Bartaman Patrika
 

যাত্রার গব্বর সিং ছিলেন দিলীপ চট্টোপাধ্যায় 

চলচ্চিত্রে ভিলেনের প্রসঙ্গ উঠলে যেমন ‘শোলে’র গব্বর সিংয়ের কথা আসবেই, তেমনই যাত্রায় ভিলেনের কথা আলোচনা হলে ভাবনা কাজির কথা আসবেই। তখনকার দিনে গ্রামবাংলার মায়েরা বাচ্চাদের ঘুম পাড়াত ভাবনা কাজির ভয় দেখিয়ে। ‘শিগগির ঘুমিয়ে পড় ওই ভাবনা কাজি আসছে।’ একেবারে ‘শোলে’র সংলাপের বাস্তব রূপ। কিন্তু ‘শোলে’র জন্মের অনেক আগে থেকেই গ্রামবাংলার মঞ্চ কাঁপিয়েছে ভাবনা কাজি। তার সংলাপ ‘গায়ের চামড়া খুলে নেব, ডালকুত্তা দিয়ে খাওয়াব’ শুনলে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে উঠত। ভাবনা কাজি মানে বিশাল দশাশই চেহারা। মাথায় টাক। চোখে ক্রুর দৃষ্টি। ভয়ংকর অত্যাচারী এক মানুষ। নিষ্ঠুর ধরনের সংলাপ। হাতে তার সবসময় ধরা থাকে একটা চাবুক। তাই দিয়ে সে যাকে ইচ্ছে মারে। সবাই তার ভয়ে তটস্থ। এমনই এক চরিত্র ব্রজেন দে তৈরি করেছিলেন তাঁর ‘সোনাই দীঘি’ পালায়। সেই পালায় ভাবনা কাজির চরিত্রে অভিনয় করে অমর হয়ে আছেন দিলীপ চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘ প্রায় ২৭-২৮ বছর একই পালায় ভাবনা কাজির চরিত্রে তিনি অভিনয় করে গিয়েছেন। অথচ পালায় কিন্তু ভাবনা কাজিকে নাট্যকার এতটা প্রাধান্য দেননি। সেখানে প্রধান চরিত্র হিসাবে তিনি তৈরি করেছিলেন যাদব, মাধব, সোনাইকে।
সেই অপ্রধান চরিত্রকে অভিনয়ের গুণে প্রধান চরিত্র করে তুললেন দিলীপবাবু। কীভাবে সেই কাজ তিনি করেছিলেন, সেই কাহিনী বলেছিলেন দিলীপবাবুর সুযোগ্য অভিনেতা-পুত্র সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়। ‘১৯৫৯-এ সিজনের মাঝামাঝি সত্যম্বর অপেরায় নেমেছিল ‘সোনাই দীঘি’। সিজনের মাঝে সেভাবে রিহার্সালেরও সুযোগ ছিল না। দল যেখানে যেখানে ঘুরত, সকালবেলায় মুড়ি তেলেভাজা খেতে খেতে শিল্পীরা বসে বসে পার্ট বলতেন। যাকে বলা হতো মুখমিল করা। এভাবেই তখন তৈরি হয়েছে অনেক সুপারহিট পালা। সেভাবে নাট্য পরিচালক বলেও কিছু ছিল না। দলের ম্যানেজার এবং স্টার শিল্পী পার্ট বিলি করতেন এবং নিজেরাই ঠিক করে একটা নাটক দাঁড় করাতেন। সেই পালা প্রথম খুলল নাদনঘাটে।’
