ঘরের খাবার অ্যাপে ননীঘর
আপনার রান্নার সুখ্যাতি কি শুধুই আপনার পরিবারের মধ্যেই সীমিত? সেই খ্যাতিকে জগৎজোড়া করতে আর রান্নার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে রোজগার করতে চাইলে এই খবরটা হতে পারে আপনার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী। সম্প্রতি দেবযানী মুখোপাধ্যায় ‘ননীঘর’ নামে একটি অ্যাপ বেসড্‌ খাবারের হোম ডেলিভারি সিস্টেম চালু করেছেন। এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন সেইসব গৃহবধূরা যাঁদের রান্নার হাত ভালো এবং মনের কোণে নিজের ব্যবসা চালু করার একটা সুপ্ত বাসনা রয়েছে। এই অ্যাপটির মাধ্যমে তাঁদের তৈরি সুখাদ্য পৌঁছে যাবে সাধারণ মানুষের নাগালে। অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এটি বেশ নতুন ধরনের একটি উদ্যোগ। এর দ্বারা গৃহবধূরাও নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবেন। এন্টারপ্রেনার দেবযানী মুখোপাধ্যায় পূর্ব ভারতের কর্পোরেট দুনিয়ার একদা কাজ করে এসেছেন। তাঁর হাত ধরে এই উদ্যোগটি সাফল্য পাবে বলেই আশা সংশ্লিষ্ট সকলের।
এল জি-র মালিকা-ই-কিচেন
এলজি ইলেকট্রনিক্স ইন্ডিয়ার উদ্যোগে সম্প্রতি কলকাতায় হয়ে গেল পূর্বাঞ্চলের মালিকা-ই-কিচেন প্রতিযোগিতা। মোট ন’জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিযোগীদের ৯০ মিনিটের মধ্যে এলজি চারকোল মাইক্রোওয়েভ আভেনে একটি করে মেন কোর্স ডিশ রান্না করতে হয়। শুধু কলকাতায় নয়, গোটা দেশে মোট ৬৬টি শহরে এই প্রতিযোগিতা হয়। আগামী ২৪ আগস্ট প্রতিটি জোন থেকে তিনজনকে নিয়ে হবে গ্র্যান্ড ফাইনাল। এলজি-র রিজিওনাল বিজিনেস হেড অজয় শর্মা বলেন, কলকাতার খাবারের যে ঐতিহ্য রয়েছে তার মধ্যে দিয়ে প্রতিযোগীরা নিজেদের দক্ষতা প্রকাশ করেছেন। প্রত্যেককে তিনি শুভকামনা জানান।
আমেরিকান সেন্টারে ব্যাঘ্রদিবস
সম্প্রতি ব্যাঘ্র দিবস উপলক্ষে আমেরিকান সেন্টারে আয়োজিত হয়েছিল একটি মনোজ্ঞ আলোচনাসভা। বিষয় ছিল ‘সুন্দরবনের বাঘ: সামনের পথ’। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলকাতাস্থ কনসাল জেনারেল প্যাটি হফম্যান, জুলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার ডিরেকটর ডঃ কৈলাস চন্দ্র অনুষ্ঠানে সচেতনতামূলক স্টিকার প্রকাশ করেন। এছাড়া অবসরপ্রাপ্ত আইএফএস ডঃ প্রদীপ ব্যাস, সুন্দরবন বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের যুগ্ম নির্দেশক ডঃ এস কুলন্দিভেল, ব্যাঘ্র গবেষক ডঃ সুজিতকুমার সিং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্যের বর্তমান অবস্থা ও তার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাঘ্র সংরক্ষণের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।
নিউ টাউনে ট্রি লাইব্রেরি
