Bartaman Patrika
 

প্রবীণা ঝাঁটা উপহার দিলেন
গোবিন্দ অধিকারীকে

যাত্রাওয়ালাদের পালা দেখে চোখের জলে ভাসেন দর্শকরা। কেউ আনন্দে শিল্পীর দিকে ছুঁড়ে দেন টাকাপয়সা, কেউ বা দেন গায়ের চাদর। লিখেছেন সন্দীপন বিশ্বাস।

নৈহাটির কাঁঠালপাড়ায় যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে প্রতি বছর কয়েকদিনের জন্য যাত্রাগানের আসর বসত। বিশেষ করে রথযাত্রার সময় হতো পালাগান। তিনি ছিলেন তখনকার পালাগানের বিশেষ অনুরাগী। তখন যাত্রাপালায় বদন অধিকারীর খুব সুখ্যাতি। তিনি দূতী সেজে আসরে এসে গানে গানে মানুষকে আনন্দে ভরিয়ে দিতেন। প্রতি বছর চাটুজ্জেদের বাড়িতে তাঁর ছিল বাঁধা আসর। বদন যখন নেচে নেচে গান করতেন তখন যাদবচন্দ্রের ছেলেরা তাঁর পাশে বসে সেই পালাগান উপভোগ করতেন। তার মধ্যে একজন ছিলেন সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। ছেলেবেলায় তিনি শুনেছিলেন বদন অধিকারীর গান। বড় হয়ে শুনতেন বদনের শিষ্য গোবিন্দ অধিকারীর গান। সেই স্মৃতিকেই তিনি তাঁর উপন্যাসে অন্যভাবে এনেছিলেন। ‘বিষবৃক্ষ’ উপন্যাসে হরিদাসী বৈষ্ণবীর ছদ্মবেশে দেবেন্দ্র মেয়েদের অন্দরে গিয়ে গান শুনিয়ে আসত। কেউ বলতেন, গোবিন্দ অধিকারীর গান শোনাতে। আবার কেউ বা অনুরোধ করতেন গোপাল উড়ের গান শোনাতে। ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায় সেকালের যাত্রা নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল। সেগুলি অনেকাংশে যাত্রার ইতিহাসকে ধরে রেখেছে।
বদন তখন বাংলাকে তাঁর পালাগানে মাতিয়ে রেখেছেন। তাঁর গান বাঁধার কেরামতি ছিল একেবারে অন্য ধরনের। অশ্লীলতা বিমুক্ত পালা রচনা করে তিনি এক সর্বজনীন আসরের প্রসার ঘটিয়েছিলেন। নবরূপে তিনি আসরে আনলেন কালীয়দমন পালাকে। রাধা সেজে বদন গান ধরতেন—
‘কুঞ্জে কুঞ্জে বুলি বুলি বনফল আনিলাম তুলি,/ গাঁথিলাম হার মনের মতো সাজাইলাম থরে থরে। / সকলি হইল বৃথা, তারে এখন পাব কোথা / মনে ছিল কত কথা কহিতাম শ্যাম নটবরে।’
দুচোখ বয়ে যায় রাধিকার। কোথা শ্যাম, কোথা শ্যাম! দর্শকরা আকুল। তাঁরাও ভেসে যান চোখের জলে। আত্মহারা দর্শকরা কেউ পয়সা ছুঁড়ে দেন, কেউ গায়ের চাদর উপহার দেন। কোথাও কোথাও চিকের আড়ালে বসে পালা দেখতে দেখতে অভিভূত মেয়েরা হাতের চুড়ি, কানের দুল খুলে উপহার স্বরূপ ছুঁড়ে দিতেন বদনের দিকে।
বদন ছিলেন হাওড়ার শালিখার বাসিন্দা। অল্প বয়সেই দলের সঙ্গে থেকে থেকে মানুষের ভালোলাগার নাড়িনক্ষত্র সব রপ্ত করেছিলেন। বিরহ এবং ভাব সম্মিলনের বিভিন্ন গানে তিনি তাঁর ‘ওস্তাদী’ দেখিয়েছিলেন। বিদ্যাপতির মৈথিলি ভাষায় লেখা বহু পদকে ভেঙে তিনি সাধারণ মানুষের বোধগম্য করে নবরূপে রচনা করেছিলেন।
