Bartaman Patrika
 

পেশাদারিত্ব না এলে ভালো থিয়েটার হবে না 

...বলতেন প্রয়াত নট ও পরিচালক অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ছিল তাঁর ৮৬তম জন্মদিন। সেই উপলক্ষে তাঁকে স্মরণ করলেন তাঁর শিষ্য প্রকাশ ভট্টাচার্য।

আধুনিক বাংলা থিয়েটারে শম্ভু মিত্র বা উৎপল দত্তের সঙ্গে যার নাম সমানভাবে উচ্চারিত হয়, তিনি অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়। আমার সৌভাগ্য বেশ কিছুদিন তাঁর সঙ্গে থিয়েটার করার সুযোগ আমার হয়েছিল। সেইসব সময়ের কথা আজ আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই। যা আজও আমাকে সৎ থিয়েটার করার প্রেরণা জোগায়।
সেটা সম্ভবত ১৯৭২ সাল। আমি তখন মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা কোম্পানিতে চাকরি করি। আমাদের অফিসেই কাজ করতেন রবিন চক্রবর্তী। রবিনদা তখন নান্দীকারের নিয়মিত অভিনেতা। আমি রবিনদাকে গিয়ে বললাম – আমাকে নান্দীকারে নিয়ে যেতে পারেন? আমার খুব ইচ্ছে নান্দীকার নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত হই। বেশ কিছুদিন বলার পরে, আমার আবদারে রবিনদা রাজি হলেন এবং আমাকে নিয়ে গেলেন অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। নান্দীকার তখন রঙ্গনায় নিয়মিত অভিনয় করত। রঙ্গনার দোতলায় অজিতদার গ্রিনরুম। সেই প্রথম চাক্ষুষ করলাম তাঁকে। গম্ভীর গলায় বললেন- ‘কী করো?’ আমি বললাম চাকরি করি। উনি বললেন – ‘আগে কোনওদিন থিয়েটার করেছ?’ আমি বললাম, হ্যাঁ। প্রথমে স্কুলে তারপরে পাড়ায়। আমায় দেখে বা আমার কথা শুনে ওনার কী মনে হল জানি না, কিন্তু অনুমতি দিলেন। বললেন –‘ঠিক আছে, কাল থেকে নান্দীকারে এস’ ।
পরেরদিন সন্ধেবেলায়, শ্যামবাজারে, নান্দীকারের দলের ঘরে গিয়ে আমি হাজির হলাম। কত মানুষ, বাইরের বড় ঘরে সবাই বসে আছেন – কেউ মোড়ায়, কেউ টুলে। আমিও খুব সন্তর্পণে একটা মোড়ায় গিয়ে বসলাম। পাশের ঘরে অজিতদা, কেয়াদি আর পরিমলদা ( মুখার্জি) স্ক্রিপ্ট লিখছেন। কিছুক্ষণ পরে হঠাৎ অজিতদা পাশের ঘর থেকে ওই ঘরে এলেন। এসেই বললেন – ‘সবাই শোনো তো, এই দৃশ্যটা কেমন হলো?’ বলেই পড়তে শুরু করলেন। ওই গম্ভীর গলা, ওই বিশাল চেহারা – আমি শুধু মন্ত্রমুগ্ধের মতো ওনাকে দেখছি। প্রায় ছেলেমানুষের মতো সব্বাইকে জিজ্ঞেস করছেন- ‘কী, কেমন লাগছে?’ আমরা সবাই বললাম , খুব ভালো। উনি ‘ভালো লাগছে তো?’ বলে হাসতে হাসতে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন। সেদিন নান্দীকারের বাথরুমে রাজমিস্ত্রী কাজ করছিল। মেঝেতে কাঁচা সিমেন্ট আর বাইরে লেখা – ‘কেউ বাথরুমে যাবেন না’। অজিতদা পাশের ঘরে যাওয়ার আগে, বাথরুমে কেমন কাজ হয়েছে দেখতে গেলেন। দেখলেন ওই কাঁচা সিমেন্টের উপর কারও একটা জুতোর ছাপ। শিশুর মতো সরল মানুষটা হঠাৎ পাল্টে গেলেন। আবার ঘরে ঢুকে সবাইকে জিজ্ঞেস করলেন ( একটু রাগত স্বরেই) – ‘কে কে গিয়েছিল বাথরুমে?’ সবাই নিঃশ্চুপ। উনি বললেন –‘কেউ যায়নি, অথচ এমনি এমনি কাঁচা সিমেন্টে জুতোর ছাপ পড়ে গেল?’ এই বলে গজগজ করতে করতে পাশের ঘরে চলে গেলেন।
মিনিট দশ-পনেরো পর আবার এই ঘরে এলেন। এবার বললেন – ‘দেখি দেখি, সবাই পা তোলো তো’। ওই প্রথমদিনে আমিও ভয়ে ভয়ে আমার পা তুলে অজিতদাকে জুতো দেখালাম। উনি দেখলেন, কারও জুতোর ছাপ বাথরুমের জুতোর ছাপের সাথে মিলছে না। উনি আবার রেগে পাশের ঘরে চলে গেলেন। আবার মিনিট দশেক পরে এঘরে এলেন। জিজ্ঞেস করলেন – ‘মঞ্জু ( ভট্টাচার্য ) কোথায়?’ তখন দলের খুবই প্রাচীন সদস্য, অরুণ চট্টোপাধ্যায় বললেন, মঞ্জু চলে গেছে। অজিতদা বললেন – ‘ওটা মঞ্জুর জুতোর ছাপ’। তখন অরুণদা মাথা নিচু করে বললেন, হ্যাঁ, মঞ্জু একবার বাথরুমে গিয়েছিল বটে। অজিতদা বললেন, ‘আপনি এতক্ষণ আমাকে বললেন না! আমি তখন থেকে ভাবছি , আমি কাদের সাথে থিয়েটার করি যারা একটা সত্যি কথা বলতে পারে না! আপনি আমার থিয়েটারের আধঘন্টা সময় নষ্ট করে দিলেন’! বলেই হো হো করে হাসতে হাসতে পাশের ঘরে চলে গেলেন। সেইদিন অজিতদাকে দেখলাম – কত সহজে একটা শিশুর মতো মানুষ রেগে গেলেন, আবার সত্য আবিষ্কার করার পরে আবার আগের মতো সহজ, সরল হয়ে গেলেন। সেই প্রথমদিনের ঘটনাতেই শিখলাম যে, থিয়েটার করতে হলে সত্যি কথা বলতে হয়।
আস্তে আস্তে নান্দীকারের নিয়মিত কাজের সঙ্গে আমি যুক্ত হতে শুরু করলাম। প্রথমে আমার দায়িত্ব পড়ল গ্রিনরুমের দরজায় পাহারা দেওয়ার। আমার উপর নির্দেশ ছিল, ফার্স্ট বেল পড়ার পরে যদি কেউ কারও সঙ্গে দেখা করতে আসেন তার কাছে জানতে চাওয়া যে তিনি নাটক দেখবেন কিনা এবং তাকে টিকিট দিয়ে বলে দেওয়া যে, তিনি যেন অভিনয়ের শেষে ভিতরে এসে তার পরিচিত মানুষের সাথে দেখা করেন। সেইমতো আমিও দলের নির্দেশ পালন করে চলতাম। একদিন ঠিক অভিনয় শুরুর আগে , ধুতি-পাঞ্জাবি পরা একজন বেশ লম্বা, ফর্সা, সুপুরুষ এসে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন –‘ অজিত আছে?’ আমিও নিয়মমতো তাঁকে বললাম, আছেন, কিন্তু একটু পরেই তো অভিনয় শুরু হবে। আপনি নাটক দেখতে চাইলে আমি আপনাকে বসিয়ে দিয়ে আসছি, আপনি নাটকের শেষে এসে দেখা করতে পারেন। আমাদের মধ্যে যখন এইসব কথা চলছে, কোনও কারণে অজিতদা সেইসময় সেখানে এসেছিলেন। উনি আমাদের দেখতে পেয়ে প্রায় ছুটে এসে ভদ্রলোককে প্রণাম করে বললেন –‘স্যার, আপনি এসেছেন। খুব ভালো লাগছে।’ আমাকে বললেন, ওনাকে সামনে নিয়ে গিয়ে বসাতে। আমি যথারীতি ওনাকে সামনের সারিতে বসিয়ে দিয়ে এলাম। অজিতদা আমাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন – ‘তুমি চেনো ওনাকে?’ আমি বললাম –না। অজিতদা বললেন – ‘ উনি আমার মাস্টারমশাই, বাংলা থিয়েটারের খ্যাতনামা নির্দেশক, অভিনেতা – মহেন্দ্র গুপ্ত।’ আমি বুঝলাম, নান্দীকারে আজই আমার শেষদিন। অজিতদার মাষ্টারমশাইকে আটকে দিয়েছি। আমি খুব ভয়ে ভয়ে বললাম, আমি তো চিনি না ওনাকে ... তাই ওনাকেও.... আমার কথা শেষ করতে না দিয়ে অজিতদা বললেন – ‘না না, তুমি ঠিক করেছ। কিন্তু এইসব গুণী মানুষদের চিনতে হবে তো! থিয়েটার করবে আর অগ্রজদের চিনবে না, এটা তো ঠিক নয়’। এও আমার নতুন করে শেখা। এইভাবেই ধীরে ধীরে শিখতে শুরু করলাম।
এর কিছুদিন পরে আমার উপর দায়িত্ব পড়ল পোশাক বিভাগের। যদিও পোশাক বিভাগে একজন পেশাদার মানুষ নিযুক্ত ছিলেন, তবুও তার সমস্ত কাজ দেখাশোনার জন্য আমি নিযুক্ত হলাম। রঙ্গনায় তখন ‘নটী বিনোদিনী’ নাটক হচ্ছে। ওই নাটকে অজিতদা গিরিশ ঘোষের চরিত্রে অভিনয় করতেন। অভিনয়ের সময় সব অভিনেতারা মঞ্চে বসে থাকতেন। যার যখন চরিত্র আসত তিনি উঠে গিয়ে অভিনয় করতেন, আবার এসে মঞ্চের পিছন দিকের চেয়ারে বসতেন। একটি দৃশ্যে গিরিশ ঘোষ মঞ্চ থেকে বেরিয়ে আসতেন, তাকে একটা কালো কোট পরানো হতো এবং তারপর উনি আবার অভিনয়ে চলে যেতেন। আমার সঙ্গে পোশাকের দায়িত্বে থাকা ছেলেটির কাজ ছিল ওই কোটটি অজিতদাকে পরিয়ে দেওয়া। একদিন কোনও কারণে ছেলেটি গ্রিনরুম থেকে কোটটি আনতে দেরি করে ও সিঁড়ি দিয়ে তাড়াতাড়ি নামতে গিয়ে পড়ে যায়। তাতে ওর খুব লাগে আর আওয়াজও হয়। অজিতদা কোট পরে নিয়ে মঞ্চে গিয়ে অভিনয় করলেন। অভিনয়ের শেষে পর্দা পড়ে যাওয়ার পর সবাইকে মঞ্চে ডাকলেন। জিজ্ঞাসা করলেন আওয়াজ হলো কেন? ছেলেটি বলল, ‘আমি সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে পড়ে যাওয়ায় আওয়াজ হয়েছে আর আমার কোমরেও খুব লেগেছে, ভীষণ কষ্ট পাচ্ছি’। অজিতদা ওর কোনও কথাই শুনলেন না। বললেন – ‘ দর্শকরা টাকা দিয়ে টিকিট কেটে অভিনয় দেখার জন্য এসেছেন। তোমার পড়ে যাওয়ার আওয়াজ শোনার জন্য নয়।’ তারপর আরও বকাবকি করলেন। এইরকম ছিল তখন ব্যাকস্টেজের ব্যবস্থা। কোনও আওয়াজ, কোনও কথা— কিছু হবে না। উইংয়ের দুদিকে দুজন উইং গার্ড থাকত। তবেই না ওইসব ইতিহাস সৃষ্টিকারী প্রযোজনা তৈরি করা সম্ভব হয়েছে! আজ কি আমরা এতটা সুশৃঙ্খল ভাবে থিয়েটার করি? প্রশ্ন থেকে যায়।
