বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গত সপ্তাহে আপনাদের বাড়ি বসে মাছ মাংস, শাক সব্জি, মুদিখানার জিনিসপত্র, ছাতা, রেন কোট, কসমেটিক্স, ইলেকট্রনিক আইটেম কেনার সন্ধান দিতে পেরেছিলাম। এই সপ্তাহে আরও অন্যরকম দরকারি জিনিস কীভাবে ঘরে বসে পাবেন, তার খোঁজ দিচ্ছি। আবারও বলি এটা কিন্তু অনলাইনে জিনিস কেনা নয়। আপনার পছন্দের স্টোর থেকে পছন্দের
জিনিসটি কেনা।
• প্রিয়গোপাল বিষয়ী কলকাতার নামী শাড়ি প্রতিষ্ঠান। আনলক ওয়ান থেকে এদের গড়িয়াহাট, বড়বাজার, কাঁচড়াপাড়ার শোরুম খুলে গিয়েছে। কিন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে অনেকেই বেরোতে চাইছেন না। অথচ কোনও কারণে কেনাকাটা করার দরকার আছে। এই ক্রেতাদের কথা ভেবে কর্তৃপক্ষ হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা করেছেন। এদের ফেসবুকের পেজে সব ধরনের কালেকশন দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়াও যদি কেউ ভিডিও কলে বা হোয়াটসআপে শাড়ির ছবি দেখে সিলেক্ট করতে চান তারও সুযোগ আছে বলে জানালেন প্রিয়গোপাল বিষয়ীর কর্ণধার সৌম্যজিৎ লাহা। পেমেন্ট করতে হবে গুগল পে বা ব্যাংক ট্রান্সফার করে। তারপর পছন্দের জিনিস পৌঁছে যাবে ঠিকানায়। যোগাযোগ গড়িয়াহাট ৭০৪৪০৮৮৪০৮, কাঁচরাপাড়া ৭০৪৪০৬২০০০
• দশভূজা এই সংক্রমণের সময়ে একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জিনিস তৈরি করেছে। নাম দিয়েছে মাস্কানা। লকডাউন-টু তে যাঁরা কাজে বেরোচ্ছেন, তাঁদের সেফটির কথা মাথায় রেখে এটা তৈরি। নাক মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক আর চুল ঢাকার জন্য ব্যান্ডানা দুটোর মিলমিশে এই মাস্কানা তৈরি করেছেন ডিজাইনার ডালিয়া মিত্র। একেবারে সুতির কাপড়ে তৈরি। তাই গরমেও কষ্ট হবে না। বরং নিজের একটা স্টাইল স্টেটমেন্ট তৈরি হবে আর সঠিক েপ্রাটেকশনও হবে। দাম ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকার মধ্যে। মাস্কও আছে নানা ধরনের। সবগুলোই ভেতরে হাইড্রফোবিক লেয়ার দেওয়া এবং কটনের। শাড়ি বা পোশাকের সঙ্গে মানানসই মাস্ক আর মাস্কানা পাবেন। যাঁরা ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছেন, তাঁদের জন্য স্মার্ট আরামদায়ক কটন ড্রেস , কুর্তি, স্লিভলেস জ্যাকেট তৈরি হয়েছে। এগুলো পরে অনায়াসে ভিডিও মিটিং বা কনফারেন্স করতে পারবেন। এছাড়া মলমল প্রিন্ট, বাটিক, মিক্স ম্যাচ মলমল রয়েছে। বাংলাদেশি ঢাকাই শাড়ির নতুন কালেকশন আছে । প্রতিটি জিনিসই হোম ডেলিভারি করা হবে। আপনি চাইলে এরা ভিডিও কলে জিনিসপত্র দেখিয়ে দেবে। গুগল পে বা ব্যাংক ট্রান্সফার করে পেমেন্ট করলেই আপনার বাড়িতে চলে যাবে পছন্দের জিনিসটি। যোগাযোগ ৯৮৩০০৪১৫৯৪
