Bartaman Patrika
আমরা মেয়েরা
 

স্বীকৃতি আমার একার
নয়: গীতাঞ্জলি শ্রী

সম্প্রতি গীতাঞ্জলি শ্রী-র উপন্যাস ‘রেত সমাধি’ বুকার পুরস্কার পেয়েছে। বুকারজয়ী এই ঔপন্যাসিকের আলোচনায় উঠে এল তাঁর সৃষ্টির আনন্দ ও বইটির বিশ্লেষণ। আলাপচারিতায় কমলিনী চক্রবর্তী।

রেত সমাধি। সম্প্রতি বুকার পুরস্কার প্রাপ্ত বইটির ইংরেজি অনুবাদ পড়তে পড়তে বিভিন্ন প্রশ্ন মনকে নাড়া দিয়ে যাচ্ছিল। বইটি একটা যাত্রার কথা বলে। একজন মহিলার জীবনের যাত্রা। ৮০ বছর বয়সি এক মহিলা যাঁর স্বামীর মৃত্যুতে তাঁর উপর অবসাদের ছায়া ঘনিয়ে আসে। কিন্তু সেই অবসাদকে তিনি পেয়ে বসতে দেন না। বরং তার বিরুদ্ধে এক অসম্ভব মানসিক লড়াই চালাতে থাকেন। সেই অবসাদ থেকে মুক্তি পেতে নতুন জীবনের স্বপ্ন মনে মনে বুনতে শুরু করেন তিনি। এমন স্বপ্ন যা তাঁকে তাঁর জন্মভূমি পাকিস্তানে টেনে নিয়ে যায়। ৮০ বছরের বৃদ্ধা নিজেকে আবারও অল্পবয়সি তরুণী রূপে কল্পনা করতে শুরু করেন। সেই তরুণী যার জীবনে আশা ছিল, প্রেম ছিল। দেশভাগ, সংসার আর নানাবিধ দায়িত্বের মাঝে পড়ে সেই তারুণ্য ভরা কল্পনা হয়তো বা বাস্তবের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ভেঙে গিয়েছে বহু ক্ষেত্রে, কোথাও বা সেই ভালোলাগার রং ফিকে হয়েছে, মরচে ধরেছে স্বপ্নের টানে। তবু সেই তারুণ্যের হিল্লোল বয়স্ক জীবনকেও নাড়া দিয়ে যায়। আর সেই নাড়া খেয়ে বৃদ্ধার স্মৃতিতে মোচড় লাগে। নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করে বসেন সীমান্তের টান সে কি শুধুই কষ্টের? নাকি স্মৃতির মাধুর্যে তা মধুময়?
চরিত্র বৈচিত্র্য
‘কোনও চরিত্রই যেমন সম্পূর্ণ কল্পনার উপর দাঁড়িয়ে থাকে না, তার সঙ্গে বাস্তবের একটা মিল থাকে, তেমনই আবার কোনও একজন ব্যক্তিকে ঘিরে উপন্যাসের চরিত্র তৈরি করা যায় না। তাহলে সেই চরিত্র ঘিরে কল্পনার জাল বোনা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। রেত সমাধির কেন্দ্রীয় চরিত্রকে সৃষ্টি করার ক্ষেত্রেও আমি বিভিন্ন ব্যক্তির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের সাহায্য নিয়েছি। তবে এই চরিত্রটি কল্পনা করার পিছনে মূল অনুপ্রেরণা আমার মা।’ বইটির বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করলে একথা বললেন বুকারজয়ী লেখিকা গীতাঞ্জলি শ্রী। তাঁর কথায়, ‘মাকে দেখতাম কেমন অনায়াসে একই অঙ্গে এত রূপ ধরে রাখতেন। কখনও মা, কখনও স্ত্রী, কখনও বা কন্যার ভূমিকায় নিজেকে যেন সময়ভেদে ভরে দিতেন।’ তাঁর কথা শুনতে শুনতে বারবার উইলিয়াম শেক্সপিয়রের লেখা ‘সেভেন এজেস অব ম্যান’-এর কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। যেখানে তিনি বলেছেন, মানুষের গোটা জীবনটাই বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয়মাত্র। পৃথিবীর নাট্যমঞ্চে এক এক বয়সে আমরা এক এক রকম অভিনয় করি। সেই সুরে সুর মিলিয়েছে গীতাঞ্জলির কেন্দ্রীয় চরিত্র চন্দ্রপ্রভা দেবী।
নতুনের টানে  
অবসাদের বেড়া ডিঙিয়ে নিজের জীবনকে নতুনভাবে সাজাতে গিয়ে অন্যধরনের মানুষের সান্নিধ্য পেতে চান চন্দ্রপ্রভা। জীবনকে নতুন রূপে অনুভব করতে চান। গতানুগতিকতার বাইরে বেরিয়ে বাকি সময়টা    উপভোগ করতে চান। আর সেই উপভোগের ম঩ধ্যেই নানারকম প্রশ্ন তাঁর মনে কড়া নাড়ে। তিনি সীমান্তের মাধুর্যভরা স্মৃতি মাখেন মনে মনে। আবার একই সঙ্গে দেশভাগের বিষাদেও আক্রান্ত হন।  এইভাবেই বয়স্ক জীবনটাও নতুন একটা অর্থ খুঁজে পায়। সেই নতুনত্বের টানই তাঁকে অবসাদ থেকে মুক্তির সন্ধান জোগায়। 
বিভিন্ন রূপ
দেশভাগের প্রসঙ্গ উঠে এল আলোচনায়। গীতাঞ্জলি জানালেন, তাঁর বইয়ের বিভিন্ন পরিচ্ছেদেই তিনি দেশভাগের প্রসঙ্গ নানাভাবে এনেছেন। দেশভাগের সঙ্গে দুঃখ-কষ্ট যেমন জড়িত তেমনই আবার বর্ডার বা সীমান্তের স্মৃতির সঙ্গে একটা মনকেমন করা ভালোলাগাও যুক্ত থাকে মানুষের মনে। একটা টান, যা নেশা ধরিয়ে দেয়। ‘আমার বইতে বিভিন্ন সম্পর্কের উপর বিশেষ জোর দিয়েছি। প্রায় আট বছরের প্রচেষ্টায় বইটি লিখেছিলাম। তারপর অনুবাদে আরও বেশ খানিকটা সময় যায়। তবে অনুবাদের কথায় পরে আসব। আগে ওই সম্পর্কের ব্যাপারটা একটু বলি। আমার নায়িকা যখন নিজের জীবনটাকে ফিরে দেখছেন তখন তিনি মা ও মেয়ের সম্পর্কের মাধ্যমেই নিজেকে নতুনভাবে খুঁজে পাচ্ছেন। মজার ব্যাপার হল, তিনি এই মা ও মেয়ের চরিত্রে দু’ভাবে‌ই ঩নিজেকে বসাচ্ছেন। কখনও কন্যা হচ্ছেন কখনও বা জননীর রূপ নিচ্ছেন। এবং এই যে একই অঙ্গে ভিন্ন রূপ সেটাই তাঁকে নতুন করে জীবনের প্রতি আকৃষ্ট করছে। মা ও মেয়ের সম্পর্কের পাশাপাশি আবার সন্তানের সঙ্গে বাবা-মায়ের সম্পর্কের রসায়ন নিয়েও নাড়াচাড়া করেছি আমার বইতে। সেখানে সময় বদলের পরিপ্রেক্ষিতে সেই রসায়ন কেমন করে বদলেছে তারও বিবরণ রয়েছে ঘটনার মাধ্যমে। শুধু যে সময় বা যুগের বদল তাও নয়, স্থান পরিবর্তন, প্রেক্ষাপটের বিভিন্নতা সবই এই সম্পর্কের রসায়নের উপর ছাপ ফেলেছে। দেশভাগ এক্ষেত্রেও একটা বড় ভূমিকা পালন করেছে। পরিচিত ঘেরাটোপের বাইরে বেরিয়ে যখন মানুষ জগৎটাকে নতুন করে চিনতে শুরু করে তখন তাঁদের আচরণগত পার্থক্য কতটা এবং কীভাবে প্রকট হয়ে ওঠে তাও আমার নায়িকা নিজের জীবন দিয়ে অনুভব করেছেন।’ একইভাবে এই বইতে ভাই বোনের সম্পর্কও বিশ্লেষণ করেছেন গীতাঞ্জলি। তাঁর অনুভব অনুযায়ী সব সম্পর্কেরই উত্থান এবং পতন হয়। সমান্তরালে কোনও কিছুই চলে না। আর সম্পর্কের এই উত্থান পতনের মাধ্যমেই জীবনের নানা অধ্যায়ের মুখোমুখি হই আমরা। লেখক বললেন, বর্ডার বা সীমান্ত শব্দটা নিয়ে ‘ওয়ার্ড প্লে’ বা ‘পানিং’ করেছেন তিনি। বর্ডার এখানে শুধুই দেশের সীমান্ত নয়। বয়সের সীমা, বন্ধুত্বের পরিধি সবকিছুই ওই একটা শব্দের মধ্যে লেখক ধরে রেখেছেন।  
দেশভাগের আতঙ্ক
তবে সম্পর্ক, চরিত্র ইত্যাদি ছাপিয়ে গিয়েছে বইটির অনুভূতি। গীতাঞ্জলি বলেন, ‘একই ঘটনা অথচ তার প্রভাব ভিন্ন। দেশভাগ সেই সময় প্রত্যেকের মনে আলাদা আলাদা প্রতিক্রিয়া রেখে গিয়েছিল। ছাপ ফেলেছিল অন্যরকম ভাবে। সেই অন্যরকমটা ঠিক কেমন তারই একটা ক্ষুদ্র বিশ্লেষণ উঠে এসেছে আমার সৃষ্টি করা কেন্দ্রীয় চরিত্রটির মাধ্যমে। দেশভাগের সময় তাঁর তারুণ্যে টইটম্বুর মনটা এক লহমায় বড় হয়ে গেল। শুধু দৃশ্যপটের বদলের সঙ্গে সঙ্গে এই যে মানসিক পরিবর্তন, এটা ভয়ঙ্কর। তখনকার মতো মানিয়ে নিলেও মন কিন্তু পরে বদলা নেয়। আর সেই জন্যই আমার নায়িকার মনে মনে আতঙ্কের আগুন সারা জীবন ধরে ধিকধিক করে জ্বলতে থাকে। শেষ বয়সে এসে সেই আতঙ্কই আবার বৃহদাকার নেয়। জীবনের সেই ফেলে আশা মুহূর্তগুলো, ভুলে যাওয়া স্মৃতিগুলো মাথাচাড়া দিতে শুরু করে। বর্ডার বা সীমান্ত আবার রূপ বদলায়, হয়ে ওঠে স্মৃতির জানালা। যার কপাট কখনও পিছন দিকে খোলে কখনও বা সমুখে। আর সেই সঙ্গে আমার নায়িকার মনটাও নিজের স্মৃতির সীমান্ত অতিক্রম করে অতীতের বিভিন্ন পর্যায়ে পৌঁছয়, আবার বর্তমানে ফিরেও আসে।’  
মাকে নিয়ে
ভাবনার উত্থান-পতন লেখক মনে চিরন্তন অঙ্গ, বললেন গীতাঞ্জলি। কিন্তু একইসঙ্গে তাঁর মনকে ‘মা’ চরিত্রটি যতটা নাড়া দেয় অন্য কিছু ততটা দেয় না। বললেন, লেখার বিষয় নিয়ে ভাবতে শুরু করলেই চিন্তাধারা ঘুরে ফিরে মা-তে গিয়ে ঠেকে। লেখিকার কথায়, ‘আমার এই হিন্দি লেখার প্রতি যে টান, তার সূত্রপাতই ঘটেছিল মায়ের মাধ্যমে। আমি তখন পড়াশোনার জন্য রাজ্যের বাইরে ছিলাম। মায়ের সঙ্গে যোগাযোগের মূল মাধ্যম হয়ে উঠল চিঠি। হিন্দিতে মাকে লম্বা লম্বা চিঠি লিখতাম। চিঠি লিখতে লিখতে যে আমার হিন্দি ভাষাটার প্রতি, তাতে ব্যবহৃত শব্দের প্রতি একটা টান তৈরি হচ্ছিল তা বুঝতে পারছিলাম। এছাড়া মুন্সী প্রেমচাঁদের সাহিত্যও আমার অন্যতম অনুপ্রেরণা। হিন্দি ভাষার যতটুকু আয়ত্ত করতে পেরেছি তার অনেকটাই প্রেমচাঁদের লেখা পড়ে।’ 
গীতাঞ্জলির প্রথম উপন্যাসের নাম ‘মাই’ অর্থাৎ মা। সেখানেও তিনি একটি মা ও মেয়ের সম্পর্ক বর্ণনা করেছেন। বইটি অল্পবয়সি মেয়ের বয়ানে লেখা। মায়ের সঙ্গে  নিজের সম্পর্কের বহুকৌণিকতা বিশ্লেষণ করতে যে বারবার ভয় পাচ্ছে। অজানা একটা আতঙ্কে ভুগছে, এই বুঝি বয়সকালে সেও মায়েরই মতো হয়ে যাবে! কিন্তু মায়ের মতো হয়ে যাওয়ার আতঙ্ক কীসে? মেয়েটির উপলব্ধি মায়ের যুগটা তো ফুরিয়ে যাচ্ছে। তাহলে মায়ের মতো হয়ে গেলে সেও তো পুরনো হয়ে যাবে। আশ্চর্য ভাবনা, অদ্ভুত তার বিশ্লেষণ। তবে এরও অনেক আগে থেকেই নাকি গীতাঞ্জলি লেখক হওয়ার স্বপ্নই দেখতেন। ছোটবেলায় রহস্য গল্প লেখার নেশা ছিল তাঁর। 
প্রসঙ্গ বুকার
বুকার পুরস্কার পাবেন একথা স্বপ্নেও ভাবেননি গীতাঞ্জলি। সম্মান পেয়ে তিনি অভিভূত। তবে একই সঙ্গে অন্য ধরনের একটা আনন্দও অনুভব করছেন। বললেন, এই স্বীকৃতি শুধু তাঁর নয়, একই সঙ্গে ভারত তথা দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সম্মান এটা। বইটির ইংরেজি অনুবাদক ডেইজি রকওয়েলের কাজের প্রশংসা করে গীতাঞ্জলি বলেন, ‘ডেইজি এর আগেও ভারতীয় ভাষার বহু অনুবাদ করেছেন। হিন্দি এবং উর্দু অনুবাদে খুবই দক্ষ তিনি। তবে এক্ষেত্রে চরিত্রগুলোর গভীরে ঢুকে তাদের বৈচিত্র্য সঠিকভাবে তুলে ধরেছেন তিনি। অত্যন্ত যত্ন নিয়ে প্রতিটি চরিত্রকে ইংরেজিতে প্রতিস্থাপন করেছেন। তাঁর অনুবাদের মাধ্যমে সেই চরিত্রগুলো জীবন্ত হয়ে উঠেছে। তাদের মনের টানাপোড়েন এক উচ্চ তারে বেঁধে রেখেছেন অনুবাদক। এবং একই সঙ্গে গল্পটাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন।     
গীতাঞ্জলি বলেন, ‘এক একটা ভাষার এক এক ধরন থাকে। ভিন্ন সংস্কৃতি দিয়ে তা বোনা হয়। ডেইজি রকওয়েল আমাদের সংস্কৃতির ঘেরাটোপেই ইংরেজি চরিত্রগুলোকে বসিয়েছেন। এবং তা এতই দক্ষ হাতে করেছেন যে পড়তে পড়তে পাঠকের নানারকম অনুভূতি হবে। জীবন নামক এই যে যাত্রা তার মধ্যে উত্থান ও পতন অবশ্যম্ভাবী। আশা আর হতাশার দোলাচল আমাদের ঘিরে থাকে সর্বক্ষণ। আর এই ওঠাপড়াই জীবনকে উপভোগ্য করে তোলে। আমি সেই স্বাদই পাঠককে দিতে চেয়েছিলাম বইটির মাধ্যমে। এটা কোনও একজন ব্যক্তির গল্প নয়। বরং একটা সর্বজনীন অনুভূতি। যা আমি, আপনি আমরা সবাই জীবনের কোনও এক পর্যায়ে এসে অনুভব করি। বুকারের স্বীকৃতি সেই অনুভূতির গণ্ডিটা আন্তর্জাতিক করে তুলেছে। এটাই সবচেয়ে বড় আনন্দ।’         
11th  June, 2022
চৈত্র সেলের একাল সেকাল

