পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
কেন গুরুত্বপূর্ণ
ইথাইল অ্যালকোহল আমাদের শরীরে ব্যাকটিরিয়া ও ভাইরাসকে মেরে ফেলতে বা নিষ্ক্রিয় করতে সাহায্য করে। অ্যালকোহলের ঘনত্ব যদি ৬০ শতাংশ হয়, তাহলে যে কোনও ধরনের ভাইরাস ও ব্যাকটিরিয়াকে মেরে ফেলা বা নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া সম্ভব। তাই করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ক্রমশ হ্যান্ড স্যানিটাইজার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
কী কী উপাদনে তৈরি
বিশেষ এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে তৈরি করা হয় হ্যান্ড স্যানিটাইজার। সাধারণত হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করতে ইথাইল অ্যালকোহল বা ইথানল ব্যবহার করা হয়। বিশুদ্ধ জলে এই রাসায়নিক দ্রুত দ্রবীভূত হয়। এই রাসায়নিককেই আমরা অ্যালকোহল বলি। হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরিতে এই অ্যালকোহলের সঙ্গে গ্লিসারল, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড, বিশুদ্ধ জল, অ্যালোভেরা, নিম, তুলসী, সুগন্ধী প্রভৃতি উপাদানও যুক্ত হয়।
বাজারে এখন অনেক সংস্থারই উন্নতমানের হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাওয়া যাচ্ছে। তার মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হল—
বোরোলিনের রক্ষা
বোরোলিনের রক্ষা হ্যান্ড স্যানিটাইজার এখন খুব জনপ্রিয়। বিশেষ ফর্মুলায় এটি প্রস্তুত করা হয়েছে। উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ৭২ শতাংশ ইথানল, অ্যালভেরা ও নিম। সংস্থার দাবি, আন্তর্জাতিক নির্দেশিকা মেনে এই প্রোডাক্ট তৈরি। এটি ব্যবহার করলে ৯৯.৯৯ শতাংশ জীবাণুমুক্ত হবে হাত। শুধু জীবাণু মরবে না, এটি ত্বকের সুরক্ষায়ও কাজ করবে। প্রোডাক্টটি ১০০ এমএল-এর বোতলে পাওয়া যাচ্ছে। দাম ৫০ টাকা। সব ওষুধের দোকান, রিটেল স্টোর, ফ্লিপকার্ট, সস্তাসুন্দর ডট কম, বিগ বাস্কেট প্রভৃতি জায়গায় পাওয়া যাবে রক্ষা হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
বোরোপ্লাসের
হ্যান্ড স্যানিটাইজার
মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে একটি উচ্চমানের হ্যান্ড স্যানিটাইজার এনেছে ইমামি লিমিটেডের বোরোপ্লাস অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম বিভাগ। নতুন এই প্রোডাক্টটির নাম বোরোপ্লাস অ্যাডভান্সড অ্যান্টি-জার্ম হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এতে রয়েছে নিম, তুলসী, ৭০ শতাংশ অ্যালকোহল প্রভৃতি প্রয়োজনীয় উপাদান। সংস্থার মতে, প্রোডাক্টটি ব্যবহার করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ৯৯.৯৯ শতাংশ জীবাণুকে ধ্বংস করা সম্ভব হবে। শুধু তাই নয়, ত্বকও হবে কোমল। বাড়বে ‘অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল রেজিসট্যান্স’ ক্ষমতা। ৫০ মিলিগ্রামের দাম ২৫ টাকা, ১০০ মিলিগ্রামের দাম ৫০ টাকা, ২০০ মিলিগ্রামের দাম ৯৫ টাকা, ৩০০ মিলিগ্রামের দাম ১৪০ টাকা এবং ৫ লিটারের দাম পড়বে ২ হাজার ৪০০ টাকা। পাওয়া যাচ্ছে সব ই-কমার্স ওয়েবসাইট এবং ওষুধের দোকানে।
কেএমপি’র হ্যান্ড স্যানিটাইজার
এই সংস্থাটি অ্যাডভান্স ফর্মুলায় তৈরি করেছে তাদের ইনস্ট্যান্ট হ্যান্ড স্যানিটাইজার। সংস্থার মতে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডিরেক্টরেট অব ড্রাগ কন্ট্রোল অনুমোদিত এই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করলে ৯৯.৯৯ শতাংশ জীবাণুকে মেরা ফেলা সম্ভব হবে। প্রোডাক্টটি প্রস্তুত করতে ব্যবহার হয়েছে ৮০ শতাংশ ইথাইল অ্যালকোহল, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড, গ্লিসারিন ও বিশুদ্ধ জল। এতে লেবুর গন্ধও পাওয়া যাবে। ৫০ এমএল, ১০০এমএল, ২০০এমএল, ৫০০এমএলের বোতল এবং ৫ লিটার এবং ২০ লিটারের জারে পাওয়া যাচ্ছে। ৫০ এমএলের দাম ২৫ টাকা, ১০০ এমএলের দাম ৫০ টাকা, ২০০ এমএলের দাম ১০০ টাকা, ৫০০ এমএলের দাম ২৫০ টাকা। ৫ লিটারের দাম ২২০০ টাকা এবং ২০ লিটারের দাম ৬ হাজার টাকা। পাওয়া যাচ্ছে সর্বত্র।
এছাড়াও একাধিক সংস্থার উন্নতমানের হ্যান্ড স্যানিটাইজার বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। তবে যে সংস্থারই হ্যান্ড স্যানিটাইজার পছন্দ করুন, কেনার আগে অবশ্যই প্রোডাক্টটি সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য দেখে নেবেন
মনে রাখুন
কোনও সময়ই অপরিষ্কার হাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যাবে না। সব সময়ই পরিষ্কার হাতে এক চামচ স্যানিটাইজার নিয়ে ভালো করে মেখে নিতে হবে হাতের কোণায় কোণায়। যতক্ষণ না পর্যন্ত হাত শুকনো হচ্ছে, ততক্ষণ এই ভাবে মাখতে হবে। হাত ছাড়া দেহের অন্য কোনও অংশ, চোখ ও সংবেদনশীল ত্বকে কখনও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যাবে না। খেয়াল রাখতে হবে কোনওভাবে যেন মুখের মধ্যে প্রবেশ না করে। আর অবশ্যই খুব গরম জায়গা ও আগুন থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজারকে দূরে রাখতে হবে।