সেইসময় আমরা যারা নান্দীকারে নতুন এসেছিলাম, তাদের নিয়ে রাতে অভিনয়ের পরে থিয়েটারের ক্লাস নিতেন অজিতদা। রঙ্গনার ওই ছোট্ট গ্রিনরুমে। অভিনয়ের শেষে একটুও ক্লান্তি তাঁকে স্পর্শ করত না। মনে আছে, একদিন ‘মঞ্চসজ্জার বিবর্তন’ নিয়ে আমাদের ক্লাস নিয়েছিলেন। কীভাবে ন্যাচারালিস্টিক সেট ছিল শুরুতে। বিদেশে ‘মঞ্জরী আমের মঞ্জরী’ নাটকে আমের মঞ্জরী রাখা হতো মঞ্চে, যাতে তার গন্ধ দর্শকদের নাকে যায়, মঞ্চে ঘোড়া উঠে আসত। কিন্তু সেটা বেশীদিন সম্ভব হয়নি। কারণ ন্যাচারালিস্টিকের তো শেষ নেই, কত ন্যাচারাল হবে? তারপর এল রিয়েলিস্টিক সেট, তার থেকে সাজেস্টিভ সেট... এইভাবে তিনি আমাদের পড়িয়েছিলেন। আজও চোখে ভাসছে সেইসব দিনের কথা। হায়! আজ থিয়েটারে সেইসব চর্চা কোথায় ?
তিনি সব সময় ভাবতেন কী করে থিয়েটারকে পেশাদার করা যায়। কারণ বলতেন থিয়েটারকে পেশাদার না করলে ভালো থিয়েটার করা যাবে না। এই পেশাদারিত্বের ভাবনা থেকে তিনি দলের শিল্পী, কর্মীদের জন্য একটি ‘পেমেন্ট স্ট্রাকচার’ তৈরি করেছিলেন। কর্মভিত্তিক পয়সা। সেই কাঠামোটা যে কত বৈজ্ঞানিক তা বলে বোঝানো যাবে না। যদিও তখন পয়সা দেওয়া যায়নি, কিন্তু দলে পয়সা এলে তা কীভাবে সবাইয়ের মধ্যে বিতরণ করা হবে তা ঠিক করেছিলেন।
তখন কত গুণীজন একসঙ্গে নান্দীকারে ছিলেন। তাঁদের দেখেছি কী কর্মঠ ছিলেন তাঁরা। ‘ভালোমানুষ’ নাটকের মহড়া চলছে নান্দীকারের ওই ছোট ঘরে। আটঘোড়ার নাচ তৈরি হয়েছে ঐ ছোট ঘরে। প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী শম্ভু ভট্টাচার্য এসে মহলা দেওয়াতেন। এত কষ্ট করে তখন নাটক তৈরি হয়েছে তা ভাবা যায় না। সেই ভিত তৈরি হয়েছিল বলেই নান্দীকার আজও দাঁড়িয়ে আছে। শুধু দল হিসাবে নয়, একটা প্রতিষ্ঠান হয়ে। আমি গর্বিত যে, সেই দলের একজন সামান্য কর্মী আমিও ছিলাম। খুব অকালে চলে গেলেন অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, আমাদের অজিতদা। আরও দশ বছর বেঁচে থাকলে আমাদের বাংলা থিয়েটার যে কতটা ঋদ্ধ হতো, তা লিখে বোঝানো সম্ভব না। ৩০শে সেপ্টেম্বর অজিতদার জন্মদিন। তাঁর জন্মদিনে একজন সাধারণ নাট্যকর্মীর বিনম্র প্রণাম।। 
05th  October, 2019
অর্ঘ্যের দশম লোকরঙ্গ নাট্যোৎসব 

