প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
বিভিন্ন দেশ দ্রুত সংক্রমণ এড়ানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিয়েেছ। জন সাধারণকে মেনে চলার জন্য সময়ে সময়ে একাধিক সুপারিশ করা হয়েছে। সেই সব সুপারিশগুলির মধ্যে অন্যতম, হাতকে জীবাণুমক্ত করা। কারণ, এই হাতের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু আমাদের মধ্যে প্রবেশ করে।
হাতকে জীবাণুমুক্ত রাখার জন্য বিভিন্ন সময়ে সাবান ও জলের সাহায্যে হাত পরিষ্কার করার কথা বলা হয়েছে। আর যেখানে জল ও সাবান সহজলভ্য নয়, সেখানে অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এখন বাজারে পাওয়া হ্যান্ড স্যানিটাইজারে ইথাইল অ্যালকোহল বা ইথানল এবং আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল বা আইসোপ্রোপানলের ব্যবহার আইনত স্বীকৃত। ইথানলের ব্যবহার অনেক দিন আগে থেকেই আমরা জানি। এটি মূলত সুরা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানই ব্যবহার করে। এর জীবাণুনাশক ক্ষমতা সম্পর্কেও আমরা ওয়াকিবহাল। সেই জায়গায় পেট্রোলিয়াম পরিশোধনের সময় উপজাত দ্রব্য হিসেবে পাওয়া প্রোপিন-এর সঙ্গে বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটিয়ে তৈরি আইসোপ্রোপানল অপেক্ষাকৃত নতুন। আইসোপ্রোপানলেরও ইথানলের মতো জীবাণুনাশক ক্ষমতা রয়েছে। সেজন্য ত্বকের ওপরে জীবাণুনাশক হিসেবে এর ব্যবহারও আইনত স্বীকৃত।
বর্তমানে এই দুটি অ্যালকোহল ছাড়া আর অন্য কোনও ধরনের অ্যালকোহলকে জীবাণুনাশক হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতি নেই।
আইসোপ্রোপানল অত্যন্ত উদ্বায়ী পদার্থ। ত্বকে ব্যবহারের জন্য এর সঙ্গে জল মেশানো হয়, যাতে সহজে উড়ে না যায় এবং অনেকক্ষণ ধরে থাকে। সেকারণে এর ফলে কার্যকািরতাও বৃদ্ধি পায়। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে, এর পরিমাণ যেন ৬০ শতাংশের কম না হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) তাদের নির্দেশিকায় হ্যান্ড স্যানিটাইজারে ৭৫ শতাংশ আইসোপ্রাপনল ব্যবহারের সুপারিশ করেছে। বর্তমান বাজারে পাওয়া ‘রাবিং অ্যালকোহল’-এ ৭০ শতাংশ আইসোপ্রোপানল রয়েছে। আইসোপ্রোপানল যদিও স্বীকৃত হ্যান্ড স্যানিটাইজার, তবুও এর ব্যবহার সতর্কতার সঙ্গে করতে হয়। এটি অত্যন্ত জ্বলনশীল পদার্থ। সামান্য অসতর্কতায় অগ্নিকাণ্ড বা বিস্ফোরণ ঘটে যেতে পারে। তাই খুব বেশি তাপমাত্রায় এবং কোন জ্বলন্ত জিনিসের সংস্পর্শে বা কাছাকাছি আনা যাবে না। এই বিষাক্ত পদার্থ শরীরের ভিতর প্রবেশ করলে শ্বাসনালি, খাদ্যনালি, চোখ, ত্বক প্রভৃতি অঙ্গের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। এখানেই শেষ নয়, ক্রমাগত শুঁকতে থাকলে বা এর গন্ধ নাকে গেলে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনাও থাকে।
তবে করোনা সংক্রমণ এড়াতে সঠিক মাত্রায় বিশেষভাবে প্রস্তুত আইসোপ্রোপানল ব্যবহার নিরাপদ। হাতের জীবাণুনাশক হিসেবে একে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যায়। তাই হ্যান্ড স্যানিটাইজার কেনার ক্ষেত্রে আমাদের সর্বদা সতর্ক হতে হবে। অবশ্যই কোনও প্রতিষ্ঠিত সংস্থার প্রস্তুত করা হ্যান্ড স্যানিটাজারই ব্যবহার করা উচিত।