Bartaman Patrika
আমরা মেয়েরা
 

রত্নগর্ভা হয়েই থেমে নেই 
চৈতালি শান্তা প্রিয়াঙ্কা

তাঁদের প্রত্যেকের সন্তান অল্প বয়সেই সাফল্যের ছোঁয়া পেয়েছে জীবনে। তার পিছনে মায়েদের অবদান কতটা? মাদার্স ডে উপলক্ষে সেই মায়েদের কথা লিখেছেন অন্বেষা দত্ত।

বাঁশিতে মন
বাঁশি হাতে তুলে নিলে চারপাশের জগৎ এক নিমেষে ভুলে যায় ছেলেটা। তিন ধরনের বাঁশি বাজাতে ওস্তাদ এগারো বছরের অনির্বাণ রায়। পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার মতো ব্যক্তিত্বের সামনে বসে বাঁশি বাজিয়েছে সে। পেয়েছে ড. এম এস সুব্বুলক্ষ্মী ফেলোশিপ ও নানা পুরস্কার।
অনির্বাণের মা চৈতালি রায় নিজে গানবাজনার পরিবেশে বড় হয়েছেন। তাঁর যখন পাঁচ বছর বয়স তখন বাড়িতে তাঁর কাকার কাছ গান শেখা শুরু। বিয়ে করেছেন যাঁকে, সেই লোকনাথ রায়ের ঠোঁটে বাঁশির সুর। স্বাভাবিকভাবেই ছেলেমেয়েরাও চৈতালির মতো সাংস্কৃতিক পরিবেশে বড় হয়ে হয়ে উঠছে। ছেলে অনির্বাণের যেমন বাঁশি বাজানোর ঝোঁক, মেয়ে মৈত্রেয়ী মায়ের মতো গানের টানে মাতোয়ারা। ক্লাসিকালেই তালিম নিচ্ছে সে। মা যে গান করেন, তা বুঝতে শেখা তার আড়াই বছর বয়স থেকেই। তারপর গানের শুরু।
কিন্তু অনির্বাণের ক্ষেত্রে বিষয়টা তেমন হয়নি। চৈতালি বললেন, ‘চার বছর বয়স পর্যন্ত ওর কোনও উৎসাহ কিছু বুঝিনি। মেয়ে একদিন গুরুজির শেখানো বেশ শক্ত একটা অংশ রেওয়াজ করছিল। তখন সেই সরগম হঠাৎ অনির্বাণ বলতে থাকে কোনওরকম তালিম ছাড়াই।’ অবাক হয়ে বরকে ফোন করেছিলেন তিনি। সাড়ে চার বছর বয়সের ছেলের হাতে বাঁশি ধরিয়ে দেন বাবাই। সে ফুঁ দিতে পারছে তখন। তারপর মাত্র সাত দিনের মাথায় সারেগামা তুলে নেয় সে। ‘এটা করতে অনেকেরই অনেক সময় লাগে,’ বলছিলেন মা। বাবা বুঝলেন, এ ছেলের হবে। তারপর বাঁশি হয়ে গেল অনির্বাণের নিত্যসঙ্গী।
মা হিসেবে কীভাবে পাশে ছিলেন চৈতালি? উত্তরপাড়ায় তাঁদের ছোট্ট ফ্ল্যাটের চারদিকে চার কোণে রেওয়াজ করেন সকলে। লকডাউনে সকাল থেকে সন্ধে টানা রেওয়াজ চলেছে। এখন অনলাইন ক্লাসের জন্য রেওয়াজে একটু টান পড়ছে। কিন্তু ক্লাসের আগেই দেড় ঘণ্টা রেওয়াজ করতে ভোলে না অনির্বাণ। চৈতালির ১৭ বছরের মেয়েও পড়াশোনায় ভালো। তবে সে যা বড় হয়ে গিয়েছে, তাতে তাকে আর বলতে হয় না পড়ার কথা। মা দেরিতে উঠলেও সে ঠিক পড়াশোনা করে নেয়। অনির্বাণ দিদিকে এভাবেই চোখের সামনে দেখছে। এটা বড় স্বস্তির জায়গা চৈতালির কাছে।
স্কুল শুরুর আগে যে রেওয়াজ করতে হবে, অনির্বাণকে আগেই তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মা। যেদিন অনলাইন ক্লাস শুরু হল, মা অ্যালার্ম দিয়ে রাখলেন সাতটায়। ছেলে সাড়ে ছ’টায় উঠে কখন রেওয়াজ শুরু করে দিয়েছে, মা টেরও পাননি। বাঁশি শুনে চোখ মেলেছেন মা!
চারজনের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে আছে সুস্থ প্রতিযোগিতাও। ছেলে একটা রাগ বাঁশিতে তুললে, মেয়ে অন্য ঘরে অন্য রাগ সাধছে। ছেলের ভুল হলে মা বা দিদি ধরিয়ে দেয়। ছেলেও বড়দের ভুল ধরিয়ে দেয়। বলে ওঠে, ‘কোমল পর্দা লাগছে না!’
মা হিসেবে আর একটি ব্যাপারে অনির্বাণকে নিয়ে খুব গর্বিত চৈতালি। এই যুগে কোনও বাচ্চা বিশেষ করে কিশোররা মোবাইল ছাড়া চলতেই পারে না। সেখানে অনির্বাণের মোবাইল-নেশা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছেন তিনি। মোবাইল শুধু লাগে ক্লাস করার জন্য। বন্ধুবান্ধব তো মোবাইল নিয়ে গেম খেলে। ও আবদার করে না? চৈতালির সাফ কথা, ‘ইলেভেন-টুয়েলভের আগে কোনও মোবাইল নয়। আর ওই ক্লাসেও মোবাইলটা প্রয়োজনেই শুধু ব্যবহার করবে। গেম খেলার জন্য নয়।’ মায়ের মতোই বাবাও এই শাসনে বেঁধে রেখেছেন ছেলেমেয়েকে।
চৈতালির স্বপ্ন, সময়ের তোড়ে গা ভাসানো নয়, বাচ্চা দুটো সুন্দরভাবে মানুষ হয়ে উঠুক। গান বা বাঁশি বাজানো পুজোর সমান, সাধনার বিষয়— সবসময় এটাই ওদের বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি। আর সঙ্গে মানেন, ‘দু’দিন ভালো গাইল বা বাজাল, তারপর হারিয়ে গেল, তার কোনও দাম নেই। অনেক প্রতিভা হারিয়ে যায় সঠিক অনুশীলনের অভাবে।’ মায়ের কাছ থেকে শিশু মৌলিক শিক্ষাটা পায়। সে কথা মনে রেখেই বাড়িতে কখনও সিরিয়াল দেখেন না চৈতালি। টিভি আছে খবর আর ছেলের কার্টুন দেখার জন্য। তারও সময় বাঁধা— এক ঘণ্টা। তাছাড়া ছেলেকে দেখান হলিউডের ভালো পুরনো ছবি।
চৈতালি বলেন, ‘অনেক বাচ্চাকেই বাবা-মা অনেক কিছু বলেন। সবাই কি শোনে?’ সেদিক থেকে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন এই মা। তাঁর বাচ্চারা কথা শোনে। এখন মনেপ্রাণে ঈশ্বরের কাছে তিনি চান, আরও দশ বছর এভাবেই সাধনায় লেগে থাকুক তাঁর সন্তানেরা। তাহলে হয়তো একটা জায়গায় পৌঁছতে পারবে।
সন্তানের সুখেই মায়ের সুখ, এটা যেমন সত্যি, তেমনই নিজের তো সেভাবে গান নিয়ে এগনো হল না, দুঃখ হয় না? চৈতালি বলেন, ‘না সেভাবে নয়। আমার বাপের বাড়ি ছিল গ্রামের দিকে। সেখানে ক্লাসিকাল সঙ্গীত শেখান, এমন কাউকে পাইনি। কাকুর কাছে শিখেছি যতটা পেরেছি। প্রিয় শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। রেডিওয় তাঁর গান শোনার জন্য অধীর আগ্রহে বসে থাকতাম। অনেক অনুষ্ঠান করেছি। আধুনিক গানই বেশি। এখন সবরকম গানই শেখাই। তবে ছেলে মেয়ে বর সবাই ক্লাসিকালে মন দিয়েছেন। সব মিলে সুরের অফুরান জোগান আমাদের বাড়িতে। তাই দুঃখ কীসের?’