বদনের মৃত্যুর পর তাঁর দলের হাল ধরলেন তাঁর ছেলে ক্ষেত্র। কিন্তু তিনি তেমন যোগ্যতাসম্পন্ন ছিলেন না। তাই বদন অধিকারীর দল আর বেশি এগতে পারেনি। তবে বদনের উত্তরাধিকার বহন করেছিলেন তাঁর এক শিষ্য গোবিন্দ অধিকারী। তাঁর জন্ম মোটামুটি বাংলা ১২০১ থেকে ১২০৫ সালের মধ্যে। সুকুমার সেন মহাশয় তাঁকে সেই সময়কার একজন অগ্রগণ্য বলে উল্লেখ করেছেন। গোবিন্দ অধিকারী ছিলেন বৈরাগী। পাঠশালার শিক্ষা তিনি তেমনভাবে পাননি। কিন্তু অধ্যবসায়ের মাধ্যমে আয়ত্ত করেছিলেন শাস্ত্র। ছেলেবেলায় সেই যে গানের দলে ঢুকে পড়লেন, আর তাঁর কোথাও যাওয়া হল না। বদনের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখে নিজেই তৈরি করেছিলেন নতুন দল। সেই দলের পালা দেখতে লোকে তখন দশ-বিশ ক্রোশ দূর থেকে হেঁটে চলে আসতেন। তিনি যখন জরি বসানো লাল শাড়ি আর গয়না পরে মেয়ে সেজে আসরে দাঁড়াতেন, তখন নাকি দর্শকরা দৃষ্টি ফেরাতে পারতেন না। গা ভর্তি গয়না পরে তিনি অভিনয় করতেন। শোনা যায়, সেসব নাকি আসল সোনার গয়না। দলের অন্য শিল্পীরা, যাঁরা মহিলার ভূমিকায় অভিনয় করতেন, তাঁরা পরতেন কলাপাতার গয়না। একবার তিনি আসরে নামার আগে মেক আপ করছিলেন। তখন হাতের বাউটি পরার সময় সেটির কাঠিটি যেন কোথায় ছিটকে পড়ে যায়। তাড়াতাড়ি মেক আপের জন্য তিনি স্থানীয় একটি ছেলেকে বললেন, ‘বাবা একটা ঝাঁটার কাঠি আনতে পারবি?’ ছেলেটি গিয়ে আসরের পাশের বাড়ির এক বৃদ্ধাকে বলল, ‘ওরা একটা ঝাঁটার কাঠি চাইছে।’ সেকথা শুনে বৃদ্ধা মুখ ঝামটা দিয়ে বললেন, ‘বেরো এখান থেকে, ঝাঁটার কাঠি চাইতে এসেছে।’ ছেলেটি গিয়ে গোবিন্দ অধিকারীকে সেকথা জানায়। গোবিন্দ কোনওরকমে হাতের বাউটি পরে আসরে নামেন। সেদিন তাঁর গান শুনে আসরে বসে সেই বৃদ্ধা ঝরঝর করে কেঁদেছিলেন। তারপর পালা শেষ হলে বাড়ি থেকে একটি ঝাঁটা নিয়ে এসে সেটি গোবিন্দ অধিকারীর হাতে তুলে দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমায় ক্ষমা কোরো বাবাঠাকুর। আমি বুঝতে পারিনি। তুমি একটা কাঠি চেয়েছিলে। আমি তখন দিইনি। এখন পাশ্চিত্তির করলাম। তোমার হাতে পুরো ঝাঁটাটাই দিলাম।’
গোবিন্দ অধিকারীকে ঝাঁটা দিচ্ছে দেখে আসরে দর্শকরা হাঁ হাঁ করে উঠলেন। গোবিন্দ সকলকে থামিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘আপনারা উতলা হবেন না। এ আমার পুরস্কার। এই ঝাঁটা প্রদানের মধ্যে কোনওরকম ব্যঙ্গ বা অশ্রদ্ধা নেই। এ হল এক গুণমুগ্ধের আন্তরিক পুরস্কার। আমি এটি আনন্দিত চিত্তে গ্রহণ করলাম।’
এর কয়েক দশক পরে আমরা দেখতে পাই, বাংলা রঙ্গমঞ্চের একেবারে গোড়ায় ‘নীলদর্পণ’ নাটকের অভিনয়ের সময় দর্শকাসনে বসেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। অর্ধেন্দুশেখর মুস্তাফীর নীলকর সাহেবের চরিত্রে অভিনয় দেখে মঞ্চে তাঁর দিকে পায়ের জুতো ছুঁড়ে মেরেছিলেন। অর্ধেন্দুশেখরও গোবিন্দ অধিকারীর মতো বলেছিলেন, ‘এ আমার পুরস্কার।’
গোবিন্দ অধিকারীকে এমন কিছু আহা মরি দেখতে ছিল না। খুব দীর্ঘ তিনি ছিলেন না। গায়ের রং ছিল শ্যামবর্ণ। মাথার মাঝখানে ছিল টাক। পিছনে কিন্তু ছিল ঢেউ খেলানো বাবরি চুল। কিন্তু গলাটি ছিল সুমধুর। একবার তিনি আসরে গান করছেন, সেদিন দর্শকাসনে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত পাঁচালিকার দাশরথী রায়। আসর শেষে তিনি গোবিন্দের
গানের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন। গোবিন্দ বললেন, ‘আজ গলাটা বিশেষ সুবিধার ছিল না।’ সেকথা শুনে দাশরথী বলেছিলেন, ‘আপনার এই ভাঙা গলার কাছাকাছিও কেউ পৌঁছতে পারবে না।
আর একটি কাহিনী জানা যায়। সেদিন ছিল রথযাত্রার উৎসব। সেদিন রাতে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গোবিন্দ অধিকারীর আসর বসবে। বঙ্কিমচন্দ্রের কয়েকজন বন্ধুও এসেছেন তাঁদের বাড়িতে। দুপুরে আলোচনার মধ্যে এক বন্ধু বললেন, ‘দুর দুর, বাংলাদেশের গান আবার শোনা যায় নাকি!’ বঙ্কিমচন্দ্র জিজ্ঞাসা করলেন, ‘এমন কথা বলছেন কেন?’ সেই বন্ধু বললেন, ‘ভালো গান গাইতে জানেন, বাংলাদেশে এমন কেউ আছেন নাকি?’
বঙ্কিমচন্দ্র সেকথা শুনে বললেন, ‘আপনি কীর্তন শুনেছেন?’ সেই বন্ধুটি বললেন, না, তিনি কীর্তন শোনেননি, তবে ভজন শুনেছেন। বঙ্কিমচন্দ্র তাঁকে বললেন, ‘আপনি একটু অপেক্ষা করুন।’ এরপর তিনি একজনকে বললেন, সেখানে যেন গোবিন্দ অধিকারীকে ডেকে আনা হয়। একটু পরে গোবিন্দ সেই মজলিশে এসে উপস্থিত হলেন। বঙ্কিমচন্দ্র তখন তাঁকে একটি গান গাওয়ার অনুরোধ করলেন। গোবিন্দ ভালো করে বসে গান ধরলেন, ‘প্রিয়ে চারুশিলে মুরু ময়ি মানমনিদানম..’ গান এগিয়ে চলে। বঙ্কিমচন্দ্র ভাবতন্ময় হয়ে চোখ বোঁজেন। অন্যরাও গানের দোলায় ভাসতে লাগলেন। আর সেই বন্ধু মুখের ভাব ধীরে ধীরে বদলে যেতে লাগল। অবিশ্বাস থেকে বিশ্বাসে, অশ্রদ্ধা থেকে ভালোলাগায় তিনি একটু একটু করে ডুবে যেতে লাগলেন। তিনি নিজেও বুঝতে পারলেন না, কখন যে তাঁর দু চোখ বেয়ে নেমেছে জলের ধারা। গান শেষ হল। সেই বন্ধু হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়ে বললেন, ‘আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। এখন স্বীকার করতে আমি বাধ্য যে এমন গান আমি কোনওদিন শুনিনি।’ তখন মুচকি হাসছেন বঙ্কিমচন্দ্র।
যাত্রায় গোবিন্দ অধিকারী একটি যুগ। যেমন খ্যাতি তিনি অর্জন করেছিলেন, তেমন পয়সাও রোজগার করেছিলেন। তাই দিয়ে একটি জমিদারিও কিনেছিলেন।
একসময় নিজের জন্মভিটে হুগলি জেলার খানাকুলের কাছে জাঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে চলে এলেন শালিখায়। তাঁর গুরুর বাড়ির কাছাকাছি বাস করতে লাগলেন। সম্ভবত ১৮৭২ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। কিন্তু রেখে গেলেন উত্তরাধিকার। তাঁর শিষ্যদের মধ্যে ছিলেন নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায়, ঢ্যামনা গোপাল, শ্রীবাস দাস, ভজরাম ঘোষ, গদাধর দাস প্রমুখ।
যাত্রার পাশাপাশি তখন কলকাতায় জেগে উঠছে নাট্য সংস্কৃতি। ইংরেজ ঘরানায় নাট্যমঞ্চ তৈরি করে অভিনয়ের ঝোঁক দেখা যাচ্ছে। কিন্ত সেখানেও বিভিন্ন নাটকে দেখা গেল
যাত্রার প্রভাব। প্রাথমিক স্তরের মঞ্চ-নাটকের আখ্যানও ঋণী ছিল যাত্রার কাছে।
02nd  March, 2019
আমি চপল ভাদুড়ি না চপলরানি!

 তাঁকে নিয়েই তৈরি হয়েছে একটি নাটক। নিজের চরিত্রেই অভিনয় করছেন তিনি। চপল ভাদুড়ির সঙ্গে কথা বললেন সঞ্জীব বসু। বিশদ

02nd  March, 2019
গ্রামজীবনের জ্বলন্ত দলিল
গণদেবতা

 হীনবল, অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের চিরটাকালই পায়ের নীচে রেখে চলতে অভ্যস্ত উচ্চশ্রেণীর প্রতিনিধিরা। সমাজসৃষ্টির আদিকাল থেকে এমনটাই ঘটে চলেছে। কিন্তু কখনও কখনও দলিত, নিপীড়িত এইসব মানুষরাই জেগে ওঠে, আন্দোলন করে, অস্ত্র ধরে শোষকের বিরুদ্ধে। এই মানুষগুলোই সমাজের দেবতা—গণদেবতা।
বিশদ

02nd  March, 2019
স্যিলুয়েট ড্রিমের নাটক শুধু নাটক

 গত ২২ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শ্রীরামপুর রবীন্দ্রসদনে হয়ে গেল স্যিলুয়েট ড্রিম নাট্য সংস্থার নাট্যোৎসব ‘নাটক শুধু নাটক’। তিনদিনে মোট ন’টি নাটক মঞ্চস্থ হয়। বিশদ