প্রথম বছরে সেই পালায় যাঁরা অভিনয় করেছিলেন, তাঁরা হলেন গুরুপদ ঘোষ (ভাটুক ঠাকুর), অমর বন্দ্যোপাধ্যায় (মাধব), মেন্টা বোস (যাদব), পান্না চক্রবর্তী (আজিম খাঁ, পরে তিনি যাদবও করেন), জ্যোৎস্না দত্ত (সোনাই), অঞ্জলি ভট্টাচার্য (মুক্তকেশী), মধু বড়াল বা মধুরানি (মল্লিকা), সত্য বাবাজি (নিশাচর) প্রমুখ। সেবার সত্যম্বরের দল পরিচালক ছিলেন হরিপদ বায়েন। পালা যখন ফেলা হল, তখন দিলীপবাবু ভেবেছিলেন তিনি দলের অন্যতম টপ শিল্পী। তিনি হয়তো যাদব চরিত্রটি পাবেন। কিন্তু তাঁকে দেওয়া হল ভাবনা কাজি চরিত্রটি। সে ব্যাপারে সন্দীপবাবু বলেছেন, ‘এই চরিত্রটা পেয়ে বাবা খুব একটা খুশি হতে পারেনি। কেন না চরিত্রটা অথর-ব্যাকিং ছিল না। কিন্তু কম গুরুত্বপূর্ণ পার্ট পেয়েও বাবা দমে যায়নি। মনে মনে ঠিক করেছিল, এটাকেই এমন একটা রূপ দেবেন, যাতে সবাই ভাবনা কাজির নামই উচ্চারণ করে।’ ভাবনা কাজি চরিত্রটাকে একটা চ্যালেঞ্জ হিসাবেই নিলেন দিলীপবাবু। সব সময় ভাবতেন কীভাবে চরিত্রটাকে তৈরি করা যায়। তার অ্যাপিয়ারেন্স, কথা বলা, হাঁটা, তাকানো সবকিছুর মধ্যে একটা নতুনত্ব আনতে চাইলেন। যাত্রার গতানুগতিক ভিলেনের বাইরে একটা চরিত্রসৃষ্টি। প্রতিনিয়ত মনের মধ্যে সেই চরিত্র নিয়ে ভাঙাগড়া চলতে লাগল। রিহার্সাল দেখে হরিপদ বায়েন এবং দলমালিক গৌরচন্দ্র দাস বলেছিলেন, ‘আপনার অভিনয় মানুষ নেবে না।’ দিলীপবাবু বলেছিলেন, ‘আমি যেমন ভেবেছি, সেভাবে করি। পালা নামুক। মানুষের পছন্দ না হলে আপনারা যেমনভাবে বলছেন, সেভাবেই করব।’ নাদনঘাটে পালা নামল। ভিড়ের মধ্যে মিশে থেকে গৌরবাবু মানুষের মন্তব্য শুনেছিলেন। পালা শেষ হওয়ার পর সকলের মুখে তখন একটাই নাম, ভাবনা কাজি। সাজঘরে এসে গৌরবাবু বলেছিলেন, ‘অপূর্ব হয়েছে। এমন অভিনয় মানুষ কোনওদিন ভুলবে না।’
সেই চরিত্রে দিলীপবাবু অভিনয় করেছিলেন ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত। তিনি যে দলে গিয়েছেন, সেই দলেই ‘সোনাই দীঘি’ পালার অভিনয় হতো। ভাবনা কাজি একই থাকতেন। বদলে যেত যাদব, মাধব, সোনাইয়ের অভিনেতা অভিনেত্রীরা। বর্ণালী বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম যাত্রায় আসা তরুণ অপেরায়। সেবার দিলীপবাবু সেই দলে। বর্ণালীও সোনাই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। সেই স্মৃতি ফিরিয়ে এনে তিনি বললেন, ‘আমি তখন নতুন। ওনাকে সমীহ করতাম, শ্রদ্ধাও করতাম। আমরা মনপ্রাণ দিয়ে অভিনয় করতাম। কিন্তু ‘সোনাই দীঘি’ পালার সব হাততালি উনিই নিয়ে নিতেন।’