সংসার সামলে, গানের স্কুল সামলে অনির্বাণকে সময় দিতে পারেন কতটা? একটু লজ্জা পেয়ে বলেন চৈতালি, ‘ওর বাবা খুব ভালো রান্না করতে পারেন। তাই মেয়ের যখন সাড়ে তিন বছর বয়স, তখন আমি গান শিখতে গেলে ওর বাবা সংসারের সব কাজ সামলে দিতেন। গান শিখে ফিরতে দেরি হতো। এখনও মেয়েকে নিয়ে গান শেখাতে নিয়ে গেলে উনিই সংসারের ভার নেন। ভীষণ পরিশ্রমী মানুষ। কোনও কুঁড়েমি নেই। এটাই বড় প্রাপ্তি আমার।’
কোডিং জ্ঞান
আলিপুরদুয়ারের অনুব্রত সরকারের মাথায় আছে কোডিংয়ের জাদু। মাত্র আট বছর বয়সে অ্যাপ বানিয়ে চমকে দিয়েছিল সে। সেটির নাম ছিল, ‘ওয়াটার ইন লিটার’ অ্যাপ। পেয়েছে নানা সম্মানও। আছে তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল- ‘কোডিং ভিডিওজ বাই অনুব্রত সরকার’। এগারো বছরের এই ছেলে বড় হয়ে বিজ্ঞানী হতে চায়।
অনুব্রতর মা শান্তা ভট্টাচার্যর কথায়, ‘ছোট থেকেই ওর কম্পিউটারের দিকে ঝোঁক। সব বাচ্চার এই সময়ে যেমন হয়। আমি রান্নাবান্না, ঘোরাফেরা, কাজকর্মের মধ্যেই খেয়াল রাখতাম ও কী করছে কম্পিউটারে বসে। ভিডিও গেমের নেশা কিন্তু ছিল না। আর অ্যাপ নিয়ে ওর বাবা বা আমার, কারওরই কোনও আগ্রহ ছিল না। ওর কীভাবে হল, জানি না!’ শান্তা এবং তাঁর স্বামী, দু’জনেই স্কুলশিক্ষক। তাঁদের আর এক মেয়ে আছে। স্কুলের কাজের বাইরে সন্তানদের নিয়েই তাঁদের জীবন। তাঁরা যা কিছু করেন, তাতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব ওদেরই, বুঝিয়ে দেন শান্তা। কোনও ভালো কাজ করলে অনুব্রতর একটাই আবদার, মায়ের হাতের মাটন বিরিয়ানি।
ছেলে সাফল্য পেলেও মাথা ঘুরে যায়নি, ভবিষ্যতেও সেটা যাতে না হয় খেয়াল রাখেন মা। প্রযুক্তিগত জিনিস নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে কোনও ভুল হয়ে গেলে বাচ্চাকে মারধর বা বকুনি দেন না শান্তারা। তিনি মনে করেন, ‘বাচ্চার আস্থা অর্জনে তাকে গল্পের মাধ্যমে সহজভাবে বিষয়টা বোঝানো উচিত। কেন জিনিস নষ্ট করেছো, এই বলে দু’ঘা বসিয়ে দিলে বাচ্চার কোনও উন্নতি হয় না। বরং মায়ের যত্ন এবং বুঝিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে বাচ্চা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বড় হয়ে উঠতে পারে।’
অনলাইনে বা প্রযুক্তিগতর কোনও সমস্যা হলে ছেলের কাছেই শিখে-জেনে নেন শান্তা। তাঁর ছেলেমেয়ে দু’জনেই বাধ্য। বাবা-মায়ের নির্দেশ ওদের কাছে শেষ কথা। অনুব্রতও দিদির সঙ্গে অনেকটা সময় কাটায়। ছেলের চোখের উপর যাতে চাপ না পড়ে সেদিকেও খেয়াল রাখেন মা। কম্পিউটার নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটির সময় বেঁধে দেন।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলের মতো এবার কোডিংয়ের ওপর বইও লিখছে অনুব্রত। ছোটবেলা থেকে কোনও একটা কাজ ধরলে শেষ না করে ছাড়ে না সে। একবার মাকে দাবা খেলতে দেখেছিল দিদির সঙ্গে। তারপর সে নিজেও মায়ের সঙ্গে বসে যায় দাবা নিয়ে। এবং বেশ গর্বের সঙ্গেই মা এখন বলেন, ছেলে তাঁকে হারিয়ে দিয়েছে দাবা শেখার কিছুদিনের মধ্যে।
