শ্যামসুন্দর জুয়েলার্সের আদিকৃতি
গয়না যেখানে গল্প/ গল্প যেখানে গয়না এমনটাই ট্যাগলাইন হাই ফ্যাশন সোনার ডিজাইনার কালেকশন আদিকৃতির। এই কালেকশনের প্রতিটি গয়নার আলাদা নাম এবং গল্প রয়েছে। ভারতীয় উপজাতিদের জীবনযাত্রা, সভ্যতা, সংস্কৃতি যা হাতে তৈরি আদিকৃতি সোনার গয়নায় ফুটিয়ে তোলা হয়। এই গয়নার উপস্থাপনায় শ্যামসুন্দর কোম্পানি জুয়েলার্স। ২০০৮ ডিসেম্বরে স্বর্ণজয়ন্তী বর্ষে স্মারক হিসেবে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের সমর্থনে আদিকৃতি কালেকশন লঞ্চ করে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল হল সোনা ইন্ডাস্ট্রিতে সবচেয়ে বড় সংস্থা। যার প্রধান কার্যালয় লন্ডনে। সেই সময়ে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল আদিকৃতি কালেকশনকে ‘ইউনিক ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। পুরো ব্যাপারটাই লন্ডন থেকে তখন কন্ট্রোল করা হয়। ২০০৮-এ যখন এই কালেকশন লঞ্চ করে র‌্যাম্পে সেদিন ঊষসী সেনগুপ্ত হাঁটেন। ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (এফডিসিআই) যারা দিল্লি উইলস ফ্যাশন উইক করে তাদের আমন্ত্রণে এরপর ২০০৯-তে এই ফ্যাশন শোতে আদিকৃতি কালেকশন নিয়ে এরা অংশগ্রহণ করে। এরপর আদিকৃতি কালেকশনে আরও নতুন পালক যুক্ত হয়। অনেক জাতীয় পুরস্কারে পুরস্কৃত হয় আদিকৃতি। মূলত ডিজাইন ও কনসেপ্টের ক্ষেত্রে এই পুরস্কার মেলে। এ যাবৎ মুখহীনভাবে এই কালেকশন চলে এসেছে। ২০১০-এ মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স হন ঊষসী সেনগুপ্ত। যার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে এই কালেকশন এতটাই সংপৃক্ত যে সম্প্রতি আদিকৃতি কালেকশনের ‘ফেস’ হিসেবে ঊষসী সেনগুপ্তকে ঘোষিত করে এই সংস্থা। কমপক্ষে আগামী দু’বছর আদিকৃতির ফেস হিসেবে ঊষসী সেনগুপ্ত থাকবেন এমন কথা বলছিলেন সংস্থার কর্ণধারদ্বয় রূপক সাহা ও অর্পিতা সাহা। ২২ ক্যারেট হলমার্ক সোনায় তৈরি এই আদিকৃতি কালেকশন। ২ গ্রাম থেকে শুরু। এই কালেকশনে রয়েছে আংটি, পেনডেন্ট, নেকলেস, বাজুবন্ধ, বালা ইত্যাদি। তবে মণিপুরের জনজাতিদের লিকচাও অর্থাৎ লম্বা হার ২৪ ক্যারেটে তৈরি হয়। এছাড়া নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার স্টোন এই আদিকৃতি কালেকশনে বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। ভারতের অন্য কোনও জুয়েলার এই স্টোন ব্যবহার আগে করেনি, মন্তব্য রূপক সাহার। এই কালেকশন ভারতের অনেক তারকার কাছে সমাদৃত। যাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য শর্মিলা ঠাকুর, নানা পাটেকর, রাখী গুলজার, সোহা আলি খান, হরিহরণ প্রমুখ। প্রত্যেকেই এই কালেকশনের গয়না কিনে নিজেদের সোনার ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছেন।
গরমে ডলারের নতুন কালেকশন