02nd  March, 2019
আলিপুর অহনার নাট্যোৎসব

 গত ১৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি তিনদিনব্যাপী এক নাট্যোৎসবের আয়োজন করেছিল আলিপুর অহনা নাট্যদল। হাজির ছিলেন নাট্যকার অরূপশঙ্কর মৈত্র, সমালোচক রঞ্জন গঙ্গোপাধ্যায় অভিনেত্রী ছন্দা চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।
বিশদ

02nd  March, 2019
 কুমার রায় স্মারক বক্তৃতা

 ২০১০ সালে প্রয়াত হন বহুরূপীর প্রাণপুরুষ কুমার রায়। তারপর থেকেই প্রতি বছর কুমার রায়ের স্মরণে নাট্যবক্তৃতামালার আয়োজন করা শুরু করে বহুরূপী। এবছর তা নবম বর্ষে পদার্পণ করল।
বিশদ

02nd  March, 2019
স্কুল থেকে মঞ্চে 

এক অন্যরকম নাট্য উৎসব। কচিকাঁচারা মাতিয়ে দিল মঞ্চ। পাক্কা অভিনেতাদের মতো অভিনয়ে মন টানল দর্শকের। পারবে নাই বা কেন? সব শিশুর মধ্যেই তো লুকিয়ে থাকে শিল্পীর সত্তা।  
বিশদ

11th  February, 2019
ষষ্ঠ চর্যাপদ উৎসব 

গত ৩ ফেব্রুয়ারি আসানসোল শিল্পাঞ্চলে হয়ে গেল ষষ্ঠ চর্যাপদ নাট্যমেলা। এটির আনুষ্ঠানিক শিরোনাম অবশ্য ‘চর্যাপদ উৎসব’। স্থানীয় বিধায়ক ও দলের সদস্যদের অভিভাবকরা গাছে জল দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন। 
বিশদ

11th  February, 2019
রাজনৈতিক বন্দিদের নিয়ে নাটক
গরাদের আঁধার ফুঁড়ে 

সম্প্রতি জেলাখানায় বন্দি থাকা অবস্থায় মৃত্যু হল কিষেনজি ঘনিষ্ঠ মাওবাদী নেতা সুদীপ চোংদার ওরফে কাঞ্চনের। বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়ায় অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে যে, জেল কর্তৃপক্ষের অবেহলার জন্যই প্রায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। নকশাল সন্দেহে কিংবা অভিযোগে দেশের নানা জেলে বন্দি হয়ে রয়েছেন অনেকে। 
বিশদ

11th  February, 2019
স্থিতিশীল উন্নয়ন বনাম স্বার্থান্বেষী উন্নয়নের গল্প 

আধুনিকতার ছোঁয়ায় ও প্রয়োজনের তাগিদে মানুষ ক্রমশ ধ্বংস করে চলেছে প্রকৃতিকে। যা আগামী দিনে দুনিয়া জুড়ে ব্যাপক উষ্ণায়ন ও মানব সভ্যতার ধ্বংসের কারণ হয়ে উঠতে পারে। উন্নয়ন অর্থে ব্যাপক নগরায়ণ ও যন্ত্রায়ণকেই বোঝানো হয়ে এসেছে। 
বিশদ

11th  February, 2019
বক্তৃতা দিতে উঠলেই জনগণের আবদার, ডায়লগ বলতে হবে 

না এঁরা কেউ দেব, চিরঞ্জিৎ কিংবা মুনমুন সেন নন। এঁরা পোড় খাওয়া রাজনীতিক। কিন্তু এঁদের নেশা যাত্রা। বক্তৃতার মঞ্চ থেকে যাত্রাপালার মঞ্চ দুই-ই কাঁপানো এইসব নেতা কাম অভিনেতাদের নিয়ে লিখলেন বিমল বন্দ্যোপাধ্যায়। 
বিশদ

11th  February, 2019
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের সাজাহান এখনও প্রাসঙ্গিক 

