১৮৯৩ সালে শিকাগোতে প্রথম বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে হিন্দুধর্মের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রেখে গোটা জগৎকে নাড়িয়ে দিয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। এই ঘটনার ৪০ বছর পরে শিকাগোতেই অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় বিশ্ব ধর্ম সম্মেলন। ডঃ মহানামব্রত ব্রহ্মচারী ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে বিশ্বমথিত করেছিলেন। মহানামব্রতজি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংস্কৃতে প্রথম শ্রেণিতে স্বর্ণপদক সহ মাস্টার্স করেছিলেন। দর্শনেও করেছিলেন মাস্টার্স। এরপর শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট এবং বৃন্দাবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি ফিল। কিন্তু শিক্ষাগত যোগ্যতা নয়, মহানামব্রতজির আসল পরিচয় তাঁর আধ্যাত্মিকতায়, তাঁর দেশপ্রেমে, তাঁর মানবপ্রেমে। তাঁর জীবনের আধ্যাত্মিকতাসহ অন্য দিকগুলি সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত সুখপাঠ্য করে লিখেছেন চিদানন্দ গোস্বামী। বিভিন্ন সময়ে সাপ্তাহিক বর্তমান, দৈনিক বর্তমান সহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সেই লেখাগুলি প্রকাশিত হয়েছিল। সব ক’টি লেখা সংকলিত করে দুই মলাটের মধ্যে গাঁথা হয়েছে ‘মহানামব্রত সন্নিধানে’ নাম দিয়ে।
লেখকের সম্বন্ধে দু’চারটি কথা বলা দরকার। চিদানন্দবাবু মূলত সাহিত্যসেবী, কবি ও সাংবাদিক। আদতে ত্রিপুরার বাসিন্দা। তাঁর পিতা ছিলেন ত্রিপুরার রাজপরিবারের কুলগুরু। মহানামব্রতজির সংস্পর্শে আসার সুযোগ হয় চিদানন্দবাবুর। তখন এই মহাপ্রাণের বহু ঘটনার কথা তিনি জেনেছেন, শুনেছেন। তার ভিত্তিতে তাঁর গুরুনিষ্ঠা এবং প্রভু জগদ্বন্ধুর প্রতি গভীরতম আত্মসমর্পণের উদ্দীপনাময় অধ্যায়কে ধরার চেষ্টা করেছেন তিনি।
মহানামব্রত সন্নিধানে/চিদানন্দ গোস্বামী/অহর্নিশ/১৭৫ টাকা
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী