কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
ঝিনুকের পিতা দিগন্ত পত্রনবিশ পেশায় ফরেস্ট রেঞ্জার। পোস্টিং সুন্দরবনে। সুন্দরবন, নদী নালায় ঘেরা ম্যানগ্রোভ অভয়ারণ্যে। যার কোনায় কোনায় রহস্যের ঘনঘটা। ঘটনাচক্রে এই বন বাদারে আই পি এস অফিসার জলদবরণ রায়ের কর্মজীবনের একটা ভয়ংকর অধ্যায় অতিবাহিত হয়েছে। জলদবরণ রায় ও দিগন্ত পত্রনবিস আবার সম্পর্কে মাসতুতো পিসতুতো ভাই। জলদবরণ রায়ের ছেলে স্বর্ণাভ সুন্দরবনে ছবি তুলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। তাঁর নিখোঁজের কারণে থানা-পুলিশ স্বাভাবিকভাবেই এসে গিয়েছে। ঘটনার তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে ইনস্পেক্টর মহলানবিশকে। এই ইনস্পেক্টরই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে কেঁচোর বদলে কেউটে বের করে নিয়ে আসেন।
দিগন্ত পত্রনবিশ পত্নীর মৃত্যুর পরে ঝিনুকের কথা ভেবে দ্বিতীয় বিবাহে সম্মত হন এই শর্তে যে আর সন্তানের জন্ম দেওয়া যাবে না। দিগন্তের দ্বিতীয় স্ত্রী কান্তা তাঁর সম্পত্তি, প্রচুর প্রতিপত্তি দেখে নিজেকে স্থির রাখতে পারেনি। ভালোবাসতে পারেনি ঝিনুককে। তার প্রতি র্দুব্যবহার নিত্যদিনের ব্যাপার। সুন্দরবনের রাধার মা তাঁর মেয়ের ভালো মন্দের স্বপ্ন দেখে ঝিনুকের মধ্যে। রাধা ‘ চাইল্ড ট্রাফিকিংয়ের ‘ শিকার। এই বাদাবনের আর পাঁচটা মেয়ের মতোই। রাধার মায়ের ভেঙে যাওয়া স্বপ্নগুলো ঝিনুকের মধ্যে দিয়ে জোড়া লাগাতে চায়। রাধার মায়ের ঝিনুকের প্রতি এই আচরণকে ভালোভাবে নিতে পারেনি সৎ মা কান্তা। মধ্যমণি ঝিনুককে এই পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে পারলে সব কেল্লা ফতে। পরিকল্পনার ছুরিতে শান দিতে থাকে কান্তা।
একদিন দুঃসাহসিক সেই ঘটনা ঘটাতে গিয়ে খুন হয়ে গেল কান্তা নিজেই। রহস্যময় এই খুনের ঘটনার দায়িত্বে সেই পুলিশ অফিসার মহলানবিশ। খুনের কিনারা করতে গিয়ে অতীত ও বর্তমানের অনেক রহস্য উন্মোচিত হয়। নাটকের মধ্য দিয়ে সমাজের কাছে এই বার্তাই দেওয়া হয়েছে পুলিশকে ক্ষমতা দিলে সত্যের উন্মোচন হবেই।
সম্প্রতি মধুসূদন মঞ্চে বাঘু নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। নাটকে পুলিশের চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছেন ইন্দ্রনীল মণ্ডল। নাটকটির নির্দেশনাও তাঁরই। জলদবরণের চরিত্রে অমিতাভ চট্টোপাধ্যায়, কান্তার চরিত্রে ডঃসঞ্চিতা পাঠকের অভিনয় ভালোলাগে। নাটকে ফ্ল্যাশ ব্যাক পর্বকে দারুণ ভাবে মার্জ করা হয়েছে। মনীন্দ্র বেরার মঞ্চ, বাবলু সরকারের আলো, শঙ্খ দত্তের আবহ নাটকটিকে সহায়তা করেছে। দর্শকদের কাছে উপভোগ্য হয়েছে নাটকটি।
তাপস কাঁড়ার