পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আপনি তো অনেক বছর ধরে ক্রোশিয়া নিয়ে কাজ করছেন। ক্রোশিয়াকে যে পোশাকে প্লেসমেন্ট করে অন্য রূপ দেওয়া যায় সেই চিন্তাভাবনা কীভাবে এল?
শুধু ক্রোশিয়া বলে নয়, আমার নতুন কিছু প্যাটার্ন নিয়ে কাজ করতে ভালো লাগে। আসলে ফ্যাশন জগতে যদি কিছু নতুনত্ব করা যায় আর তা যদি মানুষের মনকে স্পর্শ করে তখন একজন ডিজাইনারের কাজের উদ্যম বাড়ে। পাশাপাশি ডিজাইনারের একটা স্বকীয়তা তৈরি হয়। ছেলেবেলা থেকেই ফেলে দেওয়া টুকরো কাপড় থেকে নতুন কিছু তৈরি করতে আমার ভালো লাগত। ক্রোশিয়াও আমার কাছে খুবই ভালোবাসার জিনিস। আমি একবার প্লেন থানের আঁচলে ক্রোশিয়ার কাজ করেছিলাম যেটা চতুস্পর্ণীতে অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে পরানো হয়। খুব স্মার্ট একটা শাড়ি। নতুন কল্পনা নিয়ে আমি বাঁচতে ভালোবাসি আর সেই কল্পনাকে যদি আমার কাজের মাধ্যমে বাস্তবায়িত করতে পারি তবে তা আমাকে আনন্দ দেয়।
আপনি ক্রোশিয়ার মাধ্যমে শাড়িকে যেমন অন্য মাত্রা দিয়েছেন তেমনি আর আপনার কী কী কালেকশনে ক্রোশিয়ার ব্যবহার হয়েছে?
ক্রোশিয়ার ব্যবহার শাড়িতে করি। গয়না, ব্যাগ, জুতো ইত্যাদি বিভিন্ন অ্যাকসেসারিজেও ব্যবহার করে একটা সিরিজ তৈরি করি।
আপনি তো পুরুষদের কালেকশনও করেন?
বাচ্চা থেকে মহিলা, পুরুষ এমনকী বয়স্কদের কালেকশনও তৈরি করি। নিউবর্ন থেকে বাচ্চাদের কালেকশন আছে। আমার স্টুডিওতে ডিজাইনার কালেকশন থাকলেও ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী কাস্টোমাইজড করি।
মেয়েদের কালেকশনে কী কী আছে?
আমি বিভিন্ন প্যাটার্ন এবং কাটসের ইন্দো-ওয়েস্টার্ন শাড়ি তৈরি করি। বিভিন্ন প্যাটার্নের লেহেঙ্গা, ড্রেস, ওয়েস্টার্ন, টপ ইত্যাদি রয়েছে।
পুরুষদের জন্য কী কী কালেকশন রয়েছে?
পাঞ্জাবি, চুড়িদার, ধুতি, শীতের পোশাক রয়েছে। তবে কাটিং, ফ্যাব্রিকেও নতুনত্ব রয়েছে।
প্রবীণ পুরুষ ও মহিলাদের জন্য কী ধরনের কালেকশন আছে?
ওভাবে কিছু হয় না। ধরুন বিদেশ থেকে একজন পঁয়ষট্টি বছরের মহিলা এলেন। তাঁকে যখন ইন্দো-ওয়েস্টার্ন শাড়ি পরানো হল উনি যেভাবে ক্যারি করছেন এককথায় তা অসাধারণ। এছাড়া ডাবল পিস তৈরি করে দিই। আর এই লেয়ারিং ড্রেস অল্পবয়সি থেকে বয়স্করা পরতে পারেন। এক্ষেত্রে ফ্যাব্রিক, কালার, প্যাটার্ন বদলে যায়। বয়স্ক পুরুষরা সাধারণত চুড়িদার, পাঞ্জাবি পছন্দ করেন। সেইমতো কাস্টোমাইজড করা হয়।
আপনার ডিজাইনে সিগনেচার স্টাইল কী?
২০০৮-এ প্রথম আমি বিড়লা সভাঘরে ইন্দো-ওয়েস্টার্ন শাড়ি লঞ্চ করি। সেটা মানুষকে বোঝাতে প্রচুর সময় লেগে গেছে। আজ এগারো বছর পরও ইন্দো-ওয়েস্টার্ন শাড়ি তৈরি করি। প্রতিনিয়ত তার মধ্যে নিত্যনতুন প্যাটার্ন আনছি। এমনকী এবারে লেহেঙ্গার কাটিং-এ অভিনবত্ব এনেছি। দুটি দু’ধরনের লেহেঙ্গা পরে মেলবোর্ন এবং ভয়েস অফ আমেরিকাতে যান ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
কী কী ধরনের ফ্যাব্রিক নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেন?
হ্যান্ডলুম, গামছা, কটনের লুঙ্গি, ইক্কত ইত্যাদি নানা রকমের ফ্যাব্রিক নিয়ে কাজ করি। আমি বাজেট এবং আবহাওয়াকে মাথায় রেখে ফ্যাব্রিক মিক্সম্যাচ করি।
উৎসবের মরশুমে কী ধরনের কালেকশন এনেছেন?
ভিন্ন কাটসের লেহেঙ্গা তৈরি করেছি। এছাড়া, ড্রেস, শাড়ি আছে। শাড়ির ক্ষেত্রে পেটিকোট ও ব্লাউজ কটন ইক্কতের এবং পুরো শাড়িটা নেটের। এই নেটের মধ্যে কোনও এমব্রয়ডারি নেই, মাঝে স্মার্ট প্যাটার্ন রয়েছে। ফলে এটি পরে পার্টিতে যাওয়া যায়। পুরুষদের পোশাকে ইক্কত আর কটন লুঙ্গি কাপড় মিক্সম্যাচ করে ব্যবহার করেছি। এটা পাঞ্জাবিতে করেছি। শার্টেও কাস্টোমাইজড করছি।
আর কী কী তৈরি করেছেন?
গয়না তো আছেই। ক্লচ ব্যাগ এনেছি।
অন্দরসজ্জার ক্ষেত্রেও কী আনছেন?
পর্দা, কুশনকভার তো আছেই। তবে ক্লায়েন্টের বাজেট ও পছন্দ অনুযায়ী সেইমতো থিম করে অন্দরসজ্জা করে থাকি। আমার সিগনেচারের পাশাপাশি নতুনত্ব থাকে।