Bartaman Patrika
 

মুকুন্দদাস ও তাঁর স্বদেশি যাত্রা 

চারণকবি মুকুন্দদাসের ব্রত ছিল পালাগানের মধ্যে দিয়ে দেশবাসীকে পরাধীনতার বিরুদ্ধে জাগিয়ে তোলা। মুকুন্দদাস ও তাঁর স্বদেশি যাত্রা নিয়ে লিখেছেন সন্দীপন বিশ্বাস।
মঞ্চ ঘিরে গ্রামবাসীদের ভিড়। যাত্রাপালা দেখে সকলের রক্ত উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছে। ইংরেজ শাসকের বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত হচ্ছে ক্ষোভ। প্রধান গায়ক-অভিনেতার একের পর এক গান দোলা দিচ্ছে তাঁদের হৃদয়ে—
‘ভয় কি মরণে রাখিতে সন্তানে/
মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে।...’
কিংবা
‘বান এসেছে মরা গাঙে খুলতে হবে নাও/
তোমরা এখনও ঘুমাও...।’
গায়ক মঞ্চের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ঘুরে ঘুরে গাইছেন। পরণে গেরুয়া আলখাল্লা, মাথায় পাগড়ি, বুকে ঝুলছে মেডেল। পায়ে বিদ্যাসাগর চটি। তাঁর গানে উদ্বেল মানুষ। তিনি হলেন মুকুন্দদাস। তিনি চারণকবি। তাঁর স্বদেশি যাত্রা ছিল গণজাগরণের হাতিয়ার। তাই সেই যাত্রাপালা পড়েছিল শাসক ইংরেজদের রোষানলে।
ছোটবেলায় নাম ছিল তাঁর যজ্ঞেশ্বর। অধুনা বাংলাদেশের বিক্রমপুরে ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে তাঁর জন্ম। তবে সন-তারিখ নিয়ে মতান্তর আছে। ছেলেবেলায় বাবার সঙ্গে তাঁরা চলে আসেন বরিশালে। ছোট্ট যজ্ঞেশ্বরের মনে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা এবং আন্দোলনের বাসনা জাগিয়ে তুলেছিলেন অশ্বিনীকুমার দত্ত। বাল্যকালে পড়াশোনায় তাঁর মন বসেনি। কৈশোরে খুলে বসলেন মুদির দোকান। তার মধ্যেই চলতে লাগল স্বেচ্ছাচারী জীবন। বন্ধুদের নিয়ে গুণ্ডামি করাটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। দস্যু রত্নাকর হয়ে উঠেছিলেন বাল্মীকি। যজ্ঞেশ্বরেরও মুকুন্দ হয়ে ওঠা যেন এক অলৌকিক আখ্যান। রোজ তিনি ঘুমিয়ে থাকেন আর ভোরবেলা তাঁর বাড়ির পাশ দিয়ে নগরকীর্তনের দল পরিক্রমায় বের হয়। সেই গানে ঘুম ভেঙে গেলে বিরক্ত হন যজ্ঞেশ্বর। রোজ তাঁর কানে সেই নামগান প্রবেশ করে। শুনতে শুনতে গানের কথাগুলো মুখস্থ হয়ে গিয়েছে। মুদির দোকানে বসে সেই কথাগুলো ভাবতে ভাবতে তিনি তন্ময় হয়ে যান। কী গভীর উপলব্ধি! এত প্রেম কৃষ্ণ নামে! ছুটে যান সান্ধ্য কীর্তনের আসরে। দু’চোখ ভেসে যায় তাঁর। তন্ময়তায় ডুবে যান। একদিন তিনি ও তাঁর বন্ধুরা মিলে যে যাত্রা বা গানের আসর ভণ্ডুল করে দিয়ে আনন্দে হা হা করে হেসে উঠতেন। আজ তিনিই সঙ্গীত ও পালাকীর্তনের অকূল সাগরে আনন্দযাত্রী। একদিন সঙ্কোচের সঙ্গে গেলেন সেই নগরকীর্তনের দলের কাছে। দলের প্রধান বরিশালের বিখ্যাত কীর্তন গায়ক বীরেশ্বর গুপ্ত। যজ্ঞকে দেখে বললেন, ‘এসো। তোমাকে তো প্রায়ই দেখি আমার গানের আসরে। আমার দলে গান গাইবে?’
যজ্ঞেশ্বর বললেন, ‘আমি কি পারব? আমি মুদির কারবারি আর
আমাকে তো সবাই বলে যজ্ঞাগুণ্ডা।’
বীরেশ্বর বললেন, ‘বাইরে তুমি যাই হও, ভিতরে তুমি গৌরাঙ্গ। তোমার মধ্যে আমি গৌরভাব দেখতে পাচ্ছি।’
