গ্রীষ্ম বা ভাদ্রের পচা গরমের সঙ্গে তুলনা চলে না ঠিকই, তবু এই বসন্তেও বেশ ভাবাচ্ছে আবহাওয়ার উষ্ণতা। বেলা বাড়লে ঘাম ঝরছে ভালোই। চৈত্র পেরলেই আবার প্রখর বৈশাখ। তাই শীতাতপ যন্ত্রের ব্যবস্থা রাখুন এইবেলা। কোন সংস্থায় ভরসা রাখবেন, দামই বা কেমন?

ক্যালেন্ডার বসন্ত বললেও আবহাওয়া বলছে ঘাম ঝরানো গরমের দিন এসে গেল। আর প্রতি বছরই বেশ কয়েকটি গৃহস্থ বাড়িতে এই সময় ঘর ঠান্ডা রাখার মেশিনপত্রের খোঁজ শুরু হয়। নানা সংস্থাও নিজেদের বাজার বুঝে নতুন নতুন বৈশিষ্ট্যের নানা মডেল তৈরি করেন। এবছরও তার ব্যত্যয় নয়। করোনার প্রকোপে এয়ার কন্ডিশনারের বাজার বেশ খানিকটা পড়ে গেলেও আবার কিছুটা চাঙ্গা হয়েছে বিক্রিবাটা। তাই প্রখর অগ্নিবাণের বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ আসার আগেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের বেশ কিছু নতুন মডেল এসেছে বাজারে। দেখেশুনে দরদাম করে কিনে ফেলতে পারেন আপনিও। শুধু বুঝে নিতে হবে ঘরের মাপ অনুযায়ী কত টনের এসি লাগবে। সাধারণত ১০/১০-এর মাপ পর্যন্ত ঘর ও সেই ঘরে আসবাব বেশি থাকলে এক টনের এসি হলেই কাজ চলে। কিন্তু ঘরের ক্ষেত্রফল তার চেয়ে বেশি হলে দেড় টনকে বাছাই সুবিধাজনক। ওজন না হয় বোঝা গেল, কিন্তু মডেল কেমন? কোন মডেলের কেমন দাম তাও তো জানা প্রয়োজন! গরমের সঙ্গে পাল্লা দিতে জেনে নিন সেসবও।
আইএফবি: ওয়াশিং মেশিনের জগতে নাম করার পর এসি-র ব্যবসাতেও নিজেদের পোক্ত করে তুলতে সচেষ্ট এই সংস্থা। তাই ফাস্টকুল গোল্ড সিরিজের ইনভার্টার এসি বাজারে এনেছে তারা। দেড় টন ওজনের এই স্প্লিট এসি ফাইভ স্টার বিশিষ্ট। কন্ডেনসরের কয়েলটিও তামার। উচ্চপ্রযুক্তি দিয়ে তৈরি এই যন্ত্রে ঘর যেমন দ্রুত ঠান্ডা হবে তেমনই বিদ্যুৎ খরচও বাঁচবে অনেকটাই। দোকান থেকে কিনলে দাম পড়বে ৫৫ হাজারের আশপাশে। তবে অনলাইনে কিনলে অফারে পাবেন ৪৩ হাজার ৪৯৯ টাকায়। সাধারণ নিয়মে ইএমআইতেও কিনতে পারেন।
ডাইকিন: এসির জগতে এদের বেশ নামডাক আছে। যাঁদের ঘর একেবারেই ছোট বা ছোট অফিস রুমের জন্য একটা এসি খুঁজছেন, তাঁদের কথা ভেবে এক টনেরও কম ওজনে মাত্র ০.৮ টনের একটি স্প্লিট এসি বাজারে এনেছে এই সংস্থা। এটিরও কন্ডেনসরের কয়েলটিও তামার। তবে এটি থ্রি স্টার রেটিং যুক্ত। ইনভার্টার পরিষেবা এতে পাবেন না। ছোট ঘরের জন্য এই এসি খুব কার্যকরী। ২৭,২০০ টাকা দামের এই মডেলটি অনলাইনে কিনলে ২৩,৪৯৯ টাকায় পাবেন। ইএমআই মারফতও কিনতে পারেন।
হিতাচি: এসির জগতে এরা তুমুল জনপ্রিয়। অনেকের মতে, এরা সেরা সংস্থাও। বিদেশি প্রযুক্তিতে তৈরি এদের যন্ত্র তাপমাত্রা খুব কম না করেই ঘর দ্রুত ঠান্ডা করে। এদের ঠান্ডা হাওয়াও হাড়কাঁপানো নয়। বরং ভারতীয় উপমহাদেশের আবহাওয়ার জন্যও খুব মনোরম। ইনভার্টার স্প্লিট এসিতে কপার গোল্ড মডেল এনেছে এরা। এদের কপার কন্ডেনসরটি দেখভাল করার ঝঞ্ঝাটও তেমন
নেই। মেশিনের গায়ে সোনালি রেখা এই মডেলের গেটআপেও একটা আলাদা চটক এনেছে। এর কন্ডেনসরের ওপর ১০ বছর ও কন্ট্রোলারের ওপর ৫ বছর ওয়্যারেন্টি পাবেন। ৪৩ হাজার টাকার আশপাশেই এর দাম।
প্যানাসনিক: যাঁরা স্প্লিটের পরিবর্তে উইন্ডো এসি খুঁজছেন, তাঁদের জন্য প্যানাসনিকের উইন্ডো এসি বেশ পছন্দের হতে পারে বলে সংস্থার দাবি। ফাইভ স্টার বিশিষ্ট এই এসি মেশিনটির কম্প্রেসরের ওপর ৫ বছর ওয়্যারান্টি রয়েছে। অনেকটা ক্ষেত্রফল জুড়ে ঠান্ডা ভাব বজায় রাখার ব্যবস্থা, বিদ্যুৎসাশ্রয় ও দ্রুত গরম ঘরকে ঠান্ডা করে তোলা এই মডেলের মূল বৈশিষ্ট্য। দেড় টন ওজনের এই যন্ত্রের বাজারমূল্য ৩৭,৫০০ টাকা। তবে অনলাইনে কিনলে ৩০,৯৯০ টাকার বিনিময়েই মিলবে এই মডেল।
ব্লু স্টার: বাজেট যদি ৪০ হাজারের নীচে হয়, অথচ সবরকম আধুনিক সুবিধাযুক্ত এসি কিনতে চান, তাহলে ব্লু স্টার আপনার অন্যতম পছন্দের ব্র্যান্ড হতে পারে। ছিমছাম নকশার এই মডেলটি দেড় টন ওজনের। কন্ডেনসরের ওপর ৫ বছর ও কম্প্রেসরের ওপর ১০ বছর ওয়্যারান্টি রয়েছে। ডাস্ট ফিল্টার ও ইনভার্টার যুক্ত এই এসি অনলাইনে কিনলে দাম পড়বে ৩৮,৯৯০ টাকা।