ছেলে-মেয়ের জন্যই বেঁচে থাকা? নিজের শখ বলতে কিছু মনে হয় না? ‘আমার কোনও বিশাল কিছু চাহিদা ছিল না জানেন। একটা চাকরি করব, স্বাবলম্বী হব। একটা ভালো সংসার, স্বামী সন্তান— সবই তো পেয়েছি। তাই কিছু অতৃপ্তি নেই আমার। মা হিসেবে খেয়াল রাখি বাচ্চাদের আচরণ যেন ভালো হয়, যেন ভালো মানুষ হয় ওরা। মা হিসেবে কেবল চাই আমার সন্তানদের মাধ্যমে সমাজকে আরও ভালো মানুষ উপহার দিতে। সেটা যদি কোনও মা-বাবা না পারেন, তা তাঁদেরই ব্যর্থতা। বাচ্চা যত বড়ই হোক, যারা কষ্টে আছে, তাদের কথা যেন না ভোলে। এটা সবসময় বোঝাই। ছোট মনে এধরনের কথা গোড়া থেকেই গেঁথে দিতে পারলে ওরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে শিখবে। এটুকুই জীবনে চাওয়া,’ এক নিঃশ্বাসে বলে যান তৃপ্ত শান্তা।
লক্ষ্যভেদ
আসানসোলের ছেলে অভিনব সাউ। তিন বছর আগে শ্যুটিংয়ে রাজ্য থেকে তরুণতম স্টেট চ্যাম্পিয়ন। ২০১৮ সালে ত্রিবান্দ্রমে ৬২তম জাতীয় শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে আন্ডার ১৮ ও আন্ডার ২১ দু’টিতে সোনা লাভ। তারপরই তরুণতম ন্যাশনাল শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নের খেতাব জয়।
অভিনবের মা প্রিয়াঙ্কা সাউ জানালেন ছেলের আট বছর বয়সেই পুরস্কার পাওয়া একটা টার্নিং পয়েন্ট। তবে বাবার ইচ্ছে থেকেই ছেলের শ্যুটিংয়ে আগ্রহ জন্মায়। জাতীয় স্তরে সোনা পাওয়ার পর আরও ভালো করে প্রশিক্ষণের শুরু। যখন যেখানে ট্রেনিংয়ে যেতে হয়েছে, প্রিয়াঙ্কা ছুটে গিয়েছেন ছেলেকে নিয়ে। প্রয়োজনে অন্য শহরে (মুম্বইয়ে টানা এক দেড় মাসও থেকেছেন) রাত কাটানো বা কোথাও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করা, কোনওটাই পরিশ্রম বলে মনে হয়নি তাঁর। শুধু মনে হয়েছিল, ছেলের জন্য এটুকু করতে হবে। ছেলেও মায়ের ওপরে পুরোপুরি নির্ভরশীল। শ্যুটিং নিয়ে আলোচনাটা বাবার সঙ্গে হলেও বাকি ‘ব্যাকআপ’ পুরোটাই মা। বায়না বা জেদ নেই অভিনবের। মোবাইলে একটু গেম খেলতে চাওয়া ছাড়া খুব কিছু চাহিদাও নেই তার। আসানসোলের রাইফেল ক্লাবে ট্রেনিং করে সে। কারণ লকডাউনে অন্য শহরে যাওয়া আর সম্ভব হয়নি। শ্যুটিংয়ের খুঁটিনাটি না বুঝলেও ছেলেকে সফল হতে দেখাটাই প্রিয়াঙ্কার বেঁচে থাকার চাবিকাঠি।
08th  May, 2021
মা হওয়ার পর অবসাদ কাটাতে সাইকোথেরাপি

