পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আয়োজনে ফ্যাশন শো
সারা বছরই দিন কাটে রোগী, ওষুধ ও স্টেথোস্কোপ নিয়ে। এবার তাঁদের বাঁধাধরা রুটিনের মধ্যে একটু অন্যরকম একটা সন্ধে উপহার দিল বি পি পোদ্দার হাসপাতাল। সম্প্রতি নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হল এক ভিন্ন স্বাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তার মধ্যে সবচেয়ে নজরকাড়া ছিল চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ফ্যাশন শো। রীতিমতো পেশাদার মডেলদের মতোই পোশাক ও মেকআপে সেজে র্যাম্প কাঁপালেন তাঁরা। তবে ডিউটি ফাঁকি দিয়ে নয়, বরং সময় মেনে কাজ শেষ করে তাঁরা যোগ দিলেন অনুষ্ঠানে। তাঁদের সকলের জন্য পোশাক ভাবনা ও রূপায়ণে ছিলেন বুটিক ‘দশভুজা’-র কর্ণধার ডালিয়া বি মিত্র। প্রত্যেকের পেশার দিকটি মাথায় রেখে পোশাকের নকশা করেছিলেন তিনি। মেদিনীপুরের পটচিত্রে মাছের বিয়ে, পাখির বিয়ে, শান্তিনিকেতনের আলপনা ও কাঁথার কাজে সেজেছিল পোশাকগুলি। শো স্টপার হলেন একানকার ক্রিটিকাল কেয়ার ইনচার্জ ডাঃ অংশুমান দত্ত, সার্জেন ডাঃ স্বস্তিক দত্ত ও নার্সিং ডিরেক্টর অসীমা ভট্টাচার্য। ফ্যাশন শো পরিচালনায় নম্রতা ভট্টাচার্য ও প্রতাপ শর্মা।
জিটো-র শপথগ্রহণে মন্ত্রীর আশ্বাস
সম্প্রতি জৈন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জিটো)-এর প্রতিষ্ঠা ও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হল। জিটো কলকাতার এই অনুষ্ঠানে গণপতি ব্যাঙ্কোয়েটে সেদিন গণ্যমান্যদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। হাজির ছিলেন রাজ্যের শিল্প, বাণিজ্য এবং নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজা, জিটো-র চেয়ারম্যান ভাবেন কামদার, মুখ্য সচেতক রোহিত সুরানা প্রমুখ। বিশ্বব্যাপী এই প্রতিষ্ঠানে যুক্ত রয়েছেন নানা শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন পেশাদাররা। প্রায় ৩৭ হাজার সদস্য রয়েছে এদের। ‘আগামী দু’বছরের মধ্যে কলকাতায় বিনিয়োগ ও শিল্প গড়ার লক্ষ্য নিয়েছে জিটো’, জানালেন চেয়ারম্যান ভাবেন কামদার। জিটোর সঙ্গে যুক্ত উদ্যোগপতিদের এই রাজ্যে বিনিয়োগের জন্য স্বাগত জানান মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি জানিয়েছেন, বিনিয়োগের প্রশ্নে রাজ্য সরকারের সবরকম সহযোগিতা জিটো পাবে।
মহাবীর দানওয়ারের নতুন পথ চলা
সম্প্রতি কলকাতার পার্ক স্ট্রিটে মহাবীর দানওয়ার জুয়েলার্স তাদের নতুন শোরুম শুরু করল। সোনা ও হীরের অলঙ্কারের জগতে মহাবীর দানওয়ার ৫২ বছরের পুরনো প্রতিষ্ঠান। পার্ক স্ট্রিটের এই নতুন ৩০০০ বর্গফুটের শোরুমটির অন্দরসজ্জাও দেখার মতো। এখানে রয়েছে পোলকি, কুন্দন, সোনা ও হীরের গয়নার এক বিপুল সম্ভার। এদের প্রতিটি গয়নার নকশা, উন্নত কারিগরি গ্রাহকদের আকর্ষণ করবে। সোনা ও হীরের নানা অ্যান্টিক কালেকশনও এখানে পাবেন।
সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় এক্সোটিকা বিউটি স্যালোঁ
তানিশক মিস সাউথ বেঙ্গল প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছিল এক্সোটিকা বিউটি স্যালোঁ। এর কর্ণধার কল্পিতা দে শিকদারের উদ্যোগে গত ৯ বছর ধরেই এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বাছাই ১৫ জন প্রতিযোগীকে দু’মাস ধরে গ্রুমিং করিয়ে এই প্ল্যাটফর্ম দেওয়া হয়। রাজ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাড়ি ও তানিশক-এর গয়নায় সেজেছিলেন প্রতিযোগীরা। বিশেষ বিচারক হিসেবে হাজির ছিলেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। বেশ কয়েকটি রাউন্ডের পর সৌন্দর্য ও মেধার বিচারে প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন নন্দিনী মুখোপাধ্যায়। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন রানি মাহাতো ও ঈশানী চট্টোপাধ্যায়।