ঢুকে পড়লেন কীর্তন দলে। শুরু হল শিক্ষা। চলল শাস্ত্র পাঠ। বদলে গেলেন আমূল। শৌখিন পোশাক ছেড়ে ধরলেন শ্বেতবস্ত্র। বিভিন্ন মেলায় ঘুরে ঘুরে শুনতে লাগলেন পালাকর্তাদের গান।
এখান থেকেই একদিন তিনি হয়ে উঠলেন মুকুন্দদাস। সন্ন্যাসী রামানন্দ অবধূতের কাছ থেকে দীক্ষা নেন। তিনিই যজ্ঞার নামকরণ করলেন মুকুন্দদাস। বৈষ্ণব সাধক মুকুন্দদাস একদিন হয়ে উঠলেন কালীভক্ত। শ্যাম থেকে শ্যামার পদতলে আশ্রয় নিলেন তিনি। বরিশালের সনাতন ঠাকুর বা সোনা ঠাকুরের কালীমন্দিরে বসে তিনি গান গাইতেন। সেই গান শুনে অশ্বিনী দত্ত বললেন, ‘যজ্ঞা, তুই শক্তির গান বাঁধ। যে শক্তির উল্লাসে মানুষ উজ্জীবিত হবে দেশমাতৃকার শৃঙ্খল মুক্ত করতে।’ নতুন দিশা পেলেন মুকুন্দদাস। বুঝে গেলেন তাঁর পথ কোনদিকে।
১৯০৫ সালে দেশ উত্তাল বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে। এই সময় তিনি লিখলেন ‘মাতৃপূজা’। সেই পালা মানুষের কাছে পৌছে দিতে নতুন দল গড়লেন। কিন্তু বায়না নেই তো! পালা আসরস্থ হবে কী করে! মায়ের নাম করে নৌকা নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন। দুর্গাপুজোর মহাসপ্তমীর রাতে নবগ্রামের পুজোমণ্ডপে অভিনীত হল সেই পালা। তারপর একে একে বায়না আসতে লাগল। খোরাকি বায়নাতেই আসরে আসরে অভিনয় করতে লাগলেন। ফরিদপুর, ইদিলপুর, চাঁদপুর। নৌকা এগিয়ে চলল। ছড়িয়ে পড়তে লাগল মুকুন্দদাসের নাম। বাংলার মানুষ সেই পালা দেখে স্বদেশী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার অনুপ্রেরণা পেলেন। ‘ভেঙে দাও রেশমী চুড়ি, বঙ্গনারী কভু হাতে আর প’রো না।’ মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে সেই গান।
স্বদেশি বর্জনের যে ডাক নেতারা দিয়েছিলেন, মুকুন্দদাসের গান তাতে ঘৃতাহুতি দিল। তাঁর স্বদেশি যাত্রা নতুন করে দেশপ্রেমের আগুন জ্বালিয়ে দিল বাংলার বুকে। ইংরেজ শাসক ভীত হয়ে তাঁর ‘মাতৃপূজা’ নাটকটি বাজেয়াপ্ত করল। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হল। কিছুদিন বরিশাল জেলে রাখার পর ইংরেজদের মনে হল এখানকার জেলে তাঁকে রাখা ঠিক হবে না। তাই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল দিল্লি। তিন বছরের কারাদণ্ড শেষে মুক্তি পেলেন। বেরিয়ে দেখেন তাঁর জীবন শূন্য করে চলে গিয়েছেন তাঁর পত্নী সুভাষিনী। জেলে যাওয়ার পরপরই সন্তান প্রসব করতে গিয়ে মৃত্যু হয় সুভাষিনীর।
ভাঙা মন। বুঝতে পারেন না এখন উপায় কী! দল গড়ার মতো টাকাও হাতে নেই। জীবনযাপনের জন্য আবার খুলে বসলেন মুদির দোকান। কিন্তু প্রতিবেশী ললিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী একদিন তাঁকে ডেকে নিজের গয়না তাঁর হাতে দিয়ে বললেন, ‘ভাই, এই নাও এগুলো বন্ধক দিয়ে আবার দল খোলো। মুদির দোকান চালানো তোমার কাজ নয়। তুমি মানুষকে জাগিয়ে তোলো।’ উৎসাহিত হয়ে মুকুন্দদাস আবার দল খুললেন। আবার শুরু করলেন পালা লেখা।
লিখলেন ‘সমাজ’ নামের একটি পালা। বুঝলেন কলকাতায় যেতে হবে। সেখানকার মানুষকে শোনাতে হবে তাঁর গান। ততদিনে আবার ডাক আসতে শুরু করেছে। একদিন চার টাকায় আসরে পালা গাইতেন। এখন নাম হয়েছে। রেট দাঁড়িয়েছে পঁচিশ টাকা। ‘সমাজ’ পালায় তিনি বিষয়বস্তু করে তুললেন সমাজের বিভিন্ন খারাপ দিকগুলিকে। পণপ্রথা, জমিদারদের অত্যাচার অস্পৃশ্যতা ইত্যাদি।