বৈশাখ পয়লার আগে স্মৃতি রোমন্থনে অম্লানকুসুম চক্রবর্তী। 
  বিশদ

13th  April, 2024
বাংলা ক্যালেন্ডারের গুরুত্ব হারিয়েছে বাঙালির কাছেই

ক্যালেন্ডার বাংলা হোক বা ইংরেজি, এটি অতি প্রয়োজনীয় বস্তু। তবে বর্তমান সময়ে বাংলা ক্যালেন্ডারের গুরুত্ব অনেক হ্রাস পেয়েছে। কারণ বোধহয় এই ক্যালেন্ডার অনেকেই দেখতে বা পড়তে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না। বিশদ

13th  April, 2024
স্বামীর অবর্তমানে শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীর অধিকার

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আইনি দিক খতিয়ে দেখলেন অন্বেষা দত্ত। বিশদ

06th  April, 2024
চাবুক হাতে আগুনে মেয়ে

১৯৩০-এর ৬ এপ্রিল সমাপন হয় ডান্ডি অভিযান। লবণ সত্যাগ্রহের সেই পদযাত্রার হাত ধরেই আসে আইন অমান্য। বিপ্লবীরক্ত চলকে ওঠে দেশ জুড়ে। তেমনই এক নেত্রী কটকের বিমলপ্রতিভা দেবী। আমরা তাঁকে ভুলতে বসলেও ভোলেনি ইতিহাস। লিখছেন মনীষা মুখোপাধ্যায়।
  বিশদ

06th  April, 2024
বিশ্বজয়ের দৌড়ে বাঙালি কন্যে

‘স্ট্রাগল’ শব্দটার সঙ্গে ছোট থেকে পরিচয় বিদিশা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মেয়ে হিসেবে জন্মের পর থেকেই লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে, একথা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর মা। কলকাতায় স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পড়াশোনা করা বিদিশা এমন পরিবারে বড় হয়েছেন, যেখানে চাকরি করাটাই ছিল সাফল্য! বিশদ

06th  April, 2024
ভারতের সবথেকে ধনী মহিলা সাবিত্রী 

যিনি রাঁধেন, তিনি চুলও বাঁধেন। সাবিত্রী জিন্দাল এই উপমার আদর্শ উদাহরণ। ফোর্বসের প্রকাশিত তালিকায় ভারতের সবথেকে ধনী মহিলা সাবিত্রী। তাঁর বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ ৩৫৫০ কোটি মার্কিন ডলার। বিশদ

06th  April, 2024
স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদনে ডাচ তরুণী

জোরায়া টের বেকের বয়স ২৮। নেদারল্যান্ডসের একটি ছোট গ্রামে থাকেন। এই ডাচ তরুণী আইনের সাহায্য নিয়ে নিজের জীবন শেষ করে দিতে ইচ্ছুক। এমন খবর শিরোনামে আসতেই জোরায়াকে নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে নানা মহলে। বিশদ

06th  April, 2024
তর্ক-বিতর্ক: বাচ্চার মোবাইল আসক্তির জন্য

চলছে নতুন বিভাগ ‘তর্ক বিতর্ক’। সন্তানের মোবাইল ব্যবহারের নেপথ্যে বাবা-মা। — এই মতের পক্ষে ও বিপক্ষে পাঠকদের মতামত বেছে নিয়েছি আমরা। পরের পর্বে আপনিও জানাতে পারেন আপনার মতামত। বিশদ

