শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
সমাজবদ্ধ প্রতিটি মানুষ ছুটে চলেছে। যা কিছু প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তার চাই বলিষ্ঠ এক ছাতার তলায় মাথা গুঁজে দেওয়া। এই যুগে ছাতাবিহীন হলেই বিপদ। অবহেলায় বাঁচতে হবে, আর মৃত্যু হবে অনাদরে, কারও পায়ের তলায় পিষ্ট হয়ে। কাজেই মাথাকে বাঁচাতেই হবে। হয় কোনও প্রভাবশালীর ছাতার তলায়। নয়তো এমন কোনও ছাতা, যার রং, যে কোনও রাজনীতির রঙে রাঙানো। বিবেক, আদর্শ, সহিষ্ণুতা, ত্যাগ, ভালোবাসা, সততা, শ্রদ্ধা— ফিকে হয়ে যাওয়া ছাতার রঙের ওপর যখন দুর্নীতি, ভোগ, স্বার্থপরতা, হিংসা, দ্বিচারিতার গাঢ় রঙের প্রলেপ থাকবে, সেই ছাতাটকেই বাছতে হবে। সেই ছাতার তলাটাই হবে আদর্শ। মাথা বাঁচবে, জীবন এগবে, আমি ভালো থাকব। বাকি সব গোল্লায় যাক।
কিন্তু ছাতা খুঁজতে থাকা সেই ব্যাঙরূপী মানুষটার কী হল? সে কি পেল এমন কোনও ছাতা? নাকি ছাতা না পেয়ে তাকে কারও মাথা থেকে তার ছাতাটা কেড়ে নিতে হল? জানতে হলে দেখতে হবে নতুন ভাবনায় লেখা দীপায়ন ভট্টাচার্যের নাটক ‘ব্যাঙের ছাতা’। সেই ব্যাঙরূপী মানুষটার যাত্রাপথের নানা বাঁকে, বিভিন্ন মানুষ আর সমকালীন সমাজ— এই নিয়েই পুলক রায়ের উপভোগ্য নির্দেশনা। যদিও নাটকের কিছু কিছু দৃশ্যকে আরও টাইট করার সুযোগ ছিল। হয়তো একইসঙ্গে অভিনয়, পোশাক পরিকল্পনা, আলো, মঞ্চ— সব বিভাগের দায়িত্ব নেওয়াটা বেশ চাপের। তবে পুলক রায় অত্যন্ত সততার সঙ্গে সেই কাজটা করেছন। তাঁর চেষ্টাটা অভিনন্দনযোগ্য। সুরজিৎ মুখোপাধ্যায়, অরূপ দাস, অঙ্কিত কর্মকার, রাকেশ সাহা, সঞ্জয় বটব্যাল, কমল বন্দ্যোপাধ্যায়, সুমন রায়, দেবব্রত চক্রবর্তী এবং পুলক রায়— পুরুষ বিগ্রেডের বলিষ্ঠ অভিনয় নাটকটিকে উপভোগ্য করে তুলেছে।
অজয় মুখোপাধ্যায়