মা হওয়া আনন্দের। কিন্তু সুন্দর অভিজ্ঞতার সঙ্গেই অনেক মা শিকার হন প্রসবোত্তর বিষণ্ণতার। সমস্যা ও সমাধানের খোঁজে ডঃ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশদ

ক্রমশ বাড়িয়ে তুলতে হয় মনোযোগ

শিশুকে মনোযোগী করে তুলুন একদম ছোট বয়স থেকেই। কীভাবে? বিশেষজ্ঞের পরামর্শ শোনালেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

৪০ দিন কমলালেবু খেয়ে বাঁচলেন অ্যান

শুধুমাত্র ফল খেয়ে কি বেঁচে থাকা সম্ভব? তাও আবার যে কোনও একটি ফল? এ নিয়ে তর্ক হতেই পারে। তবে পরীক্ষিত সত্য, একটিমাত্র ফল খেয়ে বেঁচে থাকা সম্ভব। তা প্রমাণ করলেন অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের বাসিন্দা অ্যান অসবোর্ন। টানা ৪০ দিন কমলালেবু খেয়ে বেঁচে রয়েছেন তিনি। বিশদ

মহিলা পরিচালিত বুথ

মহিলাদের সমানাধিকারের দাবি ভারতে নতুন নয়। তাকে মান্যতা দিতেই চলতি লোকসভা নির্বাচনে কান্নুরের মাহে বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিটি বুথ সামলাবেন মহিলা কর্মীরা। প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, পুলিস, বয়ঃজ্যেষ্ঠ নাগরিক ও শারীরিকভাবে অক্ষম ভোটারদের সাহায্যকারী হিসেবে ন্যাশনাল সার্ভিস স্কিমের স্বেচ্ছাসেবক— সব বিভাগই সামলাবেন মহিলারা। বিশদ

আইএএস অনন্যার প্রেরণা কোহলি

সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে সর্বভারতীয় স্তরের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার ফল। ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন গত মঙ্গলবার ফলপ্রকাশ করে। এ বছর এই পরীক্ষায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন একজন মহিলা। তেলেঙ্গানার ডোনুরু অনন্যা রেড্ডি। বিশদ

মিস মিসেস ইন্ডিয়া

প্রাক্তন মিস ওয়ার্ল্ড ও বলিউড অভিনেত্রী অদিতি গোভিত্রিকর, রোলি ত্রিপাঠী, নিতু সাহা, টলিউড অভিনেত্রী মৌবনী সরকার সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ট্রানিসটিক্স ডাটা টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেড-এর পৃষ্ঠপোষকতায় বিশদ

চৈত্র সেলের একাল সেকাল

বৈশাখ পয়লার আগে স্মৃতি রোমন্থনে অম্লানকুসুম চক্রবর্তী। 
  বিশদ

13th  April, 2024
বাংলা ক্যালেন্ডারের গুরুত্ব হারিয়েছে বাঙালির কাছেই

ক্যালেন্ডার বাংলা হোক বা ইংরেজি, এটি অতি প্রয়োজনীয় বস্তু। তবে বর্তমান সময়ে বাংলা ক্যালেন্ডারের গুরুত্ব অনেক হ্রাস পেয়েছে। কারণ বোধহয় এই ক্যালেন্ডার অনেকেই দেখতে বা পড়তে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না। বিশদ

