উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
কলকাতা দূরদর্শনের প্রথম ঘোষিকা চৈতালি দাশগুপ্ত। তাঁর মিষ্টি হাসি, সুরেলা কণ্ঠ আর স্নিগ্ধ ব্যক্তিত্ব আজও দর্শকের চোখের সামনে ভাসে। নানা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা, আবৃত্তি, শ্রুতিনাটকের পাশাপাশি শাড়ি পোশাক-গয়নার ডিজাইনও তাঁর প্যাশন। বাড়িতেই ছড়িয়ে আছে নিজের ডিজাইনে তৈরি শাড়ি পোশাকের সম্ভার। নাম ‘শ্রাবস্তী।’
সম্প্রতি শ্রাবস্তীর বয়স আঠাশ পূর্ণ হয়েছে। শুরুর দিনের কথা বলতে গিয়ে চৈতালি নস্টালজিক। বললেন, ‘আমি চেয়েছিলাম বাংলার শিল্প-সংস্কৃতির রুচিবোধ পরের প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে। শাড়ি পোশাকের ক্যানভাস করে সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আজও।’
শ্রাবস্তীর পদ্য পোশাক একসময় খুব নাম করেছিল। কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় তাঁর বেশ কয়েকটি ছড়া ও কবিতা চৈতালিকে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছিলেন এবং উৎসাহিত করেছিলেন। ছোটদের টিশার্টে ‘তেলের শিশি ভাঙলো বলে খুকুর পরে রাগ করো’ কিংবা ছেলেদের পাঞ্জাবিতে ‘প্রিয়, ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য’ আজও সমান জনপ্রিয়।
এবার পুজোর জন্য আলাদা করে ভাবনাচিন্তা করে শাড়ি তৈরি করেননি চৈতালি। তবে বাংলার তাঁতশিল্পীদের বাঁচাতে তাঁদের দিয়ে নানা ধরনের শাড়ি বুনিয়েছেন। বাটিক আর কাঁথাকাজের শিল্পীদের পুজোর জন্য কাজ দিয়েছিলেন লকডাউনের অনেক আগেই। সেসব শাড়িও এসে গিয়েছে শ্রাবস্তীতে। এবার পুজোয় নতুন তিনটি জিনিস করেছেন চৈতালি— কাপড়ে কাঁথাকাজ করা গয়না যেটা বাড়ি ফিরে কেচে নেওয়া যাবে, কাঁথাকাজের টু-ইন ওয়ান মাস্ক কাম গয়না এবং ‘আবোল তাবোল’ সিরিজের কোস্টার ও ওয়াল ডেকরেশন। ঘর সাজানোর খুব সুন্দর সুন্দর জিনিস পাওয়া যাবে শ্রাবস্তীতে। এখন অনলাইন কেনাকাটাই বেশি হচ্ছে। শ্রাবস্তীর পেজ দেখে অর্ডার করলে বাড়িতে পৌঁছে যাবে পছন্দের জিনিসটি। দামও সাধ্যের মধ্যেই।
ফোন: ৯৮৩০০২৭৩০৮