• এক্সিন ফ্যাশন তাদের স্টক ক্লিয়ারেন্স সেল শুরু করেছে। গড়িয়াহাট থানার কাছে ডোভার প্লেসের এই স্টোরে পাবেন ভারতের সব প্রদেশের সিল্ক ও কটন শাড়ি। শাড়ি ছাড়াও রয়েছে মেয়েদের কুর্তি, কামিজ, ইন্দো-ওয়েস্টার্ন ও ওয়েস্টার্ন আউটফিট, ছেলেদের ও ছোটদের সব ধরনের রেডি টু ওয়্যার ড্রেস। এখন সব কিছুতে ফ্ল্যাট ৭০% ডিসকাউন্ট পাবেন। এই সংক্রমণের সময়ে যাঁরা স্টোরে গিয়ে কেনাকাটা করতে পারবেন না, তাঁদের জন্য এরা হোম ডেলিভারির সুবিধা দিচ্ছে। ভিডিও কলে শাড়ি পোশাক পছন্দ করে পেমেন্ট করতে হবে ব্যাংক ট্রান্সফার করে। বাড়িতে পৌঁছে যাবে পছন্দের জিনিস। যেহেতু ডিসকাউন্ট অফার চলছে তাই বদল করা যাবে না। যোগাযোগ ৯০৫১৮২২৪৪৬
• কৌশিকি’জ স্টোর খুলেছে। তবে এখন অনেকেই বাড়ি থেকে বেেরাতে চাইছেন না। তাই হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা করেছে এরা। ফেসবুক পেজে এদের পুরো কালেকশন দেখা যায়। কোনও বিশেষ শাড়ি দেখতে চাইলে এরা ভিডিও কল করে দেখার সুযোগ দিচ্ছে। যেমন ধরুন কেউ এদের এক্সক্লুসিভ কাঁথাকাজের সিল্ক বা তসর দেখতে চাইলেন বা এক্সক্লুসিভ ডিজাইনার সিল্ক দেখতে চাইলেন। পছন্দ করার পর ব্যাংক ট্রান্সফার করে দাম দিতে হবে। শাড়ি বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যোগাযোগ ৯৮৩০১২৬৬৪৪
• আরাধনা খুলেছে আনলক ওয়ান থেকেই। তবে সংক্রমণের কারণে যাঁরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে শাড়ি কিনতে যেতে চাইছেন না, তাঁদের জন্য এরা হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা করেছে। ফেসবুকে এদের পেজ রয়েছে। সেখানে নতুন ডিজাইন দেখানো হচ্ছে। নতুন নকশার মধ্যে রয়েছে হ্যান্ডলুমে কটকি কাজ ১৫০০টাকা থেকে শুরু, মসলিনে প্রজাপতি বুটি, ত্রিভুজ বুটি ২৬০০টাকা থেকে দাম শুরু, মসলিনে হাতের কাজ করা ঢাকাই ৪০০০টাকা থেকে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া নানান ধরনের টাঙ্গাইল তো আছেই। যদি কেউ ভিডিও কলের মাধ্যমে শাড়ি দেখতে চান, তাও দেখিয়ে দেবে এরা। কলকাতার মধ্যে হলে ক্যাশ অন ডেলিভারি হতে পারে। দূরের ক্রেতারা ব্যাংক ট্রান্সফার করে পেমেন্ট করলে শাড়ি পৌঁছে যাবে বাড়ি। যোগাযোগ ৯৮০৪৬০৬৪৯৩
• ডালিয়া বাংলার তাঁতশিল্পীদের সাহায্যের জন্য সব সময় প্রস্তুত। এই তিন মাসে দোকানের মালিকদের যেমন ক্ষতি হয়েছে, তেমনই তাঁত শিল্পীদেরও খুব খারাপ অবস্থা। দোকান খুলে গেলেও অনেকেই শাড়ি কিনতে বেরনোর কথা ভাবতে পারছেন না। অথচ অনেকেরই শাড়ি কেনার দরকার। তাঁদের জন্য ডালিয়া ভিডিও কলে দেখিয়ে বা হোয়াটসআপে শাড়ির ছবি পাঠিয়ে বিক্রি শুরু করেছে। পছন্দ হলে ব্যাংক ট্রান্সফার করে দাম দিতে হবে। বাড়িতে পছন্দ করা শাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যোগাযোগ ৯৮৩১০০১২২৭
জেলারও অনেক ছোট বড় দোকান এখন এইভাবে বিক্রিবাটা শুরু করেছে। ব্যবসায় টিকে থাকতে তো হবে।