কলকাতায় শোরুম আরএকে সিরামিক্স-এর
কলকাতায় প্রথম ফ্ল্যাগশিপ শোরুম শুরু করল আরএকে সিরামিক্স। আন্তর্জাতিক স্তরে এই ব্র্যান্ড বেশ জনপ্রিয়। বাড়ি তৈরির নানা টাইলস ও সিরামিক্স নিয়ে প্রায় ১৫০টি দেশে আরএকে পরিষেবা দেয়। কলকাতার তপসিয়ায় তিরুমালা বিল্ডিংয়ে ৪০০০ বর্গফুটের নতুন শোরুমটি বেশ সুসজ্জিত। সেখানে একই ছাদের তলায় বেসিন, কমোড, বিভিন্ন র্যাকের সিরামিক, দেওয়াল ও মেঝের টাইলস মিলবে। বিদেশে ব্যবহৃত নকশাদার ম্যাট ফিনিশের টাইলসও এখানে পাবেন। নানা পেন্টিংয়ের উপর ভিত্তি করে তৈরি টাইলসগুলো সত্যিই ঘরের সাজে যোগ করবে আলাদা মাত্রা। মধ্যবিত্তের বাজেটের মধ্যে থাকবে এমন নানা সিরামিক টপ এখানে পাবেন। বেসিন ও কমোডের ফিনিশিং ও নকশা আলাদা করে নজর কাড়বে। সংস্থার সিইও অনিল কে বিজাওয়াত জানালেন, ‘কলকাতার মানুষের চাহিদা ও রুচির কথা ভেবেই নতুন শোরুম সেজেছে। এখানে যেমন ১০০০-১২০০ টাকার মধ্যে পছন্দের উপাদান গ্রাহক পাবেন, তেমন বাজেট বেশি হলে বিদেশি উপাদানও সহজেই পছন্দ করতে পারেন।’
পেপারফ্রাই-এর নতুন স্টুডিও কালিকাপুরে
কালিকাপুরে নিজেদের নয়া স্টুডিও খুলল পেপারফ্রাই। ই কমার্স ও বাড়ির আসবাব নির্মাণে এই সংস্থা বেশ জনপ্রিয়। কৃষ্ণ এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে জুটি বেঁধে কালিকাপুরের গরফায় ১০০০ বর্গফুট এলাকা জুড়ে তৈরি হয়েছে এই শোরুম। বর্তমানে দেশের একশোটিরও বেশি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে এই সংস্থা। বাড়ির প্রতিটি ঘরের জন্য প্রয়োজনীয় মাপ ও নকশা অনুযায়ী আসবাব মিলবে এখানে। চাইলে কাস্টমাইজ আসবাব কেনার সুযোগও পাবেন ক্রেতারা। নতুন এই শোরুম প্রসঙ্গে পেপারফ্রাই-এর ফ্র্যাঞ্চাইজিং অ্যান্ড অ্যালায়েন্সেজের বিজনেস হেড, অম্রুতা গুপ্তা জানালেন, ‘কৃষ্ণ এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে মিলে নতুন শোরুমটি খুলতে পেরে আমরা আনন্দিত। ধারাবাহিকভাবে উন্নত মানের আসবাব প্রস্তুতি ও পরিষেবা দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।’
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য প্রশিক্ষণকেন্দ্র সেরাম-এর
সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশনের উদ্যোগে শুরু হল বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ছেলেমেয়েদের জন্যে তৈরি বিশেষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ‘ভরসা’। এই সংস্থার আনুষ্ঠানিকভাবে পথ চলার সূচনা মুহূর্তে কলকাতা প্রেস ক্লাবে উপস্থিত ছিলেন সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশনের সম্পাদক সঞ্জীব আচার্য, স্বামী সারদাত্মানন্দ, ভরসা-র অধ্যক্ষা দূর্বা গঙ্গোপাধ্যায়, ডাঃ জাহির আব্বাস এবং আরও বিশিষ্ট জন। স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষে সংস্থার এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন সঞ্জীব আচার্য। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে তাঁরা কাজ করবেন। নানা কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে সেই শিশুদের মানসিক বিকাশ ও তাদের স্বনির্ভর করার জন্য ক্লাসও চলে এখানে।