কসবা অর্ঘ্য নাট্যদলের দশম বার্ষিক নাট্যোৎসব ‘লোকরঙ্গ ২০১৯’ শুরু হতে চলেছে আগামী ৮ নভেম্বর থেকে। চলবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। অ্যাকাডেমি মঞ্চে নীলাঞ্জন মিশ্রের গান দিয়ে শুরু হবে উৎসব।  বিশদ

02nd  November, 2019
থিয়েলাইটের জন্মোৎসব 

উনিশ পেরিয়ে কুড়ি বছরে পা দিল নাট্যসংস্থা থিয়েলাইট। এই উপলক্ষে তারা গত ২০ জুন অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসের লেডি রানু মুখোপাধ্যায় মঞ্চে আয়োজন করেছিল এক অনুষ্ঠানের।   বিশদ

02nd  November, 2019
একলা একটা অর্জুন গাছ আর ব্যাঙথুপী 

আধুনিক বিশ্ব ধীরে ধীরে উষ্ণায়ণের করাল গ্রাসে আবদ্ধ হয়ে পড়ছে। এর থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হল সবুজায়ন। ‘একটি গাছ একটি প্রাণ’, ‘গাছ লাগান প্রাণ বাঁচান’, ‘সবুজ বাঁচান’ — সরকারি বিজ্ঞাপন হোর্ডিংয়েই সীমাবদ্ধ।  বিশদ

02nd  November, 2019
যাত্রাশিল্প ও টেলিপাড়ার
অ ন্দ র কা হি নী 

নান্দীপটের নাটক ‘আবৃত্ত’কে জড়িয়ে রেখেছে যাত্রা। এক সৃষ্টিশীলতার মধ্যে দিয়ে আর এক শিল্পকে স্মরণ করা। প্রায় ভগ্নপ্রায় এক বাড়ি। যে বাড়ির বাসিন্দা মাত্র চারটি প্রাণী। এক বৃদ্ধ, এক বৃদ্ধা এবং তাঁদের সন্তানসম দুই তরুণ-তরুণী। চারজনকে একত্রিত করে একসঙ্গে বেঁধে রেখেছে যাত্রা।   বিশদ

02nd  November, 2019
থিয়েটার পাড়ার গপ্পো
‘দুর্গাদাস বাঁড়ুজ্জে দুটো হবে না’ 

পেশাদারি বিভিন্ন মঞ্চে প্রায় চুয়াল্লিশটি নাটকে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন শিল্পী দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি থিয়েটারের টানেই বর্ধিষ্ণু পরিবারের সন্তান হওয়া সত্ত্বেও, নাট্যমঞ্চকেই আপন করে নিয়েছিলেন। উইংস-এর আড়াল থেকে সেই সুদর্শন নটকে প্রত্যক্ষ করলেন ড. শঙ্কর ঘোষ।  বিশদ

02nd  November, 2019
পশুতে মানুষে... 

আমরা প্রায়শই কারও দুর্ব্যবহারে ক্ষুব্ধ হয়ে বলে থাকি — তুই তো জন্তুর মতো ব্যবহার করছিস! প্রশ্ন হল, সত্যি কি এখন এই উপমাটি ব্যবহার করা চলে? কেন না, বর্তমানে এই সমাজবদ্ধ জীবটি, অর্থাৎ মানুষ, সবচেয়ে বেশি হিংস্র, ভয়ঙ্কর, স্বার্থপর এক প্রাণী। যার সঙ্গে কোনও জন্তুরই তুলনা চলে না। 
বিশদ

12th  October, 2019
ধর্মের নামে ব্যবসার এক জ্বলন্ত ঘটনা তুলে ধরে এ নাটক 

ধর্ম ও মানুষের ধর্মীয় আবেগকে পুঁজি করে সারা পৃথিবীজুড়ে এক ব্যবসা চলছে। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি তাদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে, নিজেদের প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি করতে কাজে লাগাচ্ছে সাধারণ মানুষের এই আবেগকে। 
বিশদ