অথচ তাঁর যাত্রায় অভিনয় করার কোনও স্বপ্নই ছিল না। হুগলির চুঁচুড়ার চকবাজারের জমিদার বাড়ির ছেলে। যাত্রা দেখার শখ ছিল অবশ্য। পনেরো বছর বয়সে বাবার মৃত্যুর পর দিলীপবাবুর জগৎটা বদলে গেল। বাবার ছিল শেয়ার বাজারের কারবার। ধীরে ধীরে বিপরীতমুখী এক ঝোড়ো হাওয়ায় খসে পড়ল স্বাচ্ছন্দ্য। একে একে জমিদারির ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হল। সংসারের প্রয়োজন মেটাতে তখন দরকার একটা চাকরি। জুটলো বটে, কিন্তু সেখানে থিতু হতে পারলেন না। বসের খারাপ ব্যবহার মেনে নিতে পারেননি। তাঁর নাকে এক ঘুষি মেরে সোজা দৌড়। আর কখনও চাকরিমুখো হননি। কিন্তু কিছু একটা করা দরকার। ১৯৫০ সালে তিনি যাত্রায় যোগ দিলেন। যোগ দিলেন নব রঞ্জন অপেরায়। সেবার পালা ছিল ‘ভক্ত ধ্রুব’ এবং ‘সতীর ঘাট’। এক বছর পর গেলেন সত্যম্বরে। সেখানে পেলেন যাত্রার এক দিকপাল শিল্পী গুরুপদ ঘোষকে। ‘পাষাণের মেয়ে’ পালায় গুরুপদ করতেন তারকাসুর এবং দিলীপবাবু ইন্দ্র। গুরুপদ ঘোষের অভিনয় থেকে অনেক কিছু শিখেছেন তিনি। ঘটনাক্রমে একদিন তাঁকেই তারকাসুরের অভিনয় করতে হল। সে এক কাহিনী। ম্যানেজারের উপর রাগ করে দল ছেড়ে চলে গেলেন দিলীপবাবু। তার কিছুদিন পর অসুস্থ হয়ে পড়লেন গুরুপদ ঘোষ। কে করবেন তারকাসুর! একদিন সত্যম্বরের মালিক গৌরবাবু তাঁর বাড়িতে হাজির। মান-অভিমানের শেষে আবার যাত্রায় ফিরে গেলেন। করলেন তারকাসুর। প্রচুর প্রশংসা পেলেন। সুযোগ পেয়ে প্রমাণ করলেন নিজেকে। এরপর পালা ‘রাজা লক্ষ্মণসেন’। গুরুপদ ঘোষ নামভূমিকায় এবং দিলীপবাবু অন্যতম প্রধান চরিত্র বখতিয়ার খিলজি।
১৯৬৪ সালে বিশ্বরূপা মঞ্চে যোগ দিন দিলীপবাবু। সঙ্গে সুজিৎ পাঠক। সেখানে অভিনয় হতো কর্ণার্জুন। দিলীপবাবু কর্ণ এবং সুজিৎ পাঠক অর্জুন। জয়শ্রী সেন দ্রৌপদী, রবি ঘোষ শকুনি। এক বছর পর আবার যাত্রায় প্রত্যাবর্তন।
পরের বছর তরুণ অপেরায় গেলেন। দলে ছিলেন বড় ফণী। তখনও শান্তিগোপাল স্টার হয়ে উঠতে পারেননি। পালা হয়েছিল ‘রক্তের নেশা’। আবার সত্যম্বরে প্রত্যাবর্তন। পালা ‘দীপ আজিও জ্বলে’। সঙ্গে ‘সোনাই দীঘি’। এখানে সোনাই করলেন সাহানা বোস। এরপর ভারতী অপেরা। সেই বছরই ভারতী অপেরার মালিক কালীপদ ঘোষ আরামবাগ থেকে এসে কলকাতায় গদিঘর করলেন। দিলীপবাবুর সঙ্গে সে বছর সেই দলে ছিলেন পান্না চক্রবর্তী, চিত্রা মল্লিক। এখানে সোনাই করতেন চিত্রা মল্লিক, পান্না করতেন যাদব। ব্রজেন দে’র ‘ভৈরবের ডাক’ নামল। দিলীপবাবু আওরঙ্গজেব। পান্না চক্রবর্তী ছত্রশাল, চিত্রা উদিপুরী বেগম। আর ছিলেন গুরুপদ ঘোষ। অনেক বড় অভিনেতা ছিলেন তিনি। সেটাই ছিল তাঁর যাত্রায় শেষ বছর। তিনি করতেন আফজল খাঁর চরিত্র।
