পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কিন্তু নারীর এই যে জীবিকার সন্ধান, তা কীভাবে করা হবে? অ্যামওয়ে ইন্ডিয়ার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট চন্দ্র ভূষণ চক্রবর্তী জানালেন যে অঞ্চলে মেয়েরা সে অর্থে শিক্ষিত নয় সেখানে নারী শিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে, অল্প শিক্ষিত দুঃস্থ মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের ভোকাল ট্রেনিং, হাতের কাজ ইত্যাদি শিখিয়ে তাদের স্বনির্ভর করা হবে। এমন কিছু হাতের কাজ শেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে যার মাধ্যমে মহিলারা দ্রুত স্বনির্ভর হয়ে উঠতে পারেন।
নারীর উন্নতি না হলে সমাজের পক্ষে এগনো সম্ভব নয়, বললেন চন্দ্র ভূষণ চক্রবর্তী। তাই তাঁরা সবসময়ই নারীর উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করেন। এই সংস্থা মহিলাদের নিয়ে কাজ করতে অভ্যস্ত। এদের ব্যবসার প্রাণও মহিলারাই। এবার এমন বিভিন্ন মহিলা নির্ভর ছোটখাট ব্যবসাকে সাপোর্ট করার প্রকল্প নিয়েছে অ্যামওয়ে। এইভাবেই নারী শক্তির উন্নয়ন সম্ভব বলে তারা মনে করে।
আপাতত নারী শক্তি প্রকল্পের সাহায্যে মোট ১১০০ মহিলাকে রোজগেরে করে তোলার প্রয়াস নিয়েছে। এবং গবেষণা বলছে এই যে ১১০০ মহিলার রোজগারের ব্যবস্থা তাতে প্রায় পঁচিশ হাজার মহিলা পরোক্ষে উপকৃত হচ্ছে। কীভাবে? এই ১১০০ মহিলা তাঁদের কাজের মাধ্যমে অন্যদেরও সাহায্য করতে পারছেন, কেউ হয়তো নিজে ছোট ব্যবসা চালু করে আর পাঁচজন মহিলার কাজের ব্যবস্থা করছেন— এইভাবে একজনের মাধ্যমে বহু মহিলা পরোক্ষে উপকৃত হচ্ছেন।
যে ধরনের ক্ষেত্রে এই নারী শক্তি প্রকল্প কাজ করে তা হল স্বাস্থ্য ও সাজগোজ। চন্দ্র ভূষণের কথায়, সাজগোজ এবং প্রসাধনীর যে বিশাল মার্কেট তা খুব একটা খতিয়ে দেখা হয় না। সাজগোজের সরঞ্জাম তৈরি করা থেকে শুরু করে তা বিক্রি করা এবং অন্যকে সাজিয়ে তোলার মাঝে বিভিন্ন ধরনের স্বনির্ভর করা যায়। মুক্তি রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারের তরফে বিদিশা ঘোষ বিশ্বাস জানান, অ্যামওয়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় এমন বহু নিম্নবর্গীয় মহিলাকে তাঁরা সাহায্য করতে পারছেন যাদের সন্ধান এর আগে তাঁদের কাছে ছিল না। নারী শক্তি প্রকল্পে সরাসরি ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি অনলাইন ট্রেনিংয়েরও ব্যবস্থা রয়েছে, বললেন বিদিশা। ফলে অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলের মহিলারাও এই প্রকল্পে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন।