পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
নেপালি ভাষায় দো অর্থাৎ দুই। বান-এর অর্থ মধ্যবর্তী। দোবান অর্থে দুই স্থানের মধ্যবর্তী। ঋষি এবং রংপো নদীর জংশনে অবস্থিত দোবান। সবুজে মোড়া পাহাড় আর দুটো নদী মিলে পাহারা দিচ্ছে দোবানকে। নিস্তব্ধতা এখানকার রিংটোন। শহুরে কোলাহল থেকে দিন কয়েকের বিশ্রাম চাইলে আজই প্ল্যান করে ফেলুন। বেড়াতে গিয়েও বহু পর্যটকের সমাহার হয় কোনও কোনও জায়গায়। সেদিক থেকে দোবান একেবারে আলাদা। এককথায় পাখিপ্রেমীদের স্বর্গরাজ্য। অজস্র পাখি যাদের ওই ভ্যালিতেই বাড়ি, তারা আপনার সঙ্গে দেখা করতে আসবে সকাল-বিকেল। ভূগোল বইতে ‘হিমালয়ান বার্ড’ নামে যাদের পরিচিতি এককালে মুখস্থ করেছেন, এবার তাদেরই সঙ্গে মোলাকাতের সুযোগ। ঋষি নদীর উপর ছোট্ট কাঠের ব্রিজ রয়েছে। রোরাথাং ব্রিজ ধরে জঙ্গলের মধ্যে হাঁটতে যেতে পারেন। পাথুরে রাস্তায় মনকেমনের ওষুধ হবে পাখির গান। ট্রেকিং পছন্দ হলে রিভার বেড ধরে পৌঁছে যান পেডং। জলে নেমে মাছ ধরতে পারেন। তবে অভিজ্ঞতা ছাড়া এসবের ঝুঁকি না নেওয়াই ভালো। পুজোর ছুটিতে এবার এই রুটে ঘুরে আসতে পারেন। তার জন্য এখন থেকেই পরিকল্পনা জরুরি।
কীভাবে যাবেন: কালিম্পং সাব ডিভিশনের অন্তর্গত এই স্থান। কিন্তু দোবান-এ পৌঁছতে গেলে পূর্ব সিকিমের রোরাথাংয়ের দিক দিয়ে যাওয়া ভালো। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নেমে শেয়ারের গাড়ি ধরে গ্যাংটক সেখান থেকে রংপো। রংপো থেকে ফের গাড়ি বদলে রোরাথাংপাস পৌঁছলেই আপনার গন্তব্য। রংপো-রোথাংপাস রাস্তার উপর ব্রিজ আছে। হোমস্টে-তে আগে থেকে বলা থাকলে তাঁরা গাড়ি পাঠিয়ে ওই ব্রিজের কাছ থেকে অতিথিদের নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেন। রোরাথাং ব্রিজ থেকে দোবান পর্যন্ত শেষের দুই কিলোমিটার রাস্তা বেশ খারাপ। প্রয়োজনে হেঁটেও যেতে হতে পারে। সেই কষ্ট করতে পারলে তবেই পরিকল্পনা করুন। দোবানে একটাই হোমস্টে। কান্নান ভ্যালি হোমস্টে। সেখানে কয়েকটি কাঠের কটেজ রয়েছে। শীতকাল যাওয়ার জন্য আদর্শ সময়। সেপ্টেম্বর থেকে এপ্রিল আনন্দ করে ঘুরতে পারবেন। বর্ষায় রোরাথাং ব্রিজ থেকে কান্নান ভ্যালি হোম স্টে পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ থাকে। যাওয়া যায় না। ফলে হোমস্টে-র মালিক বুকিং নেন না।
বাজেট: এনজেপি থেকে রংপো শেয়ার গাড়িতে মাথাপিছু খরচ ৪০০ টাকার কাছাকাছি। রংপো থেকে রোরাথাং ব্রিজ পর্যন্ত শেয়ারের গাড়িতে যেতে মাথাপিছু খরচ কম-বেশি ১০০-১৫০ টাকা। কান্নান ভ্যালি হোম স্টে-তে দৈনিক মাথাপিছু থাকা এবং খাওয়ার খরচ ১৫০০ টাকার কাছাকাছি।