পরের বছরও ভারতীতে। যাত্রায় নতুন এলেন শ্যামলী ভট্টাচার্য। শ্যামলীর সোনাই অভিনয় শুরু হল। জ্যোৎস্না দত্তের পর তিনিই সোনাই চরিত্রে বেশি অভিনয় করেছিলেন।
একদিন নিজে দল গড়লেন। শ্রীমা অপেরা। পালা ছিল ‘রক্তের পাপ’, ‘মুঘলে আজম’। এই পালায় দিলীপবাবু করতেন ইব্রাহিম লোদি এবং ননী ভট্ট করতেন বাবর। এরপর তিনি দলের নাম বদলে রাখলেন গণনাট্য। ১৯৭৫ সালে গণনাট্যের সুপারহিট পালা ছিল ভৈরব গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘পঙ্গপাল’। এক আদর্শবাদী চরিত্র নিতাই মাস্টারের ভূমিকায় অভিনয় করে দিলীপবাবু প্রচুর খ্যাতি পেয়েছেন। সে বছর ওই চরিত্রের সুবাদে পেলেন ভারতশ্রেষ্ঠ গন্ধর্ব পুরস্কার। এরপর ‘তাজমহল’। সাজাহান চরিত্রও দাগ কাটল মানুষের মনে। তুষার বন্দ্যোপাধ্যায় করতেন আওরঙ্গজেব, শ্যামলী ভট্টাচার্য করতেন জাহানারা। গণনাট্য যেবার ‘চাণক্য’ পালা নামাল, সেবার চিৎপুরে তিনটি চাণক্য অভিনীত হয়েছিল। নট্ট কোম্পানির ‘কুবেরের পাশা’য় শেখর গঙ্গোপাধ্যায় করতেন চাণক্য। গণনাট্যে দিলীপবাবু করতেন চাণক্য এবং তপোবন নাট্য কোম্পানির ‘সম্রাট চাণক্য’ করতেন দুলাল চট্টোপাধ্যায়।
১৯৮৬ সালে ছেলে সন্দীপ চট্টোপাধ্যায় এলেন যাত্রায়। শুরু হল পিতাপুত্রের একসঙ্গে অভিনয়। পালা ছিল প্রসাদ ভট্টাচার্যের ‘সিরাজদৌল্লা’। সন্দীপবাবু সিরাজ এবং দিলীপবাবু মিরজাফর।
তাঁর অভিনীত অন্য পালাগুলি হল দ্বিতীয় পানিপথ, পুষ্পচন্দন, লৌহ প্রাচীর, কালাপাহাড়, ময়ূরমহল, সুলতান মামুদ, স্বর্ণলঙ্কা, মিশরকুমারী, রাতের বিভীষিকা, রজনী, অগ্নিসংকেত, বাদশা আলমগীর, কাস্তে হাতুড়ি তারা ইত্যাদি।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে অবসর নিলেন অভিনয় থেকে। তার কয়েক বছর পরে ১৯৯৮ সালে চলে গেলেন ‘নটসূর্য’। এই উপাধি তাঁকে দিয়েছিল বিশ্বরূপার নাট্য উন্নয়ন পরিষদ।
দিলীপ চট্টোপাধ্যায়ের অভিনীত চরিত্রের মধ্যে একটা দৃঢ়তা ছিল। চেহারা, কণ্ঠস্বর আর অভিনয় মিলে তৈরি হতো একটা বিশ্বাস। সেই বিশ্বাসটা পৌঁছে যেত দর্শকদের মনের গভীরে এবং তৈরি হতো একটা ভালো লাগা। সে ভিলেন চরিত্রই হোক বা আদর্শবান কোনও চরিত্রই হোক। অভিনয়ে তিনি বারবার চরিত্রের প্রতি বিশ্বস্ত থেকেছেন। সেটাই তাঁকে দিয়েছে খ্যাতি এবং স্থায়িত্ব।  
10th  August, 2019
গিরিশ মঞ্চে সাজাহান 

