উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
অনেক রক্ত ঝরিয়ে ব্রিটিশদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করা হল। কিন্তু যাওয়ার আগে ইংরেজরা রেখে গেল দেশভাগের যন্ত্রণা, সাম্প্রদায়িকতার বিষ, দারিদ্রতার অভিশাপ আর রাজনীতির হিংস্রতা। যা আজ ভারতবর্ষকে ক্রমশ দুর্বল করে দিচ্ছে। ভারতের রাজনীতি এই চারটিকে হাতিয়ার করে এগিয়ে চলেছে এক অসহনীয় অন্ধকারের পথে। জাতপাত আর সাম্প্রদায়িকতাকে হাতিয়ার করে দেশের রাজনীতি যেন মৃত্যুদূত। মৃত্যুর হাত ধরে হিংসার আগুন জ্বলে উঠছে পাঞ্জাব, গুজরাট, আহমেদাবাদ, ডিব্রুগড়, গোধরা, তেলেঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ, ত্রিপুরা হয়ে নন্দীগ্রাম, লোধাশুলি বা কাকদ্বীপে। কিষাণজি থেকে দিবাকর মাহাতো – ছোট্ট ছোট্ট বাস্তবতা, বাঙময় হয়ে উঠেছে কাব্য আর সংলাপের যুগলবন্দীতে। ইতিহাসের দু’পিঠেই সমান আলোকপাত করেছে – এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ নয়। একদিকে ইতিহাস আর কাব্যের মেলবন্ধন আর অন্যদিকে উপযোগী অডিও-ভিসুয়াল, যেন এক জান্তব দলিল। এর সঙ্গে মিশে গেছে রোকেয়া রায়ের প্রায় একক অভিনয়। কখনও তিনি কথক, কখনও আবৃত্তিকার আবার কখনও তিনি চরিত্র। রোকেয়ার ছন্দময়তা, শারীরিক অভিনয় আর সেই সঙ্গে অনুভূতির যথার্থ প্রকাশ – সমগ্র নাটকটির মেরুদণ্ড। মূল ভাবনা, নির্দেশনা এবং সেই সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভিডিও ক্লিপিংসের ব্যবহার – অত্যন্ত দক্ষতা ও যত্নের সঙ্গে মঞ্চায়ন করেছেন মলয় রায়। শশাঙ্ক মণ্ডলের আলো এবং তীর্থেন্দু দত্তের আবহ মঞ্চকে বদলে বদলে যাওয়া প্রেক্ষাপটের বিচিত্রতা দান করেছে। যে প্রেক্ষাপটে ফিরে ফিরে আসে দেশভাগ, আন্দোলন, জাতিদাঙ্গা, দারিদ্রতা আর নোংরা রাজনীতির উলঙ্গ রূপ। পূর্বরঙ্গের অসামান্য প্রয়াস।
তবুও হয়ত অজান্তে কিছু ত্রুটি থেকে গিয়েছে। সাম্প্রতিক অতীতে লোধাশুলিতে হিংসার শিকার হন শিক্ষক দিবাকর মাহাত। একটি দৃশ্যে সে খবর যখন দেখানো হচ্ছে, সেখানে জন্মভূমি বা সাস ভি কভি বহু থী’র উল্লেখ হতে পারে কি? কেননা এই ধারাবাহিক দু’টির প্রদর্শন কাল ৯০এর দশকে। অর্থাৎ লোধাশুলির ঘটনার এক দশকের বেশি সময় আগে এই দুই জনপ্রিয় ধারাবাহিক প্রদর্শিত হত।