ডলার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড গরমে বিগবস এবং ফোর্স এন এক্স টি অ্যাথেলেজার কালেকশন নিয়ে এসেছে। নিত্যদিনের স্টাইল ও আরামের জন্য এই কালেকশন অসধারণ। এই কালেকশনে পাওয়া যাবে ট্যাঙ্ক টপ, ক্রু নেক, পোলো টি-শার্ট, বারমুডা, কেপ্রি, ট্র্যাক প্যান্ট এবং জগার্স। তবে শুধু বড়দের নয়, ছোটদের জন্যও রয়েছে ট্যাঙ্ক টপ, রাউন্ড অ্যান্ড হেনলি নেক টিজ, পোলা শার্ট, জগার্স, ট্র্যাক প্যান্ট, বারমুডা, প্রিন্টেড পায়জামা, বক্সার প্রভৃতি। বিগবস এথেলেজারের দাম ৩০০ টাকা থেকে ৭২৫ টাকার মধ্যে। আর এথেলেজারের দাম শুরু ৩৪৯ টাকা থেকে।
মালয়েশিয়া ও তাইল্যান্ড ৪৯৯৯
এই গরমে কুয়ালা লামপুর বা ব্যাংকক বেড়ানোর পরিকল্পনা করছেন? এখনও বিমানের টিকিট বুকিং হয়নি? তাহলে সুখবর। এয়ারএশিয়া ভ্রমণ বিলাসীদের কথা মাথায় রেখে আকর্ষণীয় অফার নিয়ে এসেছে। অফারে কলকাতা থেকে কুয়ালা লামপুর বা ব্যাংককের টিকিটের দাম পড়বে ৪৯৯৯ টাকা করে। সেল শুরু হয়েছে গত ১৩ মে, চলবে ১৯ মে পর্যন্ত। এই টিকিটে বেড়ানো যাবে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে।
এয়ারএশিয়ার কলকাতা চেন্নাই
সম্প্রতি বিমান পরিষেবা সংস্থা এয়ারএশিয়া কলকাতা-চেন্নাইয়ের বিমানযাত্রীদের কথা মাথায় রেখে একটি নতুন রুট তৈরি করেছে। এবার কলকাতা থেকে চেন্নাই এবং চেন্নাই থেকে কলকাতা সরাসরি বিমান চালাবে এয়ারএশিয়া। উভয় জায়গা থেকে সংস্থাটি প্রতিদিন একটি করে বিমান চালাবে। রোজ কলকাতা থেকে বিকেল ৩টে ৩০ মিনিটে এবং চেন্নাই থেকে সন্ধে ৬টা ২৫ মিনিটে বিমান দুটি উড়বে। উল্লেখ্য, সংস্থাটি এখন দেশের ১১টি শহরের জন্য মোট ১৮টি বিমান চালায়। নতুন রুটের জন্য বুকিং শুরু হয়েছে গত ১৩ মে থেকে। টিকিটের দাম ৩২৯৯ টাকা।
পরিবেশরক্ষাকারী ডায়াপার
সাউথ পয়েন্ট স্কুলের জুনিয়র সেকশনে হয়ে গেল এক অভিনব শো। চারমাস থেকে তিনবছর বয়সী শিশু ও তাদের বাবা-মা’রা এই শোয়ে অংশ নেন। অংশগ্রহণকারীরা তাদের শিশুদের ডিজপোজেবল ডায়াপার পরিত্যাগ করে পরিবেশরক্ষাকারী কাপড়ের ডায়াপার পরিয়ে দেন। এই কাপড়েব ডায়াপারগুলি পুনরায় ব্যবহার করা যায়। সুপারবটম সংস্থা আয়োজিত এই শো নাম তুলে নেয় লিমকা বুক অব রেকর্ডে। মোট ১৩টি শহরে একইসঙ্গে এই শো অনুষ্ঠিত হয়। গত ২২ এপ্রিল ছিল ‘আর্থ ডে’। সেই উপলক্ষেই এই বিশেষ শোয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। গত ২০১১ সালে আমেরিকায় প্রথম এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।
ম্যাক্সে অ্যাভেঞ্জার্স
এই মুহূর্তে গোটা পৃথিবীতে যা নিয়ে উন্মাদনা তুঙ্গে সেই অ্যাভেঞ্জারসরা এসে ঘুরে গেল ম্যাক্স-এর উপস্থাপনায় সিটি সেন্টার-২-এ। ম্যাক্স ফ্যাশন ডিজনি এবং মার্ভেলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। প্রায় ৭ হাজার ২০০ পরিবার ও উৎসাহী শিশু ভিড় করেছিল এই অনুষ্ঠানে। প্রমাণ মাপের সুপার হিরোদের সঙ্গ পেতে সবারই আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। তা নিয়ে ঝড় ওঠে স্যোশাল মিডিয়াতেও। ম্যাক্স ফ্যাশন ব্র্যান্ড বিশ্বের ১৯টি দেশে ছড়িয়ে আছে।
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী, স্নেহাশিস সাউ, চৈতালি দত্ত ছবি: সুফল ভট্টাচার্য