গোপীমোহন সব পেয়েছিল আসর সম্প্রতি গিরিশ মঞ্চে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের লেখা সাজাহান নাটকটি মঞ্চস্থ করল। উপলক্ষ ছিল তাদের ৬৬তম বর্ষ উদযাপন। সাজাহানের চরিত্রে অভিনয় করেন সুব্রত ভট্টাচার্য।  বিশদ

14th  March, 2020
রামধনু নাট্যোৎসব 

বরানগর রামধনু নাট্যোৎসব এবার তৃতীয় বর্ষে পা রাখল। আগামী শুক্রবার ২০ মার্চ বরানগর রবীন্দ্রভবনে দুপুর ১২টায় এই উৎসবের উদ্বোধন করবেন বর্ষীয়ান নাট্যব্যক্তিত্ব গৌতম মুখোপাধ্যায়। নাট্যোৎসবটি চলবে ২২ মার্চ পর্যন্ত। মোট ১৬টি নাট্যদল এবার এই উৎসবে অংশ নিচ্ছে, তারমধ্যে বেশিরভাগই মফস্সলের। 
বিশদ

14th  March, 2020
পুশকিনের জীবন নিয়ে নাটক 

আগামী ২১ মার্চ বিশ্ব কবিতা দিবস। দু’শো বছর আগে ওইদিনই জন্ম হয়েছিল বিশ্ববন্দিত রাশিয়ান কবি আলেকজান্দার পুশকিনের। আর তাঁর জীবনদীপ নেভে মাত্র ৩৭ বছর বয়সে। জারের রাজকর্মচারী দান্তেসের সঙ্গে ডুয়েল লড়তে গিয়ে নিহত হন পুশকিন। অনেকে বলেন মৃত্যু, অনেকে বলেন হত্যা।  
বিশদ

14th  March, 2020
আনন্দজীবন নাট্যোৎসব

দিনাজপুর কৃষ্টি আয়োজিত সাতদিনের আনন্দজীবন নাট্যোৎসব হয়ে গেল কুশমন্ডিতে। ২০ থেকে ২৬ জানুয়ারি এই উৎসবে মোট আটটি দল অংশগ্রহণ করে। প্রতিদিনই দিনাজপুরের পাশাপাশি অন্যান্য জেলা থেকে আগত দলগুলির একটি করে নাটক মঞ্চস্থ হয়। উৎসবের প্রথমদিনে স্থানীয় বিধায়ক নর্মদা রায় প্রদীপ জ্বালিয়ে শুভ সূচনা করেন।  
বিশদ

14th  March, 2020
এ নাটক এক সমকালীন দলিল যা দর্শককে ভাবায় 

সময়টা বড়ই ভয়ঙ্কর। ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে রাজনীতির কারবারিরা যে যার মত করে ঘুঁটি সাজাতে তৎপর। ধর্ম নামক বস্তুটিকে সামনে রেখে চলছে গরিব-বড়লোকের শ্রেণীবিন্যাস আর চিরকালীন সংঘাত। ঠিক এই সময়ে দাঁড়িয়ে ‘কালিন্দী নাট্যসৃজন’-এর নতুন প্রযোজনা ‘মন সারানি’ চমকে দেয়।
বিশদ

14th  March, 2020
কমলকুমারের গল্পের দুঃসাহসিক মঞ্চায়ন 

কমলকুমার মজুমদারকে ‘দুঃসাহসী লেখক’ বলে অভিহীত করেছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর বাক্যগঠন, শব্দ, ক্রিয়াপদ, কমা, পূর্ণচ্ছেদের ব্যবহার সবই ছিল চলতি রীতির থেকে আলাদা। এমনকী আলাদা ছিল তাঁর ভাষাও। সাধুভাষার ব্যবহার, অপ্রচলিত শব্দের ব্যবহার তাঁর লেখাকে করে তুলেছিল অন্য সবার থেকে আলাদা, ফলে হয়তো দুরূহও।  
বিশদ

14th  March, 2020
নান্দীকারের নাট্যোৎসব একটি প্রতিবেদন 

অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস মঞ্চে নান্দীকারের ছত্রিশতম নাট্যমেলা অনুষ্ঠিত হল গত ডিসেম্বর মাসের ষোলো থেকে পঁচিশ তারিখ পর্যন্ত। নান্দীকারের সুনাম অক্ষুণ্ণ রেখেই সমাপ্ত হল তাদের এই নাট্যোৎসব। 
বিশদ

07th  March, 2020
প্রসেনিয়ামের থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল 

প্রসেনিয়াম’স আর্ট সেন্টার ও বিভাবন যৌথ উদ্যোগে গত ১৩ থেকে ১৭ নভেম্বর এক থিয়েটার উৎসবের আয়োজন করে। তাদের নিজস্ব সেন্টারে আয়োজিত এই উৎসবে ১১টি নাট্যদলের থিয়েটার মঞ্চস্থ হয়। 
বিশদ

07th  March, 2020
দ্বাদশ থিয়েলাইট নাট্যোৎসব 

থিয়েলাইট নাট্যদলের নাট্যোৎসব এবছর বারোয় পা দেবে। বিগত বছরগুলিতে এই উৎসব ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিভিন্ন জেলায় করা হতো। এবছর সেই ধারায় ব্যতিক্রম ঘটতে চলেছে। এবছর উৎসব হবে কলকাতাতেই।  
বিশদ

07th  March, 2020
সাথী হারা ভালোবাসা ফিরিয়ে দেয় যাত্রার স্বাদ 

২৪তম যাত্রা উৎসব হয়ে গেল ফণীভূষণ বিদ্যাবিনোদ মঞ্চে। এই উৎসবের উল্লেখযোগ্য যাত্রাপালা ছিল বিশ্বভারতী অপেরার প্রযোজনায় ‘সাথী-হারা ভালোবাসা’। আর পাঁচটি প্রেম কাহিনীর মতোই একটি রোমান্টিক প্রেমের গল্প এটি। ভালোবাসার জন্য একজন মানুষ সবকিছুই করতে পারে।  
বিশদ

07th  March, 2020
গা ছমছম কী হয় কী হয়!
রহস্য নাটকের সার্থক মঞ্চায়ন

সময়টা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পশ্চিমবঙ্গ। প্রচণ্ড ঝড়জলের এক রাত। কার্শিয়াংয়ের এক সদ্য চালু হওয়া হোটেল ড্রিমল্যান্ডে একে একে জড়ো হয় রহস্যময় কয়েকজন বোর্ডার। একজন নাকউঁচু মহিলা মিস কাজল দত্ত, যিনি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি অফিসার। 
বিশদ

07th  March, 2020
এনএসডি-র আদিরঙ মাতিয়ে দিল দ্বারোন্দা 

ইউক্যালিপটাসের সুউচ্চ গাছগুলোর মাথায় মেঘমুক্ত পশ্চিমাকাশে ধ্রুবতারাটা জ্বলজ্বল করছিল। শেষ লগ্নে এসেও শীত তার দাপট জানান দিচ্ছে তীব্র হিমেল হাওয়ায়। তবু বোলপুরের দ্বারোন্দা গ্রামের মুক্ত প্রান্তরে মানুষের ভিড় কম নয়। চলছে দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা (এনএসডি) আয়োজিত ‘আদিরঙ’ অর্থাৎ আদিবাসী রঙ্গোৎসব।  
বিশদ

22nd  February, 2020
প্রেমের ঘেরাটোপে শয়তানের পদচারণা 

আ কনফেশন অব সাইকোফেনিক— আলোচনাটা এভাবে শুরু করা যায়। জালের ঘেরাটোপের মধ্যে শুরু হয় নাটক। একটি অন্তরঙ্গ ঘরে, কুলকুল জলের শব্দে, জালের মধ্যে গাঢ় বেগুনি আলোয় ভেসে ওঠে কতকগুলি বিমূর্ত হাত। একপাশে যুগল অন্তরঙ্গ হয়ে চুম্বনরত ও তাদের ঘিরে পুলিসবেশী ডাক্তার ও নার্সের পদচারণা।  
বিশদ

22nd  February, 2020
ভাষা দিবসে এনআরসি বিরোধী নাট্য 

শুধুমাত্র মাতৃভাষার জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে একটা দেশ স্বাধীনতার স্বাদ উপলব্ধি করতে পেরেছিল। তারই স্বীকৃতি স্বরূপ ইউনেসকো ২১ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস হিসেবে চিহ্নিত করে। যা গোটা বিশ্বে পালিত হয়। 
বিশদ

22nd  February, 2020

Pages: 12345

একনজরে
ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...

বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। শুক্রবার কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

19-04-2024 - 11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:13:07 PM