পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ললিতকলা অর্থাৎ ফাইন আর্টের তিনটি মূল স্তম্ভ— চিত্রকলা, ভাস্কর্য এবং আলোকচিত্র। এই তিন স্তম্ভের প্রসারে গত ৩৬ বছর ধরে কাজ করছে থার্ড আই। সেই উদ্যোগেরই অন্যতম প্রয়াস থার্ড আই ভিস্যুয়াল আর্ট উৎসব। চলতি বছরে যা শুরু হবে আগামী ২৯ নভেম্বর, চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। করোনার প্রকোপে গত দু’বছর অফলাইনে এই উৎসবের আয়োজন সম্ভব হয়নি। তাই এবছর বিড়লা অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত এই উৎসবের নাম দেওয়া হয়েছে ‘এভাবেই ফিরে আসা যায়...।’ ছবি ছাড়াও থাকবে শৈলেন ঘোষ, উমেশ বেরা এবং সুব্রত পালের ভাস্কর্য। ২৩তম ভিস্যুয়াল এই আর্ট উৎসব খোলা থাকবে প্রতিদিন দুপুর তিনটে থেকে রাত আটটা পর্যন্ত।
পশ্চিমবঙ্গ চারুকলা উৎসবের সূচনা
শীতের আমেজ পড়তেই শহরে শুরু চারুকলা উৎসব। উদ্যোগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় রবীন্দ্রসদনের মঞ্চে মেলার উদ্বোধন করেন কলকাতার মহানাগরিক তথা নগরোন্নয়ন ও পৌর বিষয়ক মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, রাজ্যের শিক্ষা বিভাগের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, তথ্য-সংস্কৃতি এবং কারিগরি শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, রাজ্য চারুকলা পর্ষদের সভাপতি যোগেন চৌধুরী ও সহ সভাপতি শুভাপ্রসন্ন প্রমুখ। শিল্পীদের সম্মাননা জ্ঞাপন ও পুরস্কার প্রদানও ছিল অনুষ্ঠানের অঙ্গ। রবীন্দ্রসদন ছাড়াও গগনেন্দ্র শিল্প প্রদর্শনশালা, অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস, নন্দন প্রাঙ্গণ ও একতারা মঞ্চে এই মেলা চলবে। ৫০ জনের অধিক শিল্পী একযোগে ছবি এঁকে এই অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। মেলা চলবে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত।
গোদরেজের নতুন হেয়ার কালার
গোদরেজ প্রফেশনাল বাজারজাত করল হেয়ার কালার কালেকশন ‘ডাইমেনশন ওমব্রেয়াজ’। কলকাতায় প্রায় ১০০ জন হেয়ার স্টাইলিস্টকে নিয়ে এক ওয়ার্কশপে এই কালেকশনের চারটি হেয়ার কালার ব্যবহারের পদ্ধতি দেখানো হয়। উপস্থিত ছিলেন সংস্থার জাতীয় টেকনিক্যাল প্রধান হিনা দলভি এবং হেয়ার কেয়ার বিভাগীয় প্রধান নীরজ সেনগুট্টুভান। হেনা বলেন, ‘চুলে সঠিক রং এবং কাট থাকলে তবেই দেখতে ভালো লাগে। রং করলে কখনও চুল সাদা হয়ে যায় না। এটা মিথ। তবে পেশাদারের সাহায্যে চুলে রং করান এবং রঙের পর প্যারাবেন ফ্রি শ্যাম্পু দিয়ে যত্ন জরুরি।’ হেয়ার কালারের নতুন ট্রেন্ড এবং স্টাইল টেকনিক সম্পর্কে জানানোই তাঁদের উদ্দেশ্য বলে জানান তিনি।
ম্যাক্সমুলার ভবনের
৬৫তম বর্ষপূর্তিতে প্রদর্শনী
পার্ক ম্যানসনে, গ্যেটে ইনস্টিটিউট-ম্যাক্সমুলার ভবনের প্রধান সিঁড়ি জুড়ে শুধু মেঘের ঘনঘটা। এই হালকা শীতের আমেজেও মেঘকে ভালোবেসেছেন জার্মান শিল্পী কাতিয়া দাভার। গ্যেটে ইনস্টিটিউট কলকাতার ৬৫তম বর্ষপূর্তিতে তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ম্যাক্সমুলার ভবন কর্তৃপক্ষ। তাঁর ড্রয়িং ও স্কেচিংয়ে অনবদ্য ‘অন কেবলস অ্যান্ড কিউমুলাস’ দিয়েই সেজেছিল ভবন। নামেই যেখানে কেবলস ও কিউমুলাস রয়েছে, সেখানে মনের নানা ভাবনার তার ও মেঘলা আকাশকে ছোঁয়ার প্রসঙ্গ আসবেই। নিজস্ব ঘরানায় মেঘের রূপ এঁকেছেন দাভার। মানুষের মনের দ্বন্দ্ব, মনখারাপ, উচ্ছ্বাস সবকিছুর সঙ্গেই মেঘের যোগসূত্রকে গেঁথেছেন শিল্পী। মেঘকে রূপক ধরে মানবজীবনের নানা অধ্যায় সেখানে নিহিত রেখেছেন। গ্যেটে ইনস্টিটিউট কলকাতার ৬৫ বছর পূর্তির এই অনুষ্ঠানে অন্যতম আকর্ষণ ছিল ইগনাজ শিক ও দেবজিৎ মহলানবিশের সঙ্গীতানুষ্ঠানও।