বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
কবি যতই বলুন, ‘যেমন আছো তেমনি এসো আর করো না সাজ’, তবু সব মেয়েই চান, কনের সাজে সজ্জিত হয়ে প্রিয় মানুষটির চোখে ধরা দিতে। আর বাঙালি মেয়ের কনে সাজ মানেই লাল টুকটুকে বেনারসি। বিয়ের দিনে পরার জন্যে মনের মতো বেনারসির খোঁজে তাঁরা পাড়ি দিতে রাজি উত্তর থেকে দক্ষিণে, পূর্ব থেকে পশ্চিমে। লকডাউনে বন্ধ ছিল দোকানপাট। আনলক ওয়ানে খুলছে বড় শোরুমগুলো। জুলাই আগস্টে বিয়ে যাঁদের, তাঁরা তো বটেই, এমনকী নভেম্বর-ডিসেম্বরে যাঁদের বিয়ের দিন ঠিক আছে, তাঁরাও বেনারসি কিনতে বেরিয়ে পড়ছেন। কথা হচ্ছিল কলকাতার নামী প্রতিষ্ঠান প্রিয়গোপাল বিষয়ীর কর্ণধার সৌম্যজিৎ লাহার সঙ্গে। বললেন, গত সপ্তাহে তাঁদের গড়িয়াহাটের শোরুম খুলেছে। এই সপ্তাহ থেকে বড় বাজারের দুটো শোরুম ও কাঁচরাপাড়ার শোরুমও খুলে গিয়েছে। খুব যে বিয়ের কেনাকাটা হচ্ছে তা নয়, তবে শুরু হয়েছে কিছুটা। আষাঢ় শ্রাবণে যাঁদের ছেলে মেয়ের বিয়ের দিন ছিল, তাঁরা অনেকেই পিছিয়ে দিয়েছেন অগ্রহায়ণে। অনেকে শুধু রেজিস্ট্রিটা করে রাখছেন নির্দিষ্ট দিনে। তার জন্যও তো শাড়ি চাই। একটু অন্যরকম বেনারসি। রীতি রেওয়াজ মেনে বিয়ের দিন যদি ট্র্যাডিশনাল কাতান বেনারসি পরেন, তো রেজিস্ট্রির সময় স্টাইলিশ তসর বেনারসিতে হাত বাড়াতে পারেন। তবে মেয়ের বিয়ে মানে যে মনের আনন্দে জমিয়ে বসে বেশ কয়েকটা বেনারসি কেনা, সেটা এখন হচ্ছে না। মানুষের মনটাই যে ভালো নেই।
উত্তর কলকাতার বেনারসি টেক্সটোরিয়ামের তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানা গেল, যেটুকু কেনাবেচা হচ্ছে, তা বিয়েরই। প্রয়োজনেই আসছেন ক্রেতারা। এই মুহূর্তেও লাল বা রানি রঙের ট্র্যাডিশনাল বেনারসিই চাইছেন কনে। জমাটি কারুকাজের আঁচল আর ছোট বুটির বেনারসির চাহিদা বেশি। তাপসবাবু জানালেন, এই মরশুমের বিয়ের জন্য তাঁরা তাঁদের বেনারসের ওয়ার্কশপে বেশ কিছু নতুন ডিজাইনের বেনারসি বুনিয়েছেন। যেমন কনট্রাস্ট ব্লাউজ পিস বেনারসি, সেলফ সুতোর কাজ করা বেনারসি, এক রঙের কাতানে শুধু নকশার বৈচিত্রে হাফ হাফ ডিজাইন। ঘরোয়া রেজিস্ট্রেশনের অনুষ্ঠানের জন্য হালকা জর্জেট বেনারসি কেনা যেতে পারে কম বাজেটে।
শ্রীনিকেতনের সোদপুর , গড়িয়াহাট, শ্যামবাজারের শোরুম খুলে গিয়েছে। বিশেষ করে উত্তর শহরতলির শোরুমটিতে সব সময় জমাটি ভিড় থাকে এদের। জামাইষষ্ঠীর সময় বহু বছর ধরে হয়ে আসছে বৌমাষষ্ঠীর অনুষ্ঠান। এবার করা যায়নি। তবে এখন কেনাকাটা কিছুটা হলেও শুরু হয়েছে। অনেকেই ভাবছেন এখন ভিড় কম, শান্তিতে কিনে রাখি। এদের সব স্টোরেই বেনারসির প্রচুর স্টক। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বিকিকিনি চলছে এখানে। আপনারাও অবশ্যই সব নিয়ম মেনে সতর্ক থেকে শাড়ি কিনতে বেরবেন। যেন জীবনের পরম লগ্নটি বেনারসির মোহমায়ায় রঙে রূপে ভরে ওঠে।