মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ
রবীন্দ্র সদনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাট্যজগতের তারকারা। ছিলেন ব্রাত্য বসু, অর্পিতা ঘোষ, দেবেশ চট্টোপাধ্যায়, গৌতম মুখোপাধ্যায়, গৌতম হালদার এবং ঊষা গঙ্গোপাধ্যায়।
এদিন প্রদান করা হয় বাংলা নাট্য জগতের সর্বোচ্চ সম্মান ‘দীনবন্ধু মিত্র পুরস্কার’। পেলেন ব্রাত্য বসু। পুরস্কারের অর্থমূল্য ৫০ হাজার টাকা তিনি সেই মঞ্চে দাঁড়িয়েই দান করে দেন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। নিজের ভাষণে তিনি বলেন, ‘যারা নাটকের মানুষ, তারা তো বটেই, বাকিরাও আসুন, উপভোগ করুন, নাট্যমেলাকে সফল করে তুলুন। একসঙ্গে এতজন নাট্যব্যক্তিত্বকে পাওয়া, তাদের প্রতি ভালোবাসা জানানোর এ এক সুন্দর অছিলা। ভালোবাসা জড়িয়ে আছে প্রতিটি শিল্পচর্চায়, নাটকে তো বটেই।’ এরপর নাট্যকর্মীদের প্রতি তাঁর উক্তি, ‘নাটক আপনাকে অবমাননা দেবে, গ্লানি দেবে, আবার ভালোবাসাও দেবে। আপনাকে বেছে নিতে হবে আপনি কি চান।’
‘গিরীশ ঘোষ’ নামাঙ্কিত পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় দেবেশ চট্টোপাধ্যায়কে এবং ‘শম্ভু মিত্র’ পুরস্কার পেলেন বর্তমান নাট্যজগতের এক তরুণ তুর্কি, অশোকনগর নাট্যমুখের কর্ণধার অভি চক্রবর্তী।
‘নাটক নিয়ে এই ধরনের অনুষ্ঠান শুধুমাত্র এখানেই হয়। এটা খুবই আনন্দের ব্যাপার। সবাই আসুন, নাটক দেখুন এবং নাট্যমেলাকে সাফল্যমণ্ডিত করুন’, বলেন ঊষা গঙ্গোপাধ্যায়। গৌতম হালদারের কথায় একই রেশ। ‘আপনারা সবাই আসুন, নাটক দেখুন। তবেই আমরা সার্থক। এই নাট্যমেলার জয়কে আপনারাই সফল করুন।’ ‘ধারে এবং ভারে ক্রমশ উন্নীত হচ্ছে নাট্যমেলা। শুরু হয়েছে নাটকের গানের নতুন বিভাগ’, জানালেন অর্পিতা ঘোষ,’এই নাট্যমেলার উদ্দেশ্যই হল জেলার নাটকের আরও বেশি করে অংশগ্রহণ। জেলার বিভিন্ন নাট্যদল যেমন তাদের প্রযোজনা এখানে দেখার সুযোগ পাচ্ছে, তেমনই তারা শহরের নাটকও তারা উপভোগ করতে পারছে। আমারও জেলার প্রযোজনা দেখার সুযোগ পাচ্ছি।কলকাতার পর বিভিন্ন জেলায় অনুষ্ঠিত হবে নাট্যমেলা।’
ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছিলেন নাটকের মাধ্যমে লোকশিক্ষার কথা। সেই লোকশিক্ষার এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ হয়ে উঠেছে ‘ঊনবিংশ নাট্যমেলা’।