরসা। চলার পথটা দুর্দান্ত। সবুজে সবুজ। মিনিট কুড়ি লাগল। প্রথম দেখাতেই ভালো লেগে গেল। রত্নগিরি পাহাড়ের পাদদেশে টলটলে এই লেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। প্রকৃতি যেন সমস্ত রূপ এখানে ঢেলে দিয়েছে। মানুষ বিশ্বাস করে মহাভারতের সময় জরাসন্ধের আস্তাবল ছিল এই লেক লাগোয়া পাহাড়ের পাদদেশে। আস্তাবলের ঘোড়ারা এই লেকের জলই খেত। লেক দেখতেও অনেকটা ঘোড়ার মতো। লেকের মাঝে বুদ্ধের ধ্যানমগ্ন মূর্তি। প্রবেশমুখে ফলক পড়ে জানা গেল, লেক সংস্কার করে খুলে দেওয়া হয় ২০১১ সালে। আর লেক মাঝে গোলাপি বেলেপাথরের ৭০ ফুট বুদ্ধমূর্তির সংযোজন হয়েছে ২০১৮ সালে। সবটাই বিহার সরকারের পর্যটন দপ্তরের উদ্যোগে। লেকের সম্মুখে ক্যাফেটেরিয়া। আছে আগত পর্যটকদের বিশ্রামের জন্য উডেন হাট। সবুজরঙা এই শেডগুলো প্রকৃতির রঙে রাঙানো। তিন পাহাড়ের মাঝে এই নয়নাভিরাম লেক দেখে মনটা শান্তিতে ভরে যায়। ধ্যানের উপযুক্ত জায়গা। অল্প পরিচিত বলে এখানে নেই উপচে পড়া মানুষজন। জলভ্রমণের জন্য রয়েছে প্যাডেল বোট। তবে লাইফজ্যাকেট নেই, ফলে ভেবে দেখা উচিত আনন্দের মাঝে দুর্ঘটনা যেন থাবা না বসায়। ফেরার পথে দেখি পাহাড়ের ঢালে এক ইকোপার্ক! একটা ওয়াচটাওয়ারও দৃশ্যমান। উপরে উঠে ইকোপার্ক সহ অনতিদূরে ঘোড়াকাটোরা লেকের সৌন্দর্য লা-জবাব।
কীভাবে যাবেন: হাওড়া থেকে পাটনাগামী ট্রেনে বক্তিয়ারপুর স্টেশন। রয়েছে রাজেন্দ্রনগর টার্মিনাল, বিভূতি বা গরিবরথের মতো বহু ট্রেন। স্টেশন থেকে ৫৪ কিলোমিটার দূরে রাজগীর। শেয়ার জিপ বা ট্রেকার মিলবে। প্রাইভেট গাড়িতেও যেতে পারেন।
কোথায় থাকবেন: রাজ্য পর্যটন হোটেল ছাড়াও মিলবে বহু বেসরকারি হোটেল। রয়েছে বাঙালি হোটেলও।