নিউ টাউনে তৈরি করা হবে একটি ট্রি লাইব্রেরি। অর্থাৎ গাছের লাইব্রেরি। তিন একর জায়গা জুড়ে লাগানো হবে প্রায় ১৫-১৬ ধরনের বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় হাজার পাঁচেক গাছ। প্রতিটি গাছের গায়ে সেই গাছের নামধাম, বংশ পরিচয় ইত্যাদি এমনকী রবীন্দ্রনাথের দেওয়া নামও লেখা থাকবে বলে জানালেন হিডকো চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন। গোটা পরিকল্পনাটি রূপায়িত হয়েছে হিডকো, পরিবেশ দপ্তর, বন দপ্তর, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও স্নেহদিয়া প্রজেক্টের সমবেত উদ্যোগে। জমি দিয়েছে ওয়েস্ট ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট দপ্তর। সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে বৃক্ষরোপনের মধ্যে দিয়ে লাইব্রেরিটির উদ্বোধন করা হল। হাজির ছিলেন হিডকো চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন ও অন্যান্য দপ্তরের সচিব ও কর্মকর্তারা। স্নেহদিয়া প্রজেক্টের বৃদ্ধবৃদ্ধারাও আমন্ত্রিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। তাঁরাও বৃক্ষরোপণ করেন।
কলকাতায় আভাসা অর্গানিক
চারটি স্বাস্থ্যকর প্রোডাক্ট নিয়ে কলকাতার বাজারে প্রবেশ করল আভাসা অর্গানিক নামে একটি সংস্থা। গত ২৪ জুলাই কলকাতায় প্রবেশ ও নতুন প্রোডাক্টের উদ্বোধন নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সংস্থাটি। এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী গার্গী রায়চৌধুরী, ভারত চেম্বার অব কমার্স ও বেলারুসের সাম্মানিক কনস্যুলেট সীতারাম শর্মা, বেলুড় রোটারি ক্লাব-এর চেয়ারম্যান শিবকুমার লোহিয়া, জিআই ল্যাপারোস্কোপিক ও বেরিয়াট্রিক সার্জেন চিকিৎসক ডাঃ সারফারাজ জলিল বেগ, এফএলও-এর কলকাতা চ্যাপ্টারের চেয়ারপার্সন জ্যোতি জৈন, হরিয়ানার প্রাক্তন কমিশনার এবং ভারত সরকারের অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার বোর্ডের সদস্য মোহন সিং আলুওয়ালিয়া এবং আভাসা অর্গানিকের সি ই ও কিশোর গুপ্তা।
সংস্থার নতুন চারটি প্রোডাক্ট হল— দেশি কাউ ঘি, কাচ্চি ঘানি মাস্টার্ড অয়েল, ওয়াইল্ড ফরেস্ট হানি এবং দেশি ঘি আটা বিস্কুট। দেশি কাউ ঘি এক লিটার ৫০০ এম এল এবং ২৫০ এম এল-এর দাম পড়বে ৩২৯ টাকা থেকে ১০৯৯ টাকার মধ্যে। কাচ্চি ঘানি মাস্টার্ড অয়েলের দাম ১৪৯ টাকা থেকে ২৯৯ টাকার মধ্যে। পেয়ে যাবেন এক লিটার, ৫০০ এম এল এবং ৩০০ এম এল-এর প্যাকে। এক লিটার, ৫০০ এম এল এবং ২৫০ এম এল-এর ওয়াইল্ড ফরেস্ট হানি’র দাম ১৯৯ টাকা থেকে ৫৪৯ টাকার মধ্যে। আর ২৫০ গ্রাম ওজনের দেশি ঘি আটা বিস্কুট মিলবে ২৯৯ টাকায়।
আই সি সি কনফারেন্স
সম্প্রতি আইটিসি সোনার (কলকাতা) হোটেলে ইন্ডিয়া চেম্বার অফ কর্মাসের উদ্যোগে এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান হয়ে গেল। অনুষ্ঠানের মুখ্য বিষয় ছিল ভারতীয় টেক্সটাইল এবং অ্যাপারেল। এই নিয়ে একটি আলোচনা সভা হয়। এই সভায় যোগদান করেন— অগ্নিমিত্রা পল (ফ্যাশন ডিজাইনার), অভিষেক দত্ত (ফ্যাশন ডিজাইনার), বাপ্পাদিত্য বিশ্বাস (ফাউন্ডার বাইলুম), রচিত আগরওয়াল (কো-ফাউন্ডার, সিমায়া ও সাসা গ্রুপ), চৈতালি দাস (এন্টারপ্রেনার, রক্ষক ফাউন্ডেশন), শ্যামলু দুদেজা (ফ্যাশন