একদিন জোড়াসাঁকোয় কবিগুরুর বাড়িতে গিয়ে তিনি গান শোনালেন। তাঁর উদাত্ত কণ্ঠে মোহিত রবীন্দ্রনাথ। তিনি তাঁকে শিখিয়ে দিলেন তাঁর ‘বিধির বাঁধন কাটবে তুমি’ এই গানটি। বললেন, ‘মঞ্চে মঞ্চে তুমি এই গানটি গেও’। মুকুন্দদাসের সঙ্গে দেখা হল নজরুল ইসলামের। তিনিও তাঁর গান শুনে মুগ্ধ। কবি নিজেও শোনালেন তাঁর গান। ‘কারার ওই লৌহকপাট’ ও অন্য কয়েকটি গান। মুকুন্দদাসকে উপহার দিলেন তাঁর দুটি বই। ‘অগ্নিবীণা’ এবং ‘বিষের বাঁশি’। তাতে লিখে দিলেন, ‘চারণসম্রাট মুকুন্দদাসকে উপহার’। মুকুন্দদাস হয়ে গেলেন চারণকবি।
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের মেয়ের বিয়ে। দেশবন্ধু চিঠি লিখলেন অশ্বিনী দত্তকে। মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে তিনি পালাগানের আসর বসাবেন। সেখানে মুকুন্দদাসকে গাইতে হবে। সেই আসরে গান গেয়ে সাড়া ফেলে দিলেন তিনি। সেখানে তিনি ইংরেজ বিলাসিতায় আসক্ত আধুনিক মহিলাদের ব্যঙ্গবিদ্রূপ করেছিলেন। গানের শেষে দেশবন্ধু তাঁকে পরিয়ে দিলেন সোনার মেডেল। সেই আসরে উপস্থিত ছিলেন কবি প্রিয়ংবদা দেবী। তিনি কবির প্রশংসা করে তাঁকে উপহার দিলেন সোনার সেফটিপিন। সেই আসরে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার। তিনি আড়ালে ডেকে মুকুন্দদাসকে বললেন, ‘দারুণ গান করেছেন। তবে আর নয়। এবার কলকাতা ছাড়ুন। আপনাকে গ্রেপ্তার করার পরিকল্পনা চলছে।’ স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ও তাঁর গান পছন্দ করতেন। তিনি মুকুন্দদাসকে উপহার দিয়েছিলেন একটি রুপোর লাঠি।
তাঁর ‘পল্লিসেবা’, ‘কর্মক্ষেত্র’, ‘পথ’, ‘সাথী’, ‘ব্রহ্মচারিণী’ প্রভৃতি পালার মধ্য দিয়ে তিনি ব্যঙ্গবিদ্রুপে বিদ্ধ করেছেন অসাম্য, অন্যায় আর কুশিক্ষাকে। জমিদার বাড়িতে গানের আসরে তিনি জমিদারি ব্যবস্থার খারাপ দিকগুলিকে তীব্র ব্যঙ্গ করতেও ভয় পেতেন না।
আসর থেকে আসরে ছুটছে দল। এদিকে শরীর আর নিচ্ছে না। মাঝে মাঝেই জ্বর হয়। সবক্ষেত্রে পুরো পালায় অভিনয় করতে পারেন না। একটি-দুটি গান করেন মাত্র। কিন্তু গান বন্ধ করা যাবে না। কালীপুজোর সময়। অনেক বায়না। তাঁর উপর নির্ভর করছে দলের সকলের পরিবারের ভরণপোষণ। অসুস্থ শরীর নিয়ে চলল পালাগান। কলকাতায় এসে জ্বর বাড়ল। ১৯৩৪ সাল। অনেকগুলি পালার বায়না আছে শহরে। কিন্তু তিনি নিজেই চলে গেলেন সব পালার অভিনয় অসম্পূর্ণ রেখে।
তাঁর যাত্রাপালা ছিল ভিন্নধারার। ব্রজমোহন রায়, মতিলালা রায়ের মতো তিনি পালারচনা করেননি। তাঁর পালায় ছিল গানের আধিক্য। সেই গানের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের কথা বলে তিনি যেন নবনাট্যের প্রস্তাবনাও করে গিয়েছিলেন। একইসঙ্গে যাত্রাপালা এবং স্বাধীনতার আন্দোলনেও তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
অঙ্কন : সুব্রত মাজী 
07th  December, 2019
সালকিয়া আগন্তুকের নাট্যোৎসব 