30th  March, 2024
স্টেথো গলায় দেশের প্রথম নারী

অখ্যাত গ্রামে ততোধিক অখ্যাত জীবন থেকে উঠে এসেছিলেন তিনি। স্বামীর উৎসাহ আর নিজের জেদ সম্বল করে নজির গড়লেন ডাঃ আনন্দীবাই গোপালরাও জোশি। দেশের প্রথম মহিলা ডাক্তার। কাল তাঁর জন্মদিন। ফিরে দেখলেন মনীষা মুখোপাধ্যায়। বিশদ

30th  March, 2024
আফগান মেয়েদের পাশে

আফগানিস্তানের বাসিন্দা সোলা মাহফুজের স্কুল যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় ২০০৭ সালে। তখন যদিও তালিবানের শাসন নয়। তাঁর এখনও মনে পড়ে, একদল লোক বাড়ির দরজায় এসে বাবাকে শাসিয়ে গিয়েছিল মেয়েকে স্কুলে পাঠালে মুখে অ্যাসিড ঢেলে দেবে নয়তো অপহরণ করবে। বিশদ

30th  March, 2024
নারী উন্নয়নে চামির লড়াই

চামি মুর্মু। বয়স ৫২। ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলা খারসাওয়ান জেলার বাসিন্দা। গত ৩৬ বছর ধরে সমাজকর্মী হিসেবে কাজ করছেন। আশপাশের প্রায় ৫০০ গ্রামে ২৮ লক্ষ গাছ লাগিয়েছেন তিনি। চলতি বছর পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি।  বিশদ

30th  March, 2024
আও খেলো মশান হোলি...

মথুরা, শান্তিনিকেতনের সঙ্গে বারাণসীর হোলিখেলার চরিত্রগত কোনও মিল নেই। কাশীতে শিব নিজেই চিতাভস্ম নিয়ে তাঁর অনুচরদের সঙ্গে হোলিখেলায় মেতে ওঠেন। লিখেছেন সন্দীপন বিশ্বাস।
বিশদ

23rd  March, 2024
খেয়াল থাক শিশুর শখে

সন্তানের পছন্দ ও শখকে উদ্ভট অভ্যেস ভাবছেন? ভুল করছেন না তো কোথাও? লিখেছেন মনীষা মুখোপাধ্যায়। বিশদ

23rd  March, 2024
বৃদ্ধ বাবা-মায়ের যত্নে এই প্রজন্ম উদাসীন

চলছে নতুন বিভাগ ‘তর্ক বিতর্ক’। বয়স্ক মা-বাবার খেয়াল রাখে না এখনকার প্রজন্ম— এই মতের পক্ষে ও বিপক্ষে পাঠকদের লেখা বেছে নিয়েছি আমরা। পরের পর্বে আপনিও জানাতে পারেন আপনার মতামত। বিশদ

16th  March, 2024
একনজরে
আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...

বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...

কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): দুপুর ১ টা পর্যন্ত আলিপুরদুয়ারে ৫১.৫৮ শতাংশ, কোচবিহারে ৫০.৬৯ শতাংশ ও জলপাইগুড়িতে ৫০.৬৫ শতাংশ ভোট পড়ল

02:32:20 PM

পুলিসের তাড়া খেয়ে শিলিগুড়ি শহরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পালিয়ে গেলেন বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্ট্যোপাধ্যায়

02:32:00 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): দুপুর ১ টা পর্যন্ত তামিলনাড়ুতে ৩৯.৫১ শতাংশ, ত্রিপুরায় ৫৩.০৪ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ৩৬.৯৬ শতাংশ, উত্তরাখণ্ডে ৩৭.৩৩ শতাংশ ভোট পড়ল

02:31:14 PM

বিধানসভা নির্বাচন ২০২৪: দুপুর ১ টা পর্যন্ত অরুণাচল প্রদেশে ৩৭.৫৩ শতাংশ ও সিকিমে ৩৬.৮৮ শতাংশ ভোট পড়ল

02:31:11 PM

অন্য কাউকে একটা ভোট দেওয়া মানে বিজেপির হাত শক্ত করা: মমতা

02:30:54 PM

এখানকার কংগ্রেস-সিপিএম ইন্ডিয়া জোট করে না: মমতা

02:28:33 PM