রাজনীতির দড়ি টানাটানির রূপ কতটা কদর্য ও জটিল হতে পারে তা সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা প্রতিনিয়তই দেখতে পাচ্ছি। শুধু দেখতে পাচ্ছি তাই নয়, এর প্রভাব আমাদের ওপরেও পড়ছে। সুস্থ রাজনীতি যেমন সমাজকে সুস্থ রাখে, তেমনি পঙ্কিল রাজনীতি মানুষকে অসুস্থ করে তোলে।  
বিশদ

11th  February, 2019
সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে মাঙ্গলিক

পশ্চিমবঙ্গে যে সমস্ত নাট্যদল আছে তাদের মধ্যে অন্যতম ‘মাঙ্গলিক’ নাট্যসংস্থা। ১৯৬৮ সালের ১২ ডিসেম্বর এই সংস্থার জন্ম হয়। এই নাট্য সংস্থার প্রাণপুরুষ নাট্যকার নির্দেশক ও অভিনেতা সমীর বিশ্বাস। তাঁর নিরলস প্রচেষ্টায় একের পর এক ভালো প্রযোজনা দর্শকদের সামনে মঞ্চস্থ করেছে দলটি।
বিশদ

04th  February, 2019
পরশমণি

 সমাজের চার স্তরের চারজন একাকী মানুষ—কল্যাণ, কালী, চারুলতা ও ডুগডুগি। আপন স্বার্থসিদ্ধির লোভে একে অপরের আত্মীয় সেজে এরা অভিনয় করে চলে দিনের পর দিন। আর এভাবেই একে অপরের সঙ্গে ভালোবাসার চিরস্থায়ী বন্ধনে জড়িয়ে পড়ে।
বিশদ

04th  February, 2019
যাত্রালক্ষ্মী বীণা দাশগুপ্তা

জমজমাট সামাজিক যাত্রাপালা ‘মেয়েরা কবে স্বাধীন হবে?’ শেষ হয়েছে। তবু দর্শকেরা কেউ যাত্রার আসর থেকে নড়ছেন না। কারণ তাঁরা জানেন, তাঁদের সবার প্রিয় অভিনেত্রী যাত্রালক্ষ্মী বীণা দাশগুপ্তা এবার তাঁর অভিনীত পুরনো যাত্রাপালাগুলির অন্তত দুটো গান পরিবেশন করবেন। কিন্তু বীণাদেবী আসছেন কই?
বিশদ

04th  February, 2019

Pages: 12345

একনজরে
  সংবাদদাতা, বুদবুদ: বুদবুদে শান্তিনিকেতনের আদলে বসন্ত উৎসব ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে। বুদবুদের মহাকালী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এই উৎসব এবার দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণ করছে। শান্তিনিকেতনকে বাদ দিয়ে বাঙালির বসন্ত উৎসব কার্যত অসম্পূর্ণ। তাই দোল উৎসবে শান্তিনিকেতন যেতে মুখিয়ে থাকেন অনেকেই। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যের জুট মিলগুলির শ্রমিকদের নতুন বেতন চুক্তি বুধবার বেশি রাতে শ্রম দপ্তরে স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে সিটু সহ সাতটি শ্রমিক সংগঠন জানিয়েছে, আজ শুক্রবার জুট মিলগুলিতে প্রতীকী ধর্মঘট থেকে তারা সরে আসছে না। ...

  সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়ি ব্লকের প্রায় লক্ষাধিক বাসিন্দা আজও ডিজিটাল রেশন কার্ড পাননি। তিন বছর আগে তাঁরা খাদ্য দপ্তরে এই কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু সেই কার্ড না পাওয়ায় লোকসভা ভোটের আগে বাসিন্দাদের মধ্যে নতুন করে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: আগামী লোকসভা ভোটে হাওড়া জেলার ১৩ হাজার ৫৮২ জন শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী মানুষ তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তাঁদের মধ্যে ১৪১৯ জন দৃষ্টিহীন, ২৩০৬ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৬৪ – জিজিয়া কর তুলে দেন মুঘল সম্রাট আকবর
১৮৯২ – লিভারপুল ফুটবল ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৭২ - ভারতীয় সাক্ষ্য আইন প্রবর্তন।
১৯০৪ - স্বনামধন্য বাঙালি কবি ও লেখক অন্নদাশঙ্কর রায়ের জন্ম
১৯৩৪: রাজনীতিক কাঁসিরামের জন্ম
১৯৩৭ - পৃথিবীর প্রথম ব্লাডব্যাংক চালু হয় শিকাগোতে
১৯৩৯ - বাঙালি ভ্রমণ কাহিনী, রম্যরচনা ও উপন্যাস লেখক জলধর সেনের মৃত্যু
১৯৭৬: অভিনেতা অভয় দেওলের জন্ম
১৯৭৭: অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তের জন্ম
১৯৮৩: সঙ্গীতশিল্পী হানি সিংয়ের জন্ম
১৯৮৫ – প্রথম ইন্টারনেট ডোমেইন নাম নিবন্ধিত হয়। (symbolics.com)



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৭০ টাকা ৭০.৩৯ টাকা
পাউন্ড ৯০.৬৮ টাকা ৯৩.৯৭ টাকা
ইউরো ৭৭.২৯ টাকা ৮০.২৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,৫২০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০,৮৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১,৩২০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩০ ফাল্গুন ১৪২৫, ১৫ মার্চ ২০১৯, শুক্রবার, নবমী ৪৯/৪৭ রাত্রি ১/৪৫। আর্দ্রা ৫৪/৪৫ রাত্রি ৩/৪৪। সূ উ ৫/৪৯/৫৫, অ ৫/৪১/৫৩, অমৃতযোগ দিবা ৭/২৩ মধ্যে পুনঃ ৮/১২ গতে ১০/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৬ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১৯ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২২ গতে ৪/১১ মধ্যে, বারবেলা ৮/৪৮ গতে ১১/৪৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৪৩ গতে ১০/১৫ মধ্যে।
৩০ ফাল্গুন ১৪২৫, ১৫ মার্চ ২০১৯, শুক্রবার, নবমী রাত্রি ৯/০/৫০। আর্দ্রানক্ষত্র রাত্রি ১১/৩২/৪৫, সূ উ ৫/৫০/২৮, অ ৫/৪০/৪৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/২৫/১১ মধ্যে ও ৮/১২/৩২ থেকে ১০/৩৪/৩৬ মধ্যে ও ১২/৫৬/৫১ থেকে ২/৩১/২৪ মধ্যে ও ৪/৬/৬ থেকে ৫/৪০/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৮/৬ থেকে ৮/৫৫/২৩ মধ্যে ও ৩/২৪/৩২ থেকে ৪/১৩/১১ মধ্যে, বারবেলা ৮/৪৩/৩ থেকে ১০/১৬/৫১ মধ্যে, কালবেলা ১০/১৬/৫১ থেকে ১১/৪৫/৩৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৪৩/১৪ থেকে ১০/১৪/২৬ মধ্যে।
 ৭ রজব
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ:  উচ্চতর বিদ্যায় শুভ ফল। বৃষ: পাওনা অর্থ আদায় হবে। মিথুন: উচ্চশিক্ষায় ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৫৬৪ – জিজিয়া কর তুলে দেন মুঘল সম্রাট আকবর১৮৯২ – ...বিশদ

07:03:20 PM

দাসপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে বাস 
টোটোকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে পড়ে গেল কনেযাত্রীবোঝাই বাস। ...বিশদ

07:55:31 PM

২৫টি আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বামেরা 
১৭টি আসন ছেড়ে ২৫টি আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বামফ্রন্ট। ...বিশদ

06:51:12 PM

আজ সন্ধ্যায় দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা 
আজ সন্ধ্যায় দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে ...বিশদ

05:01:43 PM

২৬৯ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

04:02:07 PM