12th  October, 2019
রংমহল ছাড়েননি 

সামনেই দুর্গাপুজো। ফি বছর মা আসেন পতিগৃহ থেকে পিতৃগৃহে। তেমনই একবার দুর্গা মর্তে আসার প্রাক্কালে পতিদেব মহাদেবের কাছে আর্জি জানালেন যে তিনি মর্তবাসীর দুঃখ-দুর্দশা সইতে পারছেন না। মহাদেব এমন কিছু করুন যাতে মর্তের লোকেদের দুর্গতি দূর হয়।  
বিশদ

12th  October, 2019
রঙরূপের ৫০ পূর্ণ 

পঞ্চাশ বছর পূর্ণ করে একান্নে পা রাখল নাট্যদল রঙরূপ। শারদোৎসবের প্রাক্কালে এই উপলক্ষে তারা আয়জোন করেছিল দুই দিনব্যাপী এক উৎসবের। পয়লা ও দোসরা অক্টোবর, এই দুই দিন বাাংলা অ্যকাডেমি ও অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও নাটক।  
বিশদ

05th  October, 2019
সমীর সেন-উৎপল রায় যুগলবন্দি সাথীহারা ভালোবাসা 

ফেসবুক-হোয়াটস অ্যাপ-ইনস্টাগ্রামের হড়পা বান যতই আছড়ে পড়ুক না কেন, বঙ্গ জীবনের অঙ্গে পরম্পরা ঐতিহ্যকে মান্যতা দিতে এখনও অভাব হয়নি আন্তরিকতার। তার নমুনা মিলবে বিশ্বভারতী অপেরার ১৪২৬ সনের নয়া পালাগান ‘সাথী হারা ভালোবাসা’য়। নিবেদনে শুভজিৎ সেন। 
বিশদ

05th  October, 2019
বীরত্ব ও আত্মবলিদানের গল্প 

সম্প্রতি গিরিশ মঞ্চে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বীরপুরুষ’ কবিতাটি নাট্যাঙ্গিকে মঞ্চস্থ করল হাওড়া শিল্পী সংঘ। নাটকে অবশ্য শিশুর বীরত্বর সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজরের এক মর্মস্পর্শী কাহিনী মিশিয়ে পরিবেশন করা হয়। বিষয়টি অন্যরকম এবং হৃদয়বিদারক সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। 
বিশদ

05th  October, 2019
থিয়েলাভার্সের দুটি নাটক 

থিয়েলার্ভাস প্রযোজিত দুটি ভিন্নধর্মী নাটক ‘অনার্যবারতা ও পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমির আর্থিক সহায়তায় কর্মশালা ভিত্তিক ‘গাজনাচরের বাজনা’ মঞ্চস্থ হল গিরিশ মঞ্চে। সময়, কাল ও নিয়তি— এই তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে সকলের ভাগ্য। এরাই নির্ধারণ করে প্রত্যেকের গন্তব্য।  
বিশদ

05th  October, 2019
দুটি চেয়ার কেন? 

অগ্রজকে কীভাবে সম্মান জানাতে হয় তা শিখেছিলেন বিভাস চক্রবর্তীর থেকেই। তাঁর আসন্ন জন্মদিন উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করলেন প্রকাশ ভট্টাচার্য।  বিশদ

21st  September, 2019
চণ্ডীতলা প্রম্পটারের কলাকেন্দ্র 

হুগলি জেলার বরিজাহাটি অঞ্চলে নাটকের দল চণ্ডীতলা প্রম্পটারের নিজস্ব উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে একটি নাট্যগৃহ ‘কলাকেন্দ্র’-র। আদতে এটি একটি মুক্তমঞ্চ। গত ৮ সেপ্টম্বর নাট্যব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসু এটির উদ্বোধন করেন। 
বিশদ

21st  September, 2019

Pages: 12345

একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আগামী শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণীর আসা বড়সড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে। সরকারের এই পরিকল্পনা কার্যকর করতে স্কুলগুলিতে যে অতিরিক্ত ক্লাসরুমের বন্দোবস্ত করতে হবে, তার ...

 ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল। ...

সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: রাস উৎসবকে সামনে রেখে নবদ্বীপে ফেরিঘাটগুলিতে নিরাপত্তা বাড়ানো হল। রাসের দিনগুলিতে ফেরিঘাট দিয়ে কয়েক লক্ষ মানুষের আনাগোনা লেগে থাকে। ফলে তাদের পারাপার ও নিরাপত্তা নিয়ে নবদ্বীপের ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হয়েছেন। পাশাপাশি নবদ্বীপ পুরসভা ও ব্লক প্রশাসনও এনিয়ে তৎপর। ...

রাঁচি, ৭ নভেম্বর (পিটিআই): ঝাড়খণ্ডের গিরিডিতে এক মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর পরিবারের দাবি, না খেতে পেয়ে তিনি মারা গিয়েছেন। যদিও রাজ্য প্রশাসনের তরফে অনাহারে মৃত্যুর ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৫৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপিনচন্দ্র পালের জন্ম
১৮৬২: মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের মৃত্যু
১৮৬৭: বিজ্ঞানী মেরি কুরির জন্ম
১৮৮৮: নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর বেঙ্কটরমনের জন্ম
১৯২৩: সাহিত্যিক ও সমাজসেবী অশ্বিনীকুমার দত্তের মৃত্যু
১৯৫৪: অভিনেতা কমল হাসানের জন্ম
১৯৭১: অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর জন্ম
১৯৭৯: অভিনেত্রী রাইমা সেনের জন্ম

07th  November, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৪৮ টাকা ৭২.৬৪ টাকা
পাউন্ড ৮৯.১২ টাকা ৯৩.৪৫ টাকা
ইউরো ৭৬.৭৪ টাকা ৮০.৪৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৮২৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৮৩৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৩৯০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,৭৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৫,৮৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২১ কার্তিক ১৪২৬, ৮ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, একাদশী ১৬/৩০ দিবা ১২/২৫। পূর্বভাদ্রপদ ১৫/৫৯ দিবা ১২/১২। সূ উ ৫/৪৮/২৭, অ ৪/৫২/২১, অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৭/১৭ গতে ৯/৩০ মধ্যে পুনঃ ১১/৪২ গতে ২/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪৪ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ৩/১৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৫ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৮/৩৫ গতে ১১/২১ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৬ গতে ৯/৪৩ মধ্যে। 
২১ কার্তিক ১৪২৬, ৮ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, একাদশী ১৫/৫৮/১৯ দিবা ১২/১২/৪৩। পূর্বভাদ্রপদ ১৭/৫৮/২৫ দিবা ১/০/৪৫, সূ উ ৫/৪৯/২৩, অ ৪/৫৩/১৪, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৪ মধ্যে ও ৭/২৭ গতে ৯/৩৬ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৩৭ মধ্যে ও ৩/২০ গতে ৪/৫৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৩৯ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৫০ গতে ৩/২২ মধ্যে ও ৪/১৫ গতে ৫/৫০ মধ্যে, বারবেলা ৮/৩৫/২১ গতে ৯/৫৮/২০ মধ্যে, কালবেলা ৯/৫৮/২০ গতে ১১/২১/১৮ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৭/১৬ গতে ৯/৪৪/১৭ মধ্যে। 
১০ রবিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: টসে জিতে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট নিল দিল্লি

07:13:52 PM

আজকের রাশিফল 
মেষ: ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। মিথুন: উচ্চবিদ্যায় ভালো ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৬২- সঙ্গীত জগতের কিংবদন্তি পুরুষ ওস্তাদ আলাউদিন খাঁর জন্ম।১৮৯৫- জার্মান ...বিশদ

07:03:20 PM

আগামীকাল অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করবে সুপ্রিম কোর্ট

09:17:50 PM

এবার হকি বিশ্বকাপ ভারতে
২০২৩ সালে পুরুষদের এফআইএইচ হকি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে ভারত। ...বিশদ

05:08:38 PM

পদত্যাগ করলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী
 মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। সরকার গড়ার ...বিশদ

05:01:39 PM