সালকিয়া আগন্তুক নাট্য সংস্থার পরিচালনায় উজ্জ্বল ঘোষ স্মরণে দুদিনব্যাপী একটি নাট্যোৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল হাওড়ার রামগোপাল মঞ্চে।   বিশদ

07th  December, 2019
অশনি নাট্যমের নাট্যোৎসব 

অবরুদ্ধ কাশ্মীর, এনআরসি, ডিটেনশন ক্যাম্প, নয়া ইউএপিএ আইন, অর্থনৈতিক মন্থরতা এসব নিয়ে দেশের মানুষের যখন উদ্বিগ্ন হওয়ার কথা তখনই ধর্ম ও মেকী জাতীয়তাবাদের মোড়ক দিয়ে দেশের নাগরিকদের ভুলিয়ে রাখার প্রচেষ্টা চোখে পড়ছে।  বিশদ

07th  December, 2019
উদীয়মান নারীর মঞ্চ 

গত বছরের মতো এবছরও মানিকতলা দলছুট নাট্য সংস্থা আয়োজন করেছে তাদের ‘উদীয়মান নারীর মঞ্চ’। আগামী ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত গোবরডাঙা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে চলবে এই উৎসব।  বিশদ

07th  December, 2019
নান্দীকারের জাতীয় নাট্য উৎসব 

প্রতিবছরের মতো এবছরও নান্দীকার আয়োজিত জাতীয় নাট্যমেলা শুরু হতে চলেছে আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসের মঞ্চে। চলবে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এবছর এই নাট্য উৎসব ৩৬ বছরে পা দিল।  বিশদ

07th  December, 2019
গঙ্গা যমুনা নাট্য উৎসব 

আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ‘অনীকের গঙ্গ যমুনা নাট্য উৎসব’। এই উৎসব এবার ২২ বছরে পড়ল। এবছর তপন থিয়েটারে এই নাট্য উৎসবের সূচনা ডলস থিয়েটারের পুতুল নাটক দিয়ে।  বিশদ

07th  December, 2019
নটসেনার সরোজ নাট্যমেলা 

নটসেনা তাদের প্রয়াত পরিচালক সরোজ রায়কে স্মরণ করে আয়োজন করেছে একটি নাট্যমেলার, যার শিরোনাম ‘সরোজ নাট্যমেলা’। আজ থেকে আগামী ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ কলকাতার তপন থিয়েটারে অনুষ্ঠিত হবে এই নাট্যমেলা।  বিশদ

07th  December, 2019
মাঙ্গলিকের পরিবর্তন 

আমাদের চারধারে চলছে নানা বুজরুকির ব্যবসা। প্রচুর মানুষ নিয়মিত ঠকছেন। ঠকে শিখছেন। এক শ্রেণীর কর্মবিমুখ অলস মানুষ যারা অল্প আয়াসেই ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখে তারাই মূলত এই ধরনের ব্যবসার সফল উদ্যোগপতি।  বিশদ