13th  April, 2024
স্বামীর অবর্তমানে শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীর অধিকার

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আইনি দিক খতিয়ে দেখলেন অন্বেষা দত্ত। বিশদ

06th  April, 2024
চাবুক হাতে আগুনে মেয়ে

১৯৩০-এর ৬ এপ্রিল সমাপন হয় ডান্ডি অভিযান। লবণ সত্যাগ্রহের সেই পদযাত্রার হাত ধরেই আসে আইন অমান্য। বিপ্লবীরক্ত চলকে ওঠে দেশ জুড়ে। তেমনই এক নেত্রী কটকের বিমলপ্রতিভা দেবী। আমরা তাঁকে ভুলতে বসলেও ভোলেনি ইতিহাস। লিখছেন মনীষা মুখোপাধ্যায়।
  বিশদ

06th  April, 2024
বিশ্বজয়ের দৌড়ে বাঙালি কন্যে

‘স্ট্রাগল’ শব্দটার সঙ্গে ছোট থেকে পরিচয় বিদিশা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মেয়ে হিসেবে জন্মের পর থেকেই লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে, একথা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর মা। কলকাতায় স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পড়াশোনা করা বিদিশা এমন পরিবারে বড় হয়েছেন, যেখানে চাকরি করাটাই ছিল সাফল্য! বিশদ

06th  April, 2024
ভারতের সবথেকে ধনী মহিলা সাবিত্রী 

যিনি রাঁধেন, তিনি চুলও বাঁধেন। সাবিত্রী জিন্দাল এই উপমার আদর্শ উদাহরণ। ফোর্বসের প্রকাশিত তালিকায় ভারতের সবথেকে ধনী মহিলা সাবিত্রী। তাঁর বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ ৩৫৫০ কোটি মার্কিন ডলার। বিশদ

06th  April, 2024
স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদনে ডাচ তরুণী

জোরায়া টের বেকের বয়স ২৮। নেদারল্যান্ডসের একটি ছোট গ্রামে থাকেন। এই ডাচ তরুণী আইনের সাহায্য নিয়ে নিজের জীবন শেষ করে দিতে ইচ্ছুক। এমন খবর শিরোনামে আসতেই জোরায়াকে নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে নানা মহলে। বিশদ

06th  April, 2024
তর্ক-বিতর্ক: বাচ্চার মোবাইল আসক্তির জন্য

চলছে নতুন বিভাগ ‘তর্ক বিতর্ক’। সন্তানের মোবাইল ব্যবহারের নেপথ্যে বাবা-মা। — এই মতের পক্ষে ও বিপক্ষে পাঠকদের মতামত বেছে নিয়েছি আমরা। পরের পর্বে আপনিও জানাতে পারেন আপনার মতামত। বিশদ

30th  March, 2024
একনজরে
ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...

দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...

ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী  বিপ্লব মিত্রর সমর্থনে রোড শো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

04:26:00 PM

এনআরসি-ক্যা-ইউসিসি না চাইলে বিজেপিতে একটাও ভোট নয়: মমতা

04:25:16 PM

একমাত্র তৃণমূল তখন অসমে গিয়েছিল, কিন্তু ওরা ঢুকতে দেয়নি: মমতা

04:24:33 PM

ভোট কেটে সুবিধা করতে এটা বিজেপির প্ল্যান: মমতা

04:12:44 PM

মোদি সরকার বাংলার টাকা বন্ধ করে দিল, কংগ্রেস-সিপিএম মুখ খোলেনি: মমতা

04:11:59 PM

আমের ফসল যাতে নষ্ট না হয় সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি: মমতা

04:10:39 PM