ডিজাইনার) প্রমুখ। এই আলোচনায় ভারতীয় হেরিটেজ ফ্যাব্রিকের ব্যবহার যাতে সুদূরপ্রসারী হয় তাই ছিল মুখ্য বিষয়। এদিনের ওই অনুষ্ঠানের শুভসূচনা করেন পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। অনুষ্ঠানে এসে তিনি কটন, জামদানি, বালুচরি, টাঙ্গাইল, ফ্যাব্রিকের কথা উল্লেখ করেন যা বাংলার গৌরব। সেইসঙ্গে তিনি জুটের উন্নতিকল্পে আরও নতুন প্রচেষ্টা নিয়ে যাতে মানুষ এগিয়ে আসে সে কথাও জানান।
এরপর এদিন অগ্নিমিত্রা পল, চৈতালি দাস, শ্যামলু দুদেজা প্রমুখ ফ্যাশন ডিজাইনারদের ফ্যাশন শো হয়। অগ্নিমিত্রা ইক্কত ফ্যাব্রিককে ফোকাস করেন। মিডিয়াম লেনথ ড্রেসেস থেকে গাউন, শাড়ি, জামস্যুটে মডেলদের দেখা যায়। এদিন র‌্যাম্পে ট্রান্সজেন্ডার কয়েকজনকে মডেল হিসেবে দেখা যায়। পোশাকের কালার প্যালেট ছিল রেড, ব্লু, ব্ল্যাক, টম্যাটো, গ্রে ইত্যাদি। আবার কালারের মিক্স ম্যাচ ছিল। বেশিরভাগ পোশাক ছিল কাটসের ওপর, শাড়িতে মিক্সম্যাচের সঙ্গে ছিল এমব্রয়ডারির কারিকুরি। এদিনের শো-র মেকআপ হেয়ার স্টাইলিং-এর দায়িত্বে ছিলেন কৌশিক রজত। চৈতালি দাস যেমন পোশাকে জুটকে ফোকাস করেন তেমনি শামলু দুদেজা কাঁথা স্টিচের রকমারি দেখান।
এদিনের আইসিসি অ্যাপারেল অ্যাওয়ার্ড যাঁরা পেলেন তাঁরা হলেন— টার্টেল (বেস্ট মেন ক্লোদিং ব্র্যান্ড), প্রাপ্তি ফ্যাশন (বেস্ট ওম্যান ক্লোদিং ব্র্যান্ড), জিরো (বেস্ট চিল্ড্রেন ক্লোদিং ব্র্যান্ড), মাচো (ইনারওয়্যার ব্র্যান্ড) এদিন হাজির ছিলেন সঞ্জয় কে জৈন (চেয়ারম্যান, আইসিসি এক্সপার্ট কমিটি অন টেক্সটাইলস), ময়াঙ্ক জালান (প্রেসিডেন্ট, আইসিসি) প্রমুখ।
সাহা টেক্সটাইলের মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান
সাহা টেক্সটাইলের দক্ষিণ কলকাতার আমার বাড়ি ৫১/২ হিন্দুস্থান পার্ক এই ঠিকানায় এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান হয়ে গেল। রবিবাসরীয় বৈঠকে সঙ্গে সই আর সাহা টেক্সটাইল এবং আমাদের মধ্যমণি নবনীতা এই শিরোনামে অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশিষ্ট সাহিত্যিক নবনীতা দেবসেন ও তাঁর সৃষ্ট সই-এর উপস্থিত সকল সদস্যকে সাহা টেক্সটাইলের কর্ণধার কান্তি সাহা ও তাঁর পরিবার ব্লক প্রিন্টেড হাতে বোনা শাড়ি, উত্তরীয় ও মিষ্টি দিয়ে সম্মান জ্ঞাপন করেন। নবনীতা দেবসেনকে নোয়াখালি জামদানি শাড়ি উপহার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাচিকশিল্পী রত্না সাহা আবৃত্তি পাঠ করেন। এরপর নবনীতা দেবসেন থেকে সই সংগঠনের সদস্যরা আবৃত্তি, শ্রুতিনাটক, গান, গল্প এবং নাচের মাধ্যমে অনুষ্ঠানকে বাঙ্ময় করে তোলে। প্রসঙ্গত কান্তি সাহা জানান, ‘আমি সবসময় মানুষকে হাতে বোনা শাড়ি ব্যবহার করতে বলি। এতে মানুষের কর্মসংস্থান হবে। আমার মূল উদ্দেশ্য হল বেঁচে থাকার জন্য চাই কর্মসংস্থান, এ আমার নাগরিক অধিকার, থাকুক আপনার নৈতিক সমর্থন।’
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী, স্নেহাশিস সাউ, চৈতালি দত্ত
ছবি: সুফল ভট্টাচার্য