07th  December, 2019
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রাসঙ্গিক এক নাট্য 

নবম বর্ষে তিলজলা ঋতুর নবতম প্রযোজনা ‘তরবারি সুমঙ্গল’ নাটকটি মঞ্চস্থ হল মধুসূদন মঞ্চে। গত ২৯শে অক্টোবর এই নাটকটির প্রথম উপস্থাপনা ছিল। নাটকটি লিখেছেন অশোক মুখোপাধ্যায়, নির্দেশনায় জয়ন্ত দীপ চক্রবর্তী।  বিশদ

07th  December, 2019
কতই রঙ্গ আছে প্রেমের দুনিয়ায় 
কাঁটা গাছে ফুটলো ফুল

সারা বিশ্বেই ফরাসি কমেডির এক অমোঘ আকর্ষণ রয়েছে। বিশেষ করে সে নাটক যদি হয় ‘ফ্লেউর দ্য ক্যাকটাস’। যার রচয়িতাদ্বয় হলেন প্যারি ব্যারিলেট এবং জাঁ পিয়ের গ্রেডি। এই নাটক সেই দেশের মঞ্চে অভিনীত হতে শুরু করেছিল ১৯৬৫ সালের ৮ ডিসেম্বর।
বিশদ

30th  November, 2019
দীনবন্ধু, গিরিশ ও শম্ভু মিত্র পুরস্কার প্রদান
পুরস্কার মূল্য দান করলেন ব্রাত্য

  পশ্চিমবঙ্গ তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ এবং পশ্চিমবঙ্গ নাট্য অ্যাকাডেমির যৌথ উদ্যোগে, প্রতি বছরের মত এবারেও জমে উঠেছে ‘ঊনবিংশ নাট্যমেলা’। ১১ দিন ব্যাপী এই নাট্যোৎসবে কলকাতাসহ বিভিন্ন জেলার ২৩০টির মতো নাট্যদল তাদের প্রযোজনাকে মঞ্চস্থ করার সুযোগ পেয়েছে।
বিশদ

30th  November, 2019
 ছাতার নীচে বাঁচা

ভারি বর্ষার এক রাত। তুমুল ঝড়ে ভেঙ্গে গেল এক ব্যাঙের ছাতা। তাহলে উপায়? মাথাটাকে যে বাঁচাতে হবে! অতএব দুর্যোগের মধ্যেই সে বেরিয়ে পড়ল অন্য ছাতার খোঁজে। সে আসলে ব্যাঙ নয়। ব্যাঙরূপী কূপমন্ডক এক মানুষ। কিন্তু সে তো এই সমাজের জীব। কাজেই ছাতা যে তার চাই-ই। সমাজের কোন মানুষটি তাকে দেবে ছাতার আশ্রয়?
বিশদ

30th  November, 2019
সায়কের বর্ষপূর্তি উৎসব

 ৪৬ বছর অতিক্রম করল নাট্যদল সায়ক। সেই উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবছরও একটি নাট্য উৎসবের আয়োজন করেছে তারা। অ্যাকাডেমি প্রেক্ষাগৃহে আগামী ১ ও ২ ডিসেম্বর মোট ৩টি নাটক মঞ্চস্থ হবে। বিশদ

30th  November, 2019
 থেসপিয়ানসের রৌপ্যজয়ন্তী

থেসপিয়ানস তাদের রৌপ্য জয়ন্তী উপলক্ষে গত ২৩ নভেম্বর স্টার থিয়েটারে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। মঞ্চস্থ হয় তাদের নতুন নাটক ‘বিসর্জন’। এরপর বিভিন্ন ক্ষেত্রের গুণি মানুষদের সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়।
বিশদ

30th  November, 2019
  সরস্বতী নাট্যোৎসব

  সম্প্রতি কলকাতার তপন থিয়েটারে পাঁচদিনব্যাপী নাট্যোৎসবের আয়োজন করেছিল ‘নেতাজিনগর সরস্বতী নাট্যশালা’। এবারের এই ‘সরস্বতী নাট্যোৎসব’এ পাঁচদিন ধরে মোট ১৭টি প্রযোজনা মঞ্চস্থ করে কলকাতা সহ জেলার বিভিন্ন নাট্যদল। বিশদ

30th  November, 2019

Pages: 12345

একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আজ, ১০ ডিসেম্বর থেকে নিজেদের মার্জিনাল কস্ট অব ফান্ডস বেসড লেন্ডিং রেট বা এমসিএলআর কমাল স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (এসবিআই)। এক প্রেস বিবৃতিতে তারা একথা জানিয়ে বলেছে, আগে তাদের বার্ষিক এমসিএলআর ছিল আট শতাংশ। ...

