কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এমনই একঝাঁক সফল মহিলাকে নিয়ে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের সাক্ষী হল কলকাতা। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি)-র উদ্যোগে কলকাতার প্রেস ক্লাবে ‘মিট দ্য অ্যাচিভার্স’ শীর্ষক এই বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এই সফল মহিলারা। জুলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া (জেডএসআই)-এর অধিকর্তা ডঃ ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায়, আইসিএমআর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এনটেরিক ডিজিজেস (নাইসেড)-এর ডিরেক্টর ডাঃ শান্তা দত্ত, অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড পাবলিক হাইজিন (এআইআইএইচঅ্যান্ডপিএইচ)-এর ডিরেক্টর ডাঃ মধুমিতা দোবে এবং ২০১৫ সালে ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করার ক্ষেত্রে একমাত্র সফল মুসলিম মহিলা প্রতিনিধি শ্রীমতী তেহরিনা নাসরিন। পেশাগত জীবনে তিনি একজন আয়কর আধিকারিক। সমস্ত রকম সামাজিক বাধা, বিরূপ সমালোচনা ও প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েও ১২ ঘণ্টা ৩৮ মিনিট সময়ের মধ্যে ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করেন। তাঁর সাফল্যের মুকুটে আরও একটি পালক যোগ হয় যখন ২০২২-এ ৪ ঘণ্টা ২৩ মিনিটে অতিক্রম করেন জিব্রাল্টার চ্যানেল। হাওড়ার উলুবেড়িয়ার একটি ছোট্ট গ্রাম থেকে এইভাবেই খ্যাতির শীর্ষে উঠে এসেছেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে ডাঃ শান্তা দত্ত বলেন, ‘দেশের মহিলাদের সামাজিক তথা সাংস্কৃতিক পরিসরের সঙ্গে যুক্ত করার লক্ষ্যে শুধুমাত্র সরকারি প্রচেষ্টাই যথেষ্ট নয়। এজন্য এগিয়ে আসা উচিত বেসরকারি সমস্ত পক্ষেরই। মহিলাদের সম্পর্কে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির অনেক পরিবর্তন হয়েছে একথা যেমন সত্য, তেমনই একথাও ঠিক মহিলাদের প্রতি সাহায্য ও সহযোগিতার হাত আরও প্রসারিত করা উচিত।’
ডঃ ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মহিলারা এখন অনেক ক্ষেত্রেই পারদর্শী। একাধারে তিনি যেমন জননী, অন্যদিকে তিনি স্ত্রী, কন্যা, পুত্রবধূ, ভগিনী এবং ভ্রাতৃবধূ। দক্ষ কর্মী হিসেবেও তাঁরা যথেষ্ট সাফল্যের ছাপ রেখেছেন। পুরুষদের পাশাপাশি এইভাবেই তাঁরা অনেক দায়িত্বই সামলান। মহিলাদের আয়ু পুরুষদের থেকে যে অনেক বেশি, একথা একটি বৈজ্ঞানিক সত্য। এই কারণেই হয়তো একইসঙ্গে তাঁরা অনেক দায়িত্বই সামলাতে পারেন।’ ডা. মধুমিতা দোবে বলেন, ‘মহিলাদের সম্পর্কে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন প্রয়োজন।’ নারী ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচির কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
শ্রীমতী তেহরিনা নাসরিন বলেন, যে পরিবেশে তিনি বড় হয়ে উঠেছেন সেখানে তাঁকে নানা প্রতিকূলতা ও বঞ্চনার শিকার হতে হয়েছে। কিন্তু তাঁর জীবনের আদর্শ মাসাদুর রহমান বৈদ্যের সাহায্য ও অনুপ্রেরণাতেই তিনি আজ এত দূরে আসতে পেরেছেন।