অর্পণ সেনগুপ্ত, কলকাতা: স্কুলের কাছে ‘প্রায়র পারমিশন’ (পিপি) এসে পৌঁছনোর আগেই শিক্ষক পদপ্রার্থীদের হাতে তা চলে আসছে। আর তার প্রতিলিপি নিয়েই স্কুলে যোগ দিতে চলে আসছেন শিক্ষকরা। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে এই ঘটনা ঘটছে। বদলির আবেদন করা শিক্ষকদের হাতে এই পিপি ...

অমিত চৌধুরী, হরিপাল: হরিপাল থানার কৈকালা গ্রাম পঞ্চায়েতের বলদবাঁধ গ্রামে প্রতিবছর শীতের সময় ভিড় করে পরিযায়ী পাখি। বিদেশি পাখির আগমনকে ঘিরে একসময় এলাকায় পিকনিকের আসর বসলেও স্থানীয় মানুষ উদ্যোগ নিয়ে পাখিদের নিশ্চিন্তে অস্থায়ী ঠিকানায় বাস করতে বন্ধ করে দিয়েছেন পিকনিক। ...

ওয়েলিংটন, ৯ ডিসেম্বর (এএফপি): ছবির মতো সুন্দর হোয়াইট আইল্যান্ড। ভ্রমণের আনন্দে মশগুল পর্যটকের দল। ভরদুপুরে হঠাৎ করে জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি। সোমবার নিউজিল্যান্ডের এই ঘটনায় মৃত্যু হল অন্তত পাঁচজনের। জখম ১৮ জন। সরকারি সূত্রে খবর, আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। তাঁদের উদ্ধারের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস,
১৮৭০- ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকারের জন্ম,
১৮৮৮- শহিদ প্রফুল্ল চাকীর জন্ম,
২০০১- অভিনেতা অশোককুমারের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪৪ টাকা ৭২.১৪ টাকা
পাউন্ড ৯২.০৭ টাকা ৯৫.৩৭ টাকা
ইউরো ৭৭.৩৪ টাকা ৮০.২৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,২৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৩২৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬,৮৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ত্রয়োদশী ১১/২৬ দিবা ১০/৪৪। কৃত্তিকা ৫৯/২৯ শেষ রাত্রি ৫/৫৭। সূ উ ৬/৯/৩১, অ ৪/৪৮/৪৩, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫২ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৯ গতে ৮/২২ মধ্যে পুনঃ ৯/১৬ গতে ১১/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/৪৩ গতে ৩/৩০ মধ্যে পুনঃ ৫/১৭ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ত্রয়োদশী ১০/২/৪৮ দিবা ১০/১২/৫। কৃত্তিকা ৬০/০/০ অহোরাত্র, সূ উ ৬/১০/৫৮, অ ৪/৪৯/১৩, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/১২ মধ্যে, কালবেলা ১২/৪৯/৫৩ গতে ২/৯/৩৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৯/২৬ গতে ৮/৯/৩৯ মধ্যে।
 
মোসলেম: ১২ রবিয়স সানি 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ১৮৬৮- বিশ্বের প্রথম ট্রাফিক বাতি লন্ডনের প্যালেস অব ...বিশদ

04:28:18 PM

আজকের রাশিফল  
মেষ: প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। বৃষ: অর্থভাগ্য খুব ভালো না হলেও ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস১৮৭০- ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকারের জন্ম,১৮৮৮- শহিদ প্রফুল্ল চাকীর ...বিশদ

07:03:20 PM

ঘুড়ির সুতোয় গলা কেটে মৃত স্কুলছাত্র 
চিনা মাঞ্জার বলি স্কুলছাত্র। সুতোর ধারে গলা কেটে মৃত্যু হল ...বিশদ

06:20:33 PM

২৪৮ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

04:02:02 PM

আইলিগ: ইস্ট বেঙ্গল ৪-১ গোলে হারাল নেরোকাকে 

04:01:36 PM